দূষণ - পরিবেশ দূষণ এবং সামাজিক দূষণ||Pollution - Environment Pollution And Social Pollution

দূষণ - পরিবেশ দূষণ এবং সামাজিক দূষণ||Pollution - Environment Pollution And Social Pollution

দূষণ - পরিবেশ দূষণ এবং সামাজিক দূষণ||Pollution - Environmental Pollution And Social Pollution

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Pollution - Environmental Pollution And Social Pollution

দূষণ - পরিবেশ দূষণ এবং সামাজিক দূষণ

BENGALI VERSION -

(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

ল্যাটিন শব্দ 'Pollutionem' কথাটির অর্থ নোংরা করা বা বিকৃত করা। দূষণ শব্দটির বাংলা অর্থ দোষ অর্থাৎ যা বিশুদ্ধ নয় এমন কিছু যুক্ত করা।এই দূষণ কে দিকের ভিত্তিতে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়।

  1. পরিবেশ দূষণ
  2. সামাজিক দূষণ
1.1. পরিবেশ দূষণ -

মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে পরিবেশ বলা হয়। The Concise Oxford Dictionary (1992) অনুসারে, Environment এর সংজ্ঞা হল "(The) external conditions affecting the growth of plants and animals." Arms (1994) এর দেওয়া পরিবেশের সংজ্ঞা হল ,"Organism's physical and biological surrounding." Botkin এবং Keller (1995) দেওয়া পরিবেশের সংজ্ঞা অনুসারে, "all factors that actually affect an individual organism or population at any point in the life cycle. Environment is also sometimes used to denote a certain set of circumstances surrounding a particular occurrence." অর্থাৎ পরিবেশ হল মানুষ,প্রাণী ও উদ্ভিদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা,যে অবস্থা তাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ কর্মকাণ্ড এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে ধারণ করে, নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরিপালন করে।
আধুনিক সভ্যতার যুগে প্রযুক্তি ও কারিগরি বিদ্যার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন উন্নতি সাধন হচ্ছে,তেমনি শিল্প বিপ্লব আনতে গিয়ে নিজের প্রয়োজনে এই পরিবেশকে যথেচ্ছ ব্যবহার করতে গিয়ে মানুষ আজ সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। অত্যধিক জনসংখ্যা শিল্পায়ন, বনাঞ্চল ধ্বংস প্রভৃতির ফলে বায়ু-জল-মৃত্তিকা সহ পরিবেশের সমস্ত উপাদান ক্রমশ দূষিত হচ্ছে।Odum(1971) মতে, পরিবেশ দূষণ হল বায়ু,জল,মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন যা মানবজাতি ও সমগ্ৰ জীবজগতের অস্তিত্ব বিপন্ন করে। Southwick (1976) মতে, পরিবেশ দূষণ হল মানুষের ক্রিয়াকলাপের ফলে সৃষ্ট পরিবেশের অবাঞ্ছিত পরিবর্তন।WHO এর মতানুসারে, পরিবেশে হ্মতিকারক বস্তু সমূহের অনুপ্রবেশ ঘটে মানুষের স্বাস্থ্যের পহ্মে হ্মতিকারক হলে,তাকে পরিবেশ দূষণ বলে। অর্থাৎ পরিবেশে বহিরাগত কোন জৈব,অজৈব বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের অনুপ্রবেশের ফলে পরিবেশের বায়ু-জল-মৃত্তিকা প্রভৃতির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক পরিবর্তন ঘটে যা মানুষের স্বাস্থ্যের পহ্মে হ্মতিকারক হলে এবং অন্যান্য জীবের অস্তিত্ব বিপন্ন হলে, পরিবেশের এই বিশেষ অবস্থাকে দূষণ বলে।
এর ফলে জল-বায়ু- মৃত্তিকাতে বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ মিশে পৃথিবী আজ বিপন্ন হচ্ছে। পরিবেশে মানুষের বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে ওঠেনি, পরিবেশ দূষণ সারা পৃথিবী জুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে।এই সংকটময় মুহূর্তে সমগ্ৰ মানবজাতির অস্তিত্ব রহ্মার জন্য কীভাবে এই পৃথিবীকে দূষণমুক্ত রাখা হয় তার জন্য বিভিন্ন দেশজুড়ে সর্বস্তরে কর্মকাণ্ড চলছে অনবরত।তাই এই পরিবেশ দূষণের স্রষ্টা মানুষ পরিবেশের বাস্ততন্ত্রের উপর কতটা প্রভাব ফেলে তা নিরূপণ করার জন্য একটি সমীকরণ তৈরি করা হয়।
I = P × A × T

