বায়ুদূষণ||Air Pollution
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Air Pollution |
Assignment Questions -
1. বায়ুদূষণ কাকে বলে।||What is Air Pollution.
2. বায়ুদূষণের কারণ গুলি সম্পর্কে বর্ণনা দাও।||Describe The Causes Of Air Pollution.
3. বায়ুদূষণের প্রভাব গুলি কি কি।||What Are The Effects Of Air Pollution?
4. বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ রোধের উপায় গুলি কী কী।ভারতে বায়ুদূষণের নিয়ন্ত্রণে আইনি পদক্ষেপ গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা কর।||What Are The Measures To Control Air Pollution.Briefly Describe The Legal Measures Taken To Control Air Pollution In Indian.
বায়ুদূষণ
BENGALI VERSION -
1. ভূমিকা -
বায়ু হল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ।যা পৃথিবী পৃষ্ঠে বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে বড় অংশ হল জীবমন্ডল যা গতিশীল বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত। বায়ু মানুষ তথা পার্থিব সমস্ত জীবের জীবন ধারনের সম্ভব করে তুলেছে। বায়ুমণ্ডলের প্রধান গ্যাস হল নাইট্রোজেন (78.1%), অক্সিজেন (20.9%),কার্বন ডাই অক্সাইড (0.03%)। বায়ুমণ্ডলের প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কঠিন,তরল ও গ্যাসীয় কণা জীবজগতের প্রতিটি সদস্য গ্ৰহণ করে থাকে।পদার্থের বিভিন্ন কণাগুলি কখনো ছড়িয়ে পড়ে,কখনো বা একে অপরের সাথে কিংবা অন্য পদার্থের সঙ্গে ভৌত কিংবা রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা সংযুক্ত হয়। বায়ুমণ্ডলে ঘুরে বেড়ানো অধিকাংশ বিক্রিয়ক বা বিক্রিয়াজাত এই কণাগুলি পরিশেষে সমুদ্রে জলে, মানুষের দেহে বা অন্য কোথাও সঞ্চিত হয়। পরিবেশে এই কণাগুলি রোগ জীবাণুর সৃষ্টি করে, বিষক্রিয়া করার, শারীরিক হ্মতিসাধন করে বা পরিবেশ কলুষিত করে। এদেরকে মানুষ দূষকরূপে চিহ্নিত করেছে।
• সংজ্ঞা -
World Health Organisation (1961) - Air pollutions is "limited to situations in which the outer ambient atmosphere contains materials in concentrations which are harmful to man and his environment."
Professor H.Parkins (1974) Air pollutions may be defined as "The presence,in the outdoor atmosphere,of one or more contaminants such as fumes,dust gases mist,grit, odour,smoke,smog or vapours in considerable quantities and of duration which is injurious to human, animals or plant life or which unreasonably interferes with the comfortable enjoyment of life and property."
