জনসংখ্যা শিক্ষা||Population Education
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Assignment Questions -
1. জনসংখ্যা শিক্ষার পাঁচটি উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।||Briefly Discuss The Five Objectives Of Population Education.
2. জনসংখ্যা শিক্ষার প্রকৃতি এবং পরিধি সম্পর্কে আলোচনা কর।||Discuss The Nature And Scope Of Population Education.
জনসংখ্যা শিক্ষার - ধারণা,বৈশিষ্ট্যাবলী, উদ্দেশ্যাবলী প্রকৃতি এবং পরিধি
BENGALI VERSION -
(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)
1. ভূমিকা -
মানুষ হল প্রকৃতির সবচেয়ে বড়ো সম্পদ। লাতিন শব্দ 'Populas' কথাটির থেকে 'Population' শব্দটি এসেছে,'Populas' কথার আহ্মরিক অর্থ হল জনগোষ্ঠী।তাই একটি দেশের বা অঞ্চলের জনগন বা মানুষকে আমরা জনসংখ্যা হিসাবে ব্যবহার করি। জনসংখ্যা একটি গতিশীল বাস্তুসংস্থান সম্পর্কিত বিষয়।তাই এই মানব সম্পদকে মানুষের আমরা জনসংখ্যা হিসাবে ব্যবহার করি। জনসংখ্যা একটি গতিশীল বাস্তুসংস্থান সম্পর্কিত বিষয়।তাই এই মানব সম্পদকে মানুষের কাজে নিয়োজিত করার জন্য তার গুনগত বিকাশ প্রয়োজন।আর এই মানব সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং এর ক্রম বিকাশের জন্য যে শিক্ষা প্রয়োজন হয় সেটাই জনসংখ্যার মূল ভিত্তি। মানুষের শ্রমশক্তি, বুদ্ধি,দহ্মতা, সৃজনশীলতা চিন্তা শক্তি, বৈজ্ঞানিক প্রতিভা মানুষকে নিরাপত্তা খুব স্বাচ্ছন্দ্য ও পার্থিব সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে।যার ফলে মানব সম্পদের সঙ্গে দেশের বিকাশ ঘটে। জনসংখ্যা শিক্ষার রূপরেখা করার সময় ড. স্লোয়ান ওয়েল্যান্ডকে সর্বপ্রথম 1969 খ্রিস্টাব্দে জনসংখ্যা শিক্ষা এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেন। তিনি জনসংখ্যা শিক্ষার প্রভৃত ভিত্তি স্থাপন করেন।তাই তাকে জনসংখ্যা শিক্ষার পথিকৃৎ বা জনক বলা হয়।তবে পরবর্তীকালে ইংরেজি অর্থনীতি বিদ থমাস রবার্ট ম্যালথাসকে আধুনিক জনসংখ্যার শিহ্মার জনক বলা হয়।তিনি মানুষকে জীবন যাত্রার মান বিকাশ করতে হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। জনসংখ্যা শিক্ষার ধারনা সর্বপ্রথম ভারতে 1969 খ্রিস্টাব্দে রূপায়িত হয়। জাতীয় জনসংখ্যা শিক্ষা প্রকল্প চালু হয় 1980 খ্রিস্টাব্দে।প্রকল্পটির তিনটির প্রধান পর্যায়ে বিভক্ত যথা -
১. বিদ্যালয় ও অপ্রথাগত শিক্ষা।
২. উচ্চতর শিক্ষা।
৩. বয়স্ক শিক্ষা।
1987 সালে 11ই জুলাই বিশ্বের জনসংখ্যা 500 কোটি পূর্ণ হয়।এই কারণে তখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে 11ই জুলাই দিনটিকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসাবে পালিত হয়।যার মূল্য উদ্দেশ্য হল জনসংখ্যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।
2. জনসংখ্যা শিক্ষার বৈশিষ্ট্যাবলী -
- পরিবারের আকৃতি ছোটো রাখার জন্য সচেতনতা ও প্রয়াস।
- স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের গুরুত্ব অনুধাবন করার শিক্ষা।
- নারী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা এবং পরস্পরের মূল্যাবান ভূমিকায় স্বীকৃতি।
- সুস্থ যৌন জীবন যাপন ও যৌনরোগ প্রতিরোধ করার সচেতনতার বিকাশ।
- সম্পদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার এবং সম্পদের সৎ ব্যবহারের মাধ্যমে অপচয় বন্ধ করার মানসিকতা।
