DETERMINING THE OBJECTIVITY GIVEN AN ANSWER KEY

DETERMINING THE OBJECTIVITY GIVEN AN ANSWER KEY

DETERMINING THE OBJECTIVITY GIVEN AN ANSWER KEY

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

DETERMINING THE OBJECTIVITY GIVEN AN ANSWER KEY PRACTICUM
Determining The Objectivity Given An Answer Key

(** ENGLISH VERSION BELOW THE ARTICLE BY PDF FILE)

BENGALI VERSION -
Determining The Objectivity Given Answer Key

1. ভূমিকা -

নৈর্ব্যক্তিকতা কথাটি অর্থ ব্যক্তি নিরপেক্ষতা। কোন প্রশ্ন পত্রের কুকুর যে কোন উত্তর নির্দেশনা (খসড়া উত্তরপত্র/Answer key) দিদি হয় সেটি যথার্থভাবে নৈর্ব্যক্তিক হয়েছে কিনা সেটাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। কোনো প্রশ্নপত্র তৈরি হয় ব্লু প্রিন্ট এর ভিত্তিতে এবং প্রশ্নপত্রের উত্তর নির্দেশনা তৈরি করার সময় প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক নিজের জ্ঞান,বিচার, বুদ্ধি, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক মানসিক বয়স, প্রশ্নের কাঠিন্য ইত্যাদি বিচার করেন। কোনো কোনো সময় ভুলবশত পরীক্ষকের ব্যক্তিগত প্রভাব থেকে যায়।যা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়।পরীক্ষকের ব্যক্তিগত ধারণা,বিশ্বাস,ধর্মীয় আচরণ ইত্যাদি অনেক কিছুই প্রশ্ন-উত্তর নির্দেশনাকে প্রভাবিত করতে পারে। শিক্ষামূলক ও মনোবিজ্ঞানিক পরিমাপের ক্ষেত্রে যে ত্রুটি সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় তা হলো ব্যক্তিগত ত্রুটি বা পর্যবেক্ষণ ত্রুটি। এই ধরনের ত্রুটি যুক্ত পরিমাপকে বলে নৈর্ব্যক্তিক পরিমাপ অর্থাৎ সরিমাপটি নৈর্ব্যক্তিক আর এর মূলে থাকে অভীহ্মার গঠন। সহজ কথায় কোনো অভীহ্মা একই পরীক্ষার্থীর উপর প্রয়োগ করে বিভিন্ন পরীহ্মক যদি একই স্কোর দান।সেহ্মেত্রে অভীহ্মাটি নৈর্ব্যক্তিক।আর বিভিন্ন পরীহ্মক দ্বারা প্রযুক্ত কোনো অভীহ্মার একই স্কোর বা পরিমাপ দেওয়ার সম্ভাব্য মাত্রাকে বলা হয় অভীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক।

2. নৈর্ব্যক্তিক/ ব্যক্তি নিরপেহ্মতা/ Objectivity -

শিক্ষক অভীক্ষা প্রস্তুত করে শিক্ষার্থীর সাফল্য পরিমাপ করেন। কিন্তু অভীক্ষার প্রয়োগের সময় শিক্ষকের ব্যক্তিগত ভালোবাসা বা ভালো লাগা বা খারাপ লাগার কারণে শিক্ষার্থীর সাফল্য পরিমাণ ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই‌।তা সঠিক মূল্যায়নে যথেষ্ট বাধার সৃষ্টি করে এবং ফলাফল ও সেই কারণে ত্রুটিপূর্ণ হয়।তাই আদর্শ অভীক্ষা নিরূপণে এই ব্যক্তিগত প্রভাবই যথেষ্ট ক্রটির সৃষ্টি করে থাকে।একেই ব্যক্তিগত প্রভাবক বলে। যথার্থতা,নির্ভরযোগ্যতা, নির্ণয়ের সময় অভীহ্মাটিতে যেমন সতর্কতা দেওয়া হয়। তেমনই অভীক্ষার নৈর্ব্যক্তিকতা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে নজর দেয়া একান্তই জরুরী।

সংজ্ঞা - যে বৈশিষ্ট্যের জন্য অভীক্ষা ব্যক্তির নিরপেক্ষ বা নৈর্ব্যক্তিক হয়ে ওঠে, সেই বৈশিষ্ট্যকে নৈর্ব্যক্তিকতা বলা হয়।( " The Objectivity of a test is a character in measurement that it makes it test impresonal on out of of individual effect").

