Policy Analysis National Curriculum Frameworks (NCF 2000 And 2005)

Policy Analysis National Curriculum Frameworks (NCF 2000 And 2005)

Policy Analysis National Curriculum Frameworks (NCF 2000 And 2005)||নীতি বিশ্লেষণ জাতীয় শিক্ষাক্রম কাঠামো (NCF 2000 এবং 2005)

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Policy Analysis National Curriculum Frameworks (NCF 2000 And 2005) Practicum
Policy Analysis National Curriculum Frameworks



(***ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE " CLICK HERE")

BENGALI VERSION -
Policy Analysis National Curriculum Frameworks (NCF 2000 And 2005)

1. ভূমিকা -

স্বাধীনতার পরবর্তী সময় কাল থেকে ভারতবর্ষে শিক্ষার ক্ষেত্রে সার্বজনীন সাক্ষরতায়,পরিকাঠামো,সর্বজনীন শিক্ষার প্রবেশ ও অন্তর্ভুক্তির উপর প্রচুর সাফল্য অর্জন করেছে।বর্তমান সংস্করনের প্রেক্ষাপটে শিক্ষক শিক্ষণে  সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিকাশ হল শিক্ষার সর্বজনীনতার রাজনৈতিক স্বীকৃতি এবং ৮৬ তম সংশোধনীর মাধ্যমে রাজ্যস্তরে Universalisation Of Elementary Education (UEE) কে বাস্তবায়ন করা। যা 2008 সালে শিক্ষার অধিকার পত্রে এবং 2005 National Curriculum Framework (NCF) এর মাধ্যমে এসেছে।শিক্ষার অধিকার আইনে বলা হয় ৬-১৪ বছরের শিশুকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে ২০০ সংখ্যার ছাত্রের স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:৩০।

         শিক্ষার্থীর গুণগত মান নির্ভর করে শিক্ষকের কর্মদক্ষতা অনুভূতি ও প্রেষনার উপর।শিক্ষকের শিহ্মার লক্ষ্য নির্ধারণ ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে শিক্ষকের শিক্ষাগত ও পেশাগত মান। শিক্ষকের গুণগত মান নির্ভর করে কয়েকটি উপাদানের উপর,যেমন - শিক্ষকের পদমর্যাদা কাজের শর্ত ও পারিশ্রমিক ও শিক্ষকের শিক্ষাগত ও পেশাগত শিক্ষা প্রভৃতি। শিক্ষক- শিখনের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে পেশাগত কর্মদক্ষতা শিক্ষক প্রদান করা হয়।তাৎক্ষণিক শিক্ষক - প্রশিক্ষণ, শিক্ষক তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে, ঢাবি শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রেষণ জ্ঞান, দক্ষতা এবং মনোভাব প্রদান করে থাকে।

111

২. জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের শর্ত - 

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের পাঠক্রম সংগঠনের যেসব বিষয় গুলির উপর জোর দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল - 

1. ব্যক্তিগত,সামাজিক,জাতীয়,আধ্যাত্বিক মূল্যবোধ যেমন পরিছন্নতা নিয়মানুবর্তিতা, সদ্ ব্যবহার,সহিষ্ণুতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয় পরিচিতি বোধ এবং আইন শৃংখলার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, ধারণাযোগ্য উন্নয়ন ইত্যাদি চর্চা।

২. দরিদ্র অজ্ঞতা,অস্বাস্থ্য,জাতিভেদ প্রথা,অস্পৃশ্যতা ও হিংসা দূরীকরণ এবং সাম্য।স্বাস্থ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা।

৩. ভারতীয় ঐতিহ্য ও কুষ্টির অন্তর্নিহিত চিন্তন,অভিজ্ঞতা ও নতুনত্বকে গ্লোবাল চিন্তা ধারার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করতে হবে।

৪. সারা ভারত ব্যাপী স্কুল শিক্ষার 10+2+3 এই রকমের কাঠামোর ওপর জোর দেওয়া হয়।

৫. মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকলের জন্য ব্যাপক ভিত্তিক সাধারণ শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।সারা জীবনে ধরে শিক্ষার্থী শিখবে এবং অর্জন করবে জীবন-যাত্রার প্রাথমিক দক্ষতা উচ্চমানের বুদ্ধাংক , প্রোহ্মেভিক কোসন্ট ও আধ্যাত্মিক কোসেন্ট।

৬. প্রারম্ভিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের একটি কমন স্কিম হল Learning how to learn - এই দক্ষতা অর্জনে জোর দেওয়ার সকল বিদ্যার্থীর জন্য শিখনের বিষয়বস্তু নমনীয় ও প্রাসঙ্গিক হবে।বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু কমন কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

৭. স্কুল শিক্ষার সব স্তরের মৌলিক কর্তব্য ও কেন্দ্রীয় পাঠক্রমের বিষয়গুলি অধিকার সংক্রান্ত বিষয় পাঠক্রমের স্থান দিতে হবে।

৮. মানব অধিকার ও শিশুর অধিকার বিশেষত বালিকাদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয় পাঠক্রমের স্থান দিতে হবে।

