Sexual Harrasment In Workplaces And Others Sector||কর্মহ্মেত্রে ও অন্যান্য হ্মেত্রে যৌন নির্যাতন
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Assignment Questions -
1. Write Down About sexual Harrasment In Workplaces.||কর্মহ্মেত্রে যৌন নির্যাতনের সম্পর্কে লেখ।
2. Write Down The Prevention Of Sexual Harrasment In Workplaces.||কর্মক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের প্রতিকারে ব্যবস্থা গুলি লেখ।
Sexual Harrasment In Workplaces And Others Sector
BENGALI VERSION -
(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)
1. ভূমিকা -
ভারতীয় সমাজব্যবস্থার মধ্যে যে সমস্ত সমস্যা দেখা যায়,তার মধ্যে অন্যতম হল যৌন নির্যাতন বা যৌন হেনস্থা।ভারতের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক অংশ হল নারী,তা সত্বেও সমস্ত রকম সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নারীর প্রতি যৌন নির্যাতন বর্তমানে ব্যাপকতম ও সর্ববৃহৎ সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।মানব সভ্যতার অগ্রগতির স্বার্থেই সবাইকে বুঝতে হবে।যৌন নির্যাতন এমন এক অমানবিক ও যন্ত্রনাদায়ক অবস্থা যা নারী ও শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।নারী ও শিশুর যৌন নির্যাতন প্রকৃতি, কারণ এবং তার অবসান ঘটানোর উদ্যোগটি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ।যৌন নির্যাতনের মূলত নানাভাবে হয়ে থাকে, এখানে পরিবার,পাড়া, বিদ্যালয়,কর্মহ্মেত্রে এবং অন্যান্য হ্মেত্র রয়েছে। এখানে কর্মহ্মেত্রে ও অন্যান্য হ্মেত্রে নিয়ে আলোচনা করা হল।
2. কর্মহ্মেত্রে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের -
যৌন নির্যাতনের পরিবার,পাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিদ্যালয়ের পাশাপাশি ক্লাবে, বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানের ভিড়ে কিংবা মঞ্চে, গানের ক্লাসে কোচিং সেন্টারে,দোকানে,বাজারে,পার্কের,চিকিৎসাকেন্দ্রে, হাসপাতালে,নার্সিং হোমের,বাসের ভিড়ে কিংবা খালি বাসে, নিত্য যাত্রার ট্রেনে,বিদেশি পর্যটকরা ঘুরতে আসলে কিংবা মেয়েদের কোনো স্থানে ঘুরতে গেলে ইত্যাদি এমন কোন স্থান নেই। যেখানে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে না। কর্মক্ষেত্রে উপরওয়ালা মালিক বা সহকর্মীর হাতে যৌন হেনস্থা প্রায় নিয়মিত ঘটনা। প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে,যৌন নির্যাতনের সংখ্যা ও শিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।প্রতিবাদ প্রতিরোধ কখনো কখনো সংগঠিত হয় কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধের কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায় না।এই কারনেই নারীর নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে বোঝা, আলোচনা করা, প্রতিরোধ পন্থা খোঁজা এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আরও কয়েকটি কারন বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
3. যৌন নির্যাতন প্রতিকারে কর্মহ্মেত্রে ও অন্যান্য হ্মেত্রে ভূমিকা -
- কর্ম হ্মেত্রের কর্তব্য হল নির্যাতন বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্ৰহন এবং দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্ৰহন করা।
- সরকারি প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্ৰহনের জন্য পর্যায় ক্রমিকভাবে পদহ্মেপ গ্ৰহন করতে হবে।
- যে কোনো রকম অশালীন আচরণের অভিযোগে আসা মাত্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্তৃপহ্মকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
- সাধারণ হ্মেত্রে কোনো নারী যদি নির্যাতিত বা শ্লীলতাহানি হয়ে থাকে,চুপ না থেকে অবিলম্বে পুলিশের সাহায্যে নেওয়া উচিৎ।
- নারী সুরহ্মার জন্য ভারতে বিশেষ করে নারী সুরহ্মা দপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং মহিলা হেল্পলাইন নম্বর -1091 এবং মহিলা হেল্পলাইন (ঘরোয়া নির্যাতনে) নম্বর 181 দ্বারা নারী সুরহ্মার পদহ্মেপ নেওয়া হয়।
- রাজনীতি ও সামাজিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে নির্যাতনকারী যাতে পার পেয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।
- মাতৃত্ব কালীন সুবিধা আইন - 1961
- সমহারে বেতন আইন - 1978
- যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের রহমান আইন - 2012
- কর্মস্থানে নারীদের যৌন হয়রানী (রোধ, নিষেধ ও প্রতিবিধান) আইন - 2013
- যে নারী বা শিশু ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন নির্যাতনের হয়, তাদের মধ্যে প্রায়শই দীর্ঘ মেয়াদী মানসিক প্রভাব লহ্ম্য করা যায় (বিশেষত শিশু নির্যাতনে)।
- যে সমস্ত নারীরা ও শিশুরা মধ্যে শারীরিকভাবে ট্রমা লহ্ম্য করা যায়।
- যারা এই নির্যাতনের নির্যাতিতা হন, তাদের মধ্যে রাগ, দুশ্চিন্তা, লজ্জা,ভয়,বিষন্নতা, মেজাজ গত পরিবর্তন,নিঃসঙ্গতা , নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলার মতো নানা মানসিক সমস্যা লহ্ম্য করা যায়।
- যে সমস্ত নারীরা একজন অংশীদার দ্বারা ধর্ষণ বা শারীরিক সহিংসতার অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন তাদের ঘন ঘন মাথা ব্যাথা, দীর্ঘ স্থায়ী ব্যথা,ঘুমের অসুবিধা,ক্রিয়াকলাপ সীমাবদ্ধতা দুর্বল শারীরিক স্বাস্থ্য এবং দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিবেদন করার জন্য এই সহিংসতার অভিজ্ঞতার নেই এমন লোকদের চেয়ে বেশি হয়।
- যারা এই নির্যাতনের নির্যাতিতা হন, তারা অবৈতনিক সময় অবসর হওয়া,কর্মহ্মমতা হ্রাস হওয়া,চাকরি হ্রাস এবং কাজ করতে অহ্মমতা এ সমস্ত কিছুই বেঁচে থাকার জন্য আয়ের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে।
- লহ্ম করা যায়,যে সমস্ত নারীরা ও শিশুরা এই ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবার থেকে দূরে বা সমাজজীবনে প্রতি একটি দূরত্ব তৈরি হয়।
- অনেক সময় দেখা যায়, নির্যাতিতারা লোক লজ্জার ভয়ে বা ভীতি জন্য তেমন কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ফলে নির্যাতনকারী ব্যক্তিদের অপরাধে সাহস আরো জোরালো করতে সহায়তা করে।