Finding Out The Content Validity Of The Given Question Paper Practicum

Finding Out The Content Validity Of The Given Question Paper Practicum

Finding Out The Content Validity Of The Given Question Paper

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Finding Out The Content Validity Of The Given Question Paper Practicum
Finding Out The Content Validity Of The Given Question Paper

(*** ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

Finding Out The Content Validity Of The Given Question Paper

BENGALI VERSION

1. ভূমিকা -

আধুনিক ধারণা অনুযায়ী কোনো অভীক্ষা যতটা সার্থকভাবে অভীষ্ট গুণকে পরিমাপ করতে সক্ষম হচ্ছে, তাই হল যথার্থতা।অর্থাৎ অভীক্ষার যথার্থতা বলতে বোঝায় অভীক্ষাটি যা পরিমাপ করার জন্য তৈরি প্রকৃতপক্ষে তা পরিমাপ করছে কিনা। কোনো প্রশ্নপত্রের বিষয়বস্তু নির্ভর যথার্থতা নির্ণয় করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথমে অভীক্ষার যথার্থতা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।এই জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন রকম পুস্তক ও আর্টিকেল পাঠকদের দরকার।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন এই পাঠ্যপুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অভীক্ষার যথার্থতা নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হয়েছে।

2. যথার্থতা -

মনোবৈজ্ঞানিক এবং শিক্ষাগত অভীক্ষায় সাধারণত চার ধরনের ত্রুটি দেখা যায়।যেমন - ধ্রুবক ক্রটি,পর্যবেক্ষণের ত্রুটি,পরিবর্তনশীলতার ত্রুটি এবং তাৎপর্য নির্ণয়ের ক্রটি।এই চার ধরনের ত্রুটির মধ্যে ধ্রুবক জনিত ত্রুটি দূর করার জন্য অভীহ্মার যথার্থতা নির্ণয় করা হয়।

         কোনো অভীক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির যে বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করতে চাওয়া হচ্ছে,অভীক্ষাটি যদি প্রকৃত সেই বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করতে সক্ষম হয়।তবে বলা হয় যে অভীহ্মাটি যথার্থ।উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে কোনো পারদর্শিতার অভীক্ষা যদি বিজ্ঞানের জ্ঞান পরিমাপ ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে জ্ঞানকে পরিমাপে অন্তর্ভুক্ত অভীহ্মাটি যথার্থতা বলে গণ্য হবে এবং যে সূচকের মাধ্যমে এই মাত্রা প্রকাশ পায়,তাকে বলে যথার্থতার সূচক।

Cronbach (1971) এর মতে,- validity represents an overall judgement of the degree to which both emperical evidence and theoretical consideration support the interpretation of the score and the implications for action that this interpretation entails.

Messick (1989)  এর মতে,- score validation is an emperical evaluation of the meaning and consequences of measurement.

Garett এর মতে,যে উদ্দেশ্য পরিমাপের জন্য অভীহ্মাটি প্রস্তুত করা হচ্ছে অভীক্ষাটি যদি সেই উদ্দেশ্য পরিমাপ করতে সক্ষম হয় তবে বলা হয় যে অভীহ্মাটি যথার্থ।

Gronlund (1981) এর মতে, Validity refers to the extent to which the results of an evaluation procedure serve the particular use for which they are intended.

Vincent (1999) এর মতে, the soundness or appropriateness of a test or instrument in measuring what it is designed to measure.

