Writing Educational Objectives, Learning Experience And Corresponding Evaluation Techniques, General And Specific objectives

Writing Educational Objectives, Learning Experience And Corresponding Evaluation Techniques, General And Specific objectives

Writing educational Objectives learning experience and corresponding evaluation techniques, general and specific objectives||শিহ্মা মূলক উদ্দেশ্যেগুলি,শিখন অভিজ্ঞতাগুলি এবং সেই সংক্রান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতিগুলি এবং সাধারণ এবং বিশেষ উদ্দেশ্যগুলি লিখুন

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Writing educational Objectives learning experience and corresponding evaluation techniques, general and specific objectives practicum
Writing Educational Objectives, learning experience and corresponding evaluation techniques, general and specific objectives


BENGALI VERSION -

শিহ্মা মূলক উদ্দেশ্যেগুলি,শিখন অভিজ্ঞতাগুলি এবং সেই সংক্রান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতিগুলি এবং সাধারণ এবং বিশেষ উদ্দেশ্যগুলি লিখুন

1. ভূমিকা - 

বাস্তব জীবনে আমরা যাই কিছু করে থাকি না কেন তার পেছনে কোনো না কোনো তথ্য বা উদ্দেশ্য থাকে।আমরা যদি নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন থাকি ও স্পষ্ট ধারণ থাকে তবে সহজেই পারদর্শিতা অর্জন করতে সমর্থ হবো। 

       শিক্ষা হল একটি পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্য মূলক প্রক্রিয়া।উদ্দেশ্যগুলিকে সঠিকভাবে অর্জন না হওয়া পর্যন্ত কোনো কার্য প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে পারবে না।অর্থাৎ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া শিক্ষা প্রক্রিয়া সফল হতে পারবে না।যে কোনো ধরনের শিক্ষা প্রক্রিয়ার কার্যকারী উদ্দেশ্য থাকে।এই উদ্দেশ্য সম্পর্কে যদি সঠিক ধারণা থাকে তবে বিষয়বস্তু নির্বাচন,পদ্ধতি নির্বাচন,মূল্যায়ন কৌশলগুলি সহজেই নির্ধারণ করা যায়।

2. শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ধারণা -

অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যে প্রচেষ্টা চালানো হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাঙ্খিত পরিবর্তন আনয়নের জন্য যে শিক্ষামূলক প্রচেষ্টা সম্পন্ন হয় তাকে বলে শিক্ষা মূলক উদ্দেশ্য। আবার শিক্ষক এর উদ্দেশ্য ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য কে একত্রে নির্দেশনা মূলক উদ্দেশ্য বলে।

             শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য এমন কতগুলি প্রচেষ্টা যার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির পরিমাপ করা সম্ভব। এর ভিত্তিতে শিখনের ফলশ্রুতি নির্ধারণ করা হয় না শিক্ষার্থীর আচরণগত পরিবর্তন নির্দেশ করে। প্রকৃত পক্ষে শিখন অভিজ্ঞতাকে যখন ফলশ্রুতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে বলে শিক্ষা মূলক উদ্দেশ্য।

3. নির্দেশনা মূলক উদ্দেশ্য -

কোনো বিষয় পরিশেষে শিক্ষার্থীর আচরণের মধ্যে কি ধরনের পরিবর্তন প্রত্যাশা করা হয় বা শিক্ষার্থীরা কি করতে সক্ষম হবে তার বর্ণনা যে বিবৃতিতে থাকে তাকে আচরণিক উদ্দেশ্য বলে।একে আচরণের উদ্দেশ্য বলার কারণ হল,নির্দেশনামূলক এই বিশেষ উদ্দেশ্যকে আচরণিক পরিভাষায় লিখতে হয়।সাধারণ উদ্দেশ্য থেকেই আচরণিক উদ্দেশ্য বা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে লিখতে হয়। 

নির্দেশনা মূলক উদ্দেশ্যগুলিকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়।যেমন -

  • জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রে 
  • অনুভূতিমূলক ক্ষেত্র 
  • মনশ্চালক মূলক ক্ষেত্র 

• উপ-একক -

• জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রের উপবিভাগ -

জ্ঞান - উপলব্ধি - প্রয়োগ -বিশ্লেষণ -সংশ্লেষণ -মূল্যায়ন।

• অনুভূতিমূলক ক্ষেত্রে উপবিভাগ -

গ্রহণ করা - প্রতিক্রিয়া জাগানো - গুরুত্ব প্রদান - সংগঠন - চরিত্রায়ন।

• মনশ্চালক ক্ষেত্রে উপবিভাগ - 

সংবেদন - স্থিরীকৃত করণ - নিয়ন্ত্রণ প্রতিক্রিয়া - কৌশল - জটিল প্রতিক্রিয়া - অভিযোজন - উদ্ভাবন।

