জ্ঞান দর্শন||Gyan Darshan
BENGALI VERSION ENGLISH VERSION
জ্ঞান দর্শন
BENGALI VERSION
(ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE)
1. ভূমিকা -
উন্নয়নশীল ভারতবর্ষে শিহ্মাহ্মেত্রে পরিবর্তন ও সংস্কারের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হল একটি শক্তিশালী সক্রিয় হাতিয়ার।কারন এর বিভিন্ন যন্ত্র ও কৌশল গুলি যেমন টিভি,রেডিয়ো, মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদির সাহায্যে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে শিহ্মাদান করা সম্ভব।তাই আজ প্রযুক্তির ব্যবহারে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে শিহ্মাগত প্রাসঙ্গিকতা ও শিহ্মার সুযোগ বৃদ্ধিতে উন্নত ধরনের ব্যবস্থা গ্ৰহনে ভূমিকা গ্ৰহন করেছে।এর মাধ্যমে স্বল্প আয়ের যে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, মহিলা এবং কম দহ্ম শ্রমিকরা জ্ঞান গ্ৰহন করতে পারে।তাই বর্তমানে গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।এই ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম হল জ্ঞান দর্শন।
2. জ্ঞান দর্শন -
ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার জ্ঞান দর্শন হল একটি টেলিভিশন চ্যানেল,যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য শিহ্মামূলক বিষয় সম্প্রচারিত করা হয়।এই শিহ্মামূলক চ্যানেল মূল লক্ষ্য ছিল যে কোনো শিক্ষার্থী দিনের যে কোনো সময়ে শিক্ষা গ্ৰহনের সুযোগ পায়।
• জ্ঞান দর্শনের উৎপত্তি -
26th January,2000 সালে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়,তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তর,প্রসারী ভারতী ও ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (IGNOU) যৌথভাবে এই শিক্ষামূলক টেলিভিশন চ্যানেল টি চালু করে।এই শিহ্মামূলক টেলিভিশনে যে সমস্ত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে সেই সমস্ত অনুষ্ঠান গুলিকে সংযুক্ত করা ও সম্প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয় IGNOU কে।
• জ্ঞান দর্শনের উদ্দেশ্যাবলী -
- যে কোনো সময়ে,যে কোনো স্তরে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান লাভে সহ্মম হবে।
- এটি একটি স্ব-শিখন প্রক্রিয়া।
- টেলিভিশনে নতুন নতুন ধারনা ও কৌশল গুলি ভাগ করে নেওয়ার মঞ্চ হিসাবে কাজে করে।
- দেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থী জাতি,ধর্ম,বর্ণ, নির্বিশেষে যাতে সকলে জ্ঞান লাভ করতে পারে।
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে অস্ত্র করে জনসাধারণকে শিহ্মার আলোয় নিয়ে আসতে ও ডিজিটাল ধারনার সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর হ্মেত্রে যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি বর্তমানে কাজ করছে তাদের কে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা।
- যে সব শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের শিহ্মাগ্ৰহন থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে তাদের কে শিহ্মার আঙ্গিনায় নিয়ে আসা যায়।
- 40 Transponder (রেডিও সংকেত গ্ৰহন ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিন্ন সংকেত প্রেরনের একটি যন্ত্র এর সাহায্যে 1000 DTH(Door To Home) চ্যানেল সরবরাহ করা।যার ফলে প্রত্যেক শ্রেণির জন্য বিভিন্ন ভাষাতে ও বিভিন্ন বিষয়ে আলাদা আলাদা DTH চ্যানেল উপলদ্ধ করানো সম্ভব।
- কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি করা।
- শিখনকে কার্যকরী করতে শ্রবণ দর্শন যুক্ত উপকরণের মাধ্যমে শিহ্মা দান করা।
- শিক্ষার্থীর চাহিদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী সহজ থেকে কঠিন বিষয়ের দিকে ধীরে ধীরে অগ্ৰসর হওয়ার সুযোগ প্রদান করা।
• জ্ঞান দর্শন সম্প্রচারের সময়সূচি -
সর্বপ্রথম জ্ঞান দর্শন টেলিভিশন চ্যানেলটি যখন শুরু করা হয় তখন মুক্ত ও প্রচলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরীহ্মামূলক ভাবে প্রতিদিন 2 ঘন্টা করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতে থাকে।এক মাস অতিক্রম হওয়ার পর অনুষ্ঠান সম্প্রচারনের সময়সীমা বাড়িয়ে 9 ঘন্টা। অর্থাৎ প্রতিদিন 9 ঘন্টা করে বিভিন্ন শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয় ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। ধীরে ধীরে এই টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতি শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হতে থাকে এবং শিহ্মাগ্ৰহনের একটি মাধ্যমে হিসেবে কাজে লাগাতে থাকে।
ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যখন লহ্ম করে যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই টিভি চ্যানেলের হ্মেত্রে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তখন এই চ্যানেল অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময় আরও বৃদ্ধি করা হয় এবং তা বাড়িয়ে করা হয় দিনে ষোল ঘন্টা।তার কিছু দিন পর ঠিক নভেম্বর মাসে আরও সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয় এবং তা দিনে 19 ঘন্টা করে দেওয়া হয়। এইভাবে দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদের আগ্ৰহ ও চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রসারন সময়সীমা বাড়ানো হতে থাকে।যার ফলে শিহ্মার্থীরা তাদের সময় মতো নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে সহায়তা করে।
