Skim through the text and give suitable title to the text

Skim through the text and give suitable title to the text

SKIM THROUGH THE TEXT AND GIVE SUITABLE TITLE TO THE TEXT||দ্রুত পঠনের দ্বারা পাঠ্যাংশ পঠন এবং পাঠ্যাংশের শিরোনাম প্রদান

BENGALI VERSION||

ENGLISH VERSION

BENGALI VERSION -

দ্রুত পঠনের দ্বারা পাঠ্যাংশ পঠন এবং পাঠ্যাংশের শিরোনাম প্রদান।

Skim Through The Text And Give Suitable Title To The Text
Skim through the text and give suitable title to the text


(** ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

1. EPC -এর ভূমিকা -

EPC কথাটির অর্থ হল Enhancing Professional Capasity বা পেশাগত হ্মমতায় বৃদ্ধি। বিভিন্ন হ্মমতা যেমন - লিখন,পঠন,বোধ পরীহ্মণ সংহ্মিপ্তকরণ,সর্বপাপ এগুলি অনুশীলনের উন্নতি হয় EPC এর মাধ্যমে।

          বর্তমানে শিহ্মকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা বলে বিবেচিত হয়। এই কারনে শিহ্মাকতার শিহ্মকের পেশাগত দহ্মতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। EPC আমাদের জীবনে সদর্থক মনোভাব গ্ৰহন ও চরিত্র গঠনের কাজে লাগে। তাই পেশাভিত্তিক দহ্মতাকে প্রগাঢ় ও সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করা যায়, তাছাড়া এই বিষয়টি আর্দশগত ভাবে সম্মিলিত করার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ভিত্তিক পর্যায় ও পরিবর্তনশীল পাঠক্রমের সাথে শিহ্মককে অভিযোজিত করতে ও সহায়তা করে। পেশাগত দহ্মতা অর্জন একজন শিক্ষককে সবসময় নতুন নতুন ভাবনায় সমৃদ্ধ করে। পেশাগত দহ্মতা বিভিন্ন দিক আছে- পাঠ্য বিষয়ের উপস্থাপন,পাঠ অধ্যয়ন, পরামর্শদান, চিন্তাশীল তত্ত্ববোধ,প্রায়োগিক সহযোগিতা ইত্যাদি।উন্নত পেশাগত হ্মমতা একজন শিহ্মকেরা বিজ্ঞানসম্মত শিহ্মণ পদ্ধতি ও সদর্থক কর্মদহ্মতার উন্নতি ঘটায়।

2. EPC - এর উদ্দেশ্য -

১.পেশাভিত্তিক উন্নয়নের পরিসর দীর্ঘ প্রতিটি পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তির কতগুলি গুন বা যোগ্যতা থাকার দরকার।এটি বিভিন্ন ব্যক্তির উদ্যমশীলতা নির্ভরযোগ্যতা ও আত্মনিয়ন্ত্রনের হ্মমতা বৃদ্ধি করে ফলে পেশাগত উন্নয়নের নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ একটি সাধারণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কর্মদহ্মতায় উন্নয়নের বিভাজন করে নেয়।

২.পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত পঠনের মাধ্যমে পাঠকের মূল্যবোধ এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট নৈতিকতার সমৃদ্ধি ঘটে। সামগ্রিক ভাষার প্রসার ঘটে।

৩. পেশাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির মূল ভিত্তি হলো ব্যক্তির দীর্ঘ শিখনি আগ্রহ এবং তাদের ক্ষমতা ও জ্ঞানের বৃদ্ধিকরণ; পরিশ্রমশীলতা প্রত্যুৎপন্ন যৌতিত্ব, দায়িত্ব গ্রহণ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের পেশাগত ক্ষমতা উদ্যোগী করে তোলা।

৪. সরব পাঠ ও নীরব পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৫. পেশাগত দক্ষতা বিকাশের ফলে শিশুর আচরণ কেমন বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৬. পাঠ্যক্রমে পঠনের বিষয়বস্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে জীবনমুখী ও ইতিবাচক করে তোলে।