- সকলের জন্য শিহ্মার গুরুত্ব অনুধাবন ও শিহ্মার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
- শিশুর শ্রম বদ্ধ করে মানব সম্পদ হিসেবে শিহ্মা ও স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতনতা করা।
- পরিবেশ সচেতনতা ও পরিবেশ রহ্মার জন্য সক্রিয় প্রয়াস করা।
- জনসংখ্যা শিক্ষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল জনসংখ্যার প্রকৃতি বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রন সম্পর্কিত যাবতীয় জ্ঞানের সমাহার করা।
- দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি স্ব-নির্ভরতা, উৎপাদন শীলতা ইত্যাদি হ্মেত্রে জনসংখ্যা বৃদ্ধি যে এক ভয়ংকের সমস্যা তা তুলে ধরেছেন জনসংখ্যা শিক্ষার মাধ্যমে।
3. জনসংখ্যা শিক্ষার উদ্দেশ্যাবলী -
- জনসংখ্যা বিষয়ক কিছু মৌলিক বা প্রাথমিক ধারণা ও পদ্ধতি সম্পর্কিত বিচার বুদ্ধির উন্মেষ ঘটানো।
- আধুনিক বিশ্বের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও বহু চর্চিত বিষয় তথা দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও তার কারণ সম্পর্কে খুব সমাজের মধ্যে সম্যক ধারণা গড়ে তোলা।
- পরিবারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সম্পর্ক ও গুরুত্ব উপলব্ধি করা।
- মানব জীবনের বিভিন্ন হ্মেত্রে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জনসংখ্যা প্রবনতার প্রভাব বুঝতে পারা।
- জনসাধারণের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের লহ্ম্যে গৃহীত কর্মসূচি গুলির উল্লেখের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নয়ন পদ্ধতির মধ্যে বিদ্যমান একান্ত মিথস্ক্রিয়া সম্বন্ধে ধারণা লাভ করা।
- পরিবেশের ওপর মাত্রা অতিরিক্ত জনসংখ্যার কু প্রভাব এবং এর সঙ্গী দূষনের বিপদ উপলব্ধি করতে সহ্মম করে তোলা।
- বিজ্ঞান ও চিকিৎসা শাস্ত্রের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভিক্ষ,রোগ এবং অকাল মৃত্যু ও এর ফলে সৃষ্ট জন্মহার ও মৃত্যু হারের বৈষম্য প্রভৃতির ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টি বোঝাতে পারা।
- যে সমস্ত জৈবনিক উপাদান এবং প্রজননগত প্রজাতির জীবন ধারা অহ্মুন্ন রাখার জন্য দায়ী সেগুলো সম্পর্কে জানা।
- মূল্যায়ন করা - (ক) ছোটো পরিবারের ধারনাটি সঠিক ও আশাব্যঞ্জক। (খ) জনসংখ্যার আয়তন এবং জীবন যাত্রার গুনমানের সম্পর্ক। (গ) পরিবারের আয়তন বৃদ্ধি কোনো আকস্মিক ঘটনা বা মানুষের নিয়ন্ত্রনের বহির্ভূত কোনো শক্তি নয়,এটি বরং মানুষের উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও স্ব - নিয়ন্ত্রত বিষয় এই সত্য অনুধাবন করা।
- ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের প্রতি হ্মেত্রে দায় দায়িত্ব ও পরস্পর সাহায্যে সহযোগিতার মনোভাবের উন্নতি সাধন করা।
- মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিশুর সার্বিক উন্নতি এবং পরিবারের আয়তন ওজন সংখ্যা সম্পর্কিত ব্যক্তি ও জাতীয় সিদ্ধান্ত সমগ্ৰ পৃথিবীর ওপর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব বিস্তার করে এই স্তরের বুঝতে পারা।
- দেশের জনসংখ্যা নীতি ও কর্মসূচি গুলির সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলা।
- দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কর্মহীনতা বা বেকারত্ব যে বৃদ্ধি পায় তা বুঝতে পারা।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টি বুঝতে পারা।