2. যথার্থতার বৈশিষ্ট্যাবলী - 

  • শিক্ষাগত ও মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষার কেবলমাত্র প্রাপ্ত পরিমাপের যৌক্তিকতার মাত্রা বিচার করা হয়।অর্থাৎ শিক্ষাগত ও মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষায় যথার্থতা বলতে অভীক্ষায় যথার্থতা বোঝানো হয় না,প্রাপ্ত পরিমাপের যথার্থ তাকে বোঝানো হয়।
  • শিক্ষাগত ও মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষায় প্রাপ্ত পরিমাপের যথার্থতা অভীহ্মার্থীদের প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে আপেক্ষিক অর্থাৎ স্থান,কাল ভেদ এই পরিমাপ পরিবর্তন হতে পারে।
  • শিক্ষাগত ও মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষায় যথার্থতা মাত্রাকে গাণিতিক সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য 1 থেকে 0 এর মধ্যবর্তী কোনো সংখ্যা মান ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

3. যথার্থতার শ্রেনিবিভাগ -  

যুক্তি নির্ভর পদ্ধতি ও পরীক্ষা নির্ভর পদ্ধতি অনুসরণ করে শিক্ষাগত অভিক্ষা এবং মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষায় ছয় প্রকার যথার্থতার কথা বলা হয়ে থাকে।এগুলো হলোঃ -

  • বিষয়বস্তু নির্ভর যথার্থতা(Content Validity)
  • নির্ণায়ক ভিত্তিক যথার্থতা(Criterion Validity)
  • সংগঠনমূলক যথার্থতা(Contruct Validity)
  • উপাদান মূলক যথার্থতা(Factorial Validity)
  • আপাত যথার্থতা(Face Validity) 
  • বিজাতীয় যথার্থতা(Cross Validity)

এর মধ্যে নির্ণায়ক ভিত্তিক যথার্থতা কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।এই দুটি ভাগ হল - 

১.সহ - অবস্থান মূলক যথার্থতা

২.ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা মূলক যথার্থতা।

উক্ত প্রকল্পটিতে শুধুমাত্র বিষয়বস্তু নির্ভর যথার্থতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো।

5. বিষয়বস্তু নির্ভর যথার্থতা - 

শিক্ষাগত পরিমাপ ও মূল্যায়ন সবসময় উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়।তাই পারদর্শিতার অভিক্ষা গুলি এমন ভাবে গঠন করা উচিত যাতে সেটি সম্পূর্ণ পাঠ্য বিষয়বস্তুকে পরিমাপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে এবং উদ্দেশ্য গুলি চরিতার্থ করা হয়েছে কিনা তা বিচার করতে পারে। কোনো অভীক্ষায় বিষয় বস্তুগত যথার্থতা বলতে বোঝায় অভীক্ষাটি সমগ্র পাঠ্য বিষয়বস্তুর কত দূর বিস্তৃত অংশের পারদর্শীতাকে এবং পাঠের উদ্দেশ্য কে পরিমাপের অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে।

Hayners (1995) এর মতে, content validity is the extent to which the element within a measurement procedure are relevant and representative of the construct that they will be used to measure.

Palat & Beek (2004) এর মতে, "the degree to witch an instrument has an appropriate sample it item for the the construct being measured."

Lynn (1986) এর মতে, "Content Validity can be established through the application of two stages process - development & judgement.

Richard & kubany (1995) এর মতে, "Content validity the degree to which elements of an as sessment instrument are relevant to and representative of the targeted construct for a particular measurement purpose."

       এককথায় বলতে গেলে কোনো অভীহ্মাতে পাঠক্রমের অন্তর্গত কোনো বিষয়ের বিষয়বস্তুর প্রাচুর্য থেকেই বিষয় মূলক যথার্থতার প্রমান পাওয়া যায়।

6. বিষয়বস্তুর নির্ভর নির্ণয় -

অভীক্ষার বিষয়বস্তু নির্ভর যথার্থতা সাধারণত যুক্তি নির্ভর পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হয়।শিক্ষামূলক অভীহ্মা গুলির ক্ষেত্রেই এই ধরনের যথার্থতা নির্ণয় করা হয়ে থাকে।বিষয় বস্তু নির্ভর যথার্থতার নির্ণয় করতে গেলে নিম্নলিখিত পর্যায়ের বা ধাপে অগ্রসর হতে হবে।

