ভার্চুয়াল গবেষণাগার||Virtual Laboratory
BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
ভার্চুয়াল গবেষণাগার
BENGALI VERSION
(ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE)
1. ভার্চুয়াল গবেষণাগার -
ভার্চুয়াল গবেষণাগার হল সম্পূর্ণ রূপে তৈরি করা মিথস্ক্রিয়ার একটি মাধ্যম।যেখানে শিক্ষার্থীর বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা,তথ্য সংগ্রহ, মূল্যায়ন ও বিষয়বস্তু কপিরাইট আইনের পূর্বানুমতি বোঝায় জন্য সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে থাকে। এখানে বিভিন্ন অ্যানিমেশন ও ডিভিয়ো এর মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নানান বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়।অন্যভাবে বললে বলা হয় যে, ভার্চুয়াল গবেষণাগার হল একটি ভিন্নধর্মী সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত মাধ্যমে যেখানে বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে একই পরীহ্মামূলক প্রক্রিয়ার উপর কাজে করে থাকে।
Harry ও Edward (2005) এর মত,"Virtual Laboratory is defined as laboratory experiment with real laboratory with it's walls and doors. It enables the Learner to link between the theoretical aspect and the one without papers and pens. It is electronically programmed in computer in order to simulate the real experiments inside the real laboratories."
Zaition(2005) এর মতে,"Virtual Laboratory is defined as a virtual studing and learning environment aims at developing the lab skills of students. The environment is located on one of the internet pages. Usually,this page has main page and many links, which are related to laboratory activities & it Achievements."
এই ভার্চুয়ালে গবেষণাগারের প্রথম সংস্কারনটি 1997 সালে Virtual Laboratory Of Physiology নামে উপস্থাপন করা হয়।এই সময়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেহতত্ত্ব গবেষণার প্রযুক্তিগত পূর্বশর্ত গুলিকে বিকাশ করা।সেই হিসেবে এখানে বিভিন্ন রকম গ্ৰন্থ ও ছবি তৈরি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই ভার্চুয়াল গবেষণাগার শুধুমাত্র দেহতত্ত্বকে নিয়েই থেমে নেই।এটা এখন সাধারণ বিজ্ঞান, সাহিত্য,সমাজবিদ্যা প্রভৃতির হ্মেত্রে বিস্তার লাভ করেছে।
2. ভার্চুয়াল গবেষণাগারের বৈশিষ্ট্যাবলী -
ভার্চুয়াল গবেষণাগারের বৈশিষ্ট্য গুলি হল।-
- ভার্চুয়াল গবেষণাগার নমনীয় ও মুক্ত শিহ্মাগত পরিবেশ প্রদান করে থাকে।
- এই গবেষনাগারে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সংক্রান্ত উপকরন ও Multi-Media নির্ভর শিহ্মণ শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত করে থাকে।
- ভার্চুয়াল পরিস্থিতিতে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিকের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকে।
- জীবনব্যাপী শিখনের ধারাকে ত্বরান্বিত করতে ভার্চুয়াল গবেষণাগার সাহায্যে করে।
- এই গবেষনাগার বৈচিত্র্যময় শিহ্মণ পদ্ধতির দ্বারা পরীহ্মামূলক প্রক্রিয়া গুলিকে পরিচালনা করে থাকে।
- শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বৈষম্যকে ভার্চুয়াল গবেষণাগার গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে।
- এই গবেষণাগার শিহ্মক-শিহ্মিকা ও শিক্ষার্থী উভয়কেই ইতিবাচক ও সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে থাকে।
3. ভার্চুয়াল গবেষণাগারের উদ্দেশ্যাবলী -
- কোন সময় যেকোন স্তরের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান লাভের সক্ষম হবে।
- দেশের প্রত্যেক শিক্ষার্থী জাতি ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে কুনমান সম্পন্ন শিক্ষা উপকরণ গুলি ব্যবহার করতে পারেন।
