Creating Awareness Among SC/ST Students About Various Schemes And Scholarships Available To Them

Creating Awareness Among SC/ST Students About Various Schemes And Scholarships Available To Them

Creating Awareness Among SC/ST Students About Various Schemes And Scholarships Available To Them

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Creating Awareness Among SC/ST Students About Various Schemes And Scholarships Available To Them Practicum
Creating Awareness Among SC/ST Students About Various Schemes And Scholarships Available To Them

**(ENGLISH VERSION BELOW THE ARTICLE BY PDF)

BENGALI VERSION -

1. ভূমিকা -

ভারতবর্ষ হল একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। এখানে নানা ধর্ম, সম্প্রদায়,জাতি ও উপজাতির লোকেরা বসবাস করে। ভারতবর্ষে আর্যরা আসার আগে যারা বসবাস করত তাদের 'অনার্য' নামে পরিচিত।আর্য সমাজের বর্ণাশ্রম প্রথা প্রথম চালু হয়।এই বর্ণাশ্রম প্রথাতে মানুষকে বর্ণের ভিত্তিতে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল।১.ব্রাহ্মণ, ২.ক্ষত্রিয়,৩.বৈশ্য,৪.শূদ্র।শূদ্ররা সমাজের সবচেয়ে নিচু স্থানে বসবাস করত,এদের অস্পৃশ্য জাতি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং যে সকল অনার্যরা ছিল তাদের ভারতীয় উপমহাদেশে উপজাতি নামে পরিচিত হয়। 

           মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, কিছু কিছু মানুষ তার প্রতিভা ও ক্ষমতা বলে অন্যের থেকে এগিয়ে এসেছে এবং সমাজের অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতা ভোগ করছেন। কিন্তু অন্যরা এই সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কাল ক্রমে ও বংশ পরম্পরায় এই দ্বিতীয় গোষ্ঠীভুক্ত মানুষেরা পিছিয়ে থাকছেন এবং ধীরে ধীরে সমাজের মধ্যে পশ্চাৎপদ শ্রেণী হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

                তবে আধুনিক যুগে এসেও আর্য সমাজে বর্ণ হইতে মুক্তি পায় নি। ইংরেজ আমল হইতে এখনো তপশিলি জাতি ও উপজাতিরা সমাজের বহির্ভূত হিসাবে পরিচিত। ভারতীয় সংবিধান রচনার পর এরা আইনি স্বীকৃতি পায়,তবে তার আগে সমাজ থেকে, আইনগত সবদিক থেকে এরা তিরস্কৃত,শোষিত এবং অত্যাচারিত হয়ে এসেছে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এরা বঞ্চিত হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান আইনের সুযোগ সুবিধাগুলি স্বীকৃতি পায় এবং সংরক্ষণের দ্বারা এদের গুরুত্ব প্রদান করা হয়।

2. ভারতীয় সমাজে পশ্চাৎপদ গোষ্ঠী -

ভারতীয় সমাজে পশ্চাৎপদ গোষ্ঠীর মানুষদের প্রধান ৩টি শ্রেনীতে চিহ্নিত করা হয়।- 

১.তপশিলি জাতি।

২.তপশিলি উপজাতি।

৩.অন্যান্য পশ্চাৎপদ জাতি।

তপশিলি জাতি -

দলিত শব্দটি ইংরেজি পরিভাষা হল "Depresed." ব্যুৎপত্তি গত ভাবে দলিত শব্দটি এসেছে দলন থেকে, যার অর্থ বলপূর্বক কাউকে দমিয়ে রাখা বা কাউকে গায়ের জোরে বস মানিয়ে উপরে উঠতে না দেওয়া। দলিত বা তপশিলি জাতি ব্যবস্থায় সব থেকে নিচে দলিতদের স্থান বর্ণাশ্রম প্রথার ছিল।এই বর্ণাশ্রম ব্যবস্থার এদের সম্পূর্ণ বাইরে ধারা হত, এই কারণে দলিতদের "Out caste" বা "Abarna" বা "pancham varhna" বলে অভিহিত করা হয়েছে।সাধারণত মুচি,মেথর, ঝাড়ুদার, চামার,কসাই প্রভৃতি পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। দলিত সম্প্রদায়ের মানুষেরা সমাজের উচ্চবর্ণ মানুষের কাছে এই সমস্ত কাজ ছিল নোংরা কাজ বা দূষিত কাজ। এই কারণে এদের "অস্পৃশ্য জাতি" হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ঘনশ্যাম শাহ বলেছেন যে, "Traditionaly,in the Hindu social order,they (Dality) are placed at the bottom of the hierarchy, considered ati- shudras or Avarna ,and are treated as untouchables."

     ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে অস্পৃশ্যদের 'দলিত শ্রেণীর' বলে ডাকা হতো। 1935 সালে ভারত শাসন আইন এই সমস্ত লোকদের অথবা দলিত শ্রেণীর বাহিরের জাতি কিছু বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। যাতে বিভিন্ন অস্পৃশ্য জাতিদের সম্মিলিত করা হয় আর এই তালিকায় যে সমস্ত জাতিকে রক্ষা হয়েছে এদেরকে সরকারি পরিভাষায় আইনসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে "তপশিলি জাতি" বলা হয়েছে।তপশিলি জাতি সংবিধানে কোনো সংজ্ঞা উল্লেখিত নেই।এদেরকে কেবল মাত্র নিম্ন বর্ণের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের সম্পর্কে সংবিধানের 341 নং ধারায় কথা বলা হয়েছে।বর্তমানে প্রশাসনিক পরিভাষা বলতে আমরা সাধারণভাবে তাদের তপশিলি জাতি হিসাবে গণ্য করা হয়।

বিস্তৃত অর্থে তপশিলি জাতির ধারণার সূচনা হয়েছে, স্বাধীন ভারতের গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে। 

এক নজরে দলিত জনগোষ্ঠীর - 

১.সংকীর্ণ অর্থে -   

হিন্দু চতুর্বর্ণ ব্যবস্থায় একেবারে নিম্নস্তরের এবং তারা বাহিরের অতি শূদ্র ও অন্যান্য জনগণ।

২. বৃহৎ অর্থে - 

আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে শোষিত সমাজের প্রান্তিক নারী,শিশু,বৃদ্ধ তপশিলি জাতি,তপশিলী উপজাতি ও সংখ্যালঘু আদিবাসী জনগোষ্ঠী।

৩. ঐতিহাসিক অর্থে - 

অপবিত্র,স্বেচ্ছ,চন্ডাল অদ্ভুত অসৎ অসৎ অচ্ছ্যুত,অন্ত্যজ,হরিজন সম্প্রদায়।

৪. সাংবিধানিক অর্থে -

তপশিলি জাতি ও উপজাতি অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের কিছু অংশ। 

৫. আদমশুমারি অনুসারে -

ভারতের প্রায় 17 কোটি জনগণ।

৬. আধুনিক অর্থে -

দলিল পরিচিত প্রদানকারী শিক্ষিত চেতনাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী।

৭. রাজনৈতিক অর্থে -

নিম্নবর্গীয় আন্দোলন ও অর্থনৈতিক সুবিধা লাভের আশায় নিহিত সচলায়িত গোষ্ঠী। 

৮. অর্থনৈতিক অর্থে -

অর্থনৈতিক দিক থেকে পশ্চাৎপদ ও দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী অধিকাংশ জনগণ।

৯. গান্ধীবাদী মতে -

হরিজন সম্প্রদায়ের

১০. মার্কসবাদী  মতে -

শ্রেণি সচেতন কৃষক,কৃষি শ্রমিক,দিনমজুর,ছাত্র এবং অন্যান্য সমপর্যায়ের পেশাগত গোষ্ঠী।

তপশিলি উপজাতি - 

তপশিলি জাতির মতো তপশিলি উপজাতির বা আদিবাসী উপজাতির সংজ্ঞায় সংবিধানে উল্লেখ নেই। এখানে বলা হয়েছে সংবিধানের 366(25) নং ধারায় মাননীয় রাষ্ট্রপতি যাদের উল্লেখ করেছেন তারা Tribes বা Tribal(আদিবাসী বা উপজাতি) বলে গন্য হবে, এদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হল -

  • প্রথমদিকে মানুষের বৈশিষ্ট্য।
  • পৃথক সংস্কৃতি। 
  • ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা
  • অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনগণের কাছে যাতে অনিচ্ছা
  • পঞ্চম পশ্চাৎপদতা 

3. তপশিলি জাতি ও উপজাতির সংরক্ষণের উদ্দেশ্যাবলী -

১. অগ্ৰসরতা

তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের সমস্ত অনগ্রসরতা দূর করার জন্য তাদের অন্যান্য অগ্রসর সম্প্রদায়ের সমপর্যায়ভুক্ত করা।

