Divide the group and provide one text and suggest students to make different interpretations

Divide the group and provide one text and suggest students to make different interpretations

Divide the group and provide one text and suggest students to make different interpretations||শ্রেণিকক্ষে শিহ্মার্থীদের গ্ৰুপের ভাগ করুন এবং একটি পাঠ্য প্রদান করুন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যাখ্যাকরার পরার্মশ দিন

BENGALI VERSION||

ENGLISH VERSION

Divide the group and provide one text and suggest students to make different interpretations practicum
Divide the group and provide one text and suggest students to make different interpretations

(** ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

BENGALI VERSION -

শ্রেণিকক্ষে শিহ্মার্থীদের গ্রুপের ভাগ করুন এবং একটি পাঠ্য প্রদান করুন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যাখ্যা করার পরামর্শ দিন

1. EPC -এর ভূমিকা -

EPC কথাটির অর্থ হল Enhancing Professional Capasity বা পেশাগত হ্মমতায় বৃদ্ধি। বিভিন্ন হ্মমতা যেমন - লিখন,পঠন,বোধ পরীহ্মণ সংহ্মিপ্তকরণ,সর্বপাপ এগুলি অনুশীলনের উন্নতি হয় EPC এর মাধ্যমে।

          বর্তমানে শিহ্মকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা বলে বিবেচিত হয়। এই কারনে শিহ্মাকতার শিহ্মকের পেশাগত দহ্মতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। EPC আমাদের জীবনে সদর্থক মনোভাব গ্ৰহন ও চরিত্র গঠনের কাজে লাগে। তাই পেশাভিত্তিক দহ্মতাকে প্রগাঢ় ও সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করা যায়, তাছাড়া এই বিষয়টি আর্দশ গত ভাবে সম্মিলিত করার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ভিত্তিক পর্যায় ও পরিবর্তনশীল পাঠক্রমের সাথে শিহ্মককে অভিযোজিত করতে ও সহায়তা করে। পেশাগত দহ্মতা অর্জন একজন শিক্ষককে সবসময় নতুন নতুন ভাবনায় সমৃদ্ধ করে। পেশাগত দহ্মতা বিভিন্ন দিক আছে- পাঠ্য বিষয়ের উপস্থাপন,পাঠ অধ্যয়ন, পরামর্শ দান, চিন্তাশীল তত্ত্ব বোধ,প্রায়োগিক সহযোগিতা ইত্যাদি।উন্নত পেশাগত হ্মমতা একজন শিহ্মকেরা বিজ্ঞানসম্মত শিহ্মণ পদ্ধতি ও সদর্থক কর্ম দহ্মতার উন্নতি ঘটায়।

2. EPC-এর উদ্দেশ্য -

১.পেশাভিত্তিক উন্নয়নের পরিসর দীর্ঘ প্রতিটি পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তির কতগুলি গুন বা যোগ্যতা থাকার দরকার।এটি বিভিন্ন ব্যক্তির উদ্যমশীলতা নির্ভরযোগ্যতা ও আত্মনিয়ন্ত্রনের হ্মমতা বৃদ্ধি করে ফলে পেশাগত উন্নয়নের নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ একটি সাধারণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কর্মদহ্মতায় উন্নয়নের বিভাজন করে নেয়।

২.পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত পঠনের মাধ্যমে পাঠকের মূল্যবোধ এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট নৈতিকতার সমৃদ্ধি ঘটে। সামগ্রিক ভাষার প্রসার ঘটে।

৩. পেশাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির মূল ভিত্তি হলো ব্যক্তির দীর্ঘ শিখনি আগ্রহ এবং তাদের ক্ষমতা ও জ্ঞানের বৃদ্ধিকরণ; পরিশ্রমশীলতা প্রত্যুৎপন্ন যৌতিত্ব, দায়িত্ব গ্রহণ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের পেশাগত ক্ষমতা উদ্যোগী করে তোলা।

৪. সরব পাঠ ও নীরব পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৫. পেশাগত দক্ষতা বিকাশের ফলে শিশুর আচরণ কেমন বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৬. পাঠ্যক্রমে পঠনের বিষয়বস্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে জীবনমুখী ও ইতিবাচক করে তোলে।

