Oral Reading And Silent Reading

Oral Reading And Silent Reading

Oral Reading And Silent Reading||সরব পাঠ এবং নীরব পাঠ

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Oral Reading And Silent Reading
Oral Reading And Silent Reading

Assignment Questions -

1. What is Oral Reading and Silent Reading. 

2. What is the Condition and Utility of Oral Reading and Silent Reading.

3. Describe The Advantage and Disadvantage Of Oral Reading and Silent Reading.

4. Different Between Oral Reading and Silent Reading.

Oral Reading And Silent Reading

BENGALI VERSION -

1. সরব পাঠ -

যে পাঠে রব বা ধ্বনি সৃষ্টি করে পাঠ করাকে বা আওয়াজ করে পড়াকে বলা হয় সরব পাঠ। প্রাক প্রাথমিক স্তরের এবং বিদ্যালয় শিক্ষা বিশেষ করে, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। দর্শন ও কথনের সার্থক সমন্বয়ে ভাষায় লিখিত রূপ উদ্ধার করা হয় সরব পাঠের মাধ্যমে।

• সরব পাঠের শর্ত -

  • বিভিন্ন বর্ণের ও শব্দের সুস্পষ্ট উদাহরণ প্রদান করে। 
  • কবিতার ক্ষেত্রে ছন্দ বা গদ্যের ক্ষেত্রে যতি চিহ্ন সহ উচ্চারণ করা। 
  • শ্বাসাঘাতের যথাযথ প্রয়োগ। 
  • বিষয়বস্তুর অনুভূতি ও আবেগের পাঠে প্রতিফলন। 
  • অনাবশ্যক দ্রুতগামী পরিহার। 
  • সরব পাঠকের সৌন্দর্য খচিত করে আবৃত্তির শিল্প ক্রমে পরিণত করতে হবে।

• সরব পাঠের উপযোগিতা - 

  • সরব পাঠ পাঠের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
  • সরব পাঠে ধ্বনিতত্ত্ব ও শ্বাসাঘাত এবং ছন্দ যতিচিহ্ন গুলির প্রতিফলিত হয়। 
  • সরব পাঠ পাঠের প্রেরণা জোগায়। 
  • সরব পাঠ শুদ্ধ ভাষা শিক্ষার সাহায্য করে। 
  • সরব পাঠের ক্রটি সংশোধিত হয়।
  • সরব পাঠ শিক্ষার্থীদের প্রবৃত্তির উন্নয়ন ঘটায় ও অস্বাস্থ্যকর প্রবৃত্তি গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

• সরব পাঠের সুবিধা - 

  • সরব পাঠের সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বাগযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সঠিক ভাষা উচ্চারণ করতে পারে। 
  • সরব পাঠের বিভিন্ন শব্দ,বর্ণ ইত্যাদির শুদ্ধ উচ্চারণ দেখা যায়।ছেদ,যতি উচ্চারণে নিয়ম শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে মেনে চলতে যাবে। 
  • সরব পাঠ শিহ্মক ও শিক্ষার্থী উভয়কেই আকৃষ্ট করে। সঠিক সরব আবৃত্তি শিহ্মার্থীকে আনন্দ প্রদান করে।
  • বিভিন্ন গল্প,কবিতা,প্রবন্ধ ইত্যাদির ভাষা,অনুভূতি, রসচেতনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। 
  • সরব পাঠ শিক্ষার্থীদের শুদ্ধ উচ্চারণ করতে শেখায়।তাদের উচ্চারণ বিকৃতির দোষ থেকে মুক্ত করে।উচ্চারণে আঞ্চলিকতার কুপ্রভাব দূর করে ভাষা অবক্ষয় রোধ করে।

