Motivation(Intrinsic Motivation And Extrinsic Motivation)

Motivation(Intrinsic Motivation And Extrinsic Motivation)

Motivation||প্রেষণা 

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Motivation's concept,characteristics, Motivation cycle, classification, intrinsic motivation and Extrinsic Motivation concept and differences
Motivation


Assignment Questions -

1. Write Down The Concept Of Motivation.(প্রেষণা সম্পর্কে ধারণা দাও।)

2. Classify The Motivation.(প্রেষণার শ্রেণিবিভাগ কর)

3. Write The Meaning Of Extrinsic Motivation And Intrinsic Motivation Explain the Differences Between These Two Types Of Motivation with the help Of Examples.(বাহ্যিক প্রেষণা এবং আভ্যন্তরীণ প্রেষণার কাকে বলে।এই দুই প্রকার প্রেষণার উদাহরণসহ পার্থক্য কর )

Or 

Distinguishing Between Extrinsic Motivation And Intrinsic Motivation With Suitable Example.(বাহ্যিক প্রেষণা এবং আভ্যন্তরীণ প্রেষণা মধ্যে পার্থক্য কর উদাহরণসহ।)

(*** ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

প্রেষণা||Motivation -

BENGALI VERSION -

1. ভূমিকা -

প্রেষণা কথাটির ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Motivation' এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থেও এই ধারনার সমর্থন মেলে। 'Motivation' শব্দটি লাতিন Moveer' থেকে এসেছে। 'Moveer' শব্দটির অর্থ 'To Move' অর্থাৎ সচল প্রক্রিয়া।এর অর্থ আচরণগত পরিবর্তন। সাধারণত প্রেষণা কথাটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন মানুষের সমস্ত আচরণের পেছনে যা ক্রিয়াশীল তা হল প্রেষণা। অর্থাৎ প্রেষণা হল একটি অভ্যন্তরীণ শক্তি যা লহ্ম্যমুখী আচরণকে উজ্জীবিত করে।

বিখ্যাত মনোবিদদের সংজ্ঞা আলোচনা করা হল -

Cohen মতে,"Something that drives people to do what they do."

Woolfolk মতে,"An internal state that arouses, directs and maintains behaviour." 

Atkinson মতে,"The term motivation refers to the arrousal of tendency to act to produce one or more effects."

Swift মতে, "Motivation is a dynamic process initiating and directing behaviour, continuous but fluctuating in intensities,and aimed at satisfaction of the individuals needs."

• প্রেষণা চক্র - 

প্রেষণাকে ব্যাখ্যা করার জন্য যে তত্ত্বগুলি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল চাহিদা তত্ত্ব। মানুষ কোন কিছু অভাব জনিত কারণে অস্থিরতা অনুভব করে।এই অভাবজনিত কারণে থেকে মুক্তির জন্য চাহিদা সৃষ্টি হয়। মানুষের প্রেষণা শুরু হয় চাহিদা থেকে। মানুষের এই চাহিদা থেকে সৃষ্টি হয় তাড়নার। তাড়নার ফলে ব্যক্তির মধ্যে কাজ করার শক্তির সঞ্চার হয়,ব্যক্তির মধ্যে লহ্ম্যভিমুখী আচরনের লহ্ম্য করা যায়।এই স্তরের পৌঁছানোর পর ব্যক্তির চাহিদার পরিতৃপ্তি ঘটে।তবে সবসময় এই চাহিদার পরিতৃপ্তি স্থায়ী হয় না। অর্থাৎ সেই চাহিদার অভাববোধ ঘটে। এই ভাবে পুনরায় একইভাবে কাজটি শুরু হয়।এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট চক্রাকারে প্রক্রিয়া ঘটে। একে প্রেষণা চক্র বলে।


