Relationship Of Physical Science With Others School Curriculum

Relationship Of Physical Science With Others School Curriculum

Relationship Of Physical Science With Others School Curriculum||ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্ক

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Relationship Of Physical Science With Others School Curriculum||ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্ক
Relationship Of Physical Science With Others School Curriculum||ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্ক

(*** ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্ক

BENGALI VERSION -

১. ভূমিকা - 

ভৌতবিজ্ঞান হল প্রাকৃতিক বিজ্ঞান।ভৌতবিজ্ঞানের মূল বিষয় হল অজৈব পদার্থ জ্ঞান। ভৌতবিজ্ঞান হল একটি স্বতন্ত্র বিষয়। বিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়ের মতো ভৌত বিজ্ঞান বিষয়টি পঠন-পাঠন করা হয়। তবে ভৌতবিজ্ঞান এর সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ের একটি অনুবদ্ধ সম্পর্ক বিদ্যমান। গণিত,ইতিহাস,ভূগোল ও সাহিত্য বিষয় পঠনের ভৌত বিজ্ঞানের জ্ঞান দরকার। ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞান অনুবদ্ধ করতে পারি।

2. ভৌত বিজ্ঞানের অর্থ ও সংজ্ঞা -

ভৌতবিজ্ঞান হল প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি শাখা যা জীবন বিজ্ঞানের বিপরীত অ - জীব সিস্টেম অধ্যায়ন করে। এর অনেকগুলি শাখা রয়েছে, প্রতিটিকে " ভৌত বিজ্ঞান " হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এক সাথে "ভৌতবিজ্ঞান" বলা হয়।  

বিজ্ঞানের অন্যতম শাখা হল ভৌত বিজ্ঞান।ভৌতবিজ্ঞান হল অজৈব জগতের অধ্যায়ন, অর্থাৎ এটি অজীবিত জিনিস অধ্যায়ন করা।

বিজ্ঞানের একটি শাখা,যেখানে বিজ্ঞান হল একটি প্রণালীবদ্ধ কর্মোদ্যোগ যা মহাবিশ্ব সম্পর্কে পরীক্ষণ যোগ্য ব্যাখ্যা ও পূর্বাভাসের আকারে জ্ঞান নির্মাণ করে ও বিন্যস্ত করে।

       • প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি শাখা। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের একটি প্রধান শাখা যেখানে অভিজ্ঞতালব্ধ সাহ্ম্য প্রমানের ভিত্তিতে প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা ও পূর্বাভাস প্রদানের চেষ্টা করা হয়, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে বৈজ্ঞানিক অনুকল্প গুলিকে বিজ্ঞান সম্মত ভাবে যাচাই করা সম্ভব হলে সেগুলিকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসাবে গণ্য করা যায়। বৈধতা,সঠিকতা ও গুণমান নিশ্চিতকারী সামাজিক কর্ম পদ্ধতি সমূহ,যেমন সমকহ্মদের পর্যালোচনা ও গবেষণা ফলাফল সমূহের পুনরুৎপাদন যোগ্যতা এই উদ্দেশ্য ব্যবহৃত কিছু মানদণ্ড ও পদ্ধতি।

• শ্রেনীবিভাগ -

প্রাকৃতিক বিজ্ঞান কে আবার দুইটি প্রধান শাখায় ভাগ করা যায়।

১. জৈবনিক বিজ্ঞান (অর্থাৎ জীব বিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখা প্রশাখা।

২. ভৌত বিজ্ঞান।

ভৌত বিজ্ঞানের চারটি প্রধান শাখা হল 

  • জ্যোতির্বিদ্যা।
  • পদার্থবিদ্যা। 
  • রসায়ন। 
  • পৃথিবী বিজ্ঞান।
যার মধ্যে রয়েছে আবহাওয়া বিদ্যা এবং ভূতত্ত্ব।


3. ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্যাবলী - 

  1. বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের দ্ধারা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ঘটনা,নীতি ধারণা,প্রক্রিয়া ও কৌশল গুলি সম্পর্কে জানতে পারে।
  2. শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপলব্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন ঘটনা,নীতি ও সূত্রের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে নিরবিচ্ছিন্ন জ্ঞানের অধিকারী হয়। 
  3. শিক্ষার্থীরা যাতে বিজ্ঞানের জ্ঞান ও ধারণাকে ব্যবহারিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
  4. নিয়মিত অনুশীলন ও পরীক্ষাগারের কাজের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান দহ্মতা অর্জন করে।
  5. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান ঘটনা ও ধারণা গুলির সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করে।
  6. বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার ও বৈজ্ঞানিকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রদ্ধা ও প্রশংসায় মনোভাব সৃষ্টি করে। 
  7. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

4. অনুবদ্ধ -

বিদ্যালয়ে যে সমস্ত পাঠ্য বিষয় পড়ানো হয় সেগুলির মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে পার্থক্য থাকলেও শিক্ষার উদ্দেশ্যগত ও বিষয়বস্তুগত মিল লহ্ম করা যায়।প্রতিটি বিষয়ই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্যান্য বিষয়ে সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।এই সম্পর্ককেই অনুবদ্ধ বলা হয়।যদিও বিদ্যালয়ে প্রতিটি বিষয়ে পড়ানোর জন্য পৃথক পৃথক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।কিন্তু পাঠদান কালে একটি বিষয়ের সাথে অন্যান্য বিষয়ের অনুবদ্ধ স্থাপন করলে শিক্ষার্থীরা নিরবিচ্ছিন্ন ও ঐক্যবদ্ধ জ্ঞানের অধিকারী হতে পারে। 

             ভৌত বিজ্ঞানের সাথে অন্যান্য বিষয়ের অনুবদ্ধ স্থাপন করে পাঠদান করলে শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা সমাধানে ভৌত বিজ্ঞান সহ অন্যান্য বিষয়ের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারবে।তাই এই অখন্ড জ্ঞান শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিজ্ঞানের বিষয় গুলিকে একত্রিত করে ' বিজ্ঞানের অখন্ড পাঠ্যক্রম ' রচনা করা হয়েছে।

5. ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্ক -

১. ভৌতবিজ্ঞান সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের সম্পর্ক -

ভৌতবিজ্ঞান পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের,এই দুটি বিষয় সমন্বয়ে গঠিত।পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিদ্যা পরস্পরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত।দুটি বিষয়ের মধ্যে কোনো একটি বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে অপরটি জানা সম্ভব নয়। যেমন - পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন,গ্যাসের ধর্ম, শক্তির রূপান্তর,পরিমাপ পদ্ধতি ও এককের ব্যবহার, অ্যাভোগাড্রোর সূত্র প্রভৃতি উভয় শাখারই প্রধান আলোচ্য বিষয়।তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ফল,গ্যাসের গতিতত্ত্ব,তাপ প্রয়োগ পদার্থের প্রসারণ,তড়িৎপ্রবাহের রাসায়নিক ফল ইত্যাদি পাঠে উভয় শাখার জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

২. ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে গণিতের সম্পর্ক - 

গাণিতিক জ্ঞান ছাড়া কোনো বৈজ্ঞানিক ঘটনার পরিমাণগত ধারণা পাওয়া যায় না।ভৌতবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গনিতের বিভিন্ন শাখা,যেমন - বীজ গণিত, ত্রিকোণমিতি,জ্যামিতি,পাটিগণিত ইত্যাদি জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। 

• ত্রিকোণমিতির সঙ্গে ভৌতবিজ্ঞানের সম্পর্ক -

 ত্রিকোণমিতির সঙ্গে ভৌত বিজ্ঞানের সম্পর্ক খুব গভীর। যেমন - আলোর প্রতিসরণের দ্বিতীয় সূত্র গাণিতিক রূপটি ভৌত বিজ্ঞানের ছাড়া প্রকাশ করা যায় না।

• বীজগণিত সঙ্গে ভৌত বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

বীজগণিত কোনো গণিতের কোনো গতিশীল কণার ত্বরন এর সমীকরণের ভৌত বিজ্ঞানের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়।

• পাটিগণিত সঙ্গে ভৌত বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

পাটিগণিতের কোনো m ভরের কোন বস্তুর তাপমাত্রা বৃদ্ধির গনিতের জন্য ভৌত বিজ্ঞানের জ্ঞান দরকার হয়। 

