Stealing||চুরি করা

Stealing||চুরি করা

Maladjusted Behaviours - Stealing||অপসংগতি মূলক আচরণ - চুরি করা

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Maladjusted Behaviours - Stealing
Maladjusted Behaviours - Stealing

অপসংগতি মূলক আচরণ - চুরি করা

BENGALI VERSION -

(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

1. ভূমিকা -

অপসংগতিজনিত কারনে ব্যক্তির মধ্যে শৈশব কাল থেকে শুরু করে বাল্য কাল এবং কৈশোর কালে যে আচরণগত সমস্যার দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হল চুরি করা।

2. চুরি করা - 

অপসংগতিমূলক আচরণে মধ্যে আরো একটি আচরণ হল চুরি করা।কোনো গুরুত্বপূর্ণ চাহিদার তৃপ্তির অভাবকে শিশু অপরের জিনিসপত্রের চুরির মাধ্যমে আংশিক ভাবে তার মৌলিক চাহিদার মেটাবার চেষ্টা করে।একে চুরি করা বলা হয়।উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, শ্রেণিকক্ষে কোনো শিক্ষার্থী পড়াশোনা না পারলে শিহ্মক শিহ্মিকা ও সহপাঠীদের কাছে থেকে সে তার কাম্য পরিচিতি পায় না এবং তার আচরণ প্রতিষ্ঠার চাহিদা বিশেষভাবে হ্মুন্ন হয়ে ওঠে।তখন সেই শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের বই,খাতা,পেন ছাতা চুরি করে তার চাহিদা মেটানো চেষ্টা করে। অনেক সময় দেখা যায় এরা বাড়িতে পিতামাতার টাকাপয়সা চুরি করে থাকে।কখনো কখনো তা বিদ্যালয় বা গৃহ তে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিবেশির ওপরের এর প্রভাব পড়ে যা শিশুকে অপরাধ পরায়নতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।এই আচরণ ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকে এবং প্রবল আকার ধারণ করে।দেখা গেছে এই ধরনের সমস্যা মূলক আচরনের জন্য কঠোর শাস্তি দিলে তার মনে বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়,যা তার জীবনে আরো হ্মতি সাধন করে দিতে পারে।

3. শিশু শিহ্মার্থীর চুরি করার কারন -

  • শিহ্মার্থীর মৌলিক চাহিদা পরিতৃপ্তি না ঘটলে তারা এই পথে অগ্ৰসর হয়। 
  • শিহ্মার্থীর অর্থনৈতিক অভাব প্রকট হলে তারা এই কাজ করে থাকে। 
  • শিশুর নিরাপত্তা বোধের অভাবে ঘটে থাকে।
  • শিশুর যদি কু সঙ্গ দ্বারা পরিচালিত হলে তারা এই পথে অগ্ৰসর হয়। 
  • শিশুর মধ্যে দুর্বল মানসিক সংগঠন ও দুর্বল ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তিরা এই কাজ করে থাকে।
  • শিশুর মনোবৈজ্ঞানিক বিকৃতি জনিত কারণে ঘটে থাকে।
  • পিতামাতার অসৎ ও অনৈতিক আদর্শ দ্বারা তারা এই পথে অগ্ৰসর হয়।
  • শিশুর প্রতি স্নেহ ভালোবাসার অভাবে ঘটে থাকে।
  • শিশুর মধ্যে হীনমন্যতা বোধ এবং হিংসার মনোভাব দ্বারা এই কাজ করে থাকে।
  • অনেক ক্ষেত্রে শিশুর মানসিক অপরিনতির দরুন চুরি করে থাকে।
  • আবার অনেকে হ্মেত্রে শিক্ষার্থীরা নিছক কৌতুহল বশে চুরি করে থাকে।
  • শিহ্মার্থীরা সাময়িক লোভের বশে চুরি করে থাকে।

