Cleanliness is and around the campus and beautification

Cleanliness is and around the campus and beautification

Cleanliness Is And Around The Campus And Beautification

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Community Based Activists - Cleanliness is and around the campus and beautification


(*** ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW ARTICLE BY PDF FORMAT)

Cleanliness is and around the campus and beautification

Bengali Version -

1. ভূমিকা -

বিদ্যালয় প্রাথমিক স্তম্ভ হল শিক্ষার্থী,শিক্ষক,পাঠক্রম ও মূল্যায়ন,কিন্তু শুধুমাত্র এগুলির সাহায্যে শিক্ষার কাজ চলতে পারে না।একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানে মতো পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য একান্তভাবে প্রয়োজন বিদ্যালয়ের সুন্দর ও উপযোগী বাতাবরন।শিখন অনুকূল বাতাবরণ বলতে বোঝায় যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সুন্দর ও সুসজ্জিত বিদ্যালয় গৃহ থেকে উপযুক্ত কহ্মসমুহ শিক্ষার্থীর মানে শিক্ষালাভের জন্য অফুরন্ত উৎসাহ ও অদম্য প্রেরণা সঞ্চায় করে সেই পরিবেশকে।একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী,পাঠ্যক্রম, বিদ্যালয়ের বাড়িঘর,প্রশাসন সব মিলিয়ে গড়ে ওঠে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা।একটি বিদ্যালয় আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার দ্বারা।সমগ্ৰ বিদ্যালয়ের অন্তর ও বাহির এমনকি তার বহিঃ বৃত্তির চারপাশে পরিছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

2. উদ্দেশ্যাবলী - 

বিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবেশ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্দেশ্য গুলি হল -

  1. বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দ্বারা বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 
  2. বিদ্যালয়ের সু - স্বাস্থ্যকর  পরিবেশ সৃষ্টি করে।
  3. শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পরিছন্নতা ও সৌন্দর্যায়ন জরুরী। 
  4. বিদ্যালয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দ্বারা দৃশ্য দূষণ দূর করা যায়। 
  5. শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং সৌন্দর্যায়নের একটি সু - অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করে। 
  6. বিদ্যালয়ে আগত শিক্ষক/শিক্ষিকা,শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বা অন্য কোনো ব্যক্তির মানসিক সৌন্দর্য বিকাশের পরিষ্কার পরিছন্নতা একান্ত জরুরী। 
  7. বিদ্যালয়ের সুষ্ট মনোবেশ ও সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করে পরিষ্কার পরিছন্নতা ও সৌন্দর্যায়ন।
  8. নিয়মিত পরিষ্কার পরিছন্নতা ও সৌন্দর্যায়ন কার্যের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীর কর্ম অভিজ্ঞতা, শ্রমের প্রতি মূল্য,কর্মের প্রতি আগ্রহ প্রভৃতি গড়ে ওঠে। 
  9. বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কেন রাখা দরকার সেই সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। 
  10. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুশৃঙ্খলা মনোভাব গড়ে ওঠে।
  11. শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বোধ তৈরি করা।