২. শিহ্মার প্রয়াস - 

তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য শিক্ষার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শিক্ষা দ্বারা এই জাতির সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে।

৩. ভোটের অধিকার -

পশ্চাৎপদতা অন্যতম কারণ 'পশ্চাৎপদ গোষ্ঠীর ব্যক্তিদের হীনমন্যতা' দূরীকরণে বড়ো ভূমিকা নিয়েছে বর্তমানে ১৮ বৎসরের উপরে সর্বজনীন ভোটাধিকার। জাতি-ধর্ম-বর্ণ অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে পুরুষ ও নারী উভয়ই নিজেদের শাসন করার জন্য সমানভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।

৪. শিক্ষার ক্ষেত্রে সংরক্ষণ - 

শিক্ষার ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের বিশেষ সংরক্ষন দেওয়া হয়। যাতে তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো প্রবেশ করতে পারে।

৫. চাকুরির ক্ষেত্রে সংরক্ষন - 

সর্বভারতীয় চাকরিতে তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায় যুবক যুবতীদের সংরক্ষন দিয়া হয় যাতে তাদের অগ্ৰসরতা বিকাশ পায়।

৬. আর্থিক সহায়তা - 

তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায় ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় যাতে তাদের অগ্রসর সম্প্রদায়ের সমপর্যায়ে আসতে পারে।

৭. আত্মমর্যাদা ও সম্মান বোধ -

তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের বিকাশ করার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যই হলো তাদের মধ্যে আত্মমর্যাদা ও সম্মান বোধ গড়ে তোলা।

৮. সামাজিক নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার - 

তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিকভাবে নিরাপত্তা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার আওতায় আনা।

৯. সাংস্কৃতিক দিক - 

বিশাল ভারতে বিভিন্ন জাতি ও উপজাতির রয়েছে। স্বাধীন ভারতে প্রধান ভাষাগুলি ছাড়া বহুসংখ্যক স্থানীয় ও উপজাতি ভাষাকে বিদ্যালয় পাঠক্রম এর মাধ্যমে হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে যেমন পশ্চিমবঙ্গের সাঁওতালি ভাষা, ত্রিপুরা ও আসামের কক্বরক ভাষা,ঝাড়খন্ডে কুর্মালি ভাষা। এই সমস্ত ভাষাকে এবং এই সমস্ত জাতির সাংস্কৃতিক দিক কে সংরক্ষণ করা এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

১০. বৃত্তি প্রদান করা - 

তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন এর সময় এবং ভবিষ্যতে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এই সম্প্রদায়ের সার্বিক বিকাশের একটি অন্যতম দিক।

১১. ঐক্য ও সংহতি - 

তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

4. তপশিলি জাতি ও উপজাতির স্বার্থে সাংবিধানিক রহ্মা কবচ - 

ভারতবর্ষে দীর্ঘ প্রায় দুইশত বছর বিদেশে শাসনের অধীনে থাকার পর বিগত ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা লাভের পর সংবিধান প্রণেতা গণ ভারতীয় সমাজের পশ্চাৎপদ অংশের উন্নয়নের সমস্যাগুলি অনুধাবন করে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ ব্যবস্থা করেছেন। সংবিধানের যে সমস্ত বিভিন্ন ধারায় বর্ণিত রয়েছে সেগুলি হল -

