Timidity||ভীরুতা

Timidity||ভীরুতা

Maladjusted Behaviours - Timidity||অপসংগতি মূলক আচরণ - ভীরুতা

BENGALI VERSION ENGLISH VERSION

Maladjusted Behaviours - Timidity
Maladjusted Behaviours - Timidity

অপসংগতি মূলক আচরণ ভীরুতা

BENGALI VERSION -

(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

1. ভূমিকা -

অপসংগতি জনিত কারণে ব্যক্তির মধ্যে শৈশব কাল থেকে শুরু করে বাল্য কাল থেকে কৈশোর কালে যে আচরনগত সমস্যাগুলি দেখা যায়, তার মধ্যে ভীরুতা হল অন্যতম।এটি ব্যক্তির স্বাভাবিক প্রবণতা মধ্যে একটি। 

2. ভীরুতা -

ইরেজি শব্দ 'Timidity' কথাটির আভিধানিক অর্থ হল ভয় পাওয়া।ব্যুৎপত্তিগত ভাবে 'Timidity' শব্দটি এসেছে মধ্য ফরাসি শব্দ 'Timidite' থেকে, আবার অনেকের মতে ল্যাটিন শব্দ 'Timiditas' থেকে। অনেকহ্মেত্রে দেখা যায় শ্রেণিকক্ষে কোনো ছাত্রছাত্রী চুপচাপ বসে থাকে, তাদের মধ্যে একধরনের সংকুচিত মনোভাব দেখা যায়। আত্মবিশ্বাসহীন অবস্থায় এই ধরনের শিহ্মার্থীরা পরিবেশের সঙ্গে সার্থকভাবে সংগতি বিধানে অহ্মম নিজেকে প্রকাশ করতে না পারা বা সকলের অগ্ৰগতির সঙ্গে অভিযোজনে ব্যর্থ।এই ধরনের আচরনকে ভীরুতা বলা হয়।এটি একটি স্বাভাবিক প্রবনতা হিসেবে ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত হয়ে থাকে।কোনো রূপ বাধা অতিক্রম করার মানসিকতাই এদের মধ্যে থাকে না।নিজের শক্তির প্রতি আস্থা অহমের প্রকাশ এদের মধ্যে খুবই কম থাকে।

3. ভীরুতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্য -

  • সর্বদা চুপচাপ বসে থাকা।
  • এরা লাজুক প্রকৃতি হয়।
  • এরা সহজে সকলের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারে না, অর্থাৎ এদের মধ্যে সংকুচিত মনোভাব লহ্ম করা যায়।
  • এরা সার্থক ভাবে সংগতি বিধানে অহ্মম।
  • নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব।
  • এরা পরিস্থিতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে চেষ্টা করে।
  • এরা দুর্বলচিত্ত প্রকৃতি।
  • এদের ব্যক্তিসত্তার বিকাশ লহ্ম করা যায় না।

