তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিহ্মা মিশন||National Mission on Education Through Information And Communication Technology (NMEICT)

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিহ্মা মিশন||National Mission on Education Through Information And Communication Technology (NMEICT)

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিহ্মা মিশন||National Mission on Education Through Information And Communication Technology (NMEICT)

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিহ্মা মিশন||National Mission on Education Through Information And Communication Technology (NMEICT)

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিহ্মা মিশন

BENGALI VERSION

(ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE)

1. ভূমিকা -

ভারতবর্ষ এমন একটি দেশ যেখানে লহ্ম করা যায় যে বিভিন্ন অঞ্চলে শিহ্মামূলক উপকরন বা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গুলি সমপরিমাণে এবং সঠিক সময়ে বন্টন করা যেতে না।এর ফলে দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক ও শিহ্মামূলক নানা বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল শিক্ষার্থীদের।আর এই বাঁধাই সৃষ্টি করেছে অঞ্চলভিত্তিক পার্থক্য।এই সমস্যাকে সমাধান করার জন্য ভারত সরকারের মন্ত্রণালয় দ্বারা National Mission on Education Through Information And Communication Technology বা NMEICT পরিকল্পনা গ্ৰহণ করা হয়েছিল।যার ফলে দেশব্যাপী শিহ্মা ব্যবস্থার সমস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সুযোগ সুবিধা লাভ করে।

2. National Mission on Education Through Information And Communication Technology বা NMEICT -

NMEICT হল এমন একটি পদহ্মেপে যার সাহায্যে শিক্ষা ও শিখন সম্পর্কীয় বিভিন্ন বিষয়ের সমস্যার মোকাবিলা করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে শিহ্মাকার্য পরিচালনায় শিহ্মক-শিহ্মিকা এবং শিক্ষার্থীদের সকল রকম চাহিদা পূরণে সাহায্যে দান করা।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিহ্মা মিশন হল একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা।যা ভারত সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (MHRD) এর অধীনস্থ।3rd February,2009 সালের অন্ধপ্রদেশের তিরুপতি তে NMEICT পরিকল্পনাটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়।

এই পরিকল্পনা সাহায্যে সামাজিক অর্থনৈতিক ও শিহ্মামূলক অবস্থা সব কিছু নির্বিশেষে খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য দিনে 24 ঘন্টা (24×7) গুনগত শিহ্মামূলক উপকরন ও শিহ্মক-শিহ্মিকা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী সমস্ত শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে যেমন উচ্চমানের E-Content সরবরাহ করা হচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় এর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কম খরচে Computer ও Computing Devices ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে।

3. NMEICT এর শিখনের পরিকাঠামো -

NMEICT পরিচালনার জন্য কয়েকটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে,যাদের কাজ হল দহ্মতার সঙ্গে প্রশাসনিক কাঠামো গঠন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মিশনের হ্মেত্রে প্রয়োজনীয় সম্পদের সরবরাহ বজায় রাখা ও তাদের কার্যকারিতা অর্জনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এইসব কমিটি গুলি হল -

১. Apex Committee -

এই শীর্ষ কমিটির সভাপতিত্ব করেন Minister Of Human Resources Development এবং এর বিভিন্ন সদস্যবৃন্দ হল অর্থ দপ্তর,DIT, DOT,HESEL, Planning Commission এর সম্পাদকগন,সমস্ত IITs, IIMs, IISc এর পরিচালক,সমস্ত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের VC(Vice Chancellor), UGC, AICTE, NCTE, DEC, IGNOU, CBSE, NCERT এর প্রতিনিধিবৃন্দ। এই শীর্ষ কমিটি মিশনের সাফল্য লাভের জন্য নীতি নির্ধারণের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দান করে থাকে।

২. Mission Secretarial - Apex Committee, Empowered Expert Committee And Domain Expert Committee - 

এটি পুরোপুরি নির্ভরশীল মিশন সচিবালয়ের উপর। মিশন সচিবালয়ে উপরোক্ত এই তিনটি কমিটি বিভিন্ন নথিপত্রের সমন্বয় সাধন ও প্রতিদিন কার্ড বিভিন্ন সমস্যা এক্ষেত্রে সাহায্য দান করে থাকে এই অফিসটি বিভিন্ন কমিটি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এর মধ্যে সমন্বয় সাধন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. Expowered Committee Of Expert -

