Theoretical background of language development (bengali version)

Theoretical background of language development (bengali version)

 


১.বিমূর্তি- 

ভাষা হল বিমুক্তি চিহ্নের মাধ্যম ও অর্থ। ভাষা হল মানুষের বাক যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি যার দ্বারা কোন মানুষ আর মানুষের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে থাকে। ভাষা সর্বদা কোন অর্থ বহন করে। ভাষা হল বার্তা প্রেরণকারী ধ্বনি মাধ্যমে, যেকোনো অর্থ বহন করে এবং তার কার্যাবলী হলো বৈচিত্র্যপূর্ণ। যোগাযোগ শব্দটি ভালভাবে বুঝলে ভাষার প্রধান কার্যাবলী অনুমান করা যায়। ভাষা হল কোন মানুষের সহজাত। ভাষার মধ্যে দিয়ে মানুষ তার প্রভাব আবেগ, কল্পনা ,উচ্ছ্বাস ,উদ্দেশ্য, রাগ, দুঃখ ,একাকীত্ব প্রকাশ করে থাকে।

আসা হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা মানুষকে অন্য সমস্ত প্রাণী থেকে পৃথক করে দেয় এবং সমস্ত ভৌগোলিক বাধা জুড়ে মানব কে একত্রে আবদ্ধ করে। একটি শব্দও হতে পারে গভীরতম হতাশার অনুপ্রাণিত ক্রিয়াতে আমাদেরকে উত্তোলন করুন। ভাষার হাতিয়ার হতে পারে যেকোনো বিষয়ে মহান কৃতিত্বের জন্য। ক্ষমতা সম্পর্কে ভালো বোঝা এবং পৃথক সন্তানের প্রয়োজন এবং এর লক্ষ্য একটি দৃঢ় জ্ঞান এবং বিশ্বাস ভাষা ক্রিয়া-কলাপ এর সকল ব্যক্তিত্ব করনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির নির্দেশ।

পাইগেট,ডাইগটস্কি,চমস্কি,স্কিনার,স্কেপ,কোলেরিজ ইত্যাদি ভাষার সঠিক কার্যাদি নিয়ে বিতর্ক করেন। তবুও ধারণা হিসেবে একটি সরঞ্জাম হিসাবের ভূমিকা চিন্তাভাবনা অনাকাঙ্ক্ষিত। কাগজটি সেগুলির তাৎপর্য অনুসন্ধান করার চেষ্টা ছিল গণিতের ভাষা কে প্রভাবিত করার তত্ত্ব গুলি এবং এর মধ্যে এটির তাৎপর্য উন্নয়নশীল দেশগুলিতে গণিত লেখা।

২.ভূমিকা-

ভাষা হল বিচক্ষণতার বাহন, যার অর্থ হস্তান্তর করার অদ্ভুত মোড, উদ্দেশ্য বার্তাটির রিসিভারের পেরন করুন । মানুষ হিসাবে সবাই তৈরি একটি ব্যবহার করে। ভাষা হল একটি নিখুঁতভবে মানব এবং স্বজাতির পদ্ধতির স্বেচ্ছাসেবীর পদ্ধতিতে ধারণা, আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষার কথা বলা উৎপাদিত প্রতীক।

ঝোঁক প্রক্রিয়াতে ভাষার ভূমিকা গুরুত্ব হতে পারে না বেশি,অনুমান ভাষা একটি বিস্তৃত এবং জটিল ধারণা একত্রিত করতে মূল ভূমিকা পালন করে এবং ব্যক্তিদের বিভিন্ন দক্ষতা এবং দক্ষতা বিকাশের জন্য আউটলেট সরবরাহ করার ক্ষেত্র। ভাষার এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা মানুষকে অন্য সমস্ত থেকে পৃথক করে দেয় এবং সমস্ত ভৌগলিক বাধা জুড়ে মানব কে একত্রে আবদ্ধ করে। একটি শব্দ হতে পারে গভীরতম হতাশার বুবুন বা অনুপ্রাণিত ক্রিয়াতে আমাদের উত্তোলন করুন। ভাষার হাতিয়ার হতে পারে যেকোনো বিষয়ে মহান কৃতিত্বের জন্য। ক্ষমতা সম্পর্কে ভালো বোঝা এবং পৃথক সন্তানের প্রয়োজন এবং এর লক্ষ্য একটি বিজ্ঞান এবং বিশ্বাস ভাষা ক্রিয়া-কলাপ এর সফল ব্যক্তিত্ব করনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির নির্দেশ।