4. ভীরুতার কারন -

  • আপন স্বতন্ত্র অবস্থা জনিত দূরত্ব। 
  • শিহ্মার্থীদের অভিযোজনের সক্ষম না হওয়ার জন্য ভয়।
  • শিশুর শিহ্মার্থীর অহেতুক ভীতি বা প্রচন্ড অসহায়তা বোধ। 
  • আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত অভাব।
  • শিশুর শিহ্মার্থীর মধ্যে ইচ্ছাপূরণের ব্যর্থতা।
  • শিশুর প্রতি অতিরিক্ত শাসন এবং কঠোর শৃঙ্খলা জনিত কারণ।
  • পঠনপাঠনের প্রতি ভীতি।
  • শিশুর শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা।
5. ভীরুতার প্রভাব -
  • এই সমস্ত শিশুরা নিজেকে সকলের থেকে গুটিয়ে রাখে।
  • এরা বাড়িতে এবং বাড়ির বাইরে খুব শান্তশিষ্ট ভাবে বসে থাকে।
  • বাস্তবতা থেকে সরিয়ে রাখার মনোভাব লহ্ম করা যায়।
  • এদের মনে অন্তদ্ধন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
  • এদের মধ্যে ব্যক্তিসত্তার বিকাশ ব্যাহত হয়।
  • শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব লহ্ম করা যায়,যার ফলে এরা কোনো কাজের প্রতি সাহস দেখাতে পারে না।
  • পারিবারিক শান্তি বিঘ্নিত হয় এদের জন্য।
  • কোনো কাজে প্রতি ভীতি লহ্ম করা যায়।
6. ভীরুতার প্রতিকারে বিভিন্ন ব্যক্তিদের পদহ্মেপ -
• বিদ্যালয় ও শিহ্মক শিহ্মিকার ভূমিকা -
  • শ্রেণিকক্ষে এই সমস্ত শিশু শিহ্মার্থীদের প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে।
  • শিহ্মক শিহ্মিকা সেই সমস্ত শিহ্মার্থীর ভীরুতার সঠিক কারনটি খুঁজে বার করে তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। 
  • শিহ্মক শিহ্মিকারা এই সমস্ত শিহ্মার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।
  • শ্রেণিকক্ষে এই সমস্ত শিহ্মার্থীদের প্রশ্নকরণ ও কথোপকথন মাধ্যমে সক্রিয় করে তুলতে হবে।
  • পঠনপাঠন ছাড়াও বিভিন্ন সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীতে এদের অংশগ্রহণ ও উৎসাহিত দিতে হবে।
  • শিহ্মক শিহ্মিকারা স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে শিশুর শিহ্মার্থীদের প্রতিটি কাজকে বিশ্লেষণ করে তাদের মনে সাহস ও ভরসার সঞ্চার হবে।
  • শিহ্মক শিহ্মিকার এই সমস্ত শিহ্মার্থীদের অন্তর্মুখী আচরন থেকে বহির্মুখী আচরণের প্রতি উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে হবে।
  • এই সমস্ত শিহ্মার্থীরা যাতে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

• পিতামাতার ভূমিকা -

  • পিতামাতা শিশুর প্রতি চাপ সৃষ্টি না করাই শ্রেয়।
  • শিশুর স্বাধীনতা ও আত্ম প্রতিষ্ঠার চাহিদার যাতে যথাযথ পরিতৃপ্তি সাধন হয়ে পরে তার দিক নজর রাখতে হবে। 
  • এই সমস্ত শিশুদের সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ ও উৎসাহিত করতে হবে।
  • শিশুর প্রতি কঠোর শাসন ও নিপীড়নমূলক আচরণ বর্জন করতে হবে। 
  • শিশুর প্রতি আদর ও শাসন বর্জন করে শিশুর সঙ্গে পরিমিত আচার আচরণ প্রদর্শন করতে হবে।
  • শিশুদের আত্মবিশ্বাসী হতে সহায়তা করা।
  • যদি কোনো শিশুর শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা থাকলে পিতামাতার উপযুক্ত মনোচিকিৎসকের পরামর্শ বা চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্ৰহন করতে পারে।

7. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যায় যে, অপসংগতি মূলক আচরণের মধ্যে অন্যতম হল ভীরুতা।এই ধরনের আচরণের প্রভাব একটু অন্য প্রকৃতি হয়।এই ধরনের আচরণ যুক্ত ব্যক্তি হয়তো অন্য কারো হ্মতি সাধন করে ঠিকই কিন্তু পরোহ্ম ভাবে এর প্রভাব তার ব্যক্তিগত জীবনে পড়ে।তাই এই ধরনের শিশুর আচরণ সম্পর্কে সদা সচেতন থাকতে হবে যাতে মনোযোগের অভাবে এই মনোভাব তার মধ্যে আরো প্রকট হয়ে উঠতে না পারে। যদি প্রাথমিক অবস্থার এর মোকাবিলা করা যায় তাহলে সেই শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post