I = পরিবেশের উপর মানুষের প্রভাব
P = জনসংখ্যা
A = সুবিধা বা স্বাচ্ছন্দ
T = কৃৎকৌশল বা প্রযুক্তি
 
পরিবেশ দূষণের প্রকারভেদ -
উৎস,আকার ও ধরন অনুযায়ী পরিবেশ দূষণকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।-
  1. জলদূষণ।
  2. বায়ুদূষণ।
  3. মৃত্তিকা দূষণ।
  4. শব্দদূষণ।
  5. তেজস্ক্রিয় দূষণ।
  6. বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ।
  7. গন্ধ দূষণ।
  8. দৃশ্য দূষণ।
১. জলদূষণ -
জলের সঙ্গে অবাঞ্ছিত পদার্থ মিশ্রিত হয়ে যদি জলের প্রাকৃতিক, রাসায়নিক ও জৈব বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয় এবং তার ফলে জলজ উদ্ভিদ,জলজ প্রাণী ও মানুষের অপুরণীয় হ্মতির আশঙ্কা থাকে,সেই রূপান্তরকে জলদূষণ বলে।জলদূষণের ফলে নদীর জল,হ্রদ ও সমুদ্রের জল, ভূগর্ভস্থ জল এবং ভূ-পৃষ্ঠের উপর বিভিন্ন জলাশয়ে আবদ্ধ জলরাশির গুণগত মানের অবনতি হতে পারে।ফলে কৃষিকাজে,শ্রমশিল্পে এবং তৃষ্ণা মিটানোর উপর হিসেবে ওই জল ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। দূষিত জল রোগ মহামারি সৃষ্টি করে এবং গাছপালা ও জলজ প্রাণীর প্রাণ সংশয় হয়।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন -  জলদূষণ

২. বায়ুদূষণ -
পৃথিবী পৃষ্ঠে বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে বড় অংশ হল জীবমন্ডল যা গতিশীল বাস্ততন্ত্রের অন্তর্গত। বায়ুমণ্ডলে প্রাকৃতিক এবং মানুষের সৃষ্ট কঠিন,তরল ও গ্যাসীয় কণা জীবজগতের প্রতিটি সদস্য গ্ৰহন করে থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীর আবহমন্ডলের মধ্যে অনিষ্টকর পদার্থের সমাবেশ যখন মানুষ ও তার পরিবেশের হ্মতিসাধনে সহ্মম হয়,সেই অবস্থাকে বায়ুদূষণ বলে। বায়ুদূষণের ফলে পৃথিবীর তাপীয় ফলের তারতম্য ঘটে, জীবজগৎ ও পরিবেশের হ্মতি হয়।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন - বায়ুদূষণ

৩. মৃত্তিকা দূষণ -
শিল্প এবং কৃষিজাত বর্জ্য, তেজস্ক্রিয় আর্বজনা,গ্ৰাম ও শহরের জমা জঞ্জাল এবং জৈব উপাদান গুলির মাধ্যমে মৃত্তিকার হ্মতিসাধনকে মৃত্তিকা দূষণ বলে। মৃত্তিকা দূষণের ফলে জমির কৃষিযোগ্যতা , অসংখ্য প্রাণীর বাসস্থান হিসেবে মৃত্তিকার উপযোগিতা, বনভূমির আবাস হিসেবে ভূমিভাগের কার্যকারিতা,খাদ্য-শৃঙ্খলের অবিভাজ্য উপাদান রূপে মৃত্তিকার ক্রিয়াশীলতা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিঘ্নিত হয়।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন - মৃত্তিকা দূষণ