ভাষা এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে চিন্তার সংগঠিত, পরিশুদ্ধ এবং প্রকাশ করা হয়। সংক্ষেপে, ভাষার ধারণা তৈরিতে সহায়তা করে, বিশ্লেষণ করে জটিল ধারণা গুলি এবং ধারণা গুলিতে মনোযোগ কেন্দ্রীকরণ যা অন্যথা কঠিন হয় বোঝা। গণিত শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাষাতত্ত্ব সমূহ পাইরেট,ডাইগটস্কি,চমস্কি, স্কিনার,স্কেপ কোলেরিজ ইত্যাদি ভাষার সঠিক কার্যাদি নিয়ে বিতর্ক করেন। ধারণা হিসাবে একটি সরঞ্জাম হিসাবে এর ভূমিকা চিন্তাভাবনার অনাকাঙ্ক্ষিত।

                            ৩. মূল বিষয়বস্তু

৩.১ ভাষার ধারণা ও অর্থ-

ভাষার সংজ্ঞা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিখ্যাত মতামত লক্ষ্য করা যায়। আসা হলো মানুষের বাক যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি যার দ্বারা কোন মানুষের উপর কোন মানুষের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে থাকে। আশা সর্বদা কোন না কোন অর্থ বহন করে। হল বার্তা প্রেরণকারী ধোনির মাধ্যমে। ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষায় বলেছেন,"ভাব প্রকাশ করার জন্য, যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনির দ্বারা নিষ্পন্ন কোন বিষয়ে জনসমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত, বাক্যের প্রযুক্তি, শব্দ সমষ্টিকে ভাষা বলে।

৩.২ ভাষার কাজ-

কোন কোন ভাষা বিজ্ঞানী ভাষাকে মানবজাতির সর্বজনীন, বৈশিষ্ট্য বলে থাকেন। ভাষার কার্যাবলী গুলি হল-

ক. যেকোনো ভাষার কার্যাবলী হলো বৈচিত্র্যপূর্ণ। যোগাযোগ শব্দটি ভালভাবে বুঝলে ভাষার প্রধান কার্যাবলী অনুমান করা যায়।

খ. ভাষা সর্বদা, কোন না কোন বার্তা বা উদ্দেশ্য বহন করে, বার্তা বা যোগাযোগ ভাষা কখনো উদ্দেশ্যহীন হয় না।

গ. আসা হলো কোন মানুষের সহজাত। ভাষার মধ্যে দিয়ে মানুষ তার ভাব, আবেগ, কল্পনা, উচ্ছ্বাস, উদ্দেশ্য, রাগ, ঈর্ষা, দুঃখ, আনন্দ, একাকীত্ব প্রকাশ করে থাকে।

ঘ. ভাষার মধ্যে দিয়ে ই মানুষ তার সুখ-দুঃখ, আনন্দ, নিরাশা, উল্লাস, বিষাদ প্রকাশ করে থাকে।

 ঙ.মানুষের বিপরীত ধর্মী আবেগ গুলি ভাষার মাধ্যমে চেতনার পায়।

৩.৩ ভাষার বৈশিষ্ট্য-

ভাষা প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি  নিম্নরূপ আলোচনা করা হলো-

১. বাগ্ যন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত ধ্বনি গুলি হল ভাষা। মানুষ পৃথিবীর অন্য প্রাণী আছে যারা নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাগ যন্ত্রের দ্বারা উচ্চারণ করে থাকে। ভাষা হল মানুষের বাক যন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত।

২. ভাষার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো যোগাযোগ সাধন করা। মাধ্যমে কোন সামাজিক প্রাণী অন্য এক সামাজিক প্রাণী সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে।