৯.বিদ্যার্থীর সামর্থ্য ও সামাজিক প্রক্ষিতের সঙ্গে সংগতি রেখে স্কুল শিক্ষার সকল স্তরের জ্ঞান। বোধ ও দক্ষতা অর্জনের ন্যূনতম স্তর সুনিশ্চিত করতে হবে।সকল শিক্ষার্থীদের বহুমুখী প্রতিভা,সৃজন ক্ষমতা ও ধারণযোগ্য উন্নয়নের উপর পাঠক্রমের রূপরেখা জোর দিতে হবে।

১০. তথ্যভিত্তিক ও শিক্ষককেন্দ্রিক শিক্ষার পরিবর্তের প্রক্রিয়া ভিত্তিক এবং শিখন বান্ধব শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে।

3. জাতীয় পাঠক্রমে রুপরেখা 2000 (National Curriculum Framework 2000) -

2000 খ্রিস্টাব্দে National Curriculum Framework For School Education ভারতবর্ষের মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে জাতীয় শিক্ষার পাঠক্রমের পরিবর্তন করেন।সেখানে বিশ্বজুড়ে যে সব পরিবর্তন ঘটেছে তার প্রভাব উন্নত ও উন্নয়নশীল কিন্তু কীভাবে পড়েছে তা বলা হয়েছে।ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এর প্রভাব বিগত এক দশকে যা পড়েছে গত ৫০-৬০ বছরে তা হয় নি।শিক্ষা ও সমাজের চাহিদা নানাভাবে বেড়েছে। আসলে শিক্ষা ও শিখনের এক অদ্ভুত পূর্ব পরিবর্তন ঘটেছে।

        UNESCO -র সৌজন্যে গঠিত আন্তর্জাতিক শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে (1996) মূলত একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষাচিন্তা স্থান পেয়েছে।এর শিক্ষামূলক নামটি হল -  শিখন:অন্তরের নিহিত ঐশ্বর্য - Learning: The Treasure Within।এই রিপোর্টে সমস্ত পৃথিবীর মুক্ত অর্থনীতিতে শিক্ষার সমস্যা প্রতিকার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা প্রকাশ ঘটিয়েছে।পাঠক্রমে শিক্ষার গুণগত মানের বিকাশ ঘটাবার জন্য বলা হয়েছে Education ideally must prepare to face the challenges of life এবং এর জন্য পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার - " life skills the abilities for adaptive and positive behaviour that enables individuals to effectively with the demands and the challenges of every day life by developing in the them genuine skills related to a wide variety of areas such as health and social needs.

      সুতরাং প্রয়োজন সমাজের চাহিদা অনুসারে পাঠক্রমের পরিবর্তন।কারণ আদর্শ পাঠক্রম সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সংগতি রেখে চলার সঙ্গে সঙ্গে নানান সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।এই ধরনের পাঠক্রম বিদ্যার্থীকে শেখাবে সমাজ সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আর সামাজিক,অর্থনৈতিক,প্রাক্ষোভিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করতে সাহায্য করতে পারে।তেমনি বিভিন্ন বঞ্চনা,দারিদ্র সমাজে উত্তেজনা তৈরী করতে পারে।

         ছাত্র-ছাত্রীদের উপর থেকে পাঠক্রমের বোঝা কমানোর জন্য 2000 খ্রিস্টাব্দে জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের পর্যালোচনা করা হয়। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক কর্তৃক নিয়োজিত একটি কমিটি 1990 খ্রিস্টাব্দের প্রথমদিকে পাঠক্রমের বোঝা সংক্রান্ত বিশ্লেষণ করে দেখেন, এর শিকড় রয়েছে অনেক গভীরে তা হল তথ্য জ্ঞান হিসাবে গন্য করার প্রবণতা to treat in formation as knowledge - চাপমুক্ত শিখনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। -

