স্থূলতা||Obesity

স্থূলতা||Obesity

স্থূলতা||Obesity

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
স্থূলতা||Obesity

স্থূলতা

BENGALI VERSION
(ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE)
1. ভূমিকা -
প্রাচীন কাল থেকে স্বাস্থ্যের ধারণার নানারূপ পরিবর্তন এসেছে।সেই সময় একটু মোটা ব্যক্তিকে বলা হত ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী,আবার অন্যদিকে আপাত রোগা ব্যক্তিকে বলা হত দুর্বল বা মন্দ স্বাস্থ্যের অধিকারী।কিন্তু স্থূলতা দৈনন্দিন জীবনে বর্তমান প্রজন্মের একটি বিশেষ চিন্তার কারণ।তাই বর্তমানে বলা হয় সুস্থতা সক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।বিজ্ঞানের গবেষণায় মানুষের বয়স,লিঙ্গ, দেহের আকার, আয়তন ও উচ্চতা ইত্যাদি অনুপাতে একজন ব্যক্তির কী পরিমান মেদ থাকা প্রয়োজন তা আমরা জানি। সুতরাং পুরুষদের ক্ষেত্রে যদি 25% এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে 30% এর বেশি চর্বির পরিমাণ থাকে, তবে তাদেরকে আমরা অধিক মেদযুক্ত শরীর বলতে পারি।আর যেভাবে দ্রুতগতিতে স্থূলতার আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তার সঙ্গে তালমিলিয়ে আনুষাঙ্গিক অন্যান্য ব্যাধির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আরামদায়ক করে স্বচ্ছন্দে কাটানোর লহ্ম্যে আমরা শারীরিক পরিশ্রমকে হ্রাস করার চেষ্টা করছি।
প্রতিটি মানুষ এখন একটি দিকেই ছুটছি কতটা কম শক্তি খরচ করে সবথেকে বেশি কার্য সম্পাদন করা যায়। বর্তমানে মানুষের চাহিদার হাত ধরেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার নতুন ও বিভিন্ন সহজ পদ্ধতি দ্রুত গতিতে আবিষ্কৃত হচ্ছে যা বিশ্বের মানুষকে আরও অনেক বেশি কর্মহীন করে তুলেছে।সমস্ত কার্য পরিপূর্ণতা পাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নতির দ্বারা।
2. স্থূলতা -
স্থূলতা হল মানব দেহের অতিরিক্ত মেদ যা কলা কোশের সঞ্চয়।প্রতিটি মানব দেহের পরিচালনা জন্য প্রয়োজন হয় শক্তি,যা দেহের সমস্ত অঙ্গ ও তন্ত্র গুলির বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কার্যের সাম্যতা বজায় রাখে। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন কার্যাবলী বা পেশায় ওপর নির্ভর করে তার শরীরে কতটা শক্তির প্রয়োজন আছে।প্রাত্যহিক কাজ সম্পন্ন করার পরেও যদি মানুষের দেহ অভ্যন্তরে শক্তি অতিরিক্ত হয় তাহলে তা সঞ্চিত হিসেবে শরীরে থেকে যায় এবং ধীরে ধীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে থাকে যা শারীরিক ওজনকেও বাড়িয়ে তোলে।প্রতি মানুষের দৈহিক উচ্চতা ও ওজনের উপর নির্ভর করে ফ্যাটের শতকরা পরিমাপ করা হয়।আর একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং সুষ্ঠু কর্ম সম্পাদনের জন্য ফ্যাট বা চর্বি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান,কিছু প্রয়োজনের অতিরিক্ত কখনোই নয়।প্রত্যেক মানুষের দেহে একটি ন্যূনতম নির্দিষ্ট পরিমাণ ফ্যাট শতকরা এর প্রয়োজন থাকে।যখন দেহ সেই নির্দিষ্ট মাত্রার ফ্যাটের শতকরা অতিক্রম করে যায় তখন তাকে অতিরিক্ত ওজন বলে ধরা হয়।আর এই অতিরিক্ত ওজনকে অতিক্রম করলে তাকে 'স্থূলতা' বা 'Obesity' বলা হয়।
3. Body Mass Index (BMI) -
স্থূলতা পরিমাপের সূচক হল BMI।এই সূচক দ্বারা শরীরের ফ্যাটের শতকরা পরিমাপ করা যায়।এই BMI পরিমাপের সাহায্যে ব্যক্তির মেদ প্রবণতা ও অতিরিক্ত ওজনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে পারি।BMI পরিমাপের একটি সূত্র নিম্নে দেওয়া হল।-
BMI - Weight (in KG) ÷ Hight -² (in Mt)
BMI এর পরিমাপ অনুয়ায়ী যে স্কোর পাওয়া যায়,তার ভিত্তিতে মানব দেহকে বিভিন্নভাবে সূচিত করে।যথা -
BMI(KG/M²) Score               Classes
To         From                 
               18.5                     Less Weight.
18.5        25.00                  Normal Weight.
25.00      30.00                  Over Weight.
30.00      35.00                     Obesity.
35.00      40.00               Dangerous obesity.
40.00                        Very Dangerous Obesity.

