লিখিত অভীহ্মা এবং মৌখিক অভীহ্মা||Written Test And Oral Test

লিখিত অভীহ্মা এবং মৌখিক অভীহ্মা||Written Test And Oral Test

লিখিত অভীহ্মা এবং মৌখিক অভীহ্মা||Written Test And Oral Test

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Written Test And Oral Test(Concept,Types,Advantages and Disadvantages, Difference),লিখিত অভীহ্মা এবং মৌখিক অভীহ্মা(ধারণা, সুবিধা এবং অসুবিধা,পার্থক্য)
Written Test And Oral Test

Assignment Questions -

1. লিখিত অভীহ্মার কাকে বলে।এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি বর্ণনা করো।||What is Written Test. Briefly Describe The Advantages And Disadvantages Of Written Test.

2. নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা বা অভীহ্মা কাকে বলে।এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি বর্ণনা কর।||What is Objective test.Describe it's Advantages And Disadvantages.

3. রচনাধর্মী পরীক্ষা বা অভীহ্মা কাকে বলে।এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি বর্ণনা কর।||What is Essay Types Test.Describe it's Advantages And Disadvantages.

4. মৌখিক অভীহ্মা কাকে বলে।এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি বর্ণনা কর।What is  Oral Test.Describe it's Advantages And Disadvantages.

5. লিখিত অভীহ্মা এবং মৌখিক অভীহ্মার পার্থক্য গুলি বর্ণনা করো।||Describe The Differences Between Written And Oral Test.

লিখিত অভীহ্মা এবং মৌখিক অভীহ্মা

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

১. লিখিত অভীহ্মা -

লিখিত অভীহ্মা হল সেই ধরনের অভীক্ষা যেখানে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়।এখানে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কিছু প্রশ্ন নির্বাচন করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা ওইসব প্রশ্নের উত্তর লিখিতভাবে উপস্থাপন করে।এরপর উত্তরপত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য থেকে শিক্ষার্থীর বিষয়গত জ্ঞান,লিখন দক্ষতা, শিখন ফলশ্রুতির অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষায় সাধারণত লিখিত অভীক্ষার সাহায্যে অ্যাসেসমেন্টের প্রাধান্য দেওয়া হয়।কারণ, শিক্ষার্থীর জ্ঞানের মান,কোনো সদস্যকে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা, বহুবিধ ঘটনাকে বা বিষয়কে মনে রেখে যথাযথ প্রকাশের ক্ষমতা যাচাই করতে এই লিখিত অভীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হয়।এই অভীক্ষা আদর্শায়িত হতে পারে, আবার শিক্ষক/শিহ্মিকা নির্মিতও হতে পারে।লিখিত অভীক্ষা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন শিক্ষাগত পারদর্শিতা অভীক্ষা,বুদ্ধি অভীক্ষা, প্রবণতা মাপার অভীক্ষা,পর্ব ভিত্তিক অভীক্ষা,একক অভীক্ষা, ব্যক্তিত্ব পরিমাপের অভীক্ষা প্রভৃতি।

• লিখিত অভীহ্মার প্রকারভেদ -

প্রশ্নপত্র রচনা ও উত্তরদানের রীতি ও বৈশিষ্ট্য বিচারে লিখিত পরীক্ষাকে তিনটি অংশে ভাগ করা যায়।যথা - 

  1. রচনাধর্মী পরীক্ষা।
  2. সংহ্মিপ্ত উত্তরধর্মী পরীক্ষা।
  3. নৈর্ব্যক্তিক বা বিষয়াত্মক পরীক্ষা।
১. রচনাধর্মী পরীক্ষা -

যে সমস্ত প্রশ্ন পরীক্ষার্থীকে উত্তরের উপাদান নির্বাচনে, উপাদান গুলির সুবিন্যাসে এবং সেগুলির লিখিত উপস্থাপনে সাধারণত স্বাধীনতা দেয় তাদের বলা হয় রচনাধর্মী পরীক্ষা।অধ্যাপক Gilbert Sax তাঁর 'Principles Of Educational and Psychological Measurement and Evaluation (1989) গ্ৰন্থে রচনাধর্মী অভীহ্মা সম্পর্কে বলেছেন - "Essay test is a test containing questions requiring the student to respond in writing Essay tests emphasise recall rather than recognition of correct alternative.It may require relatively brief responses or extended responses."