৩. একেকটি ভাষা বিশেষ একটি জনসমষ্টির মধ্যে প্রচলিত। তাই এক ভাষা দিয়ে পৃথিবীর সকল মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় না। কোন ইংরেজি ভাষায় জানা মানুষ অপর কোন ইংরেজি ভাষা জানা মানুষের সঙ্গে ভাষা বিনিময় করলেও তবে যথাযথ যোগাযোগ সম্ভব।

৪. মানুষের উচ্চারিত ভাষার ধ্বনি গুলি অবশ্যই অর্থবহ হবে। অর্থাৎ ভাষার একটি নির্দিষ্ট অর্থ থাকবে।

 ৫. ভাষার আরও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ভাষা সর্বদা কোন না কোন বার্তা বহন করে অর্থাৎ ভাষার কাজই হলো বার্তা প্রেরণ করা।

৬. ভাষা অবশ্য বহুজনের গ্রাহ্য হবে কোনো বিশেষ মানব ভাষা সর্বজনগ্রাহ্য নাও হতে পারে। কিন্তু কোনো বিশেষ ভাষা কোন বিশেষ মানব সমাজের অধিকাংশ কাছে বাধ্য ও গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে।

৭. অনেক ভাষাবিজ্ঞানী বলেন, ভাষা হল একটি ক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষ তার মনের সম্পূর্ণভাবে ভাব প্রকাশের চেষ্টা করে থাকে।

৮. ভাষা মধ্যে দিয়ে শেখা যায়। জন্মের পর কোন মানুষ ভাষা না শুনলে তার পক্ষে ভাষা শেখা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।

৯. শেখার জন্য মানুষের কোন বিশেষ প্রশিক্ষণ দরকার হয় না। কোন সমাজে বসবাসকারী মানুষ ভাষা অর্জন করে ফেলে।

১০. মানুষ ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি প্রাণী বাগ যন্ত্রের দ্বারা ধ্বনি উচ্চারণ করে। মানুষ ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে নিজস্ব সভ্যতা ও সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। ভাষা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ প্রমাণ করেছেন, এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ। মানুষ তার পৃথিবীতে অবস্থান গৌরবময় করেছে।

১১. ব্রিটিশ কবি William Wordsworth মানুষের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন,"man is a thinking thing"অর্থাৎ মানুষ শুধু ভাষার বিনিময়ের অধিকারী নয় মানুষের এই চিন্তন ক্ষমতাও আছে। তাই মানুষের যথাস্থানে ভাষার যথাযথ ব্যবহার করে থাকে।

১২. কোন ভাষা মানব শরীরের মতো। পৃথিবীর যেকোন ভাষার জন্ম, বিবর্তন ও পরিবর্তন রূপ আছে। ভাষা বিজ্ঞানী ভাষাকে বলেন 'Biological Organism'।

১৩. 'ডঃ রামেশ্বর শ' মতে,"অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ব্যবহারের ফলে শব্দ তার অনুভূতি সঞ্চারের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে"।

১৪. ভাষা কোন একটি বিশেষ সমাজে গৃহীত হলে অন্য কোন সমাজে নাও গৃহীত হতে পারে।

১৫. কোন ভাষা কোন একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ উদ্দেশ্য সাধন করে থাকে।

১৬. ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে কোন ভাষা বেঁচে থাকে। ব্যবহারের ভাষা পঙ্গুত্ব আসে।

৩.৪ পাঠক্রম বিস্তৃতিতে ভাষার ভূমিকা 

যে কোনো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যক্রম শব্দটি বহুল প্রচলিত, পাঠক্রম হলো কয়েকটি বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নির্মিত ও নির্বাচিত পাঠ্যসূচিয় সম্বন্বয়। যে কোনো পাঠক্রমের কয়েকটি উদ্দেশ্য হল- 

  ১.জ্ঞান বৃদ্ধি

 ২.দহ্মতা বৃদ্ধি

 ৩.যোগ্যতা বিকাশের বৃদ্ধি 

 ৪.চিন্তার বিকাশ 

 ৫. ব্যক্তিত্বের বিকাশ

 ৬.মননের প্রসার 

 ৭.আবেগ ও চেতনার বিস্তার।

পাঠক্রমের প্রধান উদ্দেশ্য হল শিহ্মার্থীকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা। তবে শিহ্মার্থীয় সকল প্রকার দহ্মতা ও চেতনা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন হয় সুচিন্তিত ও সাবলীল ভাষা। নিন্মে পাঠক্রমের ভাষার কয়েকটি ভূমিকা আলোচনা করা হল।-

