নারীবাদী চর্চা থেকে লিঙ্গ চর্চার মৌলান্তর ||PARADIGM SHIFT FROM WOMEN'S STUDIES
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Paradigm Shift From Women's Studies |
Assignment Questions -
1. What is Women's Studies.What is Gender studies. Distinguish Between Women's Studies And Gender Studies.||নারী বিষয়ক চর্চা কি।লিঙ্গ বিষয়ক চর্চা কি।নারী বিষয়ক চর্চা থেকে লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার মধ্যে পার্থক্য কর।
2. Explain The Paradigm Shift from Women Studies.||নারী বিষয়ক চর্চার মৌলান্তর ব্যাখ্যা করুন।
3. Briefly Write Down The Basic Changes About Paradigm from Shift Studies To Gender Studies.||নারী চর্চা থেকে লিঙ্গ চর্চা দৃষ্টিভঙ্গির প্রধান প্রধান পরিবর্তন সংহ্মেপে লিখুন।
PARADIGM SHIFT FROM WOMEN'S STUDIES
BENGALI VERSION -
(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)
1. ভূমিকা -
নারীবাদী তত্ত্বের আবির্ভাব পর বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী বিষয়ক চর্চার সূত্রপাত হয় বিদ্যা চর্চার অন্যতম বিষয় হিসেবে।এই বিষয়টি আন্তঃ বিদ্যা চর্চার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়। কারণ সমাজতত্ত্ব,জীববিদ্যা, মনোবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইত্যাদি অনেক গুলি বিদ্যার তত্ত্ব ও পদ্ধতি নারী চর্চার হ্মেত্রে প্রয়োগ করার সূচনা হয়। পরবর্তীকালে এই নারী চর্চার কেন্দ্রবিন্দু নারীদের সমস্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার।সম্প্রসারিত হয় তার ফলে বিষয়টির ব্যপ্তি ও গভীরতা দুটিই বৃদ্ধি পায় এবং প্রাথমিক ভাবে এই পরিবর্তনকে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
2. নারীবাদ -
নারীবাদ একটি আধুনিক ধারনা।সম্ভবত নারীবাদী শব্দটি 1871 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি চিকিৎসা বিজ্ঞানের বইতে সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয়।1872 খ্রিস্টাব্দে নারীবাদী শব্দটি একজন ফরাসি নারীবিদ্বেষী লেখক তার একটি প্রবন্ধে প্রথম প্রয়োগ করেন।সপ্তদশ শতকের মধ্যভাগ থেকে ধীরে ধীরে ইউরোপ, আমেরিকা হয়ে সারা পৃথিবীতে তার ছড়িয়ে পড়ে। নারীবাদী আন্দোলনের তিনটি তরঙ্গ লহ্ম করা যায় যেমন - অষ্টাদশ শতকের থেকে বিংশ শতকের প্রথমার্ধে পর্যন্ত প্রথম তরঙ্গ।1960 থেকে 1980 পর্যন্ত দ্বিতীয় তরঙ্গ এবং 1990 এর দশক থেকে (1992) তৃতীয় তরঙ্গের সূচনা এবং আজও চলমান।
নারীবাদ হল মূলত নারীর মুক্তির জন্য কিংবা নারীর সমান অধিকার অর্জনের উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা তত্ত্ব এবং তার প্রয়োগগত দৃষ্টিভঙ্গি। নারীবাদের মূল রয়েছে নারীর সমান অধিকারের লড়াই।লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্ৰাম ও বৈষম্য দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রয়াস। নারীবাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি লিঙ্গ বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা যেখানে নারী তার নিজস্ব পরিচিতি নিয়েই বেঁচে থাকবে।এই নারীবাদী বিভিন্ন তরঙ্গের সময় গড়ে উঠেছিল নারীবাদের বিভিন্ন ধারা।এর মধ্যে প্রধান ধারাগুলি হল উদায় নৈতিক নারীবাদ,মার্কসীয় নারীবাদ, সমাজতান্ত্রিক নারীবাদ,বৈপ্লবিক নারীবাদ ও সাংস্কৃতিক নারীবাদ। এছাড়াও মনস্তাত্ত্বিক নারীবাদ,উত্তর আধুনিক নারীবাদ এবং পরিবেশ প্রধান নারীবাদ।
• নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গির লহ্ম্য -
- নারীর মুক্তির জন্য কিংবা নারীর সমান অধিকারের জন্য লড়াই করা।
- লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্ৰাম ও বৈষম্য দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রয়াস করা।
- পুরুষের সঙ্গে নারীদের সমান মৌলিক অধিকারের দাবি করা।
- নারী শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করা।
- নারী সমান অধিকার অর্জন করা।
- লিঙ্গ বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা।
- বৈষম্যহীন সমাজে নারীর নিজস্ব পরিচিতি নিয়েই বেঁচে থাকবে।
- নারীবাদী তাত্ত্বিকেরা নারীবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কতকগুলি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন। এগুলি হল পিতৃতন্ত্র,ব্যক্তি পরিসর ও ঘন পরিসরের মধ্যে বিভাজন, জৈবিক লিঙ্গ ও সামাজিক লিঙ্গের মধ্যে বিভাজন,সমতা ও ভিন্নতা, মৌনতা এবং নারী ও অর্থনীতি।
3. লিঙ্গ বিষয়ক চর্চা -
লিঙ্গ বিষয়ক চর্চা হল একটি আন্তঃ বিভাগীয় একাডেমিক হ্মেত্র যা লিঙ্গ পরিচয় এবং লিঙ্গ ভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব বিশ্লেষণের জন্য নিবেদিত।এটির উদ্ভব হয়েছিল আন্তঃ বিভাগীয় প্রোগ্ৰাম মহিলাদের অধ্যয়ন (নারী, নারীবাদ, লিঙ্গ এবং রাজনীতি সম্পর্কিত)।1990 খ্রিস্টাব্দের পর বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে এর প্রধান্য বৃদ্ধি পায়। যা বিনির্মাণ বাদের উত্থাপনের সাথে মিলে যায়।লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার হ্মেত্রে সাহিত্য,ভাষাবিজ্ঞান,মানব ভূগোল, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব , অর্থনীতি সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান,নৃতত্ত্ব, সিনেমা,সঙ্গীত বিদ্যা,মিডিয়া স্টাডিজ,মানব উন্নয়ন, আইন, জন স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের জাতি, জাতিসত্তা এবং অহ্মমতা লিঙ্গ এবং যৌনতার বিভাগগুলির সাথে ছেদ করে।
1960 থেকে 1970 খ্রিস্টাব্দে নারী মুক্তি আন্দোলন দ্বারা নারীবাদের সৃষ্টি হয়।তাই নারীবাদ তত্ত্ব থেকে পুরুষদের উপর পৃথক পুরুষ অধ্যায়ন নামে একটি অধ্যায়নের হ্মেত্র তৈরি করে।1980 থেকে 1990 খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে পন্ডিতরা যৌনতার হ্মেত্রে চর্চার প্রয়োজনীয় তা স্বীকার করেছিলেন।তাই LGBT সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের অধিকারের প্রতি বিশেষ আগ্ৰহের কারনে পন্ডিতরা খুঁজে পেয়েছেন যে বেশিরভাগ ব্যক্তি পৃথক সত্তা হিসেবে না হয়ে যৌনতা এবং লিঙ্গকে একসাথে যুক্ত করবে। যদিও নারীবাদ চর্চার জন্য ডক্টরাল প্রোগ্ৰাম 1990 খ্রিস্টাব্দে থেকে বিদ্যমান ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লিঙ্গ চর্চার সম্ভাব্য PhD জন্য প্রথম ডক্টরাল প্রোগ্রাম নভেম্বর 2005 খ্রিস্টাব্দে অনুমোদিত হয়েছিল।যা পরবর্তীকালে সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।
• লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার বৈশিষ্ট্যাবলী -
- লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার হল লিঙ্গ সম্পর্কিত ধারণা। এখানে মূল আলোচ্য বিষয় হল নারী ও পুরুষ উভয়ের লিঙ্গ বিষয়ক চর্চা। এখানে সামাজিক সাংস্কৃতিক বিনির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
- লিঙ্গ বিষয়ক চর্চা বিভিন্ন লিঙ্গের মানুষদের হ্মমতা সম্পর্কের উপর আলোকপাত করে হ্মমতার যে পার্থক্য বা বৈষম্য দহরম করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে।
- এটি জগতের সমস্ত বিষয়কে লিঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করে চলমান জগতের সমস্ত কিছু লিঙ্গকেন্দ্রিক।
- লিঙ্গ ভেদে সামাজিক ও প্রাকৃতিক জগতের সবকিছুর তারতম্য ঘটে। অর্থাৎ সামাজিক ও প্রাকৃতিক সমস্ত বিষয়ের উপর লিঙ্গের প্রভাব লহ্ম করা যায়।
- লিঙ্গ বিষয়ক চর্চা হল একটি আন্তঃবিদ্যা চর্চা। সমাজতত্ত্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান আইন প্রভৃতি বিদ্যা বা শাস্ত্রের নীতি,তত্ত্ব ও পদ্ধতি লিঙ্গ ভিত্তিক চর্চার হ্মেত্রে প্রয়োগ করা হয়।
- লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার মূল উৎস নিহিত রয়েছে নারী বিষয়ক চর্চার মধ্যে।
- মূলস্রোতে জ্ঞানচর্চার বিভিন্ন হ্মেত্রে যেমন - ইতিহাস, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পদার্থ বিদ্যা সমস্ত হ্মেত্রেই নারীদের প্রান্তিক ও বঞ্চিত করে রেখেছে।ফলে নারীরা বঞ্চিত ও অবহেলিত বৌদ্ধিক গবেষণা ও চর্চার হ্মেত্রে নারীর দৃষ্টিকোণ ও নারীর অবদান অস্বীকৃত থেকে যায়।
- লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার জ্ঞান চর্চার হ্মেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে যে অসম্পূর্ণতা রয়েছে তাকে ও তার ভারসাম্যহীন তাকে শনাক্ত করে এবং তা দূর করার চেষ্টা করে।
- লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার বড়ো বৈশিষ্ট্য হল যে এটি রাজনৈতিক সমাজের বিভিন্ন লিঙ্গের মানুষের মধ্যে হ্মমতার বৈষম্যের কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করে।
4. নারী বিষয়ক চর্চার থেকে লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার মৌলান্তরের দৃষ্টিভঙ্গি -
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে নারীবাদী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। কিন্তু এই নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গির থেকে সমগ্ৰ সমাজের নারী ছাড়া পুরুষ এবং বিশেষত যারা তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত তাদের ব্যক্তিগত পরিচয় এবং লিঙ্গ ভিত্তিক পরিচয় এক সমস্যা সৃষ্টি হয়।এই কারণে নারী বিষয়ক চর্চার মৌলান্তর ঘটেছে।এই মৌলান্তরের ফলে সমকামিতা, উভকামিতা, লিঙ্গান্তর ও তৃতীয় লিঙ্গের সমস্যা গুলিও গুরুত্বপূর্ণ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাদের ব্যক্তিগত পরিচয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক,ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা এবং তাদের বিভিন্ন বিষয়ে নিষ্পত্তি হওয়ার একান্ত বাঞ্চনীয় বলে গন্য করা হয়।আর এই কারণেই নারী বিষয়ক চর্চার থেকে লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার মৌলান্তর হওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়।Simone de Beauvoir 1949 খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত গ্ৰন্থ 'The Second Sex' যা লিঙ্গের সামাজিক নির্মাণ ও নারীর অবস্থান সম্পর্কে অস্তিত্ববাদী দর্শনের দৃষ্টিতে এক অনবদ্য বিশ্লেষন।