  • সংবিধানের 15(2) নং ধারা - সম্পূর্ণ বা অংশত সরকারি অর্থে তৈরি হোটেল-রেস্তোরাঁ,দোকান ইত্যাদিতে যেমন তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ব্যক্তিদের অবাধ প্রবেশ অধিকার দেওয়া হয়েছে, তেমনি জনসাধারণের জন্য তৈরি পুকুর,কুয়ো রাস্তাঘাটও শর্ত নিরপেক্ষভাবে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ব্যক্তিদের ব্যবহার করতে পারবে।
  • সংবিধানের 16(4 ও 4A) ও 335 নং ধারা - চাকুরী ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • সংবিধানের 17 নং ধারা - অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ এবং যে কোনো ভাবে এর প্রতিরোধ করা।
  • সংবিধানের 19 নং ধারা - সকল ভারতীয় নাগরিকের দেশের সর্বত্র স্বাধীন যাতায়াতে এবং দেশের যে কোনো স্থানে সম্পত্তি ক্রয় করে বসবাস করার অধিকার আছে। 
  • সংবিধানের 46 নং ধারা - রাজ্য সমাজের আর্থিকভাবে ও শিক্ষার দিক থেকে দুর্বলতর শ্রেণীর মানুষ,বিশেষ করে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে। এদের সামাজিক অবিচার ও শোষণ থেকে রক্ষা করা হবে।
  • সংবিধানে 244 এবং 244 নং ধারা - কিছু রাজ্যের তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শাসনব্যবস্থা পরিচালনায় বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই অনুচ্ছেদে।
  • সংবিধান 275(1) নং ধারা - এই অনুচ্ছেদে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের সুবিধার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা কথা বলা হয়েছে। 
  • সংবিধানের 338 নং ধারা - তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য জাতীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। 
  • সংবিধানের 340 নং ধারা - সমাজের অবস্থা ও শিক্ষার দিক থেকে অনুন্নতদের চিহ্নিতকরণের জন্য রাজ্যেকে বিশেষ কমিশন নিযুক্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
  • সংবিধানের 341 ও 342 নং ধারা - বিশেষ জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে তপশিলি জাতি ও উপজাতি চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে। 
  • সংবিধানের পঞ্চম তফশিলে তপশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় শাসন ও নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। 
  • সংবিধানের ষষ্ট তফশিলে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা,মিজোরামের মতো তপশিলি উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের শাসন ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।

5. তপশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য চাকরি বা পদ বিশেষ ব্যবস্থা - 

সংবিধানের 366(24) নং ধারায় তপশিলি জাতি ও 366(25) নং ধারায় তপশিলি উপজাতির বলতে কী বোঝায় তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি কর্তৃত্ব সরকারি বিজ্ঞপ্তি হিসাবে প্রচারিত তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের তালিকায় পার্লামেন্টের নতুন জাতি বা উপজাতির নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারে,আবার কোনো নাম বাদও দিতে পারে।ভারতের সংরক্ষণ মূলক বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভিত্তি হল অনগ্রসরতা আবার অনগ্ৰসর শ্রেণীর স্বার্থের সংরক্ষণ বলতে মূলত তপশিলি জাতি ও উপজাতির কথাই বোঝায়। সংবিধানের ষোড়শ অংশে কতিপয় শ্রেনীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। কতিপয় শ্রেনি বলতে তপশিলি জাতি ও উপজাতি এবং ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের কথাই বলা হয়েছে। সংবিধানের ষোড়শ অধ্যায় 330 হইতে 342 এই 13টি ধারায় তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা উল্লেখ রয়েছে।

          তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি চাকরি বা পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। তবে শাসনকার্য পরিচালনা দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি চাকরিতে এরকম সংরক্ষণ মূলক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে(335 নং ধারা)।অর্থাৎ এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা শর্তসাপেক্ষ।সংবিধানে ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের জন্য চাকরি সংরক্ষণের সময়সীমার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।কিন্তু তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য কি পরিমাণে চাকরি সংরক্ষিত থাকবে বা সংরক্ষণের মেয়াদও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় নি।তবে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে যতদিন এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীগুলি আর্থিক ও শিক্ষাগত বিচারের অন্যান্য ভারতীয়দের সমপর্যায় ভুক্ত না হচ্ছে ততদিন এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু থাকবে অর্থাৎ অনগ্ৰসরতার ভিত্তিতেই এই সময় সীমা নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে সরকারির নীতি অনুসারে প্রতিযোগিতা মারফত সর্বভারতীয় চাকরির ক্ষেত্রে শতকরা 35 ভাগ তপশিলি জাতিদের জন্য এবং শতকরা 7.5 ভাগ তপশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।কিন্তু যে সমস্ত সর্বভারতীয় চাকরিতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিয়োগের করা হয় না,সেই সমস্ত ক্ষেত্রে তপশিলি জাতিদের জন্য 16.5 ভাগ এবং তপশিলি উপজাতিদের জন্য 7.5 ভাগ চাকরি বা পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।স্থানীয় ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি ও উপজাতির গুলিকে জনসংখ্যা আনুপাতিক হারে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়।1990 খ্রিস্টাব্দে 7 ই আগস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং সংসদে ঘোষণা করেন যে,সামাজিক ও শিক্ষাগত ভাবে অনগ্রসর শ্রেণী গুলির জন্য এখন থেকে শতকরা 27 ভাগ পদ সংরক্ষিত থাকবে।কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারে অধিকৃত সকল দপ্তর ও সংস্থার ক্ষেত্রে এই সংরক্ষণ প্রযোজ্য হবে।প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং এর ঘোষণা অনুযায়ী মন্ডল কমিশন প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়সের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ও এদের জন্য সংরক্ষণ মূলক ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি চাকরি প্রদানের হ্মেত্রে তপশিলি জাতির এবং উপজাতিদের সাধারণভাবে নির্দিষ্ট বয়সের সীমা 5 বছর শিথিল করা হয়ে থাকে। তপশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য চাকরি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্ গুলিও এই সমস্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করে।