অর্থাৎ,বাতাসে অত্যাধিক পরিমাণে বহিরাগত কণা উপস্থিত হয়ে শরীরের ও সম্পদের হ্মতি সাধন করলে, এই ঘটনাকে বায়ুমণ্ডল বলে।প্রধানত শিল্প কলকারখানা থেকে বায়ু দূষণ হয়ে থাকে অর্থাৎ শিল্পায়নের পরিণতি হল বায়ুদূষণ।আর মোটরচালিত যান বা অটোমোবাইলের জন্য বায়ুদূষণ কে "সম্পদ-এর রোগ"হিসাবে বর্ণনা করা হয়।
2. বায়ুদূষকের প্রকারভেদ -
বায়ুদূষকের মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে।যথা -
১. প্রাথমিক দূষক -
প্রাকৃতিক ভাবে বা মানুষের তৈরি উৎস থেকে এসে বায়ুমণ্ডলের মেশে।যেমন - কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রিক অ্যাসিড,নাইট্রাস অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড,অ্যামোনিয়া, সালফার ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড প্রভৃতি জৈব যৌগ।
২. গৌণ দূষক -
প্রাথমিক দূষক গুলির মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়ে বা বহিরাগত কোন কণার সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে উৎপন্ন হলে তাদের গৌণ দূষক বলে।যেমন সালফার ট্রাই অক্সাইড, সালফিউরিক অ্যাসিড,অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, অ্যামোনিয়াম বাই সালফেট,ফরম্যালডিহাইড প্রভৃতি।
আবার, বায়ুদূষণ কে আরো তিন প্রকারে ভাগ করা যায়।
১. প্রাকৃতিক সংক্রামক
যেমন - কুয়াশা, পরাগরেণু, ব্যাকটেরিয়া, আগ্নেয়গিরির,অগ্ন্যুপাতের সময় নির্গত গ্যাস ইত্যাদি।
২. বায়ু কণা বা ভাসমান সূক্ষ্ম কণা
যেমন -ধূলা, ধোঁয়া, শিশির, কুয়াশা,বাষ্প ইত্যাদি।
৩. গ্যাস এবং জলীয় বাষ্প
যেমন - সালফার এবং নাইট্রোজেনের যৌগ, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের যৌগ ,জৈব যৌগ যথা অ্যালডিহাইড,হাইড্রোকার্বন, তেজস্ক্রিয় যৌগ ইত্যাদি।
এছাড়াও বায়ুদূষণের প্রকৃতি অনুযায়ী ৬টি ভাগে ভাগ করা যায়।যেমন -
- মোটর চালিত যানবাহন থেকে দূষণ।
- শিল্প হ্মেত্র থেকে দূষণ।
- তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দূষণ।
- শহর থেকে দূষণ।
- গ্ৰাম থেকে দূষণ।
- পারমাণবিক দূষণ।
- আগ্নেয়গিরি।
- দাবানল।
- ধূলিঝড়।
- জলাভূমি।
- মৃত্তিকা।
- মরুভূমি।
- সমুদ্র
- উদ্ভিদের বাষ্পমোচন প্রক্রিয়া।
- ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া,বান্দাই,অ্যালজি, পরাগরেণু।
- বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থের পচন।
- বিষাক্ত গ্যাসীয় পদার্থ।
- কঠিন পদার্থ ও হ্মুদ্র কণা।
- তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
- বিভিন্ন কলকারখানা ও শিল্প কেন্দ্র থেকে।
- কৃষিকাজের ফলে।
- খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র থেকে।
- তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।
- খনি অঞ্চল থেকে।
- ধাতু নিষ্কাশনে দ্বারা।
- যানবাহন থেকে।
- অরন্যধ্বংস।
- দাড়ি কামানো ফোম, স্প্রে নিঃসৃত ধোঁয়াশা।
- বিমানে ব্যবহৃত এরোসল।
- যুদ্ধ বিগ্রহ।
- পারমাণবিক চুল্লিতে বিস্ফোরণ।
- জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে।
- পৌর জঞ্জাল সাফাই।
- কার্বন মনোক্সাইড এর মানব রক্তে হিমোগ্লোবিনে সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্বো অ্যামিনো হিমোগ্লোবিন যৌগ তৈরি করে যার পরিনতি প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট।
- নাইট্রোজেনের অক্সাইড গুলি দেহে প্রবেশ করলে রক্তে অনুপ্রবেশ করে মানব দেহের ফুসফুসের কলা কোষ বিনষ্ট করে দেয়।