এই রচনাধর্মী প্রশ্নকে সাধারণত একক পদ বিশিষ্ট অভীহ্মা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।কারণ এখানে একটি অভীহ্মা পদের মধ্যে দিয়েই শিহ্মার্থীদের যুক্তিসম্মত চিন্তন হ্মমতা,ভাষাজ্ঞান, সুসংহত বক্তব্য উপস্থাপন হ্মমতা ও রচনা শৈলীর মতো বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করার চেষ্টা করা হয়।

রচনাধর্মী পরীক্ষার প্রকারভেদ -

রচনাধর্মী পরীক্ষাকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।যথা -

১. বিস্তৃত উত্তরধর্মী পরীক্ষা -

উপযুক্ত ভাষা ও শব্দ প্রয়োগ করে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ঘটনায় বিবরণ,কারন ব্যাখ্যা,চিহ্নিত চিত্র সহযোগে পরীক্ষা পদ্ধতি বর্ণনা উল্লেখ করতে হয়।

উদাহরণ -

  • থার্মোফ্লাস্কের চিহ্নিত চিত্রসহ কার্যপ্রনালী লেখ।
  • চিত্রসহ অক্সিজেন গ্যাস প্রস্তুতির পরীহ্মাগার পদ্ধতিটি লেখ।
  • মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ গুলি লেখ।
২. নিয়ন্ত্রিত উত্তরধর্মী পরীহ্মা -
এখানে উপযুক্ত নির্দেশের দ্বারা প্রশ্নের উত্তরকে অপেহ্মাকৃত ছোটো করে লিখতে বলা হয়।
উদাহরণ -
  • তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ফল সংক্রান্ত জুলের সূত্র তিনটি লেখ।
  • প্রতিসরনের সূত্র দুটি লেখ।
  • হুগলি নদীর ধারে কী কী প্রধান শিল্প আছে।

• রচনাধর্মী পরীক্ষার সুবিধা -

১. অভিক্ষার্থীর দক্ষতার বিবিধ দিকের মূল্যায়ন - 

  1. রচনাধর্মী অভীক্ষার সাহায্যে শিক্ষার্থীর যুক্তিসম্মত চিন্তন ক্ষমতা ও বিচার বিশ্লেষণ ক্ষমতার মূল্যায়ন করা যায়। 
  2. এর সাহায্যে বিষয়গত জ্ঞানের পাশাপাশি অপসারী চিন্তনের ক্ষমতা,জ্ঞানের সামান্যীকরণ ও অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ক্ষমতা পরিমাপ করা যায়। 
  3. শিক্ষার্থীর সুসংহত বক্তব্য উপস্থাপন ক্ষমতা, ভাষার দক্ষতা ও রচনাশৈলীর মূল্যায়ন করা সম্ভব। 
২. অভীক্ষার্থীদের বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা -

  1. রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তরদানের সময় অভীহ্মার্থীরা স্বাধীনচিন্তা প্রসূত মতামত পেছনের সুযোগ পায়।
  2. স্বাধীনভাবে বক্তব্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাষার দক্ষতা ও যুক্তি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতার উন্নতি সাধন সম্ভব হয়।
৩. অভীক্ষা গঠনের সুবিধা -

  1. রচনাধর্মী অভীহ্মাপত্র প্রস্তুত করা ও শিক্ষার্থীদের উপর প্রয়োগ করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
  2. শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও রচনাধর্মী প্রশ্নের সংখ্যা কম হলে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখেও অভীক্ষা নেওয়া সম্ভব। 
৪. অভীহ্মাপত্র প্রস্তুতিতে সময় ও অর্থের ব্যয় কম - 

