Questioning In Classroom

Questioning In Classroom

Questioning In Classroom||শ্রেণিকক্ষে প্রশ্নকরন

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Questioning In Classroom
Questioning In Classroom

Assignment Questions -

1. What is questioning? 

2. What are the objectives of the questioning in the classroom?

3. What are the rules or instructions for questioning in the classroom?

4. Explain the reasons for questioning in the classroom. 

5. Explain the importance of questioning in the classroom.

6. Describe the classification of questioning in the classroom.

7. What is the role of the teacher's of questioning in the classroom?

(*** ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

Questioning||প্রশ্নকরন -

BENGALI VERSION -

1. ভূমিকা -

জ্ঞান অর্জনের জন্য অন্যতম জরুরি বিষয় হল তথ্য।তথ্য সংগ্রহের একটি পদ্ধতি হল প্রশ্নকরন।প্রশ্নকরনের দ্বারা কোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।Bogands মতে, " A Questionnaire is a list of questions sent to a number of persons for them to answer.It secures standardized results that can be tabulated and treated statistically."

প্রশ্নের সংজ্ঞা -

  1. An interrogative expression after used to test knowledge.
  2. A Subject on aspect in dispute or open for discussion.
  3. A Subject or point of debate.
  4. The Specific point of issues.
  5. An act or instance of asking.
  6. Official in vestigation.
  7. ভাষার মাধ্যমে যোগাযোগ সৃষ্টির একটি অন্যতম কৌশল হল প্রশ্ন। প্রশ্নের মাধ্যমে শিহ্মক শিহ্মার্থীর আদান প্রদান সম্ভব বাচনিক এই কৌশল ভাষা এবং শিক্ষার্থীদের সামগ্ৰিক বিকাশ দুটিকেই প্রভাবিত করে। 

2. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের প্রশ্নকরনের উদ্দেশ্যাবলী -

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের প্রশ্নকরনের উদ্দেশ্য গুলি হল -

  1. শিহ্মার্থীদের কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের আগ্ৰহী সৃষ্টি করা।
  2. শিহ্মার্থীদের কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের নিবিষ্ট করে তুলতে সহায়তা করে।
  3. শিহ্মার্থীদের পাঠক্রমের বিষয়ের অগ্ৰগতির প্রতি মূল্যায়ন করে।
  4. শিহ্মার্থীদের অর্জিত জ্ঞানের মধ্যে স্পষ্টতা নিয়ে আসতে সহায়তা করে।
  5. শিহ্মার্থীদের মধ্যে বিশ্লেষণধর্মী মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
  6. শিহ্মার্থীদের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা মূলক মনোভাব সৃষ্টি করে।
  7. শিহ্মার্থীদের কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি ধারনাকে দীর্ঘ সময় ধরে ভাবতে শেখানো হয়।
  8. শিহ্মার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মনোভাব সৃষ্টি করে।
  9. শিহ্মার্থীদের মধ্যে বাচন ও কথনশৈলীর জড়তা দূরীকরণ করা সম্ভব হয়।
  10. শিহ্মকের প্রশ্নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের উত্তর বলার অভ্যাস গড়ে ওঠে।ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথনশৈলীর উন্নতি ঘটে।
  11. শিহ্মার্থীদের অর্জিত জ্ঞানের প্রতি অস্পষ্টতা দূরীকরণ করা সম্ভব হয়।
  12. যে সমস্ত শিহ্মার্থীরা শিহ্মনে আগ্ৰহ হারিয়ে ফেলেছে তাদের কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে পূনরায় পড়াশোনার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
  13. শিহ্মার্থীদের প্রশ্নকরনের মাধ্যমে দৈনন্দিন স্মৃতি চারণা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
  14. শিহ্মার্থী ও শিহ্মকের মধ্যে একটি যোগাযোগ গড়ে ওঠে।
  15. শিহ্মার্থীদের পূর্ব জ্ঞান যাচাই করতে সাহায্য করে।

3. শ্রেণিকক্ষে প্রশ্নকরনের নিয়মাবলী বা নির্দেশিকা -

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক মহাশয় প্রশ্নকরনের নিয়মাবলী বা নির্দেশনা গুলি হল -

