Divide the class in small group and provide different kinds of texts and instruct them to read and reflect according to the nature of text EPC-1

Divide the class in small group and provide different kinds of texts and instruct them to read and reflect according to the nature of text EPC-1

Divide the class in small group and provide different kinds of texts and instruct them to read and reflect according to the nature of text||শ্রেণীকে ছোট দলে ভাগ করুন এবং বিভিন্ন ধরণের পাঠ্য প্রদান করুন এবং পাঠ্যের প্রকৃতি অনুসারে তাদের পড়ার এবং প্রতিফলিত করার নির্দেশ দিন

BENGALI VERSION|| ENGLISH VERSION

Divide the class in small group and provide different kinds of texts and instruct them to read and reflect according to the nature of texts
Divide the class in small group and provide different kinds of texts and instruct them to read and reflect according to the nature of texts

(** ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

BENGALI VERSION -

Divide the class in small group and provide different kinds of texts and instruct them to read and reflect according to the nature of text

1. EPC -এর ভূমিকা-

EPC কথাটির অর্থ হল Enhancing Professional Capasity বা পেশাগত হ্মমতায় বৃদ্ধি। বিভিন্ন হ্মমতা যেমন - লিখন,পঠন,বোধ পরীহ্মণ সংহ্মিপ্তকরণ,সরবপাঠ এগুলি অনুশীলনের উন্নতি হয় EPC এর মাধ্যমে।

                   বর্তমানে শিহ্মকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা বলে বিবেচিত হয়। এই কারনে শিহ্মাকতার শিহ্মকের পেশাগত দহ্মতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। EPC আমাদের জীবনে সদর্থক মনোভাব গ্ৰহন ও চরিত্র গঠনের কাজে লাগে। তাই পেশাভিত্তিক দহ্মতাকে প্রগাঢ় ও সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করা যায়, তাছাড়া এই বিষয়টি আর্দশগত ভাবে সম্মিলিত করার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ভিত্তিক পর্যায় ও পরিবর্তনশীল পাঠক্রমের সাথে শিহ্মককে অভিযোজিত করতে ও সহায়তা করে। পেশাগত দহ্মতা অর্জন একজন শিক্ষককে সবসময় নতুন নতুন ভাবনায় সমৃদ্ধ করে। পেশাগত দহ্মতা বিভিন্ন দিক আছে- পাঠ্য বিষয়ের উপস্থাপন,পাঠ অধ্যয়ন, পরামর্শদান, চিন্তাশীল তত্ত্ববোধ,প্রায়োগিক সহযোগিতা ইত্যাদি।উন্নত পেশাগত হ্মমতা একজন শিহ্মকেরা বিজ্ঞানসম্মত শিহ্মণ পদ্ধতি ও সদর্থক কর্মদহ্মতার উন্নতি ঘটায়।

2. EPC এর উদ্দেশ্য -

১.পেশাভিত্তিক উন্নয়নের পরিসর দীর্ঘ প্রতিটি পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তির কতগুলি গুন বা যোগ্যতা থাকার দরকার।এটি বিভিন্ন ব্যক্তির উদ্যমশীলতা নির্ভরযোগ্যতা ও আত্মনিয়ন্ত্রনের হ্মমতা বৃদ্ধি করে ফলে পেশাগত উন্নয়নের নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ একটি সাধারণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কর্মদহ্মতায় উন্নয়নের বিভাজন করে নেয়।

২.পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত পঠনের মাধ্যমে পাঠকের মূল্যবোধ এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট নৈতিকতার সমৃদ্ধি ঘটে। সামগ্রিক ভাষার প্রসার ঘটে।

৩. পেশাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির মূল ভিত্তি হলো ব্যক্তির দীর্ঘ শিখনি আগ্রহ এবং তাদের ক্ষমতা ও জ্ঞানের বৃদ্ধিকরণ; পরিশ্রমশীলতা প্রত্যুৎপন্ন যৌতিত্ব, দায়িত্ব গ্রহণ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের পেশাগত ক্ষমতা উদ্যোগী করে তোলা।

