Complete Given Text In Stipulated Time And Summarize It In 6/7 Lines With A Suitable Title

Complete Given Text In Stipulated Time And Summarize It In 6/7 Lines With A Suitable Title

Complete Given Text In Stipulated Time And Summarize It In 6/7 Lines With A Suitable Title||

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION


Complete Given Text In Stipulated time and summarize it in 6/7 lines with a suitable title
Complete Given Text In Stipulated time and summarize it in 6/7 Lines With a suitable title


(** ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

BENGALI VERSION -

Complete Given Text In Stipulated Time And Summarize It In 6/7 Lines With A Suitable Title.

1. EPC -এর ভূমিকা -

EPC কথাটির অর্থ হল Enhancing Professional Capasity বা পেশাগত হ্মমতায় বৃদ্ধি। বিভিন্ন হ্মমতা যেমন - লিখন,পঠন,বোধ পরীহ্মণ সংহ্মিপ্তকরণ,সর্বপাপ এগুলি অনুশীলনের উন্নতি হয় EPC এর মাধ্যমে।

    বর্তমানে শিহ্মকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা বলে বিবেচিত হয়। এই কারনে শিহ্মাকতার শিহ্মকের পেশাগত দহ্মতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন। EPC আমাদের জীবনে সদর্থক মনোভাব গ্ৰহন ও চরিত্র গঠনের কাজে লাগে। তাই পেশাভিত্তিক দহ্মতাকে প্রগাঢ় ও সহযোগী হিসাবে বিবেচনা করা যায়, তাছাড়া এই বিষয়টি আর্দশগত ভাবে সম্মিলিত করার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ভিত্তিক পর্যায় ও পরিবর্তনশীল পাঠক্রমের সাথে শিহ্মককে অভিযোজিত করতে ও সহায়তা করে। পেশাগত দহ্মতা অর্জন একজন শিক্ষককে সবসময় নতুন নতুন ভাবনায় সমৃদ্ধ করে। পেশাগত দহ্মতা বিভিন্ন দিক আছে- পাঠ্য বিষয়ের উপস্থাপন,পাঠ অধ্যয়ন, পরামর্শদান, চিন্তাশীল তত্ত্ববোধ,প্রায়োগিক সহযোগিতা ইত্যাদি।উন্নত পেশাগত হ্মমতা একজন শিহ্মকেরা বিজ্ঞানসম্মত শিহ্মণ পদ্ধতি ও সদর্থক কর্মদহ্মতার উন্নতি ঘটায়।

2. EPC -এর উদ্দেশ্য -

১.পেশাভিত্তিক উন্নয়নের পরিসর দীর্ঘ প্রতিটি পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তির কতগুলি গুন বা যোগ্যতা থাকার দরকার।এটি বিভিন্ন ব্যক্তির উদ্যমশীলতা নির্ভরযোগ্যতা ও আত্মনিয়ন্ত্রনের হ্মমতা বৃদ্ধি করে ফলে পেশাগত উন্নয়নের নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ একটি সাধারণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কর্মদহ্মতায় উন্নয়নের বিভাজন করে নেয়।

২.পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত পঠনের মাধ্যমে পাঠকের মূল্যবোধ এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট নৈতিকতার সমৃদ্ধি ঘটে। সামগ্রিক ভাষার প্রসার ঘটে।

৩. পেশাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির মূল ভিত্তি হলো ব্যক্তির দীর্ঘ শিখনি আগ্রহ এবং তাদের ক্ষমতা ও জ্ঞানের বৃদ্ধিকরণ; পরিশ্রমশীলতা প্রত্যুৎপন্ন যৌতিত্ব, দায়িত্ব গ্রহণ ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের পেশাগত ক্ষমতা উদ্যোগী করে তোলা।

৪. সরব পাঠ ও নীরব পাঠের অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৫. পেশাগত দক্ষতা বিকাশের ফলে শিশুর আচরণ কেমন বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

৬. পাঠ্যক্রমে পঠনের বিষয়বস্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে জীবনমুখী ও ইতিবাচক করে তোলে।

3. ব্যবহারিক অংশে নির্বাচন - 

উক্ত প্রকল্পটির " Complete given text in stipulated time and summarize it in 6/7 lines with a suitable title " বা " নির্ধারিত সময়ে প্রদত্ত পাঠটি সম্পূর্ণ করুন এবং এটি একটি উপযুক্ত শিরোনাম সহ ৬/৭ লাইনে সংক্ষিপ্ত করুন " নির্বাচিত করা হল।