3. ব্যবহারিক অংশ নির্বাচন - 

বিএফ প্রকল্পে EPC-1 এ "Divide the group and provide one text and suggest students to make different interpretations" বা "শ্রেণিকক্ষে শিহ্মার্থীদের গ্রুপের ভাগ করুন এবং একটি পাঠ্য প্রদান করুন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যাখ্যা করার পরামর্শ দিন" নামক প্রকল্পটি নির্বাচন করা হলো।

4. মূল বিষয়বস্তু - 

4.1. পাঠ্য - 

তথ্যবহুল যেকোনো পাঠ যোগ্য বিষয়ই হলো পাঠ। পাঠ কথাটি ল্যাটিন শব্দ 'texam' থেকে এসেছে। ব্যাপক অর্থে পাঠ বলতে বোঝায় সুসম্পন্ন পাঠযোগ্য যে কোন বিষয় যা আমাদেরকে বার্তা প্রেরণ করতে সক্ষম।

4.2. পাঠের শ্রেণীবিভাগ - 

পাঠ্য - ১. আখ্যানধর্মী পাঠ্যপুস্তক 

          ২. ব্যাখ্যানধর্মী পাঠ্যপুস্তক

          ৩. বর্ণনাধর্মী পাঠ্যপুস্তক

          ৪. অর্থবাহী পাঠ্যপুস্তক

          ৫. পরীক্ষালব্ধ পাঠ্যপুস্তক

          ৬. ধারণামূলক পাঠ্যপুস্তক

          ৭. নৃকূল বিজ্ঞান

          ৮. প্রামাণ্য তথ্যাদি

          ৯. ক্ষেত্র বা বাহ্যিক টিকা সমূহ

এই ৯ টি শ্রেণি বিভাগ বিস্তারিত বর্ণনা করা আছে , দেখার জন্য click it  👉  পঠনের শ্রেনিবিভাগ

4.3. পঠনের ব্যাখ্যামূলক পর্যায় - 

এটি হল পঠনের দ্বিতীয় পর্যায়। এখানে পাঠক তার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানকে নতুন শিখনের  সাথে যুক্ত করে।আগে থেকে পাওয়া তথ্য গুলোকে সমৃদ্ধ করে।কোন তথ্যটি প্রয়োজনীয় বা কোন তথ্যটি অপ্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে।এই পর্যায়ে পাঠক পাঠ্যবস্তু প্রত্যেকটি বাক্যের অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে সক্ষম হয়।লেখকের বক্তব্যে বিষয়বস্তু নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারে।পাঠকের মন সর্বদা প্রশ্নের উত্তর খোঁজার মনোনিবেশ করে।কেন,কিভাবে,কোথায় ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা।এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য পাঠকের কি সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও বিষয়ভিত্তিক চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন হয়।

4.4. পঠনের ধরন -

ক। সরব পাঠ - 

• ভূমিকা - 

রব বা ধ্বনি  সৃষ্টি করে পাঠ করাকে বা আওয়াজ করে পড়া কে বলা হয় সরব পাঠ। প্রাক্ - প্রাথমিক স্তরের এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষা বিশেষ করে নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। দর্শন ও কথনের সার্থক সম্বন্ধয়ে ভাষায় লিখিত রূপ উদ্ধার করা হয় সরব পাঠের মাধ্যমে।

• সরব পাঠের শর্ত - 

  1. বিভিন্ন বর্ণের ও শব্দের সুস্পষ্ট উচ্চারণ।
  2. কবিতার ক্ষেত্রে ছন্দ বা গদ্যের ক্ষেত্রে যতি চিহ্ন সহ উচ্চারণ। 
  3. শ্বাসাঘাতের যথাযথ প্রয়োগ।
  4. বিষয়বস্তুর অনুভূতি ও আবেগের পাঠ প্রতিফলন।
  5. অন্যবশ্যক দ্রুতগতিতে পরিহার।
  6. সরব পাঠকে সৌন্দর্য ঘচিত করে আবৃত্তির শিল্প ক্রমে উন্নতি করতে হবে।