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী 2005 সালে মোটামুটি 1.6 বিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী ছিল এবং তার মধ্যে প্রায় 400 মিলিয়ন ব্যক্তি স্থূলতার আক্রান্ত ছিল।2015 সালের পরিসংখ্যান অনুসারে যেটা দাঁড়িয়েছে 2.3 বিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী এবং 3700 মিলিয়ন ব্যক্তি স্থূলতার ভুগছে।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছাড়াই 2035 সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল হয়ে যাবে। World Obesity Federation ভবিষ্যদ্বানী করেছেন যে,বিশ্বের 51% বা 4 বিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তি আগামী 12 বছরের মধ্যে স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের হবে।এই প্রতিবেদনটি মূল্যায়নের জন্য BMI ব্যবহার করা হয়েছে। World Health Organisation (WHO) এর নির্দেশিকা অনুসারে 25% এর স্কোর হল অতিরিক্ত ওজন এবং 30% এর বেশি হলে স্থূলতা।যদিও 2020 সালের বিশ্বের মোট জনসংখ্যার 2.6 বিলিয়ন বা 38%  ব্যক্তি এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে।তাই দ্রুতগতিতে ব্যক্তির ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ব্যক্তির কার্যহ্মমতা কমিয়ে দিচ্ছে এবং তার সঙ্গে বিভিন্ন মারাত্মক ব্যাধির মধ্যে প্রবেশ করছে,যা একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান কালের।
4. স্থূলতার কারন -
স্থূলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় যে সমস্ত কারন গুলি দ্বায়ী,তা হল -
১. বংশগত কারণ -
অনেক সময় দেখা যায় যে, বংশগত কারণে বা পারিবারিক সূত্রে ব্যক্তি স্থূলতা অর্জন করে। অর্থাৎ পিতামাতার যদি স্থূল হয় তাহলে তার সন্তানও স্থূল হবে।
২. হরমোনের অসামঞ্জস্যতা -
ব্যক্তির মধ্যে হরমোন জনিত অসামঞ্জস্যতা স্থূলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৩. অ-সুষম খাদ্য তালিকায় -
প্রতিটি ব্যক্তি তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ভাসাম্যতা ও প্রাচুর্যতা মেদ সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অবহেলা করে থাকে,যা তাদের স্থূলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৪. অতিরিক্ত উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাদ্য গ্ৰহন -
অনেক ব্যক্তি উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত এবং অতিরিক্ত স্থেন পদার্থ জাতীয় খাদ্য গ্ৰহন করে থাকে,যার ফলে স্থূলতার স্বীকার হয়।
৫. অধিক ফাস্টফুডের প্রতি আসক্তি -
বর্তমানে মানুষেরা সুষম খাদ্যের বিপরীত ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, যেমন তেলযুক্ত,ফ্যাট, সোডিয়াম জাতীয় খাদ্য গ্ৰহনের ফলে তাদের মধ্যে স্থূলতার সৃষ্টি হয়েছে।
৬. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব -
প্রতিটি ব্যক্তির 24 ঘন্টার মধ্যে 6-8 ঘন্টা ঘুম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু বর্তমানে লহ্ম্য করা যায় যে একটি ব্যক্তি 6-8 ঘন্টা ঘুম না বা রাতেরবেলা দীর্ঘ সময় জেগে সকাল বেলা অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ঘুমাই। ফলস্বরূপ সেই ব্যক্তির মধ্যে স্থূলতা লহ্ম করা যায়।
৭. আয়েশি জীবন যাপন -
বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার উন্নতিতে মানুষকে কর্মবিমুখ করে আয়েশি জীবনযাপন করছে।ফলে মানুষেরা স্থূলতার স্বীকার হচ্ছে।
৮. কর্মহীনতা - 
বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ব্যক্তিরা অলস প্রকৃতি হয়ে ওঠছে।ব্যক্তির কর্মহীনতা তাদের দেহের শক্তি সঞ্চয় করে,যা তাদের কর্মহীন জীবন যাপন স্থূলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
৯. রোগের প্রাধান্য -
বর্তমানে কিছু কিছু এমন রোগে মানুষেরা আক্রান্ত হচ্ছে,যেমন - Hypothyroidism,Iosutin, Resistance, Poly cystic overy syndrome in,Cashing Syndrome প্রভৃতি।যা অনেক সময় ব্যক্তির মধ্যে স্থূলতা সৃষ্টি করে।
