ASSIGNMENTS ON DEVELOPING SPEAKING SKILLS - ORAL, PRESENTATION, DEBATE, ELOCUTION, DISCUSSION, BRAINSTORMING || কথন দক্ষতা বিকাশে - মৌখিক উপস্থাপনা, বিতর্ক, বাগ্মিতা, আলোচনা, ব্রেন স্ট্রোমিং
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Assignments On Developing Speaking Skills - Oral Presentation, Debate, Elocution, Discussion, Brainstorming |
(**ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)
BENGALI VERSION -
কথন দক্ষতা বিকাশে - মৌখিক উপস্থাপনা, বিতর্ক, বাগ্মিতা,আলোচনা, ব্রেন স্টমিং
১.ভূমিকা -
জন্মের পর একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিশুর মুখে ভাষা প্রকাশ একটি স্বতঃস্ফুত ও প্রাকৃতিক ঘটনা। জীবনে প্রথম শিশু তার মাতৃভাষায় কথন হ্মমতা বিকাশ ঘটায়। জীবনে চলার পথে অনেক পরিস্থিতি শিশুকে বিভিন্ন গঠনশৈলীতে দক্ষ করে তোলে,অনেক ব্যক্তি জীবনে সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারে আবার অনেক ব্যক্তি মধ্যে কথা বলা বার ক্ষমতা বিকশিত হয় না। সুতরাং বিদ্যালয় কথন দক্ষতা অনুশীলনের প্রয়োজন। একজন শিক্ষককে সুদক্ষ কথনশৈলী অধিকারী হবার খুব দরকার, যে কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বাচিক দহ্মতা অর্জন তার দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বি এডের পাঠ্যক্রমে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত যথাপোযুক্ত।২.দক্ষতা -
২.১. ভূমিকা -
দহ্মতা হল অভ্যাস ও শিক্ষকের দ্বারা অর্জিত বিশেষ সামর্থ্য। অর্থাৎ কোন কাজ করতে করতে অভ্যাস যা স্বাভাবিকভাবেই জন্মায়। পল এম ফিটস বলেছেন দক্ষতা হল এক ধরনের জটিল ক্রিয়া, যার মধ্যে অনেকগুলি দেহ সঞ্চালন মূলক কাজ পর্যায়ক্রমে সম্পাদিত হয়।২.২. দহ্মতা উপাদান -
দহ্মতা উপাদান- ১.জ্ঞান
২.অভ্যাস
২.অভ্যাস
২.৩. দক্ষতা শ্রেণীবিভাগ -
দহ্মতার মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা -
১. শ্রবণ দহ্মতা২. কথন দহ্মতা
৩. লিখন দহ্মতা
৪. পঠন দহ্মতা
৩. কথন দহ্মতা -
৩.১.ভূমিকা -
মানুষের কথার মধ্যেই তার ব্যক্তিত্ব আবরণ ও জ্ঞান সমস্ত কিছু প্রকাশিত হয়।
বিশেষ কোনো অনুভূতি প্রকাশ বা কোন বিষয়ের অপরকে জানানোর জন্য আমরা কথন মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকি। কোন ব্যক্তি মনন চিন্তন যখন সঠিক ভাষায় প্রয়োগের মাধ্যমে কথন রূপে প্রতিফলিত হয় তখন তাকে কথন দক্ষতা বলে।
৩.২. ভালো কথনের বৈশিষ্ট্য -
বিশেষ কোনো অনুভূতি প্রকাশ বা কোন বিষয়ের অপরকে জানানোর জন্য আমরা কথন মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকি। কোন ব্যক্তি মনন চিন্তন যখন সঠিক ভাষায় প্রয়োগের মাধ্যমে কথন রূপে প্রতিফলিত হয় তখন তাকে কথন দক্ষতা বলে।
৩.২. ভালো কথনের বৈশিষ্ট্য -
ভালো কথা বলার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেগুলি হল-
১.স্পষ্টতা।
২.শ্রবণ যোগ্যতা।
৩.কার্যকারিতা।
৪.অনায়াস ভঙ্গিঁ।
৫.বাক্পটুত্ব অর্জন।
৬.স্বতঃস্ফূর্ততা।
৭.সৌন্দর্য বিধান।
৩.৩. কথন দক্ষতা বিকাশের প্রয়োজনীয়তা -
২.শ্রবণ যোগ্যতা।
৩.কার্যকারিতা।
৪.অনায়াস ভঙ্গিঁ।
৫.বাক্পটুত্ব অর্জন।
৬.স্বতঃস্ফূর্ততা।
৭.সৌন্দর্য বিধান।
৩.৩. কথন দক্ষতা বিকাশের প্রয়োজনীয়তা -
কথন দহ্মতা বিকাশের প্রয়োজনীয়তা গুলি হল,-
১.মনের ভাব সুন্দর ভাবে সুবিন্যস্ত রূপে প্রকাশ করতে শেখায়।২.যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
৩.রুচিশীল ভাষা ব্যবহারে উৎসাহী করে।
৪. সুন্দর শব্দ বন্ধ ব্যবহারের উৎসাহী করে।
৫.নিজস্ব কথন রীতি বা স্টাইল অর্জন করতে শেখায়।
৬.ভাষা প্রয়োগে স্পষ্টতা আনে।
৭.নির্ভুল উচ্চারণের ভাষার ব্যবহার দক্ষ হয়ে ওঠে।
৮.ব্যাকরণ রীতি মেনে শব্দ প্রয়োগের অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
৩.৪. কথন দক্ষতা ত্রুটি সমূহ -
প্রাথমিক পর্যায়ের শিশু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কথা বলার সময় নিম্নলিখিত ত্রুটি গলি ধরা পড়ে।সেগুলি হল-
- নাকি সুরে কথা বলা - এটি দুটি কারণে ঘটতে পারে।প্রথমত-শারীরিক কারণ এবং দ্বিতীয়ত- অভ্যস্ত গত।যদি শারীরিক কারণে এটি ঘটে থাকে তবে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।আর যদি অভ্যাসবশত হয় তবে সেটি অভ্যাস ত্যাগ করার পথ বদলাতে হবে।শিক্ষক তাকে একটু পর্যবেক্ষণ রাখলে ব্যাপারটি ঠিক হয়ে যাবে।
- তোতলানো - কথা বলার সময় অনেকেই আটকে যায়। অনেকক্ষণ পর্যন্ত গলা থেকে কোন শব্দ বার করতে পারে না,চেষ্টা করেও সে কথা বলতে পারছেনা।এই সমস্যাটি যদি জন্মগত হয় তবে speech therapy চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তবে যাদের এই রোগে আক্রান্ত তাদের এই শিক্ষকতা বৃত্তে না আসাই বাঞ্ছনীয়। শিক্ষককে সতর্ক দুটি দিতে হবে যাতে শ্রেণীর অপর ছাত্ররা তাকে বিরক্ত না করে।