4. শিশুর শিহ্মার্থীদের উপর প্রভাব -

  • শিশুর মধ্যে অপসংগতি মূলক আচরণের ক্রমশ গুরুতর আকার ধারণ করে।
  • শিশুর মধ্যে আরো গভীর মনোবিকার মূলক চুরি করার প্রবনতা দেখা যায়।
  • শিশুরা যদি এই আচরণে বারংবার করতে করতে একটি সময়ে চুরি করা অভ্যাসে পরিণত হবে।
  • শিশুরা তাদের সামাজিক মান ও মর্যাদা হারিয়ে ফেলে।
  • শিশুরা সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
  • তারা একটি সময় বিদ্যালয় বিমুখী অর্থাৎ পড়াশোনা প্রতি অনীহা সৃষ্টি হবে।
  • শিশুর অহম সত্তা বিঘ্নিত হয়।
  • শিশুরা নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব বৃদ্ধি পায়।

5. শিশু শিহ্মার্থীর চুরি করা থেকে প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা -

• বিদ্যালয় ও শিহ্মক শিহ্মিকার ভূমিকা -

  • শিশুর চুরি করার প্রবনতা জন্য যে সমস্ত কারন গুলি রয়েছে তা অনুসন্ধান করতে হবে।
  • শিশুর মৌলিক চাহিদার পরিতৃপ্তি সাধন করতে হবে। 
  • শিহ্মক শিহ্মিকা শিশু শিক্ষার্থীকে কু সঙ্গ থেকে মেলামেশা থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করবেন।
  • চুরি করে ধরা পরার পর তাদের শারীরিক শাস্তি নীতি বর্জন করতে হবে।
  • শিহ্মক শিহ্মিকার প্রত্যেক শিশুকে বোঝাবেন যে চুরি করা অন্যায়।
  • শিহ্মক শিহ্মিকা শিশুর শিক্ষার্থীদের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে তাদের সংগতি বিধানে সাহায্যে করতে হবে।
• পিতামাতার ভূমিকা -
  • শিশুর চুরি করার কারন গুলি অনুসন্ধান করতে হবে।
  • শিশুর মৌলিক চাহিদা পরিতৃপ্তি সাধন করতে হবে।
  • গৃহ পরিবেশকে উন্নত করতে হবে।
  • পিতামাতাকেও নৈতিকভাবে সৎ ও আদর্শ হতে হবে।
  • পিতামাতা তার শিশুকে চুরি করা যে অন্যায় এই ধরনের শুভবোধ জাগ্ৰত করতে হবে।
  • পিতামাতা স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে শিশুর অন্তরের বক্তব্য বা চাহিদাটি বুঝে তার সংগতি বিধানে সাহায্যে করতে হবে।
  • এহ্মেত্রে শাস্তিমূলক নীতি বর্জন করতে হবে।
  • পিতামাতা প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
  • অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
  • প্রাথমিক অবস্থায় যদি এই আচরনকে দূর করা যায় তাহলে শিশুর মধ্যে অহম সত্তা প্রতিষ্ঠার করতে হবে,যাতে তারা তাদের কাজের প্রাপ্য পরিচয় পায় এবং অবলুপ্ত আত্মবিশ্বাস যাতে ফিরে পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

6. উপসংহার -

পরিবেশ বলা যায় যে, অপরাধ পরায়নতা যে অপসংগতি থেকে জন্মায় তা নয়,নিছক মানসিক অপরিনতির জন্য অনেক শিশুর শিহ্মার্থীরা মিথ্যা কথা বলার মতো এটা ওটা চুরি করে থাকে।চুরি করা যে উচিৎ না অনুচিত একথা বোঝায় মতো বয়স তখন তাদের হয় না। কৌতুহল এবং সাময়িক লোভে প্রকৃত অপরাধ পরায়নতার দৃষ্টান্ত নয় এবং সহানুভূতি পূর্ণ আচরণের সাহায্যে বুঝিয়ে এদের নিবৃত্ত করা যায়। কিন্তু যদি এই ধরনের চুরিকেও যথা সময়ে নিবৃত্ত করা না হয় তাহলে তা অভ্যাসে দাঁড়াতে পারে এবং পরে তা থেকে গুরুতর অপরাধ পরায়ণতার সৃষ্টি হতে পারে।বলা বাহুল্য শিশুর চুরি করার একটি অস্বাভাবিক মনোবিকার থেকে সঞ্জাত এবং অভিজ্ঞ মনশ্চিকিৎসকের সাহায্যে ছাড়া এগুলির চিকিৎসা করা একে বারে সম্ভব নয়।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post