Study the Impact of Right to Education Act on School

Study the Impact of Right to Education Act on School

Study the Impact of Right to Education Act on School||বিদ্যালয়ের শিহ্মা অধিকার আইনের প্রভাব||BENGALI VERSION||




Study the Impact of right to education act on schools
RIGHT TO EDUCATION ACT

BENGALI VERSION

বিদ্যালয়ের শিক্ষা অধিকার আইনের প্রভাব

1. ভূমিকা -

শিক্ষার মৌলিক ভিত্তি হল প্রারম্ভিক শিক্ষা। বর্তমানে ভারতের জাতীয় লক্ষ্য হল সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষা। এই শিক্ষার আন্দোলনের ইতিহাসে শিক্ষার অধিকার আইনের প্রবর্তন একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। শিক্ষার অধিকার বর্ণিত রয়েছে প্রত্যেক শিশুর ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর জন্মগত আদালতের বিচার যোগ্য মৌলিক অধিকার। 1st April,2010 থেকে শিক্ষার অধিকার চালু হয়। 1st August,2012 থেকে কার্যকরী হতে থাকে। এই সংশোধন অনুযায়ী " Children With Disability "এই আইনের আওতাভুক্ত হয়। অর্থাৎ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ( ৬ - ১৪ ) শিক্ষার বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। শিক্ষার অধিকার আইন প্রয়োগের সময় সংবিধানের 29 নং ও 30 নং ধারায় উল্লিখিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থের কথা বিবেচনা করার কথা বলা হয়। এছাড়া মাদ্রাসা,বৈদিক পাঠশালা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষা সংস্থান গুলিকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখার কথা ঘোষিত হয়। বর্তমানে সারা দেশে শিক্ষার অধিকার আইন প্রযুক্ত হয়েছে। এই সমীক্ষায় বিদ্যালয় শিক্ষার অধিকার আইন প্রভাবের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।এই সমীক্ষায় লক্ষ্য হল বিদ্যালয়ের শিক্ষার অধিকার আইনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা।

2. ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট -

শিক্ষার অধিকার আইন বিবর্তনের ইতিহাস -

• 1870 সালে - গ্রেট ব্রিটেনের বাধ্যতামূলক শিক্ষার আইন গৃহীত হয়।

• 1882 সালে - ভারতের নেতৃবৃন্দ গণশিক্ষা ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার সপক্ষে দাবি তোলেন।

• 1893 সালে - বরোদার মহারাজ বালকদের জন্য বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রবর্তন করেন।

• 1910 সালে - মহামতি গোপালকৃষ্ণ গোখলে Primary Education Bill-র প্রস্তাব দেন কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়়। 

• 1917 সালে - বল্লভভাই প্যাটেলের বিলটি পাস করাতে সক্ষম হন।ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে এটিই সর্বপ্রথম বাধ্যতামূলক শিক্ষানীতি বা প্যাটেল আইন হিসেবে চিহ্নিত।

• 1937 সালে - মহাত্মা গান্ধী সর্বজনীন শিক্ষার দাবী তোলেন।তিনি নঈ তালিম নামে নামে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা বলেন।

•  1947 সালে - সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সাব-কমিটি বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। আবার এই বছরই সংবিধানের উপদেষ্টা কমিটি বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকারকে বাতিল করেছেন।

• 1950 সালে - ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশাত্মক নীতির 45 নং ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধান চালু হওয়ার দশ বছরের মধ্যে 14 বছর বয়সী সকল শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র।

• 1968 সালে - তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী M. B. Chagla সংবিধানের 45 নং ধারায় যে সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণ এবং কিভাবে সেগুলিকে বাস্তবায়িত করা যাবে, সেই ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করেন।

• 1986 সালে - জাতীয় শিক্ষা নীতিতে বলা হয়েছে, একবিংশ শতাব্দীতে প্রবেশের পূর্বে সকল শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে।

• 1992 সালে - সর্বজনীন অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

• 1998 সালে - সুপ্রিম কোর্ট রায় দান করে যে, ভারতের সকল নাগরিকের শিক্ষার অধিকার আছে। দেশের প্রতিটি শিশু বা নাগরিকের 14 বছর বয়স পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা লাভের অধিকার আছে।ওই বছরই ভারতের সকল রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রীদের নিয়ে এক সম্মেলনে সর্বজনীন প্রারম্ভিক শিক্ষাকে মিশন হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

