Read the text and provide a five words summary to each paragraph

Read the text and provide a five words summary to each paragraph

READ THE TEXT AND PROVIDE A FIVE WORD'S SUMMARY TO EACH PARAGRAPH||পঠনটি পড়ুন এবং প্রতিটি অনুচ্ছেদে পাঁচটি শব্দের সারাংশ প্রদান করুন

BENGALI VERSION||

ENGLISH VERSION

Read the text and provide a five words summary to each paragraph practicum
Read The Text And Provide A Five Word's Summary To Each Paragraph

(** ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

BENGALI VERSION -

পঠনটি পড়ুন এবং প্রতিটি অনুচ্ছেদে পাঁচটি শব্দের সারাংশ প্রদান করুন

1. EPC - এর ভূমিকা -

EPC কথাটির অর্থ হল Enhancing Professional Capasity বা পেশাগত হ্মমতায় বৃদ্ধি। বিভিন্ন হ্মমতা যেমন - লিখন,পঠন,বোধ পরীহ্মণ সংহ্মিপ্তকরণ,সর্বপাপ এগুলি অনুশীলনের উন্নতি হয় EPC এর মাধ্যমে।

        বর্তমানে শিহ্মকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা বলে বিবেচিত হয়। এই কারনে শিহ্মাকতার শিহ্মকের পেশাগত দহ্মতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। EPC আমাদের জীবনে সদর্থক মনোভাব গ্ৰহন ও চরিত্র গঠনের কাজে লাগে। তাই পেশাভিত্তিক দহ্মতাকে প্রগাঢ় ও সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করা যায়, তাছাড়া এই বিষয়টি আর্দশগত ভাবে সম্মিলিত করার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ভিত্তিক পর্যায় ও পরিবর্তনশীল পাঠক্রমের সাথে শিহ্মককে অভিযোজিত করতে ও সহায়তা করে। পেশাগত দহ্মতা অর্জন একজন শিক্ষককে সবসময় নতুন নতুন ভাবনায় সমৃদ্ধ করে। পেশাগত দহ্মতা বিভিন্ন দিক আছে- পাঠ্য বিষয়ের উপস্থাপন,পাঠ অধ্যয়ন, পরামর্শদান, চিন্তাশীল তত্ত্ববোধ,প্রায়োগিক সহযোগিতা ইত্যাদি।উন্নত পেশাগত হ্মমতা একজন শিহ্মকেরা বিজ্ঞানসম্মত শিহ্মণ পদ্ধতি ও সদর্থক কর্মদহ্মতার উন্নতি ঘটায়।

2. EPC - এর উদ্দেশ্য -

১.পেশাভিত্তিক উন্নয়নের পরিসর দীর্ঘ প্রতিটি পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তির কতগুলি গুন বা যোগ্যতা থাকার দরকার।এটি বিভিন্ন ব্যক্তির উদ্যমশীলতা নির্ভরযোগ্যতা ও আত্মনিয়ন্ত্রনের হ্মমতা বৃদ্ধি করে ফলে পেশাগত উন্নয়নের নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ একটি সাধারণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কর্মদহ্মতায় উন্নয়নের বিভাজন করে নেয়।

২.পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত পঠনের মাধ্যমে পাঠকের মূল্যবোধ এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট নৈতিকতার সমৃদ্ধি ঘটে। সামগ্রিক ভাষার প্রসার ঘটে।

৩. পেশাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির মূল ভিত্তি হলো ব্যক্তির দীর্ঘ শিখনি আগ্রহ এবং তাদের ক্ষমতা ও জ্ঞানের বৃদ্ধিকরণ; পরিশ্রমশীলতা প্রত্যুৎপন্ন যৌতিত্ব, দায়িত্ব গ্রহণ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের পেশাগত ক্ষমতা উদ্যোগী করে তোলা।

৪. সরব পাঠ ও নীরব পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৫. পেশাগত দক্ষতা বিকাশের ফলে শিশুর আচরণ কেমন বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৬. পাঠ্যক্রমে পঠনের বিষয়বস্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে জীবনমুখী ও ইতিবাচক করে তোলে।

3. ব্যবহারিক অংশ নির্বাচন - 

উক্ত এই প্রকল্পটিতে " Read the text and provide a five words summary to each paragraph " বা " লেখাটি পড়ুন এবং প্রতিটি অনুচ্ছেদে পাঁচটি শব্দের সারাংশ প্রদান করুন " নির্বাচন করা হলো।