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে অস্ত্র করে জনসাধারণকে শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসতে এবং ডিজিটাল ধারণার সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে সহায়তা করে।
- ভার্চুয়াল গবেষণাগার ও কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের গুণগতমান বৃদ্ধি করা।
- মডেল পরীক্ষা কেন্দ্র গুলির উন্নয়নে যাতে শিক্ষার্থীদের কে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া যায়।
- ইন্টারনেট নির্ভরশিক্ষণে বিভিন্ন সমস্যা গুলিকে দূর করা।
- বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী ও ব্যক্তি মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দান করা।
4. ভারতবর্ষের ভার্চুয়াল গবেষণাগারের প্রসার -
ভারতবর্ষের এই ভার্চুয়াল গবেষণাগারের প্রকল্পটির মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর NMEICT এর অধীনে আরম্ভ করে।2009 খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল মাসে এই প্রকল্পটি আরম্ভ করা হয়েছিল যাতে ভারতে উচ্চ গুণমান সম্পন্ন শিহ্মাব্যবস্থা প্রদান করা যায়।তবে এই ব্যবস্থার যে কোনো শাখার ছেলে মেয়েদের জন্য ছিল না, ছিল শুধু বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছেলেমেয়েদের জন্য। অর্থাৎ স্নাতক থেকে গবেষণা সকল স্তরের বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা তাদের পঠন পাঠনের হ্মেত্রে এটিকে ব্যবহার করতে পারবে।
এই প্রকল্পটি যাতে ভালো ভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেই জন্য এই প্রকল্পে সাতটি IIT যথা - দিল্লী,বোম্বে, কানপুর, মাদ্রাজ, খড়্গপুর, গুয়াহাটি ও রুরকী, এছাড়াও IIT হায়দ্রাবাদ,অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়,দয়ালবাগ বিশ্ববিদ্যালয়, NIT কর্ণাটক এবং পুনের কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অংশগ্রহণ করেছিল।91টার মতো ভার্চুয়াল গবেষণাগার রয়েছে যেখানে বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর 9টি বিষয়ের উপর একশ এর বেশি গবেষণা লিপিবদ্ধ রয়েছে।এই গবেষণাগার পরিচালনায় জন্য যাতে কোনো সমস্যা না হয় তাই 20টার মতো নোডাল কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে পরীক্ষামূলক ভাবে 2009 খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল মাসের ভার্চুয়াল গবেষণাগার প্রথম শুরু করা হয় এবং 2010 সালের এপ্রিল মাসে পুরোপুরি ভাবে এটিকে চালু করে দেওয়া হয়।এর মাধ্যমে ভারতীয় শিহ্মার্থীরা যেমন বিভিন্ন বিষয় অন্বেষণ ও আবিষ্কার করতে পারবে তেমনি নানা বিষয়ে তারা তাদের সুবিধা মতো শিখতে পারবে।
5. ভার্চুয়াল গবেষণাগারের উপাদান -
ভার্চুয়াল গবেষণাগারের ছয়টি উপাদান রয়েছে,যথা -
১. ল্যাব সেট ও সরঞ্জাম সমুহ -
ভার্চুয়াল গবেষণাগারের জন্য আমাদের গতানুগতিক ল্যাবরেটরির মতো বিভিন্ন রকম সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। তবে এটিকে পরিচালিত করতে কিছু সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।
২. কম্পিউটার ডিভাইস -
ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের দ্বারা শিহ্মার্থীরা সরাসরি ভার্চুয়াল গবেষণাগারকে অ্যাক্সেস করতে পারে।
৩. কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ও হার্ডওয়্যার -
ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরীহ্মামূলক সঠিকভাবে পরিচালিত করতে ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যমে প্রয়োজন হয়ে থাকে ও সেটিকে পরিচালিত করতে কিছু নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হয়।
৪. প্রোগ্রাম -
ভার্চুয়াল গবেষণাগারের জন্য যে উপযুক্ত প্রোগ্রাম গুলি প্রয়োজন হয় সেগুলি সাধারনত অ্যানিমেশন,ভিডিয়ো ও ত্রিমাত্রিক চিত্রের সহযোগে তৈরি করা হয় থাকে।
