Reading And Comprehension Exercises

Reading And Comprehension Exercises

Reading And Comprehension Exercises||পঠন ও উপলব্ধির/বোধ পরীক্ষণ

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

Reading And Comprehension Exercises
Reading And Comprehension Exercises

(** ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

BENGALI VERSION

Reading And Comprehension Exercises

1. EPC -এর ভূমিকা -

EPC কথাটির অর্থ হল Enhancing Professional Capasity বা পেশাগত হ্মমতায় বৃদ্ধি। বিভিন্ন হ্মমতা যেমন - লিখন,পঠন,বোধ পরীহ্মণ সংহ্মিপ্তকরণ,সর্বপাপ এগুলি অনুশীলনের উন্নতি হয় EPC এর মাধ্যমে।

    বর্তমানে শিহ্মকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা বলে বিবেচিত হয়। এই কারনে শিহ্মাকতার শিহ্মকের পেশাগত দহ্মতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। EPC আমাদের জীবনে সদর্থক মনোভাব গ্ৰহন ও চরিত্র গঠনের কাজে লাগে। তাই পেশাভিত্তিক দহ্মতাকে প্রগাঢ় ও সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করা যায়, তাছাড়া এই বিষয়টি আর্দশগত ভাবে সম্মিলিত করার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ভিত্তিক পর্যায় ও পরিবর্তনশীল পাঠক্রমের সাথে শিহ্মককে অভিযোজিত করতে ও সহায়তা করে। পেশাগত দহ্মতা অর্জন একজন শিক্ষককে সবসময় নতুন নতুন ভাবনায় সমৃদ্ধ করে। পেশাগত দহ্মতা বিভিন্ন দিক আছে- পাঠ্য বিষয়ের উপস্থাপন,পাঠ অধ্যয়ন, পরামর্শদান, চিন্তাশীল তত্ত্ববোধ,প্রায়োগিক সহযোগিতা ইত্যাদি।উন্নত পেশাগত হ্মমতা একজন শিহ্মকেরা বিজ্ঞানসম্মত শিহ্মণ পদ্ধতি ও সদর্থক কর্মদহ্মতার উন্নতি ঘটায়।

2. EPC -এর উদ্দেশ্য -

১.পেশাভিত্তিক উন্নয়নের পরিসর দীর্ঘ প্রতিটি পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তির কতগুলি গুন বা যোগ্যতা থাকার দরকার।এটি বিভিন্ন ব্যক্তির উদ্যমশীলতা নির্ভরযোগ্যতা ও আত্মনিয়ন্ত্রনের হ্মমতা বৃদ্ধি করে ফলে পেশাগত উন্নয়নের নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ একটি সাধারণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কর্মদহ্মতায় উন্নয়নের বিভাজন করে নেয়।

২.পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত পঠনের মাধ্যমে পাঠকের মূল্যবোধ এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট নৈতিকতার সমৃদ্ধি ঘটে। সামগ্রিক ভাষার প্রসার ঘটে।

৩. পেশাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির মূল ভিত্তি হলো ব্যক্তির দীর্ঘ শিখনি আগ্রহ এবং তাদের ক্ষমতা ও জ্ঞানের বৃদ্ধিকরণ; পরিশ্রমশীলতা প্রত্যুৎপন্ন যৌতিত্ব, দায়িত্ব গ্রহণ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের পেশাগত ক্ষমতা উদ্যোগী করে তোলা।

৪. সরব পাঠ ও নীরব পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৫. পেশাগত দক্ষতা বিকাশের ফলে শিশুর আচরণ কেমন বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৬. পাঠ্যক্রমে পঠনের বিষয়বস্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে জীবনমুখী ও ইতিবাচক করে তোলে।

3. ব্যবহারিক অংশ নির্বাচন - 

উক্ত প্রকল্পটির " Reading and Comprehension exercises " বা " পঠন ও উপলব্ধির / বোধ অনুশীলন " কে নির্বাচন করা হলো।