4. ভূমিকা - 

পঠন-পাঠনের বিভিন্ন দিকের মধ্যে একটি অন্যতম দিক হলো কোন পাঠ্য অংশকে পঠন করা তার অর্থ বোঝা এবং সেটিকে সংক্ষিপ্ত করা শিরোনাম সহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একটি শিক্ষার্থী কোন বিষয়কে পাঠ করে তার মূল অংশকে চিহ্নিতকরণ করে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া তার পছন্দ ভাষাগত এবং শব্দগত দক্ষতা। এই দক্ষতা শিক্ষার্থীর মধ্যে থাকবে সে একজন আদর্শ পাঠক বলে চিহ্নিত করা হবে। কোন পঠনের অর্থ বোঝা এবং তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে একটি শিরোনাম যা বিষয়টিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। উক্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে এই সম্পর্কে আমরা জানব।

4.2.1. সারাংশ -

সারাংশ হল কোন বিষয়ের মূলভাবের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। সারাংশ হল এক জাতীয় রচনা,কোন বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত সুসংহত করে প্রকাশ করতে পারাকে সারাংশ বলে। সারাংশ লিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও একাগ্রতা সহকারি নির্বাচিত বিষয়বস্তু বারংবার পাঠ করবে।অর্থাৎ তার ভাব,অর্থ,বক্তব্য অন্তর্নিহিত অর্থ আয়ত্ত করবে ও উপলব্ধি করবে,শেষে মূল বক্তব্যকে সংক্ষিপ্ত করে প্রকাশ করবে।

                সারাংশ লিখন দক্ষতার একটি অন্যতম দিক। বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে সংক্ষিপ্ত রূপ হল সারাংশ। সারসংক্ষেপ বা সারাংশ কে ইংরেজিতে বলা হয় 'Precis' এর কথাটি ফরাসি শব্দ। J. C. Nesfield বলেছেন - "The word precis is a French word signifying summary condendium abridgement abstract condensed statement epitome......"

4.2.2. সারাংশের বৈশিষ্ট্য - 

সারাংশ নিম্নলিখিত কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেগুলি হল - 

  • বৃহৎ রচনা একটি ক্ষুদ্রতম প্রতিনিধি। 
  • রচনার মূল ভাবে অপরিবর্তিত থাকে।
  • সারাংশ পঠনের দ্বারা সহজেই মূল রচনা অর্থ বোঝা যায়।
  • আয়তনে মূল রচনা এক-চতুর্থাংশ হয়। 
  • লেখকের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়।
  • ৫০-১০০ টি শব্দে লিখতে হয়।
  • একটি সারাংশে একটি অনুচ্ছেদ থাকে।

4.2.3. সারাংশের প্রকারভেদ -

সারাংশ মূলত তিন ধরনের হয়; যথা - 

ক। বর্ণনামূলক সারাংশ - 

এই ধরনের সারাংশ নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর পরিবর্তে প্রারম্ভিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

খ। তথ্যগত সারাংশ - 

অধিকাংশ সারাংশ এই ধরনের হয়ে থাকে।এটি খুব সাধারন।মূল ধারণা কে খুব ছোট ভাবে তুলে ধরা হয়,তাই তাকে Outline Summary বলে। 

গ। মূল্যায়নমূলক সারাংশ - 

তথ্যমূলক সারাংশ এখানে বৃদ্ধি করা হয়।এই ধরনের সারাংশে আমরা মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকে।

4.2.4. সারাংশের উদ্দেশ্য -

সারাংশের উদ্দেশ্যাবলী গুলি হল - 

  • শিক্ষার্থীদের লেখার অভ্যাস গড়ে ওঠে। 
  • বানান সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। 
  • স্বাধীন চিন্তাশক্তি এবং কল্পনাশক্তি বিকাশ ঘটে।
  • লিখন দক্ষতা অর্জিত হয়।
  • গল্প,কবিতা,উপন্যাস,নাটক প্রভৃতি প্রকাশ ঘটেছে।
  • যতি ও ছেদ চিহ্নের ব্যবহার হয়।
  • সুন্দর রুচিশীল হস্তাক্ষরের কুশলতা অর্জন করতে পারে।
  • শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহকে সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সাহায্য করে।
  • সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে।