  1. প্রশ্নের ভাষা হবে সহজ ও সরল। 
  2. ছোটো ছোটো বাক্যে প্রশ্ন করতে হবে। 
  3. শ্রেণীতে সমস্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করতে হবে। 
  4. শ্রেণিকক্ষে পাঠরত সমস্ত শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার কথা মাথায় রেখে,প্রশ্ন সহজ থেকে জটিলের দিকে এগিয়ে যাবে। 
  5. প্রশ্নের মধ্যে এমন কোনো কোনো শব্দ ব্যবহারে করা হবে না,যার একাধিক অর্থ রয়েছে। 
  6. শ্রেণিকক্ষে প্রশ্ন করার সময় শিক্ষক মহাশয় যেন উচ্চারণ স্পষ্ট করতে হবে। 
  7. প্রশ্ন করার পর উত্তর দেওয়ার জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট সময় দিতে হবে। 
  8. শ্রেণিকক্ষে সমস্ত শিক্ষার্থীদের উত্তর দেবার সুযোগ দিতে হবে।
  9. শ্রেণিকক্ষে এমন কোনো প্রশ্ন করা যাবে না,যার উত্তর শ্রেণিকক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।
  10. প্রশ্ন করার পর শিক্ষার্থীদের উত্তর দেওয়ার আগে চিন্তা করার সময় দিতে হবে। 
  11. প্রশ্নের কাঠিন্যের মান সাধারণত সাধারণ থেকে জটিলের দিকে যেতে হবে।
  12. শিক্ষার্থীদের আবেগময় ও নৈতিকতা যুক্ত প্রশ্ন সমূহ দিকে এগিয়ে চলতে হবে।

4. শ্রেণিকহ্মে প্রশ্নকরনের কারন -

  1. শিক্ষার্থীদের মনে প্রেষনা সঞ্চার করা। 
  2. শিক্ষনের পরিমাপ করতে হবে। 
  3. শিক্ষার্থীদের পূর্ব জ্ঞান যাচাই করা। 
  4. পাঠ্য বিষয়কে আরও কার্যকরী করে গড়ে তোলা। 
  5. শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে যোগাযোগকে আরও দৃঢ় করা। 
  6. শিক্ষার্থীর মনের চিন্তাভাবনাকে বের করে আনা।
  7. শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা মনোভাব গড়ে তোলা।
  8. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাচনিক ও কথনশৈলীর গড়ে তুলতে সহায়তা করা।
  9. যে সমস্ত শিহ্মার্থীরা শিহ্মনে আগ্ৰহ হারিয়ে ফেলেছে তাদের কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে পূনরায় পড়াশোনার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
  10. লাজুক শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠন এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করা।

5. শ্রেনিকহ্মে শিহ্মকের প্রশ্নকরনের গুরুত্ব - 

  1. শিক্ষক মহাশয় শ্রেণিকক্ষে যে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা বা পাঠ করাবেন, তাঁর সুত্রধার হল প্রশ্ন।
  2. শ্রেণিকক্ষে প্রশ্নকরনের মাধ্যমে শিক্ষক মহাশয় তাঁর পাঠদানের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পেয়ে থাকে। 
  3. শ্রেণিকক্ষে মিথস্ক্রিয়া শুধু করার একটি অন্যতম মাধ্যম হল প্রশ্নকরন। 
  4. শিক্ষকের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে প্রশ্নকরন।
  5. শিক্ষার্থীদের মধ্যে অজানাকে জানার ও অচেনাকে চেনার প্রতি কৌতূহল সৃষ্টি করে প্রশ্নকরন।  
  6. শিক্ষার্থীদের নিজস্ব আবেগ,অনুভূতি ও সহানুভূতি পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের সুযোগ এনে দেওয়া। 
  7. শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের গভীরতা যাচাই করা এবং প্রয়োজনে জন্য শিক্ষার্থীদের দিকে প্রশ্ন গুলিকে ছড়িয়ে দেওয়া।
  8. শিক্ষার্থীদের কাজে মনোযোগ আনা(পূর্ব জ্ঞান ভিত্তিক)প্রশ্ন বলে শিক্ষার্থীদের মূল বিষয়ের দিকে এগিয়ে আনা।
  9. শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা রক্ষার কারণে শিক্ষক বা পাঠ্য বিষয়ের দিকে মনোযোগী রচনার জন্য নিজেদের মধ্যে কথার ব্যাঘাত ঘটাতে কিংবা সাবধান করা। 
  10. শ্রেণীকক্ষের সমগ্ৰ শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রক্রিয়ার সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করানো জন্য উৎসাহ প্রদান করা। 
  11. শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিন্তাশক্তিকে উৎসাহ দানের ভাবনা গুলিকে বুঝে নেওয়া,বিভিন্ন ঘটনা গত তথ্য, ধারনা,পদ্ধতি ও বিচার বোধকে বুঝতে সাহায্য করা। 
  12. শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও বোধ দক্ষতাকে যাচাই করা।
  13. লাজুক শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে উৎসাহ প্রদান করা।
  14. শিক্ষার্থীরা কত দূর কাঙ্খিত লহ্ম্যে পৌঁছেছে তা যাচাই করা।
  15. দিনের সমগ্ৰ বিষয়কে বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে আত্মস্থ করানো এবং পাঠের সামগ্ৰিক মূল্যায়ন করা।