4. শিহ্মার লহ্ম্য - 

  • শিহ্মার লক্ষ্য হল চরম, যা ব্যক্তি অর্জন করার চেষ্টা করে।
  • শিহ্মার লক্ষ্য হল দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল।
  • শিহ্মার লক্ষ্য হলো সাধারণধর্মী। 
  • শিহ্মার লক্ষ্য বলতে কি অর্জন করা হবে তা বোঝায়। 
  • শিহ্মার লক্ষ্যের পরিমাপ করা যায় না। 
  • শিহ্মার লক্ষ্যের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। 
  • শিহ্মার লক্ষ্য হল বিমূর্ত
  • শিহ্মার লক্ষ্য অবাস্তবধর্মী

5. শিহ্মার উদ্দেশ্য -

  • শিহ্মার উদ্দেশ্যগুলি চরম লহ্ম্যকে অর্জন করার জন্য সর্বদা পশ্চাদ্ধাবন করে থাকে। 
  • শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো স্বল্পমেয়াদী ফলাফল।
  • শিক্ষার উদ্দেশ্য হল বিশেষধর্মী। 
  • শিক্ষার উদ্দেশ্য বলতে বোঝায় কিভাবে অর্জন করা হবে। 
  • শিহ্মার উদ্দেশ্য পরিমাপ করা যায়।
  • শিহ্মার উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট সীমা আছে। 
  • শিহ্মার উদ্দেশ্য হল মূর্ত। 
  • শিক্ষার উদ্দেশ্য বাস্তবধর্মী।

6. শিখন উদ্দেশ্যের বৈশিষ্ট্য -

  • সম্পূর্ণরূপে শিক্ষার্থীদের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। 
  • দক্ষতা এবং বিষয়বস্তুর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। 
  • শিক্ষার লহ্ম্যর সংজ্ঞা সরাসরি যুক্ত।
  • উদ্দেশ্যগুলি অবশ্যই পরিমাপ যোগ্য হবে। 
  • উদ্দেশ্য হয় যুক্তিভিত্তিক। 
  • উদ্দেশ্যগুলিকে স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করা হয়।এর জন্য যথাযথ কার্যকারী ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়। 
  • শিখনের স্তর অনুযায়ী উদ্দেশ্যগুলিকে ব্যস্ত করা হয়।
  • উদ্দেশ্যগুলি অবশ্যই বাস্তবিক হয়ে থাকে।

7. শিহ্মার উদ্দেশ্যে গুরুত্ব -

  • বিষয়বস্তুর পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য খুবই প্রয়োজন। 
  • বিষয়বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয়।
  • নির্দেশনামূলক নকশাকরনে সাহায্য করে।
  • মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
  • পাঠক্রম নকশাকরনে সাহায্য করে। 
  • শিখন ও শিহ্মন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহায়তা করে।
  • শিখন পদ্ধতি নির্বাচনে সাহায্য করে। 
যে কোনো ধরনের Project Design বা বিষয়বস্তুর নকশা করনের জন্য উদ্দেশ্য প্রয়োজন হয়।নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকলে সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব হয়। একটি উদ্দেশ্য লিখনের জন্য কতকগুলি গুণ থাকা প্রয়োজন।একত্রে একে বলা হয় SMART যেখানে -

S - Specific,M - Measurable,A - Achievable,R - Realistic,T - Time Bound.

8. শিহ্মামূলক উদ্দেশ্যের শ্রেণীবিভাগ -

শিখন উদ্দেশ্যের শ্রেণীবিভাগ গুলি হল -

  • চরম উদ্দেশ্য 
  • তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্য 
  • বাস্তব উদ্দেশ্য 
  • অবাস্তব উদ্দেশ্য 
  • সাধারণধর্মী উদ্দেশ্যে 
  • বিশেষধর্মী উদ্দেশ্য 
  • ব্যক্ত উদ্দেশ্য 
  • কার্যকরী উদ্দেশ্য