- বায়ুমণ্ডলের ওজোন গ্যাস বৃদ্ধি পেলে নাইট্রোজেনের অক্সাইড সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন গৌণ দূষক সৃষ্টি করে,যা একসঙ্গে ফটোকেমিক্যাল স্নগ সৃষ্টি করে মানবদেহের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার হ্মতিসাধন করে।
- সালফার ডাই অক্সাইড মানবদেহে শ্বাসকার্যের ব্যাঘাত ঘটায় বিশেষত ফুসফুস এরোসল কণা অন্যান্য শ্বাস অঙ্গের সিলিয়ারী আবরণ কলার হ্মতিসাধন করে।
- কার্বন ডাই অক্সাইড মানবদেহে শ্বাসকার্যের কষ্ট দেয়।
- রক্তে সীসার আধিক্যজনিত উপস্থিতি মস্তিকে স্নায়ুবিক দুর্বলতার সৃষ্টি করে।
- সীসা ঘটিত বিষক্রিয়ায় মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
- সীসার প্রভাবে মানুষদেহের বৃক্ষকে,যকৃতে এমনকি জনন তন্ত্রের হ্মতি হয়।
- বায়ুদূষণের ফলে মানুষের ক্যানসার সৃষ্টি হয়।
- বায়ুদূষক হিসাবে পরিচিত বিভিন্ন গ্যাস মানুষের মুখমন্ডল,ত্বক, ঠোঁট,চোখ এর প্রত্যহ্ম সংস্পর্শে আসে এবং এর ফলে দেহের ও সমস্ত অংশে মন্দ প্রভাব দেখা যায়।
- মানুষের শ্বাসনালী ফুলে যায়,হৃদরোগ,ব্রঙ্কাইটিস, কাশি,সাইনিস, হাঁপানি প্রভৃতি রোগ বায়ুদূষণের ফলে সৃষ্টি হয়।
- বায়ুদূষণের হ্মতিকারক প্রভাবের ফলে জীবজন্তুর ওজন কমে যাওয়া,পেশীর দুর্বলতা,পৌষ্টিক তন্ত্রের পহ্মাঘাত,দৃষ্টিশক্তি হ্রাস,দুধ উৎপাদনের হ্রাস প্রভৃতি দেখা যায়।
- শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বায়ুদূষণের কারণে মাথা ব্যথা,বমি বমি ভাব,বুকে ব্যথা,চোখ ও গলায় অস্থিরতা,রক্তে অক্সিজেন বহন হ্মমতা হ্রাস এবং চোখ জ্বালা করে।
- বায়ুদূষণের ফলে উদ্ভিদের পাতা খসে পড়া, পাতার দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়।
- বায়ুদূষণের ফলে উদ্ভিদের পাতায় বাদামী রঙের দাগ এবং পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়।একে ক্লোরোসিস বলে।
- উদ্ভিদের কান্ডে দাগ দেখা যায়।
- উদ্ভিদের উৎপাদন শীলতা হ্রাস পায় এবং বিভিন্ন পরিবর্তন লহ্ম্য করা যায়।
- উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াতে বিঘ্ন ঘটায়।
- অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে অনেক উদ্ভিদের হ্মতিসাধন হয়।
- দ্রুত হারে বায়ুদূষকের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটেছে,যার ফলে অতি হ্মুদ্র জীব দ্রুত পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন করতে না পারার মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছে।
- প্রাকৃতিক বনভূমি অঞ্চলে মধ্যবর্তী ও প্রান্তীয় বনভূমি অঞ্চলে কলকারখানা, রাস্তাঘাট ও যানবাহন দ্রুত চলাচলের ফলে বাতাসে দূষকের নির্গমন অতিরিক্ত হওয়ার হ্মুদ্র হ্মুদ্র তৃণভোজী প্রাণীর মৃত্যুর হয়েছে।
- আবার শিল্প নির্ভর দেশগুলিতে অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির সম্পূর্ণ রূপে বিলীন হয়ে গেছে।
- সিমেন্ট কারখানা, কয়লাখনি ও অ্যাসবেস্টস কলকারখানা গুলি থেকে সালফার ডাই অক্সাইড ও কার্বন ডাই অক্সাইড যেভাবে বায়ুমণ্ডলের মিশ্রিত হচ্ছে তাতে পাশ্ববর্তী অঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য ব্যাপক হ্মতিসাধন ঘটছে।
- বায়ুদূষণের ফলে গ্ৰীণ হাউস গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- গ্ৰীণ হাউস গ্যাস বৃদ্ধির ফলে অ্যাসিড বৃষ্টি লহ্ম্য করা যায়। এই বৃষ্টির ফলে জলে pH এর মাত্রা নীচে নেমে যায়।তার ফলে পাশ্ববর্তী অঞ্চলের বায়োম বা বাস্তুতন্ত্রের হ্মতি করে।
- অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে বহু জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী এবং উদ্ভিদের হ্মতিগ্ৰস্ত হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
- কলকারখানা ও যানবাহন থেকে অনিয়ন্ত্রিত দূষিত গ্যাস বায়ুমণ্ডলে মেশার ফলে স্থলভূমি ও জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র ও বাস্তুতন্ত্রের উপাদান গুলির প্রাকৃতিক ধর্মে দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে।যা বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।
- বায়ুদূষণের ফলে ওজোনস্তর হালকা হয়, অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং পরিবেশের বায়ু দূষিত হয়।
- আবহাওয়া ও জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন ঘটায় অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজাতি তার প্রাকৃতিক বাসভূমি থেকে সম্পূর্ণরূপে চিরতরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।ফলে রেড ডাটা বুক এ বিরল বিপন্ন ও বিপদাপন্ন প্রাণীর ও উদ্ভিদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।
- দ্রুত হারে বায়ুদূষণের ফলে নিন্ম বায়ুমণ্ডলে বায়বীয় কঠিন ও তরল পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়ার মাধ্যমে হাইড্রোফ্লোরিক অ্যাসিড, সালফিউরিক অ্যাসিড ও নাইট্রিক অ্যাসিড প্রভৃতি বায়ুমণ্ডলে বিক্রিয়া করে বৃষ্টির মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের এসে পতিত হয়।একে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।এই সমস্ত অ্যাসিড যুক্ত জল প্রাচীন স্থাপত্য এবং চুনাপাথর ও মার্বেল দ্বারা নির্মিত মন্দির, মসজিদ গির্জা ও অন্যান্য স্থাপত্যে ব্যাপকভাবে হ্ময়প্রাপ্ত করার প্রাচীন ঐতিহ্য শালী স্থান গুলি আজ গভীর সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। উদাহরণ - ভারতের তাজমহল।
- বায়ুদূষণের প্রভাবে লোহা,ইস্পাত,তামার হ্ময় শুরু হয়।
- বায়ুদূষণের ফলে গ্ৰানাইট, মার্বেল,পাথর এবং ইট পর্যন্ত বিবর্ণ হয়ে যায়।
- বায়ুদূষণের ফলে বিভিন্ন নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত রঙ অমসৃণ এবং বিবর্ণ হয়ে পড়ে,ফুলে ওঠে।
- সীসাযুক্ত জ্বালানী তেল যানবাহনে ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
- অতিরিক্ত বিদেশ, পেট্রোল ব্যবহার বন্ধ করা অবিলম্বে দরকার।
- ডিজেল,পেট্রোলের বিকল্প জ্বালানি যেমন বায়ো-ডিজেল ব্যবহার চালু করা।
- কলকারখানার যে সমস্ত জ্বালানীতে ধোঁয়া কম হয়,সেইসব জ্বালানী ব্যবহার করতে হবে।যেমন কয়লা ,ডিজেল এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করতে হবে।
- গ্ৰামাঞ্চলে রান্না ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করার সুযোগ থাকা চাই।
- গ্ৰামাঞ্চল এবং শহরাঞ্চলে রান্নায় ধূমহীন উনুনের ব্যবহার বেশী করে চালু করতে হবে।
- রান্নার জন্য সৌর কুকার ব্যবহার করতে হবে।
- মশা তাড়াতে ধোঁয়া উৎপন্ন করতে টায়ার বা সালফার পোড়ানো বন্ধ করতে হবে।
- কলকারখানার চিমনির উচ্চতা বাড়াতে হবে।
- যে সব কলকারখানা থেকে পুরানো যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য বেশী পরিমানে বায়ুদূষক গ্যাস নির্গত হয়,সেসব কারখানায় পুরানো পদ্ধতি বা যন্ত্রের পরিবর্তে আধুনিক যন্ত্রপাতি বা নতুন কর্ম পদ্ধতি ব্যবহার করা প্রয়োজন।