3. ব্যবহারিক অংশ নির্বাচন - 

বিএডের পাঠক্রমে " Skim through the text and give suitable title to the text " বা " দ্রুত পঠনের মাধ্যমে পাঠ্যে পড়ুন এবং উপযুক্ত শিরোনাম দিন " প্রকল্পটি নির্বাচিত করা হলো।

4.মূল বিষয়বস্তু -

4.1. ভূমিকা - 

একটি পাঠ্যাংশ দ্রুতপঠন করে পাঠ্য বস্তুটির মূল বিষয়বস্তু অর্থ বুঝে উপলব্ধি করা পঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষা ব্যবস্থায় পঠন পাঠনে বোঝায় দ্রুতপঠন আজ লুপ্তপ্রায়। পার্থ বস্তুর বিষয়বস্তু তাই ধীরে ধীরে হাতে-কলমে করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখা -২০০৫ শিশুর শিখন অভিজ্ঞতায় বাস্তবায়িত করার জোর দিয়েছে। দ্রুতপঠন এর কোন পাঠ্যাংশের ভাব নিরূপনের সহায়ক একটি মাধ্যম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাই পতনের দক্ষতা গড়ে তুলতে দ্রুতপঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষার উন্নতি সাধনে দ্রুতপঠন আবশ্যিক।

4.2. পঠন -

4.2.1. ভূমিকা -

ভাষার লিখিত রূপ অনুধাবন করে, তার অর্থ উদ্ধার করতে পারা হল পঠন।পঠনের সু-অভ্যাসের মাধ্যমে অর্থোপলদ্ধির সঙ্গে ধ্বনি এবং দৃশ্য মিলেমিশে যায়।প্রত্যহ্ম পঠনের সাহায্যে আমরা কোনো বিষয় সম্পর্কে জানাতে পারি এবং পঠন সম্পর্কিত বিষয়ের যাবতীয় তথ্যাদি পেতে পারি।

             পঠনকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে Arnold Bennet বলেছেন - " The aim of Reading as a whole is gradually to create and ideal life a source a refuge,an cternal source of inspiration."আবার পঠনের যান্ত্রিক দিকটির নজর দিয়ে Dr. West বলেছেন," Reading is the process of sight-sound sense."

4.2.2. পঠনের কৌশল - 

একটি নির্দিষ্ট পাঠককে কোন ব্যাপক আয়তনযুক্ত পাঠ্য বিষয়কে দ্রুততার সঙ্গে পড়তে সক্ষম করে। এই ধরনের প্রক্রিয়াকে পঠন কৌশল বলে।পঠন কৌশল মূলত দুই প্রকার ।        

      ১. অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ কৌশল  

      ২. পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ কৌশল

১. অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ কৌশল - 

দ্রুততার সঙ্গে কোন বস্তুর উপর চোখ বুলিয়ে তার মূল বক্তব্য ও বিষয়বস্তুকে পরিদর্শন করা কে অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ বলে।

তিনটি ভিন্ন ক্ষেত্রে অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ খুব কার্যকর। যেমন - 

ক। পূর্ব-পঠন - সাধারণ নিরীক্ষণের থেকে এই কৌশলের ব্যাপকতা অনেক বেশি এবং পরবর্তীকালে পাঠরত বিষয় পড়ার হ্মেত্রে অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ সম্পর্কে পাঠকের সামনে অনেকটা পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরে। 

খ। পুর্ন নিরীহ্মন - কোন একটি বিষয়কে আমরা যদি পুনরায় পাঠ করতে যাই তখন অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ অনেক বেশি কার্যকর হয়।

গ। পঠন - বেশির ভাগ হ্মেত্রে কোনো পাঠ্যবস্তু পড়ার সময় তখন বেশি মনোযোগ সহকারে আমরা পড়ি না,তখন অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ ব্যবহার করা হয়।

• অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠের হ্মেত্রের পালনীয় ধাপ - 

১. প্রথমে পাঠের শিরোনামটি পড়া,পাঠ্যবস্তুর সারাংশটি কী হবে,তা দেখেই বোঝায় যায়।

২. পাঠের ভূমিকাটি পড়তে হব।

৩. পাঠের প্রথম অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়া। 

৪. পাঠের মধ্যে যদি কোনো অনু-শিরোনাম থাকে তাহলে সেটি পড়া এবং বিভিন্ন অনু-শিরোনামের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করা।