 ১.পাঠক্রমে ভাষা নির্বাচন হবে সাবলীল।

 ২.পাঠক্রমে শব্দভান্ডার হবে সুনিশ্চিত।

 ৩.বিষয় অনুযায়ী ভাষা নির্বাচন বা ভাষার জটিলতার মাত্রা নির্ধারন করা প্রয়োজন।

 ৪. জ্ঞান বিষয়ক পুস্তক রচনাকালে ভাষার শব্দ সরলতার মাপকাঠি বজায় রাখতে হবে।

 ৫. সমালোচনামূলক লেখায় ভাষা হবে তুলনামূলকভাবে জটিল ও সঙ্গতিপূর্ণ।

 ৬. অনুবাদ পুস্তক হলে ভাষা অনুবাদ এর সাথে ভাবানুবাদ হবে। সঙ্গতি মূলক ভাষা নির্বাচন প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

 ৭.পুস্তকের ভাষা অবশ্যই প্রতীকি হবে।

 ৮. পাঠ্যক্রমে সুনিশ্চিত ভাষাই পারে কোনো ও শিহ্মার্থীয় সকল প্রকার সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে।

পাঠ্যক্রমে সুনিশ্চিত ও সঙ্গতিপূর্ণ ভাষায় অন্তর্ভূক্ত করণের মধ্যে দিয়েই জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি হয়, আর সম্ভাবনার সকল দরজা খুলে যায়।

৩.৫ ভাষার বিকাশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট-

ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশের পরিপূর্ণ ধারণাটি বুঝতে গেলে ভাষা পরিবার/ভাষা বংশ এর ধারণাটি স্পষ্ট ভাবে বুঝতে হবে। ভাষা পরিবার বলতে একসাথে অনেকগুলো ভাষার সমষ্টিকে বোঝায় যাদের উৎপত্তিগত বা বৈশিষ্ট্যগত অনেক মিল আছে।

         ১. ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবার-

ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবার হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাষা পরিবার। প্রাচীনকালে কৌতুহলী মানুষের মনে সর্বদা অনুমান করে এসেছে।sir William Jones ১৭৮৬ সর্বপ্রথম এই ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবার এর আবিষ্কার করেন। ইউরোপের উত্তর ও দক্ষিণ রুসিয়া, ইউরোপের অনেক অংশে, পূর্বে ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবার Mediterranean এবং Asiatic belt ও বিরাজ করতো ।

কয়েকটি ইউরোপীয় ও এশীয় ভাষার ভিত্তিতে এই ভাষা পরিবার অনেকটা ইতিহাস বোঝা যায়। এখন যে সকল ভাষা গুলি ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে বেঁচে আছে, তাদের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য ভিত্তিতে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবার কে মোট 11 টি গ্রুপে ভাগ করা যায়।

            ১.Indian

            ২.Iranian

            ৩.Armenian

            ৪.Hellenic 

            ৫.Albanian 

            ৬.Italic

            ৭.Balto-Slavic

            ৮.Germanic

            ৯.Celtic 

            ১০.Itittic 

            ১১.Tocharian

১.২ ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবার এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য-

ক। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের সবচেয়ে প্রাচীনতম ভাষা গ্রুপ হলো Indian।

খ। ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবার Germanic গ্রুপ খোলো সবচেয়ে বৃহত্তম যার থেকে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি।

গ। Albanian ও Armenian হল সবচেয়ে হ্মুদ্রতম ভাষাগ্ৰুপ। 

ঘ। ইউরোপীয় জনগোষ্ঠী ক্রমাগত বাসস্থান বদলানোর ফলে ভাষা ও সংস্কৃতির মিশ্র রূপে সর্বত্র দেখা যায় ।

ঙ। পঞ্চম শতাব্দি পর্যন্ত Armenian ভাষার বাইবেল অনুবাদ করা হয়। Armenian অনেক শব্দ Greek ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে।