রচনাধর্মী অভীহ্মাপত্র অপেক্ষাকৃত কম সময়ে ও কম অর্থব্যয়ে প্রস্তুত করা সম্ভব। 

৫. উন্নত পাঠাভ্যাস গঠন -

  1. শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্নত পাঠাভ্যাস গঠিত হয়। যেমন - কোনো বক্তব্যের ভাব সম্প্রসারণ, বিষয়বস্তুর সারসংক্ষেপ,কোনো ঘটনা সম্পর্কে সুনিশ্চিত যুক্তিপূর্ণ মতামত গঠনের অভ্যাস তৈরি হয়।
  2. শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুমানের ভিত্তিতে উত্তরদানের প্রবণতা তৈরি হয় না।
  3. শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয়বস্তু থেকে ব্যাপক ধারণা গঠন,কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়, সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য গঠনের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। 
৬. শিখন পদ্ধতির বিচারকরন -

রচনাধর্মী অভীক্ষার মাধ্যমে শিহ্মন শিখন প্রক্রিয়ার গুণগত মান বিচার করা যায়। 

৭. অংশগত নম্বর দান -

এই অভীহ্মার উত্তরে অংশগত নম্বর দানের ব্যবস্থা থাকায় স্কোর একেবারের শূন্য হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।

• রচনাধর্মী পরীক্ষার অসুবিধা -

১. বিষয় বস্তুগত যথার্থতা কম -

কোনো নির্দিষ্ট অধ্যায়ের সমস্ত অংশ জুড়ে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে না।ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই খুঁটিয়ে পড়ার প্রবণতা কম দেখা যায়। 

২. পরীক্ষকের ব্যক্তিগত প্রভাব -

  1. কোনো পরীক্ষার্থী শুরুর দিকের উত্তরদানে ভালো নম্বর পেলে সাধারণত দেখা যায় পরীক্ষক তাকে পরবর্তী অপেক্ষাকৃত কম ভালো উত্তর দানে মার্জনা করে ভালো নম্বর দেন। 
  2. পরীক্ষক সাধারণত নম্বর দানের সময় শিক্ষার্থীদের পরিচিতির দ্বারা প্রভাবিত হন।তিনি যে সমস্ত শিক্ষার্থীকে ভালো চোখে দেখেন তাদের অপেক্ষাকৃত বেশি নম্বর দেন।
  3. অনেক সময় দেখা যায় যে, কোনো পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর তার পূর্ববর্তী পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের দ্বারা প্রভাবিত হয়। 
  4. কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরীক্ষক পরীক্ষার্থীর রচনাশৈলী ও উপস্থাপিত বিষয়বস্তুর গুনগত মান অপেক্ষা তার হাতের লেখাকে বেশি গুরুত্ব দেন। 
  5. কোনো পরীক্ষক উদারভাবে আবার কোনো পরীক্ষক কঠোরভাবে উত্তরপত্র দেখেন।ফলে তুলনামূলক মূল্যায়ন নির্ভরযোগ্য হয় না। 
  6. পরীক্ষকের ব্যক্তিগত মেজাজ নম্বর দানে প্রভাব ফেলে। 
৩. পূর্বনির্ধারিত স্কোরিং নির্দেশনার অভাব - 

রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তরে কোন অংশে কতটা নম্বর দিতে হবে সে সম্পর্কে পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনা না থাকায় বিভিন্ন পরীক্ষকের নম্বর দান বিভিন্ন হয়। 

৪. উত্তরদাতা ও মূল্যায়নের সময় সাপেক্ষ -

  1. এই ধরনের অভীক্ষায় উত্তর দানে প্রচুর সময় লাগে এবং প্রচুর লিখতে হয় বলে পরীক্ষার্থীরা বিরক্তি বোধ করে।
  2. অভীহ্মাপত্রের যথাযথ মূল্যায়নে অনেক সময় লাগে বলে এই ধরনের অভিক্ষা গ্ৰহনে পরীক্ষকদের আগ্রহ কম দেখা যায়।
৫. উত্তর দানের দ্রুততার প্রভাব -

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, পরীহ্মার্থীর লেখার গতি পরীহ্মার ফলকে প্রভাবিত করে,উত্তর জমা সত্ত্বেও সীমিত সময়ের মধ্যে উত্তর লিখে শেষ করতে না পারায় প্রাপ্ত স্কোর কম হয়।

