Population Explosion||জনবিস্ফোরণ

Population Explosion||জনবিস্ফোরণ

Population Explosion||জনবিস্ফোরণ

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Population Explosion cause, impact and control, Relationship Between Population Explosion And Education
Population Explosion

Assignment Questions -

1. What is the Optimum Population? 

2. What is over Population?

3. What is under Population? 

4. What is a Population Explosion? 

5. Write Down about the reasons for the increase in Population Explosions. 

6. Write Down about the effects of the Population Explosion.

7. Explain the relationship between Education and Population Explosion.

(*** ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

Population Explosion

BENGALI VERSION -

1. ভূমিকা -

যে কোনো দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হল মানুষ। মানুষের সংখ্যাকে বলা হয় জনসংখ্যা। ইংরেজি 'Population' শব্দটি বাংলা প্রতিশব্দ হল জনসংখ্যা। জনসংখ্যা সংজ্ঞা বলতে বোঝায়,"একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একই প্রজাতি ভুক্ত সমস্ত জীবের একত্রিত সমাবেশকে।" একে জনসংখ্যা বলে।তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির লহ্ম করা যায়।এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির মূলত ৪ প্রকার লহ্ম করা যায়।

১. কাম্য জনসংখ্যা (Optimum Population)-

যে কোনো দেশেরই কার্যকারী জমি ও উৎপাদিত সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমান জনসংখ্যার চাপ বহন করার হ্মমতাকে বোঝায়।এই নির্দিষ্ট পরিমান জনসংখ্যাকে কাম্য জনসংখ্যা বলা হয়।কাম্য জনসংখ্যা বলতে এমন এক জনসংখ্যাকে বোঝায় যার ফলে জীবনযাত্রার মান ও মাথাপিছু আয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়। জাতীয় সম্পদ, সম্পদের বন্টন। জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান,সম্পদ আহরন ও তার ব্যবহারের যোগ্যতা সম্পন্ন জনশক্তি ইত্যাদি কাম্য জনসংখ্যা হল সেই জনসংখ্যা,যার বৃদ্ধিতে দেশে জনাধিক্য ঘটে ও হ্রাসে জন বিরলতা সৃষ্টি হয়।

২. অধিক জনসংখ্যা (Over Population)-

যে কোনো দেশের প্রাপ্ত ও সম্ভাব্য সম্পদ ও সম্পদ সরবরাহের বা বন্টনের ভিত্তিতে জনসংখ্যাকে বিচার করা হয়। দেশের প্রাপ্ত সম্পদ ও সম্ভাব্য সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হলে তাকে অধিক জনসংখ্যা বলে। উদাহরণ - ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ, পাকিস্তান মতো উন্নয়নশীল দেশ।

৩.স্বল্প জনসংখ্যা (Under Population)-

যে কোনো দেশ বা অঞ্চলের সম্পদের পূর্ণ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জনসংখ্যার থেকে কম হলে তাকে জন বিরলতা বা স্বল্প জনসংখ্যা বলে। অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যা যদি আদর্শ কাম্য জনসংখ্যার চেয়ে কম হয়,তখন তাকে জন বিরলতা বলে।এটি জনসংখ্যার এমন একটি স্তর যে পর্যায়ে দেশের প্রাপ্ত ও সম্ভাব্য সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যার পরিমান কম থাকে।এহ্মেত্রে জনসংখ্যার তুলনায় কার্যকরী জমির পরিমান বেশি হয়। উদাহরণ অস্ট্রেলিয়া,কানাডা,নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি।

৪. জন বিস্ফোরণ (Population Explosion)-

জনাধিক্যের চরম পরিনাম হল জনবিস্ফোরণ। যেকোন দেশের অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে জনসংখ্যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যখন তাকে জনবিস্ফোরণ বলে। সাধারণত দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বার্ষিক 2% এর বেশি হলে জনবিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে পৃথিবীর অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে যেমন ইথিওপিয়া, পাকিস্তান, উগান্ডা প্রভৃতি দেশে এই অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার 2% কম হলে যেমন ভারতবর্ষ,বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশে বিগত দুই তিন দশকে জনসংখ্যা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে,একে জনবিস্ফোরণ বলা হয়। জনবিস্ফোরণ দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা কে তছনছ করে দেয়,দেশের জন্য সীমাহীন দুর্গতি বয়ে আনে এবং সবকিছুতেই একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করে।