  • শিশু জ্ঞান অর্জনের নিষ্ক্রিয় গ্রহীতা এবং পাঠ্যপুস্তক হলো পরিক্ষা মূলক ভিত্তি - এই গতানুগতিক ধারনার পরিবর্তন করতে না পারলে বিদ্যালয়ের শিখন শিহ্মার্থীর কাছে আনন্দময় ও ফলপ্রসূ হতে হয়ে উঠবে না। 
  • শিশুরা নিজস্ব সৃজনমূলক ক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতা থেকেই জ্ঞানের গঠন করতে সক্ষম - এই বিশ্বাসের অভাব থেকেই শিশুদের মস্তিষ্কে সবকিছু খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
  • বহু বছর ধরেই পাঠ্যপুস্তকে বছর বেড়ে চলেছে। সিলেবাসে নতুন বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, অথচ জ্ঞানের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সমন্বয়ের দিকটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে। 
  • শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতির ধারাবাহিক ব্যর্থতার মূল কারণ হলো এনসাইক্লোপিডিয়া মতো পাঠ্যপুস্তক বহরে বড়ো, পাঠ্যসূচিই যেন জ্ঞানের ভান্ডার শিশু অবস্থা থেকেই বিদ্যার্থীদের মধ্যে এই ধারণাকে লালন করা হয়।
  • Learning Without burden - এর প্রতিবেদনে বিদ্যালয়ের পাঠক্রমের পরিকল্পনা এবং পাঠ্যপুস্তকের বিপুল পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
  • প্রতিবেদনে সামাজিক ঐতিহ্য পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে।কারণ শিশুদের মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব তাদের পীড়িত করে তোলে।ফলে শিশু হারায় শৈশব আর কিশোর-কিশোরীরা হারায় কৈশোর। কৈশোরে আর শৈশব হারানো বিদ্যার্থী অপরিণত ও অকাল পকৃতার শিকার হয়। 
  • শিশুর সৃজনশীলতাকে যথোচিত গুরুত্ব দেওয়া দরকার।তাই বিদ্যালয় পাঠক্রমের সংগঠনের ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে, যেমন - নির্ভর পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন। কারণ এই পদ্ধতিতে বিদ্যার্থীরা তথ্য মুখস্ত করতে এবং পরীক্ষার খাতায় তা উগরে দিতে বাধ্য হয়। 
  • যান্ত্রিক পরীক্ষা ভিত্তিক  শিখন শিহ্মার প্রতি অনুরাগী করে না, বরং বহু ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে পরীক্ষা ভীতি ও শিক্ষা ভীতি দেখা যায়।তাছাড়া বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান সমুহ যদি প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত না করা হয়, তাহলে শিক্ষার নিস্ফল হতে বাধ্য।
সংগঠন গত এই গভীর সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমান পাঠক্রমে ফ্রেমওয়ার্ক 2005 এ চাপমুক্ত শিখনের অন্তর্দৃষ্টি মূলক বিস্তৃতি পরিকল্পনা করা হয়েছে।এছাড়া প্রতিবেদনটি শিক্ষক প্রশাসক ও অন্যান্য যেসব সংস্থাগুলি পাঠ্যসূচি নিমার্ন,পাঠ্যপুস্তক পরিকল্পনা ও  পরীক্ষা সংক্রান্ত  সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বৌদ্ধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম করে তুলবে।এই ডকুমেন্টটি স্থানীয় স্তরে নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন ও ব্যক্তবায়নে সাহায্য করবে।

4. জাতীয় পাঠক্রমে রুপরেখা 2005 (National Curriculum Framework 2005) -

মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশে এবং NCERT -এর প্রশাসনিক সহায়তায় National Steering Committee 2005এর ডিসেম্বর National Curriculum Framework 2005 সরকারি স্তরের একটি দলিল পেশ করে।প্রকৃতপক্ষে এটি NCERT কর্তৃক প্রকাশিত National Curriculum For School Education 2005 পাঠক্রমের পুনর্গঠিত রুপ।এর প্রধান প্রেহ্মিত হল (i)ভারতীয় শিখন(Learning Without burden 1993) এর রিপোর্ট এবং (ii) শিক্ষা অভিজ্ঞতা গুলির সমন্বয়।

222

পাঠক্রমের প্রণেতাগণ National Curriculum Framework 2005 এ যে রুপরেখা নির্ণয় করেন সেগুলি হল -

  • বিদ্যালয়ের বাইরের জীবনের সঙ্গে জ্ঞানকে যুক্ত করা।
  • অর্থহীন মুখস্থ পদ্ধতিকে বাতিল করে শিখন কে নিশ্চিত করা।
  • পাঠ্য পুস্তক কেন্দ্রিকতার পরিবর্তে শিশুর যাতে সার্বিক বিকাশ ঘটানো যায় তার প্রতি লক্ষ রেখে পাঠক্রমকে সমৃদ্ধ করা।
  • পরীক্ষা পদ্ধতিকে আরও নমনীয় করা এবং শ্রেণিকক্ষের জীবনে সাথে তাকে আরও সম্পর্কিত করা। 
  • দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা একাত্মবোধ গড়ে তোলা এবং তার পরিচর্যা করা।
  • একটি বহুমাত্রিক উপযোগী জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা সমৃদ্ধকরণ।
  • সামাজিক ন্যায়,সমান অধিকার এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার মতো সাংবিধানিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে পাঠক্রম রচনা করা।
  • সকলের জন্য উন্নত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা।
  • অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সক্ষম লিঙ্গ সাম্যের প্রতি এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের সমস্যা সম্পর্কে সংবেদনশীল। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিক গঠন।

       বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসব নতুন চিন্তা করা হয়েছে তার প্রতিফলন পাঠক্রমে থাকবে।এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এমন কিছু কার্যসূচি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যা সমস্ত শিশুকে বিদ্যালয় ধরে রাখতে পারে এবং সমস্ত শিশু আত্মমর্যাদায় অভিজ্ঞতা লাভ করে এবং শিক্ষার প্রতি আস্থা গড়ে ওঠে।

শিহ্মা ও জ্ঞান সম্পর্কিত সুপারিশ -

  • শিক্ষা ও শিক্ষার্থীর সম্বন্ধে দৃষ্টিভঙ্গির বদল।
  • শিক্ষার্থীর শিক্ষা ও বিকাশ সম্পর্কে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান।
  • শ্রেণিকক্ষে সমস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করা।
  • জ্ঞান সৃষ্টি ও সৃজনশীলতার শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ।
  • পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে সক্রিয় শিক্ষা।
  • পাঠক্রমের মধ্যে শিশুদের চিন্তা কৌতূহল এবং প্রশ্ন উদ্দীপনের সুযোগ প্রনয়ন।
  • অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন জ্ঞান চর্চার অধ্যায় (কনটেন্ট) ব্যতীত পর্যবেক্ষণ, অন্বেষণ, আবিষ্কার, ইসলেশন ও চিন্তা ভাবনার উপর সমান গুরুত্ব প্রদান।
  • বাস্তব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বিশ্লেষণ ক্ষমতা উদ্রেককারী ক্রিয়া-কলাপ সংযোজন।
  • আঞ্চলিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতালব্ধ ধারণাকে পাঠ্যপুস্তক জ্ঞানচর্চা সংশ্লেষন।