6. শ্রেণিকহ্মে প্রশ্নকরনের শ্রেনিবিভাগ -

Aram এবং Rahaman এর দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী তিন ধরনের প্রশ্নকরনের কথা উল্লেখ করা যায়,এগুলি হল -

১. উচ্চ স্তরের ও নিম্নস্তরের প্রশ্ন -

উচ্চ স্তরের প্রশ্নের জন্য প্রয়োজন প্রয়োগ যোগ্যতা বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ বা মূল্যায়ন।অপরদিকে,নিম্ন স্তরের প্রশ্নের জন্য প্রয়োজন একটি মাত্র বিষয় আর তা হল মুখস্থকরন।

২. কেন্দ্র অপসারী ও কেন্দ্রমুখী প্রশ্ন -

কেন্দ্র অপসারী প্রশ্নে একাধিক শুদ্ধ উত্তর নির্দেশ করা হয়।অন্যদিকে কেন্দ্রমুখী প্রশ্নের একটি মাত্র প্রশ্নের উত্তর প্রদান তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ, কিন্তু কেন্দ্রমুখী প্রশ্নের উত্তর প্রদান কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।

৩. কাঠামোযুক্ত ও কাঠামোহীন প্রশ্ন -

কাঠামো যুক্ত প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু ও কাঠামোর মাধ্যমে পৌঁছোতে হয়।অন্যদিকে কাঠামোহীন প্রশ্ন প্রকৃতিগত ভাবে অস্পষ্ট।কাঠামোগত প্রশ্নের বিপরীতে একটি প্রক্রিয়া। সাধারণভাবে একটি অন একটি অনির্দিষ্ট ও অস্পষ্ট সময় বহুল এবং উত্তরদানে ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের এই প্রকার প্রশ্নের গান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে।

B.N.Ghosh এর দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী প্রশ্নগুচ্ছের বিভাগ গুলি হল -

১. নির্দিষ্ট উত্তর ধর্মী প্রশ্ন বা বদ্ধ প্রান্ত প্রশ্ন (Closed Question) -

যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর চিহ্নিতকরণ বা সনাক্তকরণ দ্বারা করতে হয় বা সঠিক মতামতকে সমর্থন করতে হয়।সেই সমস্ত প্রশ্নকে বলা হয় নির্দিষ্ট উত্তর ধর্মী প্রশ্ন বা বদ্ধ প্রাপ্ত প্রশ্ন।এই ধরনের প্রশ্নের শিক্ষার্থীর নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার জায়গা নেই বা প্রয়োজন নেই।

যেমন - সূর্য কোন দিকে উদিত হয় ?

i.পূর্ব দিক (  ) / ii.পশ্চিম দিক (  )।

• সুবিধা -

  • বদ্ধ প্রাপ্ত প্রশ্নমালার উত্তরগুলো সাংকেতিক করন ও বিশ্লেষণ করা যথেষ্ট সহজতর। 
  • উত্তরসমূহ যথার্থই মান সম্মত হয়। 
  • এটি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল। 
  • দ্রুত উত্তর গ্ৰহনের ক্ষেত্রে এটি যথেষ্টই কার্যকরী। 
• অসুবিধা -

  • উত্তর দানের ক্ষেত্রে উত্তরদাতাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। 
  • নির্ধারিত উত্তর সমূহের মধ্যে থেকে একটি উত্তর বেছে নেওয়ার জন্য উত্তরদাতার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে দায়সারা মনোভাব পরিলহ্মিত হয়।
২. মুক্ত প্রাপ্ত প্রশ্ন(Open Question) - 

যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভাষায় প্রকাশ করে,নিজেদের মতামত ব্যক্ত করে এবং বিকল্প একাধিক উত্তর থাকে না।সেই সমস্ত প্রশ্নকে মুক্ত প্রাপ্ত প্রশ্ন বলা হয়।

যেমন - ভারতের বেকার সমস্যা কি কি ? 