6. তপশিলি জাতি ও উপজাতির শিক্ষা সংক্রান্ত বিশেষ ব্যবস্থা - 

তপশিলি জাতি -

ভারতে তপশিলি জাতিদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের স্বাধীনতার আগেই শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতার পর এই বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।সেগুলি হল -

  • তপশিলি জাতির শিশুদের শিক্ষার জন্য দেশের তপশিলি জাতি প্রধান অঞ্চলগুলিতে পৃথক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে।কিন্তু এই বিদ্যালয়গুলিতে তপশিলি জাতির শিশুরা নিজ নিজ গোষ্ঠীর শিশুর ছাড়া অন্যান্য শিশুদের সাথে মেলামেশার সুযোগ পায় না।তাই এই ধরনের বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ বর্তমানে বন্ধ করা হয়েছে।
  • সাধারণ শিক্ষাশয় গুলিতে তপশিলি জাতিদের শিক্ষার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থার করার এবং সাধারণ বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের সুযোগ পাচ্ছে।ফলে তারা সকলের সঙ্গে স্বাধীনভাবে মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ছে।তারা সমাজ এবং জাতীর জীবনে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেছে।
  • তপশিলি জাতিদের মধ্যে শিক্ষা সম্প্রসারনের উদ্দেশ্যে শিক্ষার সকল স্তরে বৃত্তিবাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত এই বৃত্তিদান করে রাজ্য সরকারগুলি আর উচ্চ শিক্ষা স্তরে এই প্রদানের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের।
  • কোনো কোনো ক্ষেত্রে এদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করা হয়েছে।বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও অন্যান্য খরচ চালানোর জন্য সরকারি সাহায্য বা অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • এই শ্রেনীভুক্ত ভুক্ত শিশুদের মধ্যে যাতে তাদের সমাজের কু-প্রভাব না পড়তে পারে তাই ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা করা রয়েছে।সেগুলি ব্যয় ভার বহন করে সরকার।
  • বর্তমানে চাকরির ক্ষেত্রেও তপশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষণের নীতি অনুসরণ করা হয়। ফলে তারা সমাজের মূল স্রোতে থেকে সঙ্গে মেশার সুযোগ পাচ্ছে।
উপরোক্ত ব্যবস্থাগুলি গ্রহণের ফলে, তপশিলি জাতিভুক্ত মানুষদের মধ্যে সামাজিক গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে,তারা এখন ভারতীয় সমাজে বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।

তপশিলি উপজাতি -

স্বাধীনতার পূর্বে ভারতবর্ষে তপশিলি উপজাতিদের শিক্ষার কোন বিকল্প ব্যবস্থায় ছিল না।স্বাধীনতার পর ভারত সরকার বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উপজাতিদের শিক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।যেমন -