- বিড়বিড় করে নিজের সঙ্গে কথা বলা - এইসব ব্যাপারে হামেশাই রাস্তাঘাটে দেখা যায়। নিজেই আপন মনে বিড়বিড় করে কথা বলে চলেছে। শিক্ষকের প্রয়োজন প্রযত্নের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- হীনমন্যতাবোধ - এটি খুবই খারাপ লক্ষণ।এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে। যারা শিক্ষক শ্রেণীতে থাকলেও চুপচাপ বসে থাকে। শিক্ষক শিক্ষণে কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে না।উত্তর দিলে ভুল হবে, তা নিজে অন্য সহপাঠীরা হাসাহাসি করবে। এই ধারণায় সে চুপচাপ থাকে এতে তারা শ্রেণীর পঠন-পাঠনে সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা রক্ষা করতে পারে না। শিক্ষকের উচিত জোর করে তাকে সমস্ত কাজে লাগানো ও শিখন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করানো।শিক্ষার্থীদের হীনমন্যতাবোধ না ছাড়তে পারলে সে সবসময় শিক্ষার্থীর উন্নতির পথ বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
- লাজুক স্বভাব - শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই লাজুক থাকে। কারো সঙ্গে ভালো করে কথা বলতে চায় না।লজ্জায় প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই শিক্ষকের কাছে জানতে ইতস্তত বোধ করে। শিক্ষক কিছু জিজ্ঞাসা করলে নিচু মুখে উত্তর দিয়ে বসে পড়ে। এই ব্যাপারটার দিকে শিক্ষকের বিশেষ নজর দিতে হবে।
- অস্পষ্ট স্বরে কথা বলা - অনেক শিক্ষার্থী অস্পষ্ট ভাবে কথা বলে। এটি দুটি কারণে ঘটতে পারে, এক ভয় ও দ্বিতীয় অভ্যাস। এই সব শিক্ষার্থীর মন থেকে ভয় দূর করতে হবে আর অভ্যাসগত হলে জোর করে স্পষ্ট স্বরে কথা বলা বার অভ্যাস করাতে হবে।
- অতি দ্রুত কথা বলা - অনেক শিক্ষার্থী আবার অতি দ্রুত অর্থাৎ খুব তাড়াতাড়ি কথা বলতে ভালোবাসে। যাতে একটি কথার সঙ্গে অন্য কথা জড়িয়ে যায়।শিক্ষক অথবা শিক্ষার্থী সবাই বুঝতে বেশ অসুবিধা হয় ।শিক্ষক - শিক্ষার্থীদের এই অভ্যাসটি দিকে নজর দেবেন।
- অতি ধীরে ধীরে কথা বলা - বহু শিক্ষার্থী খুব আস্তে আস্তে কথা বলে।স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে যে সময় দরকার তার চেয়েও অনেক ধীরে ধীরে কথা বলে।এই অভ্যাস দূর করতে হবে।
- কিছু মুদ্রাদোষের ব্যবহার - বহু শিক্ষার্থী নানান রকম মুদ্রাদোষ এর শিকার হয়ে পড়ে।শুধু শিক্ষার্থী কেন অনেক শিক্ষকই এই রোগের শিকার। 'বুঝতে পেরেছি','হচ্ছে গিয়ে','কি যেন', 'ইয়ে','তারপর','এই হবে কি' প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এই ব্যাপারটাই দিকে সচেতন করিয়ে দেবেন।
- উচ্চারণে আঞ্চলিকতা দোষ - শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উচ্চারণে আঞ্চলিকতা দোষ থাকলে তা বর্জন করতে হবে। এ ব্যাপারে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উভয় যত্নবান হতে হবে।
- টেনে টেনে পড়ার অভ্যাস - অনেক সময় কোনো কোনো শিক্ষার্থী পড়তে পড়তে আ্য আ্য শব্দ করে। এটি বড় বিরক্তিকর এই ব্যাপারটি বন্ধ হওয়ার দরকার।
- কথোপকথন - কথোপকথনের মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীদের মুখের ভাষা ভুল কে চিহ্নিত করে শুদ্ধরূপে শেখানো।
- আলোচনা - আলোচনা করার সময় কোন শিক্ষার্থী আঞ্চলিক বা কোনো অসঙ্গতি শব্দ ব্যবহার করলে তা শুধরে দেওয়ার দরকার।
- বক্তৃতা - বক্তৃতাকালে কোন অস্পষ্ট শব্দ বা অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে লক্ষ্য দেবেন শিক্ষক।
- সরব গঠন - শ্রেণিকক্ষে সরব পাঠ কালে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণে যথাযথ হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। পাঠের সময় যেন বিস্ময়ের ভাব ও আবেগ ঠিক রেখে পড়তে পারে সেদিকে ও লক্ষ দিতে হবে।
- আবৃত্তি - আবৃত্তি করা কালীন উচ্চারণে কোনো ভুল ত্রুটি নজরে পড়লে তা সংশোধন করে দিতে হবে।
- নাটকের সংলাপ - নাটকের সংলাপ উচ্চারণের সময় শব্দ ঠিক মতো উচ্চারিত হচ্ছে কি না মূলের ভাবভঙ্গি ও অঙ্গভঙ্গি ঠিক মতো হচ্ছে কি না তাও নজর রাখা জরুরি।
- ছড়া - ছড়া পরিবেশনকালে যাতে নির্দিষ্ট ছন্দ,বাগ্ ভঙ্গিমা বজায় থাকে তা দেখতে হবে।
- অনুষ্ঠান পরিচালনা ও ঘোষণা - অনুষ্ঠান পরিচালনা ও ঘোষণার সময় যথাযথ রীতি মেনে পরিবেশন বাঞ্ছনীয় । এক্ষেত্রে অনুরোধ জ্ঞাপন, অভ্যর্থনা জ্ঞাপন, দুঃখ প্রকাশ,ধন্যবাদ প্রদান প্রভৃতি যথাযথভাবে করা আবশ্যিক।
- গল্প পরিবেশন - গল্প রূপকথা প্রভৃতি পরিবেশনের একটি বিশেষ রীতি অবলম্বন করা হয়।যেমন 'সে অনেক অনেক....... দিনের কথা' বা 'এক যে ছিল মস্ত.......বড় রাজা'। আবার ভূতের গল্পের বলার সময় ছমছমে পরিবেশ তৈরী করে কথা বন্দী সাজিয়ে গল্প বলতে হবে। গল্প কথনে এই স্টাইলটি আয়ত্ত করা জরুরি।
কথন দক্ষতা বিকাশে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রকল্প সমূহ হলো -
১.মৌলিক উপস্থাপনা।
২.বিতর্ক সভা।
৩.বাগ্মিতা।
৪.আলোচনা।
৫.ব্রেন স্টর্মিং।
৫. কথন দহ্মতা বিকাশে মৌলিক উপস্থাপনা -
