ভারতে পারিবারিক যৌন নির্যাতন বা হেনস্থা||Sexual Harrasment or Abuse in Family In India.
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Sexual Harrasment In Family (Concept, Reasons, Effect And Prevention) |
Assignment Questions -
1. পারিবারিক যৌন নির্যাতন বা হেনস্থা সম্পর্কে লেখ।||Write Down About The Sexual Harrasment in Family.
2. পারিবারিক যৌন নির্যাতনের কারন গুলি লেখ।||Write Down The Reasons Of Sexual Harrasment in Family.
3. পারিবারিক যৌন নির্যাতনের ফলে কি কি প্রভাব লহ্ম করা যায়।||Discuss The Effect Of Sexual Harrasment in Family.
4. যৌন নির্যাতনের প্রতিকারে পরিবারের ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা প্রদান কর।||Discuss The Role Of Family To Prevention Of Sexual Harrasment.
5. পারিবারিক যৌন নির্যাতনের প্রতিকারে সরকারী পদহ্মেপ গুলি লেখ।||Discuss The Role Of Government To Prevent The Sexual Harrasment.
Sexual Harrasment In Family||পারিবারিক যৌন নির্যাতন
BENGALI VERSION -
(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)
1. ভূমিকা -
ভারতবর্ষ হল একটি জনবহুল রাষ্ট্র(জনসংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয়)।ভারতীয় সমাজব্যবস্থার মধ্যে যে সমস্ত সমস্যা দেখা যায়,তার মধ্যে অন্যতম হল যৌন নির্যাতন বা যৌন হেনস্থা।আর এই যৌন নির্যাতনের মূলত নানাভাবে হয়ে থাকে।এর মধ্যে অন্যতম হল পারিবারিক ভাবে যৌন নির্যাতন,যা নিম্মে তা আলোচনা করা হল।
2. পারিবারিক যৌন নির্যাতন -
পরিবার হল মানুষের সংঘবদ্ধ জীবন যাপনের এক বিশ্বজনীন রূপ। পরিবারে পিতামাতা ও তাদের সন্তান সন্ততিদের কেন্দ্র করে হতে পারে। আবার একসঙ্গে বসবাসরত আত্মীয় স্বজন সমবায়ে একটি প্রসারিত পরিবার হতে পারে। পরিবারে শিশু ও নারী ভরসার স্থল হওয়ার সত্তেও পরিবারে যৌন নির্যাতনের ঘটনা প্রাচীনকাল থেকে ঘটে আসছে।ফলে নারী ও শিশুরা প্রায় সম্পূর্ণ রূপেই গৃহে আবদ্ধ থাকত তখনও তারা নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পায়নি।এই সমস্ত ঘটনাগুলি পরিবারের অন্তরালে থেকেই যেত কিন্তু অল্প কিছুকাল আগে পরিবারিক যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। পারিবারিক যৌন নির্যাতনের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় গৃহবধূ নির্যাতন,ধর্ষণ(শিশু ও নারী),বিবাহিত নারীদের হয়রানি,নারীর শ্লীলতাহানি,নারী পাচার ও পতিতাবৃত্তি, শিশু পাচার ইত্যাদি।বহিরাগত বন্ধু,পারিবারিক বন্ধু, সম্পর্কিত ভাই,অন্য আত্মীয়-স্বজন এমনকি নিজের আপনজনের কাছে বা স্বামীর কাছে যৌন নির্যাতন হওয়ার ঘটনা এখন আর ততটা বিরল নয়,পরিবারের অতি আপনজন ও সদস্যদের কাছ থেকে যৌন নির্যাতন বা হয়রানির ঘটনাগুলি ছিল অপ্রত্যাশিত কিন্তু তথাপি এই পরিবারেই ঘটে চলেছে এই ঘৃণ্য অপরাধ গুলি সবচেয়ে বেশি।এই চিত্র শুধুমাত্র কোনো একটি দেশ বা সমাজ ব্যবস্থার নয় সারা বিশ্বের নানা প্রান্তে এই ঘটনা ঘটে চলেছে।যৌন নির্যাতনের প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করার জন্য আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিবাহ সম্পর্কিত ধর্ষণ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে বোঝা যায় যে অসংখ্য ভারতীয় নারী শুধুমাত্র নিজের স্বামীর হাতে নির্যাতিত হয় যৌন কারণে।সুতরাং গৃহ যা মানুষের মানসিক শান্তির জায়গা,স্বস্তি ও নিরাপদে বাস করার জায়গা, সেখানে থাকে প্রতি মুহূর্তে নির্যাতনের আশঙ্কা এবং প্রকৃত নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
3. পারিবারিক যৌন নির্যাতনের কারন -
পারিবারিক যৌন নির্যাতনের কারন গুলি হল -
- পরিবারের বেশিরভাগ ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার অভাব লহ্ম করা যায়।
- দারিদ্রতা হল যৌন নির্যাতনের অন্যতম একটি কারণ।
- বাল্য বিবাহ যৌন নির্যাতনের কারন।
- স্বামীর বাড়ি থেকে স্ত্রী বাড়ির উপর অতিরিক্ত পণের চাহিদার ফলে ঘটে থাকে।
- পুত্র সন্তানের প্রতি আকাঙ্খা জন্য হয়ে থাকে।
- ভ্রুণ হত্যা।
- মানসিক স্বাস্থ্যের বিকৃতি জন্য হয়ে থাকে।
- এছাড়াও পারিবারিক ভাবে বা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের যৌন চাহিদার জন্য নারী ও শিশুদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
Statista Research Department পরিসংখ্যান নিরিখে বছর প্রতি ধর্ষনের মামলা।