3. বিদ্যালয়ের অপরিচ্ছন্নতার কারণ - 

বিদ্যালয়ে অপরিচ্ছন্নতার কারণগুলি হল - 

  1. বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসে পড়াশুনা করে এবং খেলাধুলা করে,টিফিন খাওয়ায়,মিড ডে মিল খায়।এর ফলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কাগজ ছেড়া, কাগজের ঠোঙা,প্লাস্টিক,খাবারের অবশিষ্ট অংশ প্রভৃতি ফেলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ময়লা ও অপরিচ্ছন্ন করে। 
  2. বিদ্যালয়ের প্রাচীরের বাইরে কোনো দোকান পাঠ্য বস্তু ছাড়া বিশেষত খাবারের দোকান থাকলে তা থেকে ময়লা আবর্জনা প্রভৃতি একত্রিত হয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশকে দূষিত করে।
  3. বিদ্যালয়ের প্রাচীরের গায়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের পোস্টার,ব্যানার উপর গুটখার পিক থুতু বা আশে পাশে ফেলা ইত্যাদির জন্য পরিবেশ দূষিত হয়।
  4. বেশিরভাগ বিদ্যালয়েয় শৌচালয়ের দেওয়ালে গুলিতে অলক্ষন শব্দ এবং চিত্র দৃশ্য সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। 
  5. বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে ও বেঞ্চে পেনসিল ও পেন দিয়ে নানান রকমের শব্দ, চিত্রাঙ্কন, শিহ্মকের অনুপস্থিতিতে ব্ল্যাকবোর্ডে কার্টুন,শিক্ষার্থীর নিজের নাম ইত্যাদির মতো নানা কার্যের দ্বারা পরিবেশকে দূষিত করে।
  6. বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণার অভাবের জন্য বিদ্যালয়ের অপরিচ্ছন্নতা লহ্ম করা যায়।
  7. অনেক সময় শিক্ষকদের উৎসাহের অভাবে বিদ্যালয়ের করা যায়। 
  8. অনেক সময় প্লাস্টিক সহ নানারকম ময়লা আবর্জনা ড্রেনের মধ্যে আটকে নিকাশি ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে,ফলে মশা মাছি প্রভৃতির উপদ্রব্য হয়। 
  9. বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলিতে ব্যবহৃত কাগজপত্র ও বিভিন্ন সাজানোর উপকরণ প্রভৃতি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বা বিদ্যালয়ের মধ্যে পরে থেকে বিদ্যালয়ের অপরিচ্ছন্নতা সৃষ্টি করে।

4. বিদ্যালয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যায়নের বহুমুখী দিক -

বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন তথা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিছন্নতা ও সৌন্দার্যায়ন একান্ত আবশ্যিক কর্ম। বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যায়নে রাখা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।এক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা,সহ শিক্ষক,শিহ্মক-শিক্ষিকা,অশিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ,শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। বিদ্যালয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য করনের যে সব পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় সেগুলি হল - 

১. দূষণমুক্ত পরিবেশ -

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিক,ছেড়া কাগজ,প্লাস্টিক বোতল,ময়লা,বিস্কুট,চিপস, লজেন্সের প্যাকেট,ঠোঙ্গা ময়লা আবর্জনা গুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বিদ্যালয়ের পরিবেশের দৃশ্য দূষণ থেকে মুক্ত করে।এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের দৈহিক,মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ সংগঠিত হয়। 

২. পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন -

বিদ্যালয়ের ভিতর ও বাহিরে যে প্লাস্টিক সহ বিভিন্ন বজ্য পদার্থ গুলিকে প্রাথমিকভাবে ফেলার জন্য বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের পাশে, সিঁড়ির কোনায়,অফিস ও স্টাফ রুমে,শিহ্মকদের রুমে,বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ইত্যাদি বিভিন্ন দৃষ্টি গোচর স্থানে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, নিয়মিত ডাস্টবিন গুলি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করতে হবে। 

৩. উন্নততর নিকাশি ব্যবস্থা -

বিদ্যালয়ের দূষণমুক্ত প্রাঙ্গণ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের নিকাশি ব্যবস্থা বিজ্ঞানসম্মত হওয়া প্রয়োজন।ড্রেনগুলিতে যাতে ময়লা/আবর্জনা, প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিক দ্রব্য না জমে,তার খেয়াল রাখতে হবে।ড্রেনগুলিতে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার, ফিনাইল, মশার লাভার দমনকারী স্প্রে ইত্যাদি কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা দরকার। 

৪. স্বচ্ছ ও জীবাণুমুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা -

বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার প্রধান উপকরণ পানীর জন্য ট্যঙ্গের নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

৫. বৃক্ষরোপণ ও উদ্যান তৈরি -

বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির তথা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যমে হল বিদ্যালয়ের সবুজায়নের উপর নজর প্রদান করা। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণের নির্দিষ্ট স্থান ঘিরে নিয়ে বিভিন্ন ফুল,মরসুমি ফল,সবজি,বিভিন্ন ভেষজ বৃহ্মরোপন করলে তা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা হয়।