• প্রেষণার বৈশিষ্ট্য -

  1. প্রেষণা হল এক ধরনের মানসিক অবস্থা বা অন্তর্নিহিত শক্তি না কোনো আচরনকে উদ্ধুদ্ধ নির্দেশিত ও সংরক্ষণ করে।
  2. প্রেষণা আচরণকে নির্দিষ্ট ও নিয়ন্ত্রণ করে।
  3. প্রেষণা একটি ব্যক্তিগত চাহিদা থেকে শুরু হয়।
  4. প্রেষণা ব্যক্তির চাহিদা জৈবিক, মানসিক ও সামাজিক হতে পারে।
  5. ব্যক্তি তার চাহিদা পূরণের জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে।
  6. প্রেষণা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্যমুখী আচরণের উদ্ধুদ্ধ করে।
  7. প্রেষণা একটি জটিল প্রক্রিয়া।
  8. প্রেষণা যে কোনো ধরনের প্রেষণাযুক্ত কাজের হ্মেত্রে ব্যক্তি তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন থাকে।
  9. প্রেষণা জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। চাহিদার তাড়নার ব্যক্তি দৈহিক বা মানসিক যে পরিবর্তন ঘটে প্রেষণার ফলে চাহিদার নিবৃত্তিতেই সেই ভারসাম্য ফিরে আসে।এই অবস্থাকে বলা হয় স্থিতাবস্থা।
  10. প্রেষণা একটি বাধ্যতামূলক হ্মমতা।
  11. প্রেষণার হ্মমতা নির্ধারিত হয় চাহিদা প্রকৃতি ও লহ্ম্যের দ্বারা।
  12. উদ্বেগ ও শিহ্মাগত পারদর্শিতা ঋনাত্মক ভাবে সম্পর্ক যুক্ত।
  13. কৌতুহল ও আগ্ৰহ প্রেষণার সহায়ক।

2. প্রেষণার প্রকারভেদ -

প্রেষণার প্রকারভেদ সম্পর্কে বিভিন্ন মনোবিদ বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শ্রেনিবিভাগ করেছেন।

ক্লাইনবার্গ তিন ধরনের প্রেষণার কথা বলেছেন।যথা -

  1. নির্ভরযোগ্য প্রেষণা (Dependable Motivation)
  2. শারীরবৃত্তীয় প্রেষণা (Physiological Motivation)
  3. সামাজিক প্রেষণা (Social Motivation)
মনোবিদ গ্যারেট চার প্রকারের প্রেষণার কথা বলেছেন।যথা -
  1. সহজাত প্রেষণা(Instinctive Motivation)
  2. সামাজিক প্রেষণা(Social Motivation)
  3. মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণা (Psychological Motivation)
  4. অবচেতন মনের প্রেষণা (Unconscious Motivation)
ম্যাগডুগ্যাল প্রদত্ত তিন প্রকারের প্রেষণার কথা বলেছেন।যথা -
  1. শারীরিক প্রেষণা(Organic Motivation)
  2. জরুরি প্রেষণা(Emergency Motivation)
  3. উদ্দেশ্যমূলক প্রেষণা(Objective Motivation)
প্রেষণার প্রকারভেদ যে রূপই হোক না কেন নিম্নে প্রেষণার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকার আলোচনা করা হল। যথা -
১. জৈবিক প্রেষণা(Biological Motivation) -
যে প্রেষণা গুলি প্রানীর জীবন ধারনে সহায়তা করে অর্থাৎ তাকে বাঁচিয়ে রাখে।সেগুলিকে জৈবিক প্রেষণা বলে।এই প্রেষণার ব্যক্তির চাহিদাগুলি প্রেষণার থেকে উৎসারিত।এই চাহিদা গুলির ব্যক্তির মধ্যে থাকলেও সেগুলি প্রেষণার দ্বারা সক্রিয়তা লাভ করে।প্রধানত বাঁচার তাগিদে এই সমস্ত প্রেষণার পরিতৃপ্তি সাধন হওয়া দরকার।জৈবিক প্রেষণা সমূহ পরিতৃপ্তি না হলে ব্যক্তির আভ্যন্তরীণ ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই ব্যক্তির আভ্যন্তরীণ ভারসাম্য বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়। 
উদাহরণ - ক্ষুধা,তৃষ্ণা,যৌনতা ও মাতৃত্ব ইত্যাদি।

২. সামাজিক প্রেষণা(Social Motivation) -

ব্যক্তির সামাজিক চাহিদা থেকে সৃষ্ট প্রেষণা গুলিকে বলা হয় সামাজিক প্রেষণা।এই গুলি জন্মগত নয়,এই গুলি হল শিক্ষালব্ধ।সামাজিক অভিযোজনের ক্ষেত্রে এই গুলি অত্যন্ত অপরিহার্য।সামাজিক প্রেষণা পরিতৃপ্তি হলে ব্যক্তি সমাজে সুস্থভাবে সামাজিক জীবন যাপনের অধিকারী হয়।এগুলি জীবনে ধারণের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসাবে কাজ করে।এর মুখ্য উদ্দেশ্য হল পরিবেশের সাথে সার্থকভাবে অভিযোজন করতে সহায়তা করা। ব্যক্তির সামাজিক বিকাশের সাথে সাথে এই গুলির বিকাশ সাধন হয়ে থাকে, যা ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ পায়। 
উদাহরণ - কৃতিত্ব,প্রভাব,প্রতিপত্তি,খ্যাতি,স্বাধিকার, আনুগত্য,দলভুক্তি, মর্যাদা লাভ।