৪. শব্দদূষণ -
আমাদের চারিপাশে যে সমস্ত শব্দ প্রতিনিয়ত হচ্ছে,তা মানুষের শ্রবণ হ্মমতা 20 Hz থেকে 20000 Hz পর্যন্ত বিস্তৃত।আর যখন এই শ্রবণ হ্মমতার প্রাবল্য বা তীক্ষ্মতা  কখনো কখনো মানুষের সহ্য হ্মমতা বা শ্রুতি সীমার অতিরিক্ত তাঁর তীক্ষ্ম, অবাঞ্চিত,কর্কশ এবং বেসুরো অস্বাস্থ্যকর শব্দের প্রভাবে মানুষের শরীরে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে,তাকে শব্দদূষণ বলে।শব্দের তীব্রতাকে dB দ্বারা মাপা হয়।একটু জোরে কথোপকথন করলে তার তীব্রতার মান হয় 60dB।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন - শব্দদূষণ

৫. তেজস্ক্রিয় দূষণ -
তেজস্ক্রিয় পদার্থের অসচেতনতা মূলক ব্যবহার, প্রক্রিয়াকরণের সময় তেজস্ক্রিয় রশ্মির বিকিরণের ফলে পরিবেশের যে পরিবর্তন হয়,তাকে তেজস্ক্রিয় দূষণ বলে।এই দূষণের প্রভাব খুবই ভয়ঙ্কর এবং এর ফলে মানুষের ও জীবজগতের ব্যাপক হ্মতি দেখা দিচ্ছে।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন - তেজস্ক্রিয় দূষণ

৬. বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ -
আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য পদার্থের অবশিষ্টাংশ যেগুলি কঠিন,তরল ও গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবেশে আসে।যার কোনো অর্থমূল্য নেই অথচ পরিবেশ দূষণ ঘটায় তাকে বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ বলা হয়।এই বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১. কঠিন বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ।
২. তরল বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ।
৩. গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ।
৪. বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ।
৫. বিষহীন বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন - কঠিন বর্জ্য পদার্থ জনিত দূষণ এবং ব্যবস্থাপনা

৭. গন্ধ দূষণ -
প্রায় সব ধরনের বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন প্রকার জৈব অবহ্ময় যোগ্য উপাদান রয়েছে,যা উদ্ধায়ী ও গন্ধ সৃষ্টি করে। এগুলো অধিকাংশ হ্মেত্রে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তিকর গন্ধ ছাড়ায়।গ্যাসীয় অবস্থায় এগুলো নাকের মধ্যে প্রবেশ করলে নাক জ্বালা করে শ্বাস আবরণী কলা এর প্রভাবে হ্মতিগ্ৰস্থ হয়।এর ফলে মানুষের হ্মুদা মন্দ,মাথা ঝিমঝিম,বমি বমি ভাব,শ্বাস কষ্ট প্রভৃতি উপসর্গ দেখা যায়।
৮. দৃশ্য দূষণ -
প্রাকৃতিক পরিবেশে হ্মতিকারক পরিবর্তন তৈরি করে মানুষের দর্শনীয় স্থান গুলিকে বিরক্ত করে।বিলবোর্ড,আবর্জনা,অ্যান্টেনা, বৈদ্যুতিক তার,ভবণ এবং অটোমোবাইল গুলির উন্মুক্ত অবস্থান প্রায়শই দৃশ্য দূষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।কোনো অঞ্চলে অতিরিক্ত লোকজন দৃশ্য দূষণের কারণ হয়।এর ফলে মানুষের মধ্যে বিহ্মিপ্ততা,চোখের ক্লান্তি, মতামতের বৈচিত্র্য হ্রাস এবং পরিচয় হ্রাস পায়।