5.জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের লক্ষ -

NCF -এর দ্বারা শিক্ষার লক্ষ্যে বর্তমান সমাজের চাহিদা ও আশা-প্রত্যাশা প্রতিফলিত হয়। পাশাপাশি স্থায়ী মূল্যবোধ,কমিউনিটির সম্প্রদায় বিষয়সমূহ এবং মানবিক আদর্শ সমূহ শিক্ষার লহ্ম্যের মধ্যেই প্রতিফলিত লহ্ম্যের অবশ্যই দুরদৃষ্টি থাকা উচিত।অন্যান্যদের মঙ্গল সাধনের মানসিকতা, বিশ্ব জগৎ সম্পর্কে জ্ঞান, মূল্যবোধ গঠনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কিভাবে দেখা যায় তা শেখা, পুনরায় শেখা এবং কোনো সময় না শেখার ইচ্ছাও গুরুত্বপূর্ণ।NCF(2005) -এর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিক হল জ্ঞান নির্মাণের প্রক্রিয়ার উপর গুরুত্ব দান। 

          শিক্ষার মাধ্যমে কর্মক্ষমতা বিকশিত হবে।শিক্ষা অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং সামাজিক প্রক্রিয়া অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে।শিক্ষার মাধ্যমেই শিশু তার সৃজনশীলতার প্রকাশ এবং সৌন্দর্য অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ পায়। 

             পাঠক্রম প্রণয়নের শিক্ষার লক্ষ্য গুলি যাতে সর্বোচ্চ পরিমানে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।NCF (2005) -এ বলা হয়েছে -শিশুকে একজন স্বাভাবিক বিদ্যার্থী হিসাবে বিবেচনা করা হবে। আর জ্ঞান হলো শিশুর আপন কর্মের পরিনাম - knowledge is the out come of child's own activity. পাঠক্রমের প্রাণকেন্দ্র হলো শিখন। জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখা শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা বলতে বোঝায় শিশুদের অভিজ্ঞতা তাদের মতামত এবং তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দান।

         তাই পাঠক্রমকে এমনভাবে রচনা করতে হবে যে যাক শিক্ষার্থীরা কৌতুহলকে সযত্নে লালন করতে এবং শিক্ষার্থীকে নিজের কথা প্রকাশ করতে সাহায্য করবে। তারা কাজ করবে প্রশ্ন করবে এবং অনুসন্ধানের লিপ্ত হবে।পাঠক্রমে শিক্ষককে এবং বিকাশকে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে।শিক্ষার্থীরা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে তার প্রতি নজর দিতে হবে।পাঠক্রমের চাপ ও পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানকল্পে সকল দিক থেকেই মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরী।

6.জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের উদ্দেশ্যাবলী -

জাতীয় মেধা কমিশনের সার্বিক লক্ষ্য ছিল এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ হল ভারতবর্ষকে আগামী দশক গুলিতে Knowledge edge -এর সুবিধা প্রদান করবে অর্থাৎ সৃষ্টি ব্যবহার এবং বন্টনে আমাদের দেশকে বিশ্বে সর্বোচ্চ স্থান পৌঁছে দেওয়া।মূলত যে সকল লক্ষ্যগুলো অর্জন করার জন্য এই কমিশন গঠিত হয়েছিল তা হল -

  • নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করা এবং সেই কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করা,দেশীয় গবেষণা ত্বরান্বিত করা,বীহ্মনাগারও তৃণমূল স্তরে উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
  • বৈদেশিক বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি বিদ্যার পথ সুগম করা এবং মুক্ত বাণিজ্যের মাধ্যমে বৈদেশিক জ্ঞানের ক্ষেত্রগুলি উন্মোচন করা। 
  • স্বাস্থ্য,কৃষি,শিল্প এবং সরকারি ক্ষেত্রগুলিতে জ্ঞানের উপযুক্ত প্রয়োগ করা।কৃষিক্ষেত্রে চিরাচরিত জ্ঞানের পাশাপাশি নতুন অবস্থিত ও উন্মোচিত জ্ঞানের সুষম ব্যবহার করা এবং সরাসরি ক্ষেত্রেই গর্ভনেন্স চালু করা। 
  • জ্ঞানের বন্টন করা যায় মূল লক্ষ্য হবে সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।
  • নারী ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া,জীবনব্যাপী শিখন -এর সংস্কৃতি গড়ে তোলা,সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করা,শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা এবং জনগণের প্রয়োজনীয় জ্ঞানগুলি সুলভ বা সহজলভ্য করা।

7. জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের বিদ্যালয় স্তর এবং মূল্যায়ন -