৩. ব্যক্তিগত প্রেষণা(Personal Motivation) - 

প্রত্যেক ব্যক্তির সামাজিকীকরনের মধ্যে দিয়ে তার নিজস্বতা অনুযায়ী অহম সত্তাকে কেন্দ্র করে যে বিশেষ আচরণ করে,সেই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যকে ব্যক্তিগত প্রেষণা বলে।এটি মনস্তাত্ত্বিক আচরন।এটি কিছুটা জন্মগত আবার কিছুটা অর্জিত।
যেমন - আনন্দ পাওয়া,ভালো লাগা ,মন্দ লাগা,বিশেষ কিছুতে ভয়,বিশেষ আগ্রহ ইত্যাদি।
 
আবার, প্রেষণাকে উদবোধকের (Incentives) ভিত্তিতে দুই প্রকার ভাগে ভাগ করা যায়।যথা -
  • আভ্যন্তরীণ প্রেষণা(Intrinsic Motivation)
  • বাহ্যিক প্রেষণা(Extrinsic Motivation)

• আভ্যন্তরীন প্রেষণা(Intrinsic Motivation) -

ব্যক্তি যখন নিজের আত্ম সন্তুষ্টির জন্য প্রেষণা লাভ করে তখন তাকে আভ্যন্তরীন প্রেষণা বলে।অর্থাৎ, মানুষ প্রত্যেকটি আচরনই কোনো কিছু পাওয়ার জন্য করে না, অনেক সময় মনের ইচ্ছেতেও কোনো আচরণ করে থাকে।এই ধরনের আচরনের পেছনের যে প্রেষণা কাজ করে,তাকে আভ্যন্তরীন প্রেষণা বলে।

• বৈশিষ্ট্যাবলী -

  • কোনো বাহ্যিক উদ্দীপক বা পুরুষ্কার ছাড়াই ব্যক্তি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ক্রিয়াশীল হয়।
  • মানুষ যখন নিজের আত্ম সন্তুষ্টির জন্য এই আচরণ করে থাকে।
  • আভ্যন্তরীন প্রেষণা বেশি কার্যকরী ও সুদূরপ্রসারী হয়।
  • আভ্যন্তরীন প্রেষণা একজন ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছা এবং চাহিদার দ্বারা চালিত হয়।
  • আভ্যন্তরীন প্রেষণা মূল লক্ষ্য হল নিজেকে সাজানো, বিকাশ করা এবং সন্তুষ্ট করা এবং সম্ভাব্য তা সনাক্ত করা এবং হ্মমতা গুলি অন্বেষণ করা।
  • আভ্যন্তরীন প্রেষণার ব্যক্তি যে কাজটি করে সেটি উপভোগ করে। কোনো ফলের কথা চিন্তা করেন না।
  • সব ব্যক্তির মধ্যে এই ধরনের প্রেষণা দেখা যায় না। কারণ অধিকাংশ ব্যক্তি কোনো ক্রমে লহ্ম্য পূরন করতেই উৎসাহী।
• উদাহরণ - 
আমরা প্রায় প্রত্যেকেই সকালে উঠে খবরের কাগজ পড়ি, অনেক বিভিন্ন ধরনের গল্প, উপন্যাস পড়ে,অনেকে আবার টিভিতে সিনেমা বা সিরিয়াল দেখে।এই গুলি হল আভ্যন্তরীন প্রেষণা।