9. সাধারণধর্মী ও বিশেষধর্মী উদ্দেশ্য -

• সাধারণধর্মী উদ্দেশ্য -

সাধারণ শিক্ষা মূলক উদ্দেশ্য গুলি পাঠ্য বিষয় বিভিন্ন অংশগুলি সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকে। যখন শিক্ষার স্তরে কোন পাঠক্রম নির্বাচন করা হয় তখন এই উদ্দেশ্যে প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাধারণভাবে শ্রেণিকক্ষে কোন বিষয়বস্তু উপস্থাপনে পূর্বে শিক্ষকেরা বিষয় সম্পর্কিত সাধারণ উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে থাকেন। একটি সাধারণ উদ্দেশ্য থেকে একবার একের বেশি উদ্দেশ্য নির্বাচন করন হয়ে থাকে। একটি সাধারণ উদ্দেশ্য থেকে এক বা একের অধিক বেশি উদ্দেশ্য গঠন করা হয়ে থাকে।

• বিশেষধর্মী উদ্দেশ্য -

বিশেষ উদ্দেশ্য গুলি শিখনীয় কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করে করা হয় কিন্তু এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণীয় আচরণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণ উদ্দেশ্যগুলি নির্দিষ্ট হওয়ার পরেই বিশেষ উদ্দেশ্য নির্বাচন করন হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই বিশেষ উদ্দেশ্য গুলি উপরে ভিত্তি করে সাধারণ উদ্দেশ্যগুলি অর্জন করার চেষ্টা করা হয়।

উদাহরণ - শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের সহপাঠক্রমি কার্যাবলীর উপযোগিতা সম্পর্কে অবগত হবে। এটি হল একটি সাধারণ উদ্দেশ্য। এই সাধারন উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে যে বিশেষ উদ্দেশ্যগুলি গঠন করা হবে সেগুলি হল -

১. শিক্ষার্থীরা বৌদ্ধিক বিকাশের উপযোগী বিভিন্ন কার্যাবলীর নাম জানাবে।

২. শিক্ষার্থীরা শারীরিক বিকাশের উপযোগী বিভিন্ন কার্যাবলীর নাম জানাবে।

৩. শিক্ষার্থীরা নান্দনিক বিকাশের উপযোগী বিভিন্ন কার্যাবলীর নাম জানাবে।

৪. শিক্ষার্থীরা সৃজনাত্মক ক্ষমতা বিকাশের উপযোগী বিভিন্ন কার্যাবলীর নাম জানাবে।

10. শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে পদ্ধতি -

শিক্ষাবিজ্ঞানী Magen শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য পরিমাপযোগ্য উপায় লেখাবার সময় তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন। - 

১. শিক্ষার্থীর আচরণ বা অন্তিম শিক্ষামূলক কাজ।

২. আচারণ সম্পাদনের শর্ত 

৩. কাজের মাত্রা

উদ্দেশ্য লেখার বিভিন্ন বিবর্তনের পর এটা ঠিক হয়েছে -

১. উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীর প্রেক্ষিতে লিখতে হবে। 

২. একটি আচরণ ভিত্তিক ক্রিয়াপদ তাতে থাকবে।

৩. কাজের মধ্যে শর্ত থাকতে পারে তবে তা কাজের বিবরণের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে। 

উপরের তিনটি ধাপকে একত্রে বলা হয় "Specific Outcome Of Learning (SOL) বা শিক্ষাগত ফলাফল।

11. B.S. Bloom মতামত ও বিশেষধর্মী উদ্দেশ্য প্রকারভেদ -

B.S.Bloom এবং তার সহকর্মীবৃন্দ 1954 সালে বৌদ্ধিক ক্ষেত্রে(Cognitive Domain) - যে শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন তা বর্তমানে কিছুটা পরিবর্তিত। বৌদ্ধিক উদ্দেশ্যগুলি(জ্ঞানমূলক,বোধমূলক, প্রয়োগমূলক,বিশ্লেষণমূলক,মূল্যায়নধর্মী,সৃষ্টিধর্মী) স্পষ্টভাষায় ও পরিমাপযোগ্য উপায়ে লেখাবার জন্য শিক্ষামূলক আচরণের প্রেক্ষিতে এগুলিকে প্রকাশ করা হয়।এই আচরণকে অনেক সময় বিশেষ উদ্দেশ্য বা Specific Objectives বলা হয়। নিন্মের বর্ননা করা হল। -

শ্রেণীর শিক্ষার জন্য এবং লিখিত মূল্যায়নের শ্রেণীতে NCERT বৌদ্ধিক ক্ষেত্রের তিনটি উদ্দেশ্য জ্ঞান,বোধ এবং প্রয়োগের ব্যবহার রেখেছেন।তার সাথে আরও যোগ্য করেছেন Psychomotor Domain -এর Skill বা দক্ষতা। 

দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত আচরণগুলোকে হলো - 

দহ্মতা                               ক্রিয়াপদ

                               ছবি আঁকবে,অংশগ্রহণ করবে,                                   খুঁজে বের করবে,স্থাপন করবে                                        ইত্যাদি

উদাহরণ - 

বিভিন্ন পাঠ্যবিষয় পরিপ্রেক্ষিতে আচরণগত উদ্দেশ্য -

বিষয় - বিজ্ঞান

উদ্দেশ্য - জ্ঞানমূলক

আচরণগত উদ্দেশ্য বা SOL -

  • পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন গ্যাসের নাম উল্লেখ করবে। 
  • বিভিন্ন গ্যাসকে বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে চিনতে পারবে।
  • গ্যাসের সংজ্ঞা দেবে।
  • প্রাত্যহিক জীবনে গ্যাসের ব্যবহার গুলি উল্লেখ করবে।

বিষয় - রাষ্ট্রবিজ্ঞান 

উদ্দেশ্য - বোধমূলক 

আচরণগত উদ্দেশ্য বা SOL - 

  • গণতন্ত্রের উদাহরণ দেবে।
  • একনায়কতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মধ্যে তুলনা করবে। 
  • গণতান্ত্রিক মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যাখ্যা করবে।
  • গণতন্ত্রের বিকল্প হবার কারণগুলি উল্লেখ করবে।
বিষয় - ইতিহাস 

উদ্দেশ্য - প্রয়োগমূলক 

আচরণগত উদ্দেশ্য বা SOL -

  • দেশ/রাজ্য/পরিবার/বিদ্যালয়ের প্রধানদের নামের তালিকা তৈরি করবে। 
  • একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাফল্য/ব্যর্থতা কারণগুলি চিহ্নিত করবে। 
  • দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শাসন ব্যবস্থার তুলনা করবে। 
  • সমাজে শিক্ষক এবং চিকিৎসকের মূল্যবোধের প্রভাব বিচার করবে।
  • কোনো একটি সরকারের জনপ্রিয়তার কারণ নির্ণয় করবে।
ভাষা সাহিত্যের ক্ষেত্রে দক্ষতা বিষয়গুলি কিছুটি হলেও পৃথক।সেখানে দক্ষতার বিচার হয় বলা,লেখা ইত্যাদির মাধ্যমে।

12. শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা -

শিক্ষার উদ্দেশ্য উপনীত হবার জন্য শিক্ষার্থীকে যা যা করতে হয়,পড়তে হয়,পর্যবেক্ষণ করতে হয়,লিখতে হয়, মেলা মেশা করতে হয় তা সবই শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতার অন্তর্গত।শিক্ষার্থীর সামগ্রিক শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা হল দৈহিক,মানসিক,প্রাক্ষোভিক বা তাদের সমন্বয়।শ্রেণীতে, শ্রেণীর বাইরে আলোচনা সভা,পরীক্ষাগারে ইত্যাদির শিক্ষার্থী যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতার অন্তর্গত।

Wood(1963) শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা নির্বাচনের যে দিক উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে কয়েকটি হল -

 ১.শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা নির্বাচনের সময় শিক্ষার্থীর সমাজ সম্মত চাহিদা ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

২.শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা হবে শিক্ষার্থী পরিমান ও বৌদ্ধিক ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল। 

৩.অভিজ্ঞতা হবে নিরবিচ্ছিন্ন এবং পরিবর্তনশীল।

৪.শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা বিদ্যালয়ে চার দেওয়ালের মধ্যে যেন আবদ্ধ না থাকে।

পর্যায় - 

হাতে-কলমে যে উদ্দেশ্য লিখতে হলে প্রত্যেক প্রশিক্ষনার্থীকে যে যে ভাবে করতে হবে তা পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করা হল। - 

১ম পর্যায় - 

প্রথম পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে নিজের পছন্দ মতো কোনো একটি বিষয়ের কোনো একটি একককে বেছে নিতে হবে। 