• সরব পাঠের উপযোগিতা -

  1. সরব পাঠ পাঠের দহ্মতা বৃদ্ধি করে।
  2. সরব পাঠের ধ্বনিতত্ত্ব ও শ্বাসাঘাত এবং ছন্দ যতি চিহ্ন গুলি প্রতিফলক হয়।
  3. সরব পাঠ পাঠের প্ররনা জোগায়।
  4. সরব পাঠ শুদ্ধ ভাষা শিক্ষায় সাহায্যে করে।
  5. পাঠের একটি সংশোধিত প্রবৃত্তিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
• সরব পাঠের সুবিধা - 

  1. বাগযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ - শিক্ষার্থীরা তাদের বাকযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সঠিক ভাষা উচ্চারণ করতে পারে।
  2. শুদ্ধ উচ্চারণ - সরব পাঠের বিভিন্ন শব্দ,বর্ণ ইত্যাদির শুদ্ধ উচ্চারণ শেখা যায়। ছেদ,যতি, করনি নিয়ম শিক্ষার্থীর সঠিকভাবে মেনে চলতে।
  3. আনন্দদায়ক - সরব পাঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়কেই আকৃষ্ট করে। সঠিক সড়ক আবৃতি শিক্ষার্থীকে আনন্দ প্রদান করে।
  4. চেতনাবোধের সঞ্চার - বিভিন্ন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ দাদি ভাব অনুভূতির সচেতনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।
  5. আঞ্চলিকতা প্রভাব - উচ্চারণে আঞ্চলিকতা প্রভাব দূরীকরণ সরব পাঠ শিক্ষার্থীদের শুদ্ধ উচ্চারণ করতে শেখায়। তাদের উচ্চারণের বিকৃতি দোষ থেকে মুক্ত করে। উচ্চারণে আঞ্চলিকতা কুপ্রভাব দূর করে ভাষার অবক্ষয় রোধ করে।

• সরব পাঠের অসুবিধা - 

  1. সময় সাপেক্ষ পদ্ধতি - অন্যান্য পাঠের পদ্ধতির তুলনায় এই পদ্ধতিতে অনেক বেশি সময় ব্যয় হয়। আবার এই বাটে শিক্ষার্থীদের বেশি শ্রম লাগে।
  2. মনোযোগের অভাব বোধ - স্বরূপকাঠি শিক্ষার্থীদের সবসময় মনোনিবেশ করতে পারে না। বেশি মানসিক একাগ্রতা এই পাঠের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না। ফলে এই পাঠে অনেক সময় যান্ত্রিকতা লক্ষ করা যায়।
  3. কোলাহল সৃষ্টিকারী - বিশেষ করে নিম্নস্তরের শ্রেণীগুলোতে যদি শিক্ষার্থীরা সমবেতভাবে এককভাবে সরব পাঠ করে তবে শ্রেণীতে একটি কোলাহলপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এই ফলে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার ক্ষমতা ও পড়াশুনা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
  4. ক্লান্তিকর - সরব পাঠে বেশি লাগে বলে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে বাগ্যন্ত্র চোখের ব্যবহারের হওয়ার ফলে দৈহিক ক্লান্তি আসে এবং মন অবসাদগ্রস্ত হয়ে যায়।

খ। নীরব পাঠ - 

• ভূমিকা -

যে পাঠে রব বা ধ্বনি উৎপন্ন পাঠ করা হয় তাকে নীরব পাঠ বলা হয়। সরব পাঠে দক্ষতা অর্জনের পর উচ্চতর শ্রেণি শিখনের নীরব পাঠের প্রয়োজন হয়।

• নীরব পাঠের শর্ত - 

  1. নিবিড় মনঃসংযোগ।
  2. পাঠের উপযোগী শান্ত ও সুন্দর পরিবেশ।
  3. গদ্য রচনা।
  4. বৃদ্ধিবৃত্তি ও ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা।
  5. পাঠের দক্ষতা।
  6. নীরব পাঠের সঙ্গে মননশীলতাকে যুক্ত রাখতে হবে।

• নীরব পাঠের উপযোগিতা

  1. নীরব পাঠের সময় কম লাগে।
  2. নীরব পাঠ অপরের অসুবিধা করে না।
  3. নীরব পাঠ মননশীলতা উপযোগী।
  4. নীরব পাঠ শরীরে কম অবসাদ আনে।
  5. অল্প সময়ে বেশি পাঠ করা যায়।
  6. যেহেতু রব বা ধ্বনি উচ্চারিত হয় না তাই নীরব পাঠ সর্বত্র করা যায়।