৫. ব্যবস্থাপনা -
ভার্চুয়াল গবেষণাগারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে সমস্ত পরীহ্মা গুলিকে পরিচালিত করে থাকে তার জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয়।
৬. টেকনিক্যাল টিম -
বৈজ্ঞানিক উপকরণ প্রস্তুত এবং নির্ধারনে শিহ্মাবিদদের সামান্য করার জন্য একটি টেকনিক্যাল টিমের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও এই টিমটি ভার্চুয়াল গবেষণাগারের মাধ্যমে সংঘটিত পরীক্ষা গুলি কার্যকারিতাকে মূল্যায়ন করে থাকে।
6. ভার্চুয়াল গবেষণাগারের সুবিধা -
- অ্যানিমেশন ও ডিভিয়ো সহযোগে শিক্ষা প্রদানের জন্য শিহ্মার্থীরা বিষয়বস্তু সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে পারে।
- এর মাধ্যমে উচ্চ গুণমান সম্পন্ন শিক্ষা দান করা যায়।
- বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ছাত্ররা তাদের পড়াশোনা করার হ্মেত্রে বিভিন্ন রকম উপকরন সহযোগিতা গ্ৰহণ করতে পারে।
- শিক্ষার্থীদের তাদের সুবিধা মতো যে কোনো সময়ের মাধ্যমে শিক্ষা গ্ৰহণ করতে পারে।
- শিক্ষার্থীরা কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে অন্য কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে তার সেই সমস্যা সমাধান করতে পারে।
- ব্যবহারিক জ্ঞান বুদ্ধির জন্য এটি হল একটি অন্যতম সুবিধা প্রদানকারী মাধ্যমে।কারন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
- এর মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শিক্ষার্থীদের সামনে সামগ্ৰিক বিষয়টি তুলে ধরা যায়।
7. ভার্চুয়াল গবেষণাগারের অসুবিধা -
- সম্পূর্ণ বিবরণ সহ সঠিক ঘটনা অনুকরণ করতে এবং একটি ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল গবেষণাগার তৈরি করার জন্য উচ্চ স্পেসিফিকেশন সহ কম্পিউটার ডিভাইস নেই।
- বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা শক্তশালী দক্ষতা সহ পেশাদার প্রোগ্রামার নেই।
- বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উপাদান, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং মনোবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের দল নেই।
- শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এবং একটি শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া হয় না।
- ভার্চুয়াল গবেষণাগারের পরীক্ষার কারণে যতবার প্রয়োজন ততবার পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে, তাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব পরিস্থিতিতে ব্যর্থ এবং বিপদের প্রতি সংবেদনশীল হবে না।
- শিক্ষার্থীরা একটি বাস্তব গবেষণাগারের সম্পূর্ণ সংবেদনশীল অভিজ্ঞতা থেকে দরকারী কিছু শিখতে পারে যেমন অদ্ভুত শব্দ এবং গন্ধ এলোমেলো ত্রুটি ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি ইত্যাদি, কিন্তু এই গবেষণাগার থেকে তা কিছু রক্ত করতে পারে না।
- এটি বাস্তবায়ন ব্যয়বহুল।
CLICK HERE -
Assignment Questions -
1. ভার্চুয়াল গবেষণাগার কী।এর বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ।||What Is Virtual Laboratory. Write Down The Characteristics Of It.
2. ভার্চুয়াল গবেষণাগারের উদ্দেশ্য গুলি বর্ণনা কর।||Describe The Objectives Of The Virtual Laboratory.
3. ভার্চুয়াল গবেষণাগারের উপাদান সম্পর্কে আলোচনা কর।||Discuss The Components Of A Virtual Laboratory.
4. ভার্চুয়াল গবেষণাগারের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলি বর্ণনা কর।||Describe The Advantages And Disadvantages Of Virtual Laboratories.
Read More.......
National Mission on Education Through Information And Communication Technology বা NMEICT
Sakshat Portal
E-Gyankosh
Haptic Technology