       এখানে জনবিস্ফোরণ বৃদ্ধি কারণ ও ফলাফল এবং তার নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বর্ণনা করা হল এবং শিক্ষার সঙ্গে জনবিস্ফোরণের সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হল।

2. জনবিস্ফোরণ বৃদ্ধির কারণ -

জনবিস্ফোরণের বৃদ্ধির পেছনে যে সমস্ত কারণ গুলি রয়েছে,সেগুলি হল -

১. দরিদ্র পরিবেশ এবং উন্নত পারিপার্শ্বিকতার অভাব -

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ জনগনই দরিদ্র এবং দরিদ্র সীমারেখা নিচে অবস্থান করে।ফলে এই সমস্ত দরিদ্র পরিবারের আয় বৃদ্ধির আশায় পিতা-মাতারা সন্তান সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিত রাখা অধিকতর লাভজনক বলে মনে করেন। যার ফলে জনসংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়।

২. অনুন্নত জীবনযাত্রার মান -

উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র এবং তাদের জীবনযাত্রার মানের খুব নিম্নমানের।এই দেশের বেশিরভাগ মানুষ জীবিকা হল কৃষিজীবী। ফলে বহু কৃষক তাদের জমিতে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রচুর কৃষক ও অর্থ প্রয়োজন হয়। তাই তারা অধিক সন্তান জন্ম দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করে।

৩. অজ্ঞাত ও নিম্নমানের শিক্ষাব্যবস্থা -

উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জনসংখ্যা মানুষেরা অধিকাংশই নিরক্ষর।উপযুক্ত শিক্ষার অভাবে এখনও বহু গ্রামে অধিক সন্তানের জন্ম হচ্ছে।এভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কী রুপ ধারণ করবে সেই সম্পর্কে তারা অজ্ঞাত। 

৪. সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার -

জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি বড়ো কারণ হল সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার।বর্তমানে ভারতের অধিকাংশ গ্রাম এখনও কুসংস্কারের বেড়াজালে বন্দী। এর প্রধান কারণ হল শিক্ষার অভাব।

৫. কর্মসংস্থানের অভাব -

উন্নয়নশীল দেশগুলিতে পুরুষ নারী উভয়েরই কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে এবং অধিকাংশ নারী গৃহবন্দি এবং অশিক্ষিত‌।ফলে তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল সম্পর্কে ধারনা থাকে না।যার ফলে দেশের জনসংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়। 

৬. বৃদ্ধ বয়সে নিরাপত্তার অভাব -

উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সমাজ ব্যবস্থার নির্ভরশীল জনসংখ্যার সংখ্যা বেশি।অনেকে পিতামাতা মনে করেন বৃদ্ধ বয়সে সন্তানরা তাদের ভরণপোষণ,দেখাশোনা করবে।তাই একাধিক কন্যা সন্তান থাকা সত্ত্বেও পুত্র সন্তানের আশায় বারবার সন্তানের জন্ম দেয়।

৭. অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ ও বহু বিবাহ -

ভারতবর্ষের মতো উন্নয়নশীল দেশের বিবাহের সর্বনিম্ন ছেলের বয়স 21 বছর এবং মেয়ের বয়স 21 বছর (2021 এ ডিসেম্বর মাসে অধিবেশনে) নির্ধারিত করা হয়েছে।অথচ শহরে ও গ্রামে অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ ও বাল্য বিবাহ, বহুবিবাহ মতো ঘটনা ঘটছে।এই বয়সে (12-20 বছর) সন্তান প্রজনন ক্ষমতা বেশি বয়সে (20-45 বছর) সন্তান প্রজনন হ্মমতা অপেক্ষায় এক-চতুর্থাংশ বেশি থাকে।

৮. প্রাকৃতিক পরিবেশ ও আবহাওয়া -

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ ও আবহাওয়া।উষ্ণ জলবায়ুতে বেশি সন্তান উৎপাদনে সহায়ক।

৯. বহিরাগত আগমণ - 

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল বহিরাগতদের আগমন।এই দেশে বাংলাদেশীদের ব্যাপকহারে আগমন ঘটে।আসলে ভারতবর্ষ খুবই সহানুভূতিশীল রাষ্ট্র।তাই বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে আশ্রয় গ্রহণ করে।ফলে অধিক জনসংখ্যার সৃষ্টি হয়।