এই কমিটি হল প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে থাকে এই বোর্ড। শীর্ষ কমিটি মতো এই কমিটির তেও সভাপতিত্ব করেন Minister Of Human Resources Development। এই কমিটির সদস্যবৃন্দ হলেন বিভিন্ন শিল্প ও অধ্যায়ন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং মহাকাশ বিভাগ, অর্থ দপ্তর, পরিকল্পনা কমিশন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, টেলি যোগাযোগ বিভাগ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ। এই কমিটি অন্যান্য কমিটি গুলির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. Domain Expert Committee -

এই কমিটির বিভিন্ন রকমের প্রযুক্তিগত সহায়তা দানের কাজ করে থাকে এবং বিভিন্ন প্রকল্প গুলি ক্রমাগত পর্যালোচনার দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকে।

৫. Program,Advisory And Management Team -

NMEICT এর প্রধান কার্যক্রম গুলি এই কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। বিভিন্ন দল গোষ্ঠী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ক্ষেত্রে বিশেষ দায়িত্ব পালন করে থাকে এবং সমস্ত রকমের সম্ভবপর কার্যক্রম গুলি খুঁজে সেগুলি প্রয়োগ করার চেষ্টা করে যাতে করে NMEICT সাফল্য অর্জন করতে পারে।

4. NMEICT এর প্রয়োজনীয় উপাদান -

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় শিহ্মা মিশনে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করার জন্য যে সমস্ত উপাদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি হল -

১. Sakshat Portal -

এটি হল একটি অনলাইন মাধ্যম।এই পোর্টালের মাধ্যমে একদিকে শিহ্মা ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্রটি বিচ্যুতি গুলি দুর করতে সাহায্যে করে, তেমনি দেশের সেরা বিশেষষ্ণদের একসঙ্গে আনয়নে সাহায্যে করে থাকে। ভারতীয় শিহ্মা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না থাকে সেই কারণে এই পোর্টালটি একদিকে যেমন গুনমান সম্পন্ন পাঠক্রম সরবরাহ করে, তেমনি শিখনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলির ব্যবস্থা করে।এর মাধ্যমে শহর থেকে গ্ৰাম সকল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাই কোনরূপ বাঁধা ছাড়াই অনায়াসে শিহ্মাগ্ৰহনে করতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী একসঙ্গে অনেকজন শিক্ষার্থী শিহ্মা গ্ৰহন ব্যবস্থা করতে পারে।

২. ই-বই ও ই-পত্রিকা -

প্রথাগত বা প্রথাবহির্ভূত যে কোনো শিহ্মাব্যবস্থার একটি মৌলিক উপাদান হল পাঠ্যপুস্তক। আবার পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইব্রেরির অভাব বা প্রকাশনা গুলির অল্প পরিমাণে বই ছাপা বা বিভিন্ন কারণ বসত শিক্ষার্থীরা বই বা বিভিন্ন শিক্ষামূলক পত্রিকা পাওয়া ও সঠিকভাবে শিক্ষা গ্ৰহনের থেকে বঞ্চিত থাকে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ই-বই ও ই-পত্রিকা, Sakshat Portal এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় পরিমাণে e-books ও  e-Journals পেতে সমর্থ হয়। এখানে নতুনত্ব সব বই ও পত্রিকা গুলি দেওয়া থাকে,যাতে শিক্ষার্থীরা শিখনের হ্মেত্রে কোনোরূপ অসুবিধার সম্মুখীন না হয়।এই সব কিছু শিহ্মার্থীদের সরবরাহ করা হয় একদম বিনামূল্যে।

৩. দৃশ্যনির্ভর বিষয়বস্তুর সূচিপত্র ও খন্ড -

ওয়েব সক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কে ভিডিও এর মাধ্যমে শিহ্মা গ্ৰহন সাহায্যে করাই হল এর কাজ।এর ফলে শিহ্মার্থীদের কোনো বিষয়ের প্রতি যেমন আগ্ৰহ জাগানো যায়,তেমনি তাদের একঘেয়েমি ও অলসতা দুর করা যায়।যথা - Central Institutes Of Educational Technology (CIET), Indira Gandhi National Open University (IGNOU), State Institutes Of Educational Technology (SIET), National Institutes Of Open Schooling (NIOS) প্রভৃতির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।এরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ভিডিও শিখনের ব্যবস্থা করে।যার ফলে শিহ্মার্থীরা সহজেই বাড়িতে বসে শিক্ষাগ্ৰহন করতে পারে। ওয়েব সক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় 60,000 ঘন্টার মতো দৃশ্য নির্ভর বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীরা গ্ৰহন করতে সহ্মম।