4. ভূমিকা - 

মানুষের মনের ভাব বিনিময়ের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হল ভাষা। ভাষা ব্যক্তি কে স্বাধীন ও চিন্তাশক্তি বিকাশ ঘটাতে শেখায় এবং মানুষের মধ্যে রচনা শক্তির বিকাশ ঘটায়। যা তা লিখন দক্ষতা কি উন্নতি সাধন করতে সহায়তা করে। ভাষা দক্ষতার বিভিন্ন অংশের মধ্যে সারাংশ একটি অন্যতম দিক। বৃহৎ অর্থবহুল পাঠ কে বুঝে তার মূল ভাষা কে সংক্ষেপে নিজের ভাষায় প্রকাশ করার টি হল সারসংক্ষেপ বা সারাংশ। শিশুর লিখন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সারাংশ লিখন। প্রকল্পটির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিভাবে লিখন দক্ষতা বৃদ্ধি ঘটে সেই সম্পর্কে আমরা জানবো।

5. মূল বিষয়বস্তু -

5.1.1. পঠন -

ভাষার লিখিত রূপ অনুধাবন করে, তার অর্থ উদ্ধার করতে পারা হল পঠন।পঠনের সু-অভ্যাসের মাধ্যমে অর্থোপলদ্ধির সঙ্গে ধ্বনি এবং দৃশ্য মিলেমিশে যায়।প্রত্যহ্ম পঠনের সাহায্যে আমরা কোনো বিষয় সম্পর্কে জানাতে পারি এবং পঠন সম্পর্কিত বিষয়ের যাবতীয় তথ্যাদি পেতে পারি।

             পঠনকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে Arnold Bennet বলেছেন - " The aim of Reading as a whole is gradually to create and ideal life a source a refuge,an cternal source of inspiration."আবার পঠনের যান্ত্রিক দিকটির নজর দিয়ে Dr. West বলেছেন," Reading is the process of sight-sound sense." 

5.1.2. আর্দশ পঠনের বৈশিষ্ট্য - 

আর্দশ পঠনের বৈশিষ্ট্য গুলি হল -

  • নির্ভূলতা - পাঠটি নির্ভূল ভাবে পড়তে হবে।
  • গতি - নির্দিষ্ট গতি বজায় রাখার মাধ্যমে শিহ্মার মান অনুযায়ী বিষয়টি পাঠ করা।
  • উপলদ্ধি - ভাষা প্রয়োগ শব্দচয়ন,ছন্দ,উপমা ও অলংকার ইত্যাদি বোঝার মাধ্যমে কোনো বিষয়ের অন্তর্নিহিত ভাষাটি উপলদ্ধি করতে পারা।
  • অভিব্যক্তি - পাঠ্যাংশের মধ্যে যে ভাবনা,আবেগ ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তার যথাযথ প্রকাশ মূর্ত করে তোলা।

5.2.1. সারাংশ -

সারাংশ হল কোন বিষয়ের মূলভাবের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। সারাংশ হল এক জাতীয় রচনা,কোন বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত সুসংহত করে প্রকাশ করতে পারাকে সারাংশ বলে। সারাংশ লিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও একাগ্রতা সহকারি নির্বাচিত বিষয়বস্তু বারংবার পাঠ করবে।অর্থাৎ তার ভাব,অর্থ,বক্তব্য অন্তর্নিহিত অর্থ আয়ত্ত করবে ও উপলব্ধি করবে,শেষে মূল বক্তব্যকে সংক্ষিপ্ত করে প্রকাশ করবে।

                সারাংশ লিখন দক্ষতার একটি অন্যতম দিক। বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে সংক্ষিপ্ত রূপ হল সারাংশ। সারসংক্ষেপ বা সারাংশ কে ইংরেজিতে বলা হয় 'Precis' এর কথাটি ফরাসি শব্দ,J. C.Nesfield বলেছেন - "The word precis is a French word signifying summary condendium abridgement abstract condensed statement epitome......"

