Study Of Educational Process In Private Schools

Study Of Educational Process In Private Schools

Study Of Educational Process In Private Schools||

BENGALI VERSION||

Study Of Educational Process In Private Schools
Study Of Educational Process In Private Schools


BENGALI VERSION -
Study Of Educational Process In Private Schools -


1. ভূমিকা -

বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত বিষয় হল বেসরকারিকরণ।স্বাধীনতা লাভের পর ভারতবর্ষের শিক্ষাব্যবস্থা ছিল চিরাচরিত ও গতানুগতিক পদ্ধতি।তাই তৎকালীন উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে ভারতবর্ষে অন্যান্য কল্যাণকামী রাষ্ট্রের ন্যায় আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষাকে সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করে রাষ্ট্রীয় অনুদানের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল।ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি কিছু কমিটি ও কমিশন গঠনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তি বিনিয়োগ শিক্ষাব্যবস্থাকে গঠনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।অতি দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি,শিল্পে চাহিদা বৃদ্ধি, উচ্চ শিক্ষার ব্যাপক বৈচিত্র ও বিশ্ব বাজারে চাহিদা মতো সুশিক্ষিত ও সু-প্রশিহ্মিত মানব সম্পদ সৃষ্টি প্রভৃতি কারণে শিক্ষার খরচ বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সমগ্র দেশবাসীর ক্রমবর্ধিত ও বিশেষীকৃত শিক্ষার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।তাই জাতীয় সরকারকে আর্থিক চাপ থেকে নিষ্কৃতি দিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে।শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ব্যাপার নয়,এর পেছনে একটি আদর্শগত দিক রয়েছে। এই ধারণা অনুযায়ী প্রত্যেক পিতা-মাতা তথা পরিবারের নিজের সন্তান-সন্ততিদের কোন ধরনের শিক্ষা চান তা নির্বাচন করার অধিকার আছে এবং পিতা-মাতার সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না।এই অধিকার পিতা-মাতার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সাধারণত উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা চালিত ও নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা ' More effective more efficient and produces better result than public school ' বলে গণ্য করা হয়।এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষায় বেসরকারীকরণ  - এর উদ্ভব।

2. ঐতিহাসিক পটভূমি -  

ভারতবর্ষে বেসরকারিকরণ নতুন কিছু নয়,ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে শিক্ষায় দেশীয় ও মিশনারি উদ্যোগের মাধ্যমিক শিক্ষার বেসরকারিকরণের সূত্রপাত।স্বাধীন ভারতের সংবিধানে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার অধিকার স্বীকৃতি লাভ করে(সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য)পরবর্তীকালে কোঠারি কমিশন(1964- 66) ও 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষায় বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগকে উৎসাহিত ও স্বাগতম জানানো হয়।এমনকি বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বিশেষ করে দশম,একাদশ ও দ্বাদশ পরিকল্পনায় বেসরকারি উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে Public And Private Partnership model (PPP Model) অনুসরণের কথা ঘোষিত হয়।ভারতের আধুনিক বেসরকারিকরণ ব্যবস্থার জনক হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি.ভি. নরসিমা রাও। 1990 এর দশকের অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ভারতবর্ষের বেসরকারি উদ্যোগের সূত্রপাত ঘটে যা LPG(Liberalisation, Privatisation and Globalisation) নামে খ্যাত।

3. বেসরকারিকরণ -
• অর্থ ও ধারণা - 
'Privatisation' কথাটি পরিভাষা হল 'বেসরকারিকরণ '।বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার মূল দিক হল তিনটি মালিকানা,ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ,কার্যকলাপ। এটি আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ করতে পারে।বর্তমান বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হল বেসরকারিকরণ এবং সমগ্র অর্থ ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হল বেসরকারিকরণ।সংকীর্ণ অর্থে বেসরকারিকরণ বলতে বোঝায় সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাতে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রবর্তন করা বোঝায়।ব্যাপক অর্থে, বেসরকারিকরণ বলতে বোঝায় সরকারি ক্ষেত্রে অবস্থিত কোনো উদ্যোগের বেসরকারি মালিকানা সহ বা মালিকানা ছাড়া,বেসরকারী ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের প্রবর্তক। 
            সাধারণভাবে সরকারের কাছ থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকানার ও নিয়ন্ত্রণ বেসরকারি ব্যক্তিবর্গ বা সংস্থার কাছে হস্তান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া হল বেসরকারিকরণ।এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় ও পরিচালনায় বেসরকারি সংস্থাকে সংযুক্ত করা হয়।অর্থাৎ সরকারিকরণ দ্বারা বেসরকারি সংস্থার দ্বারা কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থার আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ খরিদকে বোঝায়। Privatisation is the transfer of activities from govt and public institutions and organisations to private individuals and agencies (levin 2000) অর্থাৎ সরকারি সংস্থার কার্য পরিচালনার ভার বেসরকারি সংস্থার হাতে স্থানান্তরিত হওয়াই বেসরকারিকরণ।