তবে IGNOU মনে করল যে এই সময় সীমান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।তাই কিছু দিন বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান করে, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে 26th January,2001 খ্রিস্টাব্দে 24 ঘন্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে দেয়। অর্থাৎ জ্ঞান দর্শন চ্যানেলটি চালু হওয়ার ঠিক এক বছরের মাথায় 24 ঘন্টা শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। এই 24 ঘন্টার সময়ের অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সময়সূচি।
Time Table | Broadcasting Programmes |
---|---|
1 Hours | Foreign Educational Programs |
4 Hours | IGNOU Educational Programs |
4 Hours | CIET-NCERT Educational Programs |
3 Hours | IIT Educational Programs |
2 Hours 30 Minutes | CEC-UGC Educational Programs |
1 Hours | TITI & Adult Educational Programs |
8 Hours 30 Minutes | Textbook centric Program |
• ভারতে জ্ঞান দর্শন প্রসার -
ভারতের প্রত্যেক বিদ্যালয়,কলেজ এবং প্রচলিত বিশ্ববিদ্যালয় ও মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে শিহ্মাগ্ৰহনে সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে,সে কারণেই এই শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান গুলিকে সংযুক্ত করা হয় টেলিভিশনের সঙ্গে।কেরালা রাজ্যের প্রায় 90% অংশে কেবল সংযোগের মাধ্যমে জ্ঞান দর্শন সম্প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর প্রায় সম্পূর্ণ অংশে ও উত্তর পশ্চিম ভারতের কিছু অংশে এবং নাসিক , আহমেদাবাদ ও পুনেতে জ্ঞান দর্শন চ্যানেলটি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
• জ্ঞান দর্শন চ্যানেল -
ভারতে জ্ঞান দর্শন ইতিবাচক প্রসারের ফলে বর্তমানে জ্ঞান দর্শনের বেশ কয়েকটি চ্যানেল তৈরি করা হয়,যথা -
• Gyan Darshan - 1
জ্ঞান দর্শন 1 চ্যানেলে UGC, NCERT, CIET SIRT, IGNOU এর শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়।
• Gyan Darshan - 2
জ্ঞান দর্শন 2 চ্যানেলে IGNOU দ্বারা One way video and two way audio satellite interaction system শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়।
• Gyan Darshan - 3
জ্ঞান দর্শন 3 চ্যানেলটি Eklavya নামে পরিচিত,এতে বৃত্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়।
• Gyan Darshan - 4
জ্ঞান দর্শন 4 চ্যানেলটি Vayas নামে পরিচিত,এতে উচ্চ শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়।
• Gyan Darshan - 5
জ্ঞান দর্শন 5 চ্যানেলটি খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে,এই চ্যানেলে ঠিক করা হয় বিজ্ঞান,প্রযুক্তি এবং সুস্থায়ী শিহ্মামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত করা হবে।
• জ্ঞান দর্শনের সুবিধা -
- জ্ঞান দর্শন চ্যানেলটি টেলিভিশন মাধ্যমে শিক্ষা গ্ৰহন করা যায়।
- ছবি ও আওয়াজ সহযোগে বিষয়বস্তু উপস্থাপনের ফলে শিহ্মার্থীর কাছে বিষয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান হয়।
- টেলিভিশন মাধ্যমে শিক্ষা দান করার ফলে শিহ্মার্থীদের মধ্যে শিক্ষা গ্ৰহনের আগ্ৰহ সৃষ্টি করা যায়।
- কোনো একটি বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে পুনঃ সম্প্রচারের মাধ্যমে পুনরায় সেই বিষয়টিতে জ্ঞান নেওয়া সম্ভব হয়।
- শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসেই শিক্ষা গ্ৰহন করতে পারে।
- বিষয়গত আলোচনা ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে সম্প্রচার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটাতে পারে।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল কাজ করার বিষয়ে আগ্ৰহ সৃষ্টি হতে পারে।
- দূরশিক্ষণে একটি প্রধানতম হাতিয়ার হিসেবে এটি সাহায্যে দান করে।
- সরাসরিভাবে বিষয়বস্তু দেখা ও শোনার ফলে তা শিহ্মার্থীদের অনেক দিন মনে থাকে।
- এটি মূলত একতরফা যোগাযোগ মাধ্যম। অর্থাৎ পঠনপাঠনের সময় শিহ্মক-শিহ্মিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো মিথস্ক্রিয়া হয় না।
- শিক্ষার্থীদের সমস্যা শিহ্মক-শিহ্মিকা কাছে বলতে পারে না।
- অনেক শিক্ষার্থীর গতিশীল শেখা সমস্যা দেখা যায়।
- শিহ্মক-শিহ্মিকারা শিক্ষার্থীদের সার্বিক মূল্যায়ন করতে পারে না।
- এটি নিম্ন এবং দুর্বল অ্যাক্সেসিবিলিটি।
- এই শিহ্মাব্যবস্থা ব্যয়বহুল ব্যাপার উৎপাদন এবং প্রাপ্তি।
- অনেক সময় শিহ্মার্থীর টিভি এবং শ্রেণীকক্ষে পাঠদান একত্রিত করা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
- এই শিহ্মাব্যবস্থার রীতিনীতি অনেক সময় বিভ্রান্তির উৎস হয়ে ওঠে।
- শিক্ষার্থীরা অনেক সময় অমনোযোগী হয়ে ওঠে।
Read More.......
National Mission on Education Through Information And Communication Technology বা NMEICT
Sakshat Portal
E-Gyankosh
Haptic Technology