Design vocabulary games to enhance your vocabulary

Design vocabulary games to enhance your vocabulary

Design Vocabulary Games To Enhance Your Vocabulary|| শব্দভান্ডার বৃদ্ধির জন্য শব্দ ক্রিয়া তৈরি পরিকল্পনা গ্রহণ

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Design vocabulary games to enhance your vocabulary
Design vocabulary games to enhance your vocabulary

(** ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

BENGALI VERSION -

Design vocabulary games to enhance your vocabulary

1. EPC -এর ভূমিকা -

EPC কথাটির অর্থ হল Enhancing Professional Capasity বা পেশাগত হ্মমতায় বৃদ্ধি। বিভিন্ন হ্মমতা যেমন - লিখন,পঠন,বোধ পরীহ্মণ সংহ্মিপ্তকরণ,সর্বপাপ এগুলি অনুশীলনের উন্নতি হয় EPC এর মাধ্যমে।

    বর্তমানে শিহ্মকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা বলে বিবেচিত হয়। এই কারনে শিহ্মাকতার শিহ্মকের পেশাগত দহ্মতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। EPC আমাদের জীবনে সদর্থক মনোভাব গ্ৰহন ও চরিত্র গঠনের কাজে লাগে। তাই পেশাভিত্তিক দহ্মতাকে প্রগাঢ় ও সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করা যায়, তাছাড়া এই বিষয়টি আর্দশগত ভাবে সম্মিলিত করার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ভিত্তিক পর্যায় ও পরিবর্তনশীল পাঠক্রমের সাথে শিহ্মককে অভিযোজিত করতে ও সহায়তা করে। পেশাগত দহ্মতা অর্জন একজন শিক্ষককে সবসময় নতুন নতুন ভাবনায় সমৃদ্ধ করে। পেশাগত দহ্মতা বিভিন্ন দিক আছে- পাঠ্য বিষয়ের উপস্থাপন,পাঠ অধ্যয়ন, পরামর্শদান, চিন্তাশীল তত্ত্ববোধ,প্রায়োগিক সহযোগিতা ইত্যাদি।উন্নত পেশাগত হ্মমতা একজন শিহ্মকেরা বিজ্ঞানসম্মত শিহ্মণ পদ্ধতি ও সদর্থক কর্মদহ্মতার উন্নতি ঘটায়।

2. EPC-এর উদ্দেশ্য -

১.পেশাভিত্তিক উন্নয়নের পরিসর দীর্ঘ প্রতিটি পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তির কতগুলি গুন বা যোগ্যতা থাকার দরকার।এটি বিভিন্ন ব্যক্তির উদ্যমশীলতা নির্ভরযোগ্যতা ও আত্মনিয়ন্ত্রনের হ্মমতা বৃদ্ধি করে ফলে পেশাগত উন্নয়নের নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ একটি সাধারণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কর্মদহ্মতায় উন্নয়নের বিভাজন করে নেয়।

২.পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত পঠনের মাধ্যমে পাঠকের মূল্যবোধ এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট নৈতিকতার সমৃদ্ধি ঘটে। সামগ্রিক ভাষার প্রসার ঘটে।

৩. পেশাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির মূল ভিত্তি হলো ব্যক্তির দীর্ঘ শিখনি আগ্রহ এবং তাদের ক্ষমতা ও জ্ঞানের বৃদ্ধিকরণ; পরিশ্রমশীলতা প্রত্যুৎপন্ন যৌতিত্ব, দায়িত্ব গ্রহণ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের পেশাগত ক্ষমতা উদ্যোগী করে তোলা।

৪. সরব পাঠ ও নীরব পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৫. পেশাগত দক্ষতা বিকাশের ফলে শিশুর আচরণ কেমন বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৬. পাঠ্যক্রমে পঠনের বিষয়বস্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে জীবনমুখী ও ইতিবাচক করে তোলে। 

3. ব্যবহারিক অংশ নির্বাচন - 

উক্ত প্রকল্পটির জন্য "Design vocabulary games to enhance your vocabulary " বা " নিজস্ব শব্দভান্ডার বৃদ্ধির জন্য শব্দ ক্রিয়া তৈরি পরিকল্পনা গ্রহণ " বিষয়টি নির্বাচন করা হলো।