৬. মনিষীদের জীবনি ও বাণী প্রচার -

বিদ্যালয়ের প্রাচীরের অঙ্কিত পোস্টার ও ব্যানার প্রভৃতি সরিয়ে দিয়ে যদি সব পরিবর্তে বিভিন্ন মনিষীদের বিভিন্ন চিত্র এবং তাদের বাণী বা উভয়ই যদি অঙ্কন করা যায় তাহলে বাইরের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকবে তেমনি বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য যুক্ত ও গুণগত মানের বৃদ্ধি ঘটবে। শিখন সহ অনেকেই এই বাণী তথা ছবিগুলি জীবন দর্শন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। 

৭. উপযুক্ত গৃহনির্মাণ ও আনুষঙ্গিক ব্যবহারিক বস্তুসমূহ -

বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা এবং সৌন্দার্যায়নে অনেকখানি নির্ভর করে তার নির্মাণ কৌশলের উপর। যদি উপযুক্ত আলো,বাতাস যুক্ত বড়ো ঘরের শ্রেণিকক্ষ, অফিস রুম, স্টাফ রুম, কমিউনিটি হল ইত্যাদি যথাযথভাবে গড়ে তোলা যায় তাতে পরিচ্ছন্নতার কাজে মধ্যে এগিয়ে যায়। এছাড়াও মিড ডে মিল,ল্যাবরেটরি,ল্যাইবেরি,সাইকেল রাখার স্থান পর্যাপ্ত শৌচালয় ইত্যাদির সঠিক ব্যবস্থার করা হবে।বিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিছন্নতা ও সৌন্দর্য মুখী হয়ে ওঠে। 

৮. স্বাস্থ্যসম্মত সু - অভ্যাস গঠন - 

শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকটি সু - অভ্যাস যা বিদ্যালয়ের পরিবেশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করে তুলতে সাহায্য করবে।যেমন,শ্রেণীকক্ষ বা বিদ্যালয়ে দেওয়ালে দাগ বা চিত্র বা শব্দের প্রয়োগ পান্ডিত্য না দেখানো যেখানে সেখানে  থুতু না ফেলা,ছেড়া কাগজ বা প্লাস্টিক না ফেলা,শৌচালয় ছাড়া অন্যত্র মলর্মূত্র ত্যাগ না করা,দাঁত, নখ,চুল,পোষাক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা,খাবারের আগে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া প্রকৃতি অভ্যাস গুলি নিয়মগুলি করে পালন করে পরিষ্কার পরিছন্নতা সৃষ্টি করে। 

৯. শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতা  -

বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতার অন্যতম উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হল শৌচাগার গুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখা।মল বা র্মূত ত্যাগের পর সকলকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল প্রদান করতে হবে।শৌচালয় গুলির নিয়মিত পরিষ্কারের জন্য ন্যাপথলিন ও ফিনাইল সহ অন্যান্য কীটনাশক দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে।তবে দেখতে হবে যাতে শৌচালয়ে জলের অপচয় যাতে না হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে।

5. বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ - 

একটি বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ও সৌন্দর্যায়নের জন্য যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়,তা আলোচনা করা হল - 

১. সচেতনতামূলক শিবির স্থাপন -

বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দ্যোগে মাঝে মাঝে সচেতনতা মূলক শিবিরের আয়োজন করতে হবে। এখানে বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষিকা,শিক্ষার্থী,অভিভাবকরা,ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ অন্যান্য সকলকে অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের পরিবেশকে কিভাবে স্বচ্ছ রাখা যায় এবং কেন বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা রাখা দরকার এই বিষয়ের আলোচনা করতে হবে। 

২. আলোচনা সভার গঠন -

বিদ্যালয়ে মাঝে মাঝে আলোচনা সভায় গঠন করা যেতে পারে,এক্ষেত্রে কোনো অফ পিরিয়ড থাকলে বা শেষের দিক থেকে কোনো একটি পিরিয়ড নিয়ে সপ্তাহে বা মাসে একটি দিন করে একটি ঘরোয়া আলোচনা সভা বসিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশের গুণগত মান বৃদ্ধির উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি বড়ো বড়ো শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থীদের বক্তার তালিকায় স্থান দেওয়া যেতে পারে।