১০. ওষুধ সেবন -
বর্তমানে ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে,এর ফলে কিছু কিছু এমন ওষুধ সেবন করছে যা তাদের স্থূলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।যেমন এন্টিডিপ্রেসন্ট,এন্টি সাইকোর্টিক,ডায়োবেটিস রোধক ইত্যাদি।
১১. বিষন্নতা -
বিষন্নতা অনেক হ্মেত্রে ওজনকে কমিয়ে দেয় আবার অনেক ক্ষেত্রে বাড়িয়েও দেয়।বিষন্নতার স্বীকার হয়ে অতিরিক্ত আহারে করলে স্থূলতা হতে পারে।
১২. হরমোনের অসামঞ্জস্যতা -
ব্যক্তির দেহে মধ্যে হরমোনের অসামঞ্জস্যতা তাদের স্থূলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
১৩. নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা প্রতি বিমুখতা -
বর্তমানে ব্যক্তিরা অলসতা দরুন নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা প্রতি বিমুখতা লহ্ম করা যায়।
১৪. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাফল্যে -
বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার নিত্য নতুন আবিষ্কার মানুষকে কর্মবিমুখ করে তুলছে,যা ফলে স্থূলতার সৃষ্টি হচ্ছে।
১৫. অতিরিক্ত মাদক দ্রব্য গ্ৰহন -
বর্তমানে মানুষেরা অধিক পরিমাণে মাদক এবং মাদক যাত দ্রব্য গুলি সেবনের ফলে তাদের মধ্যে স্থূলতা লহ্ম করা যায়।
১৬. অভিভাবকদের অবহেলা -
অনেক সময় অভিভাবকদের অবহেলার কারণে তাদের সন্তানেরা অনেক সময় অতিরিক্ত ওজনের স্বীকার হয়।
১৭. দূষিত পরিবেশ -
অনেক সময় দূষনও স্থূলতার কারন হয়ে দাঁড়ায়। কলকারখানার ক্যামিক্যাল যেমন - Pesticides, Dues,Resins এবং Solvers ইত্যাদি এগুলি কিছু হ্মেত্রে ব্যক্তিকে স্থূল করে তোলে।
5. স্থূলতার প্রভাব -
স্থূলতা হল সেই সমস্যা যেখানে গৃহীত ক্যালোরির পরিমাণ ব্যয়িত শক্তির অধিক হলে ফ্যাট বা চর্বি জমা হয়।এর ফলে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা বা রোগের আক্রান্ত হচ্ছে।এই স্থূলতার কিছু ঝুঁকি লহ্ম করা যায়।যথা -
  1. দেহের ওজন অধিক হারে বৃদ্ধি পায়।
  2. ব্যক্তির শারীরিক সহ্মমতা ও দহ্মতা হ্রাস পায়।
  3. রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 
  4. রক্তচাপের সমস্যা জনিত রোগ।
  5. ডায়োবেটিস বা মধুমেহ রোগ।
  6. ক্যানসার।
  7. শ্বাস প্রশ্বাস জনিত রোগ। 
  8. দেহের অতিরিক্ত ওজন বহন জনিত রোগ যেমন কোমর, হাঁটু, গোড়ালি ইত্যাদি স্থানে যন্ত্রনা।
  9. যৌন সমস্যা। 
  10. গর্ভধারণের সমস্যা।
  11. কার্ডিয়ো ভাসকুলার জনিত রোগ।
  12. খেলাধুলার স্বাভাবিক বিচলন জনিত সমস্যা। 
  13. অনিয়মিত হরমোন নিঃসরণ জনিত রোগ।
6. স্থূলতার প্রতিকার ও নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি -
ব্যক্তির মধ্যে স্থূলতার হার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, অবিলম্বে তা প্রতিকার ও নিয়ন্ত্রন করার জন্য এই সমস্ত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে হবে।যথা -
১. খাদ্য নিয়ন্ত্রন -
স্থূলতার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিটি ব্যক্তির পরিমাণ মতো আহার করলে তাদের অতিরিক্ত ওজনকে নিয়ন্ত্রন বা প্রতিকার করতে পারব।
২. অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ত্যাগ -
মানুষের যে হারে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার গ্রহণ করছে,তাতে উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত ও ফ্যাট,সোডিয়াম থাকে।তাই উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাদ্যকে ত্যাগ করতে হবে।
৩. সুষম খাদ্য তালিকা -
প্রতিটি ব্যক্তির একটি সুষম খাদ্য তালিকায় তৈরি করা উচিৎ।এই খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন, ভিটামিন,ফোলিক অ্যাসিড,লোহা, ফাইবার ও ক্যালশিয়াম জাতীয় খাদ্য থাকা উচিত,যা স্থূলতা হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৪. লবনযুক্ত খাদ্য হ্রাস -