৫. পরবর্তী অনুচ্ছেদ গুলির প্রথম বাক্যগুলি পড়া।কারণ- 

  • অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ গুলির মূল বক্তব্যটি প্রথম বাক্যের মধ্যেই থাকে।
  • লেখক যদি কোন প্রশ্নের মাধ্যমে লেখা শুরু করেন, তবে তার উত্তরটি পাওয়ার জন্য অনুচ্ছেদের শেষ বাক্যটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
৬. নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য এবার বিষয়বস্তুর গভীর মনোনিবেশ করতে হবে -

  •  কে,কি,কখন,কেনকিভাবে ইত্যাদি উত্তর পাওয়ার জন্য সূত্র খোঁজা।
  • নাম বাচক বিশেষ্য ।
  • ভিন্ন রকম শব্দ বিশেষ করে সেগুলি বড়ো অক্ষরে লেখা আছে।
  • গণনা পরপর উল্লেখ করা।
  • বিশেষনগুলি বাছাই করা।
  • ছাপাখানায় মুদ্রণ কৌশল সংক্রান্ত সংকেত গুলি খোঁজা।
৭. শেষ অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়া।অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠটি সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করার জন্য বারংবার এটি অনুশীলন করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই কৌশল আয়ত্ব করতে পারলে এক মিনিটে ১০০০টি পদের উপর চোখ বুলানো নিশ্চিত করা যায়।

২. পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ -

কোনো বিশেষ বিষয়ে নিখুঁত ও সামগ্রিকভাবে পঠনের প্রচেষ্টা , যার মাধ্যমে পঠনের অন্তর্নিহিত বিষয় ও ব্যাখ্যাগুলিকে সামগ্ৰিক এবং নিখুঁত ভাবে ধরা দিতে সক্ষম হয়।এটি  সময় সাপেক্ষে পাঠ এবং গভীর অধ্যাবসায় ও মনোযোগে সমর্থক। একেই পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ বলে।

             অতি দ্রুত কোনো একটি নির্দিষ্ট বক্তব্য বা তথ্যাবলী সম্পর্কে ধারণা অর্জনের জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ খুবই উপযোগী। এই কৌশলের সাহায্যে কোনো একটি নির্দিষ্ট নাম তারিখ রাশি তথ্য মালা সাহায্য কোন একটি নির্দিষ্ট নাম,তারিখ,রাশি তথ্য মালা বা ঘটনাবলী সম্পর্কে সমগ্ৰ বিষয় বস্তুর না পড়েও জানতে পারা যায়।

• পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠের হ্মেত্রে পালনীয় ধাপ -

১. কোনো শব্দটি বা কোনো ধারণাটি আপনি পেতে চাইছেন, সেটি নির্দিষ্ট করুন।সেটি সম্পর্কে আপনার ধারণা যদি স্পষ্ট থাকে,তবে অন্যান্য শব্দগুলির মধ্যে থেকে সেটি আপনি সহজেই খুজে নিতে পারবেন।

২. সেই তথ্য সম্পর্কে আপনার অনুমান নিশ্চিত করুন। সেটি সংখ্যায় হবে অথবা নাম বাচক বিশেষ্য হবে, নাকি অন্য কিছু।

৩.পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠের আগে বিষয়বস্তুর সংগঠন সম্পর্কে বিশ্লেষণ করুন।

  • যদি বিষয়বস্তুটি জানা থাকে বা যদি সংক্ষিপ্ত আকারে হয়। তবে এটি একটি মাত্র অনুসন্ধানেই সেটি পাঠ করা যাবে।
  • যদি বিষয়বস্তুটি জটিল আকারের বা আয়তনে বড়ো হয়,তবে একটি প্রাথমিক অনুসন্ধান করে নিশ্চিত করতে হবে যে,কোন অংশটি বিশদে পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ করতে হবে।
৪. এরপর দ্রুত পাঠ্যবস্তুটির অনেকগুলি লাইনের উপর চোখ বুলাতে হবে।