- দূষণ সৃষ্টিকারী যানবাহন চালানো বন্ধ করতে হবে।
- যানবাহনের ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি নিয়মিত রহ্মণাবেহ্মন করতে হবে।
- যানবাহনের থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময় অন্তর করা প্রয়োজন।
- যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া বাতাসে মেশায় আগে পরিশোধন করতে হবে।
- উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পের আধুনিকীকরণ বাধ্যতামূলক করা দরকার।
- স্প্রে মেশিন, বিমান প্রভৃতি থেকে নিষ্কাশিত এরোসল জনিত দূষণ প্রতিরোধে করার জন্য Inertial separators, filters, Precipitators জাতীয় যন্ত্রপাতির ব্যবহার করা হয়।
- গ্যাসীয় দূষিত পদার্থ গুলিকে নিয়ন্ত্রিত করার হ্মেত্রে Combustion, Absorption, Adsorption যন্ত্রপাতির প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা দরকার।
- যানবাহন থেকে নির্গত হাইড্রোকার্বন,কার্বন মনোক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য Tune-up, Catalytic Reactor জাতীয় যন্ত্রপাতি ও ইঞ্জিনের উন্নতি করা প্রয়োজন।
- দূষণ মাত্রার হার হ্রাস করার জন্য কলকারখানা বা শিল্পাঞ্চল এলাকার নিকটবর্তী অঞ্চলে গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন করা একান্তভাবে জরুরী।
- কলকারখানা অঞ্চল বা শিল্পাঞ্চল থেকে জনবসতি দূরে রাখতে হবে।
- শিল্পায়নের পূর্বে উপযুক্ত স্থান বেছে নিতে হবে এবং শিল্প বা কলকারখানা গড়ে ওঠার আগে পরিবেশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক হতে হবে।
- কৃষিজমিতে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে।
- কৃষিহ্মেত্রে কীট পতঙ্গ সহ জীবাণু দমনের জন্য জৈব প্রযুক্তির সাহায্যে নিতে হবে।
- শিল্পের ফলে উৎপন্ন বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থের উপযুক্ত প্রক্রিয়াকরণ হওয়া উচিৎ।
- বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন ট্রাই ইথিলিন গ্লুকোজ বাষ্প ঘরে স্প্রে করে ঘরের বায়ু দূষণ মুক্ত করা যেতে পারে।
- দূষণহীন বায়ু পাওয়ার জন্য ঘরের বদ্ধ বায়ু নির্গমন পাখা লাগিয়ে বের করে দিয়ে পরিষ্কার বায়ু প্রবেশ করাতে হবে।এতে জীবাণুমুক্ত বায়ু পাওয়া যেতে পারে।
- বায়ুদূষণের কারণ এবং ফলাফল সম্পর্কে সর্বস্তরের মানুষ এবং সরকারের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
- বৃহ্মরোপণ করে বায়ুদূষণ কিছুটা কমানো যায়।
- বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চিরাচরিত শক্তির পরিবর্তে অচিরাচরিত শক্তির যেমন - সৌর শক্তি,বায়ু শক্তি,জোয়ার-ভাটা শক্তির ব্যবহার প্রচলিত করতে হবে।
- বায়ুদূষণ প্রণীত দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন দূষণ রোধের হ্মেত্রে আরো কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে।
- The Bengal Smoke Nuisance Act,1905
- The Indian Electricity Act,1908
- The Indian Boiler's Act,1923
- The Petroleum Act,1934
- The Motor Vehicle Act,1938
- The Factories Act,1948
- The Industrial Development and Regulations Act,1951
- The Inflammable Substances Act,1952
- Mines and Minerals (Regulations and Development)Act,1957
- Prevention and Control of Pollution Act,1981
- Environment Protection Act,1992