4. বেসরকারিকরণ ও শিক্ষা -

শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ হল সরকার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার হাতে হস্তান্তর করা। বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত শিক্ষাব্যবস্থায় অর্থ জোগানের একটা বড়ো উৎস হল শিক্ষার্থীদের বেতন ও অনুদান। তাই কেউ শিক্ষায় বেসরকারীকরণ বলতে এই পিতা-মাতার ভূমিকা কে বৃদ্ধিকে বোঝায়।
             ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বে(১৯৯১) অর্থনৈতিক সংস্কারের মধ্যে দিয়ে New Economic Policy or LPG নামে খ্যাত বেসরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়। বর্তমানে ভারতবর্ষে শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত গতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে।এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বেসরকারি মালিকানাধীনে পরিচালিত হয়।অর্থ সংগ্রহ করে এবং শিক্ষক ও শিহ্মাকর্মী নিয়োগ করে।সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা অনুমোদন এবং শংসাপত্র প্রদান ছাড়া অন্যান্য পরিচালনা গত বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা সাধারণত খর্ব করা হয় না। সাম্প্রতিক দশকে ভারতবর্ষে উচ্চশিক্ষায় বেসরকারীকরণের কয়েকটি রূপ দেখা যায়।যেমন - 
১. সম্পূর্ণ সরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব-অর্থে পরিচালিত (Self financing Course) পাঠক্রম চালু হয়।
২. সরকারি সাহায্যে প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে (Self financing) স্ব-অর্থে পরিচালিত পাঠক্রম চালু করা।
৩. Self financing সম্পূর্ণ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে উচ্চ শিক্ষার ব্যবসায় বিনিয়োগের স্বীকৃতি বা অনুমোদন করা হয়। (অনুমোদনক্রমে বা অনুমোদন ব্যতীত) যাকে বাণিজ্যিক বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামে নামাঙ্কিত করা হয়।

5. বেসরকারি বিদ্যালয় -

বেসরকারি স্কুল বা প্রাইভেট স্কুল হল একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বা এনজিও দ্বারা পরিচালিত একটি স্কুল। প্রথমেই নজরে,এটা স্পষ্ট যে সকল প্রাইভেট স্কুলগুলি আরও সুবিধা,ভালো সরঞ্জাম এবং ভবন কিনেছে কিন্তু সরকারি স্কুল গুলির তুলনায় ভারী অধ্যায়নের লোড। প্রাইভেট স্কুলগুলিতে ফি গঠনও উচ্চতর।বেসরকারি স্কুলের পাঠ্যক্রম এবং খেলার সময় ভালো কাঠামোগত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এবং অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রাক্ নার্সারী ও নার্সারি ক্লাসে বেসরকারি স্কুলগুলির ভালো হয় কারণ তারা ছোট বাচ্চাদের জন্য মানসম্মত পরিবেশের পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নত করে এবং মানের মান বজায় রেখে।প্রাইভেট স্কুলে ব্যাপক বৈচিত্র রয়েছে কারণ তাদের তহবিল ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা নেই।

