Dialects

Dialects

Dialects||উপভাষা

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Concept And characteristics of Dialects, difference between Standard Language and Dialects, requirements and role of teacher Dialects Education in classroom
Dialects


Assignment Questions -

1. What is Dialects.

2. Write Down the Characteristics Of Dialects.

3. Discuss Difference between Standard Language and Dialects.

4. What are the requirements for reading Dialects in the classroom.

5. Describe the role of teacher in reading Dialects in the Classroom.

Dialects||উপভাষা

BENGALI VERSION -

1. ভূমিকা -

উপভাষাকে ইংরেজিতে Dialect বলা হয়।এই Dialect শব্দটি French শব্দ Dialecte থেকে উৎপন্ন লাভ করেছে। আবার এই Dialecte শব্দটি Latin শব্দ Dialectus ও Greek শব্দ Dialecktos থেকে এসেছে।Dialectos শব্দটির অর্থ ছিল "Way Of Speaking" বা "Local Language".

উপভাষার সংজ্ঞায় Michael Pearce বলেন - Dialect is " a particular variety of a language which is regionally or socially distinctive."

উপভাষার সংজ্ঞায় সুকুমার সেন বলেন "কোনো ভাষা সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছোটো দলে বা অঞ্চলে বিশেষে প্রচলিত ভাষাছোঁদকে উপভাষা বলে।" তিনি আরও বলেন,"কোনো একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর মানুষ যখন কোনো একটি নির্দিষ্ট ভাষার কথা বলে তখন তাদের ভাষা সম্প্রদায় বলা হয়। অর্থাৎ উপভাষা হল একটি ভাষার অন্তর্গত এমন বিশেষ রূপ যা এক একটি বিশেষ অঞ্চলে প্রচলিত,যার সঙ্গে আদর্শ ভাষা বা সাহিত্যিক ভাষার ধ্বনিগত,রূপ গত ও বিশেষ বাগধারা গত পার্থক্য আছে।এই পার্থক্য এমন সুস্পষ্ট যে ওইসব বিশেষ বিশেষ অঞ্চলের রূপ গুলিকে স্বতন্ত্র বলে ধরা যাবে,অর্থাৎ পার্থক্যটি যেন এতো বেশি না হয় যাতে আঞ্চলিক রূপ গুলিই এক একটি সম্পূর্ণ ভাষা হয়ে ওঠে।

ভাষা বিশ্লেষণের ভাষা বিজ্ঞানের পাশাপাশি আঞ্চলিকতার জরুরী উপভাষার নির্বাচনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি তাৎপর্যপূর্ণ।-

  • উপভাষা নির্বাচনে আঞ্চলিক সীমানা। 
  • জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি।
  • উপভাষাটির পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ভাষার অবস্থান। 
  • উপভাষার বিস্তার।
  • সংস্কৃতিতে উপভাষাটির প্রয়োগ।
  • সাহিত্যে উপভাষার প্রয়োগ।
পরিশেষে বলা যায়,যে স্থান কাল পাত্র ভেদে ভাষা একটি অঞ্চলের সংস্কৃতি, তার জীবন চর্চা ও অন্য বিষয়কে প্রতিনিধিত্ব করে।

2. উপভাষার বৈশিষ্ট্যাবলী -

  1. আঞ্চলিক ভাবে পৃথক বা সামাজিক ভাবে পৃথক জনগোষ্ঠী থেকেই উপভাষার আর্বিভাব।
  2. উপভাষার বৈচিত্র্য, ভৌগোলিক বা আঞ্চলিক ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
  3. যে কোনো উপভাষার প্রধান লহ্মণ বা বৈশিষ্ট্য গুলি আঞ্চলিক তার মাধ্যমেই বেশি লহ্ম্য করা যায়।
  4. উপভাষা হল যে কোনো ভাষার Sociolinguistics এর একটি বিশেষ বৈচিত্র্য।
  5. David Crystal উপভাষাকে প্রধান ভাষার উপবিভাগ বলেছেন। তাঁর কথায় "Dialects are subdivisions of Language."
  6. কোনো উপভাষা তার স্বতন্দ্রতা তখন বাড়িয়ে ফেলে সেই উপভাষা অনেকের কাছে গৃহীত হয়। উপভাষা তখন আঞ্চলিকতার গন্ডি পেরিয়ে যায়।এই অবস্থার উপভাষাটি আদর্শ ভাষার মর্যাদা পেতে শুরু করে।
  7. যে কোনো মানুষের উপভাষা উচ্চারণের নিজস্বতা দেখা যায় এবং ওই স্বতন্দ্রতা এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর নিজস্বতা রূপে বিবেচিত হয়।
  8. উপভাষার মধ্যে দিয়ে কোনো বিশেষ অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব অভ্যাস রীতি ও বিশ্বাস গুলি বছরের পর বছর বেঁচে থাকে।
  9. পৃথিবীর প্রতিটি ভাষার আঞ্চলিক বা ভৌগোলিকতার ভিত্তিতে উপভাষা আছে।
  10. উপভাষার বিবর্তন বা পরিবর্তনের গতি অনেক কম।
  11. উপভাষা পাঠের মধ্য দিয়ে কোনো বিশেষ অঞ্চলে মানুষের বৈচিত্র্য পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।
  12. ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতেই উপভাষার বিভিন্নতা দেখা যায়।
  13. কতকগুলি ভিন্ন উপভাষার মিশ্রনের দ্বারাই ভাষা গঠিত হয়।
3. আদর্শ ভাষা ও উপভাষা পার্থক্য -

