List down Few (Classroom) Learning Situations Involving Insightful Learning

List down Few (Classroom) Learning Situations Involving Insightful Learning

LIST DOWN FEW (  CLASSROOM ) LEARNING SITUATIONS INVOLVING INSIGHTFUL LEARNING||শ্রেণিকক্ষে অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন পরিস্থিতি তালিকা প্রস্তুতিকরণ|| BENGALI VERSION|| 

List Down Few (Classroom) learning situations involving insightful learning practicum
List Down Few (Classroom) Learning Situations Involving Insightful Learning


BENGALI VERSION -

শ্রেণিকক্ষে অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন পরিস্থিতি তালিকা প্রস্তুতিকরণ

1. ভূমিকা - 
শিক্ষক হলেন জ্ঞানের ভান্ডার তিনি শিক্ষার্থীদের শূন্য ভান্ডার কে জ্ঞান দিয়ে পরিপূর্ণ করে থাকেন।শিক্ষাব্যবস্থা মূলত শিক্ষককেন্দ্রিক ছিল, ফলে শিক্ষার্থীদের অপুর গুরুত্ব দেয়া হতো না। তবে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের ফলে শিক্ষককেন্দ্রিক ধারণাটি মূলত শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক ধারণাতে পরিবর্তন হয়েছে।
          সময়ের সাথে সাথে শিক্ষাব্যবস্থার যেমন পরিবর্তন করা হয়েছে, তেমনি শিখন তত্ত্বের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। শিখন তত্ত্বের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি শিখন এটি অন্যতম শিখন পদ্ধতি। এই ধরনের শিখন তত্ত্বের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর অন্তর্দৃষ্টি জাগরনের মাধ্যমে শুধু বিষয় ভিত্তিক নয়, জীবনের যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে শেখায়। এই শিখন পদ্ধতি বিদ্যালয় পরিবেশের দেখা যায় আবার কখনো কখনো শিক্ষক মহাশয় বা শিক্ষিকা মহাশয়া কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে যথাযথ প্রাসঙ্গিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানবো এবং অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি শিখন পদ্ধতি তালিকা প্রস্তুত করবো।

2. উদ্দেশ্যাবলি - 
  • শিক্ষার্থীদের শুধু বিষয়গত নয়,নিজের জীবনের প্রতিটি সমস্যাই সমাধান করতে পারে।
  • শিক্ষার্থীদের বুদ্ধি,চিন্তন,যুক্তিকরন দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  • শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের ফলে শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে তার মধ্যে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনা।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে সক্রিয়তা বোধ সৃষ্টি করা।
3. মূল বিষয়বস্তু - 
3.1. অন্তর্দৃষ্টি - 
অন্তর্দৃষ্টি হলো একটি সমস্যার সমাধান মূলক শিখন পদ্ধতি। প্রাণী সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে সামগ্রিক ভাবে উপলব্ধি করার পর হঠাৎ করে সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলে।তার জন্য প্রচেষ্টা ও ভুল প্রয়োজন হয় না। একে অন্তর্দৃষ্টি বলে।
                        যে সমস্ত সমগ্রতাবাদী অন্তর্দৃষ্টির কথা বললেন তাঁরা হলেন কা,কোহলার এবং ওয়াবদাইমার প্রমুখ।এই তিনজন মনোবিদকে 'গেস্টান্টবাদী' বা 'সমগ্ৰতাবাদী' বলা হয়।