• শ্রেণিকক্ষে আভ্যন্তরীণ প্রেষণার প্রয়োগ -
শ্রেণিকক্ষে শিহ্মক যখন শিক্ষার্থীদের গৃহ কাজ দেখার পর প্রশংসাসূচক মন্তব্য দেওয়া যেতে পারে (প্রাক প্রাথমিক স্তরে Smiley দেবার প্রচলন করা হয়েছে)। শ্রেণিকক্ষে কোনো প্রশ্নের উত্তর ঠিক দিলে প্রশংসা করা যেতে পারে।বিদ্যালয়ে এমন কিছু কর্মসূচির ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের পছন্দমতো কাজ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বা গানবাজনার হ্মেত্রে পুরুষ্কার দান করা যেতে পারে। তাছাড়া লাইব্রেরীতে বিভিন্ন রকমের বই রাখা যেতে পারে যাতে শিক্ষার্থীদের আত্মতুষ্টি ঘটতে পারে।
• শিক্ষক/শিহ্মিকার কর্তব্য -
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ধরনের প্রেষণা জাগ্ৰত করা।যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অন্তর্নিহিত হ্মমতার প্রতি আস্থাশীল হতে পারে। 
  • শিক্ষক /শিহ্মিকা কে সহানুভূতিশীল,বিষয়ে পান্ডিত্য,উন্নত শিহ্মাদান পদ্ধতির প্রয়োগ ইত্যাদির অধিকারী হতে পারে। 
  • শিক্ষার্থীদের শিখনের প্রতি আগ্ৰহ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
  • শ্রেণিকক্ষে পড়ার বিষয়ের বাইরে গল্প শোনাতে পারেন।ফলে শিক্ষার্থীরা উদ্বুদ্ধ করা হয়।
  • শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনার মাঝে বিরতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা,গানবাজনা,গল্প করার সুযোগ দিতে হবে। 
  • শিক্ষার্থীদের গৃহ কাজ দেখার পর প্রশংসা করতে হবে। 
  • শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষের শিক্ষকের বা শিক্ষিকার প্রশ্নের উত্তর দিলে তাকে মৌখিক প্রশংসা করা বা স্বীকৃতি দিতে হবে।
• বাহ্যিক প্রেষণা(Extrinsic Motivation) -
কোনো কিছু পাওয়ার জন্য যখন ব্যক্তি যে প্রেষণা লাভ করে, তাকে বাহ্যিক প্রেষণা বলে।

• বৈশিষ্ট্যাবলী -
  • বাহ্যিক প্রেষণা হল ব্যক্তি পুরুষ্কার অর্জন বা কিছু শাস্তি এড়াতে একটি নির্দিষ্ট আচরণ গ্ৰহন করা।
  • বাহ্যিক প্রেষণা লহ্ম হল একটি পুরুষ্কার অর্জন করা।
  • বাহ্যিক প্রেষণা অন্যান্য উৎস দ্বারা চালিত হয়, সাধারণত অন্য ব্যক্তি।
  • বাহ্যিক প্রেষণা আভ্যন্তরীন প্রেষণার তুলনার কম কার্যকরী এবং সুদুরপ্রসারী হয়।
  • বাহ্যিক প্রেষণা সৃষ্টি হয় সামাজিক চাপ, পুরুষ্কার, বাহ্যিক নানা উদ্মাদনাও প্রকৃতি থেকে।
  • কোনো বাহ্যিক উদ্দীপক বা পুরুষ্কার জন্য ব্যক্তি উদ্দেশ্য পূরনের জন্য ক্রিয়াশীল হয়।
  • এই ধরনের প্রেষণার ফলে ব্যক্তিদের মধ্যে আগ্ৰহকে নষ্ট করে।

• উদাহরণ - 

যখন কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো ফলের আশায়,শিহ্মক/শিহ্মিকা বা বাবা মাকে খুশি করার জন্য বা শাস্তি এড়ানোর জন্য কোনো কাজ করা হয়।এই গুলি হল বাহ্যিক প্রেষণা।

• শ্রেণিকক্ষে বাহ্যিক প্রেষণার প্রয়োগ - 

সাধারণত বিদ্যালয় বা শ্রেণিকক্ষের নিয়মকানুন মেনে চললে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা শ্রেণিকক্ষের শিহ্মক/ শিহ্মিকা শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেন। প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকলে তাদের পুরুষ্কার দানের ব্যবস্থা থাকে। পরীক্ষায় ভালো ফল করলে শিক্ষার্থীদের (১ম,২য়,৩য় স্থানাধিকারী ইত্যাদি) পুরুষ্কার দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র গ্ৰেড বা নম্বর পাওয়ার জন্য শিখন হলে শিক্ষার্থীর আগ্ৰহ সীমাবদ্ধ হয়ে যেতে পারে বা নষ্ট হতে পারে।এগুলি শিক্ষার্থীদের প্রেষণা সঞ্চায়ে সাহায্য করে। তবে এই ধরনের বাহ্যিক প্রেষণা বেশি দিন স্থায়ী হয় না।