3. নৈর্ব্যক্তিক অভীহ্মার বৈশিষ্ট্য -

  • প্রতিটি উপাদান নৈর্ব্যক্তিক হলেই অভীহ্মাটি নৈর্ব্যক্তিক হবে।
  • প্রতিটি উপাদান বা প্রশ্ন প্রস্তুত করার সময় সঠিক উদ্দেশ্য নির্বাচন করতে হবে।
  • নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার উপাদানগুলিকে বিভিন্ন মানসিক প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা উচিত।যেমন - স্মৃতি,প্রকাশ করার ক্ষমতা,বিশ্লেষণী ক্ষমতা,যুক্তি প্রদান ক্ষমতা ইত্যাদি।
  • প্রতিটি উপাদানের জন্য নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার স্পষ্ট নির্দেশনা রাখতে হবে।
  • প্রতিটি উপাদানের মান নির্দিষ্ট হবে এবং পূর্ণমান বা 0 দ্বারা নির্ধারিত হবে। যদি উত্তর সঠিক বা ভুল হয় কোনো অংশিক মান প্রদান করা যাবে না।
  • উদ্দেশ্যভিত্তিক উপাদান বা প্রশ্ন নির্বাচন করতে হবে।
  • নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা পূর্ণঃ প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
  • উত্তরপত্র মূল্যায়নে নির্দেশিকা স্পষ্ট হতে হবে যাতে সকল পরীক্ষকই সফল উত্তর পত্রের ক্ষেত্রে একই বিচার মান রাখতে পারেন।
  • নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার উপাদানগুলিকে যথেষ্ঠ পরিকল্পনা ও পরিমার্জনের দ্বারা নির্বাচন করতে হবে, যাতে স্থান,কাল ও পাত্রের প্রভাব মুক্ত হয়।
  • নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার উপাদান নির্বাচনের কোনো সুচক না থাকার কিছু গঠনগত নিয়ম অনুসরণ করে তা করতে হবে।

4. নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার নীতি - 

প্রত্যেক পরীক্ষককে এই অভিক্ষা গঠনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। তাই নৈর্ব্যক্তিক অভিক্ষা গঠনের কয়েকটি নীতি অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজনীয়। এই নীতি গুলি হল। -

  • উদ্দেশ্য - নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা উদ্দেশ্য গুলি খুবই সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন করতে হবে যাতে কোনো উদ্দেশ্য অন্য উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিশে না যায়।
  • প্রশ্নতালিকা বা Question Bank - সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য অনুযায়ী অভীক্ষা উপাদানের প্রতিটি ক্ষেত্রে পৃথক প্রশ্ন তালিকা বা Question Bank তৈরি করা দরকার।
  • পদের প্রকৃতি - প্রতিটি উপাদান পদের প্রকৃতি যেমন বহুমুখী নির্বাচনী প্রকৃতি,যোগ্যতা নির্ণায়ক প্রকৃতি,সত্য-মিথ্যা প্রকৃতি,সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী এই রূপ হওয়ার আবশ্যক।
  • বিষয় ধর্মী - বানান ভুল,বাক্য গঠন ইত্যাদি বিষয়ধর্মী কোন প্রকার প্রভাব না রাখার চেষ্টা করতেই হবে।
  • পদের অনুরূপ - একটি উপাদানের বা পদের অনুরূপ একাধিক প্রশ্ন রাখা যাবে না।
  • সমধর্মী প্রশ্ন - সমধর্মী প্রশ্নগুলি একই জায়গায় রাখা উচিত।
  • সম্ভাব্য সংক্ষিপ্তকরণ - বিষয় বিবৃতি যতদূর সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • উত্তর সন্ধান - অনুমান করে উত্তর সন্ধানের চেষ্টার সুযোগ পরিহার করতে হবে।
  • সময় - অভীক্ষা উপাদানের গঠনের সময় উত্তর সংকেত থাকবে না।
  • পরীক্ষার্থীর বোধগম্যতা - অভীক্ষা উপাদানের ভাষা পরীক্ষার্থীর বোধগম্য হওয়া উচিত।

5. বিভিন্ন প্রকার নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষাপদের উদাহরণ -

নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষাপদের মূলত আট প্রকার, যা নিম্নে বর্ণনা করা হলো। -

(i) সত্য-মিথ্যা ধর্মী প্রশ্ন - এক্ষেত্রে প্রশ্নটিই সাধারণত একটি বিবৃতি হয়। বিবৃতি 'সত্য' বা 'মিথ্যা' অথবা 'ভুল' বা 'নির্ভুল' অথবা 'হ্যাঁ' বা 'না' ইত্যাদির মতো যেটি ঠিক সেটিকে চিহ্নিত করতে হয়।যেমন -

a. জলের অপেক্ষায় হালকা - সত্য বা মিথ্যা।

b. পৃথিবীর বয়স 200 কোটি বছর কম - ভুল বা নির্ভূল।

c. সি.ভি.রমন ভারতের  মধ্যে প্রথম নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী - হ্যাঁ বা না।