5.2.2. সারাংশের বৈশিষ্ট্য - 

সারাংশ নিম্নলিখিত কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেগুলি হল - 

  1. বৃহৎ রচনা একটি ক্ষুদ্রতম প্রতিনিধি। 
  2. রচনার মূল ভাবে অপরিবর্তিত থাকে।
  3. সারাংশ পঠনের দ্বারা সহজেই মূল রচনা অর্থ বোঝা যায়।
  4. আয়তনে মূল রচনা এক-চতুর্থাংশ হয়। 
  5. লেখকের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়।
  6. ৫০-১০০ টি শব্দে লিখতে হয়।
  7. একটি সারাংশে একটি অনুচ্ছেদ থাকে।

5.2.3. সারাংশের প্রকারভেদ -

সারাংশ মূলত তিন ধরনের হয়; যথা - 

  1. বর্ণনামূলক সারাংশ - এই ধরনের সারাংশ নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর পরিবর্তে প্রারম্ভিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
  2. তথ্যগত সারাংশ - অধিকাংশ সারাংশ এই ধরনের হয়ে থাকে।এটি খুব সাধারন।মূল ধারণা কে খুব ছোট ভাবে তুলে ধরা হয়,তাই তাকে Outline Summary বলে। 
  3. মূল্যায়নমূলক সারাংশ - তথ্যমূলক সারাংশ এখানে বৃদ্ধি করা হয়।এই ধরনের সারাংশে আমরা মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকে।

5.2.4. সারাংশের উদ্দেশ্য -

সারাংশের উদ্দেশ্যাবলী গুলি হল - 

  1. শিক্ষার্থীদের লেখার অভ্যাস গড়ে ওঠে। 
  2. বানান সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। 
  3. স্বাধীন চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি বিকাশ ঘটে।
  4. লিখন দক্ষতা অর্জিত হয়।
  5. গল্প,কবিতা,উপন্যাস,নাটক প্রভৃতি প্রকাশ ঘটেছে।
  6. যতি ও ছেদ চিহ্নের ব্যবহার হয়।
  7. সুন্দর রুচিশীল হস্তাক্ষরের কুশলতা অর্জন করতে পারে।
  8. শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহকে সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সাহায্য করে।
  9. সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে।

5.2.5. সারাংশের প্রয়োজনীয়তা -

  1. স্বাধীন চিন্তাশক্তির বিকাশ হয়।
  2. লিখন দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  3. নিজের জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারাকে স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করা যায়।
  4. নির্ভুল বানান শেখার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  5. রুচিশীল হস্তাক্ষরের কুশলতা অর্জন করা।
  6. কল্পনা ও চিন্তাশক্তির বিকাশ সাধন হয়।

5.2.6. সারাংশের সুবিধা -  

  1. শিক্ষার্থী স্বাধীন চিন্তা শক্তি ও কল্পনাশক্তি বিকাশ ঘটে।
  2. লিখন দক্ষতার বৃদ্ধি পায়।
  3. সুন্দর ও রুচিশীল হস্তাক্ষরের কুশলতা অর্জন করে।
  4. বিষয় সম্পর্কে বোধগম্যতা ও মূল্যায়ন মূলক ধারণার সৃষ্টি হয়।

5.2.7. সারাংশের অসুবিধা - 

  1. সারাংশ বিশেষজ্ঞের ক্ষমতা বা প্রবনতার উপর নির্ভর করে।
  2. সারাংশের প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা থাকে না।
  3. সারাংশের জটিল প্রকৃতি হয়।
  4. সারাংশ লেখার ক্ষেত্রে বিষয়টি বারংবার পড়তে হয়, না হলে ভুল হতে পারে।
  5. কোন পদ্যাংশের সারাংশ লেখা খুবই কঠিন।
  6. সারাংশে কোন শিরোনাম থাকে না।

5.2.8. সারাংশের নির্দেশনা - 

  • বারং বার মনোযোগ সহকারে মূল পাঠ্য পড়া।
  • রচনা প্রধান অংশগুলি চিহ্নিত করা।
  • সহজ সরল ভাষা প্রয়োগ হবে,কোন উদ্ধৃতি বা প্রশ্নবোধক কিছু থাকবে না। 
  • মূল রচনার যোগ্য প্রতিনিধি হতে হবে। 
  • পরোক্ষ উক্তিতে সারাংশটির নির্মাণ হবে।
  • রচনা নেই এমন কোন জিনিস সারাংশে থাকবে না।

5.3.1. অনুচ্ছেদ -

একটি বিশেষ ভাবকে প্রকাশ করতে কিছু বাক্যের প্রয়োজন হয়। বাক্যগুলি ভাব প্রকাশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরপর বসে সম্পর্কের অদৃশ্য সুতোয় গাঁথা হয়ে ভাবের একমুখী ও সংসহ প্রকাশ ঘটায়। এই ভাবে একটি বিশেষ ভাবকে প্রকাশ করা হল অনুচ্ছেদ রচনা।