ব্যক্তির লবন যুক্ত খাদ্য কম খেতে হবে বা খাবারের লবণের পরিমাণে কম খেতে হবে যা অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্যে করে।
৫. ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করা -
ব্যায়াম ও শারীরিক কার্যাবলিতে দৈনন্দিন সময় দিতে হবে যাতে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চয় না হয়।যেমন - 12-16 বছর বয়সে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ন্যূনতম 45 মিনিট থেকে 1ঘন্টার শরীরচর্চা কিংবা 2 মাইল হাঁটার বা দৌড় এবং হাজার বার স্কিপিং করানো যেতে পারে।
এছাড়াও একক বা দলগত ক্রীড়ার অংশগ্ৰহন, বিনোদন মূলক খেলাধুলার অংশগ্রহণ প্রাতঃ কিংবা সান্ধ্য ভ্রমন, জগিং,খালি হাতের ব্যায়াম, জিমন্যাস্টিকস, সাঁতার ইত্যাদি নিয়মিত অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৬. যোগ বিদ্যা অভ্যাস -
প্রতিটি ব্যক্তির যোগা অনুশীলন করা,এতে শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।যেমন ভুজঙ্গাসন,স্লাসন চক্রাসন সর্বাঙ্গাসন পশ্চিমাত্তাসন ইত্যাদি আসন এবং কপালভাতি,অনুরোধ বিলোম ইত্যাদি প্রাণায়াম এবং নৌলি ও ধৌতি ইত্যাদি ক্রিয়া মেদকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।
৭. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা -
প্রতিটি ব্যক্তির রক্ত শর্করার পরিমাণকে বা তার সাম্যতাকে বজায় রাখতে হবে যা স্থূলতা নিয়ন্ত্রনে সাহায্যে করে।
৮. চিকিৎসকের পরামর্শ -
ব্যক্তির অন্তঃহ্মরা গ্ৰন্থির হ্মরন নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই নিকটবর্তী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৯. চিকিৎসা পদ্ধতি -
Bariatric Surgery এর মাধ্যমে ব্যক্তির স্থূলতা কমানো যেতে পারে।
১০. স্বাস্থ্য শিক্ষা দান -
স্বাস্থ্য শিক্ষা শিক্ষার্থী বা সমাজের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সম্পর্কীয় ধারনাকে স্বচ্ছভাবে তুলে ধরতে সাহায্যে যার দ্বারা খাদ্য বা পুষ্টি সম্পর্কিত জ্ঞান এখান থেকে পাওয়া যায় যা একজন ব্যক্তির ওজন নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিকার করতে সাহায্যে করে।
১১. পারিবারিক সচেতনতা -
প্রতিটি পরিবারের বাচ্চাদের মধ্যে একটি সচেতনতার অভ্যাস গড়ে দেয়।কোন খাবার গুলি খাওয়া প্রয়োজন,কোন খাবার গুলো অপ্রয়োজনীয়,সে সম্পর্কে বাচ্চারা অবগত হয়। অনেক হ্মেত্রে বাচ্চারা পারিবারিক সচেতনতার ওপর নির্ভর করে সকালে হাঁটা বা বিকালে বিনোদন মূলক খেলার অংশ নেয় যা ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি বিশিষ্ট উপায় রয়েছে।
7. উপসংহার -
পরিশেষে বলা যায় যে,প্রতিটি ব্যক্তির যদি পরিমিত আহার করে সক্রিয় জীবন প্রনালীর মধ্যে শারীরিক কসয়ত রেখে প্রত্যাহিক জীবন কাটাই তাহলে প্রতিটি ব্যক্তির সুস্থ থাকব এবং তাদের শারীরিক ওজনও নিয়ন্ত্রনে থাকবে। শারীরিক ওজনকে নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রেখে যদি প্রতিটি ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন উপভোগ করি ভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ও রোগের প্রতিরোধক হ্মমতাও বৃদ্ধি পায়।তাই ব্যক্তির মেদযুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত শরীর গঠনে শারীর শিক্ষার বিভিন্ন কার্যাবলি বা ব্যায়াম একমাত্র উপায় বা আগামী দিনের পৃথিবীতে সুস্বাস্থ্য সম্মত মনুষ্য সম্পদ উপহার দিতে পারবে।

CLICK HERE -


Assignment Questions -
1. স্থূলতা সম্পর্কে সংহ্মিপ্ত বর্ণনা কর।||Explain The Meaning Of Obesity.
2. স্থূলতার কারণ বর্ণনা কর||Discuss The Causes Of Obesity.
3. স্থূলতার ফলে সৃষ্ট প্রভাব গুলি কী কী।||What are The Effects Of Obesity.
4. স্থূলতার প্রতিকার এবং নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি গুলি কী কী।||What Are The Methods Of Obesity Treatment And Control.
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post