6. সরকারি বনাম বেসরকারি বিদ্যালয় -

শিক্ষাব্যবস্থায় বিদ্যালয়গুলি মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে।এগুলি হল - ১.সরকারি বিদ্যালয় ও ২.বেসরকারি বিদ্যালয়।বিদ্যালয় বেশকিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন -
১.ধারণাগত - সরকারি বিদ্যালয়গুলি সরকার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং বেসরকারি বিদ্যালয়গুলি একটি বা কয়েকটি ব্যক্তি মালিকানা বা এনজিও সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। 
২.কন্ট্রোল - সরকারি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা শীর্ষে থাকা সরকার কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকে একটি বা কয়েকটি ব্যক্তি মালিকা বা এনজিও এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। 
৩.ফি ব্যবস্থা - সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের বেতন খুব সামান্য থাকে বা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অবৈতনিক হয়ে থাকে কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে বেতনের পরিমাণ উচ্চতর হয়।
৪.শিক্ষকদের নির্বাচন - সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তিরা শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয় শিক্ষকের নির্বাচন হয় মূলত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত,সুদক্ষ,কর্মঠ ব্যক্তিদের। 
৫.ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার - সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কোন প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দিতে হয় না কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং মাতা-পিতার ইন্টারভিউ নেওয়া হয়।
৬.প্রযুক্তি - সরকারি বিদ্যালয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনুন্নত সেক্ষেত্রে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে আধুনিক এবং উন্নত মানের প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৭.পাঠক্রম - সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে পাঠক্রম খুব সহজ হয় এবং সামান্য পরিমাণে থাকে কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে পাঠ্যক্রমগুলি অত্যন্ত জটিল এবং উচ্চমানের হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে থাকে।
৮.পঠন প্রণালী - সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে পঠন প্রণালী খুব সামান্য বা নিম্নমানের হয়ে থাকে বেসরকারি বিদ্যালয় গঠনপ্রণালী উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।

7. বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রকারভেদ -

শিক্ষাক্ষেত্রে (উচ্চ শিক্ষা) সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারিকরনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
1.Mass Private and Restricted Public Sectors.
2.Paralleled Public and Private Sector.
3.Peripheral Private Sector.
              ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারীকরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে শুরুতে দেশের কলেজের মোট সংখ্যা ¾ অংশ ছিল বেসরকারি নিয়ন্ত্রিত।এক্ষেত্রে সরকারি অর্থ সাহায্যে প্রাপ্তির বিষয়টিকে ভিত্তি করে সাধারণত দুই রকম বিভাগ দেখা যায়।যথা -
ক। সরকারি আর্থিক সাহায্যপুষ্ট কিছু প্রশাসন বেসরকারি(যাকে বলা হয় সরকার পোষিত শিহ্মা প্রতিষ্ঠান) 
খ। প্রশাসন এবং অর্থ সবই বেসরকারি সংস্থা নিয়ন্ত্রিত, (যাকে বলা হয় Unaided)