  • তপশিলি উপজাতি ভক্ত বয়স্করা তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চান না কারণ এই শিশুরা খুবই অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন কাজে পিতা-মাতা সাহায্য করে এবং পারিবারিক পেশা প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে।তাই বর্তমানে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল গুলিতে বিদ্যালয়ের সময়কাল ও ছুটি ইত্যাদি তাদের সমাজের চাহিদা অনুযায়ী পূণ বিন্যাস করার স্বাধীনতা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে দেওয়া হয়েছে। 
  • উপজাতির শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষার প্রভাবে তাদের গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিতে পারে সেজন্য বিশেষ ধরনের আবাসিক আশ্রম বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।এই বিদ্যালয় গুলিতে সাধারন শিহ্মার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
  • উপজাতিরা সাধারণত লোকালয় থেকে দূরে বাস করে।উপজাতিদের মধ্যে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য এই দুর অঞ্চলে ও অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন নতুন বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
  • সাধারণ শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে তপশিলি উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।যাতে তাদের বেশি করে শিক্ষার আওতায় আনা যায়।
  • দীর্ঘদিনের সামাজিক অবহেলার ফলে এই শ্রেণীভূক্ত মানুষদের মধ্যে কতগুলি এমন স্থায়ী বৈশিষ্ট্য গড়ে উঠেছে।যে তারা সহজভাবে সাধারণ অবস্থা সঙ্গে অভিযোজন করতে পারছে না।তাই তাদের ব্যক্তিগত সাহায্যের প্রয়োজন।এই ব্যক্তি গত সাহায্যের জন্য জাতীয় সরকারের কতগুলি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।যেমন - ১.বিদ্যালয়গুলিতে অবৈতনিক কোচিং ক্লাসের ব্যবস্থা ২.প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় সফলতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্ৰহন করেছে। 
  • উপজাতি ভুক্ত বয়স্কদের শিক্ষার জন্য নতুন নতুন বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।সেখানে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়।এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হয়।
  • উপজাতিদের মধ্যে শিক্ষা সম্প্রসারনের কাজকে আরো সহজ করার জন্য তাদের নিজস্ব ভাষা ও লিপিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা ব্যবস্থা করা হয়েছে।শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে অনেক ক্ষেত্রে উপজাতির ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।তাদের নিয়ে গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজাতির নিয়ে গবেষণা মূলক কাজে উৎসাহ দান করা হচ্ছে।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপজাতিদের কিছু ভাষার (অলচিকি ভাষা) শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

7. তপশিলি জাতি ও উপজাতির শিক্ষা সংক্রান্ত সুপারিশ -

1986 খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা নীতি এবং তপশিলি জাতি শিক্ষা ব্যবস্থা -

নয়া শিক্ষানীতির মূল বক্তব্য হল শিক্ষা সর্বস্তরের তপশিলি জাতি ও উপজাতির অন্তর্ভুক্ত শিশুদের বিশেষ সুবিধা দিতে হবে। এদের অগ্রগতির জন্য কয়েকটি কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে। যেমন -

  • 14 বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের যাতে নিয়মিত বিদ্যালয় পাঠানো হয় তার জন্য পরিবারগুলিকে উৎসাহ দান।
  • ঝাড়ুদার,শ্মশানকর্মী প্রভৃতি শ্রেণীর পরিবারের শিশুদের প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সকলের জন্য বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • এই সমস্ত শিশুদের শিক্ষার মান যাতে নেমে না যায় সে জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং তাদের বিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যবস্থা করার প্রয়োজন।
  • তপশিলি জাতি থেকে এদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
  • এর জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা করা দরকার।
  • তপশিলি শ্রেণীর জনগণের সুবিধামতন স্থানে বিদ্যালয়ের শিশুদের অঙ্গন এবং বয়স্ক শিক্ষা সংস্থা গুলি প্রতিষ্ঠিত করা দরকার।
তপশিলি উপজাতির শিহ্মা ব্যবস্থার সুপারিশ -

কোঠারি কমিশন -

তপশিলি উপজাতিদের জন্য কোঠারি কমিশনের সুপারিশ গুলি হল -

  • যাযাবর ও অর্ধ যাযাবর শ্রেণীর জন্য শিক্ষার সুযোগ আরো বৃদ্ধি করা দরকার।
  • উপজাতিদের মধ্যে যাতে উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার ঘটে তার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
  • বৃত্তি ও কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার জন্য উপজাতি ছাত্রদের আরো বেশি বৃদ্ধি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • উপজাতি দের উন্নতি করার জন্য একটি সংগঠন তৈরি করতে হবে সেখানে প্রথমদিকে উপজাতি নয় এমন অভিজ্ঞ ও শিক্ষিত ব্যক্তি থাকবেন।ধীরে ধীরে শিক্ষিত উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই সংগঠনটি পরিচালনা করবেন।উচ্চ মেধা সম্পন্ন উপজাতিদের যুবকদের বিভিন্ন অনুন্নত এলাকায় কাজের জন্য পাঠাতে হবে।
  • শিক্ষার দ্রুত প্রচারের জন্য শিক্ষা সহায়ক উপকরণ গুলি উপজাতিদের ভাষা তৈরি করতে হবে।
1986 খ্রিস্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতি ও তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায় -