৪. সরব পাঠ ও নীরব পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৫. পেশাগত দক্ষতা বিকাশের ফলে শিশুর আচরণ কেমন বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৬. পাঠ্যক্রমে পঠনের বিষয়বস্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে জীবনমুখী ও ইতিবাচক করে তোলে।

3. ব্যবহারিক অংশ নির্বাচন -

বিএড পাঠ্যক্রমে EPC-1 এ "Divide the class in small group and provided different kind of texts and instruct them to read and reflect according the nature of the text" বা "ক্লাসকে ছোট দলে ভাগ করুন এবং বিভিন্ন ধরণের পাঠ্য প্রদান করুন এবং পাঠ্যের প্রকৃতি অনুসারে তাদের পড়ার এবং প্রতিফলিত করার নির্দেশ দিন " নির্বাচন করা হলো

4. মূল বিষয়বস্তু -

4.1. পাঠের ধারণা -

পাঠের বিষয়বস্তু একটি বিষয়ে পঠন পদ্ধতির মূল উপাদানের সাহায্যে লেখকের বক্তব্য পাঠকের কাছে পৌঁছায়। পাঠ বলতে একটি রচনা (যেটি ছোটগল্প, প্রবন্ধ, কবিতা) বা রচনা অংশবিশেষ হতে পারে। এটি একটি সীমিত দৈর্ঘ্যের থাকবে।তবে মোটামুটি ভাবে কয়েকটি অনুচ্ছেদ একসঙ্গে সাজিয়ে দিলে তাকে Text  বা রচনা বলা যাবে না।কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আমরা লক্ষ্য করি।সেগুলি হল-

  • একটি সাধারণ প্রসঙ্গ যুক্ত হবে।
  • এতে একটি প্রাক্ প্রত্যয় বা অনুমান থাকবে।
  • সংশক্তি থাকবে।
  • সংযুক্তি (ব্যাকরণগত সংযুক্তি থাকবে)।
  • একটি গঠনশৈলী থাকবে।
4.2. বিভিন্ন ধরনের পাঠ -

এই বিষয়গুলি নানান ধরনের হতে পারে। সেগুলি হল -

  1. আখ্যানধর্মী পাঠ
  2. ব্যাখ্যানধর্মী পাঠ
  3. বর্ণনাধর্মী পাঠ
  4. অর্থবাহী পাঠ
  5. পরীহ্মালদ্ধ পাঠ
  6. ধারণামূলক পাঠ
  7. নৃকূলবিজ্ঞান 
  8. প্রামাণ্য তথ্যাদি
  9. হ্মেত্র বা বাহ্যিক টীকাসমুহ

1. আখ্যানধর্মী পাঠ্য -

আখ্যানধর্মী পাঠ সময় প্রত্যক্ষণের উপর নির্ভরশীল।এর অর্থ হল গল্প বলা বা কোন ঘটনাকে সুন্দর ভাষায় মাধ্যমে সময় ক্রম অনুযায়ী উপস্থাপন করা।পাঠক এই ধরনের বিবৃতির মাধ্যমে গল্প বা ঘটনার পুর্ণ চিত্র উপলব্ধি করতে পারে।

প্রকারভেদ - 

  • রূপকথা
  • রহস্যগল্প
  • ভৌতিক গল্প
  • অ্যাডভেঞ্চার মূলক গল্প
  • কল্পবিজ্ঞান
  • ঐতিহাসিক আখ্যান
  • ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
  • রোমান্স

2. ব্যাখ্যানধর্মী পাঠ -

এই ধরনের পাঠ হল বিশ্লেষণ ভিত্তিক।কোন জ্ঞানমূলক বিশ্লেষণ এবং তৎসংক্রান্ত কোনো জটিল ঘটনাকে সংশ্লেষণ করার জন্য পাঠের অবতারণা।এই ধরনের পাঠ মূলত সংশ্লেষণ করার আত্মপ্রকাশ মূলক হতে পারে ও বস্তুভিত্তিক হতে পারে। 