4.2.5. সারাংশের প্রয়োজনীয়তা -

সারাংশের প্রয়োজনীয়তা গুলি হল -

  • স্বাধীন চিন্তাশক্তির বিকাশ হয়।
  • লিখন দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  • নিজের জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারাকে স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করা যায়।
  • নির্ভুল বানান শেখার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  • রুচিশীল হস্তাক্ষরের কুশলতা অর্জন করা।
  • কল্পনা ও চিন্তাশক্তির বিকাশ সাধন হয়।

4.2.6. সারাংশের সুবিধা -  

সারাংশের সুবিধা গুলি হল - 

  • শিক্ষার্থী স্বাধীন চিন্তা শক্তি ও কল্পনাশক্তি বিকাশ ঘটে।
  • লিখন দক্ষতার বৃদ্ধি পায়।
  • সুন্দর ও রুচিশীল হস্তাক্ষরের কুশলতা অর্জন করে।
  • বিষয় সম্পর্কে বোধগম্যতা ও মূল্যায়ন মূলক ধারণার সৃষ্টি হয়।

4.2.7. সারাংশের অসুবিধা - 

সারাংশের অসুবিধা গুলি হল -

  • সারাংশ বিশেষজ্ঞের ক্ষমতা বা প্রবনতার উপর নির্ভর করে।
  • সারাংশের প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা থাকে না।
  • সারাংশের জটিল প্রকৃতি হয়।
  • সারাংশ লেখার ক্ষেত্রে বিষয়টি বারংবার পড়তে হয়, না হলে ভুল হতে পারে।
  • কোন পদ্যাংশের সারাংশ লেখা খুবই কঠিন।
  • সারাংশে কোন শিরোনাম থাকে না।

4.2.8. সারাংশের নির্দেশনা - 

  • বারং বার মনোযোগ সহকারে মূল পাঠ্য পড়া।
  • রচনা প্রধান অংশগুলি চিহ্নিত করা।
  • সহজ সরল ভাষা প্রয়োগ হবে,কোন উদ্ধৃতি বা প্রশ্নবোধক কিছু থাকবে না। 
  • মূল রচনার যোগ্য প্রতিনিধি হতে হবে। 
  • পরোক্ষ উক্তিতে সারাংশটির নির্মাণ হবে।
  • রচনা নেই এমন কোন জিনিস সারাংশে থাকবে না।

4.3.1. অনুচ্ছেদ -

একটি বিশেষ ভাবকে প্রকাশ করতে কিছু বাক্যের প্রয়োজন হয়। বাক্যগুলি ভাব প্রকাশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরপর বসে সম্পর্কের অদৃশ্য সুতোয় গাঁথা হয়ে ভাবের একমুখী ও সংসহ প্রকাশ ঘটায়। এই ভাবে একটি বিশেষ ভাবকে প্রকাশ করা হল অনুচ্ছেদ রচনা।

4.3.2. অনুচ্ছেদের বৈশিষ্ট্য -

অনুচ্ছেদের বৈশিষ্ট্য গুলি হল -

  • অনুচ্ছেদ হলো কিছু বাক্যের সমষ্টি।
  • অনুচ্ছেদের বিষয়গুলি যেন জীবনে সঙ্গে যুক্ত হয়।
  • অনুচ্ছেদের ভাষা যেন সহজ সরল হয়।
  • অনুচ্ছেদের শব্দগলো যেন দীর্ঘ না হয়।
  • অনুচ্ছেদে যে শব্দ ব্যবহার করা হয় তা যেন ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়।
  • অনুচ্ছেদ রচনার মূল উদ্দেশ্যই হলো শিহ্মার্থীদের স্বাধীন রচনা শক্তির বিকাশ ঘটানো।
  • অনুচ্ছেদ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাবের প্রকাশ যেন একমুখী ও সংহত হয়।
  • অনুচ্ছেদের বাক্যগুলি যেন একটি বিশেষ ভাবকে প্রকাশ করে।