সামাজিক জীববিজ্ঞানী Steven Goldberg বলেছেন লিঙ্গ সামাজিক বিষয় হলেও পৃথিবীর সমস্ত সমাজে বা কৃষ্টিতে সর্বজনীনভাবে পুরুষের আধিপত্য বর্তমান। তিনি গোষ্ঠী বিদ্যা ভিত্তিক অনুসন্ধান করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন এবং প্রকার স্তরে লিঙ্গের সামাজিক নির্মাণ তত্ত্বের বিরোধিতা করেছেন। সমাজতান্ত্রিক Eleanor Leacock তাঁর মতের বিরোধিতা করে বলেছেন যে কোনো বিশেষ ধরনের সমাজ ব্যবস্থার প্রচলিত প্রথা প্রতিষ্ঠান, নিয়মনীতি পুরুষের প্রয়োজনে পুরুষের তৈরি।
5. পরিবর্তনের সূচক (পার্থক্য) -
নারী বিষয়ক চর্চার থেকে লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার মৌলান্তর যে প্রধান প্রধান পরিবর্তন সূচিত করে তা সংহ্মেপে নীচে দেওয়া হল।-
১. উদ্ভব -
1960 এর দশকে নারীবাদী আন্দোলনের ফলশ্রুতি হিসেবে গড়ে ওঠে নারী বিষয়ক চর্চার, যার মূল ধারনা ছিল নারী কেন্দ্রিক। অপরদিকে 1981 থেকে 1990 এর দশকে নারীবাদী আন্দোলনের তৃতীয় তরঙ্গে লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার উদ্ভব ঘটে।লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার মূল হল লিঙ্গ। এখানে নারী ও পুরুষ,উভয় লিঙ্গ, রূপান্তরকামী, সমকামী প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচিত হয়।
২. বিষয় ও পরিধি -
নারী বিষয়ক চর্চার পরিধি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ হয়।সে তুলনায় লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার পরিধির অনেকটা ব্যাপক হয়। নারী বিষয়ক চর্চার বিষয়বস্তু লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার বিষয়বস্তুর মধ্যে অন্তর্গত।
৩. গবেষণার দিক -
নারী বিষয়ক চর্চার দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা নারীজাতির সমস্যা ভিত্তিক। তাছাড়াও নারীবাদ গবেষণা কিছু নেতিবাচক। কারণ প্রধান নজর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বঞ্চনা, অবহেলা ও অবমূল্যায়ন।লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার নেতিবাচক এবং ইতিবাচক দুটি দিকই গবেষণায় বিষয়। নারীর জাতির অবদান তাদের সহ্মমতা,জ্ঞান বিজ্ঞানের হ্মেত্রে তাদের মেধার মূল্যায়ন এই সবই লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার বিষয়।
৪. প্রাসঙ্গিকতা -
নারী বিষয়ক চর্চার তৃতীয় লিঙ্গ, লিঙ্গান্তর, সমকামিতা,উভয় কামিতা এই বিষয় গুলি ততটা প্রাসঙ্গিক নয়। কিন্তু লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার নারী ও পুরুষের সহ তৃতীয় লিঙ্গ, লিঙ্গান্তর, সমকামিতা ও উভয় কামিতা এই বিষয় গুলি সবই প্রাসঙ্গিক।
৫. চর্চার দিক -
লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার সামাজিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ে নীতি নির্ধারনে সাহায্যে করে। কিন্তু নারী বিষয়ক চর্চার অনুরূপভাবে সুবিধা শুধুমাত্র মেয়েদের হ্মেত্রে পাওয়া যায়,অন্যদের হ্মেত্রে নয়।