3.2. কোহলারের পরীহ্মা - 
3.2.1.ভূমিকা -
গেস্টাল্ট মনোবিজ্ঞানী কোহলার শিম্পাঞ্জি কে নিয়ে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে প্রাণীর সামনে সমস্যার সৃষ্টি হলে, প্রাথমিক অবস্থায় কিছুক্ষণ ধরে প্রচেষ্টা ও ভুলের পথে এগিয়ে গেলেও সে বেশিক্ষণ ওই পথে থাকতে পারবে না। একটু পরেই ওই প্রচেষ্টা ও ভুলের পথে ছেড়ে সামগ্রিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে সমস্যাটির সমাধান করবে।
3.2.2. পরীক্ষার উপকরণ - 
           i.সুলতান নামক একটি শিম্পাঞ্জি।
           ii.একটি খাঁচা।
           iii. দুটি বাঁশের লাঠি যা একটি মধ্যে অন্যটি                          প্রবেশ করিয়ে জোড়া লাগানো যায়।
           iv. খাদ্যবস্তু কলা।
3.2.3. পরীক্ষা
কোহলার তার পরীক্ষায় সুলতান নামক একটি শিম্পাঞ্জিকে খাঁচার মধ্যে রেখে বাইরে দিয়ে দরজাটি বন্ধ করে দিয়েছিল।খাঁচার বাইরে খাদ্যবস্তু হিসাবে কয়েকটি কলা একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে রেখে দিয়েছিল,যাতে একটি লাঠি দিয়ে কলা পর্যন্ত না যাওয়া যায়। লাঠি দুটিকে খাঁচার মধ্যে রেখেছিলেন।
3.2.4. পর্যবেক্ষণ - 
১. প্রথমে শিম্পাঞ্জিটি লাঠির সাহায্যে খাদ্যবস্তু কলার নিজের কাছে আনার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রত্যেকটি লাঠি কলার দূরত্ব থেকে ছোট হওয়ায় কলাটি টেনে নিজের কাছে নিতে পারছিল না।
২. তারপর শিম্পাঞ্জি একটি লাঠি কে অপ লাঠির দ্বারা ঠেলা দিয়ে কলাছড়া পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলেও সে ক্ষেত্রে কলাছড়া টিকে কাছে নেয়া সম্ভব হয়নি।
৩. নিরাশায় শিম্পাঞ্জি দুটোকে নিয়ে খেলা করতে লাগলো ঠিক সেই সময় কোহলার কিছু ইঙ্গিত দিলেন লাঠি দুটোকে জড়াতে হয়। তিনি দুটো আঙ্গুল কে বার করে জোর করে মুখোমুখি দেখাতে লাগলেন।কিন্তু শিম্পাঞ্জি সেই ইঙ্গিত বুঝতে পারল না।
৪. পরবর্তী পর্যায়ে শিম্পাঞ্জি লাঠি দিয়ে খেলা করতে করতে একসময় হঠাৎ একটি লাঠি আর একটি লাঠির সঙ্গে জুড়ে দিলো এবং সঙ্গে সঙ্গেই যুক্ত লাঠি দিয়ে কলার ওকে কাছে টেনে নিল।এইভাবে সে সমস্যার সমাধান করল।
3.2.5. সিদ্ধান্ত - 
১. এই পরীক্ষা থেকে কোহলার সিদ্ধান্ত আসেন যে, অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কৌশল দেখা যায়। এখানে পরিস্থিতি সামগ্রিক সত্তা প্রত্যক্ষনের ভেতর দিয়ে  শিম্পাঞ্জিটি পরিস্থিতির সামগ্রিক রূপের মধ্যেকার সমস্যাগুলি উপলব্ধি করে।অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ শিখিয়ে নেয়। অর্থাৎ কলার ছড়া অবস্থান ও লাঠির দৈর্ঘ্য,নিজের অবস্থান ইত্যাদি মধ্যেকারের সম্পর্ক সামগ্রিকভাবে সুলতান নামক শিম্পাঞ্জির বুঝতে পেরেছেন বলে তার পক্ষে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছিল।তাই গেস্টাল্টবাদীরা মনে করেন শিখনের অংশ ভিত্তিক হয় না,শিখন হয় সামগ্রিক রূপের ভিত্তিতে। 
২. সমস্যা সামগ্রিক রূপ উপলব্ধি প্রচেষ্টার ও মূলের মাধ্যমে শেখে না,সমস্যামূলক পরিস্থিতি সামগ্রিক রূপ উপলব্ধি করে তা সমাধানের চেষ্টা করে।
৩. হঠাৎ করে প্রত্যাহ্মন সমস্যাটি সামগ্রিকভাবে উপলব্ধির পর হঠাৎ করে সমাধানের ওপর উপলব্ধি করে, যাকে বলা হয় অন্তর্দৃষ্টি।
৪. খন্ড হিসাবে প্রত্যক্ষণ না করে সমগ্ৰভাবে প্রত্যস্থন প্রানী বিষয়টিকে সমগ্ৰভাবে দেখার চেষ্টা করে,বিভিন্ন বস্তু যাদের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে তাদের সমগ্র হিসাবে দেখে।