৫. যখন আপনি সেই বাক্যটি খুঁজে পেয়ে যাবেন,যেখানে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি লুকিয়ে আছে, সেই বাক্যটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করুন।

            পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠের ক্ষেত্রে একটি পাঠ্যবস্তুর  অনেকটাই আপনি ভাষা পাঠের মাধ্যমে অতিক্রম করতে পারেন।এই কৌশলে পাঠক এক মিনিটে ১৫০০টি বা তার বেশি শব্দ পাঠ করতে পারে।

• অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠের পার্থক্য -

১. ধারণাগত - 

অতি দ্রুততার সঙ্গে কোনো পাঠ্যবস্তুর উপর চোখ বুলিয়ে তার মূল বক্তব্য ও বিষয়বস্তু পরিদর্শন করাকে অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ বলে।

                    আর,কোন পাঠ্যপুস্তকে নিখুঁত ও সামগ্রিক ভাবে পঠনের প্রচেষ্টাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ বলে।

২. জ্ঞানের অর্জন - 

অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠের বিষয়বস্তুর ধারণা বা মূল বক্তব্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা হয়।

           কিন্তু, পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠে বিশ্লেষণধর্মী জ্ঞান আহরণের এবং তথ্য অনুসন্ধানের বিশেষ কিছু দক্ষতা অর্জনের সুযোগ থাকে।

৩. সময়ের ভূমিকা - 

অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠের সময় কম লাগে, কিন্তু পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠের সময় বেশি লাগে।

৪. শ্রম -

অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠের পরিশ্রম কম হয়, কিন্তু পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠে সময় বেশি লাগে।

৫. পঠনগতি -

অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ কৌশল আয়ত্ত করলে ১ মিনিটে ১০০০টি পদের উপর চোখ বুলানো নিশ্চিত করা যায়।

          আর পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ কৌশল আয়ত্ত করলে ১ মিনিটে ১৫০০টি বা তার বেশি পদের উপর চোখ বুলানো নিশ্চিত করা যায়।

4.3. দ্রুত পঠন -

4.3.1. ধারণা - 

দ্রুতপঠন করার একটি পদ্ধতি জেটি পাঠককে খুব তাড়াতাড়ি একটি দীর্ঘ বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেয়। যখন কোনো পাঠ্য বিষয় বা অন্য যেকোন বিষয় আমরা খুব তাড়াতাড়ি পড়ার জন্য যে দক্ষতা অর্জন করি তাকে অনর্গল বলার দক্ষতা বা দ্রুত পঠন দক্ষতা বলা হয়।

দ্রুতপঠন করার ফলে সময় অপচয় না করে খুব সহজেই একটি দীর্ঘ বিষয়বস্তুর মূল তথ্যগুলি বুঝতে পারে। দ্রুত পাঠের দাঁড়া পাঠকের মধ্যে শব্দভাণ্ডার পড়ার দক্ষতা, সৃজনশীলতা বোধ, বৌদ্ধিক জ্ঞানের বিকাশ ও ধৈর্যশক্তি বিকাশ ঘটে। বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে দ্রুত পাঠ করার প্রবণতা খুব কম।কিন্তু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পাঠের ফলে লেখক এর মনের ভাবধারা ও পটভূমি,মূল বিষয়বস্তু খুব সহজেই উপলব্ধি করা যায়। যেকোনো বিষয়ে ভালোভাবে দ্রুত পাঠ করলে সহজেই তার শিরোনাম প্রদান করা যায়,যার ফলে পাঠকের মধ্যে অনেকের শ্রবণের বিকাশ ঘটে।