৫.১. ভূমিকা -
কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর মৌখিক উপস্থাপনা করা বা ভাষণই হল মৌখিক উপস্থাপনা। সবক্ষেত্রে ব্যক্তির বচন, ভঙ্গি, কথন,বর্ণনা করা উপস্থাপনের কৌশল গুরুত্ব পায়। মৌখিক উপস্থাপনার স্তর গুলির নিম্নরূপ- ক.সম্ভাবনা, খ.প্রারম্ভিক, গ.মূল বক্তব্য, ঘ.উপসংহার। ৫.২. মৌখিক উপস্থাপনার উদ্দেশ্য -
- একটি সুনির্দিষ্ট বিষয় বা topic অনেক সামনে তুলে ধরা।
- কোন একটি বিশেষ বিষয়ে নিজস্ব বা গবেষণালব্ধ জ্ঞান বহুজনের সম্মুখে উপস্থাপনা করা।
- বিষয়ে উপস্থাপন এমনভাবে করা যেটি দর্শক শ্রোতা বা সহকারি বক্তাদের বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহ দেবে।
- বিষয় জ্ঞান যেমন যেখানে বিদ্যালয় তেমনি নতুন জ্ঞানের সম্ভাবনা থাকা আবশ্যক।
- মৌখিক উপস্থাপনা চলাকালীন ভিন্ন প্রশ্ন ও ভিন্ন মতের আনয়ন হলে বক্তা ও শ্রোতার উভয়ই উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
- নতুন জ্ঞানের আগমনে উৎসাহ সৃষ্টি করা ও ইতিমধ্যে জ্ঞাত জ্ঞানের আরোও স্বচ্ছতা তৈরি করা।
৫.৩. মৌখিক উপস্থাপনের গুরুত্ব -
- ব্যক্তির স্বরকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়।
- ব্যক্তির স্পষ্ট উচ্চারণে শৈলী গড়ে তুলে।
- ব্যক্তির ভাষার দক্ষতা অর্জন হয়।
৫.৪. মৌখিক উপস্থাপনার পদ্ধতি -
মৌখিক উপস্থাপনা সু-পরিকল্পিত ও সু-গঠিত করতে শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কতগুলি পদ্ধতির মাধ্যমে মৌখিক উপস্থাপনটি সংঘটিত হয়।
- মৌখিক উপস্থাপনকে ভাগ করা যায়। 1.ভূমিকা 2.আলোচনা 3.সার সংক্ষেপ।
- উপস্থাপনের শুরুতে শ্রোতাদের বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করাতে হবে।
- উপস্থাপনার শুরুতে Chairperson/ Expert সহ অন্যান্য শ্রোতাদেরকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে শুরু করতে হবে।
- মূল আলোচ্য বিষয় কে দর্শকদের জানানো।
- Key notes ব্যবহার ও Content বিশ্লেষণ করার সময় Main topic গুলিকে দীর্ঘ ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া।
- Visual Aids ব্যবহার করা এবং পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা করা।
- উপস্থাপিত বিষয়গুলিকে সকলকে সম্মান করে আলোচনা পর্ব শেষ করতে হবে।
- উপস্থাপনের বিষয়টি একটি সারাংশ করতে হবে।
- বক্তার বক্তব্য উপস্থাপনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৫.৫. শ্রেণিকক্ষের ব্যবহার -
১.পরিকল্পনা স্তর -
এই স্তরে শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে মৌলিক উপস্থাপনা অনুষ্ঠানের জন্য পরিকল্পনা করবেন। প্রথমে বিষয় নির্বাচন করবেন, তারপর কোন কোন বিষয়টি কি কি বিষয়ে বলবে তা আলোচনার মাধ্যমে দিক নির্ণয় করবেন। প্রকল্প মৌখিক উপস্থাপনার জন্য কোন একটি দিন নির্দিষ্ট করা হয়।
২. সম্পাদন স্তর -
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত বিষয়টি সম্বন্ধে বক্তব্য পেশ করবে। শিক্ষক মহাশয় পুরো বিষয়টি পরিচালনা করবেন।
৩. মূল্যায়ন স্তর -
পরিশেষে শিক্ষক মহাশয় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভুল ত্রুটি এবং উৎসাহ দান করবেন।
৫.৬. মৌখিক উপস্থাপনের সুবিধা -
- শিহ্মার্থীরা অনেকের সামনে বলা বা উপস্থাপনের সাহস অর্জন করে।
- অনেকের সামনে ভালোভাবে কথা বলার আত্মবিশ্বাস অর্জিত হয়।
- শিক্ষার্থীর গৃহভাষা ও বিদ্যালয়ভাষা ছাড়া আদর্শ ভাষা শেখার সুযোগ জন্মায়।
- শ্রেণিকক্ষে সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ তৈরি হয়।
- শ্রেণিকক্ষে সবার স্বাভাবিকভাবে জড়তা দূর করা যায় না।
- অনেক সময় শিক্ষার্থীর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস অভাব দেখা যায়।
৬.১. ভূমিকা -
কোন নির্দিষ্ট বিষয় বিভিন্ন মতে দ্বারা কোনো আলোচনা চক্র কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া হল বিতর্ক সভা। এক্ষেত্রে পক্ষ-বিপক্ষ বক্তারা থাকেন ও বক্তব্য রাখেন। একাধিক ব্যক্তি পক্ষে ও বিপক্ষে অংশ নেয়। তারা ভিন্নধর্মী মতামত পোষণ করেন। শৃঙ্খলার আকারে সভাটি সম্পূর্ণ হয়।৬.২. বিতর্ক সভার উদ্দেশ্য -
- বিতর্কের মধ্যে দিয়ে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বহু জিনিসের সত্যি স্বরূপটি উদ্ভাসিত করতে শেখে।
- একই বিষয় নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষার্থীই যখন পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে আলোচনা করে তখন নিজেদের বিচার-বিশ্লেষণ অকপটে তুলে ধরেন এবং বিষয়টির নানান দৃষ্টিকোণ থেকে ধরা পড়ে।
- শিক্ষার্থীদের সাহস ও আত্মবিশ্বাস গুছিয়ে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতা বাড়ে।
- শিক্ষার্থীদের জ্ঞান শক্তি বৃদ্ধি এবং স্বাধীন বিচার শক্তির উজ্জীবিত হয়।
- শিক্ষার্থীদের কথা বলার দক্ষতা বাড়ে।