এই পরিচ্ছেদ সুপারিশ গুলির মূল বক্তব্য হল - 

• ভাষা -

  • ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা অর্থাৎ শ্রবণ দক্ষতা,কথা বলার দক্ষতা ও পঠন দক্ষতা এবং লেখার দক্ষতা সর্বোপরি বোঝাও উপলব্ধির ক্ষমতা শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের গণ্ডি ছড়িয়ে বহির্জগতের প্রসারিত হয়।তাই শিক্ষার্থীর শিহ্মন জীবনে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ভাষা শিখন এবং নির্ভর সৃজনের দহ্মতার ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
  • ত্রিভাষা সূত্র প্রচলন করার জন্য নতুন ভাবে প্রয়াস চালানো দরকার। উপজাতীয় ভাষা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে।
  • অন্যান্য ভারতীয় ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিকেও নিজের স্থানে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হবে।
  • ভারতের বহু ভাষাভাষী সামাজিক বৈশিষ্ট্যকে বিদ্যালয় জীবনে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

• গণিত -

  • গণিতের জ্ঞানের (সংকেত,পদ্ধতি,যান্ত্রিক প্রক্রিয়া)তুলনায় গাণিতিক ভাবনা অর্থাৎ যুক্তি নির্মাণ সম্পর্কে নির্ণয়,বিমুর্ত ধারণা গঠন করার দক্ষতা অর্জনের উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
  • উন্নত মানের গণিত শিক্ষা লাভ করার অধিকার প্রতিটি শিশুর আছে।এই ধরনের গণিত শিখনের সময় দেখতে হবে যেন শিশুর যুক্তি নির্মাণ, সংকেত ও সম্পর্কে নির্ণয় এবং বিমুর্ত চিন্তনের ক্ষমতা লাভ ও ভাবনার অভ্যস্ত হতে পারে।
• বিজ্ঞান - 

  • বিজ্ঞান শিক্ষার বিষয়বস্তু পদ্ধতি এবং ভাষা শিশু শিক্ষার্থীর বয়স ও উপলব্ধি ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের এমনভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা দিতে হবে যাতে তাদের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং সৃজনশীলতা পরিপুষ্ট ঘটে।এজন্য তাদের বিজ্ঞান শিক্ষা পরিবেশের সঙ্গে যোগরেখে সম্পন্ন হওয়ার দরকার।
  • শিক্ষার্থীদের বাস্তব পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমনভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা হওয়া দরকার যাতে তারা ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে দক্ষতার সঙ্গে প্রবেশ করতে পারে। 
  • বিদ্যালয় পাঠক্রমের মধ্যে দিয়ে পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি উপলব্ধি ও সচেতনতা করে তুলতে হবে।

• সমাজবিজ্ঞান -

  • সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু অধ্যয়নের কারণ শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাওয়ার জন্য মুখস্থ করাই নয়, বরং তার পরিবর্তে সমাজবিজ্ঞানের তান্ত্রিক বিষয়গুলি প্রকৃত অনুধাবন করে চিন্তনমুখী করা প্রয়োজন,যাতে শিহ্মার্থীরা তাদের স্বাধীনতা চিন্তন ও উপলব্ধিকে সামাজিক সমস্যাগুলির বিশ্লেষণ ও সমাধানের পথে অগ্রসর হতে পারে।
  • লিঙ্গ,সাম্য,ন্যায় বিচার,মানব অধিকার এবং প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু জনজাতীয় সমস্যা সম্পর্কিত সংবেদনশীলতা ও জাতীয় আগ্রহের বিষয় যাতে শিক্ষার্থীরা একটি সামাজিক বোধ গঠন করতে পারে,সেই ব্যাপারে দৃষ্টি দিতে হবে।
  • সমাজবিদ্যাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান হিসাবে পুনর্বিন্যাস্ত করার প্রয়োজন আছে।সমাজ গঠনে ইতিহাসের ভূমিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে সেই সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অভিহিত করতে হবে।
• শিল্পশিক্ষা -

  • বিভিন্ন শিল্প যেমন লোক শিল্প, ধ্রুপদী শিল্পকলা, সংগীত ও নৃত্যকলা, পুতুল নাচ,মৃৎ শিল্প,নাট্য শিল্প ইত্যাদি এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ কারু শিল্পকে অবশ্যই পাঠক্রমে অঙ্গীভূত করা দরকার।
  • বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ,শিক্ষা অধিকারিক এবং অভিভাবকদের উপরোক্ত ধরনের শিল্পকলা এবং কারুশিল্পের সামাজিক,সাংস্কৃতিক,অর্থনৈতিক,ব্যক্তিগত এবং নান্দনিক তাৎপর্যকে অবহিত করানো প্রয়োজন।
  • বিদ্যালয় পাঠক্রমের সর্বস্তরের শিল্পকে একটি বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। 

• কর্ম ও শিক্ষা -

  • বিদ্যালয় পাঠক্রমে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত কর্মমূলক অভিজ্ঞতা তথা কর্মশিক্ষাকে এমন ভাবে পূনগঠিত করতে হবে যাতে, কর্মশিক্ষা পঠন পাঠনের দ্বারা শিহ্মার্থীরা জ্ঞান আহরন, মূল্যবোধ সংগঠিত করণ এবং বিভিন্ন ধরনের কর্ম মূলক দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