4.3.2. দ্রুতপঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য - 

  1. শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং তাদের মধ্যে নীরব ও দ্রুতগতিতে পঠনের অভ্যাস গঠন করা।
  2. শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করা ও ভাষাশিক্ষা উৎসাহিত করা।
  3. শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাধীনভাবে পড়ার ক্ষমতা বিকাশ সাধন করা।
  4. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাহিত্যানুরাগ সৃষ্টি করা।
  5. পাঠ্যপুস্তক ছাড়া ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের পুস্তক পড়লে উৎসাহিত করা।
  6. শিক্ষার্থীদের ভাষাগত সৌন্দর্য্য প্রকাশভঙ্গি মাধুর্য এবং সাহিত্যের উপলব্ধি করতে সাহায্য করা।
  7. শিক্ষার্থীদের কৌতূহল ও জ্ঞান পিপাসা চরিতার্থ করা।
  8. শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমের অন্তর্গত অন্যান্য বিষয় পড়বার দক্ষতা বৃদ্ধি করা। 
  9. শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষককে আনন্দময় করা ও পাঠের অনুপ্রাণিত করে তোলা। 
  10. শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্য অভ্যাস তৈরি করা ও তাদেরকে সুদক্ষ করে তোলা।

        এইভাবে শিক্ষার্থীদের নীরব পাঠ অনুসরণ করলে তারা পাঠ্য বিষয়বস্তু অনুভব করবে ও সেই সঙ্গে রস ধ্বনি শিল্প-সৌন্দর্য উপলব্ধি করার মাধ্যমে তাদের পাঠের দ্রুততা আসবে বলে মনে হয়

4.3.3. দ্রুতপঠনের প্রয়োজনীয়তা -

  1. বিভিন্ন শব্দের বিকাশ, নতুন শব্দের পরিচয় ও ভাষাদহ্মতা হয়। বিভিন্ন শব্দের প্রতি বিকাশ লাভ করে।
  2. লিখন দক্ষতা বিকাশ ঘটে।
  3. জ্ঞানের বিকাশ ঘটে।
  4. মনোযোগের বিকাশ ঘটে।
  5. ধৈর্য্য শক্তির বিকাশ ঘটে।
  6. ভাষা দক্ষতা বিকাশ ঘটে।
  7. একাগ্ৰতার বিকাশ ঘটে।

4.3.4. দ্রুতপঠনের গুরুত্ব - 

  1. স্বল্প সময়ে মূল রচনার অংশ পাঠ করার অর্থ অনুধাবন করা।
  2. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাহিত্য বোধ জাগ্রত করা।
  3. শিক্ষার্থীদের কৌতুহল নির্বাচন করা।
  4. শিক্ষার্থীদের সুদক্ষ পাঠক রূপে গড়ে তোলা।
  5. শিক্ষার্থীদের মননশীলতা গড়ে তোলা।

4.3.5. দ্রুত পঠনের শিক্ষাদান পদ্ধতি -

দ্রুতপঠন হল পাঠ্য পুস্তকের বাইরে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সাহিত্য পাঠের মাধ্যমে সাহিত্যের রস আস্বাদন করানো।এটি একটি পরিপূরক গ্রন্থ। দ্রুতপঠন শিক্ষাদান পদ্ধতি গুলি হল নিম্নরূপ -