- বিশ্লেষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- উচ্চারণ করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
- পারস্পরিক আলোচনার দ্বারা কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়।
- তাৎক্ষণিকভাবে কোনো যুক্তি দ্বারা অপরের যুক্তিকে খন্ডন করা যায়।
৬.৪. বিতর্ক সভার পদ্ধতি -
কোনো বিষয়বস্তুকে ভালোভাবে অনুধাবন করার ক্ষেত্রে বিতর্ক সভার ভূমিকা রয়েছে। বিতর্ক সভার দ্বারা বিষয়বস্তু গভীরে পৌঁছে যাওয়া যায়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিতর্ক সভা আয়োজন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে শ্রেণি শিক্ষক বেশ কতকগুলি কার্যাবলী নিযুক্ত থাকবেন। তা হল -
- শিক্ষক মহাশয় বিতর্ক সভার Topic নির্বাচন করবেন।
- সামগ্রিক শ্রেণীটিকে বেশ কয়েকটি Group এ বিভাজন করবেন।
- প্রতিটি Group এ একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
- বিতর্ক সভার নিয়মনীতি গুলি শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবেন।
- বিতর্ক সভা চলাকালীন Time Management সম্পর্কে শিক্ষক মহাশয় জানিয়ে দেবেন।
- বিতর্ক সভায় যুক্তির অবতারণা করা এবং যুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘায়িত ব্যাখ্যা না করা।
- বিতর্ক সভায় নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা থেকে অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৬.৫. শ্রেণিকক্ষের ব্যবহার -
১. পরিকল্পনা স্তর -
এই স্তরে শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে বিতর্ক সভার অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করবেন। ক্রমিক প্রথমে শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীর সাথে আলোচনা করে বিতরকের বিষয় নির্ধারিত করবেন। বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে গেলে শিক্ষক পক্ষ এবং বিপক্ষ তালিকা তৈরি করবেন। শিক্ষার্থী বিতরকের বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করবেন। শিক্ষক সর্বশেষ একটি তারিখ নির্বাচন করবেন যেদিন বিতর্ক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২. সম্পাদন স্তর -
নির্বাচিত তারিখ অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে মধ্যে বিতর্ক সভা বসবে। শিক্ষক মহাশয় বিতর্ক সভা পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন। শিক্ষার্থীরা পূর্ব নির্বাচিত বিষয় অনুযায়ী পক্ষে এবং বিপক্ষে মতামত পোষণ করবে। নজর রাখতে হবে বিতর্ক সভায় গতি যেমন নির্ধারিত বিষয় থেকে ভিন্ন পথে অগ্রসর না হয়।
৩. মূল্যায়ন স্তর -
পরিশেষে শিক্ষক মহাশয় বিষয়টি সমাপ্তি ঘটবে নিজের বক্তব্য রেখে। শিক্ষক মহাশয় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেবেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষার্থীকে উৎসাহিত করবেন।
৬.৬. বিতর্ক সভার সুবিধা -
- শিহ্মার্থী নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
- শিহ্মার্থীর নেতৃত্বদানের মনোভাব সৃষ্টি হয়।
- Time Management সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি হয়।
- শিহ্মার্থী আত্মবিশ্বাসের সাথে ভাষা সাবলীলতা ও দহ্মতা আনার চেষ্টা বজায় রাখা।
- শিহ্মার্থী ভঙ্গিমা নিয়ন্ত্রনের দহ্মতা হয়ে ওঠে।
৬.৭. বিতর্ক সভার অসুবিধা -
- অনেক সময় শিক্ষার্থীর মধ্যে শালীনতা বোধ ভূলে যায়।
- শিহ্মার্থী ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমন করে বশে।
- অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বিতর্ক সভা চলাকালীন আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
- অনেক সময় শিক্ষার্থীরা বিতর্কের সময় যুক্তি ব্যাপারে সচেতনতা থাকে না।
৭. কথন দক্ষতা বিকাশে বাগ্মিতা -
৭.১. ভূমিকা -
সুবক্তা হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া হল বাগ্মিতা। অর্থাৎ কোনো বক্তব্যকে সুন্দর ভাবে জনসমহ্মে ফুটিয়ে তোলার প্রক্রিয়া হল বাগ্মিতা।বাকপটুত্ব অর্জন করলে খুব সহজে কোনো ব্যক্তি সাফল্য অর্জন করতে পারে।৭.২. বাগ্মিতায় উদ্দেশ্য -
- সঠিক ও সামঞ্জস্যভাবে বিভিন্ন প্রকার ধ্বনির উচ্চারণ স্পষ্টতা বজায় রেখে শ্রোতার কাছে বক্তব্য উপস্থিত করতে পারা।
- শ্রোতাগণের কাছে বক্তৃতার ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দ সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া।
- শ্রোতা বা শ্রোতাগণ এর গ্রহণ করছো সংগতি রেখে বক্তব্য বিষয় ও বক্তৃতার ব্যবহৃত ভাষা মান নির্ধারণ করা।
- অন্যের বক্তব্য শোনার আগ্রহ তৈরি করা।
- শিক্ষার্থীদের ভাষা শিখনের সর্বজনীন উদার মানসিকতার জন্ম হয়
৭.৩. বাগ্মিতায় গুরুত্ব -
- ব্যক্তি সুস্পষ্ট ও শক্ত হয়ে ওঠে।
- ব্যক্তি নিজের মনের কথা সুন্দরভাবে পরিবেশন করতে পারবে।
- বাগ্মিতায় অনুশীলনে শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