৬. পঠন পাঠন বিষয় -
বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে 1969 খ্রিস্টাব্দে থেকে যত নারী বিষয়ক চর্চার পঠন পাঠন ও গবেষণার জন্য বিভাগ স্থাপিত হয়েছিল তার মধ্যে অধিকাংশই পরবর্তীকালে লিঙ্গ ও নারী বিষয়ক চর্চার বিভাগে পরিণত হয়।পঠন পাঠন এবং গবেষণার বিষয়বস্তু ও পরিবর্তিত হয়।
৭. আন্তঃ বিদ্যা চর্চা -
লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার পরিধি ব্যাপকভাবে হওয়ার ফলে আরো বেশি আন্তঃ বিদ্যামূলক হয়ে ওঠে।দর্শন, সমাজতত্ত্ব, মনোবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়গুলি আরও নিবিড়ভাবে লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। কিন্তু নারীবাদের ততটা সম্পৃক্ত হয় না।
৮. বিষয়ের উন্মুক্ততা -
শিহ্মক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী ও পুরুষ সকলের সামনেই বিষয়টি উন্মুক্ত হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে নি।যদিও বাস্তব হ্মেত্রে এই সুযোগ কতটা কাজে লাগানো হয় তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে।
৯. পাঠ্যপুস্তকের সম্প্রসারন -
নারী বিষয়ক চর্চার কেন্দ্র গুলি লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়।ফলে পাঠক্রম ও গবেষণার বিষয়বস্ত অনেকটা সম্প্রসারিত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ লহ্ম্য করা যায়।
6. উপসংহার -
উপরোক্ত মৌলান্তরের ফলে কিছু কিছু সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।যেমন -
১. লিঙ্গ বিষয়ক চর্চার গবেষণায় প্রায় এক নিশ্বাসে LGBT কথাটির উচ্চারিত হয়। অর্থাৎ হ্মেত্র অনুসন্ধান ভিত্তিক প্রত্যেহ্ম গবেষণায় নমুনা সংগ্রহ করার সময় ওই চার প্রকার ব্যতিক্রমকে একই গোষ্ঠীভুক্ত করে যে সমস্ত সমাজতান্ত্রিক ও মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণা হয় তার সিদ্ধান্ত নির্ভরযোগ্য না হওয়ায় সম্ভাবনা প্রবল। কারণ এদের সমস্যা ও বৈশিষ্ট্য, আনুপাতিক সংখ্যা একরকম নয়।
২. বাইরের কোনো লহ্মন থেকে এদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।নির্ভর করতে হয় ব্যক্তিগত স্বীকৃতির উপর। কিন্তু প্রথম পরিচ্ছেদে উল্লিখিত সঠিকভাবে একজন ব্যক্তির লিঙ্গগত অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হলেও সঠিকভাবে একটি সীমারেখা স্থির করা কঠিন যা লিঙ্গান্তর ও অন্যান্য অকথা গুলির মধ্যে নিশ্চিত ভাবে বিভাজন করতে সহ্মম।
3. পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পৌরুষের সামাজিক পরিভাষাটি নির্দেশ করে দেয় নারীর সামাজিক ভূমিকা। সমাজে গড়ে তোলা হয় পৌরুষ বা নারীত্বের আদর্শ এই আদর্শের ছাঁচেই স্থির করা হয় নারীর আচার আচরণ, ব্যবহার-বিধি,আশা-আকাঙ্খা। এই নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে লিঙ্গ মতাদর্শে তার নারী পরিচিতি সামাজিক স্বীকৃতি পার না।
যদিও উপরোক্ত সমস্যা সমুহ সবটাই বিদ্যা চর্চার ও গবেষণায় নীতি ও পদ্ধতিগত প্রশ্ন তবুও লিঙ্গ চর্চার ফলে যে সমস্ত সামাজিক, মানসিক ও আইনগত সমস্যা সমাধানের সূত্র পাওয়া যায় তার মধ্যে কিছুটা জটিলতার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
CLICK HERE -