4. ভূমিকা - 

জন সুবক্তা বা একজন সুদক্ষ লেখক হবার জন্য সব থেকে জরুরি হলো শব্দভান্ডারে। একটি শিক্ষার্থী সুদক্ষ বক্তা হওয়ার পেছনে যেমন ভাষাগত দক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ অনুরূপভাবে শব্দভান্ডারের জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া বা মিথস্ক্রিয়ায় জন্য শব্দভাণ্ডার অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ব্যক্তির মনের ভাব প্রকাশের জন্য ভাষাগত দক্ষতার সঙ্গে শব্দ ভান্ডারে উন্নতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন কবি বিখ্যাত হন তার লেখনীর মাধ্যমে যা তার পাঠকের মনে স্থান করে নেয়। একজন সুবক্তা হওয়ার পেছনে শব্দভান্ডারের গুরুত্ব সম্পর্কে জানবো এই প্রকল্পটির মাধ্যমে।

5. মূল বিষয়বস্তু - 

5.1. শব্দ -  শব্দ হলো অর্থবোধক ধ্বনির সমষ্টি।যা বাক্য গঠনের মূল উপাদান।শব্দ একাধিক বর্ন ও অহ্মর সমন্বয়ে গঠিত থাকে।

5.2. শব্দ ভান্ডার - 

একজন সুবক্তা বা একজন সুদক্ষ লেখক হবার জন্য সব থেকে জরুরি হলো শব্দভাণ্ডার। যে ব্যক্তি শব্দভাণ্ডার যত উন্নত সেই ব্যক্তির ভাব প্রকাশ ও ততটাই সহজ ভাষায় মনের ভাব প্রকাশের সাপেক্ষে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। শব্দ ভান্ডার বলতে বোঝায় কোন ব্যক্তির মধ্যে স্থিত নানান ভাষার সমাহার কে। যা তিনি নানান ক্ষেত্রে মনের ভাব প্রকাশের সাবলীল ভাবে ব্যক্ত করতে পারেন।

5.3. শব্দের শ্রেণীবিভাগ - 

উৎপত্তিগত দিক থেকে বাংলা ভাষায় শব্দসমূহ কে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়,যথা - 

১. তৎসম শব্দ - 

'তৎ' অর্থ 'তার' আর 'সম' অর্থ 'সমান'। অর্থাৎ তৎসম শব্দটির অর্থ হল সংস্কৃতের সমান।যে সব সংস্কৃত শব্দ কোনো প্রকার বিকৃত না হয়ে বাংলা ভাষায় প্রচলিত হয়ে আসছে। সেগুলিকে তৎসম শব্দ বলে।

উদাহরণ - চন্দ্র,মস্তক,গৃহিণী,বৃহ্ম..... প্রভৃতি

২.অর্ধ-তৎসম শব্দ - 

যে সব শব্দ বাংলা ভাষায় মূল সংস্কৃত শব্দরূপে অধিকৃত নেই,অথচ পূর্ণ তদ্ভব রূপ ও প্রাপ্য হয় নি, লোকের মুখে শৃঙ্খলা হীন ভাবে ভেঙ্গে খুব সহজে উচ্চারিত হয়, সেগুলিকে অর্ধ- তৎসম শব্দ বলা হয়।

উদাহরণ - গতর (তৎসম - গাত্র,তদ্ভব - গা)

                 গিন্নী ( তৎসম - গৃহিণী)

৩. তদ্ভব শব্দ - 

যে সব শব্দ মূল সংস্কৃত অথচ কালক্রমে প্রাকৃত ভাষার মধ্যে পড়ে লোকের মুখে বিকৃতপ্রাপ্ত হয়ে রূপ পরিবর্তিত হয়েছে,যেগুলিকে তদ্ভব শব্দ বলে।

উদাহরণ - সংস্কৃত>প্রাকৃত>বাংলা(তদ্ভব)

                    চন্দ্র>চন্দ্>চাঁদ 

                     হস্ত>হথ>হাত

৪.দেশি শব্দ বা খাঁটি বাংলা শব্দ - 

যে সব শব্দ অতি প্রাচীনকাল হতেই এদেশে প্রচলিত হয়ে আসছে,আর্য সভ্যতার প্রভাবে লোপ পায় নি বা বিকৃতি ঘটেনি বর্তমান সময়ে প্রচলিত আছে , সেগুলিকে দেশি শব্দ বলে।