১০. শান্তি -

1860 থেকে 1960 খ্রিস্টাব্দে পর্যন্ত বিশেষ করে ব্রিটিশ রাজত্বে ভারতবর্ষের অবস্থা শান্ত ছিল, তেমন কোনো যুদ্ধ দেখা যায় নি।এই শান্ত অবস্থায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষে অনুকূল।

১১. মৃত্যুর হার অপেক্ষায় জন্ম হার অনেক বেশি -

জনসংখ্যা বৃদ্ধি নির্ভর করে জন্ম না মৃত্যু কোনটির হার অধিক তার ভিত্তিতে। জন্মহার বলতে বোঝায় প্রতি হাজার জন জীবিত জনগণের মধ্যে কতজন শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। একই ভাবে মৃত্যুর হার হল প্রতি হাজার জনের মধ্যে কতজনের মৃত্যু হয়েছে।তবে মৃত্যুর হার বেশি হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে Cov-19 পরিস্থিতিতে মৃত্যুর হার লক্ষ করা যাচ্ছে। 

১২. চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি -

চিকিৎসা ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নতির ফলে মৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।যেমন কলেরা,ম্যালেয়িরা,যক্ষা রোগ আক্রান্ত ব্যক্তি গনের অধিকাংশই ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছে এবং এই সব সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরা পুনরায় সন্তান উৎপাদন করেছেন যার ফলে জনসংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১৩. পরিবার পরিকল্পনার প্রতি সচেতনতার অভাব -

বিবাহিত নারী এবং পুরুষের (বিশেষ করে পুরুষদের) মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব লক্ষ করা যায়।নিরক্ষর জনগণ জন্ম নিরোধের ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন নয়।আবার অনেকেই মনে করেন একাধিক শিশু মানেই একাধিক কাজের হাত হবে এবং পরিবারের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। 

১৪. যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি ব্যবস্থার উন্নতি -

বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার ফলে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণে সহজ হয়ে উঠেছে। একইভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবস্থার সহযোগিতায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সহযোগিতায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।যার ফলে খাদ্য এবং পুষ্টির যোগান সহজ হয়ে উঠেছে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

১৫. সরকারি নীতির ত্রুটি - 

জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ হল সরকারী জনকল্যাণ নীতি।পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পরিবার পরিকল্পনা  নীতি গৃহীত হলেও সরকারের পক্ষে থেকে পরিবার পরিকল্পনার নীতি প্রতি তেমন প্রচার করা হয় নি।যা জনসাধারণের একটা বড়ো অংশ এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল না।

3. জনবিস্ফোরণের প্রভাব -

জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নানা প্রভাব লক্ষ্য করা যায়,সেই গুলি হল -

১. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জমি উপর অত্যাধিক চাপ -

উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যার আধিক্যের ফলে জমির উপর চাপের সৃষ্টি হচ্ছে।যেহেতু প্রয়োজন মতো জমি বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।তাই জন্মহার যত বেশি হবে নির্দিষ্ট জমির উপর চাপ ততই বৃদ্ধি পাবে।

২. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও খাদ্যের ঘাটতি -

দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্য ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। যদিও আমাদের খাদ্যের যোগান যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, তবুও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জনসংখ্যার পক্ষে তা যথেষ্ট নয়।এই কারনেই আমাদের দেশে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন পুষ্টির অভাবে দেখা যায়।

৩. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও গৃহ সমস্যা -

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতিটি পরিবারের জন্য উপযুক্ত বাসস্থানের অভাব দেখা দিয়েছে।প্রতি বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভারতে গৃহের সমস্যা লক্ষ করা যায়। 

৪. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বেকারত্ব সমস্যা -

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে নতুন শিশুদের কেবলমাত্র খাদ্যে আর আশ্রয়ের প্রয়োজন হয় না প্রয়োজন হয় আগামী দিনের তাদের উপার্জনের সুযোগ করে দেওয়া অর্থাৎ চাকুরির ব্যবস্থা।যা সমস্যার সমাধান করা সহজ নয়।জনসংখ্যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবার ফলে প্রতি বছর অনেক চাকুরির বাজারে প্রবেশ করেছে ফলে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

৫. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও শিক্ষার হার -

বর্তমানে ভারতবর্ষে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেলেও পূর্ণ সাক্ষরতা অর্জন করতে পারে নি জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে। যত সংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, শিক্ষকের এবং শিক্ষা উপকরণের প্রয়োজন তা সরবরাহ করা সম্ভব হয় নি।যার ফলে ভারতবর্ষে নিরক্ষরতা থেকে মুক্ত হতে হয়ে উঠতে পারি নি।