- মানুষ ও জমির অনুপাত হ্রাস পাওয়ার খাদ্য ও বাসস্থান সমস্যার ব্যাপকতা উপলদ্ধি করা।
- শিহ্মার্থীদের জনসংখ্যা বিষয়ক শব্দ ভান্ডারের জোগান দেওয়া যাতে তারা তাদের বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে জনসংখ্যা তত্ত্ব পড়তে ও ব্যাখ্যা করতে পারে।
4. জনসংখ্যা শিক্ষার প্রকৃতি -
জনসংখ্যা ও উন্নয়ন শিহ্মার বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ প্রকৃতি হল এটি একাধারে আন্তর্বিষয়গত ও বহুমুখী বিষয়গত হ্মেত্র।তাই এই শিক্ষার জ্ঞান অন্যান্য বিষয়কে সমৃদ্ধ করে। এইভাবে জনশিহ্মার হ্মেত্রটি ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে,এখনও পর্যন্ত জনসংখ্যা ও উন্নয়ন শিক্ষা বিষয়টি স্বতন্ত্র বিষয় হিসাবে পরিকাঠামো আদায় করতে পারে নি।
১. জনসংখ্যা শিক্ষা ও অর্থনীতি -
ভারতবর্ষ একটি সম্পদশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতে অর্থনীতি ভিত্তি হল কৃষি ভিত্তিক। বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিকাশ ঘটলেও কিন্তু ভারতে মাথাপিছু আয় এখনো বৃদ্ধি পায় নি। তার কারণ হল ভারতের দ্রুত হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য। অর্থনীতিবিদগণ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন যাতে এই দেশ অর্থনীতির নতুন চুড়ায় পৌঁছোতে পারে। তাঁদের মতানুসারে অনেক পদহ্মেপের মধ্যে জনসংখ্যাকে তার নিম্নতম সম্ভাব্য সীমার বেঁধে রাখার প্রচেষ্টাটি সর্বোত্তম।
২. জনসংখ্যা শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা -
পরিবার পরিকল্পনার জন্ম নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে নিজ নিজ পরিবারের গঠন নির্দিষ্ট করা সম্ভব।তাই পরিবার পরিকল্পনা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন কারণে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ।তাই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ব্যাপক অর্থে পরিকল্পনাকে জ্ঞান, মনোভাব ও দায়িত্ব শীল সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতিটি সদস্য ও দম্পতির স্ব-ইচ্ছায় গৃহীত চিন্তাশীলতা ও জীবনযাত্রার পথ হিসাবে বর্ণনা করেছে যা পরিবারের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ সংঘটিত করে।তাই পরিবার পরিকল্পনার লহ্ম্য হল পরিবারের আকার নিয়ন্ত্রণ।দুটি সন্তানের মধ্যে অন্তর ও শিশু কল্যাণে সহায়তা করা এবং দম্পতিদের সন্তান লাভের উদবৃদ্ধ করা।এটা পরিষ্কার যে পরিবার পরিকল্পনার উদ্দেশ্য পরিবার ও সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধন যা জনসংখ্যা শিক্ষার মাধ্যমে ত্বরান্বিত করা সম্ভব।
৩. জনসংখ্যা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ -
পরিবার কল্যাণ শিহ্মার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল ছোটো পরিবারের ধারনাটির গ্ৰহনযোগ্যতা যুক্তিসম্মত ও আইন সংগত হিসাবে প্রতিপন্ন করা এবং এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি করা যেখানে নরনারীর যৌনচেতনা, জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সম্পর্কে কথোপকথন,আলোচনা বা শিক্ষাদান কোনটাই অবাঞ্ছিত অস্বস্তিকর, লজ্জাজনক বা অনুচ্চারিত না থাকে।বরং পরিবার কল্যাণ ও তার বিভিন্ন বিষয়গুলি আলোচনার সাধারণ বিষয় হিসাবে চিহ্নিত করা এবং সাধারন মানুষের নিকট ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মানীয় বিষয় বস্তুরূপে প্রতিপন্ন করা অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।যেহেতু জনসংখ্যা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য গুলি অনেকটা একই প্রকার সামাজিক স্বার্থ রহমান করে সেহেতু এগুলি প্রকৃতিগত ভাবে আন্তর্বিষয়গত।