• December,2002 সালে - 86 তম সংবিধান সংশোধন আইন, অনুচ্ছেদ 21A(Part-3) এর মাধ্যমে 6 থেকে 14 বছরের শিশুদের আবশ্যিকভাবে এবং বিনা মূল্যে শিক্ষার মৌলিক অধিকার ঘোষণা করেন।

• October,2003 - উপরোক্ত অনুচ্ছেদের বক্তব্য একটি প্রথম খসড়া আইন অর্থাৎ শিশুদের বিনামূল্যে এবং আবশ্যিকভাবে শিক্ষার মৌলিক অধিকার বিল,2002 তৈরি করা এবং ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। October, 2003 -এ এবং ওই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয় সামগ্রিকভাবে জনগণের বক্তব্য ও মতামত আমন্ত্রণ করে। 

• 2004 - পরবর্তীকালে, খসড়াটির উপর প্রাপ্ত মতামত সমূহ বিবেচনা করে, বিনামূল্যে আবশ্যিক শিক্ষা বিল, 2004 নামে একটি পরিবর্তিত খসড়া প্রস্তুত করা হয় এবং http://www.education.nic.in ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়।

• June,2005 - শিক্ষা বিষয়ে কেন্দ্রীয় উপদেষ্ঠা পর্ষদ ' শিক্ষা অধিকার ' বিলটি করে জনশক্তি বিকাশ মন্ত্রকে জমা দেয়।NHRD সেটিকে NAC, যার সভাপতি শ্রীমতী সোনিয়া গান্ধী তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেয়।NAC বিলটিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেয়।

• 14th July,2006 - অর্থ বিষয়ক সমিতি ও পরিকল্পনা পর্ষদ বিলটিকে বাতিল করে দেয় অর্থের অভাবে বলে এবং সব রাজ্যের বিলের প্রতিরূপ পাঠিয়ে দেয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

• 19th July,2006 - সিএসএস, এসএএফই, এনএএফআরই, সিএবিই একটি পরিকল্পনা সভায় আইএলপি এবং অন্যান্য সংস্থাকে আহবান করে লোকসভায় আলোচনার ফলাফল পর্যবেক্ষণ করার জন্য।সংশ্লিষ্টদের বোঝানোর প্রচেষ্টা করেন এবং জেলা ও গ্রাম স্তরের কি করনীয় তার দিক নির্দেশের চেষ্টা করেন।

          শিশুদের বিনামূল্যে আবশ্যিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার আইন 2009 সালে পাশ করা ভারতবর্ষের শিশুদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। 2009 সালে 26th August এই আইনে পরিণত হয় এবং 2010 সালে 1st April থেকে এটি কার্যকরী করা হয়।

3. ভারতীয় সংবিধান ও শিক্ষার অধিকার আইন -

3.1. ভূমিকা -

2009 সালের আগস্টে Right to Free and Compulsory Education Act (RTE) ভারতবর্ষের সংসদে পেশ করা হয়। পরবর্তীকালে 16th February,2010 বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় এবং 1st April,2010 সালে থেকে এই আইন আইন হিসাবে সারা ভারত বলবৎ করা হয়।ভারতে শিক্ষার ইতিহাসে এই ধরনের আইন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।এই আইনের ভালো-মন্দ বিচার বিবেচনা দায়িত্বভাবে অর্পণ করা হয় The National Commission For Protection Of Child Rights বা NCPCR -র উপর।

3.2. শিহ্মার অধিকার ও শিহ্মার অধিকার আইনের মূল নীতি -

শিহ্মার অধিকার এবং শিক্ষার অধিকার আইন বা Right to Education Act সম্পর্কিত মূল বক্তব্য হল -

১. ৬ থেকে ১৪ বছরের প্রতিটি শিশু বিনামূল্যে এবং আবশ্যিকভাবে শিক্ষার প্রাপ্তির অধিকার আছে। সংবিধানে ৮৬ তম সংশোধনের ২১ এ অনুচ্ছেদে এটা বলা আছে শিহ্মার অধিকার বিল এই সংশোধনকে কার্যকরী করার প্রচেষ্টা।