4. ভূমিকা -

পঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বোধ পরীক্ষণ। শিক্ষার্থীদের পঠন দক্ষতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারিক অংশ রয়েছে। পঠনের অর্থ হল কোন কিছু কাজ করে তার অর্থ উপলব্ধি করা। পঠনের শিক্ষার্থীদের শব্দভান্ডার এবং শব্দ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য বোধ পরীক্ষণ অত্যন্ত জরুরী। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের এই বোধ পরীক্ষণ এর মাধ্যমিক শব্দভাণ্ডার তথা শব্দের সঙ্গে পরিচয়,নতুন শব্দ জানা,লিখন দক্ষতা, ভাষাগত দক্ষতা ইত্যাদির জন্য বোধ পরীক্ষণ অত্যন্ত জরুরী। উক্ত এ প্রকল্পটিতে আমরা পঠন এবং বোধ পরীক্ষণ সম্পর্কে জানবো।

5. পঠন -

5.1. পঠনের ভূমিকা -

ভাষার লিখিত রূপ অনুধাবন করেে,তার অর্থ উদ্ধার করতে পারাই হলো পঠন। পঠনের সু-অভ্যাসের মাধ্যমে অর্থ উপলব্ধির সঙ্গে ধনী এবং দৃশ্য মিলেমিশে যায়। প্রত্যেক পঠনের সাহায্যে আমরা কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি এবং পঠন সম্পর্কিত বিষয়ের যাবতীয় তথ্যাদি পেতে পারি। 

         পঠনকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে Arnold Bennet বলেছেন - "The aim of reading as a whole is gradually to create and ideal life a source, a refuge, an eternal source of inspiration." আবার পঠনের যান্ত্রিক দিকটি নজর দিয়ে Dr West বলেছেন - " Reading is the process of sight sound sense."

5.2. আদর্শ পঠনের বৈশিষ্ট্য - 

আদর্শ পঠনের বৈশিষ্ট্য গুলি হল -

  1. নির্ভূলতা - পাঠটি নির্ভূল ভাবে পড়তে হবে।
  2. গতি - নির্দিষ্ট গতি বজায় রাখার মাধ্যমে শিহ্মার মান অনুযায়ী বিষয়টি পাঠ করা।
  3. উপলব্ধি - ভাষা প্রয়োগ শব্দ চয়ন ছন্দ,উপমা ও অলংকার ইত্যাদি বোঝার মাধ্যমে কোনো বিষয়ের অন্তর্নিহিত ভাষাটি উপলদ্ধি করতে পারা।
  4. অভিব্যক্তি - পাঠ্যাংশের মধ্যে যে ভাবনা, আবেগ ও অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তার যথাযথ প্রকাশ মূর্ত করে তোলা।
5.3. পঠনের পর্যায়় - 

পঠন একটি জটিল মুলক ক্রিয়া। পঠনের চারটি পর্যায়ে রয়েছে। সেই গুলি হল -

ক। আহ্মরিক পাঠ বা পর্যায় - 

পঠনের পর্যায়টি হল বোধহীন শিখন এবং মুখস্তকরনের পর্যায়।এখানে পাঠ্য বস্তুকে শিক্ষার্থী যেভাবে অস্বচ্ছ বা পুস্তক বা অন্য কোন মাধ্যমে দেখতে পায় সেটা সম্পর্কে অস্বচ্ছ বা অস্পষ্ট ধারণা লাভ করে। সেই বিষয়টির উপর তার জ্ঞানের গভীরতা এই পর্যায়ে থাকে না। যখন শিক্ষার্থীরা কোন বিষয় সম্পর্কে প্রথমে তথ্য লাভ করে, তখন সে পঠনের এই পর্যায়ে বিরাজ করে। প্রকৃত পক্ষে এই পর্যায়টি হল পাঠ্য বিষয় সম্পর্কে বাহ্যিক জ্ঞানের পর্যায়। 

        এই পর্যায়ে সাধারণত যেসব প্রশ্নগুলি পাঠকের মনে জাগ্রত হয়।সেগুলি হল - 'কে','কি','কখন' এবং 'কোথায়' ইত্যাদি।এই প্রশ্নের উত্তর গুলি করা খুবই সোজা হয়। কারণ এর উত্তরগলি সোজাসুজিভাবে দেওয়া থাকে।
খ। ব্যাখ্যামূলক পাঠ বা পর্যায় - 