১.৩ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবার বাংলা, হিন্দি,উর্দু ও ইংরেজি ভাষার অবস্থান 


 ১.৪শ্রেণিকক্ষে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবার এর প্রয়োজনীয়তা- 

১. শিহ্মার্থীয় মনে ভাষার ও যে ইতিহাস আছে জন্ম আছে,আছে বিবর্তন সেই চেতনা তৈরি করা। 

২. শিক্ষার্থীর ভাষা যে তার ও তার দেশের সম্পদ সেই চেতনা গড়ে তোলা। 

৩. শিক্ষার্থীর মননের  ভাষার জন্য ও ভাষার ইতিহাস এর জন্য একটি শ্রদ্ধা করে তোলা। 

৪.শিক্ষার্থীর মননে বুঝিয়ে দেওয়া,সে যে ভাষায় বাড়িতে বলে সেটাই তার Home Language আর যে ভাষায় বিদ্যালয় বলে সেটা তার School Language।

৫. তার নিজের মাতৃভাষার মধ্যে তার সহপাঠী মাতৃভাষায় শ্রদ্ধেয় এবং বার্তা বিনিময় এর সাথে পৌঁছে দেওয়া।

৩.৬ ভাষার বিকাশের তত্ত্ব সমুহ- 

ভাষার জন্ম, বিবর্তন ও তত্ত্ব নিয়ে মানুষের কৌতূহল কোনো এক বিশেষ স্থানে বা কালের মধ্যে আবদ্ধ থাকে নি।জানা যায় ,স্কটল্যান্ডে রাজা James IV কয়েকটি ভাষাতেই কথা বলতে পারতেন।রাজার উদ্দেশ্য ছিল ভাষার প্রকৃত স্বরূপ উৎঘাটন করা।১৮৫০ সালে পরবর্তী সময় থেকে ভাষা নিয়ে অনেক বিজ্ঞানসম্মত খোঁজ ও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। ভাষার জন্ম  ও বিবর্তন ইত্যাদি দিকগুলি বিজ্ঞানসম্মত ভাবে জানার প্রচেষ্টা চলেছে।

আধুনিক কালে কয়েকজন ভাষাবিশারদ হলেন-

1.Ferdinand de Saussure 

2.Leonard Bloomfield 

3.Noam Chomsky 

4.Edward Sapire 

5.David Crystal 

1.Saussure-ভাষাতত্ত্বে গবেষণা-

তিনি মাত্র 12 বছর বয়সে Origins of Indo-European Language বইটির সাথে পরিচিত হয়। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন, ভাষা, ভাষাতত্ত্ব ও ভাষাবিজ্ঞানের হাজার তত্ত্ব। এবং পরবর্তীকালে ছাত্র ও তার সহকর্মীরা তার ক্লাসে বিভিন্ন শিক্ষণ বিষয়গুলিকে সংগ্রহ করে পুস্তক আকারে প্রকাশ করেন।

2.Bloomfield-ভাষাতত্ত্বে গবেষণা- 

তিনি ভাষা ও ভাষাতত্ত্বের ধারণা দেয়, যা আচরণবাদ এবং speech community ধারণা দেয়।

3.Chomsky-ভাষাতত্ত্বের গবেষণা- 

১৯৪০ সালে চমস্কির তাঁর ভাষা সংক্রান্ত গবেষণার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। ব্যাকরণ বিদ্যা চর্চার জন্য কোন ব্যক্তি trial and error নীতির মধ্যে দিয়ে শিখতে পারে। ভিন্ন ভাষায় ব্যাকরণ বিদ্যা পৃথক।

৩.৭ তাত্ত্বিক ধারণার বহূ ভাষাবাদ- 

ব্যক্তির দুটি ভাষা বলার দক্ষতা ও ক্ষমতা কে এক কথায় দ্বিভাষাবাদ বলে।এই মুহূর্তে পৃথিবীর 90% বেশি মানুষ দুই বা তার বেশি ভাষায় কথা বলে থাকেন। যেকোনো দেশে জনগোষ্ঠীর মধ্যে দুই রকমের  দ্বি-ভাষার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। 