২. সরকারি বিদ্যালয় সব শিশুকে বিনামূল্যে শিহ্মা দেবে এবং বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতি দ্বারা সেগুলি পরিচালিত হবে। বেসরকারি বিদ্যালয়ে ২৫% শিক্ষার্থী বিনামূল্যের ভরতি করা হবে।

৩. জাতীয় মৌলিক শিক্ষা আয়োগ গঠিত হবে গুনগত মান সহ শিহ্মার সমস্ত দিক দেখাশোনার জন্য।

৪. কোন শিশুর ও ক্ষমতা সম্পন্ন হয় সে ক্ষেত্রে 1996 খ্রিস্টাব্দে ( Equal Opportunity, Protection and Full Participation ) অনুযায়ী বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক প্রারম্ভিক শিক্ষা চালিয়ে যেতে বা শেষ করার অধিকার আছে।

৫. এই আইনটি কার্যকরী করতে যাবতীয় খরচ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার মিলিতভাবে প্রদান করবে।

       এই আইনটি কার্যকরী করতে কেন্দ্র সরকার National Council of Educational Research and Training ( NCERT ) কে elementary education এর জন্য Curriculum তৈরি ও মূল্যায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত করতে এই আইনটি কে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা যায়। এই আইনটিতে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর শিক্ষা ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। যেমন-  childlabourers, migrant children, children with special needs যা যারা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, ভৌগলিক, ভাষাগত ও লৈঙ্গিক বিভেদের কারণে পিছিয়ে পড়েছে। এমনকি Private School গুলিকেও 25% ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আইনের প্রণয়নের মাধ্যমে আশা করা হয়েছে যে বিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা যেমন-  drop-out, out-of-school children, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।

3.3. শিহ্মার অধিকার আইনের বৈশিষ্ট্য -

১. অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা :- 

এই আইন অনুযায়ী ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সকল শিশুর বিদ্যালয়ে নাম নথিভুক্ত করন, উপস্থিতি এবং শিক্ষা সমাপ্তি করনের আর্থিক বাধা যেন কোনো কারণ না হয়। তার জন্য শিশু বাসস্থান থেকে ১ কিমি দূরত্বের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৩ কিমি দূরত্বের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকতে হবে।

২. বাধ্যতামূলক শিক্ষা :- 

এই আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক শব্দটি সরকারের জন্য প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকারের কাজগুলি হবে -

  • সকল শিশুকে বিদ্যালয়ে নাম নথিভুক্ত করনের সুযোগ করে দিতে হবে।
  • বিদ্যালয় ছুট বা Drop-Out হওয়ায় সমস্ত শিশুকে চিহ্নিত করতে হবে।
  • সকল শিশু বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছে কি না তা সুনিশ্চিত করা হবে।
  • সকল শিশুর প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করল কি না তা পর্যবেক্ষণ করা।
  • অভিভাবকদের উদ্ধৃত করা যাতে তারা তাদের সন্তানকে বিদ্যালয় পাঠ করার ব্যাপারে উৎসাহ বোধ করেন।
৩. বয়স অনুযায়ী শ্রেণি নির্বাচনী :- 

এই আইনে শিশুদের বয়স অনুযায়ী শ্রেণি নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। যেমন ১০ বছর বয়সী কোনো শিশুকে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করতে হবে।

৪. শিক্ষক :-

  • প্রত্যেক শিক্ষক কে যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ন্যূনতম শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
  • শিক্ষক-শিখন প্রতিষ্ঠান গুলিতে শিক্ষকদের নূন্যতম যোগ্যতা থাকতে হবে।
  • পাশ্ব শিক্ষকের ধারণা বাতিল করতে হবে।
  • পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তক : দেশের সকল বিদ্যালয়ে পাঠক্রম,পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক তৈরীর সময় শিক্ষার্থীদের মানসিক বয়স ও শিখন স্তরের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
৬. বিদ্যালয় :-