- উচ্চারণে স্পষ্টতা আসে।
- ব্যক্তি কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৭.৪. বাগ্মিতায় পদ্ধতি -
- বিষয় নির্বাচন-শিক্ষক মহাশয় বক্তব্য দানের বিষয় নির্বাচন করে দেবেন।
- সময় নির্ধারণ - একটি বিষয় এক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় দেয়া যায়।
- পদ্ধতিগুলির সম্পর্কে ধারণাদান - প্রত্যেকটি বিষয় তার মতো করে স্বতন্ত্র। ফলে কোন একটি কার্যক্রম শুরুর আগে পদ্ধতিটি কিভাবে হবে তার একটি ধারণা দিতে হবে।
- বিষয়বস্তুর অনুধাবন - যে বিষয়ে আলোচনা বিতর্ক হবে তাকে স্পষ্ট ভাবে বুঝতে হবে।
- নীতি নিয়মগুলি জানানো - যে নিয়ম মেনে বিতর্ক হবে সেগুলিকে আগে থেকে জানিয়ে দিতে হবে।
- সরল বিষয়বস্তুর উপস্থাপন - বিষয়বস্তুকে সহজে ও সরল ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
৭.৫. শ্রেণিকক্ষের ব্যবহার -
১. পরিচালনা স্তর -
এই স্তরে শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে বাগ্মিতা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করবেন। শিক্ষক মহাশয় প্রথমে বিষয় নির্বাচন করবেন তারপর কোন কোন বিষয়টিকে কি কি বিষয়ে বলবে তা আলোচনার মাধ্যমে দিক দেখাবেন। বাগ্মিতা অনুষ্ঠানের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করবেন।
২. সম্পাদন স্তর -
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত বিষয়টি সম্বন্ধে বক্তব্য পেশ করবে।
৩. মূল্যায়ন স্তর -
পরিশেষে শিক্ষক মহাশয় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভুল ত্রুটি গুলি ধরিয়ে দেবেন এবং ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবেন যাতে তারা এইরকম অনুষ্ঠানে আগ্রহী হয়।
৭.৬. বাগ্মিতায় সুবিধা -- কোনো বিষয় সম্পর্কে গভীর চিন্তন করা।
- শিহ্মার্থী নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে জনসমহ্মে বক্তব্য রাখার সাহস পায়।
- পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাস বহির্ভূত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়।
- ভাষা শিক্ষণে সার্বজনীন উদার মানসিকতার জন্ম হয়।
- ধীরে ধীরে অর্জিত হয় ভাষার সাবলীল ভাব ও দক্ষতা।
- শিক্ষার্থীর মধ্যে জড়তা বোধ থেকে যায়।
- আত্মবিশ্বাসের অভাব ঘটে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ।
- সকল শিক্ষার্থী সময় ব্যবস্থাপনা করে উঠতে পারে না
৮. কথন দক্ষতা বিকাশে আলোচনা -
৮.১. ভূমিকা -
অল্প সংখ্যক ব্যক্তির মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা কথাবার্তা বা মত বিনিময় করা হল আলোচনা। আলোচনা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সমবেত কথোপকথন বা মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে সমাধান সূত্র বের করে আসে।৮.২. আলোচনা উদ্দেশ্য -
আলোচনার উদ্দেশ্য গুলি হল -
- আলোচনা দ্বারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা মনোভাব জাগ্রত করা।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাধীন মত প্রকাশ ও আত্মবিশ্বাস কে জাগ্রত করে।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটানো সম্ভব।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক গুণাবলী বিকাশ ঘটানো সম্ভব।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুজনদের প্রতি আন্তরিকতা মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
৮.৩. আলোচনার গুরুত্ব -
- শিক্ষার্থীদের নিজস্ব চিন্তাধারা যথাযথ বিকাশ ঘটে ও মতামত প্রকাশের ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতা বিকশিত হয়।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিকতা বোধের বিকাশ ঘটে।
- ব্যবহারের উপযোগী ভাষার জ্ঞান লাভ ঘটে।
- শিক্ষার্থীদের কৌতুহল নিরসনের পাশাপাশি ভুলত্রুটি সংশোধন হয়।
- কথোপকথনে অংশগ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীরা ভয় ও লজ্জা দূর হয়ে যায়। তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
- শিক্ষার্থীরা পাঠের নিঃ সঙ্কোচ হয় ও পাঠের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি হয়।
৮.৪. আলোচনার পদ্ধতি -
এই পদ্ধতি সার্থক করে তুলতে হলে পূর্ব পরিকল্পনা মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে আলোচনাকে কার্যকরী করতে হলে আমাদের চারটি স্তরের অতিক্রম করতে হবে। যথা -
- প্রস্তুতি - আলোচনা পদ্ধতিতে প্রস্তুতি পর্ব অতি প্রয়োজনীয়। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উভয় আবশ্যক হলেও শিক্ষক হলেন প্রধান। মূলত শ্রোতা। সেই জন্য শিক্ষকের কতগুলি বিশেষ গুনের অধিকারী হতে হবে। যথা - প্রথমত, বিষয়বস্তু সম্পর্কে পাণ্ডিত্য লাভ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আজকের পাঠ আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক বা সহায়ক উপকরণ, উপাদানসমূহ নির্বাচন করা। তৃতীয়ত, শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা,নিয়মকানুন বজায় রাখা,আলোচনা উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা। চতুর্থত, শিক্ষার্থীদের বয়স অনুযায়ী শিখন সামর্থ্য বিবেচনা করে বক্তব্য রাখা দরকার।