ধাপ - ১.পাঠ্য সূচি বিশ্লেষণ 

প্রথমে কোনো শ্রেণীর যে বিষয়ের জন্য অভীক্ষাটি প্রস্তুত করতে হবে সেই শ্রেণীর বিষয়ের সমগ্ৰ পাঠক্রমটি বিশ্লেষণ করে মূল পাঠ্য একক গুলি বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত করতে হবে।যেমন,ধরা যাক সপ্তম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের পারদর্শিতা পরিমাপের জন্য একটি অভীক্ষা তৈরি করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়ু, বায়ুমণ্ডল, জল,পদার্থ,অভিকর্ষ,আলো হল মূল পাঠ্য একক। 

ধাপ - ২.শিখন উদ্দেশ্য নির্বাচন - 

পাঠ্য একক গুলি শিহ্মনের উদ্দেশ্য সমূহ যেমন বিষয় জ্ঞান,ধারণা গঠনের জ্ঞানের প্রয়োগ ক্ষমতা,দক্ষতা ইত্যাদি নির্ধারিত করতে হবে গুরুত্ব অনুযায়ী।

ধাপ - ৩.একক ভিত্তিক মূল্যমান নির্বাচন -

তৃতীয় পর্যায়ে পাঠ্য একক ও শিখন উদ্দেশ্য গুলিকে মূল্যমান স্থাপন করতে হবে।যেমন - বায়ুর মোট মান ধরা যাক ১৬, তেমনি বায়ুমণ্ডল -১৪ ও জল -১৪ ইত্যাদি।

ধাপ - ৪.উদ্দেশ্য ভিত্তিক মূল্যমান নির্ধারন -

চতুর্থ পর্যায়ে মূল পাঠ্য একক ও শিখন উদ্দেশ্য গুলির মূল্যমানের উপর ভিত্তি করে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা বা নির্দেশক তালিকা প্রস্তুত করতে হবে যার থেকে বোঝা যাবে শিক্ষক পাঠ্য বিষয়ের বিভিন্ন একক গুলি এবং শিক্ষণের উদ্দেশ্য গুলির উপর আনুপাতিক পরিমাণ গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

ধাপ - ৫.নির্দেশক তালিকা প্রস্তুতি - 

পঞ্চম পর্যায়ে এখন প্রশ্ন পত্র প্রস্তুত করতে হবে এই নির্দেশক তালিকার ভিত্তিতে।প্রশ্নপত্র রচনার সময় এই তালিকাকে অনুসরণ করলে যে প্রশ্নপত্র বা অভীক্ষা পত্রটি তৈরি হবে,তা অবশ্যই সম্পূর্ণ বিষয় জ্ঞান পরিমাপ করবে এবং বিচার করা সম্ভব হবে যে শিক্ষণের উদ্দেশ্য গুলি কতদূর চরিতার্থ হয়েছে।

ধাপ - ৬.অভীহ্মা পত্র রচনা -

ষষ্ঠ পর্যায়ে নির্দেশক তালিকা অনুসারে অভীহ্মা পত্রের রচনা করা হয়।এই তালিকায় প্রকৃতি অনুসারে প্রশ্নের সংখ্যা অর্থাৎ রচনাধর্মী,সংহ্মিপ্ত উত্তর ধর্মী,অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী ও নৈর্ব্যক্তিক উত্তর ধর্মী প্রশ্নের সংখ্যা ও মূল্যমান ও উল্লেখ করা হয়।


(প্রদত্ত চিত্রের মোট মান ১০০ হতে হবে।)