4.3.3. অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য -

অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য গুলি হল -

  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাধীন রচনাশক্তির বিকাশ ঘটানো।
  • অনুচ্ছেদ হল কতকগুলি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত বাক্যের সমষ্টি যা কোন একটি আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্গত একটি বক্তব্য সম্বন্ধে আলোচনা করা।
  • যে কোনো আলোচ্য বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করে ছোট ছোট প্রবন্ধ প্রবন্ধ রূপে প্রকাশ করা।

4.3.4. অনুচ্ছেদের নীতি - 

অনুচ্ছেদের নীতি গুলি হল -

  • ঐক্য - প্রতিটি অনুচ্ছেদে কেবলমাত্র একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে।অনুচ্ছেদের বক্তব্য বিষয়ের সঙ্গে তাঁর প্রত্যেকটি বাক্যের ঘনিষ্ঠ সংযোগ থাকবে।
  • ধারাবাহিকতা - অনুচ্ছেদে বর্ণিত ঘটনা কিংবা বিষয় বর্ণনার মধ্যে ধারাবাহিকতা অথবা বক্তব্য বিষয়ের পারস্পর্য যাতে বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
  • বিস্ময়সূচক বাক্য - প্রতিটি অনুচ্ছেদে একটি মূল বাক্য অথবা বিষয়সূচক বাক্য থাকবে।এই বাক্যটি অনুচ্ছেদের শুরুতে থাকলে ভালো হয়। মূল বাক্যের পরিবর্তে বাক্যগুলি সুশৃংখলভাবে এই বাক্যের বক্তব্যকে পরিস্ফুটিত করবে।
  • সমাপ্তিসূচক বাক্য - প্রতিটি অনুচ্ছেদের শেষে একটি সমাপ্তিসূচক বাক্য থাকবে। এই বাক্যটি যেন অনুচ্ছেদটির উপযুক্ত পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে।
  • সংযোগ - অনুচ্ছেদের বাক্যগুলি যেন পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত থাকে।এই সংযোগ বজায় রাখার জন্য ' কিন্তু, তথাপি, উপরন্তু, যদি,অতএব 'অনুরুপ ভাবে প্রভৃতি সংযোগমূলক শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
  • গঠন - একটি সুলিখিত অনুচ্ছেদের সূচনা, মধ্য ভাগ এবং সমাপ্তি এই তিনটি অংশ থাকবে।
  • বাক্যের গঠন বৈচিত্র্য - একটি সুলিখিত অনুচ্ছেদের ছোট-বড়ো, সরল-জটিল-মৌখিক প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের বাক্য থাকবে।

 এই সূত্রে শিক্ষার্থীদের বাক্যগঠনের নিম্নলিখিত নীতিগুলি শিখতে হবে।

  • বাক্যের ঐক্য - প্রতিটি বাক্য যেন অনুচ্ছেদে কোন নতুন চিন্তা যোগ করে এবং বাক্যের ওই চিন্তার বহির্ভূত কিছু যেন না থাকে শিক্ষার্থীদের সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
  • বাক্যের দৈর্ঘ্য - প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ বা বাক্য ব্যবহার করতে পারলেও তাদের শেখাতে হবে ছোট ছোট বাক্যের সরলতা এবং প্রত্যক্ষতা সাবলীল রচনাশৈলী পরিচাযক।
  • বৈচিত্রের নীতি - অনুচ্ছেদ রচনা সরল, জটিল অথবা যৌগিক যে কোন প্রকারের বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরল বাক্য ব্যবহার করার উপর জোর দিতে হবে।এই স্তরের শিক্ষার্থীদের জটিল ও যৌগিক বাক্য কম পরিমাণে ব্যবহার করবে। শিক্ষার্থীদের একথা জানিয়ে দিতে হবে যে জটিল বাক্য বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে বাক্য বিষয় দুর্বোধ্য যেতে পারে।

4.3.5. অনুচ্ছেদ রচনা কাঠামোগত দিক - 

অনুচ্ছেদ রচনা কাঠামোগত দিক থেকে চার রকমের হয়ে থাকে। নিম্নে সেই গুলি বর্ণনা করা হলো -