উদাহরণ - কুড়ি (বিশ) - কোল ভাষা 

                পেট (উদর) - তামিল ভাষা

৫. বিদেশি শব্দ - 

যে সব সংস্কৃত ছাড়া বিভিন্ন বিদেশি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে সেগুলিকে বিদেশি শব্দ বলা হয়।

      আর এই বিভিন্ন ধরনের শব্দের একত্রিত রূপই হল শব্দভাণ্ডার। সাধারণভাবে শব্দভাণ্ডার বলতে কোনো একটি ব্যক্তির নিজস্ব ভাষায় অন্তর্গত পরিচিত শব্দ সমূহের সমষ্টিকে বোঝানো হয়ে থাকে।

5.4. শব্দভান্ডারের শ্রেণীবিভাগ -

শব্দভাণ্ডার তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - 

               ক। সক্রিয় শব্দভাণ্ডার

               খ। নিষ্ক্রিয় শব্দভাণ্ডার 

               গ। আর্থিক শব্দভাণ্ডার

ক। সক্রিয় শব্দভাণ্ডার - 

যেসব শব্দ শিক্ষার্থী তার নিজের কথা বলা অর্থাৎ লেখার প্রয়োজন এ ব্যবহৃত করে তাকে সক্রিয় শব্দ বলে আর তার তালিকা কে প্রিয় শব্দ ভান্ডার বলে।

খ। নিষ্ক্রিয় শব্দভাণ্ডার - 

যেসব শব্দ বক্তিতা অথবা কোন লেখায় প্রায়শই ব্যবহার হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই সেই শব্দগুলিকে চিনতে পারলে ও নিজের বাক্যালাপ এ বা লেখনীতে কোনোদিন ব্যবহার করিনি সেই সব শব্দকে নিষ্ক্রিয় শব্দ বলে আর তার তালিকা কে নিষ্ক্রিয় শব্দ ভান্ডার বলে।

গ। আর্থিক বা তদর্থক শব্দভান্ডার - 

যে সকল শব্দ শুধু মাত্র পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, পাঠ্য বিষয়ের বাইরে কোনো ব্যবহার হয় না সেইসব শব্দতালিকা কে আর্থিক বা সদর্থক শব্দ ভান্ডার বলে।

5.5. শব্দভান্ডার গুরুত্ব - 

শব্দভান্ডারের গুরুত্ব গুলি হল -

  1. বিভিন্ন শিক্ষার্থী শব্দভাণ্ডারের উন্নতি সাধন করা।
  2. শিক্ষার্থীদের শব্দ প্রয়োগ সম্পর্কে অবগত হওয়া।
  3. বিভিন্ন ক্ষেত্রে শব্দের প্রয়োগ সুস্পষ্ট করা।
  4. শব্দের ক্রিয়া গুলিতে অভ্যস্ত করা ও উৎসাহ দান করা।
  5. অন্যদের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া মিথস্ক্রিয়া আবদ্ধ হওয়া।
  6. বানান বিষয়ক শুদ্ধভাবে জানতে ও স্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করতে পারা।
  7. শিক্ষার্থীদের শব্দতালিকা জ্ঞানের বিকাশ করা।
5.6. শব্দভান্ডারের বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা -
শব্দভান্ডারের বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা গুলি হল -