• সরব পাঠের অসুবিধা -

  • সরব পাঠের জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। 
  • সরব পাঠে অতিরিক্ত শ্রম ও বাধিত হয়,ফলে শরীরে অবসাদ আসে। 
  • অন্যের পড়াশোনা,চিন্তাভাবনা ও কাজকর্মের সংঘাত সৃষ্টি করে।
  • হইচই ও গোলমালের মধ্যে ভুল উচ্চারণ করা ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। 
  • সমবেত সরব পাঠে ছন্দ ও যতি চিহ্নের ভূল ধরা যায় না।  
  • এতে শিক্ষার্থীর মনোযোগ সব সময় নাও থাকতে পারে।

2. নীরব পাঠ -

যে পাঠে রব বা ধ্বনি উৎপন্ন না করে পাঠ করা হয়। তাকে নীরব পাঠ বলা হয়।সরব পাঠে দক্ষতা অর্জনের পর উচ্চতর শ্রেণিকক্ষে নীরব পাঠের প্রয়োজন হয়।

• নীরব পাঠের শর্ত -

  • নিবিড় মনঃসংযোগ করা। 
  • পাঠের উপযোগী শান্ত ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা।
  • গদ্য রচনা করা।
  • বৃদ্ধি বৃত্তি ও ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
  • পাঠের দক্ষতা।
  • নীরব পাঠের সঙ্গে মননশীলতাকে যুক্ত রাখতে হবে।

• নীরব পাঠের উপযোগিতা -

  • নীরব পাঠে সময় কম লাগে।
  • নীরব পাঠে অপরের অসুবিধা করে না। 
  • নীরব পাঠ শরীরে কম অবসাদ আসে। 
  • নীরব পাঠ মননশীলতার উপযোগী। 
  • অল্প সময়ে বেশি পাঠ করা যায়।
  • সেহেতু রব বা ধ্বনি উচ্চারিত হয় না,তাই নীরব পাঠ সর্বত্র করা যায়।

• নীরব পাঠের সুবিধা -

  • সরব পাঠের তুলনার নীরব পাঠের কম সময় ব্যয় হয়।
  • নীরব পাঠের শিক্ষার্থীরা কম শ্রম লাগে। 
  • নীরব পাঠের ক্ষেত্রে প্রতিটি শব্দের উপর জোর না দিয়ে পাঠ্যপুস্তকের মূল বিষয়ের উপর জোর দিতে হয়। 
  • নীরব পাঠের ফলে শিক্ষার্থীদের শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।নীরব পাঠের কম শ্রম লাগে বলে শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত হীন ভাবে থাকে। একই সঙ্গে বাগ যন্ত্র না হওয়ায় চোখের ব্যবহার কম হওয়ার ফলে দৈহিক শান্তি আসে না।
  • নীরব পাঠের শিক্ষার্থীদের মনোযোগী বৃদ্ধি হয়।

• নীরব পাঠের অসুবিধা -

  • নীরব পাঠের জন্য প্রয়োজনীয় শান্ত পরিবেশ আজকের জটিল সামাজিক জীবনে সর্বত্র পাওয়া যায় না।
  • প্রয়োজনীয় মনঃসংযোগ আজকের দিনে সম্ভব নয় অন্যমনস্ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 
  • নিচু শ্রেণীতে কাম্য নয়।
  • কবিতা পাঠের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়।
  • দ্রুত পাঠের সম্ভাবনা বেশি,ফলে বিষয়বস্তুর সমগ্ৰতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পরিবর্তে একটি আবছা ধারণা তৈরি হয়।ফলে শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

3. সরব পাঠ ও নীরব পাঠের পার্থক্য -

১. ধারনা গত - 

যে পাঠে ধ্বনি উৎপন্ন হয়,তাকে সরব পাঠ বলা হয়।আর যে পাঠে ধ্বনি উৎপন্ন হয় না,তাকে নীরব পাঠ বলা হয়।

২. রব বা ধ্বনির উপস্থিতি - 

রব বা ধ্বনির উপস্থিতি লহ্ম করা যায় সরব পাঠ, কিন্তু রব বা ধ্বনির উপস্থিতি লহ্ম করা যায় না নীরব পাঠের।