• জ্যামিতিক সঙ্গে ভৌত বিজ্ঞানের সম্পর্ক - 

জ্যামিতিক কোণের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ভৌত বিজ্ঞানের ধারণা একান্ত জরুরী।

• স্থানাঙ্ক জ্যামিতি সঙ্গে ভৌত বিজ্ঞানের সম্পর্ক - 

স্থানাঙ্ক জ্যামিতির সমপরাবৃত্ত করতে গেলে ভৌত বিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা আবশ্যক। 

• কলনবিদ্যা সঙ্গে ভৌত বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

কোন বস্তুর কনার বেগ,কনার তরঙ্গ,সরন ইত্যাদি গণিতের হ্মেত্রে ভৌত বিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

৩. ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে জীবন বিজ্ঞানের সম্পর্ক - 

ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে জীবন বিজ্ঞানের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।জীবন বিজ্ঞানের শিহ্মার বিবিধ ক্ষেত্রে ভৌত বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়।

ক. পদার্থ বিজ্ঞানের সঙ্গে জীবন বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

  1. যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে কোষের গঠন, আকার দেখতে হলে এবং ঐ যন্ত্রের ব্যবহার প্রণালী, যন্ত্রের বিভিন্ন অংশ, কাজ ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার।
  2. কোষের আকার ও আয়তনে প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত একক(মাইক্রন) এবং অন্যান্য এককের পারস্পরিক সম্পর্ক জানা দরকার।
  3. চোখের কার্যপ্রনালী পড়ার সময় লেন্স ও ক্যামেরার কার্যপ্রনালী,রক্তচাপ পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার,তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের ব্যবহার এবং মানুষের হাত কীভাবে সরল যন্ত্রের(তৃতীয় শ্রেণীর লিভার)মতো কাজে করে তা বোঝার জন্য হাতের পেশি ও অস্থিসন্ধির অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি। 
  4. উদ্ভিদের বাষ্পমোচনের হার আরো,বায়ুর আর্দ্রতা, উষ্ণতা ও বায়ুর প্রবাহের উপর কীভাবে নির্ভরশীল তা বোঝা যায়।
  5. পায়রা ও অন্যান্য পাখিরা কীভাবে বাতাসে উড়তে পারে তা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

খ. রসায়নের সঙ্গে জীবন বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

  1. সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক সমীকরণ লিখতে ও ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।
  2. রসায়নে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উৎস জানতে হলে শ্বসন,দহন, বিয়োজন, সন্ধান ইত্যাদি জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। 
  3. উদ্ভিদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যেমন ব্যাপন, অভিস্রবন,শোষন ইত্যাদি পড়ার সময় রসায়নের ধারণা প্রয়োগ করতে হয়। 
  4. সবাত শ্বসনের বিভিন্ন পর্যায় গ্লাইকোলাইসিস,ক্রেবস্ চক্র, অবাত শ্বসন এবং বিভিন্ন প্রকার সন্ধান প্রক্রিয়া পড়ার সময় জৈব রসায়নের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
  5. উদ্ভিদ ও প্রাণীর পুষ্টি সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় মাইক্রো ও ম্যাক্রো উপাদান গুলি চিহ্ন জানতে হলে রসায়নের জ্ঞান প্রয়োজন,এছাড়া ভিটামিন,প্রোটিন,উৎসেচক, হরমোন ইত্যাদি বিষয় পড়ানোর সময় রসায়নের জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। 

৪. ভৌতবিজ্ঞান সঙ্গে ভূগোলের সম্পর্ক -

ভূগোলের বিভিন্ন শাখা পড়ার সময় কিংবা পড়ানোর সময় ভৌত বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারণা প্রয়োগ করতে হয়। নিচে তা বর্ণনা করা হল - 