- আলোচনা - এই পর্বে শিক্ষক মহাশয় পূর্বনির্ধারিত উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন। প্রথমেই বিষয়গত প্রশ্ন না করে বিষয়বস্তু সম্পর্কে খোলা ও খুশি মনে আলোচনা করে ধারণা দিয়ে প্রশ্ন করা দরকার।এই স্তরে পাঠদানের সময় উপকরণে সাহায্য নেওয়া দরকার। তারপর ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের সামনে বিষয়বস্তুর বোধগম্য করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।তবে এখানে শিক্ষার্থীদের নতুন বিষয় জানার কৌতূহল ও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছান আন্তরিকতা থাকলে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়ে উঠবে।
- সারসংক্ষেপ - আজকের আলোচনা বিষয়বস্তুর সারসংক্ষেপ করে বোর্ডে লিখে দেওয়া দরকার। তাছাড়া সহজ, সরল ভাষায় ছোট ছোট প্রশ্ন করে তার উত্তর বোর্ডে লিখে দিলে ভালো হবে।
- মূল্যায়ন - আজকের পার্টি শিক্ষার্থীদের কত খানি বুঝতে পেরেছে তা মূল্যায়ন করার জন্য শিক্ষার্থীকে ছোট ছোট প্রশ্ন করা হবে। তাই বিষয়বস্তু সম্পর্কে শিক্ষার্থীকে জ্ঞান, বোধ,প্রয়োগ ও দহ্মতা মূলক প্রশ্ন করা দরকার। এই পদ্ধতিতে তথ্য সমাহারে, উপস্থাপনে, প্রশ্নোত্তরের শিক্ষক সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন হবে যথেষ্ট সম্বৃদ্ধ।
৮.৫. শ্রেণিকক্ষের ব্যবহার -
১. পরিকল্পনার স্তর -
এই স্তরের শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে আলোচনা সভার অনুষ্ঠানের জন্য পরিকল্পনা করবেন। শিহ্মক মহাশয় আলোচনা সভায় বিষয় নির্বাচন করবেন এবং আলোচনায় কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তার একটি প্রাথমিক তথ্য শিক্ষার্থীদের দেবেন। আলোচনা সভার জন্য কোন একটি দিন নির্দিষ্ট করা হবে।
২. সম্পাদন স্তর -
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত বিষয়টি সম্বন্ধে বক্তব্য পেশ করবে। শিক্ষক মহাশয় পুরো বিষয়টি পরিচালনা করবেন।
৩. মূল্যায়ন স্তর -
পরিশেষে শিক্ষক মহাশয় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়ে দেবেন।
৮.৬. আলোচনার সুবিধা -
- সমস্ত শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে শিখন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।ফলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনুভব করতে পারে যে, সে শ্রেণীর একজন দায়িত্বশীল সভার সদস্য।
- এখানে আলাপ-আলোচনার সকল শিক্ষার্থীর স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ থাকায় তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত হয়।
- আলোচনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
- এই পদ্ধতিতে একত্রিত হয়ে কাজ করার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতা,সহনশীলতা,সহানুভূতি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ইত্যাদি মানবিক গুণাবলী বিকাশ ঘটে।
- আলোচনা পদ্ধতি শিহ্মার্থীদের মধ্যে নিম্নলিখিত সামাজিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটায়, যেমন- ক. দলীয় ঐক্য সৃষ্টি, খ। নেতা প্রতি আনুগত্য, গ। শৃঙ্খলা পরায়নতা, ঘ। পারস্পরিক সাহচর্য।
- এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন, যুক্তিতর্ক এবং বিশ্লেষণ দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
- এই পদ্ধতির ফলে শিক্ষার্থীর মনে শ্রেণিকক্ষে বদ্ধ আবহাওয়া দূর হয়।
- এই পদ্ধতি মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভাষা ব্যবহার উপযুক্ত হয়।
- সমস্ত শিক্ষার্থী আলোচনায় অংশ নিলেও তর্ক-বিতর্কে কোলাহলে সৃষ্টি হয়। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অনেক সময় অসুবিধাজনক হয়।
- আলোচনা পদ্ধতিতে অত্যাধিক সময় ব্যয় হয়।ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন বিষয়ে শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
- আলোচনা কক্ষে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি হলে শৃঙ্খলা রক্ষার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আলোচনায় কেবল মেধাবি শিক্ষার্থীরাই সক্রিয় অংশগ্রহণ নেয়। ফলে স্বল্প মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা হীনমন্যতায় ভোগে, ফলে তারা আলোচনায় অংশ নিতে কুণ্ঠাবোধ করে।
- এই পদ্ধতি পরিচালনার জন্য উপযুক্ত লাইব্রেরী যথেষ্ট শিক্ষা সহায়ক উপকরণ, মিউজিয়াম এবং উপযুক্ত দক্ষ শিক্ষকের প্রয়োজন যা সবক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।
৯. কথন দক্ষতা বিকাশে ব্রেন স্টমিং -
৯.১. ভূমিকা -