2. সংহ্মিপ্ত উত্তরধর্মী পরীক্ষা -

সংহ্মিপ্ত উত্তরযুক্ত অভীহ্মার প্রশ্ন রচনা ও উত্তরের মূল্যায়ন সম্পর্কিত মূল নীতি গুলি রচনাত্মক অভীহ্মার মতো একই রকম। কিন্তু শুধুমাত্র অল্প কয়েকটি বিষয় স্বতন্ত্রভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন।

  1. সংহ্মিপ্ত উত্তর কতটা সংহ্মিপ্ত তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে।যেমন - ১০০-১৫০ টি শব্দ,৩-৪টি বাক্য ইত্যাদি।
  2. সংহ্মিপ্ত উত্তর বিশিষ্ট অভীহ্মার একটি প্রশ্নে যথাসম্ভব একটি ধারনা বা একটি হ্মুদ্র বিষয় অংশকে ভিত্তি করতে হবে।
  3. নির্ধারিত দৈর্ঘ্যের চেয়ে অতিরিক্ত বড়ো উত্তর লিখলে যদি শক্তি দেওয়া হয় তবে প্রশ্নের উল্লেখ করতে হবে।যদি উত্তর প্রশ্নপত্রেই লিখতে হয় তবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু স্থান বরাদ্দ করতে হবে।
  4. কোনো বিষয়কে সংহ্মিপ্ত কিন্তু সম্পূর্ণ আকারে প্রকাশ করার দহ্মতাকে যথাযথ শূন্য দিতে হবে।

3. নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা - 

যে সব অভীহ্মাপদ বা প্রশ্নের শিক্ষার্থী এবং পরীহ্মক উভয়েরই ব্যক্তিগত প্রভাব আসার সম্ভাবনা থাকে না, তাদের বলা হয় বস্তুধর্মী বা নৈর্ব্যক্তিক অভীহ্মা।অধ্যাপক Lou.M.Carey(1988) বলেছেন যে,"Objective test items require students to work or select a correct or best answer,These items are called objective, because they can be scored more objectively than any other types of item used to measure students performance." পরীহ্মার্থীদের কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি শব্দ প্রয়োগ করে বা কতকগুলি ধারনা নির্বাচন করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।

• নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় প্রকারভেদ -

নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরনের উপর ভিত্তি করে নানা ভাগে ভাগ করা যায়।যথা -

  • শ্রেনিকরণ জাতীয়
  • সম্পর্ক স্থাপন জাতীয়
  • সম্পূর্ণ করণ জাতীয়
  • স্তরের/মিথ্যা নির্ণয় জাতীয়
  • পূনর্বিন্যাস জাতীয়
  • স্মৃতি মন্থন জাতীয়
  • বহু নির্বাচনী জাতীয়
  • উপমান জাতীয়

• নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় সুবিধা -

১. বিষয় বস্তুগত যথার্থতা বেশি -

অভীহ্মার অন্তর্গত বিষয়বস্তুর প্রায় সমগ্ৰ অংশ জুড়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পাওয়া যায়।ফলে শিহ্মার্থীদের মধ্যে পাঠ্যসূচির সমগ্ৰ অংশ খুঁটিয়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা সম্ভব হয়।

২. পরীহ্মকের ব্যক্তিগত প্রভাবমুক্ত -

  1. এই ধরনের অভীক্ষায় উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরীক্ষকের যাবতীয় প্রভাব,যেমন - Question to Question carry effect,Halo Effect, Examinee to Examinee effect ইত্যাদি থাকে না। 
  2. মূল্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট পূর্ব নির্ধারিত স্কোরিং নির্দেশনা ব্যবহৃত হয়।এখানে অভীহ্মা পদগুলির উত্তর দান নিয়ন্ত্রিত হওয়ার এবং উত্তরের বিভিন্নতা না থাকায় পরীক্ষকের ব্যক্তিগত খেয়াল ও মেজাজ মূল্যায়নে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। 
৩. শিক্ষার্থীর কাছে গ্ৰহনযোগ্যতা বেশি -