• শান্তির জন্য শিক্ষা - 

  • প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একজন শান্তিকামী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা থাকবে পাঠক্রমের মধ্যে।সমগ্র বিদ্যালয় জীবন ধরে এজন্য শিক্ষার্থীর মনে শান্তিকামী মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
  • সামাজিক ন্যায়বিচার শান্তিকামী শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দিক,একইভাবে মানব অধিকার হল শান্তিকামী শিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। এগুলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাতে গড়ে ওঠে অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা যাতে সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানব অধিকারের ব্যাপারে সচেতন শ্রদ্ধাশীল হতে পারে, সেই ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন এবং কার্যাবলী সম্পাদনের দ্বারা শান্তিকামী শিক্ষার লক্ষ্য পূরণ করা যেতে পারে।

• স্বাস্থ্য ও শারীর শিহ্মা -

  • শিক্ষার্থীর জীবনে স্বাস্থ্য ও শারীর শিহ্মা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিক। শিক্ষার্থীর সামগ্ৰিক উন্নতি সন্ধানের জন্য স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষাকে বিদ্যালয় পাঠক্রমে গুরুত্ব দিতে হবে।
  • বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতন এবং শারীর শিক্ষার যোগব্যায়াম সহ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
• বসতি ও শিখন -

  • শিশুর বিকাশ ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তার বসতি। শিশু চারপাশে ঘিরে থাকা পরিবেশই হল সেই অর্থে তার বসতি। শিশুর এই পরিবেশ সম্পর্কে শিখন ও অতি গুরুত্বপূর্ণ। বসতি বা পরিবেশ এবং শিখন বস্তুত পরিবেশের শিক্ষার ভিত্তি।
  • পরিবেশ শিক্ষার অন্তর্গত কর্মকাণ্ডের জন্য পর্যাপ্ত সময় যেমন নির্ধারণ করা দরকার সেই সঙ্গে সমস্ত স্তরে নির্দিষ্ট বিষয় গুলি পড়ানোর সময় পরিবেশ প্রসঙ্গে আগ্রহ, কৌতুহল, উদ্বেগ সমাধান প্রসঙ্গে উপযুক্ত পন্থা অনুসন্ধানের বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়া দরকার।

8. জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের পদ্ধতি গত সংস্কারসমূহ - 

333

১. শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন একটি পরিকল্পনা পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে।যেখানে বিদ্যালয় স্তরে কার্য পরিসীমা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং ক্রমানুসারে ঊর্ধ্বমুখী পর্যালোচনার মাধ্যমে ব্লক,অঞ্চল ও জেলা স্তরে চূড়ান্ত রূপ লাভ করতে পারে। 

২. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পরিকল্পনার রূপরেখা প্রণয়ন করা দরকার।

৩. বিদ্যালয়গুলির কার্যাবলী ফলশ্রুতি পর্যবেক্ষনের পদ্ধতিটি বিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার একটি উপযুক্ত উপায় হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।

৪. শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে এমনভাবে পুর্নগঠিত এবং সংস্কার করা দরকার যাতে একজন শিক্ষক/শিক্ষিকার এইরকম ব্যক্তিত্বে পরিণত হবেন যেখানে তিনি একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে শিক্ষার্থীদের বিকাশের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রতিভাকে আবিষ্কার, নিজস্ব শারীরিক, বৌদ্ধিক ক্ষমতাকে অনুভব ও চিহ্নিত করতে, সংবেদনশীলতা ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ সাধনে সহায়তা করতে সক্ষম হবেন।

৫. পরিবর্তিত সামাজিক প্রয়োজন এবং শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদার উপর ভিত্তি করে প্রচলিত পাঠক্রমের সংস্কার সাধন সচেতন ও উদ্যোগী হবেন শিক্ষক/শিক্ষিকা।

৬. শিক্ষার্থীরা যাতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের জ্ঞান নির্মাণের আগ্রহকে আত্মস্থ করতে পারে, তার জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণের চরিত্র এমনভাবে যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়ে উঠতে পারেন জ্ঞান নির্মাণের উৎসাহদাতা, বহু বিষয়ক জ্ঞানচর্চার দক্ষ, আন্তবিষয়ক জ্ঞানচর্চার আগ্রহী যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী।

৭. শিক্ষক-প্রশিক্ষণের কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে এবং পেশাগত নিবিষ্টতাকে শক্তিশালী করার হ্মেত্রে ভাষা সংক্রান্ত দহ্মতার গুরুত্বকে উপলদ্ধি করতে হবে।

৮. প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষার চাপ কমানো এবং পরীক্ষায় সাফল্যের হারকে বৃদ্ধি করার জন্য কতগুলি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন। সেগুলি হল -

  • বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষাকে রূপান্তরিত করতে হবে সমস্যা সমাধান মুলক পরীক্ষায়। সেখানে সমাধানের দক্ষতা ও উপলব্ধি ক্ষমতা ও গুরুত্ব পাবে। প্রশ্নপত্রের ধরন টির পরিবর্তিত হওয়ার দরকার।
  • স্বল্পমেয়াদী অর্থাৎ ছোট ছোট পরীক্ষা চালু করতে হবে।
  • পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ সময় পর্যাপ্ত হওয়া দরকার। সমস্ত রকম প্রবেশিকা পরীক্ষা পরিকল্পনা ও আয়োজনের জন্য একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা গড়ে তোলা দরকার।