শিক্ষার্থীদের বহির্মুখী/অপসারী চিন্তন ক্ষমতাকে উৎসাহিত করার একটি পদ্ধতি হলো প্রক্রিয়ায়। শিক্ষককে কোন দলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে কিছু প্রশ্ন বা সমস্যা প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া ভিত্তিতে নতুন ধারণার উদ্ভব উৎসাহিত করা হয়।
৯.২. ব্রেন স্টমিং- এর উদ্দেশ্য -
৯.২. ব্রেন স্টমিং- এর উদ্দেশ্য -
- প্রাথমিকভাবে কোন কিছুতেই অনেকজনকে একসাথে নিবেশ করা।
- একসাথে সবাইকে একটি বিষয় ভাবতে শেখানো।
- একই সাথে সকলকে একই কাজে নিবিষ্ট করা।
- একই কাজে নিবিষ্ট করনের মধ্যে দিয়ে মনসংযোগ তৈরি করা।
- সত্যি অনেক জনকে একটি সমস্যা সমাধানের উৎসাহ দেওয়া।
- একই সমস্যা সমাধানে অনেক জনকে একসাথে পৃথক উপায় খোঁজার কাজে লাগানো।
- দীর্ঘদিন নিস্তেজ কোনো মস্তিষ্ক একটি বিমূর্ত সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহী করে সতেজ ও কর্ম উপযোগী করে তোলা।
৯.৩. ব্রেন স্টমিং-এর গুরুত্ব -
- শিহ্মার্থীর সৃজনশীল চিন্তার অবকাশ বৃদ্ধি ঘটায়।
- শিহ্মার্থী নানান সমস্যার নানান সমাধান খুঁজে বের করে পারে।
- বিশ্লেষণ শৈলী উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা বিকাশ সাধন করা।
৯.৪. ব্রেন স্টমিং- এর পদ্ধতি -
Step 1: এই প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রথমে একজন দলনেতা নথিভূক্ত কারক বা রেকর্ডার নির্ধারণ করা হয়। (শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেন)
Step 2 :সঠিকভাবে ব্রেন স্ট্রোক হবার জন্য নির্ধারিত সমস্যা বা ধারণাকে সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় শিক্ষার্থীদের নিকট।
Step 3 : নীতি প্রস্তুতিকরণ - (ব্রেনস্টমিং শুরুর পূর্বে এগুলি শিক্ষার্থীদের বলে দেয়া হয়)
• এই পদ্ধতিতে প্রত্যেক সদস্য অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করা হয়।
• কোনোশিক্ষার্থী অন্য কোনো সদস্যকে ব্যঙ্গ কটাক্ষ করতে পারবে না বা অন্যদের প্রতিক্রিয়াকে মূল্যায়ন করতে পারবে না,এটি নিশ্চিত করতে হবে।
• কোন উত্তরই ভুল নয়-এটি সুনিশ্চিত করা হয়।
• শিক্ষার্থীদের দেওয়া প্রত্যেকটি উত্তরকে রেকর্ড করা হয় পুনঃ উত্থাপন ব্যতীত।
• এর জন্য নির্দিষ্ট সময় পরিসর স্থির করা হয়।Step 4 : নীতি প্রস্তুতকরনের পরে ব্রেন-স্টর্মিং পর্ব শুরু করা হয়। রেকর্ডারের এই প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত সকল শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করা হয় লিখিত ভাবে যাতে সেটা সকলেই দেখতে পারে।
Step 5 : এই পর্ব শেষ হবার পরে ফলাফল নির্ণয় করা হয় এবং প্রতিক্রিয়াকে মূল্যায়ন কাজ করা হয়।
এভাবে ব্রেইন স্টর্মিং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
৯.৫. শ্রেণিকক্ষের ব্যবহার -
১. পরিকল্পনার স্তর -
স্তরে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের ব্রেনস্টমিং এর অনুষ্ঠানে জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। প্রথমে বিষয় নির্বাচন করবেন তারপর কোন কোন বিষয়টি কি কি বিষয়ে বলবে তা আলোচনার মাধ্যমে দেখাবেন। প্রকল্পটি জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন স্থির করবেন।
২. সম্পাদন স্তর -
এই স্তরে শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত বিষয়টি সম্বন্ধে বক্তব্য পেশ করবে।
৩. মূল্যায়ন স্তর -
সর্বশেষ শিক্ষক মহাশয় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভুল ত্রুটি গুলি ধরিয়ে দেবেন।
৯.৬. ব্রেনস্টমিং-এর সুবিধা -
১২. সামগ্ৰিক মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ -
শিক্ষার্থীদের শিখনের ক্ষেত্রে পঠন,লিখন,শ্রবণ ও কথন সবগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই উপাদান গুলির ছাড়া শিখন প্রক্রিয়ার অন্তর্গত সম্ভব নয়। শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে যে কোনো রকমের সমস্যা দূর করে সেগুলিকে বিকাশ ঘটানো খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে কথন দক্ষতা বিকাশ ঘটানোর একান্ত উপযোগী। এক্ষেত্রে শিক্ষক মহাশয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হয়। শিক্ষক মহাশয় সমগ্র বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করবেন এবং তাতে বেশি মনোযোগী হবেন।
১৩. উপসংহার -
আমরা দেখতে পেলাম ভাষা দক্ষতা বিকাশে কথন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কথা বলার একটি বিশেষ দিক হলো সুষ্ঠু উচ্চারণের ধনী ওঠা-নামা বজায় রেখে কথা বলার অভ্যাস তৈরি করানো। পরবর্তী জীবনে এই কৌশল ব্যক্তি মানুষকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