3.3. অন্তর্দষ্টিমূলক শিখন -
অন্তর্দৃষ্টি হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে হঠাৎ কোনো বিষয়ের অর্থ বা কোন সমস্যার সমাধানের অর্থপূর্ণ হয়। অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে যে কোন মানুষ বা প্রাণী হঠাৎ করে কোনো বিষয় এর অর্থ বুঝতে পারে বা সমস্যা সমাধান করতে পারে এবং এভাবে যে শিক্ষণ সম্পন্ন হয় তাকে অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন বলে।Kosslyn এবং Rosenberg মতে - " learning that occurs when a person aur animal suddenly graps what something means and incorpasatix new knowledge into old knowledge." অর্থাৎ কোন মানুষ বা প্রাণী যখন হঠাৎ করে কোন কিছু অর্থ বুঝতে পারে তখন তার অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন হয় এবং তখন সে নতুন জ্ঞানকে পুরনো গানের মাধ্যমে অন্তঃস্থ করবেন।
           বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে এই পদ্ধতিতে অনেক কিছু বিষয় আয়ত্ত করতে দেখা যায়,যা শিখনের কয়েকটি ধাপ ধীরে ধীরে সংঘটিত হয়। উদাহরণ - শিক্ষার্থী পরিস্থিতিকে পুরোপুরি প্রত্যাহ্মনে করার চেষ্টা করে।ওই প্রত্যাহ্মনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়া করে এবং সেই প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতির মধ্যে পরিবর্তন আনে যা তার প্রত্যাহ্মনের প্রকৃতিকেও পাল্টে দেয়।এভাবে শিক্ষার্থী হঠাৎ সমস্যাটির সমাধান খুঁজে পায় এবং তার শিখন সম্পন্ন হয়। এভাবে শিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার পদ্ধতিকে অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন বলে। বর্তমানে কাজটি এইরকমই কিছু অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন এর উদাহরণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হয়েছে এ প্রকল্পটি দ্বারা।