  • প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কর্মদিবস হবে যথাক্রমে ২০০ দিন ও ২২০ দিন।
  • প্রাথমিক বিদ্যালয় যথাক্রমে ৪ ও ৫ ঘণ্টা পঠন-পাঠন ব্যবস্থা থাকবে।
  • বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩০ হলে ভালো।
  • প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ, লাইব্রেরী, রান্নাঘর, সীমানা নির্ধারণকারী দেয়াল থাকবে।
  • পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক শৌচাগার ও পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা থাকবে।
৭. মূল্যায়ন ব্যবস্থা :-

  • মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সারাবছর ধরে চলবে।
  • পাশ - ফেল প্রথা থাকবে না।
  • প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক Pupil Cumulative Record তৈরি ও সংরক্ষণের উদ্যোগী হবে।
  • বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থী সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করতে কী না তার প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে।
৮. বেসরকারি বিদ্যালয় জন্য পদক্ষেপ :- 

  • পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে তার জন্য 25 শতাংশ আসন সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
  • পূর্বোক্ত কাজের জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ভর্তুকি পাবে।
৯. প্রয়োগকারী ও তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা :-
  • RTEA ঠিকমতো রূপায়িত হচ্ছে কিনা তা কেন্দ্রীয়ভাবে তদারিক করবে NCPCR বা National Commission For Protection Of Child Rights এবং SCPCR বা State Commission For Protection Of Child Rights
  • NCPCR / SCPCR Civil Court র ন্যায় কাজ করবে অর্থাৎ এদের হাতে আইনি হ্মমতা ও থাকবে।
  • RTEA প্রয়োগ করার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে শিক্ষা দপ্তরের উপর।শিহ্মা দপ্তর আবার PRI ( Panchayat Raj Institution )-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করবে।

3.4. শিহ্মা অধিকার আইনের উদ্দেশ্যাবলী -

শিহ্মা অধিকার আইনের উদ্দেশ্য গুলি হল -

১. সকল শিশুর শিক্ষার অধিকার - 

এই আইনের দ্বারা ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সে প্রত্যেকটি শিশুর জাত-ধর্ম-লিঙ্গ ভেদে শিক্ষার অধিকার রয়েছে, যা ভারতীয় সংবিধানের একটি অন্যতম মৌলিক দিক।

২. অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা -

এই আইনের দ্বারা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মিলিতভাবে অর্থপ্রদান দ্বারা প্রত্যেকটি শিশু অবৈতনিক ভাবে অর্থাৎ বিনা খরচে শিক্ষা লাভ করতে পারে।

৩. বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা - 

প্রতিটি শিশু অর্থাৎ ৬ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের বাধ্যতামূলকভাবে এই শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়।

৪. নিরক্ষরতা দূরীকরণ - 

বাধ্যতামূলকভাবে ৬ থেকে ১৪ বছর শিশুদের পঠন-পাঠন করানোর ফলে দেশের নিরক্ষরতা দূরীকরণ করা সম্ভব।

৫. সু-শৃঙ্খলা বোধ - 

এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রত্যেকটি শিশু বিদ্যালয় পঠন-পাঠনের সঙ্গে সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণ করে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক এই সমস্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের দ্বারা প্রত্যেকটি শিশুর মধ্যে সু-শৃঙ্খলা বোধের সৃষ্টি হয়।

৬. দারিদ্রতা দূর করে শিক্ষাদান -

যে সমস্ত শিশুরা অর্থের অভাবে পড়তে পারে না বা  দারিদ্রতা জন্য পড়তে পারে না, এই শিক্ষানীতির দ্বারা তারা সকলেই পঠন-পাঠনের সুযোগ পেয়েছে।

৭. শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ -

এই আইনের দ্বারা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন সাহায্যে করে।

৮. মাতৃভাষায় গুরুত্ব দান - 

এই আইনের দ্বারা প্রতিটি শিশু নিজের মাতৃভাষার মাধ্যমে শিহ্মা লাভ করতে পারবে।

3.5. শিহ্মার উপাদান -

শিক্ষার প্রধান চারটি উপাদান হলো -

১. শিক্ষার্থী।

২. শিক্ষক।

৩. পাঠক্রম।

৪. বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ভারতীয় সংবিধানে যেমন কেন্দ্রীয় সরকার,রাজ্য সরকার,স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং পিতা-মাতার বা অভিভাবকের দায়িত্ব উল্লেখিত আছে।ঠিক তেমনই বিদ্যালয় এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার দায়িত্ব কে সমানভাবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