৪. ই-বিষয়বস্তুর মূল্যায়ণ -

বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে শিখন উপকরণ ও বিষয়বস্তু গ্ৰহণ করতে সহ্মম।এইসব বিষয়বস্তু গুলির গুনগত মান বৃদ্ধিতে ও মূল্যায়নে NMEICT ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহন করেছে। পাশাপাশি উপযুক্ত মানের উপাদান অনুসন্ধান সহজতর করার জন্য এই পরিকল্পনাটি প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা দান করেছে।

৫. জাতীয় পরীহ্মামূলক সেবা -

এই মিশনটি জাতীয় পরীহ্মামূলক সেবা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তি মূলক সহায়তা দান করেছে।এর মাধ্যমে প্রথাগত বা প্রথাবহির্ভূত বা বিভিন্ন কাজে ব্যক্তিকে দহ্ম করে তোলার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

৬. ভাষা পরিবর্তক যন্ত্রের উন্নয়ন -

NMEICT প্রাথমিক স্তর থেকে গবেষণা স্তর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের দেশের অনেক রাজ্য এমন আছে যেখানে স্নাতক স্তর পর্যন্ত পঠনপাঠন আঞ্চলিক ভাষাতেই হয়ে থাকে। কিন্তু NMEICT এর বিষয়বস্তু বিকাশ শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষাতেই হয়ে থাকে। যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা sakshat Portal এর মাধ্যমে কোনোরূপ সুবিধা অর্জন করতে পারছে না।তাই NMEICT প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহন করা শুরু করেছে,যার সাহায্যে বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষাতে শিহ্মা গ্ৰহন করতে পারে।

৭. ডিজিটাল সাহ্মরতা -

ডিজিটাল সাক্ষরতা হল এমন একটি উপাদান যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা হার্ডওয়ার্ক সফটওয়্যার ইন্টারনেট ইত্যাদি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও তার থেকে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এর জন্য বিভিন্ন NGO কে সক্রিয় করে তোলা হয়েছে।এই সব NGO গুলি প্রায় রাজ্য ও জেলাতে স্থাপন করা হয়েছে।এদের কাজ হল প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে ডিজিটাল সাহ্মরতার প্রেষণা জাগানো।এর জন্য প্রায় 600 এর মতো জেলাতে 1200 এর মতো Motivators রাখা হয়েছে এবং প্রত্যেক Motivator's এর বিভিন্ন কাজে জন্য বাৎসরিক 100000 করে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

৮. ইন্টারনেট -

শিহ্মা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার অন্যতম উপাদান হল ইন্টারনেট।এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই কোনো বিষয়ের উপর নতুন নতুন তথ্য সংগ্ৰহ করতে পারে।এই NMEICT সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করেছে।যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা 24 ঘন্টা যে কোনো সময়ে এর ব্যবহার করতে পারবে।

5. NMEICT এর লহ্ম্য ও উদ্দেশ্যাবলী -

• লহ্ম্য -

NMEICT এর মাধ্যমে যে সমস্ত বিষয় গুলিকে লহ্ম্য করে করা হয়েছিল,সেগুলি হল -

  1. অনলাইনে পরীক্ষা ব্যবস্থা ও সার্টিফিকেট প্রদান করা।
  2. E-Learning এর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  3. শিহ্মক-শিহ্মিকাদের অনলাইনে দহ্মতা বৃদ্ধি করা যাতে তারা শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে নির্দেশনা ও পরামর্শ দান করতে হবে।
  4. পর্যাপ্ত পরিমাণে শিহ্মামূলক স্যাটেলাইট (EDUSAT) এর ব্যবহার করা।
  5. ভার্চুয়াল গবেষণাগারের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা।
  6. একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময় কালের মধ্যেই উচ্চ শিক্ষা হ্মেত্রে শিহ্মার্থীদের অন্তর্ভূক্তির হার বৃদ্ধি করা।
  7. শিহ্মন শিখন কার্যে Computing Devices গুলি ব্যবহারের দহ্ম তুলতে সহায়তা করা।