  1. এই ধরনের অভীক্ষার খুব কম সময়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর লিখে ভালো স্কোর করার সুযোগ থাকার শিক্ষার্থীরা এই ধরনের অভীহ্মা দিতে বেশি আগ্রহী হয়। 
  2. এই ধরনের অভীহ্মার মূল্যায়নে পরীহ্মকের ব্যক্তিগত মত, অভিরুচি, ভালো লাগা, মন্দ লাগা ইত্যাদির প্রভাব না থাকায় শিক্ষার্থীরা এই মূল্যায়নের প্রতি আস্থাশীল। 
৪. মূল্যায়ন কম সময় সাপেক্ষ -

রচনাধর্মী অভীহ্মার মূল্যায়নে যে সময় লাগে তার চেয়ে অনেক কম সময়ে এই অভীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা যায়।তাই শিক্ষকেরা এই ধরনের অভীক্ষা গ্রহণে বেশি আগ্রহী হন। 

৫. সংশোধন মূলক শিখনে সহায়ক - 

শিক্ষকের নির্দেশনার শিক্ষার্থীরা তাদের বন্ধুদের সাথে উত্তরপত্র বিনিময় করে নিজেরা মূল্যায়ন করলে নিজেদের ত্রুটিগুলি ও বিষয়গত দুর্বলতার স্থানগুলি নিজেরাই চিহ্নিত করতে পারে এবং কোন কোন বিষয় আরও ভালো ভাবে পড়া উচিৎ তা বুঝতে পারে।

৬. মুখস্থ বিদ্যার পরিপন্থী -

এই ধরনের অভীহ্মা শিক্ষার্থীদের মধ্যে না বুঝে মুখস্থ বিদ্যা দ্বারা পাঠ্য বিষয়বস্তু অধিগত করার উৎসাহ দেয় না।বরং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ ও চিন্তণের দ্বারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনুপ্রেরণা দেয়। 

৭. নির্ভরযোগ্য -

একই পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র বিভিন্ন পরীক্ষকের দ্বারা মূল্যায়ন করলে একই ফল পাওয়া যায়।অর্থাৎ এই ধরনের অভীহ্মা গ্রহণ করে নির্ভরযোগ্যতার সাথে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ও ব্যক্তিগত পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।

৮. আদর্শায়িত করা সম্ভব - 

সমবয়সী একদল শিক্ষার্থীর উপর প্রয়োগ করে এই অভীহ্মা এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অগ্ৰগতি ও মান তুলনা করা সম্ভব।

• নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় অসুবিধা -

১. জটিল শিখন প্রক্রিয়ার পরিপন্থী - 

এই ধরনের অভীহ্মা জ্ঞানের সামান্যীকরন,ভাব প্রকাশের হ্মমতা, সুসংহত বক্তব্য উপস্থাপন,ব্যাখ্যাকরণ,সংহ্মিপ্ত করণ ইত্যাদি দহ্মতা পরিমাপে সহায়ক নয়।

২. অনুমানের প্রভাবযুক্ত -

অনেক হ্মেত্রে দেখা যায় যে,অভীহ্মার্থী সঠিক উত্তর না জানা সত্ত্বেও অনুমানের ভিত্তিতে উত্তরদান করে এবং কোনো কোনো হ্মেত্রে তা ঠিক হয়ে যায়।ফলে শিহ্মার্থীর দুর্বলতার স্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।

৩. ব্যয় বহুল ও পরিশ্রম সাধ্য -

এই ধরনের অভীহ্মাপত্র প্রস্তুত খুবই শ্রমসাধ্য এবং এতে অপেহ্মাকৃত বেশি অর্থ ও সময়ের ব্যয় হয়।

৪. অসদু উপায় অবলম্বনের সুযোগ -

নৈর্ব্যক্তিক অভীহ্মার উত্তর খুবই সংক্ষিপ্ত হওয়ার অভীহ্মার্থীর অসদু উপায় অবলম্বনের সুযোগ পায়।