৩. বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা -

বিদ্যালয়ের স্বার্থে ও উন্নত পরিবেশ বজায় রাখার তাগিদে বিদ্যালয়ের  সৌন্দর্যায়নের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিয়ে একটি বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকার নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক/শিহ্মিকাকে দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে একটি শ্রেণীতে এই নির্দিষ্ট ক্লাসে বিদ্যালয় পরিবেশের স্বচ্ছতা সম্পর্কে ধারণা দেবেন।নিজেদের অভিজ্ঞতা কথা তুলে ধরতে পারেন। বিদ্যালয়ের পরিবেশের মতো গৃহ পরিবেশের উন্নতির উপর আলোকপাত করতে পারেন।প্রয়োজনে একটি শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাতে হাতে কিছু পরিচ্ছন্নতার কাজ করাতে পারেন।বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে কেউ উদ্যানের আগাছা পরিষ্কার করল কেউ বা শ্রেণীকক্ষ থেকে ময়লা পরিস্কার করে দিল এই রকম ছোটো খাটো কাজ করানো যেতে পারে। 

৪. সেমিনারের আয়োজন - 

বিদ্যালয়ের পরিবেশের উন্নতির স্বার্থে বিদ্যালয়ের তরফে সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে।নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সেমিনারে অংশগ্রহণের কথা জানানো হবে।তাদের অভিভাবকদের এ সম্পর্কে অবহিত করা হবে।পাশাপাশি অবস্থিত বিদ্যালয়ে সংবাদ দিয়ে তাদেরকে মহতী উদ্যোগে শামিল করা যেতে পারে। পরিবেশ বা বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ করে তাদের বক্তার তালিকায় রেখে আমাদেরকে সচেতনতা নিয়ে সচেতন হয়ে উঠতে হবে। প্রজেক্টরের ব্যবস্থা থাকলে তার মাধ্যমে কিছু Slide প্রদর্শন করে বিষয়টিকে আরও মনোগ্ৰাহী করে তুলতে হবে।সর্বোপরি শিক্ষার্থীর যাতে সচেতন হয়, বিষয়টির গুরুত্ব যেন তারা উপলব্ধি করতে পারে তার খেয়াল রাখার দরকার।

৫. বিতর্ক সভা গঠন -

আলোচনা সভা,সেমিনারে মতো পরিবেশের উন্নতি পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব ও উপযোগিতা সৌন্দর্যায়নের প্রভাব বোঝানোর জন্য শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিতর্ক সভার আয়োজন করা যেতে পারে।শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দলে বিভক্ত করে এই বিষয়ে তাদের মতামত পেশ করতে বলা যেতে পারে।এভাবে তাদের সক্রিয় ভাবে বিষয়টির মধ্যে অংশগ্রহণ করলে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে,দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন হবে। সর্বোপরি কর্মের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠবে।

6. বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ও সৌন্দর্যায়নের গুরুত্ব -

বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং সৌন্দর্যায়ন গড় তোলার গুরুত্ব গুলি হল -

  • বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।
  • সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠবে।
  • বিদ্যালয় পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য রক্ষার পাবে।
  • পরিবেশের সৌন্দর্য গড়ে উঠলে মানসিক সৌন্দর্য ও শক্তি বৃদ্ধি হবে।
  • শিক্ষার্থীর মধ্যে সু - অভ্যাসের প্রবণতা গড়ে উঠবে।
  • পরিচ্ছন্ন পরিবেশ জীবনের বাঁচার ক্ষেত্রে কতটা জরুরি সেই সম্পর্কে আগ্রহ বোধের জন্মায়।
  • শিক্ষার্থীদের দলগত ভাবে কাজের মধ্য দিয়ে সংহতি ও একতার বিকাশ ঘটবে। 
  • শিক্ষার্থীদের শারীরিক,মানসিক,প্রাক্ষোভিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটবে। 
  • একটি নির্দিষ্ট কর্মের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলে আরও অন্যান্য কর্মের গুরুত্ব বাড়বে।
  • পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সুন্দর পরিবেশ গড়ে উঠলে বিদ্যালয়ের প্রতি আনুগত্য বাড়বে এবং বিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হবে।