প্রকারভেদ - 

  • প্রবন্ধ
  • সংজ্ঞা নির্ধারণ
  • সারাংশ
  • ব্যাখ্যাকরন 

3. বর্ণনাধর্মী পাঠ -

বর্ণনাধর্মী পাঠ মূলত স্থান প্রত্যক্ষনের উপর নির্ভরশীল। এই ধরনের কোনো ব্যক্তি বা নির্জন বস্তুর অবস্থান জীবন্ত হয়ে ওঠে লেখকের উপস্থাপনায়। ঘটনা ধারাবাহিকতা ও পারস্পরিক সম্পর্ক এখানে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।সার্থক বর্ণনা পাঠকের মনে বিষয়বস্তুর প্রতিরূপ জাগ্রত করে।বর্ণিত ব্যক্তি বা বস্তু বা স্থান তার সামনে মূর্ত হয়ে ওঠে।সার্থক বর্ণনা পাঠকের নান্দনিক চাহিদা পূরণ করে।শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ধরনের পাঠ শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটিয়ে,তাকে সৃজনশীল করে তোলে।শিক্ষার্থীর আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। অন্যান্য শিক্ষা সহায়ক উপকরণের মতো রচনাধর্মী পাঠ শিক্ষার্থীদের শিখনকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। 

4. অর্থবাহী পাঠ -

সাধারণত এই ধরনের পাঠ লেখক কোনো ঘটনা বা বিষয়ের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেন কোন চূড়ান্ত প্রমাণ না দেখেই।যদি বলা হয়, অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটা এমন একটি ইঙ্গিত চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করার আগেই সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা অবকাশ থাকে।বিশেষত,বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে এবং অর্থনীতির বিভিন্ন তত্ত্ব আলোচনা প্রসঙ্গে এই ধরনের প্রাসঙ্গিকতা লক্ষ্য করা যায়।

5 পরীক্ষালব্ধ পাঠ -

পরীক্ষালব্ধ পাঠ হল বিজ্ঞানসম্মত পাঠ।কোন এক প্রকার পাঠ্যপুস্তক নয়।পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ এর দ্বারা জ্ঞান অর্জন করায় হয় এবং সেটি কখনো লিপিবদ্ধ করা হয় তখন এই প্রকারের পাঠ হয়। বিজ্ঞানের যে কোনো অনুচ্ছেদ বা আর্টিকেল যদি পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষার দ্বারা সত্য বলে প্রমাণিত হয় তাহলে সেটি পরীক্ষালব্ধ পাঠ বলে।

6. ধারণামূলক পাঠ -

বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট এবং তথ্যসমৃদ্ধ ধারণা লাভ করতে হলে গেলে ধারণামূলক পাঠের প্রয়োজন। প্রাসঙ্গিক পাঠের সাহায্যে পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্নিহিত বিষয় সম্পর্কেও একদম নিখুঁত ধারণা পাওয়া যায়।অবশ্য আত্তীকরণ পাঠের সঙ্গে এই পাঠ সম্পূর্ণ অভিন্ন নয়। ধারণা মূলক পাঠের সঙ্গে কতগুলো মূল্যবান বিষয়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

7. নৃকুলবিজ্ঞান -

নৃকুলবিজ্ঞান এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Ethnography।এই শব্দটি গ্রিক শব্দ Ethnos এবং Grapho থেকে এসেছে, যার অর্থ Ethnos মানুষ বা জাতি এবং Grapho অধ্যায়নের ক্ষেত্র।নৃকূলবিজ্ঞান হল মানব জাতি ও তার সংস্কৃতির সুসংবদ্ধ অধ্যয়ন। নৃকূলবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে জি. এফ. মিলারের বলেছেন "Ethonography as a seperate discipline whilst perticipation in the second Kamchatka Expedition (1733-43) as a profession of history and geography."