5.3.2. অনুচ্ছেদের বৈশিষ্ট্য -

  1. অনুচ্ছেদ হলো কিছু বাক্যের সমষ্টি।
  2. অনুচ্ছেদের বিষয়গুলি যেন জীবনে সঙ্গে যুক্ত হয়।
  3. অনুচ্ছেদের ভাষা যেন সহজ সরল হয়।
  4. অনুচ্ছেদের শব্দগলো যেন দীর্ঘ না হয়।
  5. অনুচ্ছেদে যে শব্দ ব্যবহার করা হয় তা যেন ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়।
  6. অনুচ্ছেদ রচনার মূল উদ্দেশ্যই হলো শিহ্মার্থীদের স্বাধীন রচনা শক্তির বিকাশ ঘটানো।
  7. অনুচ্ছেদ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাবের প্রকাশ যেন একমুখী ও সংহত হয়।
  8. অনুচ্ছেদের বাক্যগুলি যেন একটি বিশেষ ভাবকে প্রকাশ করে।

5.3.3. অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য -

  1. শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাধীন রচনাশক্তির বিকাশ ঘটানো।
  2. অনুচ্ছেদ হল কতকগুলি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত বাক্যের সমষ্টি যা কোন একটি আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্গত একটি বক্তব্য সম্বন্ধে আলোচনা করা।
  3. যে কোনো আলোচ্য বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করে ছোট ছোট প্রবন্ধ প্রবন্ধ রূপে প্রকাশ করা।

5.3.4. অনুচ্ছেদের নীতি - 

  1. ঐক্য - প্রতিটি অনুচ্ছেদে কেবলমাত্র একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে।অনুচ্ছেদের বক্তব্য বিষয়ের সঙ্গে তাঁর প্রত্যেকটি বাক্যের ঘনিষ্ঠ সংযোগ থাকবে।
  2. ধারাবাহিকতা - অনুচ্ছেদে বর্ণিত ঘটনা কিংবা বিষয় বর্ণনার মধ্যে ধারাবাহিকতা অথবা বক্তব্য বিষয়ের পারস্পর্য যাতে বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
  3. বিস্ময়সূচক বাক্য - প্রতিটি অনুচ্ছেদে একটি মূল বাক্য অথবা বিষয়সূচক বাক্য থাকবে।এই বাক্যটি অনুচ্ছেদের শুরুতে থাকলে ভালো হয়। মূল বাক্যের পরিবর্তে বাক্যগুলি সুশৃংখলভাবে এই বাক্যের বক্তব্যকে পরিস্ফুটিত করবে।
  4. সমাপ্তিসূচক বাক্য - প্রতিটি অনুচ্ছেদের শেষে একটি সমাপ্তিসূচক বাক্য থাকবে। এই বাক্যটি যেন অনুচ্ছেদটির উপযুক্ত পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে।
  5. সংযোগ - অনুচ্ছেদের বাক্যগুলি যেন পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত থাকে।এই সংযোগ বজায় রাখার জন্য ' কিন্তু, তথাপি, উপরন্তু, যদি,অতএব 'অনুরুপ ভাবে প্রভৃতি সংযোগমূলক শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
  6. গঠন - একটি সুলিখিত অনুচ্ছেদের সূচনা, মধ্য ভাগ এবং সমাপ্তি এই তিনটি অংশ থাকবে।
  7. বাক্যের গঠন বৈচিত্র্য - একটি সুলিখিত অনুচ্ছেদের ছোট-বড়ো, সরল-জটিল-মৌখিক প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের বাক্য থাকবে।
 এই সূত্রে শিক্ষার্থীদের বাক্যগঠনের নিম্নলিখিত নীতিগুলি শিখতে হবে।

  • বাক্যের ঐক্য - প্রতিটি বাক্য যেন অনুচ্ছেদে কোন নতুন চিন্তা যোগ করে এবং বাক্যের ওই চিন্তার বহির্ভূত কিছু যেন না থাকে শিক্ষার্থীদের সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
  • বাক্যের দৈর্ঘ্য - প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ বা বাক্য ব্যবহার করতে পারলেও তাদের শেখাতে হবে ছোট ছোট বাক্যের সরলতা এবং প্রত্যক্ষতা সাবলীল রচনাশৈলী পরিচাযক।
  • বৈচিত্রের নীতি - অনুচ্ছেদ রচনা সরল, জটিল অথবা যৌগিক যে কোন প্রকারের বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরল বাক্য ব্যবহার করার উপর জোর দিতে হবে। ইন স্টরে শিক্ষার্থীদের জটিল ও যৌগিক বাক্য কম পরিমাণে ব্যবহার করবে। শিক্ষার্থীদের একথা জানিয়ে দিতে হবে যে জটিল বাক্য বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে বাক্য বিষয় দুর্বোধ্য যেতে পারে।
5.3.5. অনুচ্ছেদ রচনা কাঠামোগত দিক - 