7. বর্তমান Covid-19 পরিস্থিতি ও বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য রক্ষা - 

দীর্ঘদিন বিদ্যালয় গুলি বন্ধ থাকার পর বর্তমানে বিদ্যালয় গুলি খোলা হলেও Covid-19 পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিছন্নতা এবং  সচেতনতা ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এবং বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।যেমন -

  • শ্রেণিকক্ষে দরজার হাতল,কম্পিউটারের কিবোর্ড ইত্যাদি হাত দিয়ে শেখা যায় মতো এমন উপকরণগুলি স্পর্শ করা হয় সেই সমস্ত জিনিসপত্র গুলিকে এবং দৈনন্দিন স্পর্ষ কাতর জায়গায় প্রতিদিন পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত জন্য সেনিটাইজেশন করা হচ্ছে। 
  • বিদ্যালয় কোনো স্থানে ময়লা দেখলে, তা দেখা মাত্রই পরিষ্কার করা।ওই বর্জ্য পদার্থ গুলিকে পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরা এবং অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
  • বজ্র পদার্থ গুলিকে সরিয়ে বিভিন্ন জীবানুনাশক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রবেশের জন্য অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করার কথা বলা হচ্ছে,ও কিছু সময় অন্তর অন্তর শিক্ষার্থীদের হাত পরিষ্কার করার জন্য হাত ধোয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
  • শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার জন্য বিভিন্ন নির্দেশ ও উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।
  • একটি শ্রেণীতে কমসংখ্যক শিক্ষার্থীদের রেখে পঠন-পাঠন করানো হচ্ছে এবং বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
  • কোনো শিক্ষার্থী যদি বিদ্যালয় চলাকালীন অসুস্থতা লক্ষ্য করলে তখন সাথে সাথে অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করে গৃহে অথবা হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
  • বিদ্যালয় বাগানের পরিচর্যার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

8. বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিছন্নতা এবং সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ব্যক্তিদের ভূমিকা -

• প্রধান শিক্ষক/ প্রধান শিক্ষিকার ভূমিকা -

  • বিদ্যালয়ের ভেতর ও বাইরে সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখবেন, কোথায় কীরূপ অবস্থা রয়েছে,তা লক্ষ্য করবেন।
  • বিদ্যালয়ের কমিটির সদস্যদের এই বিষয়ে অবগত করবেন। 
  • সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই কাজের জন্য আলোচনা করবেন।
  • শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যের সম্পর্কে অবগত করাবেন এবং তাদের নির্দেশ প্রদান করবেন। 
  • বিদ্যালয় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য ইকো ক্লাবের গঠনের প্রস্তাব দেবেন।
  • বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা দিকে লক্ষ রাখবেন।
  • বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

• শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ভূমিকা -

  • বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে সচেতন করবেন। 
  • বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের ও সক্রিয় মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।
  • শিক্ষক শিক্ষিকা নিজেদের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। 
  • শিক্ষার্থীরা যখন সক্রিয় কাজে অংশগ্রহণ করবে তখন বটবৃক্ষের ছায়া মতো তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করবে। 
  • শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

• কমিটির ভূমিকা -

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের পরিচ্ছন্নতা সহ তার চারপাশের সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। যেখানে প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষিকা,শিহ্মক শিহ্মিকা প্রতিনিধি, শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধি,শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি,অভিভাবক প্রতিনিধিদের রাখতে হবে।এই কমিটির ভূমিকা হল -