কথা বলার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা সম্ভব। কিন্তু শিক্ষার্থী সকলেই কথা বলার উৎসাহী হয়। শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের উচিত শিক্ষার্থীদের দুর্বলতাগুলোকে অনুসন্ধান করা এবং বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের উৎসাহিত করে তোলা। এতে তাদের ভয়, লজ্জাবোধ ও সংকোচ দূর করা হবে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ সাধন সম্ভব।
- এটি বুঝতে সহজ,এটি জটিল কৌশল নয়।
- প্রাথমিকভাবে কোনো কিছুতে অনেক জনকে এক সাথে নিবেশ করতে পারে।
- একই কাজে নিবিষ্ট করনের মধ্য মনঃসংযোগ তৈরি করে।
- একই সমস্যা সমাধানে অনেক জনকে এক সাথে পৃথক উপায়ে খোঁজার কাজে লাগানো।
- দীর্ঘদিন নিস্তেজ কোনো মস্তিস্কে একটি বিমূর্ত সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহী করে সতেজ ও কর্ম উপাযোগী করে তোলা।
- সকলেই সক্রিয়ভাবে মস্তিষ্কচর্চা অংশ নেয় না।
- অনেকসময় শ্রেনীকহ্মে কিছু অংশ গ্ৰহনকারী দল শান্ত ও স্বতস্ফুর্তভাবে কথা বলতে পছন্দ করে না।
- কিছু অংশ গ্ৰহনকারীদের দল বিষয়টি বোঝায় জন্য আরও বেশি সময় প্রয়োজন এবং তাৎহ্মনিকভাবে ধারণা প্রদান করতে পারে না।
- এটি মূলত গোষ্ঠীগত ধারণা, সম্পূর্ণ নিজস্ব ধারনা হয়।
- শিহ্মকের কথন ও ভাষাগত দহ্মতা প্রয়োজন, তা না হলে শিহ্মার্থী সঠিকভাবে শিখতে পারে না।
১০.শ্রেণিকক্ষে কথন দক্ষতা বৃদ্ধিতে শিক্ষকের ভূমিকা -
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথন দক্ষতা বিকাশের জন্য শ্রেণীতে আলাপচারিতা অনুশীলন করতে পারেন।
- শিক্ষার্থীদের সহজ ভাষায় কথা বলতে শেখানো।
- শিক্ষার্থীদের কথা বলার জন্য উৎসাহ প্রদান করা।
- শিক্ষার্থীদের উচ্চারণের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া এবং সঠিক উচ্চারণে সুস্পষ্টভাবে বলতে সহায়তা করা।
- শিক্ষক সুন্দর করে কবিতার আবৃত্তি করবেন এবং শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সহকারে আবৃত্তি শুনতে বলবেন। শিক্ষকের আবৃত্তির শেষে অনুরূপভাবে শিক্ষার্থীরা আবৃত্তি বলতে পারছে কিনা সেটি মূল্যায়ন করবে। এইভাবে শিক্ষার্থীদের কথন দক্ষতা বিকাশে শিক্ষক সহায়তা করতে পারে।
- শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের গল্প বলতে বলবেন এবং সম্পন্ন বলার সময় শিক্ষার্থীদের শব্দের উচ্চারণের ভাবভঙ্গি মা পর্যবেক্ষণ করবেন।
- শিহ্মক মহাশয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেষনা জানাবেন।
- শিক্ষক মহাশয় নিত্যনতুন পদ্ধতি ব্যবহারের দ্ধারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্ৰহ জানাবেন।
- শিক্ষক মহাশয় পরিকাঠামো গত উন্নতি ঘটানোর দ্ধারা শিক্ষার্থীদের মনে আকর্ষণ বাড়াবেন।
- শিক্ষার্থীদের কাজে অংশ গ্ৰহন করাতে শিক্ষক মহাশয় Co-Curricular Activities বা সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীর ব্যবহার করবেন।
- শিক্ষার্থীদের সুবক্তা হওয়ার চেষ্টা করে হবে।
- বিষয়ে দক্ষতা জ্ঞানের সাথে ভাষা দক্ষতা জ্ঞান অর্জনে এগোতে হবে।
- শিহ্মার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বলার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের ভাষা নির্বাচন ক্রমশ দহ্ম হতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে জড়তা ও লজ্জাকে দূর করতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের গভীর চিন্তন ও মনোযোগী হয়ে উঠতে হবে।
- শিক্ষার্থী নিজেকে সাহস ও আত্মবিশ্বাস কে বৃদ্ধি করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের শিখনের ক্ষেত্রে পঠন,লিখন,শ্রবণ ও কথন সবগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই উপাদান গুলির ছাড়া শিখন প্রক্রিয়ার অন্তর্গত সম্ভব নয়। শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে যে কোনো রকমের সমস্যা দূর করে সেগুলিকে বিকাশ ঘটানো খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে কথন দক্ষতা বিকাশ ঘটানোর একান্ত উপযোগী। এক্ষেত্রে শিক্ষক মহাশয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হয়। শিক্ষক মহাশয় সমগ্র বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করবেন এবং তাতে বেশি মনোযোগী হবেন।
১৩. উপসংহার -
আমরা দেখতে পেলাম ভাষা দক্ষতা বিকাশে কথন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কথা বলার একটি বিশেষ দিক হলো সুষ্ঠু উচ্চারণের ধনী ওঠা-নামা বজায় রেখে কথা বলার অভ্যাস তৈরি করানো। পরবর্তী জীবনে এই কৌশল ব্যক্তি মানুষকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
কথা বলার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা সম্ভব। কিন্তু শিক্ষার্থী সকলেই কথা বলার উৎসাহী হয়। শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের উচিত শিক্ষার্থীদের দুর্বলতাগুলোকে অনুসন্ধান করা এবং বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের উৎসাহিত করে তোলা। এতে তাদের ভয়, লজ্জাবোধ ও সংকোচ দূর করা হবে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ সাধন সম্ভব।
CLICK HERE -