৬. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অসুস্থতা -

ভারতবর্ষের কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকে দারিদ্র নয়, শারীরিক স্বাস্থ্যের দিক থেকেও পিছিয়ে আছে।যে পরিমাণে চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত থাকা প্রয়োজন তার অত্যন্ত অভাব।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যে 50000 জন ব্যক্তির জন্য 1 হাসপাতাল এবং 5000 জন ব্যক্তির জন্য  একটি মাত্র ডাক্তার।আবার অপর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে শহর অঞ্চলে 70 শতাংশ এবং গ্রাম অঞ্চলে 20 শতাংশ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়। 

৭. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সামাজিক অবক্ষয় -

জনবিস্ফোরণের ফলে দারিদ্র ও বেকারত্ব বেড়েছে, মানুষ তার মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে সমাজে হতাশা,হ্মোভ ও অস্থিরতা বাড়ছে।মানুষ নৈতিকতা বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়েছে।ন্যায় - অন্যায় বোধ হারিয়ে যাচ্ছে,অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে,বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ (চুরি,ডাকাতি, শ্রীলতাহানি, চোরাচালান, মাদক সেবা,নারী নির্যাতন, নারী পুরুষের অবৈধ মেলামেশা বৃদ্ধি পায়।

৮. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান - 

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার মানের সম্পর্কে গভীর।জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মানুষের আয় বৃদ্ধি পায় না।ফলে স্বল্প আয়ে অধিক সংখ্যক মানুষের ভরণপোষণ করতে হয়,মানুষ সুন্দর ভাবে ও সন্তোষজনকভাবে জীবনযাত্রা করতে পারে না।ফলে জীবনযাত্রার মানের নিম্নগামী হয়।

৯. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব -

অধিক জনসংখ্যা জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির উপর একটি কুপ্রভাব লক্ষ্য করা যায়।ভারতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার  চাহিদা অনুপাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটছে না।ফলে জনস্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের বসবাস করে বাধ্য হয়,ভালো ও পুষ্টিকর খাবারের অভাবে মানুষ নানা রকম রোগ ব্যাধিতে ভুগতে থাকে।এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি জনিত সমস্যা জনস্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়।  

১০. জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর প্রভাব -

অধিক জনসংখ্যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।অধিক জনসংখ্যা চাপে মাথাপিছু জমির পরিমাণ কমে যায়।কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন হ্রাস পায়। আবার সীমিত আয় ও কর্মসংস্থানের উপর চাপ বৃদ্ধি পায়।ফলে দারিদ্রতা ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়।যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ব্যাহত করে।

4. জনবিস্ফোরণের নিয়ন্ত্রনের উপায় -

জনবিস্ফোরণের নিয়ন্ত্রনের উপায় গুলি হল -

ক. সামাজিক গত -

জনবিস্ফোরণের নিয়ন্ত্রনের সামাজিক উপায় গুলি হল -

১. বাল্যবিবাহ কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি -

ভারতবর্ষে মতো উন্নয়নশীল দেশের শহর ও গ্রাম অঞ্চলে বাল্যবিবাহের প্রথাকে বন্ধ করা হচ্ছে। যাতে জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।তাই ছেলে ও মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্কের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২. জন্ম নিয়ন্ত্রন সম্পর্কিত গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূরীকরণ -

আমাদের দেশের সমাজ আজও কুসংস্কার,ধর্মীয় বিশ্বাস, একান্নবর্তী পরিবার প্রভৃতি মান্য করে। পুত্র সন্তান ধারণের মানসিকতা ও অল্প বয়সে বিবাহ ইত্যাদি এখনও প্রচলিত।তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন এই গুলি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূরীকরণ করা।

৩. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির -

দেশের জনগণের মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বোধ গঠনের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। যাতে জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

৪. নৈতিক নিয়ন্ত্রন করন -

দেশের জনসংখ্যা সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সামাজিক নৈতিক ন্যায় অন্যায় প্রভৃতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।যাতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

৫. জীবন যাপনের মান বৃদ্ধি -

এই সমস্ত দেশে খাদ্য ও পুষ্টি বাসস্থান শিক্ষা কর্মসংস্থান প্রভৃতির মাধ্যমে তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করলে তাদের জীবন যাপনের মান বৃদ্ধি হবে।