(ii) সম্পূর্ণ করণ প্রশ্ন - এখানে প্রশ্নটিই অসম্পূর্ণ রাখা হয়। অভীহ্মার্থীকে সঠিক উত্তর কি দিয়ে সম্পূর্ণ করতে হয়। যেমন -

a. তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন .................... ।

b. ................ সালে মহাবিদ্রোহ ঘটেছিল।

(iii) বহুমুখী নির্বাচন মূলক প্রশ্ন - এখানে প্রশ্নের একাধিক সম্ভাব্য উত্তর থেকে যেটি সঠিক সেটি নির্বাচন করতে হয়। যেমন -

বিশুদ্ধ সঠিক উত্তরটি (✓) চিহ্নিত করো।

a. বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক  হল -

১. 100°F( )/ ২. 100°C ( ) / ৩. 32°F ( ) / ৪. 102°C ( )

b. ভারতের মোট রাজ্যের সংখ্যা হল -

১. 23টি ( ) / ২. 26টি ( ) / ৩. 27টি ( ) / ৪. 29টি ( )

(iv) পুনঃবিন্যাস জাতীয় প্রশ্ন - কোন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উর্ধ্বক্রমে বা অধঃক্রমে সাজাতে হয়। যেমন -

a. ভরের উর্ধ্বক্রমে সাজাও -

প্রোটন, ইলেকট্রন,নিউট্রন

(v) মিলন করণ বা যোজ্যতা নির্নায়ক প্রশ্ন - এখানে পৃথক দুই ধরনের দুটি স্তম্ভ রাখা থাকে।প্রথমটি উল্লেখিত বিষয়ে সঙ্গে দ্বিতীয় স্তম্ভের যে বিষয়টির সম্পর্কযুক্ত প্রথম স্তম্ভের পাশে নাম্বার লিখতে হয়। দুটি স্তম্ভ সমান্তরাল হইলেই ভালো, কারণ শেষের উত্তরটি না জানলেও উত্তর পাওয়া যায়। তাই দুটি স্তম্ভের উপাদানগুলিকে কমবেশি করে রাখা থাকলে শেষ উত্তরটি পরীক্ষার্থীর নিজের বিবেচনা মতন উত্তর দিতে পারবে।যেমন -

          প্রথম স্তম্ভ                        দ্বিতীয় স্তম্ভ

১. থার্মোমিটার                      ক. প্রবাহমাত্রা

২. ক্যালরিমিটার                   খ. তড়িৎ বিভব

৩. অ্যামমিটার                       গ. বিভব-প্রভেদ

৪. ভোল্টমিটার                      ঘ. তাপমাত্রা

৫. ভোল্টামিটার                     ঙ. তাপ

                                             চ. জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ

(vi) শ্রেণীকরণ প্রকৃতি প্রশ্ন - এই ধরনের প্রশ্নের ক্ষেত্রে বিজাতীয় বা অন্য ধরনের বিষয়বস্তুকে উপরে (✓) চিহ্নিত করা। যেমন -

a. তাপ/তড়িৎ/আলোক/চাঁদ/শব্দ।

b. রুই/কাতলা/তিমি/পুঁটি/মৃগেল।

(vii) উপামান জাতীয় প্রশ্ন - এই জাতীয় প্রশ্নের প্রথম দুটি পদে একটি বিশেষ সম্পর্ক থাকে। ওই সম্পর্কের ভিত্তিতে তৃতীয় পর্যায়ের উপস্থিতিতে পথটি পূরণ করতে হয়।যেমন -

a. তাপ:ক্যালরিমিটার::তাপমাত্রা:?

b. ক্লোরিন:সবুজাভ হলুদ::ব্রোমিন:?

(viii) সংক্ষিপ্ত উত্তর সম্বলিত প্রশ্ন - সেটি একটি বা দুটি শব্দের উত্তর দেওয়া যায়।যেমন -

a. প্রথম কোনো ভারতীয় নোবেল পুরস্কার পান ?

b. এভারেস্টের উচ্চতা কত ?

6. নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা -

• সুবিধা - 

  • বিষয়বস্তুগত যথার্থতা বেশি অর্থাৎ পাঠ্যসূচির সমগ্র অংশ ফুটিয়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা সম্ভব হয়।
  • পরীক্ষকের ব্যক্তিগত প্রভাব মুক্ত থাকে।
  • শিক্ষার্থীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেশি হয়।
  • মূল্যায়নের কম সময় লাগে।
  • সংশোধনমূলক শিখনে সহায়তা হয়।
  • মুখস্থ বিদ্যার পরিপন্থী মূলক হয়।
  • নির্ভরযোগ্যতা বেশি হয়।
  • আদর্শায়িত করা সম্ভব।

• অসুবিধা - 

  • জটিল শিখন প্রক্রিয়ার পরিপন্থী মূলক হয়।
  • অনুমানের প্রভাব যুক্ত হয়।
  • মূলত ব্যয়বহুল।
  • পরিশ্রমসাধ্য।
  • অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ থাকে।

7. নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার ব্যবহার্যতা -

  • কোনো অভীক্ষা যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তার দিকে লক্ষ রাখা দরকার। যেমন - যদি অভীক্ষাটি খুব বড় হয় তাহলে তা শেষ করতে অনেক সময় লাগে। তখন এটি ব্যবহার করতে অনেক অসুবিধা হবে। অভীক্ষার সুব্যবহারের জন্য দৈর্ঘ্যের কথা মাথায় রাখতে হবে।
  • অভীহ্মাতে স্কোরিং এর পদ্ধতিটি সরল হওয়া দরকার। যদি স্কোরিং পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল হয় তখন দেখা যাবে যে উচ্চ প্রশিক্ষিত ব্যক্তি ছাড়া ওই অভিক্ষাটি প্রয়োগ করতে পারবে না। অভীক্ষা টির ব্যবহারে যাতে বেশি সময় না লাগে সেটিও দেখতে হবে।
  • নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা বজায় রেখে তৈরি করা হয়, তবে খুবই পরিশ্রমসাধ্য এবং সময় বহুল। যথেষ্ট যত্ন ও দক্ষতার সাহায্যে নৈর্ব্যক্তিক কার উপাদানগুলিকে প্রস্তুত করতে হয়। হাতে নিখুত ভাবে ব্যক্তিগত পার্থক্য নির্ণয় করা সম্ভব এবং ব্যক্তিগত প্রভাবমুক্ত হয়ে সত্যি সত্যিই নৈর্ব্যক্তিক হয়ে ওঠে। যুক্তিবাদী মানসিকতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং অতি অল্প সময়ে শিক্ষার্থী সামগ্রিক পারদর্শিতা বিচার করা সম্ভব হয় এই ধরনের অভীক্ষায়।
  • বাস্তবিকই যে কোনো অভীহ্মায় সঠিক গুণমান নির্ভর করে সেই অভীক্ষার যথার্থতা, নির্ভরযোগ্যতা ও নৈর্ব্যক্তিকতা সবকটির বৈশিষ্ট্যেই যদি যথাযথ পালিত হয়।
  • এই ধরনের অভীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল মানসিকতার বহিঃপ্রকাশের সুযোগ না থাকায় বিষয়ভিত্তিক সঠিক বক্তব্য প্রকাশের ক্ষমতার বৃদ্ধি বা পরিমাপের সুযোগ থাকে না।
  • অনেক সময় আন্দাজ করে উত্তর সঠিক করার প্রবণতা থাকে। তবে ইদানিংকালে ভুল উত্তর নাম্বার কাটা যাবার সুযোগ বেশি খানিকটা আন্দাজের উত্তর দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করা গেছে।

8. নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার পর্যায় -

এই অভীক্ষার দ্বারা বিচার্য বিষয়কে ভাবনার মধ্যে রেখে কোনো একটি নমুনা প্রশ্ন পত্রের উত্তর নির্দেশনা কতটা নৈর্ব্যক্তিক বা ব্যক্তি নিরপেক্ষ হতে পারে তা বিচার করার দরকার। এই কাজটি কীভাবে সম্ভব-তা নিচে আলোচনা করা হলো। -

প্রথম পর্যায় - 

প্রথম পর্যায়ে যে প্রশ্নপত্রটির উত্তর  নির্দেশনা তৈরি করতে হবে সেটি ভালো করে পর্যালোচনা করে দেখা দরকার যে সেটি ব্লু প্রিন্ট বা নীল নক্সা অনুযায়ী হয়েছে কিনা। 

দ্বিতীয় পর্যায় - 

দ্বিতীয় পর্যায় প্রশ্নপত্রের প্রতিটি প্রশ্নের ভাষা কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয়,সংস্কৃতি ও আচার-আচরণ বা ভ্রান্ত ধারণা বা বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে গঠিত হয়েছে কিনা। 