  1. দ্রুতপঠনের পাঠে যথাসম্ভব দ্রুততা এনে শিক্ষার্থীদের পাঠের মনোযোগী করে করতে হবে।
  2. শিক্ষার্থীদের রুচি,বয়স,মানসিক চাহিদা শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা মাথায় রেখে পাঠদান উপযোগী।
  3. পাঠদান কালে জটিল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে সুন্দরভাবে পরিবেশন করতে হবে।
  4. পাঠদান কালে শিক্ষা-সহায়ক প্রদীপন ব্যবহার করতে হবে।
  5. সমগ্ৰ বিষয়ের মূল অংশকে কতগুলো অংশে ভাগ করে নিয়ে বোর্ডে লিখে পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে হবে।
  6. দ্রুত পাঠদান কালে সরব পাঠের উপযোগী অংশকে আবৃত্তি সহকারে এবং নীরব পাঠের অংশকে মনোযোগ সহকারে দৃষ্টিদান করতে হবে।
  7. মনোবিজ্ঞানী সম্মতভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করতে হবে।
  8. বিষয়বস্তুর আলোচনাকে অনাবশ্যক গুরুগম্ভীর করে তোলা পরিবর্তে রসাশ্রয়ী উপস্থাপনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এমনকি পাঠ্যাংশের গুরুগম্ভীর অংশগুলিকে সহজে করে তোলার উপর জোর দেওয়ার হবে।
  9. সহজ,সুবোধ্য প্রশ্ন করনের মাধ্যমে সুকৌশলে পাঠ্যাংশের গভীরতার দিকে শিক্ষক অগ্ৰসর হবেন।
  10. সুনির্ধারিত পাঠ টীকা অনুযায়ী শিহ্মক অগ্ৰসর হবেন।
4.4. শিরোনাম -
4.4.1. ধারনা -
কোন বইয়ের, অন্যকোন প্রকাশিত পাঠ বা শিল্পের কাজ একটি প্রসঙ্গ চেয়ে বা বিষয়বস্তুর একটি সর্বনিম্ন সংক্ষিপ্ত বিবরণ জানতে এবং পাঠকের কৌতুহল ছড়িয়ে দিতে ব্যবহৃত করা হয়, তাকে শিরোনাম বলে। সাধারণত একটি পাঠের কি শিরোনাম হবে তা নির্বাচন করেন স্বয়ং লেখক। অনেক ক্ষেত্রেই তার লেখনীতে শিরোনামসহ আরো একটি উপশিরোনাম ব্যবহার করেন যা শিরোনামের পরিপূরক।
4.4.2. আদর্শ শিরোনামের বৈশিষ্ট্য - 
১.পরিচয়জ্ঞাপক - নাম এবং পরিভাষা প্রচলিত এবং নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে হতে হবে এবং নিবন্ধটির উপযুক্ত ও সহজবোধ্য প্রতীক হতে হবে।
২. অনুসন্ধান যোগ্য - প্রবন্ধটির জন্য পাঠকের যে রকম শব্দ দিয়ে খুঁজবার সম্ভাবনা খুব বেশি সেরকম শব্দই শিরোনাম হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
৩. সঠিক - শিরোনাম এমন হতে হবে যাতে তা সুনিশ্চিত ভাবে প্রবন্ধকে নির্দেশ করে।
৪. সংহ্মিপ্ত - সংহ্মিপ্ত শব্দ নির্বাচন করতে হবে,তবে তত সংহ্মিপ্ত হবে হবে না। যতটুকু হলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
৫. সামঞ্জস্যপূর্ণ - শিরোনাম ও শব্দ এমন ভাবে নির্বাচন করতে হবে যাতে সদৃশ অন্যান্য / প্রবন্ধের সাথে সাযুজ্য বজায় থাকে।
4.4.3. শিরোনামের উদ্দেশ্য - 
১. বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা থাকবে।
২. পাঠকের মনে একটি কৌতূহল সৃষ্টি করবে।
৩. বস্তুর সাদৃশ্য গুরুত্ব প্রদান করবে।
৪. লিখন দক্ষতা অর্জিত হয়।
4.4.4. শিরোনামের গুরুত্ব -
১. শিরোনাম কোন পাঠ্য অংশের মূল তথ্যকে প্রকাশ করে।
২. দ্রুত পঠন এর সময় মূল রচনা অংশে অর্থ অনুধাবন করতে সহায়তা করে শিরোনাম।
৩. একটি শিরোনাম একটি প্রবন্ধকে সুনিশ্চিতভাবে নির্দেশ করে।
৪. একটি পাঠ্যাংশের প্রাসঙ্গিকতা বিচার করে শিরোনাম।
5. তথ্য সংগ্রহ - 
5.1. বিদ্যালয় নির্বাচন -
উল্লিখিত প্রকল্পটি করার জন্য আমি ............................. .................. বিদ্যালয়টিকে নির্বাচন করেছিলাম। বিদ্যালয়ের পঞ্চম হইতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন করা হয়।উক্ত প্রকল্পটির জন্য প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের / প্রধান শিহ্মিকা মহাশয়ার  নিকট অনুমতি নিয়ে ............. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক মহাশয়ের সহযোগিতায় প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