Year Case Report
2005 18,359
2010 22,172
2011 24,206
2012 24,923
2013 33,707
2014 36,735
2015 34,651
2016 38,947
2017 32,559
2018 33,356
2019 32,032
2020 28,046
উপরোক্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে ধর্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু সমস্ত আইন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা থাকা সত্বেও ধর্ষণ হওয়া বন্ধ হয় নি।2019 সালে নিরিখে ভারতে প্রতি 16 মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।এই সংখ্যা 2018 সালে 15 মিনিট ছিল।
- যে নারী বা শিশু ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন নির্যাতনের হয়, তাদের মধ্যে প্রায়শই দীর্ঘ মেয়াদী মানসিক প্রভাব লহ্ম্য করা যায় (বিশেষত শিশু নির্যাতনে)
- যে সমস্ত নারীরা ও শিশুরা মধ্যে শারীরিকভাবে ট্রমা লহ্ম্য করা যায়।
- যারা এই নির্যাতনের নির্যাতিতা হন, তাদের মধ্যে রাগ, দুশ্চিন্তা, লজ্জা,ভয়,বিষন্নতা, মেজাজ গত পরিবর্তন,নিঃসঙ্গতা , নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলার মতো নানা মানসিক সমস্যা লহ্ম্য করা যায়।
- যে সমস্ত নারীরা একজন অংশীদার দ্বারা ধর্ষণ বা শারীরিক সহিংসতার অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন তাদের ঘন ঘন মাথা ব্যাথা, দীর্ঘ স্থায়ী ব্যথা,ঘুমের অসুবিধা,ক্রিয়াকলাপ সীমাবদ্ধতা দুর্বল শারীরিক স্বাস্থ্য এবং দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিবেদন করার জন্য এই সহিংসতার অভিজ্ঞতার নেই এমন লোকদের চেয়ে বেশি হয়।
- অনেক সময় দেখা যায়, নির্যাতিতারা লোক লজ্জার ভয়ে বা ভীতি জন্য তেমন কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ফলে নির্যাতনকারী ব্যক্তিদের অপরাধে সাহস আরো জোরালো করতে সহায়তা করে।
5. যৌন নির্যাতনের প্রতিকারে পরিবারের ভূমিকা -
নারীর কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সুবিধা গুলি বৃদ্ধির সাথে প্রয়োজন কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন।এই ধরনের কিছু দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার নিয়ে বর্তমানে বহু পরিবার এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। দায়িত্ব গুলি হল -
- পুরুষের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নারীকে অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করে তোলা এবং এজন্য নারীকে শিহরিত করে তোলা।
- গতানুগতিক সামাজিক মূল্যবোধ গুলিকে পূর্ণ মূল্যায়ন করে আরও বেশি আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তোলা।
- গৃহ পরিবেশে অবস্থান কারী গৃহবধূ নারীর গৃহস্থালির কর্ম গুলিকে যথাযথ মূল্য দেওয়া স্বীকৃতি প্রদান করা এবং নারীকে পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সমম্বিত পরিস্থিতি গড়ে তোলা।
- পারিবারিক পরিস্থিতিতে নির্যাতিতা নারীর যথাযথ প্রতিকারের ব্যাপারে উদার মানসিকতা হওয়া এবং প্রয়োজনীয় পূর্ণ বাসনের ব্যবস্থা গ্ৰহন করা।
- পারিবারিক হ্মেত্রে নারীর হ্মমতায়নের বাধা গুলিকে দুর করে হ্মমতা লাভের পথকে প্রশস্ত করে তোলা।
- পরিবারে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বৈষম্যহীন গনতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে।
- পরিবারে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বৈষম্যহীন গনতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা প্রতিষ্ঠার সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে।
- প্রতিটি পরিবারের পিতামাতার উচিৎ তাদের সন্তানদের শারীরিক স্পর্শের কোনটি খারাপ স্পর্শ আর কোনটি ভালো স্পর্শ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করতে হবে।
- শিশু বিবাহ নিষিদ্ধ আইন - 1929(সংশোধিত হয়,1979)
- অবৈধ পাচার সংক্রান্ত আইন - 1956
- পণ প্রথা রোধ আইন - 1961
- গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন - 1971
- পণ জনিত কারনে বধু হত্যা আইন - 1998
- গর্ভাবস্থা পরীক্ষা (নিয়ন্ত্রন ও নির্ধারন আইন) - 1998
- ভ্রূণ হত্যা সম্পর্কিত আইন - 1999
- পারিবারিক হিংস্রতা থেকে নারীদের সুরক্ষা আইন - 2005
- বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ আইন - 2006
- যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন - 2012