তৃতীয় পর্যায় - 

তৃতীয় পর্যায়ে প্রশ্নপত্রের প্রতিটি নমুনা Questions বা items জন্য যে নির্দেশনাগুলি দেওয়া হয়েছে তা কোনো ব্যক্তির বা পরীক্ষকের ভালো লাগা না খারাপ লাগা, আচার-আচরণ, ধর্মীয় বিশ্বাস, অযৌক্তিক ভ্রান্ত ধারণা দ্বারা প্রভাবিত কিনা তা বিচার করে দেখতে হবে।

চতুর্থ পর্যায় - 

অতঃপর যায় প্রতিটি নমুনা প্রশ্নের নির্দেশনার নৈর্ব্যক্তিকতা বিচার করে মোট প্রশ্নের বিচারে কত শতাংশ নির্ণয় করা।

9. প্রাসঙ্গীকতা - 

রচনাধর্মীয় অভীক্ষা উত্তরের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বিস্তৃত উদ্দেশ্য নিয়ে যে উত্তর রচনা করে মূল্যায়নকারী তা বিশ্লেষণ করে যখন মান প্রদান করেন তখন ব্যক্তিগত প্রভাব,শিক্ষার্থীর ভাষার প্রয়োগ,উত্তর দেওয়ার ধরন, উত্তর বিন্যাসের ভিন্নতা ইত্যাদি নানান বিচার্য বিষয় হিসেবে ধরে নেন এবং সামগ্রিক একটি মান প্রদান করে। কিন্তু এক্ষেত্রে লক্ষ করা যায় মূল্যায়নকারী ভিন্ন ভিন্ন হলে উত্তরের মান ভিন্ন ভিন্ন প্রদান করে থাকেন। ফলে অভীক্ষার প্রতিটি উপাদানের মান ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়ার অভীক্ষাটির নৈর্ব্যক্তিকতা হ্রাস পায়।তাই বর্তমানে নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা গঠন আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতিতে এক বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে এবং প্রায় সকল প্রবেশিকা পরীক্ষা বা বোর্ডের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষান্মাষিক বা বাৎসরিক পরীক্ষার মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

10. উদাহরণ -    

কোনো প্রশ্নপত্রের দশটি বহু নির্বাচন ধর্মী প্রশ্ন (MCQ) (প্রত্যেকটির মান ১ নাম্বার) এবং পাঁচটি সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্ন আছে (প্রত্যেকটি মান 3 নাম্বার) মোট প্রশ্ন 15 টি উত্তর পত্রে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া আছে। সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্ন ও নম্বর কিভাবে বন্টন করা হবে অথবা প্রত্যেক নাম্বারের জন্য খচরা উত্তরের অংশ কিভাবে হবে দেখানো আছে। এটিকে বলে Value Point Distribution.

এই খসড়া উত্তরপত্র দেখে তিনজন পরীক্ষককে A,B,C কোন শিক্ষার্থী উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করতে বলা হয়। তিনজন পরীক্ষক প্রশ্ন গুলি কে যেভাবে নম্বর দিয়েছেন -



A,B,C তিন পরীক্ষকের দেওয়া স্কোরের দিকে তাকালে দেখতে পাবো: 

A এবং B ক্রমাগত হয়েছে 15টির মধ্যে 9টি উত্তরের মূল্যায়নে তার মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক 6টি সংক্ষিপ্ত উত্তর মূলক 3টি।তাহলে এক্ষেত্রে নৈর্ব্যক্তিকতা সূচক 

           = কয়টি প্রশ্ন ঐক্যমত/মোট প্রশ্নের সংখ্যা

           = 9/15

অনুরূপ A ও C এর জন্য সূচক = 10/15

             B ও C এর জন্য সূচক = 12/15

গড় সূচক = ( 9/15+10/15+12/15)+3

               = 68% 

সুতরাং খসড়া উত্তরপত্রে নৈর্ব্যক্তিকতার  সূচক হল 68%

12. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যেতে পারে, মুক্ত এই প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা উত্তর নির্দেশনার নৈর্ব্যক্তিকতার বিচার করে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা যায় সেই সম্পর্কে অবগত হলাম। শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে প্রশ্নের মান ও ধরণ কেমন হওয়া উচিত সেই সম্পর্কে জানলাম। এভাবে উত্তর নির্দেশনার নৈর্ব্যক্তিকতার বিচার করে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা উচিত,যাতে প্রতিটি পরীক্ষায় পরিদর্শিতার যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারে এবং আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।









Post a Comment (0)
Previous Post Next Post