8. প্রামাণ্য তথ্যাদি -

প্রামাণ্য তথ্যাদি সত্য এবং তথা।এই শব্দদুটির নিবিড় সম্পর্ক যুক্ত।অতীতে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা সম্পর্কে নিরীক্ষণ করতে হলে সেই সম্পর্কিত সমস্ত প্রামাণ্য তথ্য গুলি লিখিতভাবে নথিভূক্ত হওয়ার আবশ্যক।সেই ধরনের রেকর্ড থেকে বর্তমানে সেই অতীতে ঘটে যাওয়া যে কোন বিষয়কে সত্যতা বা প্রাসঙ্গিকতা যাচাই করতে হয়ে থাকে।সেক্ষেত্রে অতীতের নথিভুক্তকরণে হওয়া সমস্ত তথ্য বর্তমানের প্রাসঙ্গিকতা নিরীহ্মন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

9. ক্ষেত্র বা বাহ্যিক টিকাসমূহ - 

গতানুগতিক ধারনা অনুযায়ী বাহ্যিক টীকা হল বৈজ্ঞানিকদের দ্বারা সংগৃহীত বিভিন্ন টীকা,যেগুলি তাঁর কোনো একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণের সময় বা তারপরে যত্ন সহকারে লিপিবদ্ধ করে রাখেন।এই ক্ষেত্র বা বাহ্যিক টীকাসমূহ গুলি বিশেষ করে নৃকূলবিজ্ঞান,জীববিজ্ঞান এবং নৃতত্ত্ববিদ্যা এ ক্ষেত্রে অধিক মূল্যবান ভূমিকা গ্রহণ করে।

     যে সমস্ত গবেষকগন গুণগত গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বাহ্যিক টীকা তাঁদের গবেষণা সংক্রান্ত কাজের একটি সোপান।এই সমস্ত গবেষকদের কাজের মূল উদ্দেশ্যই হলো গবেষণলব্ধ কাজের বিষয়বস্তু মূল পরিস্থিতি অনুধাবন করা।

5. পঠনের শ্রেনিবিভাগ -

১.সুংহত পাঠ - 

পরিপূর্ণ রসাস্বাদনের মাধ্যমে নিবিড়ভাবে মনোযোগ সন্নিবেশ করে অপেক্ষাকৃত ধীর গতিতে পাঠ্ বিষয়ের বিভিন্ন বিষয়বস্তু,ছন্দ অলঙ্কার,ধ্বনি রসের অভাব্যক্ত প্রভৃতিকে পাঠ করতে পদ্ধতিকে সুংহত পাঠ বলে।

২.বিস্তৃত পাঠ - 

পাঠের দ্রুতগতি বজায় রেখে ব্যাপক আয়তনযুক্ত পাঠ্য বিষয়ের বিভিন্ন অংশ যেগুলি পাঠ করার জন্য সমস্ত মনোযোগ,একাগ্রতার বেশি প্রয়োজন নেই এবং আলাতো ভাবে বিষয়ের মধ্যে প্রবেশ করে তার সাহিত্য সৌন্দর্য্যের রসাস্বাদ করা হয় সেই ধরনের পাঠকে বিস্তৃত বলে।

৩.সরব পাঠ - 

শুদ্ধ উচ্চারণ ও সঠিকভাবে ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে সরব আবৃত্তি ই হল সরব পাঠ।

৪.নীরব পাঠ - 

সুহ্ম,গভীর ভাবযুক্ত পাঠ্য বিষয় যেমন- প্রবন্ধ ইত্যাদি পাঠের ক্ষেত্রে নীরব পাঠ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।নীরব পাঠের সময় কম লাগে শ্রমও কম লাগে। তবে এই পাঠের অনেক বেশি মনোযোগ ও একাগ্রতা প্রয়োজন সরব পাঠের তুলনায় এই পাঠ দ্রুততা বেশি।

4.3. পঠনের ধরন -

ক। অস্পষ্ট বা অস্বচ্ছ ভাসা ভাসা পাঠ - 

অতি দ্রুততার সঙ্গে কোনো পাঠ্য বস্তুর উপর চোখ বুলিয়ে তার মূল বক্তব্য ও বিষয়বস্তুর পরিদর্শন।