এটি হল পঠনের দ্বিতীয় পর্যায়।এখানে পাঠক তার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানকে নতুন শিখনের সাথে যুক্ত করে আগের থেকে পাওয়া তথ্যগুলিকে সমৃদ্ধ করে।এই পর্যায়ে পাঠক পাঠ্যবস্তুটির অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে সক্ষম হয়।এখানে পাঠক কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিজের যুক্তি ও অনুমানের ভিত্তিতে। ব্যাখ্যামূলক পর্যায়ে পাঠক পাঠ্য বস্তুর প্রত্যেকটি বাক্যের অর্থ অনুধাবন করতে সচেষ্ট হয় এবং লেখকের বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারে।

          এই পর্যায়ে প্রশ্নগুলি পাঠকের মনে চিন্তা উদ্রেক করে। যেমন - 'কেন','কিভাবে','কেন এমন' ইত্যাদি এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দেওয়া থাকে না।এই প্রশ্নের উত্তর গুলি দিতে হলে পাঠকের বিষয় সম্পর্কে পূর্ব জ্ঞান,বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও বিষয়ভিত্তিক চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হয়। 
গ। চর্বনা মূলক পাঠ বা পর্যায় -

চর্বনামূলক পাঠ হল পঠনের অন্তর্গত দুরুহ বিষয়গুলির বিশ্লেষণধর্মী পাঠ বা অর্থ গ্রহণ।সাহিত্যের ক্ষেত্রে বলা যায় নিছক ছোটোগল্প বা দ্রুত পঠনের অপেক্ষায় প্রবন্ধ যে উপযোগিতা, পঠনের সমধর্মী।(যেমন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের প্রবন্ধাবলী) যা সহজে পাঠ্য নয়,যার অর্থ অনেকখানি। চর্বনার মাধ্যমে গুরু থেকে লঘু ভাবে অর্থ উদ্ধারের ও সহজ করার প্রয়োজন তাই হল চর্বনা পাঠ। পঠনের ক্ষেত্রে চর্বনা পাঠের 'ওজন' এবং 'মান' অনেক খানি সমৃদ্ধ। যা পাঠক শিক্ষার্থী তথা গবেষকের প্রজ্ঞা মূলক দিক গুলি উন্নতি করে থাকে।

             পঠনের সময় যখন পঠন সম্পর্কিত নির্দিষ্ট বিষয় বস্তুর অন্তর্গত পাঠের গভীর বিচার-বিশ্লেষণ করে তবেই অর্থ উদ্ধার হয় অথবা তার অন্তর্নিহিত বিষয় স্পষ্ট ভাবে ধরা দেয়।তখনই পঠনের চর্বনা মূলক পর্যায় সু-সম্পাদিত হয়ে থাকে।এক্ষেত্রে কঠিন খাদ্যদ্রব্যের মতই যত্ন সহকারে,সাজ ও দীর্ঘ মনোনিবেশের সঙ্গে 'চিবিয়ে চিবিয়ে' রস আস্বাদনে করতে হয়।গভীর ও মননধর্মী বিষয়বস্তু পঠনের চর্বনামূলক পর্যায়ে সুসম্পন্ন হয়ে থাকে।
ঘ। সৃজনমূলক পাঠ বা পর্যায় -

পঠন পর্বে সংশ্লিষ্ট সুনির্দিষ্ট বিষয় বস্তুর অন্তর্নিহিত ভাব যথাযথ উপলব্ধির মাধ্যমে যখন রসোত্তীর্ণ  হয়ে ওঠে, তখনই পঠনের সৃজনমূলক পর্যায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে। 'রসাস্বাদন' অথবা 'রস-বিশ্লেষণ' ঘটাই এই পর্যায়ে মূল উদ্দেশ্য।পাঠকের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা যেন এই ধরনের পঠনের মধ্যে পূর্ণ বিকাশ লাভ করার বিশেষ  সম্ভাবনা থাকে।তাই নিছক তত্ত্ব বিশ্লেষণ নয়,শব্দার্থ অন্বেষণ নয় তারই সঙ্গে পঠনের সৃজনমূলক পর্যায়ে প্রাধান্য পেয়ে থাকে পাঠকের আত্মানুভূতি, সৃজনশীলতা এবং সৌন্দর্য চেতনার জগৎ।

