জ্ঞান বাণী||GyanVani
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
জ্ঞান বাণী
BENGALI VERSION
(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE)
1. ভূমিকা -
উন্নয়নশীল ভারতবর্ষে শিহ্মাহ্মেত্রে পরিবর্তন ও সংস্কারের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হল একটি শক্তিশালী সক্রিয় হাতিয়ার।কারন এর বিভিন্ন যন্ত্র ও কৌশল গুলি যেমন টিভি,রেডিয়ো, মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদির সাহায্যে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে শিহ্মাদান করা সম্ভব।তাই আজ প্রযুক্তির ব্যবহারে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে শিহ্মাগত প্রাসঙ্গিকতা ও শিহ্মার সুযোগ বৃদ্ধিতে উন্নত ধরনের ব্যবস্থা গ্ৰহনে ভূমিকা গ্ৰহন করেছে।এর মাধ্যমে স্বল্প আয়ের যে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, মহিলা এবং কম দহ্ম শ্রমিকরা জ্ঞান গ্ৰহন করতে পারে।তাই বর্তমানে গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।এই ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম হল জ্ঞান বাণী।
• জ্ঞান বাণী -
জ্ঞান বাণী হল একটি শিহ্মামূলক FM Radio Station। রেডিয়ো 105.6 FM Station এই শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়।
• জ্ঞান বাণীর উৎপত্তি -
2000 সালের মার্চ মাসে ভারত সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের (MHRD) অধীনে এই FM Station টি চালু করা হয়।তবে এটিকে পরিচালিত করা ও সম্প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয় IGNOU কে।কারণ ইতিমধ্যেই IGNOU জ্ঞান দর্শন টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দহ্মতা অর্জন করেছে। IGNOU জ্ঞান বাণী স্টেশনটি সম্প্রচারের উদ্দেশ্যে All India Radio সাথে একটি চুক্তিতে স্বাহ্মর করা হয়েছিল।এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় তৎকালীন IGNOU রেজিস্ট্রার K. S. Pradada Rao এবং All India Radio এর ইঞ্জিনিয়ার Hari Om Srivastava এর মধ্যে এবং এই চুক্তিতে স্বাক্ষর প্রদান করেন প্রসার ভারতীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) Anil Baijal এবং IGNOU উপাচার্য HR Dixit।
• জ্ঞান বাণীর উদ্দেশ্যাবলী -
- যে কোনো সময়ে,যে কোনো স্তরে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান লাভে সহ্মম হবে।
- এটি একটি স্ব-শিখন প্রক্রিয়া।
- রেডিও নতুন নতুন ধারনা ও কৌশল গুলি ভাগ করে নেওয়ার মঞ্চ হিসাবে কাজে করে।
- দেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থী জাতি,ধর্ম,বর্ণ, নির্বিশেষে যাতে সকলে জ্ঞান লাভ করতে পারে।
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে অস্ত্র করে জনসাধারণকে শিহ্মার আলোয় নিয়ে আসতে ও ডিজিটাল ধারনার সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর হ্মেত্রে যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি বর্তমানে কাজ করছে তাদের কে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা।
- যে সব শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের শিহ্মাগ্ৰহন থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে তাদের কে শিহ্মার আঙ্গিনায় নিয়ে আসা যায়।
- কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি করা।
- শিখনকে কার্যকরী করতে শ্রবণ যুক্ত উপকরণের মাধ্যমে শিহ্মা দান করা।
- শিক্ষার্থীর চাহিদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী সহজ থেকে কঠিন বিষয়ের দিকে ধীরে ধীরে অগ্ৰসর হওয়ার সুযোগ প্রদান করা।
• জ্ঞান বাণীর শিক্ষা -
জ্ঞান বাণী একটি শিহ্মামূলক রেডিও স্টেশন হওয়ার কারণে এর মাধ্যমে প্রতিদিনই নতুন নতুন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হতে থাকে।এই সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান গুলির মধ্যে একদিকে যেমন ছিল বিভিন্ন পরিবেশ সম্পর্কিত ও কৃষি কাজ সম্পর্কিত তথ্য, তেমনি অন্য দিকে ছিল স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান,প্রযুক্তি ও নারী এবং শিশুকল্যাণ বিষয়ক তথ্য।এইসব তথ্য গুলি সম্প্রচারে বিশেষভাবে সাহায্যে করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়,NGO এবং সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলি।