১. ধারনা - 
যে ভাষা আমরা আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে তথা পাশ্চাত্য সভ্যতার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহার করে থাকি তা হল আদর্শ ভাষা।
       কোনো ভাষা যদি বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ব্যবহৃত হয়, তাহলে অঞ্চলভেদে সেই ভাষার মধ্যে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।এই রকম আঞ্চলিক বিশিষ্টতাযুক্ত ভাষাকে বলা হয় উপভাষা।
২. ব্যাকরন মান্যতা - 
আদর্শ ভাষাতে ব্যাকরনের নিয়ম গুলিকে ব্যবহার করা হয়। উপভাষা গুলিতে ব্যাকরণ এর নিয়ম সবসময় মান্যতা পায় না।তবে সম্প্রতি উপভাষা সমীক্ষা ও উপভাষার ব্যাকরণ রচনার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
৩. ভাষার ব্যবহার - 
আদর্শ ভাষা সাহিত্য,শিক্ষায়,আইন আদালতে,বক্তৃতায়,বেতারে,সংবাদপত্রে ব্যবহার করা হয়।অন্যদিকে বিভিন্ন অঞ্চলের লোকেরা নিজস্ব অঞ্চলের ঘরোয়া কথায় আঞ্চলিক উপভাষা ব্যবহার করে।
৪. স্থান - 
আদর্শ ভাষা বৃহৎ অঞ্চলে প্রচলিত, আর উপভাষার অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র অঞ্চলে প্রচলিত।
৫. ভাষার ধরন - 
আদর্শ ভাষা হল কোন মূল বা রাজধানী অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের ভাষা।অন্যদিকে উপভাষা হল কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর ভাষা।
৬. সাহিত্য রচনা -
আদর্শ ভাষার রচিত সাহিত্য উচ্চাঙ্গ ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য স্বীকৃতি লাভ করে থাকে। উপভাষার সাধারণত লোক সাহিত্য রচিত হয়।
৭. পঠন পাঠনের ভূমিকা - 
আদর্শ ভাষা বিদ্যালয় পঠন পাঠনের হ্মেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু বিদ্যালয় পঠন পাঠনের হ্মেত্রে উপভাষার ভূমিকা প্রায় নেই।এটি মূলত মৌখিক ভাষা।
৮. পরিমার্জিত ও সর্বজনগ্রাহ্যতা - 
আদর্শ ভাষা মানুষকে পরিমার্জিত ও সর্বজনগ্রাহ্য হতে সাহায্য করে। উপভাষার হ্মেত্রে সর্বগ্ৰাহ্যতার সুযোগ খুব কম।
৯. প্রকার - 
আদর্শ ভাষা মূল অঞ্চলে একটাই হয়ে থাকে। অন্যদিকে উপভাষার অঞ্চলভেদে একাধিক হতে পারে। 
১০. বৈচিত্র্যতা - 
আদর্শ ভাষার বৈচিত্র্য সীমিত।কিন্তু উপভাষার বৈচিত্র্য অনেক বেশি।
১১. জনগোষ্ঠীর মনন -
আদর্শ ভাষার দ্বারা কোনো সমাজের মননের ভিতরে প্রবেশ করা যায় না। কিন্তু উপভাষার মাধ্যমে কোনো বিশেষ জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি,ধর্ম,রুচি বিশ্বাস ইত্যাদির ভিতরে প্রবেশ করা যায়।
১২. পরিবর্তনশীলতা -
আদর্শ ভাষার স্বরূপ পরিবর্তন প্রায় বোঝা যায় না। কিন্তু উপভাষা প্রতিনিয়ত নবজীবন লাভ করে থাকে।