৪. জনসংখ্যা শিক্ষা ও পরিবার জীবন শিক্ষা -
পরিবার জীবন শিক্ষার সংজ্ঞা হিসাবে বলা যায় এটি মানুষের বিকাশের জন্য এমন এক শিক্ষা যা প্রত্যেক ব্যক্তির পূর্ণ বয়স্ক হয়ে উঠতে উপযুক্ত দহ্মতা ও ব্যক্তিগত গুণাবলীর সমাবেশ ঘটায় এবং সমাজে গ্ৰহণ যোগ্য গোষ্ঠীবদ্ধ পরিকাঠামোর প্রাত্যহিক প্রতিদ্ধন্দ্বিতা পূর্ণ জীবনের সঙ্গে ব্যক্তিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলে। পরিবার জীবন শিক্ষা এক অর্থে জনসংখ্যা সম্পর্কিত সমস্যার হাত থেকে অব্যাহিত পাওয়ার জন্য দেশ ও জাতির উদ্দেশ্য অনুজাগতিক পথ মাত্র যার এক ও একমাত্র লহ্ম্য পরিবারের জীবনযাত্রার গুণমান কে বজায় রাখা, জনসংখ্যার অতিরিক্ত বৃদ্ধির অনুষঙ্গ হিসাবে পরিবেশগত সংকট যেখানে উপলহ্ম্য নয়।তাই যদিও জনসংখ্যার শিক্ষা সামগ্ৰিকভাবে পরিবার জীবন শিক্ষার সমতুল নয় তবুও এই দুটির মধ্যে বিষয়গত মিল ও উদ্দেশ্যগত সমরূপতা পরস্পরকে অন্তবিষয়গত করে তুলেছে।
৫. জনসংখ্যা শিক্ষা ও যৌন শিক্ষা -
যৌন শিক্ষা মূলত মানুষের যৌন আচরন,প্রজনন এবং এই সম্পর্কিত নীতিগত বিষয়ের সমাহার। মানুষের যৌনতা ও প্রজনন সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যার সমাধানও যৌন শিক্ষার মাধ্যমে হয়ে থাকে।যৌন শিক্ষা প্রত্যহ্মভাবে গোষ্ঠীগত ও ব্যক্তিগত দর্শনের প্রভাবে মানব জাতির সমস্যা সমাধানে নিয়োজিত। যৌন শিক্ষা বা জীবন শৈলী শিক্ষা ও জনসংখ্যা শিক্ষার মূলগত লহ্ম্য এক না হলেও যৌন শিহ্মাকে জনসংখ্যা শিক্ষার অন্তর্ভূক্ত বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
৬. জনসংখ্যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা -
স্বাস্থ্য শিক্ষার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত রয়েছে ব্যক্তিগত,পরিবার ও জাতীয় স্তরে উন্নত স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের লহ্ম্যে এই দুই ধরনের শিহ্মার ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না।
৭. জনসংখ্যা শিক্ষা ও পরিবেশ শিক্ষা -
জনসংখ্যা শিক্ষার মাধ্যমে পরিবেশ শিক্ষা ও পরিবেশ শিহ্মার মাধ্যমে জনসংখ্যা শিক্ষা প্রদান করা যেতে পারে। পরিবেশ শিহ্মার বিভিন্ন উদ্দেশ্য জনসংখ্যা শিক্ষার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত।একথা অনস্বীকার্য যে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বিস্ফোরণের সঙ্গে পরিবেশগত বিপর্যয় ও সমস্যাসমূহ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
৮. জনসংখ্যা শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা -
এই শিহ্মা পর্ব শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, তাদের পিতামাতা ও এই শিক্ষার শিহ্মিত হলে দেশের সবাঙ্গীন বিকাশ সম্ভব হবে।
৯. জনসংখ্যা শিক্ষা ও নারী শিক্ষা -
নারী শিক্ষাকে জনসংখ্যা শিক্ষার সাথে বিচ্ছিন্ন করে দেখা যায় না,কারণ প্রত্যেক নারী প্রকৃতপহ্মে শিশুর প্রথম শিহ্মক। এছাড়াও পরিবারের কেন্দ্রে রয়েছে নারী এবং তাদের বাদ দিয়ে সমাজে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
১০. জনসংখ্যা শিক্ষা ও শিক্ষা শিহ্মক শিহ্মণ প্রশিক্ষণ -