  1. ভূত্বক গঠনকারী নানান ধরনের শিলার গঠন,উপাদান ও বৈশিষ্ট্য জানতে হলে রসায়নের জ্ঞান থাকতে হবে।
  2. পৃথিবীর বিভিন্ন চাপবলয়ে নিয়ত বায়ু প্রবাহের গতি বিভিন্ন তার কারণ বোঝায়, পৃথিবীর বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের বিভিন্নতার সাথে ভৌত বিজ্ঞানের সম্পর্ক আছে।
  3. মেরু অঞ্চলে জলজ প্রাণীরা কীভাবে বেঁচে থাকে তার সঙ্গে জলের ব্যতিক্রান্ত প্রাসরনের সম্পর্ক আছে।
  4. পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি এবং অন্যান্য গ্রহ ও উপগ্রহের গতির সাথে পদার্থ বিজ্ঞানের আবর্ত গতি বিজ্ঞানের সম্পর্ক আছে। 
  5. জোয়ার ও ভাঁটার কারণ বুঝতে হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বলের ধারণা থাকতে হবে। 
  6. সূর্যগ্রহণ,চন্দ্রগ্রহণ,বলয়গ্রাস গ্ৰহনের সাথে আলোক বিজ্ঞানের সম্পর্ক জানা দরকার।
  7. ভূমিকম্পের কারণ এবং ভূমিকম্পের ফলে কীভাবে সুনামি সৃষ্টি হয় তা জানতে হলে তরঙ্গ গতির বিস্তার সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্র রিখটার স্কেলের ব্যবহার জানতে হলে ভৌত বিজ্ঞানের ধারণা থাকতে হবে।
  8. আর্সেনিক ও ফ্লুরাইডের উপস্থিতি কীভাবে জলকে দূষিত করে তা জানার জন্য রসায়নের জ্ঞান থাকা দরকার। এছাড়া বায়ু ও মৃত্তিকা কীভাবে রাসায়নিক কারণে দূষিত হচ্ছে তা বুঝতে হলে রসায়নের ধারণা প্রয়োগ করতে হয়। 
  9. বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য যেমন - কয়লা,খনিজ তেল ইত্যাদির উৎপত্তি এবং লোহা,তামা,বক্সাইট,অভ্রর ইত্যাদি আকরিক সম্পর্কে জানতে হলে রসায়নের জ্ঞান থাকা দরকার। 
  10. প্রধান প্রধান শক্তি সম্পদ তাপবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ অপ্রচলিত শক্তি থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সম্পর্কে জানতে হলে ভৌত বিজ্ঞানের জ্ঞান আবশ্যক।

৫. ভৌতবিজ্ঞান সঙ্গে সাহিত্যের সম্পর্ক - 

বিজ্ঞান শিক্ষায় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী যেমন - বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী, বিজ্ঞান সংগ্ৰহশালা, বিজ্ঞান প্রসিদ্ধ স্থানে ভ্রমন, বিতর্ক ও আলোচনা সভা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিপিবদ্ধ করে এবং লদ্ধ অভিজ্ঞতাকে নিজের ভাষায় প্রকাশ করা হয়। 

                 আবার সাহিত্য বিষয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রবন্ধ রচনা করতে বলা হয়, যেমন বিজ্ঞানের ইতিহাস, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান,বিজ্ঞানের আশীর্বাদ না অভিশাপ, বৈজ্ঞানিকদের জীবনী ইত্যাদি।এই সমস্ত প্রবন্ধ রচনা করতে হলে বিজ্ঞানের বিভিন্ন জ্ঞান,ধারণা, তথ্য ও আবিষ্কার সম্পর্কে অবহিত করতে হয়। 

৬. ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে ইতিহাসের সম্পর্ক -

মানব সভ্যতার প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যার যুগ পর্যন্ত পর্যালোচনা করলে বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতি লহ্ম করা যায়। মানুষের জন্ম রহস্য, পৃথিবীর সৃষ্টি,গ্ৰহের আবর্তন,অনু পরমানুর আবিষ্কার, চাঁদের ইতিহাস,কোন সম্রাটের আমলে বিজ্ঞানের উন্নতি বেশি হয়েছে।বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের নাম ও আবিষ্কার ইত্যাদি আমরা বিজ্ঞান ও ইতিহাস উভয় বিষয় থেকেই জানতে পারি। 