3.5.1. বিদ্যালয় -

ভারতীয় সংবিধানের যে সমস্ত ধারা গুলি বিদ্যালয় দায়িত্ব সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলি হল -

১. সংবিধানের 12 নং ধারা -

বিদ্যালয় ভর্তি হয়েছে এমন সকল শিক্ষার্থীদের প্রারম্ভিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করতে হবে।এছাড়া শ্রেণিকক্ষে 25% শিক্ষার্থী সমাজের দুর্বল বা অসুবিধা গ্রস্ত অংশ থেকে ভর্তি করতে হবে এবং এই সমস্ত শিশুদের অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রারম্ভিক শিক্ষা ব্যবস্থা করবে।

২. সংবিধানের 13 নং ধারা - 

কোন ব্যক্তির বা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য কোনো প্রকার ক্যাপিটেশন ফ্রী চাইতে পারবে না এবং ওই শিশুর বা তার পিতা-মাতা বিদ্যালয়ে কোন প্রকার বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আনতে পারবে না।

      কোন বিদ্যালয় বা ব্যক্তি যদি এই ফি আদায় করে তাহলে তা শাস্তিযোগ্য এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় বা ব্যক্তিকে ক্যাপিটেশন ফি-র দশগুণ আর্থিক জরিমানা দিতে বাধ্য করা হবে।

৩. সংবিধানের 14 নম্বর ধারা -

প্রারম্ভিক শিক্ষা লাভের জন্য বিদ্যালয়ের ভর্তি হতে গেলে শিশুর বয়স নির্ধারণের জন্য জন্ম শংসাপত্র অথবা অন্য কোনো স্বীকৃত নথিতে যে জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধ আছে তা বিবেচনা করা হবে। কোনো শিশুর কাছে যদি পূর্বোক্ত নথি না থাকলে তাহলে ভর্তি আটকানো যাবে না।

৪. সংবিধানের 16 নং ধারা - 

প্রারম্ভিক শিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন বিদ্যালয় কোন শিশুকে ফেল করাতে বা বিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করতে পারবে না।

৫. সংবিধানের 17 নং ধারা - 

বিদ্যালয় কোনো শিশুকে শারীরিক শাস্তি বা মানসিক ভাবে বিব্রত করতে পারবে না। এর বিপরীত কাজ করলে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল অনুযায়ী শৃঙ্খলা ভঙ্গি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

৬. সংবিধানে 18 নং ধারা - 

আইন লাগু হবার পর সংশ্লিষ্ট সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বা নিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো বিদ্যালয় ওই রকম কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ দরখাস্ত করে স্বীকৃতি লাভ না করে কোনো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত বা চালু করতে পারবে না।

৭. সংবিধানের 19 নং ধারা - 

সংবিধানের 18 নং ধারা অনুযায়ী কোন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বা স্বীকৃতি লাভ করবে না যদি না তফসিল অনুযায়ী নির্দিষ্ট নীতি ও মান বজায় থাকে।

৮. সংবিধানের ২০ নং ধারায় - 

কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই তফসিল বদল করতে, নীতি ও মান যোগ করতে বা বাদ দিতে পারেন।

3.5.2. শিক্ষক -

১. সংবিধানের 23 নং ধারা -

শিক্ষক নিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় অনুমোদিত সংস্থা যেসব নূন্যতম যোগ্যতা কথা বলেছে, কোনো ব্যক্তি সেইসব যোগ্যতা থাকলে তিনি শিক্ষক হিসেবে নিযুক্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