  1.  
  2.  
  3.  

• সুবিধা - 

  • উত্তরদাতা নিজের পছন্দ অনুযায়ী উত্তর দিতে সক্ষম হন।
  • একটি প্রশ্নের সম্ভাব্য একাধিক উত্তরের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি যথেষ্টই ফলদায়ক।
  • এই পদ্ধতিতে উত্তরদাতা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে উত্তর প্রদানে সমর্থ হন। 
  • উত্তরদাতাকে উত্তর দানের সমুহ স্বাধীনতা প্রদান করা হয়। 
• অসুবিধা -

  • এই পদ্ধতিতে নানাবিধি অপ্রাসঙ্গিক উত্তর আসার ঝুঁকি থাকে। 
  • বিভিন্ন ব্যক্তির প্রদত্ত উত্তরসমূহ একটি নির্দিষ্ট মানসম্মত হয় না বলেই এর বিন্যাস এবং বিশ্লেষণ অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায় মুক্ত প্রান্তিককরণ অনেক সময় যথেষ্টই কষ্টসাধ্য। 
  • এই পদ্ধতিতে উত্তরদাতারা উত্তর প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক সময় দ্বিধা গ্রস্থ হয়ে পড়েন। 
মুক্ত প্রশ্নের কয়েকটি ভাগ - 
ক. তথ্যগত প্রশ্ন(Factual Question) - 
যে সমস্ত প্রশ্নের মধ্যে মূলত তথ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এবং সাধারনত জ্ঞান পূর্ণ বিচারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়,তাকে তথ্যগত প্রশ্ন বলে।এর মধ্যে পড়ে কে,কি,কোথায়,কখন। যেমন - কবিতাটির/গদ্যটি উৎস গ্রন্থের নাম কি? 
খ. বিস্তৃতিগত প্রশ্ন (Broadening Question) -
যে সমস্ত প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে অতিরিক্ত তথ্য সংযোজনের বা বিশ্লেষণের উৎসাহিত করার জন্য ব্যবহার হয় তাকে বিস্তৃতিগত প্রশ্ন বলে।যেমন শিহ্মন ও শিখন এর মধ্যে সম্পর্ক কোথায়? 
গ. বিচারগত প্রশ্ন(Justifying Question) -
যে সমস্ত প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে পুরাতন ধ্যান ধারণাকে নস্যাৎ করে নতুন কোনো যুক্তি আনার প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।তাকে বিচার গত প্রশ্ন বলে।যেমন তুমি এই বক্তব্যের সমর্থনে তোমার যুক্তি কি? 
ঘ. প্রকল্প ধর্মী প্রশ্ন (Hypothetical Question) -
যে সমস্ত প্রশ্নের মধ্যে দিয়ে নতুন কোনো দিক আবিষ্কারের দিকে লক্ষ থাকে এবং আলোচনার গতিপথটিকে নতুন কোনো দিকে পরিচালিত করার প্রয়াস থাকে।তাকে প্রকল্প ধর্মী প্রশ্ন বলে।যেমন যদি ঘটনাটির পরিনতি এমন হত,তবে কি ঘটতে পারত?
ঙ. বিকল্প উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন(Alternative Question) - 
যে সমস্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে কোনো একটি দলকে নানা বিকল্প উত্তরের মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিতে হয় এবং ভাষার নিরিখে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়।সেই সমস্ত প্রশ্নকে বিকল্প উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন বলে।যেমন জনপ্রিয়তার নিরিখে কোন কবিকে তুমি অগ্রাধিকার দেবে রবীন্দ্র কবিতা না নজরুল কবিতা।

৩. সচিত্র প্রশ্ন(Pictorial Question) - 

যে সমস্ত প্রশ্ন সমূহ উপস্থাপনের জন্য সাধারণভাবে চিত্রের ব্যবহার করা হয়।তাকে সচিত্র প্রশ্ন বলে।সম্পূর্ণ অক্ষরজ্ঞানহীন বা সদ্য পরিচয় প্রাপ্ত শিশুদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ছবির মাধ্যমে এই প্রকার প্রশ্নের উত্তর দানের ব্যবস্থা হয়ে থাকে।যেমন ছোট শিশুদের অক্ষর জ্ঞানের জন্য বিভিন্ন ধরনের চিত্র ব্যবহার করা হয়। 