5.4. পঠনের গুরুত্ব - 

পঠনের গুরুত্ব গুলি হল -

  • পঠনের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো - 
  • পাঠ্যাংশের ধারণা পাওয়া যায়।
  • পাঠের মূল ভাবনা অনুধাবন করা।
  • পাঠ্য সৃষ্টির পিছনে সুপ্ত উদ্দেশ্য অনুধাবন করা।
  • পাঠ্য সম্পর্কে নিজস্ব ধারনা গড়ে তোলা।
  • কোনো বিষয়ের বিচার বিশ্লেষণের করা যায়।
  • তথ্য যাচাই করার যায়।
  • কোনো প্রশ্নের উত্তর পাওয়ায় যায়।
  • কেবলমাত্র আনন্দ লাভের করা।

6. বোধ পরীহ্মণ -

6.1. বোধ পরীহ্মণের ধারনা -

বোধ পরীহ্মণ হল একটি সক্রিয় অভ্যন্তরীন মিথস্ক্রিয়া মূলক প্রক্রিয়া যা কোনো একটি লিখিত পাঠ্যবস্তুর পাঠ করার আগে এবং পাঠের সময় ঘটে।চর্বনামূলক বা পুনঃপুন দর্শন বা পঠনের ফলে সৃষ্টি হয় জ্ঞানের।এই জ্ঞানকে বিচার করতে হয় নিজস্ব বৃদ্ধিতে।এই জ্ঞান ও বুদ্ধি থেকে কোনো বিষয় যে ধারণা জন্মায় তাকে এই বিষয়ের বোধ বলে।অতএব বোধ হল কোনো বিষয়ের জ্ঞান, বৃদ্ধি ও ধারণার সম্মিলিত রূপ।

                    এহ্মেত্রে কোনো একটি অংশ পাঠ করে তার অর্থ ও ভাব বুঝতে পারা গিয়েছে কিনা কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে তার পরীক্ষা করাকে বলা হয় বোধ পরীহ্মণ। অর্থাৎ, আমরা যা পাঠ করি এবং তার বোঝায় কাজ টিকেই পঠন উপলব্ধির/ অন্তর্ভূক্তির হ্মমতা বা Reading Comprehension বলা হয়। তবে বিষয়টিকে যতটা সরলভাবে সংজ্ঞায়িত করা হল, কাজটি কিন্তু ততটা সরল নয়।গল্প বা প্রবন্ধ থেকে নির্বাচিত অংশ নিয়ে কতক গুলি প্রশ্ন দেওয়া হবে।এই প্রশ্নগুলি এমন ভাবে রচিত হবে যাতে উদ্ধৃত অংশটির অর্থ সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছে কিনা যাচাই করা যায়।

6.2. বোধ পরীহ্মণের উদ্দেশ্যাবলী - 

বোধ পরীহ্মণের উদ্দেশ্যাবলী গুলি হল -

  • শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও বোধশক্তির পরীহ্মা করা।
  • পাঠ্য বিষয়টি সম্পর্কে ধারনা লাভ করা।
  • কোনো রচনার মূল অর্থ উন্মোচন করা।
  • পাঠক এবং পাঠ্যবস্তুর মধ্যে সুচিন্তিত মিথস্ক্রিয়া ঘটায়।
  • শিক্ষার্থীদের পঠনের পটুত্বের উন্নতি সাধন করে।
  • শিক্ষার্থীদের শব্দভান্ডারের বিকাশ সাধন করে।
  • শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ সাধন করে।