• উদ্দেশ্যাবলী -

NMEICT পরিকল্পনা মূল উদ্দেশ্য ছিল 50 কোটির বেশি ভারতীয়কে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে এসে শিখনের চাহিদা গুলি পূরণ করা ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা।শিহ্মক-শিহ্মিকা ও শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের জ্ঞানের চাহিদা ঠিকঠাক ভাবে পূরণ করতে পারে সেইজন্য কিছু সময় অন্তর অন্তর নিত্য নতুন বিষয় গুলিকে তাদের সামনে উপস্থাপন করার দায়িত্ব গ্ৰহন করেছে এই মিশনটি।এসব ছাড়া মিশনের আর যে সমস্ত উদ্দেশ্য গুলি বিশেষভাবে লহ্ম করা যায়,তা হল -

  1. দেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থী বা ছেলেমেয়েদের জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
  2. যে কোনো সময়ে যে কোনো শিক্ষার্থীরা জ্ঞান লাভে জন্য স্ব-শিখন প্রক্রিয়ার প্রতি গুরুত্ব দান করা।
  3. এর জন্য e-books ও e-Journals সরবরাহ করা এবং উৎপন্ন নতুন বিষয়বস্তু গুলি স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে যাচাই করা।
  4. NMEICT শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নতুন ধারনা ও কৌশল গুলির জন্য একটি নতুন মঞ্চ হিসাবে কাজ করে।
  5. দেশের প্রতিভাবান শিহ্মার্থীদের খুঁজে বের করা ও উচ্চ শিক্ষা গ্ৰহনের জন্য বৃত্তি প্রদান করা।
  6. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে অস্ত্র করে জন সাধারণকে শিহ্মার আলোয় নিয়ে আসতে ও ডিজিটাল সাহ্মরতার ধারণা সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর হ্মেত্রে যে সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি বর্তমানে কাজ করছে তাদের কে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা।
  7. ICT এর মাধ্যমে শিহ্মা গ্ৰহনের শিক্ষার্থীদের আগ্ৰহী করে তোলা।
  8. এহ্মেত্রে উচ্চগতি সম্পন্ন ডাটা নেটওয়ার্ক (High Speed Data Networks) এর মাধ্যমে ভারতে প্রায় 400টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও 22000 টির বেশী মহাবিদ্যালয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা।
  9. সেরা শিহ্মক-শিহ্মিকা ও বিশেষষ্ণ ব্যক্তিদের দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিহ্মা মূলক বিষয়বস্তু ও ভিডিও তৈরি করা হয়।
  10. তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শিহ্মাদানে শিহ্মক-শিহ্মিকাদের হ্মমতা বৃদ্ধির জন্য ডিজিটাল সাহ্মরতার বিস্তার ঘটানো এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিহ্মক-শিহ্মিকা যাতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারে সেইজন্য তাদের কে উৎসাহিত করা।
  11. বিভিন্ন শিক্ষামূলক নীতি ও পরিচালনা ঘটনার জন্য GIS ( Geography Information System) নির্ভর শিক্ষা সম্পদ গুলির বিকাশ ঘটানো।
  12. শিহ্মক শিখন কোর্সের পাঠ্যক্রমের উন্নতি সাধন করা।
  13. যে সব শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্ৰহণ থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে তাদেরকে শিক্ষার আঙিনায় নিয়ে আসা। 
  14. শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য E-Governance ও ERP(Enterprise Resource Package) এর ব্যবস্থা করা।
  15. শিক্ষা বিনোদন নির্ভর শিক্ষামূলক উপকরণ গুলির বিকাশ সাধন করা।
  16. 40 Transponder (রেডিও সংকেত গ্রহণ ও স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভিন্ন সংকেত প্রেরনের একটি যন্ত্র এর সাহায্যে 1000 DTH (Direct To Home) চ্যানেল সরবরাহ করা।যার ফলে প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য বিভিন্ন ভাষাতে ও বিভিন্ন বিষয়ে আলাদা আলাদা DTH চ্যানেল উপলব্ধি করানো সম্ভব। 
  17. প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। 
  18. ভার্চুয়াল গবেষণাগার ও কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে গুনগত মান বৃদ্ধি করা।
  19. শিহ্মক-শিহ্মিকা ও পরীহ্মকের জন্য নির্ভরশীল শনাক্তকরণ পদ্ধতি গুলির উন্নতি সাধন করা।
  20. মডেল পরীক্ষা কেন্দ্র গুলির উন্নয়ন যাতে শিক্ষার্থীদের কে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া যায়। 
  21. ইন্টারনেট নির্ভর শিখনে বিভিন্ন সমস্যা গুলি দূর করা। 
  22. বিভিন্ন মনোবৈজ্ঞানিক ও ব্যক্তিমূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দান করা। 
  23. বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য দান করা।