৪. দ্বৈত্য প্রশ্ন ( Dichotomous Question) -

যে সমস্ত প্রশ্ন সমূহ উপস্থাপনের সময় সাধারণত দুটি বিকল্প উত্তর সমূহের মাধ্যমে করা হয়,তাকে দ্বৈত্য প্রশ্ন বলে।এক্ষেত্রে উত্তরদাতা প্রদত্ত দুটি বিকল্প উত্তর থেকে যে কোনো একটিকে চিহ্নিতকরণ করতে হয়।যেমন ভারতের রাজধানী হল - নিউ দিল্লি(  )/কলকাতা(  )।

৫. প্রধান প্রশ্ন(Leading Question) -

যে সমস্ত প্রশ্ন সমূহ উপস্থাপনের জন্য যে নির্দিষ্ট উত্তর প্রদানের জন্য উত্তর দাতাকে সংকেত প্রদান করে থাকে বা উত্তরদাতাকে উত্তর দানের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যে চালিত করে।তাকে প্রধান প্রশ্ন বলে।

৬. দ্ব্যর্থক প্রশ্ন(Ambiguous Question) - 

যে সমস্ত প্রশ্ন যেখানে প্রশ্নের মধ্যে অস্পষ্টতা বর্তমান এবং বিভিন্ন লোকের কাছে এর অর্থ ভিন্ন হয়।অর্থাৎ এই প্রকার প্রশ্নের একের অধিক অর্থ পরিলক্ষিত হয় বা যা বিভিন্ন উত্তরদাতা বিভিন্নভাবে একে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে।তাকে দ্ব্যর্থক প্রশ্ন বলে।যেমন ভারতবর্ষে দরিদ্রতা কারণ নিজের ভাষায় বর্ণনা করো। 

৭. মিশ্র প্রশ্ন (Mixed Question) - 

যে সমস্ত প্রশ্নসমুহ একই সাথে কিছু প্রশ্ন মুক্ত এবং কিছু প্রশ্ন বদ্ধ প্রকৃতির হয়ে থাকে।এক্ষেত্রে উত্তরদাতা তার পূর্ণ স্বাধীনতা অনুযায়ী উত্তর দিতে সমর্থ হন।অর্থাৎ যে প্রশ্নমালার মধ্যে বদ্ধ প্রাপ্ত ও মুক্ত প্রাপ্ত উভয় প্রকার প্রশ্নমালা সমন্বয়ে গঠিত,তাকে মিশ্র প্রশ্ন বলে। 

৮. ছাঁচ প্রশ্ন(Matrix Question) - 

যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সমূহের ধরন এবং ধাঁচ যদি একই প্রকৃতির হয় তবে নির্দিষ্ট ছক ব্যবহারের মাধ্যমে উত্তর সমূহকে সংগৃহীত করা হয়।যে নির্দিষ্ট ছকের মাধ্যমে উত্তর সমূহকে সংগৃহীত করা হয়।তাকে ছাঁচ বলা হয় আর এই ছকের অন্তর্ভুক্ত প্রশ্নকে ছাঁচ প্রশ্ন বলা হয়।

৯. আনুষঙ্গিক প্রশ্ন(Ancillary Question) -

যে সমস্ত প্রশ্ন পূর্ববর্তী উত্তর সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়,তাকে আনুষঙ্গিক প্রশ্ন বলে।এই ধরনের প্রশ্নের দুটি বিভাগ পরিলক্ষিত হয়।প্রথম বিভাগটির উত্তরের সাপেক্ষে দ্বিতীয় বিভাগের উত্তরদাতা চিহ্নিত হয় এবং উত্তর পাওয়া সম্ভব হয়।পাশাপাশি দ্বিতীয় প্রশ্নটি উত্তরদাতার কাছে প্রাসঙ্গিক কিনা তা প্রথম প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে বিষয়টি নির্ধারিত হয়।মূল প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতার পরবর্তী প্রশ্নের যে প্রয়োজন অনুভূত হয় সেগুলিই হল আনুষঙ্গিক প্রশ্ন।

১০. অপসারী প্রশ্ন(Convergent Question) - 

যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পূর্ব নির্দিষ্ট এবং শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রানুগ প্রকাশ ঘটে,সেই সমস্ত প্রশ্নকে বলা হয় অপসারী প্রশ্ন।

১১. অভিসারী প্রশ্ন(Divergent Question) - 

যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবার সময় শিক্ষার্থীদের তাদের সৃজনশীলতার দ্বারা অনেক সম্ভাবনাময় উত্তর তাদের অভিজ্ঞতার দ্বারা দেয়,সেই সমস্ত প্রশ্নকে অভিসারী প্রশ্ন বলে।এই ধরনের প্রশ্নের একাধিক উত্তর হতে পারে। যেমন ছেলেটি আকাশের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছিল? 