8. বেসরকারিকরণের সুবিধা ও অসুবিধা -
• সুবিধা -
  • বেসরকারিকরণের ফলে শিক্ষাব্যবস্থার নিয়মিত সংস্থার সাধন হয়।ফলে শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী হয়ে ওঠে। 
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিকেন্দ্রীকরণ হয় বলে পরিচালনা ব্যবস্থা সহজতর এবং মসৃণ হয়।
  • যেহেতু একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়।তাই প্রত্যেকই নিজের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে ও উৎকর্ষ সাধনে সচেষ্ট হয়।যার ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নতি হয়।
  • বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনবরত আত্ম মূল্যায়ন, উদ্ভাবন ও নতুন নতুন কৌশল উন্মোচনের মাধ্যমে শিহ্মন শিখন প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাতে সচেষ্ট থাকে। 
  • শিক্ষায় বেসরকারি শিক্ষার্থীর সামনে যুগোপযোগী একগুচ্ছ কোর্স তুলে ধরতে পারে।ফলে শিক্ষার্থীর স্বাধীনতার চাহিদা চরিতার্থ হওয়ার পাশাপাশি অর্জিত শিক্ষা ও ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে।বেকারত্ব কমানো সম্ভব হয়। 
  • উন্নত প্রযুক্তি বিদ্যা ও কৌশলের ওপর ভিত্তি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সর্বদা চেষ্টা করে আধুনিকতম উপায়ে শিক্ষাদান করতে।
  • আন্তর্জাতিক,জাতীয়,স্থানীয় ও চাহিদাকে স্মরণে রেখে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে পাঠক্রমের পরিমার্জন ও পরিবর্তন করে।
  • বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সম্বন্ধীয় পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা (শিক্ষক-শিক্ষিকা, গ্রন্থাগার,প্রযুক্তিবিদ্যা ইত্যাদি)যথাযথ কাম্যরুপে ব্যবহার করতে পারে। 
  • শিক্ষার্থীদের থেকে শিক্ষাদানের জন্য ব্যয়িত অর্থ সংগ্রহ করা হয় বলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। 
  • সার্বজনীন প্রারম্ভিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্ব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাবার ফলে সরকার অতিরিক্ত অর্থের বোঝা থেকে রেহাই পায়। 
  • বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতির ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নিজেদের গুনগতমান বৃদ্ধি করতে সচেষ্ট হয়।
• অসুবিধা -
  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা সকলের কাছে প্রবেশ অধিকার নেই।যদিও ২০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হলেও দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা বাস্তবে এর অস্তিত্ব লক্ষ করা যায় না। শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বৈষম্য দেখা যায়। 
  • শিক্ষায় বেসরকারীকরণের ফলে সমাজে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অনৈক্যর সৃষ্টি করে। 
  • শিক্ষায় বেসরকারীকরণের মূল উদ্দেশ্য হল আর্থিক মুনাফা অর্জন।তারা সামাজিক দায়বদ্ধতা পরিবর্তে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হিসেবে তার ভূমিকা পালন করেছে।
  • বেসরকারীকরণের ফলে শিক্ষার পরিমাণগত সম্প্রসারণ ঘটলেও তার গুণগত মানের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয় না। 
  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের চাকুরির নিরাপত্তা কম, শিহ্মকদের বেতন খুবই কম। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়।ছুটি সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা কম,নানাভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা শোষিত হয়।ফলে সমাজের প্রতি শিক্ষার্থীদের প্রতি, পেশায় প্রতি দায়বদ্ধতা ও পাঠদানের গুণগত মান হ্রাস পায়।
  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির আয় ব্যয়ের হিসেবের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব লক্ষ্য করা যায়। সরকারি অনুদান পেলেও তার সঠিক ব্যবহার ঘটে না,ফলে অনেক সময় আর্থিক দুর্নীতি লক্ষ করা যায়।
  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরেকটি দুর্বল দিক হল স্বজন পোষণ নিরপেক্ষতার নীতি অনুসৃত হয় না।
  • সরকারি নিয়ন্ত্রণের অভাবের দরুন এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি স্বাধীনতার নামে যথেচ্ছাচার করে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়।
  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রায়শই যে অভিযোগ ওঠে তা হল এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালক মন্ডলীতে অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তি সর্বদা থাকে না।
9. শিক্ষায় বেসরকারীকরণের কারণ - 