খ. শিহ্মাগত -

জনবিস্ফোরণের নিয়ন্ত্রনের শিক্ষাগত উপায় গুলি হল -

১. সর্বজনীন বিদ্যালয় শিক্ষার প্রসার -

বর্তমানে ভারতে সবার শিক্ষার অধিকার এবং সর্বশিক্ষা অভিযানের মাধ্যমে সকলের জন্য সার্বজনীন বিদ্যালয় শিক্ষার প্রসার ঘটানো হচ্ছে।যাতে শিক্ষার মাধ্যমে জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

২. বয়স্ক শিক্ষা তথা সমাজ শিহ্মার প্রসার -

শিক্ষার অধিকার আইন দ্বারা প্রত্যেক শিশুকে 6 থেকে 14 বছরের শিক্ষা বাধ্যতামূলক এবং অবৈতনিক করা হয়েছে। উচ্চতর শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। সমাজে নিরক্ষর মানুষদের জন্য অর্থাৎ বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার আয়োজন করা হচ্ছে।

৩. জন শিহ্মার প্রসার -

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশের জনশিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে।

৪. নারী শিক্ষার প্রসার -

শিক্ষাব্যবস্থা নারীদের শিক্ষার প্রসার ঘটানো হচ্ছে। যাতে নারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও সচেতনতা বোধ গড়ে ওঠে। প্রজননের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি সচেতন।তাই নারী শিক্ষা প্রসারে একান্ত জরুরী।

৫. উপযুক্ত অবসর বিনোদনের শিক্ষার ব্যবস্থা -

শুধুমাত্র শিক্ষাব্যবস্থা প্রসার করাই নয়,উপযুক্ত অবসর বিনোদন শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গ. সরকারী নীতি গত -

জনবিস্ফোরণের নিয়ন্ত্রনের সরকারী নীতি গত উপায় গুলি হল -

১. পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি - 

ভারতের জনসংখ্যা নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পরিবার পরিকল্পনা। নির্দিষ্ট ব্যক্তি কে উৎসাহিত দিও অধিকাংশ সন্তানের পিতা মাতাকে নিরুৎসাহিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা পরামর্শের জন্য সরকার দুর দুরান্তে পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র গড়ে তুলেছে।

২. সরকারী পর্যায়ে ছোটো পরিবার গঠন -

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি পরিবারের ছোট পরিবার গঠনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যাতে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. পরিবার পরিকল্পনা স্বপহ্মে গনমাধ্যমের প্রচার -

জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য রেডিও দূরদর্শন সংবাদপত্র এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে জনসংখ্যা সংক্রান্ত সংবাদ সরবরাহ এবং পরিবার পরিকল্পনা স্বপক্ষে প্রচার করা।

৪. বহিরাগত আগমণ বন্ধ -

ব্যাপকহারে বহিরাগতদের আগমন ও অনুপ্রবেশকারীদের আসা বন্ধ করতে হবে এবং সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

ঘ. আর্থিক গত -

জনবিস্ফোরণের নিয়ন্ত্রনের অর্থনৈতিক উপায় গুলি হল -

১. দারিদ্রতা দূরীকরণ  -

জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি দরিদ্রের প্রবণতা প্রকট করে। তাই সরকারের উচিত কাজের অধিকারকে বল বধ্য করা এবং প্রতিটি ব্যক্তির জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় মজুরি প্রদানের সুনিশ্চিত করা। তাতে দারিদ্রতার পরিমাণ দূরীকরণ করা সম্ভব হবে।

২. কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়া -

শিল্পক্ষেত্রে শ্রমিক নিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের অতিরিক্ত সন্তানদের এবং কৃষিক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত শ্রমিকের শিল্পক্ষেত্রের নিয়োগকে জনসংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয়।তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

৩. মহিলাদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা -

কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে নারীদের মধ্যে শিক্ষা ও সচেতনতাবোধ গড়ে উঠবে।

৪. দ্রুত শিল্পায়ন -

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দ্রুত শিল্পায়নের ফলে কর্মসংস্থান শিক্ষা পরিবার পরিকল্পনা প্রভৃতি সম্পর্কে সচেতন হবে।