  1. শিক্ষার্থীদের অর্ভিবান চর্চার উৎসাহী করা।
  2. সমার্থক ও বিপরীত অর্থ শব্দ চিহ্নিত করতে পারা।
  3. সমরূপ ও সমধ্বনি শব্দের প্রয়োগ জানতে পারা।
  4. প্রত্যয় ও প্রবাদ প্রবচন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা
  5. উৎসর্গের ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা
  6. শিক্ষার্থীদের পঠন উপলব্ধিতে সাহায্য করা
  7. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের পাঠদান ভালোভাবে আত্মস্থ করা।
  8. শিক্ষার্থীদের মনের ভাব কে সুস্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করতে পারে।
  9. সুন্দর শব্দ চয়নের দ্বারা সমাজে সম্মান অর্জন করা।
  10. বাক্যালাপ বা আলাপপরিচিতি মাধ্যমে নিজেকে সুন্দরভাবে সবার সামনে পরিবেশিত করা।
5.7. শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধির কৌশল সমূহ - 
  1. শব্দভাণ্ডার বিকাশের জন্য নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যখনই কোন নতুন শব্দ চোখে পড়বে তখনই সে টি লিখে রাখতে হবে।
  2. শ্রেণিকক্ষে ছবি, ক্যালেন্ডার, ঘড়ি ইত্যাদি রাখা যেতে পারে। এইগুলি শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন শব্দ শিখতে সাহায্য করবে।
  3. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের প্রকৃতি অনুযায়ী তার কথাবার্তার কিছু বর্ণনামূলক শব্দ ব্যবহার করেন তাহলে শিক্ষার্থীদের শব্দভাণ্ডারের বিকাশ হয়।
  4. শব্দ ভান্ডার বিকাশের জন্য Word book পড়ানো যেতে পারে।
  5. শিক্ষক যখন কোন নতুন বিষয় পড়াবেন তখন শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিয়ে শুনবে। শিক্ষক এর উচ্চারণ, শব্দার্থ পরিবেশন, শিক্ষার্থীদের শব্দভাণ্ডার বিকাশে সাহায্য করবে।
  6. শব্দভাণ্ডার বিকাশের জন্য শ্রেণি শিখন কালে শব্দছক, বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, বাক্য লিখতে দিতে পারেন।
  7. ভাষা শিক্ষক ছাড়া অন্য শিক্ষকরা, যেমন - ভূগোল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ম্যাপ দেখাবেন।ফলে শিক্ষার্থীদের নানান দেশের নাম জানবে এবং শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পাবে।

6. শব্দভাণ্ডার ও পঠন উপলব্ধির সম্পর্ক - 

শব্দভান্ডার বা শব্দতালিকা বিকাশের পঠন উপলব্ধির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। শব্দভান্ডারের জ্ঞান যদি শিক্ষার্থীর মধ্যে না থাকে তাহলে সে কোন বিষয়ে পাঠ করতেই পারবে না। উপলব্ধি করা তো দূরের কথা যেমন - পঠনের শুরুর আগে পাঠ্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে গেলেও শব্দ তালিকার প্রয়োজন হয়। পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর মধ্যে থাকে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ গুলি খুঁজে বের করতে হয়। অনেক পাঠ্যপুস্তকে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ গুলি কে চিহ্নিত হয়ে থাকে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এই শব্দগুলি অর্থ উপলব্ধি করে তবেই পাঠ শুরু করা হয়। সুতরাং, বলা যেতে পারে শিক্ষার্থীর পঠনের উপলব্ধিতা শব্দ তালিকার ওপর নির্ভরশীল এবং শব্দতালিকা পঠনের উপলব্ধিতার উপর নির্ভরশীল।

7. তথ্য সংগ্রহ -

উক্ত প্রকল্পটি করবার জন্য আমি................................ বিদ্যালয় নির্বাচন করলাম। বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পঠন-পাঠন করে। আমি এই বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মহাশয় / প্রধান শিহ্মিকা মহালয়ার কাছে অনুমতি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট দিনে ................. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক মহাশয় বা শিক্ষিকা মহাশয়া সহায়তায় আমি এই প্রকল্পটি সুসম্পন্ন করেছিলাম।

• শব্দ ক্রীড়ায় নমুনা - ১

শব্দ ক্রিয়ার নমুনার জন্য আমি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা "দেনা পাওনা" বেছে নিয়েছি। এটি দশম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের একটি অংশ।

 (বি:দ্র: এক্ষেত্রে নিজের নির্বাচিত গদ্য বা পদ্য অংশ নির্বাচিত করতে পারেন, উদাহরণস্বরূপ একটি দেখানো হলো।)

• পাঠ্য - 

দেনা পাওনা 

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 

পাঁচ ছেলের পর যখন একটি কন্যা জন্মিল তখন বাপ মায়ে অনেক আদর করিয়া তাহার নাম রাখিল নিরুপমা।এ গোষ্ঠীতে এমন শৌখিন নাম ইতিপূর্বে কখনও শোনা যায় নাই।প্রায় ঠাকুরদেবতার নাম প্রচলিত ছিল - গণেশ, কার্তিক, পার্বতী, তাহার উদাহরণ।

               এখন নিরুপমার বিবাহের প্রস্তাব চলিতেছে। তাহার পিতা রামসুন্দর মিত্র অনেক খোঁজ করেন কিন্তু পাত্র কিছুতেই মনের মতন হয় না। অবশেষে মস্ত এক রায়বাহাদুরের ঘরের একমাত্র ছেলেকে সন্ধান করিয়া বাহির করিয়াছেন।উরু রায়বাহাদুরের পৈতৃক বিষয় আশায় যদিও অনেক হ্রাস হইয়া আসিয়াছে কিন্তু বনেদি ঘর বটে।