• লিখিত অভীহ্মার সুবিধা -

  1. লিখিত অভীহ্মা হল একটি নির্ভরযোগ্য এবং স্থিতিশীল।এটি বৈধ ধরনের মূল্যায়ন প্রদান করে। 
  2. লিখিত অভীহ্মা মাধ্যমে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায়,রচনাধর্মী পরীক্ষা এবং সংহ্মিপ্ত উত্তরযুক্ত অভীহ্মার বিষয়বস্তু এবং শেখার অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা হয়।
  3. লিখিত অভীহ্মার প্রাপ্ত প্রশ্নের উত্তর গুলি নিখুঁত,যথার্থ এবং নির্ভরযোগ্যতা স্কিম এবং স্কোরিং সাহায্যে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
  4. লিখিত অভীহ্মা নির্মানে এবং ব্যবহারিক পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ।
  5. লিখিত অভীহ্মা সময় এবং স্থান ভেদে একাধিক শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন সহজেই করা যায়।
  6. লিখিত অভীহ্মার উত্তর গুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য বইএর মাধ্যমে সংরহ্মণ করা যায়।
  7. এটি পরিমাপ করা সম্ভব।
  8. এই অভীহ্মাটি আদর্শায়িত হতে পারে আবার শিক্ষক/শিহ্মিকা দ্বারা নির্মিত হতে পারে।
  9. এটি শিক্ষক/শিহ্মিকার একটি নির্দেশমূলক প্রোগ্রামের পরিকল্পনা করতে এবং নির্দেশনা করতে সাহায্য করে।
  10. লিখিত অভীহ্মার সাহায্যে প্রশ্নপত্র এবং উত্তর বই সংশোধিত করা যায়।

• লিখিত অভীহ্মার অসুবিধা -

  1. লিখিত অভীহ্মার হ্মেত্রে কিছু নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মূল্যায়ন করা যায় না।
  2. লিখিত অভীহ্মার প্রশ্নের উত্তরের গুনমান মূল্যায়ন করা কঠিন বিষয়।
  3. লিখিত অভীহ্মার শিহ্মার্থীর ভূল শব্দের বা হাতের লেখার অস্পষ্টতা জন্য পরীক্ষক সঠিক ভাবে দেখতে পারেন না।
  4. লিখিত অভীহ্মার শিহ্মক বা শিহ্মিকার মধ্যে তাদের ব্যক্তিগত মেজাজ এবং স্বজন প্রীতি লহ্ম্য করা যায়।
  5. লিখিত অভীহ্মার বিষয়গত নির্ভরযোগ্যতার কম হয়।
  6. লিখিত অভীহ্মার প্রস্তুতি বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার,তাই এটিকে মূল্যায়নের ধারাবাহিক অংশ ব্যহত হয়।
  7. লিখিত অভীহ্মার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়।
  8. লিখিত অভীহ্মার সমগ্ৰ বিষয়ের জ্ঞান পরিমাপ করার সুযোগ থাকে না।
  9. লিখিত অভীহ্মার বিষয়বস্তুর বিন্যাস, প্রকাশ ভঙ্গির ইত্যাদি পরিমাপ করতে পারা যায় না।
  10. লিখিত অভীহ্মার হ্মেত্রে সময়ের মধ্যে উত্তর লিখতে না পারায় প্রাপ্ত স্কোরিং কম হয়।

2. মৌখিক অভীহ্মা -

ভাষাজ্ঞান, উচ্চারণ কিংবা সাধারণ জ্ঞানের অ্যাসেসমেন্টের জন্য যে কৌশল ব্যবহার করা হয়,তাকে বলা হয় মৌখিক অভীহ্মার। সাধারণত নিন্মশ্রেনিতে শিশুরা লিখবার হ্মমতা আয়ও করতে পারে না।এসব হ্মেত্রে মৌখিক অভীহ্মা গ্ৰহন করা হয়ে থাকে তার শিহ্মাগত পারদর্শিতার অ্যাসেসমেন্টের জন্য। আবার কোনো কোনো সময় উচ্চশ্রেনির মৌখিক অভীহ্মা গ্ৰহন করা হয়।এসব হ্মেত্রে শিক্ষার্থীদের স্মৃতি শক্তি ও জ্ঞানের পরিমাপ করা হয়। মৌখিক অভীহ্মার প্রশ্ন এবং উত্তর সবই মৌখিক ভাবে হয়। শিক্ষার্থীর পঠন হ্মমতা, উচ্চারণে নির্ভূলতা,সপ্রতিভা, গুছিয়ে বলার সামর্থ্য, জ্ঞানের গভীরতা প্রভৃতির অ্যাসেসমেন্ট করা হয় এই ধরনের কৌশলের সাহায্যে।