3.4. শিহ্মাক্ষেত্রে অন্তর্দৃষ্টি মূলক তত্ত্বের প্রয়োগ -
  1. সামগ্রিকতা বোধ - বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় সামগ্রিক পদ্ধতির উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে।ছোট ছোট অংশের তুলনায় সামগ্রিক রূপে বিষয়টিকে তুলে ধরতে হয় এবং সেটি পরে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে তার প্রতিটি অংশকে ব্যাখ্যা করা হয়। উদাহরণ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ইতিহাসের ক্ষেত্রে ফরাসি বিপ্লবের কারণ বা সিপাহী বিদ্রোহের কারণ ইত্যাদি পাঠ্য বিষয় গুলিকে প্রথমে বলে তারপর প্রতিটি কারণ স্বতন্ত্রভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
  2. বিষয়বস্তুর সংগঠন ও তার বিচ্ছিন্নকরণের নীতি - এই নীতির মূল বক্তব্য হলো অপ্রাসঙ্গিক তথ্যকে সরিয়ে প্রাসঙ্গিক ও সাধারণ ধর্মী বৈশিষ্ট্য গুলিকে বিশ্লেষণ করা। অর্থাৎ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনর্থক অন্ধ যান্ত্রিক প্রচেষ্টা করে উদ্যম ও সময় নষ্ট না করে মূল বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা বিশ্লেষণ করা একটি অন্যতম কর্তব্য। উদাহরণ শ্রেণিকক্ষে গণিতের ক্ষেত্রে বৃত্তের পরিসীমা সম্বন্ধে ধারণা দিতে গিয়ে প্রাসঙ্গিক পরিসীমা ব্যাস ব্যাসার্ধ আলোচনা করতে হয় এবং সেই সংক্রান্ত সমস্যা গুলিকে পৃথকভাবে আয়ত্ত করতে পারে সেই দিকেই নজর দিতে হবে কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তুকে বাতিল করে দিতে হবে।
  3. সাদৃশ্যের নীতি - শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাতে অন্তর্দৃষ্টি উন্মেষ জাগ্রত হয় তার জন্য শিখন প্রক্রিয়াটিকে এমন ভাবে সংগঠিত করতে হবে যাতে সহজেই সাদৃশ্যমূলক বিষয় গুলিকে চিহ্নিত করতে পারে। উদাহরণ শ্রেণিকক্ষে পাটি গণিতের ক্ষেত্রে আসল,সুদ, সুদের হার, সুদের আসল ইত্যাদি বিষয়ের মধ্যে সাদৃশ্য বজায় রেখে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুদ ও আসল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের অন্তর্দৃষ্টি জাগানোর সম্ভব হবে।
  4. নৈকট্যের নীতি - শিক্ষক যদি দুটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিষয় পরপর পরান তবে শিক্ষার্থীরা সেই বিষয়ে মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপন করতে পারবে এবং তার ফলস্বরূপ ওই বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের অন্তর্দৃষ্টি জাগবে। উদাহরণ  শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ভৌত বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে জারণ-বিজারণ পড়াতে গিয়ে জারণের সঙ্গে  বিজারণ পড়ালে শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া মধ্যে সম্বন্ধ সাধন করতে পারবে।
  5. ধারাবাহিকতার নীতি - শিক্ষকের কর্তব্য হলো পার্থ বিষয়কে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন করা যাতে শিক্ষার্থীদের কাছে শিখন লব্ধ অভিজ্ঞতার অনেক সহজে আয়ত্ত করা সম্ভব হয়। উদাহরণ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক বাংলার ব্যাকরণের ক্ষেত্রে ধ্বনি,বর্ণ,শব্দ,বাক্য,সন্ধি,পদ, সমাস ইত্যাদি বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে পড়ালে শিক্ষার্থীদের কাছে সুবিধা হবে।
  6. পরিমিতির নীতি - এই নীতি অনুযায়ী অন্তর্দৃষ্টি আসে সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে। বিভিন্ন অংশগুলি সঙ্গে আগের শেখার বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপনের মাধ্যমে।দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার সঙ্গে শিক্ষণীয় বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপন করতে পারলে শিখনলদ্ধ অভিজ্ঞতার কে সুসংবদ্ধ ও সুসংহত করা সহজ হয়। উদাহরণ শ্রেণিকক্ষে ভৌত বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন পড়াতে গেলে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি জাগানো সম্ভব হয়।
  7. সক্রিয় ও আগ্রহ - এই মতবাদ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শিখন অভিমুখী ও সমস্যাসমাধানে আগ্রহী এবং শিখন পরিস্থিতির একটি সক্রিয় অংশ। শিক্ষকের বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সহায়ক উদ্দীপনের ব্যবহার করতে পারেন এবং বাচনভঙ্গি কে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন। শিক্ষকের বিষয় উপস্থাপন হবে সুন্দর।শিক্ষক প্রয়োজনে বোর্ডের ব্যবহার করবেন। উদাহরণ বিজ্ঞান ও ভূগোল প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদানের সময় চার্ট,মডেল করলে শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হয়।
  8. শিখনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য - শিক্ষনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
  9. প্রহ্মোভগত কারণ - শিক্ষার্থীর অনুভূতি বা প্রক্ষোভ অন্তর্দৃষ্টি জাগরনের একান্ত প্রয়োজন। উদাহরণ শ্রেণিকক্ষে অনেক শিক্ষার্থী অঙ্কের ভয় আবার অনেকে ইতিহাসকে ভয় করে থাকে। শিক্ষক যদি ঐ ভিত্তি দূর করতে না পারে তবেই শিক্ষার্থী গণিত বা ইতিহাসের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ ভয় নামক অন্তর্দৃষ্টির উন্মেষের বাধা সৃষ্টি করে।
4. তথ্য সংগ্রহ -
4.1. বিদ্যালয় নির্বাচন - এই প্রকল্পটি করতে আমি ......................................... বিদ্যালয় টিকে নির্বাচন করেছি। এই বিদ্যালয়টিতে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষের মধ্যে কয়েকটি শ্রেণীকক্ষে আমি নির্বাচন করেছি। প্রকল্পটি করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক মহাশয় সাহায্যে সম্পন্ন করা হলো।
4.2. তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া - 
বিদ্যালয়ের নাম - 
বিদ্যালয়ের কার্যসম্পাদন স্থান - শ্রেণিকক্ষে
শ্রেণিকক্ষের পঠন বিষয় - 
শিক্ষকের নাম -
শিক্ষার্থীদের সংখ্যা -
নমুনা-1
বিষয় - ভূগোল
স্থান - একাদশ শ্রেণিকক্ষ
পঠনের বিষয়ে - আবহাওয়া উৎপাদন পরিমাপক যন্ত্র (আপেক্ষিক আদ্রতা তাপমাত্রা)
শিক্ষকের কাজ - শিক্ষক মহাশয় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের আবহাওয়া উৎপাদন পরিমাপক যন্ত্র যেমন আপেক্ষিক আদ্রতা তাপমাত্রা ইত্যাদি জানতে ভূগোলের সাথে পদার্থ বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু কি সংগঠন করেন এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয় গুলি কে বাদ দিয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয় গুলোকে তুলে ধরেন। শিক্ষক মহাশয় বিষয়বস্তুর সংগঠন ও তার বিচ্ছিন্ন করণ নীতি প্রয়োগ করেন। শিক্ষকের লক্ষ্য রাখতে হবে শিক্ষার্থীরা যাতে উদ্যম ও সময় নষ্ট না করে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়কে নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিষয় সম্পর্কে অবগত করানো এবং অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখনের বোধ সৃষ্টি করেন।
শিক্ষার্থীদের কাজ - শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে আবহাওয়া পরিমাপক যন্ত্র সম্বন্ধে প্রাথমিক অনুমান করেন। ভূগোল ও পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়কে এক না করা, প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কে চির করা এবং অপ্রাসঙ্গিক জিনিস বাদ দিয়ে পঠন-পাঠন করা। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের দ্বারা নির্মিত সমস্যার ভুল ও প্রচেষ্টা না করে সমাধানের মাধ্যমে পঠন সম্পাদন করা। নিজের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি মূলক বোধকে জাগরিত করা।
মূল্যায়ন - পরিশেষে বলা যেতে পারে, শিক্ষার্থীরা সমস্যার সম্মুখীন হয়েও প্রচেষ্টার পথে বাদ দিয়ে হঠাৎ করে সমস্যার সমাধান করে ফেলে। বিষয়বস্তু সম্পর্কে সংগঠন ও তার বিচ্ছিন্নকরণের নীতি দ্ধারা শিক্ষার্থীরা বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান আয়ত্ত করে এবং অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখনকে জাগ্রত করে।
( বি:দ্র: - এইভাবে কয়েকটি নমুনা দিতে হবে, উদাহরণস্বরূপ একটি করে দেওয়া হলো)