৭. ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে চারুকলার সম্পর্ক - 

ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে চারুকলা বিষয়টি সম্পর্কযুক্ত। চারুকলার চিত্র ও নকশা অঙ্কনে বা পরিকল্পনা রচনার পদার্থবিদ্যা, বলবিদ্যা গনিতের জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়। চারুকলার রং এর ব্যবহার পদার্থবিজ্ঞানের আলো, বর্ণালী,বর্ণালী রং এবং বস্তুর রং এর সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। 

৮. ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক - 

ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে সংগীতের গভীর সম্পর্ক যুক্ত।সুর যুক্ত,সুরবর্জিত শব্দ,সুর ও স্বর মূল সুর,উপ সুর,শব্দের প্রাবল্য, গুন বা জাতি,তীক্ষ্মতা, কম্পাঙ্ক ইত্যাদি ভৌত বিজ্ঞান ও সংগীতের উভয় বিষয়েরই পাঠ্য। 

৯. ভৌতবিজ্ঞান সঙ্গে পরিবেশের। সম্পর্ক - 

ভৌত বিজ্ঞানের জ্ঞান ছাড়া উন্নত স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গঠন অসম্ভব।প্রকৃতপহ্মে ভৌত বিজ্ঞানই আমাদের সমাজ ও পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করে।ভৌত বিজ্ঞানের সাথে পরিবেশ বিজ্ঞানের অনুবদ্ধ স্থাপনে করলে শিক্ষার্থীরা পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান যথা - জল,বায়ু, আলো ও মৃত্তিকা প্রভৃতি বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার ও অপচয় রোধের শিক্ষা পাই।জল দূষণ,বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ, মৃত্তিকা দূষণ ইত্যাদির কারণ ও প্রতিকারের উপায় উভয় বিষয়েরই  পাঠ্যবস্তু। এছাড়াও বর্জ্য পদার্থ কীভাবে পরিবেশকে দূষিত করে এবং বজ্র পদার্থের পুনর্ব্যবহার কীভাবে করা যায় তা ভৌতবিজ্ঞান ও পরিবেশ বিজ্ঞান উভয় বিষয় থেকে শিক্ষার্থীরা জানা সুযোগ পায়।

6. ভৌত বিজ্ঞানের পাঠের প্রয়োজনীয়তা - 

  1. শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যার সমাধান ভৌতবিজ্ঞান সহ অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞান সহজেই প্রয়োগ করতে পারে।
  2. শিক্ষার্থীরা ভৌত বিজ্ঞান পাঠে প্রেরণা লাভ করে এবং বিষয়টিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে অনুধাবন করার চেষ্টা করতে পারে।
  3. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে।
  4. গনিত, ভূগোল,জীবন বিজ্ঞান, ইতিহাস ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়েও আগ্রহ সৃষ্টি করা সম্ভব।
  5. বিজ্ঞান শিখন কার্যকরী ও অর্থবহ হয়ে ওঠে। 
  6. শিক্ষার্থীরা নিজেরাই প্রয়োজনীয় বিষয়সস্তুর সাথে অন্যান্য পাঠ্য বিষয়বস্তু গুলির সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করে। 
  7. শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের ঐক্য বিধানের সমর্থ হয় এবং বিজ্ঞান পাঠ সার্থক হয়ে ওঠে।
  8. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও অপসারী চিন্তা ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 
  9. ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষনের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালোবাসা,স্নেহ, সহমর্মিতা,সহযোগিতা মতো সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা যায়।

7. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যেতে পারে, ভৌত বিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের একটি অন্যতম অংশ।যা একটি স্বতন্ত্র বিষয়।কিন্তু অন্য বিষয়ের সঙ্গে একটি অনুবদ্ধ সম্পর্ক বিদ্যমান।একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় পাঠ্যের জন্য পৃথক পৃথক বিষয়ে শিহ্মক রয়েছে তবুও অন্যান্য বিষয় পড়াতে গেলেও ভৌত বিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা দরকার হয়। অর্থাৎ ভৌত বিজ্ঞান পঠন পাপনের ফলে শিক্ষার্থীরাই একই সময় বিজ্ঞান চর্চা করছে এবং অনুরূপভাবে অন্য বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করছে।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE












Post a Comment (0)
Previous Post Next Post