  1. শিরোনাম - প্রতিবেদনের শিরোনামঃ এমনভাবে নির্ধারিত করতে হয় যাতে পরিবেশগত খবরের নির্যাস। অনেক সময় শিরোনাম যথেষ্ট বলে মনে না হওয়ায় শিরোনামের আগে বা পরে উপশিরোনাম লিখতে হয়।
  2. সূচনা - সূচনার অংশে শুরুতে থাকে সংবাদদাতার পরিচয়, কোন শ্রেণীর সংবাদদাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা না স্টাফ রিপোর্টার, না বিশেষ সংবাদদাতা, না কোন সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া সংবাদ। তারপর থাকে ঘটনার স্থান ও সূচনার অংশে ঘটনা খুব সংক্ষেপে জানানো হয়। রাতে খবরটি পরবর্তী অংশে পড়বার জন্য পাঠকের আগ্রহ হয়।
  3. বিবরণ - খবরে তথ্য সূত্র ঘটনার বিবরণ, জনগণের মনে প্রতিক্রিয়া প্রভৃতি এই অংশে বিস্তৃত আকারে লেখা হয়।
  4. উপসংহার - এই অংশের ঘটনার প্রভাবজনিত সামাজিক ও মানবিক তাৎপর্যের উপর আলোকপাত করা হয়।

4.4.1. শিরোনাম -

কোন বইয়ের, অন্যকোন প্রকাশিত পাঠ বা  শিল্পের কাজ একটি প্রসঙ্গ চেয়ে বা বিষয়বস্তুর একটি সর্বনিম্ন সংক্ষিপ্ত বিবরণ জানতে এবং পাঠকের কৌতুহল ছড়িয়ে দিতে ব্যবহৃত করা হয়, তাকে শিরোনাম বলে। সাধারণত একটি পাঠের কি শিরোনাম হবে তা নির্বাচন করেন স্বয়ং লেখক। অনেক ক্ষেত্রেই তার লেখনীতে শিরোনামসহ আরো একটি উপশিরোনাম ব্যবহার করেন যা শিরোনামের পরিপূরক।

4.4.2. আদর্শ শিরোনামের বৈশিষ্ট্য - 

১.পরিচয়জ্ঞাপক - নাম এবং পরিভাষা প্রচলিত এবং নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে হতে হবে এবং নিবন্ধটির উপযুক্ত ও সহজবোধ্য প্রতীক হতে হবে।

২. অনুসন্ধান যোগ্য - প্রবন্ধটির জন্য পাঠকের যে রকম শব্দ দিয়ে খুঁজবার সম্ভাবনা খুব বেশি সেরকম শব্দই শিরোনাম হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।

৩.সঠিক - শিরোনাম এমন হতে হবে যাতে তা সুনিশ্চিত ভাবে প্রবন্ধকে নির্দেশ করে।

৪.সংহ্মিপ্ত - সংহ্মিপ্ত শব্দ নির্বাচন করতে হবে,তবে তত সংহ্মিপ্ত  হবে হবে না। যতটুকু হলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

৫. সামঞ্জস্যপূর্ণ - শিরোনাম ও শব্দ এমন ভাবে নির্বাচন করতে হবে যাতে সদৃশ অন্যান্য / প্রবন্ধের সাথে সাযুজ্য বজায় থাকে।

4.4.3. শিরোনামের উদ্দেশ্য - 

১. বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা থাকবে।

২. পাঠকের মনে একটি কৌতূহল সৃষ্টি করবে।

৩. বস্তুর সাদৃশ্য গুরুত্ব প্রদান করবে।

৪. লিখন দক্ষতা অর্জিত হয়।

4.4.4. শিরোনামের গুরুত্ব -
১. শিরোনাম কোন পাঠ্য অংশের মূল তথ্যকে প্রকাশ করে।
২. দ্রুত পঠন এর সময় মূল রচনা অংশে অর্থ অনুধাবন করতে সহায়তা করে শিরোনাম।
৩. একটি শিরোনাম একটি প্রবন্ধকে সুনিশ্চিতভাবে নির্দেশ করে।

৪. একটি পাঠ্যাংশের প্রাসঙ্গিকতা বিচার করে শিরোনাম।

5. তথ্য সংগ্রহ -
5.1. বিদ্যালয় নির্বাচন -

উক্ত প্রকল্পটির জন্য আমি ............................................ বিদ্যালয় টি নির্বাচন করলাম। বিদ্যালয় টি পঞ্চম হইতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠন করানো হয়।উক্ত প্রকল্পটির জন্য আমি প্রধান শিক্ষক মহাশয় / প্রধান শিক্ষিকা -র নিকট অনুমতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর শিক্ষক মহাশয়ের সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে।