4. শ্রেণিকক্ষে উপভাষার প্রয়োজনীয়তা -
  1. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপভাষার অস্তিত্ব এবং অবস্থান সম্পর্কে অবগত করা।
  2. শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে নিঃসৃত উপভাষাটির নিজস্বতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করা।
  3. শিক্ষার্থীদের শিখনের ভাষার সঙ্গে তার নিজের উপভাষার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য গুলি তুলে ধরা।
  4. শিক্ষার্থীদের উপভাষা কোনো ভাবেই ঘৃন্য এবং অবহেলা যোগ্য নয় সেটাকে অবগত করানো।
  5. শিক্ষার্থীদের উপভাষার মধ্যেই তার দেশের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা।
  6. শিক্ষার্থীদের উপভাষার মধ্যে তার নিজ আঞ্চলিক সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে সেটা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া।
  7. কোনো শিক্ষার্থীর উপভাষা তার দেশের আদর্শ ভাষার প্রান শক্তির আধার সেটা দৈনন্দিন ভাবে জানানো।
  8. উপভাষা আঞ্চলিক ভেদাভেদের কথা বললেও শিহ্মার্থীর মনন একই সূত্রে বাঁধা।এই ভাবে সংহতি বোধ জাগ্রত করা।
  9. শিক্ষার্থীর উপভাষাতেই তার মৌলিকতা সেই ব্যাপারে তাদের সচেতন করা।
  10. শিক্ষার্থীদের উপভাষার মধ্যে দিয়ে দেশের ইতিহাসের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখা।
5. শ্রেণিকক্ষে উপভাষা পঠনের শিহ্মকের ভূমিকা -
  1. শ্রেণিকক্ষে উপভাষা ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের সনাক্তকরণ করা।
  2. শিক্ষার্থীর কাছে উপভাষা সংক্রান্ত ব্যাপারটি বিস্তৃত বর্ণনা করা।
  3. শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন বর্ণনার মাধ্যমে উপভাষা বিষয়ে শিক্ষার্থীর কৌতুহল সৃষ্টি করা।
  4. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব উপভাষা সম্পর্কে বর্ণনা, ধ্বনিতাত্ত্বিক এবং রূপ তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য গুলিকে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা।
  5. কোন শিক্ষার্থী নিজের উপভাষার বাক্যালাপ করলে তাকে উৎসাহ দেওয়া।
  6. পঠন বা শিখনের সময় সময় কোন শিক্ষার্থীর বারবার উপভাষায় উচ্চারণ করলে আদর্শ ভাষার জ্ঞান অর্জনে ব্যাঘাত ঘটে। এই ব্যাপারটি শিক্ষকের লক্ষ রাখতে হবে।
  7. উপভাষার কথা বলার অবশ্যই গর্বের। কোনো শিক্ষার্থী যখন আদর্শ ভাষা জ্ঞান অর্জনের সময় উপভাষা প্রভাব না কাটিয়ে উঠতে পারলে,তারা আদর্শ ভাষার বানান,উচ্চারণ ও বাক্যগঠন ভুল হতে পারে।এই বিষয়ে শিক্ষককে দৃষ্টি রাখতে হবে।
  8. শ্রেণিকক্ষে সময় পেলে দৈনন্দিন ঘটনাবলী নিজেস্ব উপভাষার বর্ণনা করা। 
  9. উপভাষার কথা বলা কোনো দোষ বা ভুল নয় এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবগত করা। 
  10. শিক্ষার্থীদের উপভাষায় জ্ঞান অর্জন বা বিদ্যা অর্জনের কোনো বাধা না করা।
  11. একজন শিক্ষার্থী অন্য কোনো সহপাঠীর কাছে কোনো উপভাষা সম্পর্কে জানলে,তাতে তারা সমৃদ্ধই হবে। 
  12. উপভাষা কখনো শ্রেণিকক্ষে দুটি শিক্ষার্থীর মাঝে দেয়াল তৈরি করতে না পারে,সেই সম্পর্কে শিহ্মক সর্বদা সচেতন থাকবেন। 
  13. শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিজেদের উপভাষায় রচিত বিভিন্ন বইগুলি সম্পর্কে জানাবে এবং সেগুলি পড়তে উৎসাহিত করবে। 
  14. উপভাষা যে কোনো বোঝা নয় বরং আনন্দ ও জ্ঞানের ভান্ডার এই ব্যাপারটি শিক্ষার্থীদের অবগত করাবেন শিহ্মক মহাশয়। 
  15. শিক্ষার্থীদের অন্য একটি উপভাষা জানা মানে আরও একটি জ্ঞান সম্পর্কে জানা,এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়া। 
  16. উপভাষায় রচিত নাটকে অভিনয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়া বা অভিনয় দেখতে উৎসাহ দেওয়া। 
  17. গ্রামীণ গ্ৰন্থাগার বা গ্রামীণ মেলায় যে উপভাষায় লেখা বই পাওয়া যায় তার সম্পর্কে শিহ্মক শিক্ষার্থীদের জানাবেন।
  18. শিক্ষার্থীদের ভিন্ন উপভাষায় একসাথে কথা বলতে উৎসাহ দেয়। 
  19. উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিন্ন উপভাষার কথা বলতে শিক্ষার্থীদের কাজের দায়িত্ব দেওয়া।
  20. শিক্ষার্থীদেরকে নিজ উপভাষার দিনলিপি লিখতে উৎসাহ দেওয়া।
  21. শিক্ষার্থীকে নিজের উপভাষার গান,কবিতা ও ছড়া ইত্যাদি লিখতে উদ্বুদ্ধ করা।
  22. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা মূলক প্রতিযোগিতা পরিচালনা করা। উপহার স্বরূপ উপভাষায় রচিত কোনো বই তাদের দিতে পারেন। 
  23. ভিন্ন উপভাষায় কথা বলা শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে নিজ উপভাষার কথা বলতে উৎসাহ দেওয়া।
CLICK HERE -






Post a Comment (0)
Previous Post Next Post