অনুচ্ছেদ রচনা কাঠামোগত দিক থেকে চার রকমের হয়ে থাকে। নিম্নে সেই গুলি বর্ণনা করা হলো -

  1. শিরোনাম - প্রতিবেদনের শিরোনামঃ এমনভাবে নির্ধারিত করতে হয় যাতে পরিবেশগত খবরের নির্যাস। অনেক সময় শিরোনাম যথেষ্ট বলে মনে না হওয়ায় শিরোনামের আগে বা পরে উপশিরোনাম লিখতে হয়।
  2. সূচনা - সূচনার অংশে শুরুতে থাকে সংবাদদাতার পরিচয়, কোন শ্রেণীর সংবাদদাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা না স্টাফ রিপোর্টার, না বিশেষ সংবাদদাতা, না কোন সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া সংবাদ। তারপর থাকে ঘটনার স্থান ও সূচনার অংশে ঘটনা খুব সংক্ষেপে জানানো হয়। রাতে খবরটি পরবর্তী অংশে পড়বার জন্য পাঠকের আগ্রহ হয়।
  3. বিবরণ - খবরে তথ্য সূত্র ঘটনার বিবরণ, জনগণের মনে প্রতিক্রিয়া প্রভৃতি এই অংশে বিস্তৃত আকারে লেখা হয়।
  4. উপসংহার - এই অংশের ঘটনার প্রভাবজনিত সামাজিক ও মানবিক তাৎপর্যের উপর আলোকপাত করা হয়।
6. তথ্য সংগ্রহ - 

6.1. বিদ্যালয় নির্বাচন - 

উক্ত প্রকল্পটি করবার জন্য আমি ................................. ...বিদ্যালয়কে নির্বাচন করা হলো। বিদ্যালয়টিতে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠন করানো হয়। কার্যটি করবার জন্য উক্ত বিদ্যালয় একটি নির্দিষ্ট দিনে প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের কাছে অনুমতি নিয়ে........................ শ্রেণিকক্ষের ........জন শিক্ষার্থীদের চয়ন করেছিলাম।

6.2. তথ্যসংগ্রহ পদ্ধতি

উক্ত প্রকল্পের জন্য ............. শ্রেণিকক্ষে............জন শিক্ষার্থীকে পাঠাংশ সরবরাহ করা হলো। পাঠ্যটি পাঠের যথেষ্ট সময় বরাদ্দ করা হবে এবং সারাংশ নির্মাণ জন্য যথেষ্ট সময় দেয়া হবে।

নমুনা - ১ 

শিক্ষার্থীর নাম -

বিদ্যালয়ের নাম -

শ্রেণিকক্ষ -

শিক্ষার্থীর ক্রমিক সংখ্যা -

শিক্ষার্থীর বয়স -

মোট অনুচ্ছেদের সংখ্যা -

পাঠের সময় - ১০ মিনিট

সারাংশ লিখনের সময় - ১৫ মিনিট

6.3. অনুচ্ছেদ - 

জাতীয় বিদ্যালয় তো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হইয়া গেল, এখন এই বিদ্যালয়ের উপযোগিতা যে কি সে কি যুক্তি দিয়া বুঝাইবার আর কোনো প্রয়োজন আছে ? 

          যুক্তির অভাবে পৃথিবীতে খুব অল্প জিনিসই ঠেকিয়েছে। প্রয়োজন আছে একথা বুঝাইয়া দিলেই যে প্রয়োজন সিদ্ধি হয়, অন্তত আমাদের দেশে তাহার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।আমাদের অভাব তো অনেক আছে, অভাব আছে একথা বুঝাইবার লোকও অনেক আছে এবং একথা মানিবার লোকেরও অভাব নাই,তবুও ইহাতে ইতির বিশেষ কিছুই ঘটে না।