6. NMEICT এর সুবিধা -

  1. দেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থী বা ছেলেমেয়েদের জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
  2. যে কোনো সময়ে যে কোনো শিক্ষার্থীরা জ্ঞান লাভে সহ্মম হবে স্ব-শিখন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। 
  3. NMEICT নতুন নতুন ধারনা ও কৌশল গুলি ভাগ করে নেওয়ার মঞ্চ হিসেবে শিহ্মক-শিহ্মিকা ও শিক্ষার্থীদের সাহায্যে দান করবে।
  4. প্রতিভাবান শিহ্মার্থীদের খুঁজে বের করা ও উচ্চ শিক্ষা গ্ৰহনের জন্য বৃত্তি প্রদান করা।
  5. ICT এর মাধ্যমে শিহ্মাগ্ৰহনে শিক্ষার্থীদের আগ্ৰহী করে তোলা।
  6. ICT এর মাধ্যমে শিহ্মক-শিহ্মিকাদের ডিজিটাল সাহ্মরতার বিকাশ ঘটানো।
  7. শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের বা শিহ্মার্থীদের শিক্ষার আঙ্গিনায় নিয়ে আসা।
  8. প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। 
  9. শিক্ষার্থীদের শিহ্মা গ্ৰহনের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ভাষাতে ও বিভিন্ন বিষয়ে আলাদা আলাদা DTH চ্যানেল সরবরাহ করা হয়।
  10. শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট নির্ভর শিখনের ফলে বিভিন্ন সমস্যা গুলি দূর করা সম্ভব হয়।
7. NMEICT এর অসুবিধা -
  1. দরিদ্র পরিবারের পহ্মে এই পরিকল্পনা ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
  2. শিক্ষার্থীদের এই কোর্সের প্রতি অমনোযোগী হয়।
  3. শিহ্মক-শিহ্মিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরাসরি ভাবে যোগাযোগের মাধ্যম নেই।
  4. শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োজন হয়।
  5. সকলের মধ্যে একটি বিচ্ছিন্নতার মনোভাব অনুভূত করা যায়।

8. উপসংহার -

NMEICT এর মাধ্যমে একদিকে শিহ্মা ব্যবস্থাকে যেমন শিক্ষার্থীদের বাড়ির দুয়ারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে তেমনি শিহ্মক-শিহ্মিকাদের জ্ঞান বৃদ্ধির হ্মেত্রে আগ্ৰনী ভূমিকা পালন করেছে।তাই NMEICT এর সব থেকে বড়ো চ্যালেঞ্জ হল এটিকে কার্যহ্মেত্রে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা।আর এই কার্যহ্মেত্রে সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য দরকার সুপরিকল্পনা করা। উপরিউক্ত এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা গুলি প্রদানের মাধ্যমে NMEICT একদিকে যেমন গ্ৰামাঞ্চল ও শহরাঞ্চল এর শিহ্ম-শিহ্মিকাদের ও শিহ্মার্থীদের মধ্যে পার্থক্য দুর করতে সহ্মম হয়েছে,তেমনি শিহ্মন শিখন কার্য গুলিতে ব্যবহারের দহ্ম করে তুলতে সহ্মম হচ্ছে।

CLICK HERE -

ENGLISH VERSION PDF FILE

Assignment Questions -

1. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মাধ্যমে শিক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় মিশন বা NMEICT উপর সংক্ষিপ্ত টিকা দাও।||Short Note On National Mission on Education Through Information And Communication Technology or NMEICT.

2. NMEICT শিখনের পরিকাঠামো গুলি সম্পর্কে সংহ্মেপে বর্ণনা কর।||Briefly Describe The Infrastructure Of NMEICT Learning.

3. NMEICT প্রয়োজনীয় উপাদান গুলি কি কি।||What Are The Required Components Of NMEICT?

4. NMEICT এর লহ্ম্য ও উদ্দেশ্য গুলি বর্ণনা কর।||Describe the Goals and Aims Of NMEICT.

5. NMEICT এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি কি।||What Are The Advantages And Disadvantages Of NMEICT.

Read More.......

National Mission on Education Through Information And Communication Technology বা NMEICT

Spoken Tutorial

Gyan Darshan

GyanVani

Sakshat Portal

E-Gyankosh

Virtual Laboratory

Haptic Technology


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post