Celebration Of National Festivals - Teacher's Day
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Teachers Day |
Celebration Of National Festivals - Teachers Day
1. ভূমিকা -
প্রত্যেক শিহ্মা প্রতিষ্ঠানের মূল স্তম্ভ হলো সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিহ্মক মহাশয়। শিক্ষকের সকল দায়িত্ব সম্পাদিত হয় শিহ্মার্থী কেন্দ্রিক ভঙ্গিকে।শিহ্মার্থীর ব্যক্তি মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার হ্মেত্রে শিহ্মককে তাঁর দার্শনিক ও অর্জিত অভিজ্ঞতার পূর্ন প্রয়োগ করতে হয়। শিক্ষক হলেন শিহ্মার্থীর উৎসাহ দাতা আর নিরাপত্তায় আধার,আর মধুর ব্যক্তিত্বেই তাকে গড়ে তোলে। এছাড়া সমীহার পাত্র শিক্ষার্থীর জীবন ধারায় তার আচরনকে সাফল্যের দিনে নতুন লহ্ম্য স্থির করে দেবেন। তিনি তাকে শুধু সকল মানুষ নয়,একজন ভালো মানুষ হতে শেখাবেন।
একজন আদর্শ শিক্ষক ও সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন (5 ই সেপ্টেম্বর 1888 - 17 ই এপ্রিল 1975) তামিলনাড়ুর এক দরিদ্র ব্রাক্ষ্ণন পরিবারে জন্ম গ্ৰহন করেন। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (1952 - 1962) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি (1962 -1967) ছিলেন। তাই তাঁর জন্ম দিন অর্থাৎ 5ই সেপ্টেম্বর শিহ্মক দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
2. বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিবস পালনের উদ্দেশ্যাবলী -
বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিবস পালনের উদ্দেশ্য গুলি হল -
- সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা।
- শিক্ষার্থীদের ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন জীবনী, শিহ্মক রূপে তাঁর অবদান, তাঁর নীতি ও বাণী ও আদর্শ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে।
- কেন 5ই সেপ্টেম্বর শিহ্মক দিবস পালিত হয় তার আসল কারণ জানবে।
- শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনে শিহ্মক হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জাগানো।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগ্ৰত করা।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহধর্মিতার মনোভাব গড়ে তোলা।
3. বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা -
সমাজে শিহ্মকের ভূমিকা অপরিসীম। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিহ্মক দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা গুলি হল -
- একজন শিক্ষক হলেন সুন্দর,সুস্থ সমাজের গড়ে তোলার পথিক। সামাজিক অসাম্য, কুসংস্কার, অশিহ্মা দূরীভূত করে সমাজকে সুন্দর ও সুস্থ পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কান্ডারি হলেন তিনি।আর এ বিষয়ে তাঁরা পথ প্রদর্শন হয়ে ওঠেন শিহ্মার্থীদের কাছে।
- শিক্ষার্থীরা তাঁদের দিনের সেরা সময়টি অতিবাহিত করে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সান্নিধ্যে।তাই তারা শিক্ষকদের থেকে জ্ঞান লাভ করে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করে ও ভবিষ্যৎ জীবনে এগিয়ে চলার প্রয়াসী হয়।
- শিহ্মক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে,ভালো থেকে আরো ভালোতে উত্তীর্ণ হতে বছরে এই বিশেষ দিনটিতে পালন করা হয়।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা,সম্মান নিবেদন করে শিক্ষকদের চরণে।
সুতরাং রাধাকৃষ্ণণের মতো আদর্শবান শিক্ষকের জন্ম দিবসকে সামনে রেখে শিক্ষক দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম।
4. ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জীবনী -
• সূচনা -
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন ছিলেন এক মহান শিক্ষক।ভারতের শিক্ষার ইতিহাসে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ এর নাম অবিস্মরণীয়।কারণ তিনি শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলিত ধারার পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন।শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য।
• জন্ম ও বংশ পরিচয় -
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ 1888 খ্রিস্টাব্দে 5 ই সেপ্টেম্বর মাদ্রাজ শহরের থেকে প্রায় চল্লিশ মাইল দূরে তিরুতানি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিলেন সর্বপল্লী বীরাস্বামী ও মাতা ছিলেন সীতাস্মা।
• পারিবারিক জীবন -
১৬ বছর বয়সে রাধাকৃষ্ণন বিবাহ করেন দুরসম্পর্কের জ্ঞাতি ভগিনী শিবা কামুকে। বিয়ের পর শিবা কামুর নতুন নাম হয় পদ্মা। তাঁদের চারটি কন্যাসন্তান এবং দুটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।যাদের মধ্যে একজন জন্মের দুই সপ্তাহের মধ্যে মারা যায়।
• শিক্ষাজীবন -