যারা জ্ঞান বাণীর মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে তাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন অনুষ্ঠান গুলি ইংরেজি ও হিন্দি ভাষা ছাড়াও অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাতেও সম্প্রচার করা হতে।এই জ্ঞান বাণী স্টেশন এক একটির প্রসার হল 60 KM এবং এটিকে এমন জায়গায় বসানো হত যাতে গ্ৰাম ও শহরাঞ্চলকে এর প্রসারের মধ্যে নিয়ে আসা যায়।প্রত্যেকটি রেডিও স্টেশনে একজন করে। পেশাদারি রেডিও পরিচালক রাখার ব্যবস্থা করা হয়,যাতে করে রেডিও পরিচালনার কোনো রূপ সমস্যার সৃষ্টি না হয়।এইসব স্টেশন গুলিতে তথ্য প্রেরন করতে IGNOU এর Electronic Media Production Centre।
• জ্ঞান বাণীর প্রসার -
জ্ঞান বাণী স্টেশনটি চালু হওয়ার পর IGNOU কে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এটি শুধুমাত্র 40টি শহরে সম্প্রচারিত করা হত। পরবর্তীকালে ভারত সরকার কেবিনেট মিটিং এ সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করে যে শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য দরকার একটি যৌথ একক ফ্রিকোয়েন্সি।যার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে উৎপন্ন সমস্যা গুলি দুর করা সম্ভব।এই মতো করে এই IGNOU কে FM Radio Station এর সংযোগস্থল সংস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়।যার ফলে IGNOU EMPC(Electronic Media Production Centre) এর দায়িত্ব বেড়ে যায় অনেক বেশি।সেই সময় EMPC এর পরিচালক ছিলেন Dr. R. Sreedher। তিনি চিন্তা করেন যে যদি অডিয়ো ভিডিয়ো অনুষ্ঠান গুলিকে সরাসরি FM এর মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয় তাহলে তা একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে।সেই জন্য IGNOU ও প্রসার ভারতীয় মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।যার ফলে প্রসার ভারতীয় বিভিন্ন টাওয়ার গুলিকে IGNOU শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান গুলি সম্প্রচারনের মাধ্যমে হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু তাতে তেমন কোনো লাভ হয় নি।কারন দেখা যায় 2013 সাল পর্যন্ত মাত্র 37টি স্টেশনকে ক্রিয়াশীল করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আরও বিভিন্ন ব্যক্তি এই EMPC এর পরিচালকের দায়িত্ব ভাব গ্ৰহন করলেও এই সমস্যার তেমন কোনো সুরাহা করতে পারে নি।
• জ্ঞান বাণীর সুবিধা -
- জ্ঞান বাণীর মাধ্যমে বিভিন্ন শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিরা নানা বিষয় সম্পর্কে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করতে সহ্মম হয়।
- এখানে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষা ছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতে অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হওয়ার কারণে প্রত্যেক ভাষাভাষীর মানুষ এর পহ্মে কোনো তথ্য গ্ৰহন করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
- যেখানে মূল আলোচনা চলছে সেখানে ব্যক্তিদের যাওয়ার প্রয়োজন হয় না,তারা রেডিও এর মাধ্যমে সেই সব আলোচনা গুলি শুনতে পারে।
- গ্ৰাম শহর সব স্থানেই রেডিয়ো এর ব্যবহার করা যায় বলে সকলেই জ্ঞান বাণীর মাধ্যমে সম্প্রচারিত বিষয় গুলি সার্থকভাবে গ্ৰহন করে শুনতে পারে।
- যে সমস্ত ব্যক্তি বা শিক্ষার্থীরা চোখে দেখতে পায় না তারাও এর মাধ্যমে শিহ্মা গ্ৰহন করতে পারে।
- শিহ্মা গ্ৰহন করার জন্য দূর দূরান্তে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
- গতানুগতিক শ্রেণি শিহ্মনের নির্দিষ্ট কোনো বাঁধা ধরা নিয়মনীতি মেনে শিক্ষা গ্ৰহন করার প্রয়োজন হয় না।
- এর মাধ্যমে শিহ্মা গ্ৰহনের জন্য বাঁধাধরা নির্দিষ্ট কোনো সময়ের উল্লেখ থাকে না। শিক্ষার্থী তার সময়মতো শিক্ষা গ্ৰহন করতে পারেন।
- এর সাহায্যে অর্থ ও সময় এই দুটিই অপচয় রোধে করা যায়।
• জ্ঞান বাণীর অসুবিধা -
- এটি মূলত একতরফা যোগাযোগ মাধ্যম। অর্থাৎ পঠনপাঠনের সময় শিহ্মক-শিহ্মিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো মিথস্ক্রিয়া হয় না।
- শিক্ষার্থীদের সমস্যা শিহ্মক-শিহ্মিকা কাছে বলতে পারে না।
- অনেক শিক্ষার্থীর গতিশীল শেখা সমস্যা দেখা যায়।
- শিহ্মক-শিহ্মিকারা শিক্ষার্থীদের সার্বিক মূল্যায়ন করতে পারে না।
- এটি নিম্ন এবং দুর্বল অ্যাক্সেসিবিলিটি।
- এই শিহ্মাব্যবস্থা শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত নয়।
- অনেক সময় শিহ্মার্থীর রেডিয়ো এবং শ্রেণীকক্ষে পাঠদান একত্রিত করা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
- এই শিহ্মাব্যবস্থার রীতিনীতি অনেক সময় বিভ্রান্তির উৎস হয়ে ওঠে।
- শিক্ষার্থীরা অনেক সময় অমনোযোগী হয়ে ওঠে।
Read More.......
National Mission on Education Through Information And Communication Technology বা NMEICT
Sakshat Portal
E-Gyankosh
Haptic Technology