          আসল কথা যুক্তি কোনো বড়ো জিনিসের সৃষ্টি করিতে পারে না।স্ট্যাটিস্টিক্সের তালিকা যোগে সুবিধা প্রয়োজনের কথা বোঝা পড়া করিতে করিতে কেবল গলা ভাঙে,তাহাতে কিছু গড়ে না।শ্রোতারা গবেষণার প্রশংসা করে,আর কিছু করা আবশ্যক বোধ করে না।                আমাদের দেশের একটা মুশকিল এই হইয়াছে, শিক্ষা বলো, সম্পদ বলো,আমাদের ওপরে যে কিছু নির্ভর করিতেছে একথা আমরা এক রকম ভুলিয়া ছিলাম।অতএব -এ এই সকল বিষয়ে আমাদের বোঝা-না-বোঝা দুইই প্রায় সমান ছিল। আমরা জানি দেশের সমস্ত মঙ্গল সাধনের দায়িত্ব গভর্নমেন্টের, অতএব আমাদের অভাব কি আছে না আছে তাহা বোঝার দরুন কোনো কাজ অগ্রসর হইবার কোনো সম্ভাবনা নাই।এমন তারা দায়িত্ব বিহীন আলোচনায় পৌরুষের হ্মতি করে। ইহাতে পরের ওপর নির্ভর আরও বাড়াইয়া তোলে।

            স্বদেশ যে আমাদেরই কর্মহ্মেত্র এবং আমরাই যে তাহার সর্বপ্রধান কর্মী এমনকি অন্যে অনুগ্ৰহ পূর্বক যতই আমাদের কর্মভার লাঘব করিবে, আমাদের স্বচেষ্ঠার কঠোরতাকে যতই খর্ব করিবে,ততই আমাদিগ্কে বঞ্চিত করিয়া কাপুরুষ করিয়া তুলিবে -একথা যখন নিঃসংশয়ে বুঝিব তখনই আর-আর কথা বুঝিবার সময় হইবে।

            ইংরেজিতে একটি প্রবাদ শুনিতে পাই,ইচ্ছা যেখানেই আছে।একথা কেহ বলে না, যুক্তি যেখানে আছে পথ সেখানেই। কিন্তু, আমাদের ইচ্ছা যে আমাদের পথ রচনা করিতে পারে, পুরুষোচিত এই কথার প্রতি আমাদের বিশ্বাস ছিল না। আমরা জানিতাম ইচ্ছা আমরা করিব, কিন্তু পথ করা না করা সে অন্যের হাতে, তাহাতে আমাদের হাত কেবল দরখাস্তে সই করিবার বেলায়।

6.4. নির্মিত সারাংশ -

অনুচ্ছেদের সংখ্যা - ৬টি

সারাংশের সংখ্যা - ৬টি

প্রথম অনুচ্ছেদ - জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দেশের অভাব রূপ।

তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বৃহৎ কিছু সৃষ্টির অন্তরায় যুক্তি।

চতুর্থ অনুচ্ছেদ - দেশের মঙ্গল সাধনের উপায়।

পঞ্চম অনুচ্ছেদ - স্বদেশের কর্মভাব।

ষষ্ঠ অনুচ্ছেদ - ইচ্ছা পথ তৈরীর মাধ্যম।   

6.5. তথ্য বিশ্লেষণ - 

এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের লিখিত সারাংশ গুলি যথার্থভাবে বিচার করা হবে। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী মনোযোগ সহকারে কার্য সম্পাদন করেছে।প্রত্যেক শিক্ষার্থী যথাযথভাবে সারাংশ রচনা করেছে,কিন্তু এ ক্ষেত্রে উন্নতির অবকাশ থাকলেও কার্যটি পাঁচটি শব্দের অংশগুলি যথাপোযুক্ত।

(বি:দ্র: নমুনা অংশে উল্লিখিত পাঠটি আপনি নিজেও চয়ন করতে পারেন।)

7. সীমাবদ্ধতা -

  1. শুধুমাত্র একটি বিদ্যালয় একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষে করা হয়েছে।
  2. শুধুমাত্র বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ে এটি সম্পূর্ণ হয়েছে।
  3. সময়ের অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল।

8. উপসংহার - 

সারাংশ লিখন দক্ষতার একটি অন্যতম রূপ। উক্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা দেখতে পারি যে, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা একটি অনুচ্ছেদ কে সংক্ষিপ্ত করে 5 টি শব্দের মধ্যে সারাংশ নির্মাণ করেছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি,ভাষাগত জ্ঞান এবং স্বাধীন চিন্তা শৈলী বিকাশ ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের লিখন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অনুচ্ছেদের সারাংশ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।এতে শুধু নতুন শব্দ ভান্ডার ও ভাষাগত জ্ঞানের সাথে লিখন দক্ষতা বিকাশ ঘটে।

CLICK HERE -

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post