5. নিজস্বব মতামত - 

উক্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে আমি অন্তর্দৃষ্টি তত্ত্ব শিখন মূলক ধারণা সম্পর্কে জানলাম। একজন শিক্ষক মহাশয় কিভাবে একজন দক্ষ শিক্ষকের পরিণত হতে পারে সেই সম্পর্কে ধারণা পেলাম। কি করছি যে বিষয়ে আমি গিয়ে পড়াবো সেই মিশরের পঠন দক্ষতা কি হবে বা কি পদ্ধতিতে আমি শিক্ষার্থীদের পড়াবো সেই সম্পর্কে ধারণা জানলাম। অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন বাস্তবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে শুধুমাত্র যে শিশুদের সার্বিক বিকাশ হয় তা নয় শিক্ষার্থী নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস,বুদ্ধিচিন্তাভাবনা এবং যে কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে সমস্যার সমাধান করতে শেখে। তাই শিখন পদ্ধতিতে মূলক শিখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

6. সিদ্ধান্ত গ্ৰহন - 

উক্ত প্রকল্পটির দ্বারা কিছু সিদ্ধান্তে আসতে পারি,যে -
ক। এটি একটি সমস্যাসমাধান মূলক শিখন। শিক্ষার্থীদের নিজেই নিজের সমস্যা সমাধানে সহ্মম হয় এবং বিষয় কে আয়ও করতে পারে।
খ। এটি একটি নির্মিতিবাদী ধারণা। এখানে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে শিক্ষককেন্দ্রিক শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে শিক্ষার্থী নিজেই বিষয়কে আবিষর বাদ ভবন করে এবং বিষয়কে আয়ত্ত করে।
গ। ধরনের শিখনে ভুল ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে যখন হঠাৎ করেই সমাধানের উদ্ভাবন হয় তখন শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিতৃপ্তি কারণে স্বতস্ফূর্ততা বৃদ্ধি পায় এবং শিক্ষণের প্রবণতা বেড়ে যায়।
ঘ। অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখনের আয়ত্ত করার বিষয়টি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং শ্রেণিকক্ষে এই ধরনের শিক্ষনে চর্চা বেশি হওয়া উচিত।

7. উপসংহার - 

শিক্ষার্থীর শিখন কে কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করার জন্য অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক মহাশয় বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে সমস্যা আকারে পরিবেশন করেছেন যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি বোধের সৃষ্টি হয়। তুমি কক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের পরিবেশ শিক্ষক মহাশয় কৃত্তিম ভাবে শিক্ষণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং শিক্ষার্থী সেই পরিস্থিতির ভুল প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধান করেছে। গল্পটি করার সময় কিছু সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছে তা সত্ত্বেও প্রকল্পটির যথাযথ সম্পন্ন করা হলো। অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন পদ্ধতিতে শিক্ষক মহাশয় যে সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তা যথাযথ এবং সার্থকভাবে প্রকল্পটি করতে সুবিধা হয়েছে।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post