খ। পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ - 

কোন বিশেষ বিষয়ঃ নিখুঁত ও সামগ্রিক ভাবে পঠনের প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে পঠনের অন্তর্নিহিত বিষয় ও ব্যাখ্যা গুলির সামগ্রিক এবং নিখুঁত ভাবে ধরা দিতে সক্ষম হয়। তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ বলে।

4.4. পাঠের উদ্দেশ্য -

শিশুরা প্রথমে মৌখিক ভাষা বুঝতে পারে।এরপর তারা শব্দগুচ্ছ সম্বন্ধে ওয়াকিবহল হয় এবং ভাষার রূপতাত্ত্বিক শব্দার্থ,তত্ত্ব ও বাক্যরীতি সম্পর্কে অবহিত হয়।ধীরে ধীরে তারা নিজেরাই কোনো বিষয়বস্তু পড়ে তার অর্থগ্রহণে দহ্ম হয়ে ওঠে। যেমন -

  1. শব্দার্থের অর্থ স্মরণ করতে পারে বা বুঝতে পারে।
  2. বিষয়ের অর্থ উপলব্ধি ও মন্তব্য করতে পারে।
  3. প্রশ্নের উত্তর করতে বা দিতে পারে।
  4. বিষয়ের  ধারণা ঠিকমতন সাজাতে পারে।
  5. বিষয় সম্বন্ধে মন্তব্য করতে পারে।
  6. লেখকের অভিপ্রায়,উদ্দেশ্য,দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সমর্থ হয়।
  7. লেখকের লিখনশৈলী সম্বন্ধে অবগত হবে পারে।
  8. কোন রচনায় গঠনশৈলী সম্বন্ধে অবহিত হতে পারে।
                   শিশুদের পঠনের প্রারম্ভিক পর্যায়ে অনুবাদ ব্যাপারটির গতি অত্যন্ত কম থাকেে। যতদিন পর্যন্ত অনুবাদ ব্যাপারটি সম্পর্কে দ্রুত ও দহ্ম না হয়ে ওঠে ততক্ষণ পর্যন্ত বোধগম্যতার দক্ষতা ও কম থাকে।

5. বিষয়টি নির্বাচনের কারণ -

পাঠ বলতে একটি রচনা বা রচনার অংশবিশেষ হতে পারে। এটির একটি সীমিত দৈর্ঘ্যে থাকে। পাঠের প্রকৃতি নির্ণয়ের মাধ্যমে আমরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি জানতে পারি। 

  • আখ্যানধর্মী পাঠ থেকে আমরা কিছু তথ্য;কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি।এটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা রোমান্স পরিবেশন করে।
  • ব্যাখ্যানধর্মী পাঠ থেকে আমরা কার্যকরণ সম্পর্কে অবহিত হই। বিষয়বস্তুর গভীরতা উপলব্ধি করি। এটি আমাদের গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহী করে।
  • ধারণামূলক পাঠ থেকে বিষয়টির কাঠামো রচনা সৃজন নথি নির্বাচন ইত্যাদি জানতে পারি।
  • ইঙ্গিতবাহী পাঠ থেকে আমরা কোন ঘটনা সম্বন্ধে জানতে পারি কোনরকম চূড়ান্ত প্রমাণ না দেখিয়ে।
  • বর্ণনামূলক পাঠ থেকে বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা জানতে পারি।
  • পরীক্ষালব্ধ পাঠ থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ বিষয় সম্পর্কে তথ্য জানতে পারি।

6. পদ্ধতি -

অর্জিত পাঠের সঠিক ভাবে সহায়তা অর্জন করতে পেলে, পাঠ প্রণালী পদ্ধতিটি কয়েকটি শিক্ষন স্তর অতিক্রম করতে হয়। এই স্তর গুলির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক থেকে জ্ঞান ও তথ্যের সাথে সাথে আরো অনেক বিষয় জ্ঞান অর্জিত হতে পারে।এই শিখন পদ্ধতি গুলির মধ্যে ৮টি পদ্ধতি খুব জনপ্রিয়।এগুলি হল -