        এইভাবে শিক্ষামূলক অভীহ্মা গঠিত হলে তা এক দিকে সম্পূর্ণ পাঠ্যাংশ কে অন্তর্ভুক্ত করে সেই সংক্রান্ত জ্ঞান পরিমাপ করতে পারবে এবং সঙ্গে সঙ্গে পাঠদানের উদ্দেশ্য গুলি সব চরিতার্থ হয়েছে কিনা,তাও পরিমাপ করতে পারবে।এই ভাবে যে কোনো অভীহ্মা পদের বিষয়বস্তুর নির্ভর যথার্থতা রক্ষা করা হয়।

7. প্রশ্নপত্রের ধরন - 

শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত অগ্ৰগতি ও কর্ম সম্পাদন দক্ষতা পরিমাপের জন্য শিক্ষকগণ তাঁদের প্রয়োজন ও উদ্দেশ্য ভিত্তিতে অভিক্ষা প্রস্তুত করেন,যা শিক্ষক নির্মিত অভীক্ষা হিসেবে পরিচিত।এই ধরনের অভীহ্মা নির্দিষ্ট কয়েকটি নিয়ম ও বিধি অনুসারে প্রস্তুত করা হলেও এগুলির যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকে না এবং অভীহ্মার প্রাপ্ত স্কোর গুলি ও তুলনা যোগ্য নয়।তা সত্ত্বেও শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট এই অভীহ্মা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।শিহ্মক নির্মিত এই প্রশ্নপত্রের অভীহ্মার চার ধরনের হয়।যথা - 

  1. রচনাধর্মী অভিক্ষা - এই ধরনের অভীহ্মার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর যুক্তিসম্মত চিন্তা ক্ষমতা, ভাষাজ্ঞান, সুসংহত বক্তব্য উপস্থাপন ক্ষমতা ও রচনা শৈলীর পরিমাপ করা হয়।
  2. সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী অভিক্ষা - এই ধরনের অভীহ্মায় অভীহ্মার্থীরা দু - একটি বাক্যের সাহায্যে উত্তর দিতে হয়। 
  3. অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী অভীক্ষা - এই ধরনের অভীহ্মায় অভীহ্মার্থীকে একটি মাত্র শব্দ বা বাক্যের সাহায্যে উত্তর দিতে বলা হয়। 
  4. নৈর্ব্যক্তিক অভিক্ষা - এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর দানের সময় শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট শব্দ বা সংখ্যার বা চিহ্ন নির্বাচন করতে হয়,যা ঐ প্রশ্নের সর্বাপেক্ষা সম্ভাব্য উত্তর।

8. অভীহ্মার যথার্থতা হ্রাসের কারণ -

অভীক্ষার যথার্থতার হ্রাসের কারণগুলি লহ্ম করা যায়, সেই কারনগুলি নিম্নে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল -

১. অভীক্ষার সাংগঠনিক ক্রটি - কোনো অভীহ্মার অন্তর্গত অভীক্ষা পদ গুলি মধ্যে নিম্নলিখিত ত্রুটি গুলি থাকলে অভীক্ষার যথার্থতা হ্রাস পায়।যথা - 
  • ত্রুটিপূর্ণ নির্দেশ - কীভাবে অভীহ্মা পদ গুলি উত্তর দিতে হবে বা নির্বাচন করতে হবে সে সম্পর্কিত নির্দেশে ত্রুটিপূর্ণ হলে অভীক্ষার যথার্থতার মান হ্রাস পেতে পারে। 
  • ভাষার জটিলতা - অভীক্ষার ভাষা যথাযথ ও বোধগম্য না হলে শিক্ষার্থীরা উত্তরদানে ব্যর্থ হতে পারে।ফলে অভীক্ষার যথার্থতার মান হ্রাস পেতে পারে। 
  • অভীক্ষার কাঠিন্যমাত্রা - নির্বাচিত অভীহ্মা পদ গুলি খুবই সহজ বা খুবই কঠিন হলে অর্থাৎ উপযুক্ত কাঠিন্য মানের প্রশ্ন বা সমস্যা নির্বাচন না করলে অভীক্ষার যথার্থতা হ্রাস পায়। 
  • বিবৃতির স্বার্থকতা - কোনো অভীহ্মা পদের বিবৃতি স্বার্থক হলে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে তার ভুল ব্যাখ্যা করে এবং ভুল পথে চালিত হয়।ফলে অভীক্ষার যথার্থতা হ্রাস পায়। 
  • অভীহ্মার সংক্ষিপ্ততা - অভীহ্মা খুব সংক্ষিপ্ত হলে সমগ্র পাঠ্যসূচি থেকে বিভিন্ন ধরনের পর্যাপ্ত অভীক্ষাপদ নির্বাচনের সুযোগ থাকে না।ফলে অভীহ্মার যথার্থতা হ্রাস পেতে পারে।
  • অভীক্ষা পদের বেঠিক বিন্যাস - অভীক্ষা পদ গুলি তবে কাঠিন্যতার মান অনুসারে সহজ থেকে কঠিন, এই ক্রমে যথাযথভাবে বিন্যস্ত করা না থাকলে অভীহ্মার্থীরা উত্তরদানে সমস্যার সম্মুখীন হয়।ফলে অভীক্ষার যথার্থতা হ্রাস পেতে পারে। প্রথমেই যদি কঠিন প্রশ্ন থাকে তাহলে অনেক অভীহ্মার্থী উত্তর দিতে সক্ষম না হলে হতাশা হয়ে পড়ে।
  • অনুমান সহায়ক উত্তর সজ্জা - অনেক ক্ষেত্রে সত্য মিথ্যা জাতীয় কিংবা বহুপদ নির্বাচন মূলক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক ক্রমটি ( যেমন - TTT, FFF কিংবা A,B,C,D বা D,C,B,A ইত্যাদি ) শনাক্ত করতে দেবে অনুমানের ভিত্তিতে উত্তরদানে উদ্যোগী হয়।যা অভীহ্মার যথার্থতা হ্রাসের একটি অন্যতম কারণ। 
  • পদের পুনরাবৃত্তি - অভীক্ষা পদের পুনরাবৃত্তির অভীহ্মার যথার্থতা হ্রাসের কারণ।

২. শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়া -

  • মানসিক অবস্থা - শিক্ষার্থী প্রাক্ষোভিক দিক থেকে বিচলিত হলে কিংবা পরীক্ষাভীতি জনিত কারণে স্বাভাবিক উত্তর দানে অক্ষম হয়ে পড়ে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা ও প্রস্তুতির অভাব অভীক্ষার যথার্থতা হ্রাসের অন্যতম কারণ।
  • অনুমান করার প্রবণতা - শিক্ষার্থীরা অনেক সময় সঠিক উত্তর জানা না থাকলেও অনুমানের ভিত্তিতে কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়।যেমন - সত্য মিথ্যা জাতীয় প্রশ্নের ক্ষেত্রে সর্বই সত্য বা সর্বই মিথ্যা নির্বাচন করে আবার বহুমুখী নির্বাচন ধর্মী প্রশ্নের ক্ষেত্রে সর্বই a)কিংবা সবই,b)নির্বাচন করে এবং কিছু নম্বর পায়।এই প্রবণতার ফলে অভীক্ষার যথার্থতার হ্রাস পেতে পারে। 
3. অভীক্ষার পরিচালনা ও স্কোরিং নির্দেশনা -

  • অভিক্ষা পরিচালনা - যদি অভীহ্মার জন্য পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া হয়।অভীহ্মা গ্রহণের স্থান ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার অনুকূল না হয় তাহলে অভীক্ষার যথার্থতা হ্রাস পেতে পারে। 
  • স্কোরিং নির্দেশনা - উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য উপযুক্ত স্কোরিং নির্দেশনা না থাকলে নাম্বার দানের উপযুক্ত (রচনা ধর্মী অভীহ্মার ক্ষেত্রে) অভীহ্মকের ব্যক্তিগত প্রভাব পড়ে।ফলে অভীক্ষার যথার্থতা হ্রাস পেতে পারে। 
৪. অভীক্ষা পদগুলি উদ্দেশ্যহীনতা -