এগুলি ছাড়াও শ্রেণীকহ্মে যে সমস্ত প্রশ্ন শিক্ষক মহাশয় করেন,সেগুলি হল - 

  • ভবিষ্যৎবাণী মূলক প্রশ্ন(Predicative Question)
  • সুস্পষ্ট প্রশ্ন (Clarifying Question)
  • সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (Summarising Question)
  • আকস্মিক প্রশ্ন (Contingency Question)
  • অনুসন্ধান মূলক প্রশ্ন (Probing Question)
  • ব্যবস্থাপনাগত প্রশ্ন (Managerial Question)
  • তাত্ত্বিক প্রশ্ন (Rhetorical Question)
  • অনুভূতি মূলক প্রশ্ন (Affective Question)

7. শ্রেণিকক্ষে প্রশ্নকরনের ক্ষেত্রে শিক্ষকের ভূমিকা -

শ্রেণিকক্ষে প্রধান হলেন শিক্ষক মহাশয়।তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের করে থাকেন।একজন শিক্ষক তার পাঠ্য বিষয়ের নিয়ে আলোচনা করাবেন, তাঁর মূল স্তম্ভ হল প্রশ্নকরন।এই প্রশ্নকরন করার মধ্যে দিয়ে শিক্ষকের যে যে ভূমিকাটি প্রকাশ পায়।সেই গুলি হল -

  1. শিক্ষার্থীদের পূর্ব জ্ঞান পরিমাপ করবে।
  2. শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে জ্ঞান সঞ্চিত আছে সেগুলিকে চিহ্নিতকরণ করা।
  3. শিক্ষার্থীদের পাঠদান কালে যে সমস্ত বাঁধার সৃষ্টি হয় সেগুলিকে দূর করা। 
  4. পাঠের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রশ্ন হতে হবে।
  5. শিহ্মকের একটি ভাবকে কেন্দ্র করেই যেন প্রশ্নটি করা হয় এবং সংক্ষিপ্ত,যথাযথ ও স্বচ্ছ ভাষার।
  6. ট্যাক্সোনমিক স্তরগত বিভিন্নতাকে শিহ্মকের খেয়াল করে যেন প্রশ্নের বিভাজনের ভারসাম্য রক্ষিত হয়। 
  7. শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও আগ্ৰহের সঙ্গে যেন প্রশ্নগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সেইদিকে শিহ্মক মহাশয়ের নজর রাখতে হবে।
  8. শিহ্মার্থীদের মনে রাখার পক্ষে যেন সহজ হয় এমন সংক্ষিপ্ত আকারে প্রশ্ন করতে হবে শিহ্মকের।
  9. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন যেন সমানভাবে বন্টন করতে হবে শিহ্মকের। 
  10. শ্রেণিকক্ষে প্রশ্ন করার সময় এমন একটি পরিস্থিতি তৈরী করতে হবে যাতে বোঝা যায় যে শিক্ষক মহাশয় উত্তরটির জন্য বিশেষভাবে অপেক্ষা করে আছে। 
  11. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য হল জানার চেষ্টা করা যে শিক্ষার্থীর কোনো যুক্তিতে কোনো প্রশ্নের ভুল উত্তর দিল। 
  12. শিক্ষক মহাশয়ের প্রশ্ন করার সময় সচেতন থাকতে হবে। 
  13. কোন শিহ্মার্থী কতদূর কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাছে তা যাচাই করা।
  14. শ্রেনিকহ্মে দিনের সমগ্ৰ বিষয়টিকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে আত্মস্থ করানো।
  15. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাচণিক এবং কথনশৈলীর বোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
  16. শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ও বোধ দহ্মতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
  17. শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

8. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যায় যে,একটি শ্রেণিকক্ষে প্রশ্নকরন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রশ্নকরনের মাধ্যমে একদিকে যেমন শিক্ষকের পাঠদান কৌশল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় তেমনি শিহ্মার্থীদের বাচনিক ও কথনশৈলীর বিকাশ সাধন ঘটে।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post