  • Subvocalized Reading Methods - এই ধরনের পঠনের শব্দের ব্যুৎপত্তি সম্বন্ধে বিজ্ঞান,ব্যাকরন স্থান লাভ করে থাকে। শব্দের অন্তর্নিহিত ধ্বনি,অর্থ, বিশ্লেষণ এবং বেশ কিছু জটিল বিষয় এই শ্রেনীর পঠনের পদ্ধতির।
  • Proofreading Methods - পঠনীয় বিষয়ে বিষয় সংক্রান্ত ভাংতি এই ধরনের পত্রের মাধ্যমে দূর করা এবং নির্দিষ্ট লেখ্য বিষয়টি এর মাধ্যমে ত্রুটিহীন হবার সুযোগ পায়।
  • Speed Reading Methods - এই জাতীয় প্রথম দ্রুতহারে শিখন এর সঙ্গে সম্পৃক্ত।পঠনের হারের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায় এবং পঠনের অন্তর্নিহিত শব্দ সম্পর্কে ও প্রাথমিক ধারণা চমক প্রদভাবে তাকে ওঠে তাই এর ভূমিকা কেন উপযোগী।
  • Structure-Prpposition-Evaluation  Methods - পঠনের নির্দিষ্ট বিষয়টি যতহ্মন পর্যন্ত না সামগ্ৰিক ভাবে অনুধাবন করা যাবে,ততহ্মন অবধি পঠনীয় বিষয়ের যুক্তিযুক্ত পঠন অথবা সমাপ্তি ঘোষণা করা বাঞ্ছনীয় নয় বলে SPE পদ্ধতির ঘোষণা।
  • Reading Methods - পুর্নপঠন শিহ্মন ও শিখন সংক্রান্ত একাধিক উদ্দেশ্য পূরণ করতে সহ্মম।পুর্নপঠন মানসিক ভাবে ও পাঠক কে সমৃদ্ধ করে থাকে।পাঠক স্বচ্ছন্দে পুর্নপঠন মধ্য দিয়ে নিজেকে এবং প্রথম পাঠ কে মূল্যায়ন করে নিতে পারে।
  • Survey Question Read-Recite-Review Methods - বিশেষত, পাবলিক স্কুলগুলিতে SQ3R পদ্ধতি শেখানো হয়,যার মধ্যে দিয়ে পঠন কীভাবে শেখানো মেতে পাবে তা দৃষ্টান্ত সহকারে বোঝানো হয়।কোন বিষয়ে যথাযথভাবে পঠন সম্পন্ন করতে গেলে SQ3R পদ্ধতি শিখন সহায়ক উপকরনের উপযোগিতার কথা স্বীকার করে।
  • Rapid Serial Visual Presentation Reading Methods - প্রায়শই RSVP পঠন অভিজ্ঞতার হ্মেত্রে পঠনের গতি নির্ধারন তথা পরিমাপ করে থাকে শিহ্মন এবং শিখন উভয় হ্মেত্রেই এর গুরুত্ব নিচে তুলে ধরা হল- (Sourse - http://en.wikipedia.org/wiki/Reading_Process)
  • Multiple Intelligences Base Methods - পঠন পর্বে পাঠক অনেক হ্মেত্রে সচেতন ভাবে অথবা অজান্তেই বিশেষত ভাষাতত্ত্ব সম্পর্কিত কর্মসম্পাদনের।হ্মেত্রে এক বা একাধিক বুদ্ধিজনিত প্রনালী ব্যবহার করে থাকে।পঠনের হ্মেএ তা স্পষ্ঠতা আনে,পঠনের মানোন্নতি ঘটিয়ে থাকে এবং একাধারে পাঠকের মধ্যে যথাযথভাবে করলাম সম্পাদনের আকাঙ্ক্ষা তথা আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে।