৩. মানসিক - দৈহিক প্রক্রিয়া - 

সরব পাঠের ক্ষেত্রে মানসিক - দৈহিক প্রক্রিয়া গুলি বর্তমান থাকে, কিন্তু নীরব পাঠের এই মানসিক - দৈহিক প্রক্রিয়া গুলি প্রচ্ছন্নভাবে কাজ করে। 

৪. মনোযোগ -

সরব পাঠের হ্মেত্রে প্রতিটি শব্দের উপর মনোযোগ দিতে হয়, কিন্তু নীরব পাঠের ক্ষেত্রে প্রতিটি শব্দের উপর মনোযোগ না দিয়ে পাঠ্য বিষয় বস্তুর মূল বিষয়ের উপর মনোযোগ দিতে হয়।

৫. শ্রেণিকক্ষ -

নিম্ন শ্রেণীতে সরব পাঠ অত্যন্ত জরুরী, কিন্তু নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পর থেকে নীরব পাঠের উপর জোর দিতে হয়।

৬. গতি - 

সরব পাঠের গতি কম।তাই দীর্ঘ সময় বেশি পড়া যায় না, কিন্তু নীরব পাঠে গতি বেশি।তাই অল্প সময়ে অনেকটা পড়ে ফেলা যায়।

৭. উচ্চারণ শৈলী ও বাচনভঙ্গি - 

সরব পাঠের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ শৈলী ও বাচনভঙ্গির ক্রটি বিচ্যুতি লহ্ম করা যায়, কিন্তু নীরব পাঠের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ শৈলী ও বাচনভঙ্গি ক্রটি বিচ্যুতি সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। 

৮. প্রয়োজনীয়তা - 

সরব পাঠকে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত উভয়েই প্রয়োজন সিদ্ধ করার কাজে লাগানো যেতে পারে, কিন্তু নীরব পাঠ পাঠকের ব্যক্তিগত প্রয়োজন সিদ্ধির উপায় মাত্র।

৯. ছন্দ ও যতি চিহ্ন -

সবর পাঠ ছাত্রদের ছন্দ ও যতি চিহ্ন বোঝানো সহায়ক, কিন্তু নীরব পাঠে ছন্দ ও যতি চিহ্ন বোঝানো সম্ভব নয়।

১০. শ্রম - 

ছাত্রদের ভবিষ্যৎ জীবনে সরব পাঠে বেশি শ্রম ও সময়ের প্রয়োজন হয়, কিন্তু নীরব পাঠের খুব অল্প শ্রমে ও অল্প সময় লাগে।

১১. রস চেতনা বোধ -

সরব পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভালো ভালো কবিতা, আবৃত্তি অভ্যাস করানো যায়।কবিতার যথাযথ সরব পাঠ তার অন্তর্নিহিত ভাব ও রস চেতনা বোধকে প্রকাশিত করতে সাহায্য করে, কিন্তু নীরব পাঠের মাধ্যমে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

১২. মনোযোগ ও একাগ্রতা -

মনোযোগ ও একাগ্রতা থেকে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কম থাকে, কিন্তু নীরব পাঠে হ্মেত্রে মনোযোগ ও একাগ্রতা খুব বেশি প্রয়োজন,না হলে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়।

১৩. স্থান -

সরব পাঠ ছোটো শ্রেণিকক্ষে বেশি প্রচলিত,আর গ্রন্থাগারে নীরব পাঠ বাঞ্চনীয়।

১৪. উচ্চারণ রীতির পরিচয় ও সংশোধন -

সরব পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উচ্চারণ রীতি সঙ্গে পরিচয় ঘটে।উচ্চারণে ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ থাকে, কিন্তু নীরব পাঠের সংশোধনের সুযোগ থাকে না।

১৫. সময় -

সরব পাঠ করতে শিহ্মার্থীদের সময় লাগে, কিন্তু নীরব পাঠের শিক্ষার্থীদের অল্প সময় লাগে।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post