              বরপহ্ম হইতে দশ হাজার টাকা পণ এবং বহুল দানসামগ্ৰী চাহিয়া বসিল। রামসুন্দর কিছুমাত্র বিবেচনা না করিয়া তাহাতেই সম্মত হইলেন;এমন পাত্র কোনোমতে হাত করা যায় না।

              কিছুতেই টাকার জোগাড় আর হয় না।বাঁধা দিয়া,বিক্রয় করিয়া, অনেক চেষ্টাতেও হাজার ছয়-সাত বাকি রহিল।এ দিকে বিবাহের দিন নিকট হইয়া আসিয়াছে।

              অবশেষে বিবাহের দিন উপস্থিত হইল। নিতান্ত অতিরিক্ত সুদে একজন বাকি টাকাটা ধার দিতে স্বীকার করিয়াছিল। কিন্তু সময়কালে সে উপস্থিত হইল না।বিবাহ সভায় একটা তুমূল গোলযোগ বাঁধিয়া গেল। রামসুন্দর আমাদের রায়বাহাদুরের হাতে পায়ে ধরিয়া বলিলেন,"শুভকার্য সম্পন্ন হওয়ার তাকে, আমি নিশ্চয়ই টাকাটা শোধ করিয়া দিব।" রায়বাহাদুর বলিলেন  টাকা হাতে না পাইলে বর সভাস্থ করা যাইবে না।”

কর্মপত্র - ১

সঠিক বানান বেছে নাও -

১.মশ্ত/মস্ত/মষ্ত 

২.সন্দান/সন্ধান/সদ্ধান

কর্মপত্র - ২

বিপরীত শব্দ লেখো।

১.হ্রাস,২.বিক্রয়,৩.আশা,৪. বরপহ্ম

কর্মপত্র - ৩

বাক্য রচনা করো 

ঠাকুরদেবতা , পৈতৃক , গোলযোগ,সভাস্থ,শুভকার্য 

কর্মপত্র - ৪

নীচের দেওয়া শব্দগুলির সমার্থক শব্দ পাঠ্যাংশ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

8. তথ্যের  বিশ্লেষণ - 

শ্রেণিকক্ষে পঠন এবং পাঠনের পরবর্তী কর্মপত্রগুলি সমাপ্তির পর বলা যেতে পারে সকল শিক্ষার্থী শব্দ ভাণ্ডারের প্রতি চেষ্টা রয়েছে , যদি তারা এইভাবে তাদের আগ্রহ ও প্রচেষ্টা করে তাহলে তাদের ভাষাগত দক্ষতার সঙ্গে শব্দভান্ডারের উৎকৃষ্ট উন্নতিসাধন ঘটবে।

9. সীমাবদ্ধতা - 

১.কেবলমাত্র একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে নমুনা চয়ন করা হয়েছে।

২.শুধুমাত্র বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত হয়েছে।

৩.খুব কম সময়ে কাজটি সম্পাদিত হয়েছে।

৪.কেবলমাত্র গ্ৰামীন বিদ্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

10. উপসংহার -

মানুষের ভাব বিনিময় বা প্রকাশের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হল ভাষা। ভাষার উন্নতি সাধনে ভাষার দক্ষতা যেমন - লিখন, কথন,শ্রবন ও বাচনে দক্ষতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।। এই সমস্ত ক্ষেত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো শব্দ চয়ন। উৎকৃষ্টমানের শব্দচয়নের দরকার শব্দ ভান্ডার। একজন কবি কিন্তু বিখ্যাত হন তাঁর লেখনীর মাধ্যমে,তার রচনার থাকে অসংখ্য উৎকৃষ্টমানের শব্দভাণ্ডার। যা পাঠকের মন কে জয় করে। সুতরাং আমরা বুঝতে পারছি শব্দ ভান্ডারের গুরুত্ব কতখানি। বর্তমানে জটিল আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তির কার্যকর্মের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে ভাষা দক্ষতা ও শব্দ ভান্ডারের উপর। উপরোক্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করাই নয়,শব্দভাণ্ডারের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে যা তাদের ভাষা দক্ষতা কে আরো উৎকৃষ্ট মানে বিকাশে সাহায্য করে।

CLICK HERE -
ENGLISH VERSION PDF FILE

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post