7. প্রকৃত ব্যবহারিক কার্যাবলী - 

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীর পঠন প্রক্রিয়াটি করার সময় বিভিন্ন ব্যবহারিক কার্যাবলী করে থাকে। এগুলি হল -

ক। শ্রেণীবিভাগ - 

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষক মহাশয় দুটি গ্রুপে ভাগ করে দিয়েছেন, যথা - প্রথম গ্ৰুপ ও দ্বিতীয় গ্রুপ।

খ। শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থীদের পুস্তক পঠনের নির্দেশনা -

  1. নির্ভুল ও সঠিক পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
  2. ছেদ ও যতি ছেদ সঠিক করে পড়তে হবে।
  3. দৃষ্টি ও শ্রুতির মাধ্যমে করতে হবে।
  4. পঠনের সময় যথাযথ গতি রাখতে হবে।
  5. শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
  6. শিক্ষার্থী কত সময় সেই পঠনকে অনুধাবন ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  7. পাঠকের চোখে মুখে পাঠের অভিব্যক্তি ফুটে ওঠবে।
  8. পাঠ্যবিষয় সঠিক উপলব্ধি করতে হবে।
  9. শব্দ ব্যবহার ও ছন্দ রস নিবিড় ভাবে ব্যবহার করতে হবে।
  10. পাঠ্য সাহিত্য ও ধ্বনি উপলব্ধি করতে হবে।

গ। শিক্ষার্থীদের পঠন প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ - 

  1. উচ্চারণে স্পষ্টতা ছিল।
  2. কণ্ঠস্বর ভাল ছিল।
  3. ছেদ ও যতি চ্ছেদের সঠিক ব্যবহার করেছে।
  4. পৃথক বোধগম্য ছিল বাক্যে।
  5. পঠনের অভিব্যক্তি সঠিক ছিল।
  6.  ধ্বনি ও শব্দের ব্যবহার সঠিক ছিল।
  7. শিক্ষার্থীর আঞ্চলিকতা ভাষার মুক্ত ছিল পঠনে।

8. নিজস্ব মতামত -

প্রকল্পটি করতে গিয়ে বেশ কিছু শিক্ষণ পদ্ধতি নিজেরাও আয়ত্ত করলাম,জানলাম শ্রেণিকক্ষে কিভাবে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পঠনের কার্য করে থাকে। শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তি ও চিন্তাশক্তি বিকাশের জন্য পাঠ্যপুস্তকের গুরুত্ব কতটা সেই সম্পর্কে ধারণা পেলাম।

9. সীমাবদ্ধতা -

  • কেবলমাত্র বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কার্যটি সম্পাদন করা হয়েছে।
  • মাত্র একটি শ্রেণীর ওপর কার্যটি করা হয়েছে।
  • কেবলমাত্র প্রবন্ধের অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
  • সীমিত সময়ের মধ্যে কার্য সম্পাদন করা হয়েছে।
  • শব্দ উচ্চারণের অনগলতা আসে না।
  • পাঠের গতি ব্যাহত হয়।
  • জঠতাযুক্ত যুক্ত পাঠ হয়ে থাকে।
  • বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ না থাকায় অধিক জ্ঞান গভীরভাবে হয় না।
  • পাঠ্যভাষী জ্ঞান ও তথ্য দ্রুত সম্পন্ন হয় না।
10. উপসংহার - 

প্রকল্পটি কার্যকরণ করতে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। তাই আমরা কার্যটি দ্রুত এবং সুন্দরভাবে সম্পাদন করতে পেরেছি। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ এবং আগ্রহের সঙ্গে পার্থ গুলি গঠন করেছিল তবে তাদের বক্তব্য সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এভাবে শিক্ষার্থীদের সাহিত্য গঠনের আগ্রহ করে তোলা সম্ভব। সাহিত্য অনুশীলনের দ্ধারা শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তি ও চিন্তাশক্তি বিকাশ ঘটে।

CLICK HERE -

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post