• নীরব পাঠের সুবিধা - 

  1. সময় সাশ্রয় পদ্ধতি - সরব পাঠের তুলনায় নীরব পাঠের কম সময় ব্যয় হয়। আবার এই পাঠ শিক্ষার্থীদের কম শ্রম লাগে।
  2. মনোযোগের বোধ - নীরব পাঠের ক্ষেত্রে প্রতিটি শব্দের উপর জোর না দিয়ে পাঠ্যবস্তুর মূল বিষয়ের উপর জোর দিতে হয়।
  3. শান্ত পরিবেশের সৃষ্টি - নীরব পাঠের ফলে শিক্ষার্থীদের শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
  4. ক্লান্তিহীনতা - নীরব পাঠের কম শ্রম লাগে বলে শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত হীন ভাবে থাকে।একই সঙ্গে বাগ্ ইন্দ্র না হওয়ার ও চোখের ব্যবহার কম হওয়ার ফলে দৈহিক ক্লান্তি আসে না এবং মনোযোগী হয়।

• নীরব পাঠের অসুবিধা -

  1. শান্ত পরিবেশের অভাব - নীরব পাঠের জন্য প্রয়োজনীয় শান্ত পরিবেশ আজকের জটিল সামাজিক জীবনে সর্বত্র পাওয়া যায় না।
  2. মনঃসংযোগ অভাব - প্রয়োজনীয় মনঃসংযোগ আজকের দিনে সম্ভব নয় - অন্যমনস্ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  3. কাম্যতা - নীচু শ্রেণিকক্ষে কাম্য নয়।
  4. পাঠ্য হ্মেত্র - কবিতা পাঠের হ্মেত্রে অসুবিধা হয়।
  5. ধারণার পরিবর্তন - দ্রুত পাঠিয়ে সম্ভাবনা বেশি,ফলে বিষয়বস্তু সমগ্রতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পরিবর্তে একটি আবছা ধারণা তৈরি হয়। শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

5. পদ্ধতি - 

অর্জিত পাঠের সঠিক ভাবে সহায়তা অর্জন করতে পারলে পাঠ প্রণালী পদ্ধতি কয়েকটি শিক্ষণ স্তর অতিক্রম করতে হয়। এই স্তর গুলির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক থেকে জ্ঞান ও তথ্যের সাথে সাথে আরো অনেক বিষয় জ্ঞান অর্জিত হতে পারে। শিখন পদ্ধতির গুলির মধ্যে সাতটি পদ্ধতি খুব জনপ্রিয়। এগুলি হল -

  • বর্ণানুক্রমিক পাঠ প্রণালী
  • ধ্বনি সংক্রান্ত পাঠ প্রণালী
  • ধ্বনি নির্দেশক পাঠ প্রণালী
  • শব্দ দেখা ও বলা পাঠ প্রণালী
  • শব্দগুচ্ছ নির্বাচন প্রণালী
  • বাক্য নির্বাচন পাঠ প্রণালী
  • গল্প বর্নন পাঠ প্রণালী

6. প্রকৃত ব্যবহারিক কার্যাবলী

6.1. কার্যাবলী -

আমাদের শ্রেণিকক্ষে সকল শিক্ষার্থীকে শিক্ষক মহাশয় ছোট ছোট গ্রুপে অর্থাৎ মোট......... টি গ্রুপে ভাগ করে দিয়েছেন আমাদের গ্রুপের নাম্বার........, সদস্য সংখ্যা........ জন।

আমাদের দেওয়া পাঠ হল.................................... এটি একটি .............................. পাঠ্যপুস্তকের উদাহরণ।

নমুনা -1

পাঠ - 

(বি:দ্র:এখানে শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত যে পাঠ করানো হবে সেটি নিজেকে চয়ন করে লিখতে হবে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণ তালিকাটি পূরণ করতে হবে।এটি সম্পূর্ণ নিজের করতে হবে।)

6.2. পর্যবেক্ষণ -

প্রত্যেকটি দলের পঠনগত কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ করলাম,সেইগুলি একটি ছকের মাধ্যমে দেখানো হলো।

১ম দলের পর্যবেক্ষণ তথ্য -

পড়ার দক্ষতা - ভালো ( )/ মাঝারি ( )/ খারাপ ( )