  • তপশিলি উপজাতি এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
  • আদিবাসীদের ভাষা ও বহু সংখ্যক আবাসিক বিদ্যালয় ও আশ্রম বিদ্যালয় ঐ সমস্ত এলাকায় তৈরি করতে হবে।
  • তপশিলি উপজাতি প্রয়োজন ও জীবনধারণের প্রয়োজন এর দিকে লক্ষ রেখে কারিগরি শিক্ষা দিতে হবে কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিশেষ বৃত্তি দিতে হবে এদের শিক্ষা ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতার আছে বিশেষত সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দিতে হবে।
  • এলাকায় অঙ্গনবাড়ি কার্যক্রম প্রথা বহির্ভূত শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • শিক্ষার সর্বস্তরে পাঠক্রম এমন ভাবে যাতে তপশিলি উপজাতিদের কৃষ্টি সম্পর্কে সচেতন জাগ্রত হয় ও সম্ভাব্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে।
  • মেধা যুক্ত সম্ভাবনাপূর্ণ তপশিলি উপজাতি যুবকদের নিজেদের এলাকায় শিক্ষকতা করার উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

8. ভারতীয় তপশিলি জাতি ও উপজাতির ছাত্রবৃত্তি -

মেধাবী ও আর্থিক ভাবে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বিভিন্ন বৃত্তির সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে।এমনকি অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা জাতীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ গুলি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

A. Meritrum Means scholarship scheme - 

এই বৃত্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অন্তত 75 শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে এবং অভিভাবকদের বার্ষিক আয় 80000 কম হতে হবে।এককালীন 12000 টাকা দেওয়া হয়, যা Swami Vivekananda scholarship scheme West Bangal দেওয়া হয়।

B. Chief minister Scholarship scheme -

মাধ্যমিকে অন্তত 50 শতাংশ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে 60. শতাংশ শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নাম্বার পেলে এবং পারিবারিক 60000 মধ্যে থাকতে হবে।এছাড়া তপশিলি জাতি উপজাতি ও পশ্চাৎপদ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের pre-matric এবং Post matric scholarship scheme প্রদান করা হয়।post-matric scholarship scheme এর জন্য মাধ্যমিক 60% এবং উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা উত্তরকন্যা নামক বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া পঞ্চম হতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

C. National Scholarship scheme - 

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রদান করা হয় সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এমনকি এলআইসি মতো প্রভৃতি সংস্থাগুলো থেকেও বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে তপশিলি জাতি উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।

D. Ministry of Minority - 

ভারতের মুসলিম,শিখ,খ্রিষ্টান প্রভৃতি সম্প্রদায় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।

E. অন্যান্য - 

এছাড়াও Karnatarca scholarship scheme,Assam Scholarship scheme,Jhankhans-c-Kalyan scholarship scheme, এছাড়াও Indian Oil সংস্থা থেকে Indian oil and Natural Gas Corporation Scholarship scheme গুলি প্রস্তাবিত হয়।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কন্যাশ্রী,ঐক্যশ্রী,যুবশ্রী মতো স্কলারশিপ ব্যবস্থা করা হয়েছে।এবং Student credit card মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

9. উপসংহার - 

পরিশেষে মন্তব্য করা যায় যে,তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায় মতো পশ্চাৎপদ সম্প্রদায়ের জন্য সংবিধান ধারা আইনে রক্ষাকবচ রয়েছে।এদের অগ্রসর এবং উন্নতি একান্ত প্রয়োজনীয়।তবে বর্তমানে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের সংরক্ষণের আইনটিকে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ যাদের দরকার নেই তারা এই তপশিলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ের মাধ্যমের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যে সমস্ত তপশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত জনগণ রয়েছে তারা এই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুযোগ হলেও তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জনগণের শিক্ষার উন্নতির জন্য বিভিন্ন ধরনের সরকারি এবং বেসরকারি স্তরে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি করার হচ্ছে। এই ধরনের জনগণের শিক্ষা উন্নয়ন করা দরকার।তবে এখনো প্রত্যাশিত নয় বিশেষ করে মহিলাদের জাতি উপজাতি দের উন্নতি দরকার।

 ENGLISH VERSION PRACTICUM- CLICK HERE 



Post a Comment (0)
Previous Post Next Post