ছোটবেলায় বিদ্যালয় স্তরে পড়াশোনার পর্ব সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত করার পর তিনি মাদ্রাজ খ্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে বি.এ. পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হন এবং স্বর্ণপদব লাভ করেন। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
এই সময় তিনি খ্রিস্টধর্ম প্রসঙ্গে শাস্ত্র গুলি পাঠ করার পাশাপাশি প্লেটো,বাগস প্রমূখ দার্শনিকদের রচনা গুলি মন দিয়ে পড়েছিলেন। এম.এ পড়াকালীন ত্রথিক্স অফ বেদান্ত নামে গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা করেন।যা তাঁর মিশনারি অধ্যাপক এ. ডি. হগকে খুশি করেছিল, রাধাকৃষ্ণণের যুক্তি,চিন্তারাধা ও পান্ডিত্যের উচ্চ প্রশংসা করেছিলেন হগ সাহেব।
• কর্মজীবন -
- মাদ্রাসা প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা জীবন শুরু করেন,পরবর্তী কে মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হন।1926 খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি রূপে "Congress Of The University Of The British Empire" এই যোগদান। 1929 খ্রিস্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পর্বের পর 1931 খ্রিস্টাব্দে অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য এবং পরবর্তীতে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (1939 - 1948 খ্রিষ্টাব্দে)
- স্বাধীনতার পর 1948 খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার রাধাকৃষ্ণনের সভাপতিত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন,যার নাম "রাধাকৃষ্ণন কমিশন" বা "বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন"। শিক্ষা, পাঠক্রমে, শিক্ষক শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্রকল্যাণ ও নারী শিক্ষা উন্নয়ন ঘটানোই ছিল এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর অনুরোধে তিনি 1948 খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার ভারতের রাষ্ট্রদূত নির্বাচিত হন।
- 1949 খ্রিস্টাব্দে UNESCO এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
- 1952 খ্রিস্টাব্দে পর পর দুবার ভারতবর্ষের উপরাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন।
- ভারতবর্ষের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে 1962 খ্রিস্টাব্দে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন শপথ গ্ৰহন করেন।
• সাহিত্য জীবন -
মহাবিদ্যালয়ে স্তর থেকেই তিনি সাহিত্য ও গবেষণা এবং দার্শনিক গ্রন্থের প্রতি আকৃষ্ট হন।তখন থেকেই লেখালেখি সূত্রপাত ঘটে।
- মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে অধ্যাপনার পূর্বেই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকার হয়। 'গীতাঞ্জলি' তাঁকে প্রভাবিত করে। এরই ফলশ্রুতি 'The Philosophy Of Tagore' গ্রন্থের প্রকাশ করেন।
- 'Indian Philosophy,The Hindu View Of Life,Kalki, India and China' ইত্যাদি গ্ৰন্থের রাধাকৃষ্ণনের যুক্তি, চিন্তাধারা ও পাণ্ডিত্য প্রকাশ পেয়েছিল।
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা সময় 'Eastern Religion And Western Thought' গ্রন্থে তিনি লিখেছিলেন মানুষের জীবনে একটি গুন হল আদর্শ।যে আদর্শে নিজেকে গভীরভাবে মানসিক জ্ঞান সম্পন্ন ও পূর্ণ মানুষের পর্যায়ে উন্নতি করা।এই পূর্ণ মানবই আদর্শ মানব। আত্মোপলব্ধি, আত্মজ্ঞান লাভ এবং সর্বাত্মক পরিপূর্ণতা লাভই মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ।
- সমাজ গঠনের ছাত্রদের ভূমিকা 'My Search For Truth' গ্রন্থের তিনি লিখেছিলেন ছাত্রদের নীতি ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার বিশেষ শিক্ষার চরিত্র গঠন করতে হবে।সত্য সেবাধর্ম অন্তর্দৃষ্টির কথা তাদের মনে জাগিয়ে দিলে তাদের অন্তরাত্মা নতুন তেজ, নতুন শক্তি,নতুন কর্মপন্থায় উদ্দীপনা লাভ করবে।
• পুরষ্কার -
কর্ম জীবনে তিনি বহু সম্মান ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন,যার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য 1954 খ্রিস্টাব্দে পাওয়া 'ভারতরত্ন' উপাধি।
• তিরোধান -
17th April,1975 খ্রিস্টাব্দে 86 বছর বয়সে মাদ্রাজ শহরের তাঁর জীবনাবসান হয়।
5. উপকরণসমূহ -
শিক্ষক দিবস পালন করার জন্য নিম্নলিখিত উপকরণ গুলি প্রয়োজন -
- রাধাকৃষ্ণনের প্রতিকৃতি।
- ফুল,ফুলের মালা ও ফুলদানি।
- প্রতিকৃতি বসানো স্থান ও আচ্ছাদন।
- ধূপ ও ধূপ দানি।
- প্রদীপ ও চন্দন।
- মঞ্চ সাজাবার উপকরণ।
- বাদ্যযন্ত্র যেমন, হারমোনিয়াম ও তবলা।
- মাইক্রোফোন ও বক্স।
- পুষ্পস্তবক,পুস্তকপত্র ও উপহার সমূহ।
- কেক, মিষ্টি,লজেন্স প্রভৃতি।
6. বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠানের পূর্বপ্রস্তুতি -
- শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠানের কার্য বিবরনী সম্পর্কে আলোচনার জন্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একটি সভার দিন নির্ধারণ করা হবে।
- সংশ্লিষ্ট দিনের সভায় প্রধান শিক্ষক/শিহ্মিকা,সহ শিহ্মক - শিহ্মিকা,শিহ্মাকর্মী ও শিহ্মার্থীরা উপস্থিত হবেন।
- নির্ধারিত দিনে সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দিন কি কি করা হবে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
- অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে।
- অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা জন্য অনুষ্ঠানের কার্যের জন্য প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে নির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করে দিতে হবে।
- অনুষ্ঠানের দিনে যারা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করবে কমিটির কর্তৃত্ব তাদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে।
- সংগৃহীত তালিকা থেকে মূল পর্বের জন্য চূড়ান্ত নাম বাছাই করা হবে, চূড়ান্ত সদস্যরা জন্য অনেক ক্ষেত্রে মহড়া অনুষ্ঠান ও আয়োজিত হয়।
- অনুষ্ঠানের সময়সূচি নিরিখে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
- অনুষ্ঠানের কার্যাবলী পূর্ব থেকেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠান মঞ্চ সাজানো ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ক্রিয়া কর্ম সম্পাদন করে।
7. বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠান পালন -
- পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠানের দিন সকল শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পোষাকে নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয় আসবে।
- বিদ্যালয়ে প্রার্থনা সভা হবার পর প্রথম পিরিয়ডে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকারা শ্রেণিকক্ষে যাবেন এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়ে আসবেন।
- এরপর সকল শিক্ষার্থীদের সমবেতভাবে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হতে হবে।
- তারা নির্ধারিত অনুষ্ঠান কক্ষে প্রবেশ করে এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্মান জানানোর জন্য উদ্যোগী হয়।
- এরপর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাদর অভ্যর্থনা করে অনুষ্ঠান কক্ষ নিয়ে আসে এবং তাদের জন্য নির্ধারিত আসনে বসাতে অনুরোধ করে।
- এরপর সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করে,ঘোষকের ঘোষণা অনুযায়ী মূল অনুষ্ঠানের পর্বের সূত্রপাত ঘটে উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও রাধাকৃষ্ণণের প্রতিকৃতিতে মাল্য দানের মধ্যে দিয়ে।
- শিক্ষার্থীরা এরপর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কপালে চন্দনের ফোটা দিয়ে বরণ করে এবং তাঁদের হাতে পূর্ব থেকে প্রস্তুত করে রাখা পুস্তক বই ও উপহার সামগ্রী তুলে দিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করে।
- সভাপতির ভাষণ, প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকার কর্তৃক ভাষন প্রদান করা হয়।
- এরপর অন্যান্য সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিশেষত্ব রাধাকৃষ্ণণ জীবনী ও শিক্ষা সংক্রান্ত আদর্শের কথা শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন।
- পর্যায়ক্রমে মূল অনুষ্ঠানের বিভিন্ন অংশবিশেষ যেমন সংগীত,নৃত্য,বক্তৃতা,নাটক, আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশিত হয়।
- শিক্ষার্থীদের এরপর অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করান।
- অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত ঘোষণা করে অনুষ্ঠানটি পরিসমাপ্তি করা হয় ও হাসিমুখে বাড়ি ফিরে যায়।
8. বিদ্যালয়ের শিহ্মক দিবস পালনের তাৎপর্য -
দেশ ও জাতীয় জীবনে এমন কতকগুলি দিন আসে যেগুলো আমাদের নতুনভাবে উজ্জীবিত করে,ঠিক সেই রকম একটি দিন হল 5 ই সেপ্টেম্বর বা শিক্ষক দিবস।
- ভারতের সারস্বত সাধনার অন্যতম মহান শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্ম দিবস উদযাপনের মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র সেই মহান শিহ্মককেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় তাই নয়,শিক্ষাব্রতে ব্রতী অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্মানিত করা হয় এই উপলক্ষ্যে
- সমাজ গঠনের কারিগরি শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর এবং দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয় এই ধরনের অনুষ্ঠান উদযাপনের মধ্যে দিয়ে।