শিক্ষায় বেসরকারীকরণের পেছনে যে সমস্ত কারণগুলি রয়েছে, সেগুলি হল -
১.উচ্চশিক্ষার চাহিদা -
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই শিক্ষাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিক্ষার সঙ্গে চাকুরী লাভের বিষয়টি যুক্ত থাকে। অর্থাৎ শিক্ষার চাকুরি সুযোগ প্রভাবিত করে,বিশেষ পেশায় জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ একান্ত বাঞ্ছনীয়।উচ্চ বেতন ও মর্যাদা সম্পন্ন চাকুরির লাভের জন্য উচ্চ পর্যায়ের দক্ষতা তথা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের বৃত্তি ও কারিগরি শাখার উচ্চ পর্যায়ের ডিগ্ৰি বা প্রশংসাপত্র প্রয়োজন।বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংক্রান্ত প্রমানাদি থেকে জানা যায় যে শিক্ষার অর্থনৈতিক উপযোগিতা বা মূল্য 1980 -এর পর থেকে বিপুলভাবে বৃদ্ধি পায় যা পরোহ্ম উচ্চশিক্ষার চাহিদা বৃদ্ধি করে।সরকার এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষায় বেসরকারিকরণ উদ্ভব ঘটে। বস্তুতপক্ষে 1980 পর থেকে বেসরকারি উদ্যোগে শিক্ষার বিকাশ দ্রুতভাবে বাড়তে থাকে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি পায়।
২.অভিভাবকের চাহিদা - 
শিক্ষায় বেসরকারীকরণ এর একটি বড় কারণ হল অনেক অভিভাবক বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে কাম্য বলে মনে করেন।বহু পিতা-মাতা প্রত্যাশা করে যে তাদের ছেলেমেয়েরা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয় তা থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করুক।অনেক দেশে সরকার পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠক্রমে নির্দিষ্ট ধর্ম বা কোনো নির্দিষ্ট মতাদর্শ বা নির্দিষ্ট মূল্যবোধ বা নৈতিকতা বোধের চর্চার  উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় যা অনেক অভিভাবকের কাছে অপ্রত্যাশিত।আবার কোনো কোনো দেশের শিক্ষার ব্যবস্থার চরিত্রগতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ।ফলে কিছু মাতা-পিতা এতে অসন্তুষ্ট এবং তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য বিকল্প শিক্ষা কথা ভাবতে থাকে।পিতা-মাতার এই বিশেষ চাহিদা পূরণের সরকারের ব্যর্থতা পরোক্ষ বেসরকারিকরণে উৎসাহিত করে।অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে।
৩.সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণমান - 
বেসরকারি উদ্যোগের উদ্ভবের একটি বড়ো কারণ হল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুন মানের অবনমন এবং কখনও কখনও সরকারি অর্থ বরাদ্দ হ্রাস,অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষাখাতে সরকারি বরাদ্দ যে হারে বৃদ্ধি পায় তার থেকে অতি দ্রুত গতিতে ছাত্রছাত্রীরা সংখ্যা বৃদ্ধি পায়,শ্রেণিকক্ষে ছাএ বহুল হয়।নির্দেশনা দানের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের জন্য খরচ বাড়ে।এই চাপ উচ্চশিক্ষার নির্দেশনা দানের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের জন্য খরচ বাড়ে। এই চাপ উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়।উচ্চশিক্ষায় ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত কম, মাথাপিছু খরচ অনেক বেশি।বিদ্যালয় স্তর অপেক্ষা উচ্চশিক্ষা নির্দেশনা দানের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের সংখ্যা বেশি এবং এই কারণে খরচও বেশি। অথচ সরকারি অর্থ বরাদ্দ কম তাই স্বাভাবিকভাবে মাথাপিছু সরকারি অর্থ বরাদ্দ কমে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের শিক্ষাক্ষেত্রে টাকা বরাদ্দকারীর ব্যবহারে অনীহা দেখা যায়।স্বাস্থ্য,প্রতিরক্ষা,সমাজকল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষা খাতে বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষার খাতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ হ্রাস পায়। অথচ শিক্ষায় গুণগত মান নির্ভর করে শিক্ষার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের উপর। ফলে শিক্ষার মানের অবনমন ঘটে।সরকার মনে করে এই অর্থনৈতিক খরচের বোঝার শিক্ষার্থীরা বহন করবে।ফলে অভিভাবকরা বিকল্প ব্যবস্থার অনুসন্ধান করে এবং ভারতবর্ষ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্ব-অর্থে শিক্ষালাভের ধারা প্রচলিত হয়।বিশেষ করে পেশাগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে এই ধারার প্রচলন বেশি লক্ষ করা যায়।অনেক সময় রাষ্ট্রীয় সাহায্য প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও এই ধরনের পাঠক্রম চালু আছে।পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, কল্যাণী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের কিছু কোর্সের প্রচলন ঘটেছে।
৪.সরকারি নীতিগত ক্রটি -
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষার মানের অবনমনের একটা বড়ো কারণ হল অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর ভিড় জনসংখ্যা বৃদ্ধি,শিক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধি,সার্বজনীন প্রারম্ভিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও সর্বোপরি শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীর ভিড় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃদ্ধি পায়। সরকারি অনুদান বৃদ্ধি না পাওয়ায় গ্রন্থাগারের যন্ত্রপাতি, পাঠাগারের বই ও পত্র-পত্রিকা,নির্দেশনা দানের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রকৃতির  অপর্যাপ্ততার নতুন শিক্ষার মানের অবনমন ঘটে। এই পাশাপাশি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ক্ষমতা সীমাবদ্ধ।ফলে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার চাহিদা মেটানোর জন্য সরকারি উদ্যোগ অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
৫.আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তন - 
শিক্ষায় বেসরকারিকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল আর্থ-সামাজিক পট পরিবর্তন।বিশ্বায়ন ও মুক্ত অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থা একই সঙ্গে সরকারকে চাপ দেয় ও উৎসাহিত করে "to seek more efficient,more fiexible and more expensive education system" এবং বেসরকারিকরণ হল উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা।এই ছাড়া বিশ্ব সহায়তাকারী বিভিন্ন সংস্থার উৎসাহ বেসরকারীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রেষনা হিসাবে কাজ করে।যেমন বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশকে এই শর্তে সহায়তা প্রদান করে এবং শিক্ষা সংস্কারের নামে বেসরকারিকরণের উৎসাহ প্রদান করে।