জনসংখ্যা শিক্ষাকে শিহ্মক-শিহ্মণ প্রশিক্ষণে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে যাতে পরবর্তী হ্মেত্রে তারা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সম্যক শিক্ষা দিতে পারে।
5. জনসংখ্যা শিক্ষার পরিধি -
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্লোয়ান আর ওয়েল্যান্ড জনসংখ্যার শিক্ষার নির্দিষ্ট কয়েকটি হ্মেত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলি হল।-
- পরিবারের গঠন ও আয়তনের সাথে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সম্পর্ক বুঝতে পারার চেষ্টা করা প্রয়োজন।
- জনসংখ্যা প্রজনন কৌশল সম্বন্ধে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি প্রকৃতি বোঝা দরকার।
- নিজের দেশের জনসংখ্যা নীতি ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি সম্বন্ধে সকলকে অভিহিত করা দরকার।
- সন্তান ধারণ,লালন পালন,সাধারণ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার।
- দেশের জন্মহার ও মৃত্যুহারে অন্তরফল দ্বারা জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার নির্ণয় করা হয়।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টির জন্য শিক্ষা একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় মাধ্যমে।
- জনসংখ্যা শিক্ষাকে বর্তমানে প্রচলিত পাঠক্রমের পরিকাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
- বি.এড পাঠক্রমের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জনসংখ্যা সম্বন্ধীয় ধারণা ও দর্শন কার্যকরী রূপে সমন্বয়িত করতে পারে।
- জনসংখ্যা শিক্ষার মূল্যায়নের মূল লহ্ম্য হওয়া উচিৎ বৌদ্ধিক পারদর্শিতা পাশাপাশি মনোভাবের পরিবর্তন কে পরিমাপ করা।
- জনসংখ্যা শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও ভৌত পরিবেশের উপর তার প্রভাব বাস্তুসংস্থান গত ভারসাম্যতা ও সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার সমুহ।
- দেশের জনসংখ্যা শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও কৃষ্টি সামাজিক বিকাশ সংক্রান্ত তথ্যাবলি ও প্রভাব সমুহ।
- দেশ ও সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব পর্যালোচনা করা দরকার।
- জনসংখ্যার উৎপাদনশীলতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া দরকার।
- দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন।
6. উপসংহার -
জনসংখ্যা শিক্ষার ধারনা, সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্যাবলি, উদ্দেশ্যাবলী,প্রকৃতি এবং পরিধি বিভিন্ন রকমভাবে আলোচনা করা হয়েছে।সংজ্ঞার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জীবনের মান সম্পর্কে স্থায়ী মূল্যবোধ গড়ে তোলার ওপর।সেই সঙ্গে জনসংখ্যা শিক্ষার উপাদান গুলি মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও জনসংখ্যার ওপর তার প্রভাবের প্রসঙ্গটিও জনসংখ্যা শিক্ষার স্থান পেয়েছে। জনসংখ্যার শিক্ষার সঙ্গে জীবনযাত্রার মান বিশেষ ভাবে সম্পর্কিত। জীবনযাত্রার মান প্রধানত পাঁচটি সূচক দ্বারা নির্মিত হয়।জীবন যাপনের স্তর সম্পদ জনসংখ্যার গতি প্রকৃতি, সামাজিক, রাজনৈতিক পরিচিতি ও বিকাশের প্রক্রিয়া। আবার প্রত্যেকটি সূচককে আরো পাঁচটি উপসূচকের দ্বারা বিভক্ত করা হয়েছে। সেজন্য বলা হয় জীবনযাত্রার মান একটি জটিল পরিবর্তনশীল ও আপেক্ষিক ধারণা। মানুষের জীবন ধারনের হ্মেত্রে জনসংখ্যা শিক্ষার ধারনার গুরুত্ব অপরিসীম।
CLICK HERE -