Maladjusted Behaviour - Truancy||অপসংগতি মূলক আচরণ - বিদ্যালয় পলায়ন
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Maladjusted Behaviour - Truancy |
অপসংগতি মূলক আচরণ - বিদ্যালয় পলায়ন
BENGALI VERSION -
(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)
1. ভূমিকা -
অপসংগতি জনিত কারণে ব্যক্তির মধ্যে অর্থাৎ শৈশব কাল থেকে শুরু করে বাল্যকাল এবং কৈশোর কাল পর্যন্ত যে আচরণগত সমস্যা গুলি দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হল বিদ্যালয় পলায়ন বা স্কুল পালানো। শিশুর এই অপসংগতি মূলক আচরণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হল।
2. বিদ্যালয় পলায়ন বা স্কুল পালানো -
ইংরেজি শব্দ "Truancy" যার বাংলা আভিধানিক অর্থ হল পলায়ন।পলায়নপরতা বিশেষ করে বিদ্যালয় পলায়ন বা স্কুল পালানো একটি অতি সাধারণ অপরাধ পরায়নতার দৃষ্টান্ত।বেশ কিছু সংখ্যক শিশু বা শিহ্মার্থীর আছে যারা কোনো উপযুক্ত কারণ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষিকার নিকট কোনো অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় থেকে প্রায়ই পালিয়ে যায়। বিদ্যালয় থেকে না জানিয়ে পালিয়ে যাবার এই মনোভাব কেই বিদ্যালয় পলায়ন বা স্কুল পালানো বলা হয়।দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার বা পরপর কয়েকদিন এভাবে বিদ্যালয় পলায়নকে অপসংগতি মূলক আচরণ বলে ধরা হয়।অর্থাৎ কোনো সংগত কারণ ছাড়াই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতিকে অপসংগতি মূলক আচরণগত সমস্যার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অনেক হ্মেত্রে এই ধরনের সমস্যা শিহ্মাগত সমস্যা এবং দারিদ্র্যের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। বিদ্যালয় পলায়ন একটি সাধারণ অপসংগতি মূলক আচরণ হলেও যদি এটি ভবিষ্যতে না কমানো যায় তাহলে ধরে নিতে হবে রে আরো জটিল অপসংগতির সম্ভাবনা এটি একটি সংকেত।
• প্রকারভেদ -
বিদ্যালয় পলায়ন শিক্ষার্থীদের আচরনের উপর ভিত্তি করে চারটে শ্রেনিতে ভাগ করা হয়েছে।যথা -
১. আকস্মিক পলায়ন -
এই ধরনের পলায়নের হ্মেত্রে শিক্ষার্থীরা মাসের মধ্যে আকস্মিক ভাবে বিদ্যালয় থেকে বিনা অনুমতিতে পলায়ন করে।
২. অভ্যাসগত পলায়ন -
এই ধরনের পলায়নের হ্মেত্রে শিক্ষার্থীরা নিজের অভ্যাসের কারণে ইচ্ছায় বিদ্যালয় থেকে বিনা অনুমতিতে পলায়ন করে।
৩. ভীতি আসক্তিতে পলায়ন -
অনেক সময় দেখা যায়, শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো শিহ্মক - শিহ্মিকার প্রতি বা পড়া না করার দরুন তারা বিদ্যালয় থেকে বিনা অনুমতিতে পলায়ন করে।
৪. দীর্ঘস্থায়ী পলায়ন -
এই ধরনের পলায়নের হ্মেত্রে শিক্ষার্থীর মাসের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে বিদ্যালয় থেকে বিনা অনুমতিতে পলায়ন করে বা অনুপস্থিত লহ্ম করা যায়।
3. বিদ্যালয় পলায়নের কারন -
একজন শিহ্মার্থী বিদ্যালয় থেকে বিনা অনুমতিতে পলায়ন পেছনে যে সমস্ত কারন গুলি লহ্মন করা যায়, সেগুলি হল -
- বিদ্যালয়ে যে পাঠক্রম অনুসরণ করা হয় তা মূলত ক্রটিযুক্ত হওয়ার শিক্ষার্থীর কাছে তা সহজে গ্ৰহনযোগ্য হতে পারে না।
- শিহ্মার্থীর মধ্যে শারীরিক সুস্থতার অভাব।
- শিহ্মার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের ভগ্ন প্রকৃতির অধিকারী।
- শিহ্মার্থীর মধ্যে আত্ম সচেতনতার অভাব।
- শিহ্মক বা শিহ্মিকার আচরনগত কারন।
- শিহ্মক বা শিহ্মিকার প্রতি শিক্ষার্থীর ভয় বা ভীতি জনিত কারণ।
- শিহ্মার্থীর কোনো অসৎ ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা দোষ।
- শিহ্মার্থীর চাহিদার পরিতৃপ্তি সাধন না হওয়া।
- শিহ্মার্থীর সঙ্গে সহপাঠীদের মধ্যে অভিযোজনগত কারন।
- বিদ্যালয়ের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