  • প্রতি মাসে অন্তত একবার করে আলোচনায় বসে বিষয়টির রূপরেখা তৈরি করবেন।
  • সক্রিয় ভাবে কাজে অংশগ্রহণ করা,সেমিনার বা বিতর্ক সভা বা আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলার কাজটি কমিটির দায়িত্বের মধ্যে পড়বে। 
  • বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ও তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিছন্নতা ও সৌন্দর্যায়নের রক্ষায় সকলকে সচেতন করবেন।

• অশিক্ষক কর্মীবৃন্দের ভূমিকা - 

  • বিদ্যালয়ের ভেতর ও বাইরে সব জায়গায় নজর রাখতে হবে,যাতে বিদ্যালয়ে অযথা কোনো জায়গায় ময়লা জমে না থাকে। 
  • বিদ্যালয় শুরু হওয়ার আগে লোক দিয়ে বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে হবে। 
  • বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ও সৌন্দর্যায়নে শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে।
  • প্রতিদিন বিদ্যালয়ের ডাস্টবিন পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • বিদ্যালয় বাগান পরিচর্যা তে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবে।

• শিক্ষার্থীদের ভূমিকা -

  • বিদ্যালয় প্রাঙ্গন তথা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যের প্রতি শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিতে হবে।
  • বিদ্যালয়ের ভেতর ও বাইরে অপরিষ্কার করবে না,যত্র তত্র ময়লা আবর্জনা,ছেঁড়া কাগজ, প্লাস্টিক প্যাকেট ফেলবে না।
  • বিদ্যালয়ের দেওয়ালে কোনো প্রকার দাগ বা চিত্র আঁকবে না।
  • বিভিন্ন ক্লাসে সেমিনারে,আলোচনা সভায় বা বিতর্ক সভার তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি, সপ্তাহে অন্তত একটি দিন সকলে মিলে পরিছন্নতা কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। 
  • বিদ্যালয়ের উদ্যান চর্চা,আগাছা পরিষ্কার, গাছ গুলিকে যত্ন নেওয়া,শ্রেণিকক্ষের ময়লা গুলি ঝাঁট দেওয়া এরকম কতকগুলি কার্য করতে পারলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও তার আনুষঙ্গিক পরিবেশ স্বচ্ছ হবে, বিদ্যালয়ের পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

• অভিভাবকদের ভূমিকা - 

  • বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমন শিক্ষার্থীদের সচেতন করবেন,তেমনি গৃহ পরিবেশে অভিভাবকেরা তাদের সহবত শেখাবেন। 
  • গৃহ পরিচ্ছন্নতা রক্ষার তাদের অংশগ্রহণ করাতে হবে।বিদ্যালয় হল তাদের দ্বিতীয় গৃহ,যা পরিষ্কার রাখা জরুরি এ কথা তাদের বুঝতে হবে।গৃহ পরিবেশে তাদের সু অভ্যাস গড়ে উঠলেই বিদ্যালয় পরিবেশেও তার প্রতিফলন ঘটবে।
  • পরিচ্ছন্ন থাকার অর্থ শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি নয়,তা স্বাস্থ্য এবং জীবনের ক্ষেত্রে কতখানি মূল্যবান সে কথা শিক্ষার্থীদের জানানো এবং অনুধাবন করানোর দায়িত্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার  পাশাপাশি অভিভাবকদের ও।

9. উপসংহার -

পরিবেশে বলা যায়, বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের উচিত বিদ্যালয় প্রাঙ্গন কে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং তার সৌন্দর্যায়ন ঘটানো। সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন - নির্মল বিদ্যালয় অভিযান,অরন্য সপ্তাহ পালন, বৃহ্মরোপন কর্মসূচি প্রভৃতি কে এই বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত করে নিতে পারলে ব্যাপারটি আরও উৎকর্য লাভ করবে।নিজেরাই গর্বে বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে এ আমাদের বিদ্যালয়।তবে এই পরিস্থিতিতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার এবং স্বাস্থ্য উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।যাতে একটি সুষ্ঠু ও নির্মল পরিবেশে শিক্ষার্থীরা শিক্ষামূলক জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

CLICK HERE -

ENGLISH  VERSION PDF FILE






Post a Comment (0)
Previous Post Next Post