৯. প্রাক প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক (10+2) স্তর পর্যন্ত বিদ্যালয় পাঠক্রম এর মধ্যে কর্মকেন্দ্রিক শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠানিক করে তুলতে হবে। যার ফলশ্রুতি হিসেবে বিশ্বায়ন প্রভাবিত অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বৃত্তি শিক্ষার নতুন ভিত্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

১০. নতুন ভিত্তির উপর গড়ে ওঠা এই সমস্ত বৃত্তি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কে কার্যকরী করে তোলার ব্যাপারে নিষ্ঠা থাকতে হবে এবং এর জন্য বিভিন্ন গ্রাম সংগঠন ও ব্লক স্তর থেকে মহাকুমা ও জেলার স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই সারাদেশ ব্যাপীয় জাতীয় সুযোগ সুবিধার সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

১১. শিক্ষার্থীদের বিবিধ প্রয়োজন ও আগ্রহের বৈশিষ্ট্য অনুসারে শিক্ষকগণ যাতে তাদের উপযোগী পাঠ্য পুস্তক নির্বাচনের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন, তার জন্য একাধিক পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন ও সহজলভ্য করে তুলতে হবে।

১২. শিক্ষকের পেশা ও জীবন অভিজ্ঞতা এবং শ্রেণী পরিচালনার পদ্ধতি আদান-প্রদান ঘটানোর সুযোগ করে দিতে পারে। এর ফলে নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা ও পদ্ধতি প্রকরণ প্রবর্তিত হওয়ার সুযোগ সম্ভাবনা তৈরি হয়।

১৩. পাঠ্যসূচি নির্মাণ, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং শিখন শিহ্মন সুজুকি উপকরণ প্রস্তুত গঠনের পরিকল্পনা পদ্ধতির বিকেন্দ্রীকরণ শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষক, শিক্ষক সংগঠন এবং এনজিও-এদের অংশগ্রহণকে বৃদ্ধি হবে।

9. জাতীয় পাঠক্রম কাঠামো ব্যবহারিক নীতিগত বিশ্লেষণ -

জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের কাঠামোর নীতিগত বিশ্লেষণের ব্যবহারিক প্রয়োগ ক্ষেত্র বিষয় -

বিশ্লেষণের বিষয়বস্তু -জাতীয় পাঠক্রম কাঠামো সাফল্য মূল্যমানের আলোচিত দিকসমূহ

ভূমিকা - 

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ভারতবর্ষে যে চিরাচরিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্দেশ্য বিভিন্ন কমিটি ও কমিশন গঠন করা হয় এবং প্রত্যেকটিতেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য যেমন এসেছে তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য আসে নি। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থ তা দেখা গেছে। জাতীয় পাঠ্যক্রম ফ্রেমওয়ার্কের 2005 এর ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম ঘটে নি। আমরা এখানে জাতীয় পাঠক্রমের কাঠামো 2005 এর সাফল্যের দিক গুলি আলোচনা করার চেষ্টা করবো। -

১. শিখন ও জ্ঞান - 

জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের শিখন ও জ্ঞান সম্পর্কিত পরিস্থিতিতে একটি সুপারিশ ছিল। তাতে পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে সক্রিয় শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে হবে। উদাহরণ - সিম বঙ্গের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে নতুন পাঠক্রম রচনা করেছেন তার ভিত্তিতে যে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে, এখানে শিক্ষার্থীদের সক্রিয়তা ভিত্তিক শিখনের জন্য পরীক্ষামূলক নানা দিক উল্লেখ করা হয়েছে।

২. শিখনে জ্ঞানচর্চা ছাড়া অন্যান্য দিক - 

সক্রিয়তা ভিত্তিক করতে জ্ঞানচর্চার অধ্যায়গুলি ছাড়াও পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান, আবিষ্কার, বিশ্লেষণ ও যুক্তিভিত্তিক চিন্তা ভাবনার উপর গুরুত্ব প্রদান করার চেষ্টা হচ্ছে।

৩. ত্রিভাষা সূত্র প্রচলন - 

জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের একটি সুপারিশের মূল বক্তব্য ছিল ত্রিভাষা সূত্র প্রচলন করার জন্য নতুনভাবে প্রয়াস চালানোর দরকার। উপজাতি ভাষা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে। এই সুপারিশটি সাফল্য আমাদের কাছে স্পষ্টরূপে বর্তমানে প্রতীয়মান হয়। মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বর্তমানে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং প্রক্সিমা যথেষ্ট বর্ধিত করা হয়েছে।

৪. বিজ্ঞান শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গি - 

জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কে সুপারিশ ভিত্তিক আজকের শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীদের বর্তমানে এমন ভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া চেষ্টা হচ্ছে যাতে তাদের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি জন্মায়। পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিজ্ঞান শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গিতে যথেষ্ট মর্যাদার সাথে গুরুত্ব পাচ্ছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নানান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান চেতনা বৃদ্ধি ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা বৃদ্ধির জন্য সেমিনার, সিম্পোসিয়ান বিতর্ক সভা প্রভৃতি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সরকারি শিক্ষা দপ্তর এ ব্যাপারে বিদ্যালয়গুলির সাথে যোগাযোগ করে তোলার চেষ্টা করেছেন।