- শিহ্মক বা শিহ্মিকার ক্রটিপূর্ণ শিহ্মন পদ্ধতি।
- বিদ্যালয়ের নিয়মনীতি প্রতি ক্রটি।
- অল্প বয়সে শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেম জনিত বিষয়।
4. শিহ্মার্থীর উপর প্রভাব -
একজন শিহ্মার্থী বিদ্যালয় থেকে বিনা অনুমতিতে পলায়ন ফলে তার মধ্যে যে সমস্ত প্রভাব গুলি লহ্ম্য করা যায়,তা মূলত নেতিবাচক প্রভাব।এই প্রভাব গুলি হল।-
- যে সমস্ত শিহ্মার্থীর মধ্যে এই আচরণ লহ্ম করা যায়, তারা অন্য শিহ্মার্থীদের থেকে পড়াশোনা পিছিয়ে পড়ে বা হ্মতি সাধন লহ্ম করা যায়।
- শিহ্মার্থীরা বিদ্যালয় ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
- শিহ্মার্থীরা সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে।
- শিহ্মার্থীর মধ্যে অপরাধ মূলক আচরণে জড়িয়ে পরবে।
- শিহ্মার্থীর মধ্যে আইন প্রতি অনীহা সৃষ্টি হবে।
- বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে।
- মানসিক স্বাস্থ্য জনিত সমস্যার সৃষ্টি হবে।
- বিদ্যালয়ের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
- শিহ্মার্থীর মধ্যে ড্রাগ,মাদক দ্রব্যের প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পায়।
- শিহ্মার্থীর মধ্যে ভয় বা ভীতির সৃষ্টি হয়।
- শিহ্মার্থীর মধ্যে সহিংসতা লহ্ম করা যায়।
- বিদ্যালয়ের পাঠক্রম আকর্ষণীয় ও উন্নত করতে হবে।
- শারীরিক অসুস্থতা রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- বিদ্যালয়ের পুষ্টিকর খাদ্যের সরবরাহ করতে হবে।
- বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মধ্যে মানসিক প্রসন্নতা তৈরি করতে হবে।
- শিহ্মার্থীর চাহিদার পরিতৃপ্তির প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।
- একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার আদর্শ আচরনের অনুকরন শীল হওয়া উচিৎ।
- সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলির প্রতি সম্পাদন করা।
- শিহ্মার্থীদের জন্য শিশু পরিচালনা গার পরিচালনা করা।
- সৎসঙ্গ স্থাপনে উৎসাহিত করা।
- বিদ্যালয়ের স্বতঃস্ফূর্ত শৃঙ্খলার উপর জোর দিতে হবে।
- বিদ্যালয়ের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিহ্মক বা শিহ্মিকার নিয়োগ করতে হবে।
- শিহ্মার্থীদের সঙ্গে শিহ্মক শিহ্মিকার বেশি করে সময় দেওয়া।
- শিহ্মার্থীদের সঙ্গে শিহ্মক শিহ্মিকার মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করা।
- শ্রেণিকক্ষে কঠোর শাসন এবং রুঢ় আচরণ বর্জন করতে হবে।
- শিহ্মার্থীর সঙ্গে পিতামাতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
- গৃহে শিহ্মার্থীর সঙ্গে সহানুভূতি মূলক আচরণ করতে হবে।
- বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পঠনপাঠনে প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।
- গৃহে শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
- শিহ্মার্থীরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ের যাচ্ছে কিনা তা লহ্ম করা।
- প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
6. উপসংহার -
বিদ্যালয়ের পলায়ন একটি সাধারণ অপসংগতি মূলক আচরণ।তবে শিহ্মার্থীর এই ধরনের আচরণ প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিৎ। অধিকাংশ যুব অপরাধীর হ্মেত্রে দেখা গেছে যে, বিদ্যালয় পলায়ন তাদের বিদ্যালয় জীবনের একটি অপরিহার্য লহ্মন ছিল। বিদ্যালয় পলায়ন কারনটি প্রথম অবস্থার দুর করা শক্ত নয়। কিন্তু যদি সেটি অবহেলা করা হয় বা প্রাথমিক অবস্থায় দুর করা না হয় তবে ঐ কারনটি জটিল আকার ধারণ করে এবং কালক্রমে ব্যক্তির মনে গভীর বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য মনোবিজ্ঞানীদের অভিমত হল যে শিশুর মনে বিদ্যালয় পলায়নের প্রবনতা দেখলেই অবিলম্বে তার কারন খুঁজে বার করতে হবে এবং যতটা সম্ভব তা দুর করতে হবে।
CLICK HERE -