5. শিক্ষা ও জনসংখ্যা বিস্ফোরণের সম্পর্ক - 

• সূচনা - 

জনসংখ্যা হল দেশের সম্পদ।তাই জনসংখ্যাকে দক্ষ করার জন্য দরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা। দেশের জনসাধারণকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলে একদিকে যেমন সম্পদে পরিণত হয়, অন্যদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যায়। কারণ শিক্ষিত মানুষ যেমন নিজের সম্পর্কে সচেতন থাকে, দেশের সম্পর্কেও তেমনই সচেতন থাকে।সুতরাং শিক্ষা ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।এই সম্পর্কটি নিন্মে আলোচনা করা হল - 

১. জনসংখ্যা ও শিক্ষার হার - 

যে দেশে জনগণ মধ্যে শিক্ষার হার যত বেশি, সেই দেশের জনসংখ্যা ততই কম।আবার যে দেশে শিক্ষার হার কম সেই দেশের জনসংখ্যা ততই বেশি হবে।

২. জনসংখ্যা ও লেট ম্যারেজ -

জনসংখ্যা শিক্ষিত হলে বিয়ের বয়স পিছিয়ে যায়।একে বলা হয় লেট ম্যারেজ।এর ফলে তারা দেরি করে বিয়ে করে এবং তারা বেশি সন্তান নিতে পারে না।আমাদের দেশে শিক্ষিত লোকদের মাঝে এই প্রবণতা লক্ষ করার মতো।তারা সাধারনত 25 বছর পার না হলে বিয়ে করে না।তাই জনসংখ্যার সীমিত থাকে এবং এতে জন বিস্ফোরণ ঘটায় সম্ভাবনা কম থাকে।

৩. জনসংখ্যা ও নারী শিক্ষা -

একজন শিক্ষিত নারী সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় বেশি সচেতন।তাই নারীরা শিক্ষিত হলে তারা সচেতন থাকে এবং সন্তান সংখ্যা সীমিত রাখে।আমাদের দেশে শিক্ষিত নারীদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা লক্ষ করা যায়।সুতরাং নারী শিক্ষার সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সম্পর্কে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। 

৪. জনসংখ্যা ও নারী কর্মসংস্থানের প্রবেশ - 

যে সমস্ত নারীরা কর্মক্ষেত্রে কাজ করে,তার সন্তান সংখ্যা কম থাকে।সে চেষ্টা করে কম সন্তান নেবার।এক্ষেত্রে শিক্ষার ভূমিকা অনন্য।দেশের মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করানোর জন্য উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান জরুরি। তাদের শিক্ষা প্রদান করে দক্ষ করে তুললে তারা কাজে প্রবেশ করবে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।

৫. জনসংখ্যা ও শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাঘাত -

যে দেশের জনসংখ্যা কম হবে সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভালো হবে।আর যে দেশের জনসংখ্যা বেশি, সেই দেশের শিক্ষা প্রদানও সমস্যা হয়।কারণ দেশের স্বল্প সম্পদ দেশের জনগণকে শিক্ষিত করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে,অধিক জনসংখ্যা শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

৬. জনসংখ্যা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংখ্যা -

যে দেশের যত বেশি জনসংখ্যা হবে তাদের জন্য বেশি বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরকার হয়।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং পরিচালনা করা ব্যয়সাধ্য ব্যাপার।যে দেশের জনগণের তুলনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম থাকায় একদিকে অশিক্ষিত জনসংখ্যা বাড়ছে,অন্যদিকে তাদের দ্বারা জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৭. জনসংখ্যা ও কুসংস্কার -

যে দেশের জনগণ শিক্ষিত তারা কুসংস্কার হইতে মুক্ত। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তিরা মনে করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কোনো প্রয়োজন নেই।যিনি মুখ দিয়েছেন তিনি আহার দেবেন।তাই জনগণ যদি প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তাহলে এই সব কুসংস্কার এবং ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্তি পাবে।যার ফলে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে। 

                পরিশেষে বলা যায় যে,শিক্ষা ও জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।শিক্ষা ও জনসংখ্যা বিস্ফোরণ সম্পর্কে ব্যস্ত আনুপাতিক। সুতরাং জনগণকে যদি শিক্ষিত করা যায় তাহলে জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

6. উপসংহার -

বর্তমানে ভারত তথা উন্নয়নশীল দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি যেভাবে সংঘটিত হচ্ছে তাতে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি যে খুব অনুকূল হবে তা আশা করা যায় না।তাই এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা একান্ত প্রয়োজন।তবে ভারত এখন যেভাবে অগ্রগতি পথে এগোচ্ছে তাতে আশা করা যায় দ্রুত এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির সংকটময় পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে। 11ই জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করা প্রয়োজন।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post