• মৌখিক অভীহ্মার সুবিধা -

  1. মৌখিক অভীহ্মার মাধ্যমে প্রয়োজন মতো প্রশ্ন করার সুযোগ থাকার সহজেই বাচনভঙ্গি, বোঝানোর হ্মমতা,জ্ঞানের গভীরতা, গুছিয়ে বলার হ্মমতা,স্মৃতি শক্তি অ্যাসেসমেন্ট করা যায়।
  2. যে সমস্ত শিহ্মার্থীদের লেখার হ্মমতা নেই অথচ তাদের শিহ্মাগত পারদর্শিতার পরিমাপের প্রয়োজন সেই সব হ্মেত্রে অ্যাসেসমেন্টের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার সুবিধাজনক।
  3. মৌখিক অভীহ্মার সাহায্যে পঠন প্রক্রিয়ার কৌশল যাচাই করা যায়। 
  4. এই অভীহ্মার দ্বারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব হয়।
  5. মৌখিক অভীহ্মা শিহ্মক বা শিহ্মিকার শিক্ষার্থীর মূল্যায়নে সহায়তা করে।
  6. মৌখিক অভীহ্মার মাধ্যমে শিহ্মার্থী বিষয়ের প্রতি ধারনা গুলিকে সংহত ও সংগঠিত করে নিজের ভাব প্রকাশ করতে পাচ্ছে কী না তা পরীহ্মক নির্ধারন করতে পারে।
  7. মৌখিক অভীহ্মা পদ্ধতিতের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়াকে সহজেই শিহ্মক পরিমাপ করতে পারেন।
  8. মৌখিক অভীহ্মা হল লিখিত অভীহ্মার পরিপূরক।
  9. নির্দিষ্ট বিষয়ের হ্মেত্রে শিহ্মার্থীদের ব্যক্তিগত অবস্থান জানার হ্মেত্রে এই পদ্ধতি সুবিধাজনক।

• মৌখিক অভীহ্মার অসুবিধা -

  1. মৌখিক অভীহ্মার প্রাপ্ত উত্তরের গভীরতা বিচারের হ্মেত্রে যথেষ্ট সময়সাপেহ্ম।
  2. মৌখিক অভীহ্মার মাধ্যমে ব্যক্তিগত বৈষম্যের জন্য সকল শিহ্মার্থী সমান ভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না।
  3. অনেক সময় সংকোচ ও শৈথিল্য শিক্ষার্থীর ভাব প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
  4. পরীক্ষার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের হ্মেত্রের মৌখিক পরীক্ষা কম কার্যকর।
  5. বিষয় বস্তু বিন্যাসের নির্ভরযোগ্যতা ও ঘাটতির অভাব সংক্রান্ত ক্রটি এহ্মেত্রে লহ্ম্য করা যায়।
  6. মৌখিক অভীহ্মার মাধ্যমে শিহ্মার্থীর পঠনের প্রতি হ্মমতার সম্পূর্ণ চিত্র প্রদান করে না।
  7. মৌখিক অভীহ্মার বিভিন্ন শিহ্মার্থীদের কাছে দেওয়া প্রশ্নগুলির আলাদা হয়,যার তুলনা করা কঠিন বিষয়।
  8. মৌখিক অভীহ্মার পরিকল্পনা অভাব দেখা যায়।
  9. মৌখিক অভীহ্মার অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ বিষয়, শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময় একজন শিহ্মার্থীর পরীহ্মা করা যেতে পারে। 

3. লিখিত অভীহ্মা এবং মৌখিক অভীহ্মার তুলনামূলক পার্থক্য -

লিখিত অভীহ্মার এবং মৌখিক অভীহ্মার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য লহ্ম্য করা যায়। যথা -

১. সংজ্ঞা -

যে পদ্ধতিতে বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা কতকগুলি প্রশ্ন করে থাকেন এবং শিক্ষার্থীদের সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর লিখিত রূপে দিতে হয়।একে লিখিত অভীহ্মা বলা হয়।

আর,যে পদ্ধতিতে একজন পরীহ্মক একজন শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন এবং শিহ্মার্থীকে মৌখিক ভাবে সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।এই পদ্ধতিকে মৌখিক অভীহ্মা বলা হয়।