২য় পর্যায় - 

দ্বিতীয় পর্যায়ে পাঠ্যক্রম অনুযায়ী এই বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই এককটিকে কয়েকটি উপ-এককে ভেঙে দিয়ে প্রত্যেকটি উপ-এককে থেকে জ্ঞানমূলক, বোধমূলক,প্রয়োগমূলক ও দক্ষতামূলক উদ্দেশ্যগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে।এগুলিই হল এই এককের শিক্ষা মূলক উদ্দেশ্য। প্রত্যেকটি উপ-এককের শিক্ষা মূলক উদ্দেশ্যগুলিকে একত্রে ওই এককের শিক্ষা মূলক উদ্দেশ্য হবে।

৩য় পর্যায়ে - 

তৃতীয় পর্যায়ে এই বিষয়ের একটি অভিজ্ঞতার উল্লেখ আছে তা লুক্কায়িত আছে তা চিহ্নিত করতে পারে।

৪থ পর্যায় -

এই চতুর্থ পর্যায়ের শিক্ষা মূলক উদ্দেশ্যগুলি এবং শিখন অভিজ্ঞতাগুলি সত্যি শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে করছে কি না তার জন্য প্রশ্নপত্র এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রশ্নের তালিকা তৈরি করতে হবে।এক্ষেত্রে মূল্যায়নের জন্য মৌখিক বা লিখিত,তাত্ত্বিক বা হাতে কলমে কিরূপ শিক্ষার্থীদের সামনে রাখা হবে তা পরিকল্পনা করতে হবে।একে বলা হয় মূল্যায়নের কৌশল।কখনোই তা সাক্ষাৎকার হতে পারে তবে সেক্ষেত্রে প্রশ্নগুচ্ছ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫ম পর্যায় - 

এই পর্যায়ে শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য ও শিখন অভিজ্ঞতা গুলি একত্রে শিক্ষার্থীরা কি শিখন দক্ষতা করে তুলতে পারে তা চিহ্নিত করতে হবে।যাতে সাধারণ উদ্দেশ্য বলে।

      দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এই বিশেষ উদ্দেশ্য গুলিকে চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীরা কি ব্যবহারিক আচরণের পরিবর্তনে আনতে পারে তার উল্লেখ করতে হবে।

13. মূল্যায়নের ধারণা - 

শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল মূল্যায়ন।শিখন প্রক্রিয়ায় কার্যকারিতা নিরুপনে শিক্ষণ কৌশল নির্বাচনে ও শিখন দক্ষতার যথার্থতা নির্ধারণে মূল্যায়নকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এছাড়াও শিখনের উদ্দেশ্যগুলিকে সঠিকভাবে নির্ধারনে,শিখন অভিজ্ঞতা গুলিকে সংগঠনের ও শিক্ষার্থীর অর্জিত পারদর্শিতা পরিমাপে মূল্যায়নকে ব্যবহার করা হয়।

      শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ার লহ্ম্যমাত্রা নির্ণয়,পাঠক্রম ও শিক্ষণ-শিখন উপকরণের প্রয়োজনীয়তা,শিখন প্রক্রিয়ার যথার্থতা নির্ণয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।আধুনিক শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সঠিক পরিবর্তনের ধারাকে সামগ্রিকভাবে পরিমাপ করতে ও শিক্ষার লক্ষ্য মাত্রা নির্ণয়ের জন্য মূল্যায়নের ধারণা ও কৌশলকে গ্রহণ করা হয়েছে।অর্থাৎ শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশে সুনির্দিষ্ট ও সুপরিকল্পিত পরিমাপ প্রক্রিয়াকে মূল্যায়ন বলা হয়ে থাকে।

       মূল্যায়ন শব্দের অর্থ হল একটি নির্দিষ্ট গুণমানের পরিপ্রেক্ষিত সমচরিত্রের অপর একটি বস্তু বা ব্যক্তি গুনমানের মূল্য নির্ধারণ।আন্তর্জাতিক শিক্ষা অভিধানে মূল্যায়ন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে,যে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে মূল্য বিচার করা। মূল্যায়ন বলতে বোঝায় ধারাবাহিকভাবে ক্রমাগত গুণগত ও পরিমাণগত তথ্য সংগ্রহ করে ও তার বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিহ্মন-শিখন প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি পরিবর্তনশীল ও নমনীয় সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া। সাধারণভাবে,মূল্যায়ন হল একটি সামগ্রিক ধারণা। শিখন প্রক্রিয়ায় ফলেও শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা মূল্যায়নের যথার্থ ও নির্ভরযোগ্য মানের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়ে থাকে।

     শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি গুণগত ও পরিমাণগত ভাবে কতখানি বাস্তবায়িত হয়েছে তা বিচার করার প্রক্রিয়াকে শিক্ষাগত মূল্যায়ন বলা হয়।অর্থাৎ কোনো শিক্ষা প্রক্রিয়ার শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সমস্ত উদ্দেশ্যগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, তার সামগ্রিক বিচারকে শিক্ষাগত মূল্যায়ন বলা হয়।

          যেহুতু আধুনিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গুলি বহুমুখী তাই শিক্ষার এই বহুমুখী উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যায়নকে বিচার করা হয়ে থাকে।তাই মুদালিয়ার কমিশন(1952-1953)-এর মতে " Evaluation doesn't only include scholastic achievement but also includes non-scholastic dimensions such as attitudes, aptitudes, interests, thinking, capacity,work habit, personal and social adaptiveness." সুতরাং মূল্যায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়াও, যা সমগ্র শিক্ষা প্রক্রিয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে কাজ করে।এর কাজ শুধু মাত্র শিক্ষার্থী পারদর্শিতা পরিমাপ করা হয়।তার সঠিক উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গুলির ও গ্ৰহন করে থাকে এই প্রক্রিয়ায়।

14. মূল্যায়নের কৌশল -

শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যের অন্তিম পর্যায় হল নির্দেশনামূলক উদ্দেশ্য। শ্রেণিক্রম অনুযায়ী উদ্দেশ্য গুলিকে সাজালে সর্বোচ্চ ধাপে অবস্থান করে শিক্ষার সামগ্ৰিক উদ্দেশ্য যাকে আমরা বলতে পারি (সাধারণধর্মী উদ্দেশ্য) পরবর্তী ধাপগুলিতে ক্রমান্বয়ে থাকে নির্দিষ্ট( Specific Objectives)উদ্দেশ্য যেমন - শিক্ষার গুণগত উদ্দেশ্য অনুযায়ী উদ্দেশ্য,শ্রেণীগত উদ্দেশ্য এবং শেষ ধাপে থাকে নির্দেশনামূলক উদ্দেশ্য।এই উদ্দেশ্যের কাজ হল সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষার্থীর আচরণের মধ্যে বাঞ্চিত পরিবর্তন আনা।এমনকি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যগুলি নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। 

     নির্দেশনা মূলক উদ্দেশ্য গুলি কতখানি বাস্তবায়িত হয়েছে তা জানার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন প্রকারের মূল্যায়ন কৌশল।এই কৌশলগুলি কিছু অভ্যাস নিম্নে আলোচনা করা হল। যেমন -

১. জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রে কৌশল গুলি হল - আলোচনা, সাক্ষাৎকার,পড়া ইত্যাদি। 

২. উপলব্ধিমুলক ক্ষেত্রে কৌশলগুলি হল - দলগত আলোচনা, হাতে কলমে কাজ ইত্যাদি। 

৩. প্রয়োগমূলক ক্ষেত্রে কৌশলগুলি হল - আলোচনা, পরীক্ষাগারে কাজ, প্রজেক্ট ইত্যাদি।

৪. বিশ্লেষণমূলক ক্ষেত্রে কৌশলগুলি হল - কেসস্ট্যাডি, দলগত আলোচনা ইত্যাদি।

৫. সংশ্লেষনের ক্ষেত্রে কৌশলগুলি হল - প্রজেক্ট, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি। 

সহজ কথায় বিষয় ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর, দলগত আলোচনা, পরীক্ষাগারের কাজে, সেমিনার, সাক্ষাৎকার, অ্যাসাইনমেন্ট কেসস্ট্যাডি, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি মূল্যায়ন কৌশল হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

15. উপসংহার - 

শিক্ষা হলো একটি জটিল প্রক্রিয়া। শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানলাম। বাস্তব জীবনে আমরা যা কিছুই করি না কেন তার পেছনে একটি কারণ বা উদ্দেশ্য রয়েছে। উদ্দেশ্য কোন কাজ সু-সম্পন্ন হয় না।উক্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রতিটি পর্যায়ে কাজের মাধ্যমে কোনো একটি বিষয়ে কোনো একটি এককের শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যগুলি,অভিজ্ঞতাগুলো এবং সেই সংক্রান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি গুলি এবং সাধারণধর্মী ও বিশেষধর্মী বৈশিষ্ট্যগুলি তালিকা সম্বন্ধে জানলাম এবং তার একটি তালিকা প্রস্তুতিকরন করা হলো। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য এবং ব্যবহারিক প্রয়োগটা কি সম্পর্কে অবগত হলাম।






Post a Comment (0)
Previous Post Next Post