5.2. নমুনা - ১
পাঠ্যাংশ -
আমার আনন্দের সকলে আনন্দ হউক, আমার শুভে সকলের শুভ হউক,আমি যাহা পাই তারা পাঁচজনের সহিত মিলিত হইয়া উপভোগ করি - এই কল্যাণী ইচ্ছাই উৎসবের প্রাণ অনেক ছোটো খাটো বিষয়েও আমি হয়তো কতটুকু আনন্দ পাই - নিজের বাড়ি খানি হইলে সুখী নই,পুষ্করিনী থাকলে ভালো লাগে, গুরুগুলির কল্যাণ কামনা করি-গৃহ প্রবেশ,জলাশয় প্রতিষ্ঠা গোষ্ঠীষ্টামি - এই রুপ একটি উৎসব উপলক্ষ্যে পাঁচজন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত, আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশী,পোষ্য পরিজন,দীন দুঃখীকে আহবান করিয়া যথাসাধ্য সৎকারে আমার সুখের ভাগী করিতে চাহি। আমি যে একজন গৃহহীন কে আশ্রয় দিতে পারি, তৃষ্ণার্তের পিপাসা নিবারণ করিতে পারি। অবোলা জীবদের কিছুমাত্র সুখ বিধান করিতে সমর্থ হই। আমার এই সৌভাগ্য যেন সকলের অন্তরে সঞ্চারিত করিয়ে দিতে চাহি। সাবিত্রী ব্রত,জামাই ষষ্ঠী,ভ্রাতৃদ্ধিতীয়া উপলক্ষ্যে আপন প্রিয়জন ও স্নেহাস্পদগনকে সৎকার করিয়া নিজেকে ধন্য মনে হয়, বিধাতা আমাকে যে এত সৌভাগ্য সুখ দিয়েছেন তাহা সকলের সহিত বন্টন করিয়া না লইলে ইহার সফলতা কোথায় ? আমাদের উৎসব ইহারই উপলক্ষ্য। সেই জন্য আমাদের উৎসবে ভাবের প্রাধান্য বাহিরের সমারোহ তাহার প্রধান অঙ্গ নহে।

শিরোনাম - " উৎসব, লক্ষ্য ও উপলক্ষ্য "

6. মূল্যায়ন - 
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের সহযোগিতা লিখিত পাঠ গুলিতে শিক্ষার্থীদের একাগ্রতা এবং মনোযোগ ছিল আকর্ষণীয়। দ্রুতপঠনে দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকল শিক্ষার্থী মূল পাঠ্য অংশটি পড়ে তার উপযুক্ত শিরোনাম প্রদান করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের শব্দভাণ্ডার তথা ভাষাগত বিকাশের দিক লক্ষণীয়।
7. সীমাবদ্ধতা -
উল্লিখিত প্রকল্পটির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেইগুলি হল - 
১. প্রকল্পটি একটি বিদ্যালয়ের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষে করা হয়েছে।
২. সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনোযোগী উৎসাহ ছিল না।
৩. সময়ের অভাব এ প্রকল্পটি একটি অন্যতম সীমাবদ্ধতা।
8. উপসংহার - 
পরিশেষে বলতে পারি যে,দ্রুতপঠনের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । বারংবার পঠন কোন বিষয় পাঠ করলে নানান বৌদিক বিকাশ, সেই বিষয় সম্পর্কে পাঠ করলে সঠিক ধারণা সৃষ্টি করে। লেখন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, নতুন চিন্তাশক্তি,নতুন নতুন শব্দ সঙ্গে পরিচয় এবং শব্দভাণ্ডারের বৃদ্ধি ঘটে, ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি পায়। যে কোনো বিষয়কে বারংবার পাঠ করলে সেই মূল বিষয়ে পটভূমি, মূলতত্ত্বগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি সহজেই বোধগম্য হয়। এই পাঠকের মধ্যে সৃজনশীল তা বৃদ্ধি ঘটে,ফলে শিক্ষার্থীদের চিন্তা শক্তি করার ক্ষমতা ও বৌদ্ধিক বিকাশ বৃদ্ধি পায়। শিক্ষাব্যবস্থায় বারংবার পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বিষয়।


CLICK HERE -

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post