২. ধরন -

লিখিত অভীহ্মার প্রশ্ন ও উত্তর মূলত লিখিত রূপে দিতে হয়।আর মৌখিক অভীহ্মার প্রশ্ন ও উত্তর মূলত মৌখিক ভাবে দিতে হয়।

৩. শিক্ষার্থীদের বিকাশ -

লিখিত অভীহ্মার মাধ্যমে শিহ্মার্থীর স্বাধীন রচনা শক্তি, কল্পনা শক্তি ও চিন্তাশক্তি, ভবিষ্যৎ জীবনের উপযোগী নির্ভূল ভাষা ব্যবহারের দহ্মতা, নির্ভূল বানান এবং সুন্দর রুচিশীল ও হস্তাহ্মরের কুশলতা বিকাশ ঘটে।

আর মৌখিক অভীহ্মার মাধ্যমে শিহ্মার্থীর পঠন হ্মমতা, উচ্চারনে নির্ভূলতা, গুছিয়ে বলার সামর্থ্য, জ্ঞানের গভীরতা,স্মৃতি শক্তি বিকাশ ঘটে।

৪. সময় ও অর্থ -

লিখিত অভীহ্মা মূলত সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল বিষয়।

লিখিত অভীহ্মার তুলনায় মৌখিক অভীহ্মার কম সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হয়।

৫. ব্যবহার -

বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার সাধারণত লিখিত অভীহ্মার সাহায্যে অ্যাসেসমেন্টের প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর বিদ্যালয়ে সাধারণত নিম্নশ্রেনিতে শিশুরা লিখবার হ্মমতা আয়ত্ত করতে পারে না তাই মৌখিক অভীহ্মা গ্ৰহন করা হয়ে থাকে তার শিহ্মাগত পারদর্শিতার অ্যাসেসমেন্টের জন্য। আবার কোনো কোনো সময় উচ্চশ্রেনিতেও মৌখিক অভীহ্মা গ্ৰহন করা হয়।

৬. লিপিবদ্ধতা -

লিখিত অভীহ্মার মূলত বই বা খাতায় লিপিবদ্ধ করা যায়। কিন্তু মৌখিক অভীহ্মা লিপিবদ্ধ করা যায় না।

৭. শ্রেনিবিভাগ -

লিখিত অভীহ্মার তিন ধরনের হয়,যথা - রচনাধর্মী অভীহ্মা,সংহ্মিপ্ত উত্তরধর্মী অভীহ্মা, নৈর্ব্যক্তিক অভীহ্মা প্রভৃতি।

মৌখিক অভীহ্মার কোনো শ্রেনিবিভাগ নেই।

৮. গুরুত্ব -

লিখিত অভীহ্মা সচেতন চিন্তন প্রক্রিয়া হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।আর মৌখিক অভীহ্মা পঠন প্রক্রিয়ার কৌশল যাচাই করা হয়।

৯. প্রয়োগ -

লিখিত অভীহ্মা একই সময় মধ্যে একক বা দলগত ভাবে শিক্ষার্থীর উপর প্রয়োগ করা যায়। কিন্তু মৌখিক অভীহ্মা মূলত একই সময় একজন শিহ্মার্থীর উপর প্রয়োগ করা যায়।

১০. সুবিধা - 

লিখিত অভীহ্মা এবং মৌখিক অভীহ্মার দুই নির্ভরযোগ্যতা রয়েছে।যে সমস্ত শিহ্মার্থীরা লিখতে অহ্মম তাদের জন্য মৌখিক অভীহ্মা সুবিধাজনক আর যে সমস্ত শিহ্মার্থীরা গুছিয়ে বলতে পারে না, তাদের জন্য লিখিত অভীহ্মার সুবিধাজনক।

১১. নির্দেশনা অবস্থান -

লিখিত অভীহ্মার শিহ্মক বা শিহ্মিকা একটি নির্দেশনা রয়েছে, কিন্তু মৌখিক অভীহ্মার শিহ্মক বা শিহ্মিকার কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই।

CLICK HERE

ENGLISH VERSION PDF FILE

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post