                 I.Individual Bilingualism

                 II.Societal Bilingualism 

যেমন-কানাডায় দুটো ভাষায় কথা বলা হয়ে থাকে- ইংরেজি ও ফরাসি। ভারতের মতন দেশে individual Bilingualism অতি মাত্রায় লক্ষ করা যায়।

৩.৮ বহুভাষাবাদ-

কোন ব্যক্তি দুইয়ের বেশি ভাষায় কথা বলা বা লেখার দক্ষতা কে বহুভাষাবাদ বলা হয়। ভারতবর্ষ, ও এশিয়া মহাদেশের কয়েকটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বহু ভাষাতত্ত্ব প্রবণতা দেখা যায়। বহুভাষী শ্রেণিকক্ষ হল আধুনিক শিখন পদ্ধতির একটি জটিল রূপ। যা শ্রেণিকক্ষে ভিন্ন- ভাষী শিহ্মার্থী অবস্থান করে এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককে ভালো পর্যবেক্ষণ হতে হবে।

৩.৯ ভাষার বিজ্ঞান-

ভাষা জানা বা ভাষাকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বিশ্লেষণ করা দুটোই জটিল। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে জানার জন্য ও বোঝার জন্য কয়েকটি বিশেষ পদ্ধতি আছে।-

                             ভাষাবিজ্ঞান 

ক। ভাষাতত্ত্ব-     ভাষার জন্ম ও বিবর্তনকে বিজ্ঞানসম্মত                           ভাবে জানার প্রক্রিয়াকে ভাষাতত্ত্ব                                 বলা হয়।  

খ। ভাষাবিজ্ঞান-  বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ শুরু হয়

                          ১. ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান

                          ২. সামাজিক ভাষাবিজ্ঞান

                          ৩. নৃতত্ত্ব ভাষাবিজ্ঞান

                          ৪.মনস্তত্ত্ব ভাষাবিজ্ঞান

                          ৫. স্নায়বিক ভাষাবিজ্ঞান

                          ৬.পরিগনক ভাষাবিজ্ঞান

গ। ব্যাকরণ-      প্রচলিত অর্থে ব্যাকরণ বলতে বোঝায়                            একটি বিশেষ বিদ্যা। যা ভাষার গঠন,                            লিখন, বর্নন ,কথোপকথন ইত্যাদি                                  বোঝার চেষ্টা।

ঘ। ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব-   ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব হলো ভাষাকে                                          বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বোঝা                                               আরেকটি বিশেষ শিক্ষণীয়                                             শাখার ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ধ্বনি                                           উৎপাদন ও গ্রহণ নিয়ে বিস্তৃত                                         বিবরণ দেয়।

ঙ। ভাষা ধ্বনি বিজ্ঞান -   কোন ভাষার ধ্বনি তত্ত্ব ও                                              ধ্বনিবিজ্ঞানের পার্থক্য বুঝাতে                                      ভাষাবিদদের কয়েক দশক                                            সময় লেগেছে। 

চ। ভাষা ধ্বনি গুচ্ছ    -  ধ্বনি গুচ্ছ হল কোন ভাষার                                           সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম একক। 

৪. উপসংহার- 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে ভাষা হল মানবের ভাবের মাধ্যম, যা প্রকাশের মাধ্যমে ও বিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক রূপ লাভ করেছে। ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবার বিবর্তন, যা আধুনিক মাধ্যমে আধুনিক ভাষায় এসেছে।

দেশ, অবস্থান ইত্যাদির ভিত্তিতে ভাষা আমরা গ্রহণ করি। ভাষা কোন সমাজের জ্ঞান, বিজ্ঞান, সামাজিকচেতনা আদর্শের পথে বিকশিত হয়। সভ্যতার গতির সাথে ভাষার গতির পাল্লা দিতে না পারলেও, সেই ভাষার প্রাসঙ্গিকতা হারায় তাই শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চার সাথে ভাষা চর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। বলা যেতে পারে মানুষের ভাষা শিক্ষার মূলত ধীরে ধীরে বিবর্তন ও বিপ্লবের মাধ্যমে এসেছে।












Post a Comment (0)
Previous Post Next Post