6.3. বোধ পরীহ্মণের ধাপ বা পদ্ধতি - 

বোধ পরীহ্মণের নিম্মলিখিত ধাপ বা পদ্ধতি গুলি হল -

  • উদ্ধৃত অংশটির বারংবার পড়তে হবে ও বক্তব্যটি ভালোভাবে বুঝতে হবে।
  • উদ্ধৃত অংশটির পড়ার পর পাঠ্যাংশের বিশেষ অংশ চিহ্নিতকরণ করতে হবে।
  • পাঠ্যাংশের গভীর অর্থ উপলব্ধি ও পাঠের অভ্যন্তরীন সম্পর্কে সাধন করতে হবে।
  • উক্ত বক্তব্য গুলির মধ্যে সূত্র বন্ধন করা।
  • প্রশ্ন অনুসারে সঠিক উত্তর লেখার চেষ্টা করতে হবে।
  • উদ্ধৃত অংশ থেকে হুবহু তুলে না দিয়ে নিজের ভাষায় উত্তর লেখার চেষ্টা করতে হবে।
  • উদ্ধৃত অংশটি সাধু না চলিত যে ভাষাতে লেখা হোক না কেন উত্তর সবসময় চলিত ভাষাতেই লিখতে হবে।
  • প্রশ্নের যথাযথ উত্তর লেখার চেষ্টা করতে হবে। লহ্ম্য রাখতে হবে অপ্রাসঙ্গিক বা বহির্ভূত কোন অংশ উত্তরে যেন না এসে পড়ে।

7. পাঠ বিষয়ের তাৎপর্য উপলব্ধির উপায় - 

নির্দিষ্ট কতকগুলি কৌশলের সাহায্যের পঠন উপলব্ধির হ্মমতার বিকাশ ঘটানো যায়,এই কৌশলগুলি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবস্তুটির সম্পর্কে চিন্তা করতে সাহায্য করে।তারা যেটা পাঠ করেছে তা মনে রাখতে ও বুঝতে সাহায্য করে। স্বাভাবিকভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য এই কৌশলগুলি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।

             পঠন উপলব্ধির / অন্তর্ভুক্তির উন্নতি বা বিকাশের জন্য বেশ কয়েকটি কৌশল কার্যকর করা যেতে পারে। সেইগুলি হল- 

  • পঠন শুরুর আগে পাঠ্য বস্তুটির পরিদর্শন -

নির্দিষ্ট কোনো কিছু পাঠ করার আগে শিক্ষার্থীদের কিছু সাধারণ নির্দেশ পালন করতে হয়। তারা আগের অধ্যায় কি করেছে এবং এখন কি করবে। তাদের আগে অধ্যায়টি দ্রুত সারাংশ করার নির্দেশ দিতে হবে এবং পাঠ্য বিষয়টি পরিদর্শনের নির্দেশ দিতে হবে।শিক্ষার্থী যেটি পালন করছে কিনা বা বিষয় সম্পর্কে আলোচনা শব্দগুলিকে চিহ্নিত করতে পারছে কিনা সেই বিষয় লক্ষ রাখতে হবে শিক্ষক মহাশয়কে।

  • লেখার গঠন ও কাঠামো বুঝলে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা -

লেখার গঠন ও কাঠামো সংক্রান্ত মৌলিক নীতি গুলি নির্ধারণ করতে পারলে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবস্তুটির সারাংশ নিরুপম করতে ও বিষয়টি আয়ত্ত করতে সক্ষম হবে।                    সাধারণত একটি অধ্যায়ের মধ্যে অনেকগুলি অনুচ্ছেদ থাকে।সেই অনুচ্ছেদের প্রথম বাক্য গুলিতে ওই অনুচ্ছেদের মূল বক্তব্য লুকিয়ে থাকে। অনুচ্ছেদটি মধ্যভাগে অন্য আলোচনা থাকে এবং শেষের বাক্যের বক্তব্য সমাপ্তি লেখা থাকে।

  • মূল বক্তব্য ও নির্যাস চিহ্নিত করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা -

পাঠের মূল বক্তব্য খুঁজে চিহ্নিত করা,নির্যাস করা এবং পাঠের মূল বক্তব্যকে বুঝতে পারার সক্ষমতা পঠন উপলব্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা কাল্পনিক গল্প,উপন্যাসগুলি সহজেই আয়ত্ত করতে পারে কিন্তু পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যের বের করতে পারে না। এই ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রত্যক্ষ নির্দেশনার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তারা প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠ্যপুস্তক থেকে সহজে বের করে আনতে পারে।