কাঙ্খিত আচরণগত উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতি না রেখে অভীহ্মাপদ নির্বাচন করলে অভীহ্মার নির্বাচন করলে অভীহ্মার যথার্থতা হ্রাস পায়। 

           অভীহ্মার যথার্থতা হ্রাসের উপরিউক্ত কারণগুলি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় সংগঠন ও প্রয়োগ সংক্রান্ত যে সমস্ত ত্রুটি গুলি প্রকৃত শিক্ষাগত ও মানসিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশে বাধার সৃষ্টি করে সেগুলিই অভীক্ষার যথার্থতা হ্রাস করে।উল্লিখিত অবস্থা গুলি যথার্থতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই যথার্থতা বৃদ্ধির করা সম্ভব।

9. অভীহ্মার যথার্থতা হ্রাসের দূরীকরণের উপায় গুলি -

অভীহ্মার যথার্থতা হ্রাসের দৃরীকরনের উপায় গুলি হল - 

১. সুস্পষ্ট নির্দেশনা - অভীক্ষার নির্দেশনা সুস্পষ্ট হতে হবে,যেন পরীক্ষার্থী বা শিক্ষার্থী পড়ে বুঝতে পারে এবং সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারে।

২. সহজ বোধ্য ভাষা - প্রশ্নের ভাষা শিক্ষার্থীর বা পরীহ্মার্থীর ভাষার দক্ষতা অনুযায়ী হবে।বাক্যের গঠন সরল হবে এবং অজানা শব্দের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. খুব সহজ/খুব কঠিন প্রশ্ন বাতিল - অভীহ্মা থেকে খুব সহজ ও খুব কঠিন প্রশ্ন গুলি বাতিল করতে হবে।

৪. সমগ্র পাঠ্যসূচি ও শিখনের উদ্দেশ্য অনুযায়ী প্রশ্ন - সমগ্ৰ সিলেবাসের বিষয়বস্তু এবং শিখনের বিভিন্ন উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে হবে।

৫. পরীক্ষাভীতি দূরীকরণ ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করন - পরীক্ষার্থীদের মন থেকে পরীক্ষাভীতি দূর করতে হবে এবং অভীক্ষা গ্রহণের আগে মানসিকভাবে তাদের প্রস্তুত করতে হবে।এ কারণে মাঝে মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. সন্তোষজনক আসন ব্যবস্থা - অভীহ্মা গ্রহণের পূর্বে পরীক্ষার্থীদের আসন ব্যবস্থা সন্তোষজনক কিনা তা দেখে নিতে হবে।

৭. দূষণমুক্ত পরিবেশ - পরিবেশ শব্দ এবং বায়ু দূষণ থেকে মুক্ত কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

10. প্রশ্নপত্র নমুনা -

(*** এখানে নিজের নিজের Method এ বিষয়ে ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে)

11. উপসংহার -

পাঠ্যসূচিতে বিভিন্ন পাঠ্য এককের উপর বিভিন্ন গুরুত্ব দেওয়া থাকে।তাই এটি তুলনা করে দেখতে হবে যে প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন পাঠ্য একক গুলিকে যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা পাঠ্যসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।এছাড়া শিখন উদ্দেশ্য অনুযায়ী মূল্যায়নের শতকরা হিসাব থেকে এটাও দেখতে হবে যে প্রতিটি উদ্দেশ্য আনুপাতিক হারে সঠিক গুরুত্ব পেয়েছে কিনা। এইভাবে প্রশ্নপত্র তথা অভীহ্মাপত্রটি বিষয়বস্তুর নির্ভর যথার্থতার নির্ণয় করা যাবে।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION FILE







Post a Comment (0)
Previous Post Next Post