- শিক্ষকদের হাতে আক্রান্ত শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থীদের হাতে আক্রান্ত শিক্ষকদের নতুন কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলি একেবারে নির্মূল হয়ে যেতে পারে শিক্ষক দিবসের মতো তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান সুন্দর ভাবে সংগঠিত করলে।
- শিক্ষার্থীদের মনের অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালানোর কাজ করেন শিক্ষকরাই, দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কান্ডারীদের গড়ে তোলার কাজটি বছরভর করে থাকেন তাঁরা।এক্ষেত্রে বছরের এই দিনটি তাঁদের জন্য কিছু করতে পেরে আনন্দিত হয় শিক্ষার্থীরা।
- শিক্ষকতা শুধুমাত্র জীবিকা নয়,এক মহান ব্রত।তাই শিহ্মা যজ্ঞের মহান ঋত্বিকদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে শুধু শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকেরা খুশি হয়।
- শিক্ষক দিবস উদযাপন গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে তখনই যখন শুধুমাত্র উৎসব বা অনুষ্ঠান নয়, দিনটি হয়ে ওঠে নতুন করে শপথ গ্রহণের।
- শিক্ষক দিবস উদযাপনের মাধ্যমে প্রতিবছরই শিক্ষকের প্রতি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের নতুন করে মূল্যায়নের চেষ্টা পরিলক্ষিত হয়।
9. বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিবস পালনের বিভিন্ন ব্যক্তিদের ভূমিকা -
• প্রধান শিক্ষক/শিহ্মিকা -
- বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জাতীয় দিবস,যেমন শিক্ষক দিবস পালনের সবকিছু আয়োজন ও কাজের ভাগ করে দেওয়া।
- অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্ভবুদ্ধ করা।
- বিদ্যালয়ে বিভিন্ন দিবস পালনের মতো শিহ্মক দিবসের দিন অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রন করা।
- শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করানো।
• শিহ্মক - শিহ্মিকা -
- শিক্ষক দিবস অর্থাৎ রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য কী সেই সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করানো।
- 5 ই সেপ্টেম্বর কেন রাধাকৃষ্ণের জন্মদিন শিক্ষক দিবস পালন করা হয় সেই সম্পর্কে সকল শিক্ষার্থীদের জানানো।
- অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যেক সদস্যদের মধ্যে নির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া।
- এই দিনে সাংস্কৃতিক কার্যাবলীতে যারা অংশগ্রহণ করবে সেই তালিকা তৈরি করা।
- শিক্ষার্থীদের কার্যে সহযোগিতা করা।
- অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলিতে মঞ্চস্থ করবে।
- শিক্ষক শিহ্মিকারা শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানের মঞ্চ সাজানো ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় ক্রিয়াকর্ম গুলি নিদের্শনা প্রদান করবে।
• প্রশিক্ষণ শিক্ষক -
- শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য কি শিক্ষার্থীদের অবগত করা।
- শিক্ষার্থীদের কার্য সহযোগিতা করা।
- অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ প্রদান করা।
- অনুষ্ঠানের দিন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা।
• শিক্ষার্থী -
- অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালন করবে।
- শিক্ষার্থীরা শিক্ষক-শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করবে।
- শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠান মঞ্চ সাজানো ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ক্রিয়াকর্ম গুলি সম্পন্ন করবে।
- অনুষ্ঠানের দিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করা।
- শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চন্দন পরানো ও বরন করবে।
- শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
10. উপসংহার -
পরিশেষে বলা যায়,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মতো শিহ্মক দিবস হল একটি অন্যতম অনুষ্ঠান।শিক্ষক হলেন শিক্ষার্থীদের পথ প্রদর্শক। কারণ একজন সুদক্ষ শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত গড়ে দেয়, বিদ্যালয়ে পাঠক্রম ছাড়াও শিহ্মার্থীদের অদৃশ্য ভাবে শেখানো হয় কিভাবে একজন ভালো মানুষ হতে এবং শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক গঠন ও সুদক্ষ ব্যক্তিত্বে পেছনে শিক্ষকের হাত থাকে।তাই শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা,ভালোবাসা ও সম্মান জানানোর জন্য শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থী পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করার জন্য এই অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়। বিদ্যালয়ে অন্যান্য অনুষ্ঠানের ন্যায় শিক্ষক দিবসের পালন ও তাৎপর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
CLICK HERE -
Others Community Based Activists -
Cleanliness is and around the campus and beautification