1.2. সামাজিক দূষণ -

সমাজ বলতে মূলত এমন এক ব্যবস্থা যেখানে একাধিক চরিত্র একত্রে কিছু নিয়ম কানুন প্রতিষ্ঠা করে একত্রে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলে। মানুষের হ্মেত্রে একাধিক ব্যক্তি একত্রে হয়ে লিখিত কিংবা অলিখিত নিয়ম কানুন তৈরি করে।এরকম একত্রে বসবাসের অবস্থাকে সমাজ বলে।এই সমাজে মানুষ সহ জীবেরা মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে সম্মিলিত ভাবে বাস করে।আর এই আর্থ-সামাজিক চাপে থাকা মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা একটি অবাঞ্ছিত প্রবৃত্তি যা সমাজকে হ্মতবিহ্মত করে জনগণের স্বাস্থ্যের হ্মতি করে, দুনীতি গ্ৰস্ত সামাজিকতা আমাদের সংস্কৃতিকে নোংরা করে এবং সমাজের শান্তিপূর্ণ অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ নানা কারণে ও নানা পদ্ধতিতে মানবগোষ্ঠীর সামাজিক গুণমানের অবনমনকে বোঝায় সামাজিক দূষণ।এই সামাজিক দূষণ জাত,ধর্ম,অর্থ, লিঙ্গ এবং বিভিন্ন পরিস্থিতির ভিত্তিতে হয়ে থাকে।

• উদাহরণ -
  1. জনবিস্ফোরন
  2. হ্মুধা
  3. বেকারত্ব
  4. অপুষ্টি
  5. অসুস্থতা
  6. মরণশীলতা
  7. অর্থনৈতিক বৈষম্য
  8. সামাজিক বৈষম্য
  9. সামাজিক নিরাপত্তা
  10. মাথাপিছু আয়
  11. কিশোর অপরাধ
  12. শিশুর নির্যাতন
  13. শিশুর শ্রমিক
  14. সন্ত্রাসবাদ
  15. লিঙ্গ পহ্মপাতিত্ব
  16. পারিবারিক নিপীড়ন
  17. বধূ নির্যাতন
  18. ডাকাতি
  19. চুরি
  20. ধর্ষন
  21. খুন
  22. বাল্য বিবাহ
  23. কন্যা হত্যা
  24. শিশু ভ্রুণ হত্যা
  25. নিরহ্মরতা
  26. ধর্মীয় দাঙ্গা ও হিংসা
  27. সাম্প্রতিক দাঙ্গা
  28. রাজনৈতিক যুদ্ধ
  29. মাদক নেশা
  30. বর্ণ বৈষম্য প্রভৃতি
এই সমস্ত উদাহরণই সামাজিক দূষণের এক একটি দিক,যার প্রভাব লহ্ম করা যাচ্ছে প্রতিটি মানুষের মধ্যে।তবে পুরুষের তুলনায় নারী ও শিশুদের উপর এর প্রভাব বেশি লহ্ম করা যায়।

2. পরিবেশ দূষণ ও সামাজিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে শিহ্মার্থীদের ভূমিকা -
  1. শিহ্মার্থীদের বৃহ্মরোপন ও তার লালনপালন করা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
  2. শিহ্মার্থীদের বনসৃজন সম্পর্কে সংঘবদ্ধ ভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা ও উপযুক্ত নীতি নির্ধারণে সাহায্যে করা।
  3. কলকারখানায় বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ যাতে সঠিকভাবে পরিশোধিত হয় তার জন্য কলকারখানা কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা।
  4. প্রাণী কুলের রক্ষার জন্য যত্নবান হওয়া।
  5. অকারণে শব্দ দূষণ বদ্ধ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া। 
  6. বিদ্যালয় ও বাড়ির চারপাশে পরিবেশ সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রচারে অংশগ্রহণ করা।
  7. জৈব সারযুক্ত খাদ্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি ও অভ্যাস গড়ে তোলা।
  8. অপচয় বন্ধ করা।
  9. বই,কাপড় এবং ব্যবহার যোগ্য বস্তু দান করা।
  10. পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অকারণে দূষণ জনিত সমস্যা নিরসনে চেষ্টা করা।
  11. জনগনের মধ্যে সচেতনতা বোধ গড়ে তুলতে হবে।
  12. শিহ্মার প্রসার ঘটাতে হবে।
  13. মানুষের মধ্যে ধর্মীয় কুসংস্কার যুক্তি গুলিকে দূর করতে হবে।
  14. নারী শিক্ষার প্রচার করা।
CLICK HERE -

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post