• শিক্ষক/শিহ্মিকার কর্তব্য -

  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথমদিকে বাহ্যিক প্রেষণাকে কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে যাতে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ প্রেষণা জাগ্রত হয়,সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।নতুবা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে শিখন প্রচেষ্টাকে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
  • শিক্ষার্থীদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার, গ্ৰেড, বিশেষ সুযোগ সুবিধা বা প্রশংসা করতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের দহ্মতা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক দায়িত্ব দিতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের দলভিত্তিক কাজে অন্তর্ভূক্তি করতে হবে।

3. আভ্যন্তরীন প্রেষণা ও বাহ্যিক প্রেষণার পার্থক্য -

১. ধারনা -

ব্যক্তি যখন নিজের আত্মসন্তুষ্টির জন্য প্রেষণা লাভ করে তখন তাকে আভ্যন্তরীণ প্রেষণা বলে। আর কোনো কিছু পাওয়ার জন্য যখন ব্যক্তি যে প্রেষণা লাভ করে, তাকে বাহ্যিক প্রেষণা বলে।

২. লহ্ম্য -

আভ্যন্তরীণ প্রেষণার মূল লক্ষ্য হল নিজেকে সাজানো, বিকাশ করা, সন্তুষ্ট করা এবং সম্ভাব্য তা শনাক্ত করা এবং ক্ষমতা গুলি অন্বেষণ করা। আর বাহ্যিক প্রেষণার মূল লক্ষ্য হল একটি পুরুষ্কার অর্জন করা।

৩. উদ্দীপক -

আভ্যন্তরীণ প্রেষণার হ্মেত্রে কোনো বাহ্যিক উদ্দীপক ছাড়া আভ্যন্তরীণ প্রেষণা ঘটে। কিন্তু বাহ্যিক প্রেষণা হ্মেত্রে একটি নির্দিষ্ট উদ্দীপকের প্রয়োজন হয়।সেটি সামাজিক,ব্যক্তিগত দুই হতে পারে।

৪. কার্যকারিতা ও সুদূরপ্রসারী -

বাহ্যিক প্রেষণা তুলনায় আভ্যন্তরীণ প্রেষণার কার্যকারিতা ও সুদুরপ্রসারি হয়

৫. স্থায়ীত্ব -

আভ্যন্তরীণ প্রেষণার দীর্ঘ স্থায়ী হয়। কিন্তু বাহ্যিক প্রেষণা স্বল্প স্থায়ী হয়।

৬. নিয়ন্ত্রন -

আভ্যন্তরীণ প্রেষণার বাহ্যিক কোনো নিয়ন্ত্রক লাগে না, ব্যক্তি নিজের ইচ্ছে এই ধরনের প্রক্রিয়া করে থাকে।বাহ্যিক প্রেষণার অন্যান্য উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারণত অন্য ব্যক্তি দ্বারা।

৭. আত্ম সন্তুষ্টি -

আভ্যন্তরীণ প্রেষণার ব্যক্তির আত্মসন্তুষ্টি ঘটে।বাহ্যিক প্রেষণার আত্ম সন্তুষ্টি ঘটে না।

৮. আগ্ৰহ -

আভ্যন্তরীণ প্রেষণাতে ব্যক্তির আগ্রহ বোধের সৃষ্টি হয়। কিন্তু বাহ্যিক প্রেষণার ফলে ব্যক্তির আগ্রহ বোধ নষ্ট করে।

৯. উদাহরণ -

আভ্যন্তরীণ প্রেষণার উদাহরণ হল,আমরা প্রায় প্রত্যেকেই সকালে উঠে খবরের কাগজ পড়ি, অনেক বিভিন্ন ধরনের গল্প, উপন্যাস পড়ে,অনেকে আবার টিভিতে সিনেমা বা সিরিয়াল দেখে।

আর বাহ্যিক প্রেষণার উদাহরণ হল, যখন কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো ফলের আশায়,শিহ্মক/শিহ্মিকা বা বাবা মাকে খুশি করার জন্য বা শাস্তি এড়ানোর জন্য কোনো কাজ করা হয়।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post