  • পঠন সম্পর্কে চিন্তা করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা - 
পঠন চলাকালীন সঠিক অনুচ্ছেদটি পাঠের সময় শিক্ষার্থীকে থামিয়ে দিয়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি এমন প্রশ্ন করতে হবে যাতে সে বা তারা বিষয়টি সম্পর্কে চিন্তা করতে বাধ্য হয়।এই সময় তাকে তথ্যমূলক ও ব্যাখ্যামূলক দুই ধরনের প্রশ্ন করতে হবে।

                  যদি কোনো শিক্ষার্থীদের এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে না পারে অথবা যথাযথ ব্যাখ্যা করতে না পারে,তবে তাকে আবার অধ্যায়টি পাঠ করতে বলতে হবে।

      উত্তর দানের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসার ও ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা যাতে জন্মায়,তার জন্য শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে হবে।এতে শিক্ষার্থীদের বিমূর্ত চিন্তন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

  • শিক্ষার্থীদের সারসংক্ষেপ করা শিখতে সাহায্য করা -

পাঠ্য বিষয়টি সারাংশ করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে হবে। কোনো কিছু দ্রুত সারসংক্ষেপ করার দক্ষতা।এই পাঠের মূল বক্তব্য নির্ণয় করা সমার্থক।উক্ত বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা ও আলোচনা করা শিক্ষার্থীদের সংক্ষেপে করার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

  • শব্দতালিকার জ্ঞানের বিকাশ করা -

শব্দতালিকা বৃদ্ধি পঠন উপলব্ধিতে সাহায্য করে। শব্দতালিকা সংক্রান্ত জ্ঞান উপলব্ধির দক্ষতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

8. তথ্য সংগ্রহ -

8.1. বিদ্যালয় নির্বাচন - 

উক্ত প্রকল্পটি করার জন্য আমি ....................................................বিদ্যালয়টিকে নির্বাচন করলাম। এ বিদ্যালয় পঞ্চম হইতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন - পাঠন করা হয়। উক্ত প্রকল্পটির জন্য আমি প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের নিকট অনুমতি নিয়ে ............... শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক / শিহ্মিকা - এর সহায়তায় প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে।

8.2. পদ্ধতি - 

উক্ত প্রকল্পের যে পঠনটি ব্যবহার করলাম পঠনের  জন্য শিহ্মার্থীদের এক নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে।পঠনের পর তার থেকে তৈরি হওয়ার বিভিন্ন বোধ মূলক প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ উত্তর দিতে হবে।প্রশ্নপত্রের আকারে সরবরাহ করা এবং উত্তরগুলি যেন অবশ্যই পাঠ্যাংশ থাকবে।

• নমুনা -১

বোধ পরীহ্মণ - 

কোনো কোনো গাছ এক বৎসর পরেই মরিয়া যায়।সব গাছই মরিবার পূর্বে সন্তান রাখিয়া যাইতে ব্যগ্ৰ হয়।বীজগুলিই গাছের সন্তান।বীজ রহ্মা করিবার জন্য ফুলের পাপড়ি দিয়া গাছ একটি হ্মুদ্র ঘর প্রস্তুত করে।গাছ যখন ফুলে ঢাকিয়া থাকে তখন কেমন সুন্দর দেখায়।মনে হয়,গাছ যেন হাসিতেছে। ফুলের ন্যায় সুন্দর জিনিস আর কি আছে। গাছ তো মাটি হইতে আহার লয়,আর বাতাস হইতে অঙ্গার আহার করে।এই সামান্য জিনিস দিয়া কী প্রকারে এরূপ ফুল হইল ? গল্পে শুনিয়াছি স্পর্শমণি নামে একপ্রকার মনি আছে তাহা ছোঁয়ালে লোহা সোনা হইয়া যায়। আমার মনে হয় মাতার স্নেহই সেই মনি। সন্তানের উপর ভালোবাসাটাই যেন ফুলে ফুটিয়াছে ।ভালোবাসার স্পর্শেই মাটি এবং অঙ্গার ফুল হইয়া গিয়াছে।

১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।

অ। গাছ ফুল ফোটায় কেন ?