5.2. তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি -
উক্ত প্রকল্পটি করার জন্য ............ শ্রেণিকক্ষে......... জন  শিক্ষার্থীকে ...........টি পাঠ্য অংশ সরবরাহ করা হলো। পাঠ্যটি পাঠের যথেষ্ট সময় বরাদ্দ করা হবে এবং সারাংশ নির্মাণ ও শিরোনাম প্রদানের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হবে।
6. নমুনা -১
১.শিক্ষার্থীর নাম -
২.বিদ্যালয়ের নাম -
৩.শ্রেণিকহ্ম -
৪.শিহ্মার্থীর ক্রমিক সংখ্যা -
৫.প্রকল্পের তারিখ -
৬.পঠনের সময় - ২০ মিনিট

অনুচ্ছেদ -

আমার আনন্দের সকলে আনন্দ হউক। আমার শুভে সকলের শুভ হউক, আমি যাহা পাই তারা পাঁচজনের সহিত মিলিত হইয়া উপভোগ করি - এই কল্যাণী ইচ্ছাই উৎসবের প্রাণ অনেক ছোটখাটো বিষয়েও আমি হয়তো কতটুকু আনন্দ পাই - নিজের বাড়ি খানি হইলে সুখী হই,পুষ্কারিনীটি থাকিলে ভালো লাগে, গুরুগুলির কল্যান কামনা করি - গৃহপ্রবেশ, জলাশয় প্রতিষ্ঠা,গোষ্ঠীষ্টমী - এই রূপ এক একটি উৎসব উপলক্ষ্যে পাঁচজন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত, আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশী,পোষ্য পরিজন, দীন দুঃখীকে আহবান করিয়া যথাসাধ্য সৎকারে আমার সুখের ভাগী করিতে চাহি।আমি যে একজন গৃহহীন কে আশ্রয় দিতে পারি, তৃষ্ণার্তের পিপাসা নিবারণ করিতে পারি। অবোলা জীবদের কিছুমাত্র সুখ বিধান করিতে সমর্থ হই। আমার এই সৌভাগ্য যেন সকলের অন্তরে সঞ্চারিত করিয়া দিতে চাহি। সাবিত্রী ব্রত, জামাই ষষ্ঠী, ভ্রাতৃদ্ধিতীয়া উপলক্ষ্যে আপন প্রিয়জন ও স্নেহাস্পদগনকে সৎকার করিয়ে নিজেকে ধন্য মনে হয়, বিধাতা আমাকে যে এত সৌভাগ্য সুখ দিয়েছেন তাহা সকলের সহিত বন্টন করিয়া না লইলে ইহার সফলতা কোথায় ? উৎসব ইহারই উপলক্ষ্য। সেই জন্য আমাদের উৎসবে ভাবের প্রাধান্য বাহিরের সমারোহ তাহার প্রধান অঙ্গ নহে।
 
অনুচ্ছেদের সংখ্যা -
নির্মিত সারাংশ ও শিরোনাম -
সময় - ১৫ মিনিট

সারাংশ - 

নানা উপলক্ষ্যে আমরা যে সব উৎসবের অনুষ্ঠান করি,সেইসব উৎসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাহ্যিক আড়ম্বর প্রকাশিত হলেও তার ভেতর দিয়ে কিন্তু আমাদের হৃদয়ের ও মনের খানিকটা প্রকাশ ঘটে। উৎসব যিনি অনুষ্ঠান করেন তিনি চান তাঁর আনন্দের সঙ্গে উৎসবে আমন্ত্রিত সকলের আনন্দ হোক। আত্মকেন্দ্রিক সুখকে উৎসব অনুষ্ঠানে ঘৃণা করে। উৎসব চায় সকলে সমান ভাবে করুক। আসলে উৎসবের দেখানো পথে ভাবে প্রাধান্য, হৃদয় যোগ্যই মূল কথা, বাইরের সমারোহ কখনই মূল লক্ষ্য নয়।
 
শিরোনাম - " উৎসব, লহ্ম্য ও উপলহ্ম্য "