প্রকাশের দক্ষতা - ভালো ( )/ মাঝারি ( )/ খারাপ ( )

আওয়াজে দক্ষতা - ভালো ( )/ মাঝারি ( )/ খারাপ ( )

উচ্চারণ দক্ষতা - ভালো ( )/ মাঝারি ( )/ খারাপ ( )

6.3. শিক্ষকের ভূমিকা - 

  1. বাংলা সাহিত্য ও ভাষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ  জাগ্রত করা।
  2. উপযুক্ত পাঠ্যপুস্তকের সম্মান দেওয়া এবং সমধর্মী পুস্তকের নাম বলে দেওয়া।
  3. শিক্ষার্থীদের মানসিক বয়স অনুসারে সরব পাঠ ও নীরব পাঠের অভ্যস্ত করা।
  4. উচ্চারণে ত্রুটি সংশোধন করা ও প্রয়োজনে ভাষা গবেষণাগারের সাহায্য নেওয়া।
  5. বাক্যগঠনে ছেদ ও যতি চিহ্নের সঠিক ব্যবহার শেখানো।
  6. বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শ্রেণি সম্বন্ধে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের পরিচয় ঘটানো।
  7. শিক্ষার্থীদের উচ্চারণে আঞ্চলিকতা দূর করা।
  8. সহযোগিতা ও সহমর্মিতার সঙ্গে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্লাস পরিচালনা করা।
  9. উপযুক্ত শিক্ষণ কৌশল নির্বাচন করা।
  10. শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখা।

6.4. শিক্ষার্থীর ভূমিকা -

  1. শুদ্ধ ও স্পষ্ট উচ্চারণ অর্থ ও ভাবমূর্তি বজায় রেখে নির্ভুলভাবে পদ্ম ও গদ্য রচনা পাঠ করার সামর্থ্য অর্জন করে।
  2. স্বাধীনভাবে স্বাচ্ছন্দে সাথে পড়তে পারা।
  3. পঠনের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়বোধ ও অনুধাবনের সামর্থ্য অর্জন করে।
  4. নীরব পাঠের দ্বারা দ্রুতগতিতে বিষয়বস্তুর অর্থবোধের সামর্থ্য অর্জন করে।
  5. মাতৃভাষায় বিশিষ্ট গঠন,ব্যাকরণের মূলরীতি, বাগ্বিধির সঙ্গে পরিচয় ঘটানো।
  6. সাহিত্য পাঠের আগ্রহ বৃদ্ধি করা।
  7. সাহিত্য অভিব্যক্তি বিষয় ও বসোপলব্ধিতে সামর্থ্য অর্জন করে।
  8. স্বাধীন চিন্তা ও পরিশীলিত আত্মপ্রকাশের ভিতর দিয়ে নবতর সৃষ্টি কর্মে অনুপ্রেরণা লাভ করে।
  9. জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে শিক্ষার্থীর পরিচয় ঘটে।

7. নিজেস্ব মতামত - 

উক্ত এই প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা পঠন এবং পাঠের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত হলাম। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের যে পঠন-পাঠন কেমন হওয়া উচিত এবং কনের সঙ্গে যে ব্যাখ্যামূলক পর্যায়ে রয়েছে সেই সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী মনোভাব সম্পর্কে জানলাম। পঠনের ধরন সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা সরব পাঠ ও নীরব পাঠ এর যে কতটা গুরুত্ব রয়েছে সেই সম্পর্কে তথ্য জানলাম। শিক্ষার্থী বিভিন্ন দক্ষতা অর্জনে কথন এর ধরন অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস সেই সম্পর্কে অবগত হলাম।

8. সীমাবদ্ধতা - 

এই প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা লক্ষ করেছি। শ্রেণিকক্ষে সকল শিক্ষার্থী এই প্রথম বিষয়ে আগ্রহী ছিল না। প্রকল্পটি মূলত একটি বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণীতে পড়া হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। সময়ের অভাবে আরও তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি অর্থাৎ সময় এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

9. উপসংহার - 

সর্বোপরি বলতে পারা যায় যে সকল প্রকার সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থী মনোভাব এবং পঠন-পাঠনের গঠনের ভূমিকা এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যবহার অপরিসীম।

CLICK HERE -

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post