10. তথ্য সংগ্রহ -
• বিদ্যালয় নির্বাচন - 
উক্ত প্রকল্পটি করার জন্য আমি ..................................
....... নামক বেসরকারি একটি বিদ্যালয়কে নির্বাচন করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয় /প্রধান শিক্ষিকা মহাশয়া নিকট অনুমতি নিয়ে আমার প্রকল্পটি সম্পাদন করা হয়েছে।প্রকল্পটির জন্য বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের (ছাত্র ২৫ ও ছাত্রী ২৫ জন) কে কিছু প্রশ্ন-উত্তর ও সাক্ষাতকারের মাধ্যমে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা হয়েছে। 
• পদ্ধতি বা কৌশল -
উক্ত প্রকল্পটি করার জন্য আমি মূলত দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর মূলত open Questionnaire এবং interview  মাধ্যমে আমি আমার প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছি।
• নমুনা -





• চিত্র -

(উপরিউক্ত প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে Bar Graph Diagram অঙ্গন করা হল)

Bar Graph


• ব্যাখ্যা -
উক্ত চিত্রের মাধ্যমে বেশ কিছু দিক আমরা ব্যাখ্যায়িত করতে পারি,যেমন - এই ......................................... নামক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূলত শিক্ষামূলক পরিবেশ, বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাবরেটরি,কম্পিউটার শিক্ষা,প্রাঙ্গণ ও গ্রন্থাগার রয়েছে। বিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা সময় মতো আসেন এবং বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পঠন-পাঠন নির্দিষ্ট সময়ে করানো হয়, তবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত পড়াশোনা উপযোগী মোটামুটি এবং ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে গৃহে টিউশনি নেয়। 
             বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একটি প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্ধারিত করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের জন্য একটি ইন্টারভিউ প্যানেল করা হয়।বহু শিক্ষার্থীরা ভর্তির সময় অ্যাডমিশন ফি প্রদান করেছে এবং বার্ষিক / মাসিক স্কুলের বেতন মূলত উচ্চতর ।এই বিদ্যালয়ের দরিদ্র শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সংরক্ষণ রয়েছে তবে খুব অল্প পরিমাণে।
                বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবোধ, শিক্ষার্থীর সার্বিক মূল্যায়ন করা হয় এবং অভিভাবকদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকারা যত্নশীল ভাবে পঠন-পাঠন করানো হয় তাই পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়। বিদ্যালয়ের সহ - পাঠক্রমিক কার্যাবলী রয়েছে এবং বাৎসরিক শিক্ষামূলক ভ্রমণের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

11.বেসরকারিকরণের প্রভাব -   
• ইতিবাচক প্রভাব -
  • বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হয়।
  • বেসরকারি বিদ্যালয়ে পরিকাঠামো ভালো হয়।
  • বিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস হয়।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্ম-মূল্যায়ন,উদ্ভাবন ও নতুন কৌশলের উন্মোচন ঘটে।
  • বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারে।
• নেতিবাচক প্রভাব -
  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষা অসম বন্টন বা বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।
  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে সামাজিক অনৈক্যের সৃষ্টি হয়।
  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা ভাবা হয় না।
  • বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরপেক্ষতা নীতি অনুসরণ করা হয় না।
12. উপসংহার -

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতার জন্য এবং অভিভাবকদের চাহিদা দরুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রত্যেক অভিভাবক কি চায় তার সন্তানরা ভালো শিক্ষা ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানুক, যাতে তারা ভবিষ্যতে উপযুক্ত চাকরি পেতে পারে।তবে শুধু চাকরি নয় প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ হতে পারে তার জন্য বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি করানো হয়।বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি বিদ্যালয় গুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে।









Post a Comment (0)
Previous Post Next Post