7. শিক্ষক / শিহ্মিকার ভূমিকা -
  1. প্রত্যেকটি শিক্ষককে প্রত্যেক শ্রেণী শিক্ষণ পাঠের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
  2. পাঠ এবং পাঠ সহায়ক বিষয় গুলিকে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করবেন।
  3. কোন শিক্ষার্থী যদি পঠনের সময় উপযুক্তভবে  বা সঠিকভাবে উচ্চারণ শৈলী যদি না করতে পারে, তবে তাকে উচ্চারণে সহায়তা করবে।
  4. পাঠক্রমে পঠনের উন্নয়নের জন্য শিক্ষক মহাশয়  বা শিহ্মিকা মহাশয়া শিক্ষার্থীর পঠন গতির উপর অবশ্যই নজর দেবেন এবং বাক্য ও সাহিত্য বিষয়ে পাঠের সময় শিক্ষার্থীরা  কত কম সময়ে কত দ্রুত কোন একটি বিষয়ে পাঠ করছে,তার বিষয়বস্তু যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারছে কিনা তার দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
  5. শিক্ষক মহাশয় পঠনের উন্নয়নের জন্য কথনের উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজনীয় এবং আঞ্চলিকতা দোষ ত্রুটি শিক্ষার্থী জন্য সঠিক উচ্চারণ শেখাবেন শিক্ষক বা শিক্ষিকা।
8. শিক্ষার্থীর ভূমিকা -
  1. শিক্ষার্থীরা পঠন বিষয় একাগ্রতা এবং মনোযোগী থাকবেন।
  2. শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ ও গঠনশৈলী সঠিক হতে হবে।
  3. কম সময়ে পাঠ্য বিষয় পড়তে হবে।
  4. পঠনের সময় ছেদ ও যতি চিহ্ন সঠিকভাবে ব্যবহা করতে হবে। 
  5. আঞ্চলিকতা ভাষা উচ্চারণ শৈলীকে বর্জন করতে হবে।
9. সিদ্ধান্ত - 

উপরোক্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা দেখি,শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীদের একটি পাঠ্যাংশ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় মধ্যে শিক্ষার্থীরা পাঠ্য অংশটি পড়ে তার অর্থ বুঝে বুঝবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা বিষয়টির সারাংশ বা সংক্ষিপ্ত অংশ নির্মাণ করবে এবং উপযুক্ত শিরোনাম দিয়ে সংক্ষিপ্ত অংশটিকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও মনোযোগ পাঠ্য বিষয় সংক্ষিপ্তকরণের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক মহাশয় তাদের উৎসাহ ভাষাগত দক্ষতা, শব্দভাণ্ডার, বৌদ্ধিক বিকাশ এবং একাগ্রতা বিকাশ সাধন করবে করেছে।

10. উপসংহার -

পরিশেষে বলতে পারা যায়, শিক্ষার্থী ভাষাগত জ্ঞান, শব্দভাণ্ডার তথা ভাষা বিকাশে এটি একটি অন্যতম প্রচেষ্টা।একজন শিক্ষার্থী একটি পঠন অংশ পাঠ করে, তার অর্থ অনুধাবন করা এবং সংক্ষিপ্ত করে তার শিরোনাম দেওয়া শিক্ষার্থীর শব্দভাণ্ডার তথা ভাষা বিকাশের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক। যেসব ছাত্র - ছাত্রীরা এই কর্মে দহ্ম তাদের ভাষাগত দক্ষতা রয়েছে। তাই বলা যেতে পারে ভাষার বিকাশ ও শব্দ ভান্ডারের উন্নতির জন্য সারসংক্ষেপ ও শিরোনাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিরোনাম আকর্ষণীয় হলে তবে সারাংশ টি পড়ার আগ্রহ জন্মায়।উক্ত প্রকল্পটিতে দ্ধারা শ্রেণিকক্ষে যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা অনুচ্ছেদের সারাংশ ও শিরোনাম নির্মাণ করেছে তাদের ভাষাগত দক্ষতা বা শব্দ ভান্ডারে দক্ষতা রয়েছে। একজন সুবক্তা হয়ে উঠবে আগামীদিনের লেখক, তার লিখনি বিকাশ তার ভাষাগত বিকাশের অন্যতম রূপ।এই প্রকল্প থেকে বোঝা যায় যে, যে শিক্ষার্থী ভাষার তথা শব্দভাণ্ডার বিকাশ,বৌদ্ধিক বিকাশ লাভ করে থাকে।


CLICK HERE -
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post