৫. পরিবেশ সুরক্ষা প্রসঙ্গ - 

জাতীয় পাঠ্যক্রম প্রেম মোবারকের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিবেশ সুরক্ষায় প্রসঙ্গে। বিদ্যালয় পাঠক্রমে মধ্যে দিয়ে পরিবেশের সুরক্ষা প্রসঙ্গটি এবং সেই সম্পর্কিত সমস্যাবলি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞানের বিষয় শুধু নয়, সমাজ বিজ্ঞানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই অনুসারে পাঠ্যপুস্তক রচনা শিক্ষা প্রদানের কাজটি ওজায় ভাবে সম্পন্ন হচ্ছে তাতে আশাবাদী হওয়া যথেষ্ট কারণ আছে।

৬. সংবেদনশীলতা সৃষ্টি - 

লিঙ্গ, সাম্য, ন্যায় বিচার, মানব অধিকার এবং প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু জনজাতির সমস্যা সম্পর্কিত সংবেদনশীলতার সৃষ্টি ও আগ্রহ সৃষ্টির ব্যাপারে ও শিক্ষার্থীদের একটি সামগ্রিক বোধ গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক এর মাধ্যমে সামঞ্জস্য রাখার প্রচেষ্টা গুরুত্ব পেয়েছে।

৭. শিল্প শিক্ষা -‌

শিল্প শিক্ষাকে যথেষ্ট মর্যাদাসহ একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে একটি স্বাভাবিক আগ্রহ সরকারি শিক্ষা বিভাগ ও দপ্তর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই উত্তরটিতে জাতীয় পাঠক্রম কাঠামো 2005 এর সুপারিশ অনুসারে ফলশ্রুতি হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে।

৮. স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা -

শিক্ষার্থীদের জীবনে স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নতি সাধনের জন্য বিদ্যালয় পাঠক্রমে শুধু নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে শরীর বিজ্ঞান শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও প্রশংসনীয়। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ এই দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় উদাহরণ।

৯. শিক্ষণ কর্মে প্রয়োগ দক্ষতা -

শিক্ষার্থীদের উন্নত মানের শিখন এবং শিক্ষার্থীদের শিখন কর্মের প্রয়োগ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিদ্যালয় পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, শ্রেণীকক্ষের পরিকাঠামো এবং উপকরণ পর্যাপ্তভাবে বড় করার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছেন এবং অর্থ বরাদ্দের বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন।

১০. সবার জন্য শিক্ষা -

সবার জন্য শিক্ষা কি কার্যকরী করে তোলার জন্য সমস্ত রকমের শিশুকে শিক্ষার আঙিনায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে নিশ্চিত করে তোলার কথা বলা হয়েছে জাতীয় পাঠক্রম ফ্রেমওয়ার্কের 2005 এ। জাতীয় পাঠক্রমের সুপারিশ থেকে মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে সাম্প্রতিককালে ভারত সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন। সর্বশিক্ষা অভিযান, মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান প্রকল্প গুলির নাম এপ্রসঙ্গে করা যেতে পারে।

১১. মূল্যায়ন ব্যবস্থা -

জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখা 2005 এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল মূল্যায়ন ব্যবস্থা কে ভয় মুক্ত করতে হবে, স্বচ্ছ ও নমনীয় করে তুলতে হবে। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ 2007 ও 2008 শিক্ষাবর্ষ থেকে সামর্থ্য ভিত্তিক নিরবিচ্ছিন্ন ও ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং গ্রেড ব্যবস্থা বিদ্যালয় স্তরে প্রবর্তন করেছেন। ফিরা পঠন-পাঠনের অংশগ্রহণ করুক আনন্দের সাথে। লেখাপড়া নিরস ছকে বাধা যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন ঘটিয়ে যাতে আনন্দময় কর্মসূচিতে পরিণত হতে পারে তার জন্য যথেষ্ট হচ্ছে রাজ্য সরকার গুলি। লেখাপড়া হলো আনন্দময় সৃজনধর্মী প্রক্রিয়া এবং মননশীলতার এই পথ ও উপলব্ধিকে আগ্রহ করার জন্য রাজ্য সরকার সেই 2007 থেকে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করেছে।

১২. প্রশ্নপত্রের ধরন -

পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন, যেমন - Multiple Choice Questions এবং Short Answer Type Questions এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার প্রশ্ন পত্রের উত্তর দানের সময় সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। পুথি কেন্দ্রিক কানকে বাস্তব পরিস্থিতিতে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ও এসেছে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরের প্রোজেক্টের প্রবর্তন তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

10. উপসংহার -

জাতীয় পাঠ্যক্রম ফ্রেমওয়ার্কের ২০০০ ও ২০০৫ শিক্ষানীতি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় গতানুগতিক চিরাচরিত প্রথা কি দূর করে এক নতুন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে সাম্য ন্যায় বিচার ইত্যাদি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা মূলত সবার জন্য তাই শিক্ষাব্যবস্থাকে গড়ে তুলতে হবে আনন্দময়ী। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন এনে নতুনত্বের মাধ্যমে শিক্ষাকে সকলের মধ্যে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষা হলো একটি দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। তাই শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে বৈজ্ঞানিক ও বাস্তব ভিত্তিক। জাতীয় পাঠক্রম  ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুন দিশা দেখিয়েছে।

ENGLISH VERSION PDF FILE -

                                                   CLICK HERE 









Post a Comment (0)
Previous Post Next Post