      ক. শোভা বাড়ানোর জন্য।

      খ. ভ্রমরের মন ভোলাবায় জন্য।

      গ. আপন সন্তানকে রহ্মা করার জন্য।

আ। উদ্ধৃত অংশটিতে আলোচনা করা হয়েছে -

      ক. কীভাবে লোহাকে সোনা করা যায়।

      খ. গাছ কীভাবে বংশরহ্মা করে।

      গ. গাছ কীভাবে আহার সংগ্ৰহ করে।

২. শূন্যস্থানগুলিতে উপযুক্ত শব্দ বসাও। 

ক। গাছ আহার সংগ্ৰহ করে ............. ও ................থেকে।

খ। বীজই গাছের ................. 

গ। ফুল বীজের ............... ।

৩. অতি অল্প কথায় প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।

ক। গাছ ফুল ফোটায় কেন ?

খ। স্পর্শমনি কী করে ?

9. শিক্ষকের ভুমিকা -

  • শিক্ষার্থীদের শিহ্মাদান গতানুগতিক শ্রেণীকহ্মে সম্ভব নয়,তাই এদের শিহ্মনের জন্য শ্রেণীকক্ষে সময় নির্দিষ্ট করতে হবে।
  • ভালো শিহ্মা সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।
  • পাঠ্য পুস্তকের চিত্রিত শব্দগুলি যেন স্পষ্ঠ হয়। শিক্ষক শব্দগুলিকে স্পষ্ঠ উচ্চারণ করে পড়বেন এবং শিক্ষার্থীদের পড়াবেন । একজন একজন করে শিক্ষার্থীদের পড়াতে হবে।
  • বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র গুলি তৈরি হবে শিক্ষার্থীর চাহিদা,বয়স ও যোগ্যতা অনুযায়ী।
  • পঠনের উন্নয়নের জন্য কথন উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজনীয়, আঞ্চলিকতা দোষ-ত্রুটি শিক্ষার্থীদের জন্য সঠিক উচ্চারণ শেখাবেন শিক্ষক।

10. শিক্ষার্থীর ভূমিকা - 

  • শ্রেণিকক্ষে একটি নির্দিষ্ট পাঠের পূর্বে বিষয়বস্তু এবং বর্তমানে পাঠের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত হতে হবে।
  • শ্রেণিকক্ষে তাদের মনোযোগী থাকতে হবে।
  • শব্দতালিকা জ্ঞান বিকাশের সচেতন থাকতে হবে।
  • সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা থাকতে হবে
  • ভাষাগত দক্ষতা থাকতে হবে।

11. সিদ্ধান্ত -

উক্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা দেখি, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক পঠন দানের পদ্ধতি। যেখানে শিক্ষার্থীদের বোধ পরীহ্মণের মাধ্যমে শব্দভান্ডারের ও ভাষাগত দক্ষতা অর্জন সহায়তা করছে।প্রত্যেক শিক্ষার্থী যথাযথভাবে মনোযোগ ও একাগ্রতা বোধ পরীহ্মণ কে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

12. সীমাবদ্ধতা - 

উক্ত প্রকল্পটির জন্য বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এগুলো হলো - 

  • উক্ত প্রকল্পটিকে সকল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করা হয় নি।
  • শুধুমাত্র একটি শ্রেণিকক্ষেই এই প্রকল্পটি করা হয়েছে।
  • সময়ের অভাব এই প্রকল্পের একটি অন্যতম সীমাবদ্ধতা।

13. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যেতে পারে, বোধ পরীক্ষণ শিক্ষার্থী শব্দভাণ্ডার ও ভাষাগত জ্ঞান দক্ষতা অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম। কোন বিষয়কে পাঠের মাধ্যমে তার অর্থ উপলব্ধি করা এবং শব্দগত এবং ভাষাগত নিরিখে পঠন-পাঠন করা অত্যন্ত জরুরী। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকের এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং শিক্ষার্থীদের একাগ্রতা অমনোযোগিতা পঠন-পাঠন কে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এ প্রকল্পে আমরা শিক্ষক মহাশয় থেকে শ্রেণিকক্ষে কিভাবে পঠন-পাঠন পড়ানো হয় সেই সম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করলাম। পতনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বোধ পরীক্ষণ যা শিক্ষার্থীদের ভাষাগত, শব্দ ভান্ডার তথা নতুন শব্দের পরিচয় প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা পাই।

CLICK HERE -








Post a Comment (0)
Previous Post Next Post