২. সংবিধানের 24 নং ধারা - 

সংবিধানের 23 নং ধারা অনুযায়ী নিয়োজিত একজন শিক্ষককে নিম্নলিখিত দায়িত্ব থাকবে।-

  • বিদ্যালয় নিয়মিত ও সময় মতো উপস্থিত হওয়া।
  • 29 নং ধারা অনুযায়ী পাঠক্রম পরিচালনা ও সমাপ্ত করা। 
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঠক্রম শেষ করা।
  • প্রতিটি শিশুর শিখন ক্ষমতা মূল্যায়ন করা এবং প্রয়োজনে মতো তাদের সাহায্য করা।
  • পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত সভা করা এবং শিশুদের নিয়মিত উপস্থিতি,তাদের শেখার ক্ষমতা শেখার অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয় অভিভাবকদের অবহিত করা।
  • প্রস্তাবিত অন্যান্য কাজগুলি সম্পন্ন করা।

৩. সংবিধানের 25 নং ধারা - 

প্রতিটি বিদ্যালয়ে তফসিলে বর্ণিত ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত যেন বজায় থাকে।

৪. সংবিধানের 26 নং ধারা - 

রাজ্য সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা স্থাপিত বা নিয়ন্ত্রিত বা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আর্থিক সাহায্যে দ্বারা পরিচালিত এমন কোন বিদ্যালয়ে নিয়োগ দানের কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক সংখ্যার ১০% এর অধিক শূন্যপদ রাখবেন না।

৫. সংবিধানের 27 নং ধারা -

কোনো শিক্ষককে ১০ বছর অন্তত জনগণনার কাজ, বিপর্যয় মোকাবিলার দায়িত্ব, সংসদ, বিধানসভা অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব ছাড়া অন্যান্য শিক্ষা বহির্ভূত কাজে নিয়োগ করা যাবে না।

৬. সংবিধানের 28 নং ধারা - 

কোনো শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনি বা প্রাইভেট টিচিং কাজে নিজেকে যুক্ত করবেন না।

3.5.3. পাঠক্রম এবং প্রারম্ভিক শিক্ষা সমাপ্তি করন - 

সংবিধানের 29 নং ধারায় বলা হয়েছে - রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রারম্ভিক শিক্ষার পাঠক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি স্থির করতে হবে।

      শিহ্মা বিভাগের কর্তৃপক্ষ পাঠক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেসব দিক বিবেচনা করবেন, সেগুলি হল -

  1. শিক্ষার্থীরা সংবিধানের বর্নিত মূল্যবোধ গুলি অনুসরণ করবে।
  2. শিশুর সার্বিক বিকাশ সাধনে সাহায্যে করা।
  3. শিশুর জ্ঞান,সম্ভাবনা এবং প্রতিভাব বিকাশে সাহায্যে করা।
  4. শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্যে করা।
  5. শিহ্মার মাধ্যমে হবে মাতৃভাষা।
  6. শিশুর মধ্যে অমূলক ভয়,আতঙ্ক দুর হতে সাহায্যে করা।
  7. শিশুর জ্ঞান,বোধ প্রয়োগ হ্মমতা পরিমাপ করার জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং সামগ্ৰিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা।
3.5.4.1. বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতি -

সংবিধানের 21 নং ধারা প্রতিটি বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতি গঠনের কথা উল্লেখ রয়েছে। সমিতিতে থাকবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি। বিদ্যালয়ে শিশুদের পিতা-মাতা বা অভিভাবক দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি বা শিক্ষকবৃন্দ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি।আরও উল্লেখ করা যায় যে প্রতিনিধিদের মধ্যে কমপক্ষে ৩/৪ অংশ হবে পিতা-মাতা বা অভিভাবকবৃন্দ।প্রতিনিধিদের 50% হবে মহিলা। প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুমোদিত বিদ্যালয়গুলিতে একটি Governing Body তৈরি করা হয়। যেখানে ১ জন মনোনীত সভাপতি থাকবেন,১ জন সম্পাদক বা সেক্রেটারি থাকবেন,১ জন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক থাকবেন।বিদ্যালয়ের প্রতিটি বিষয়ের বিভাগ থেকে ১ জন করে Teacher Representative থেকে ( Language Group - ১ জন, Science Group - ১ জন, Social Science Group - ১ জন, Work / Physical Group - ১ জন প্রতিনিধি) থাকবেন। এছাড়া ৩ জন অভিভাবক প্রতিনিধি থাকবেন।

3.5.4.2. বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতির কার্যাবলী -

১. সংবিধানের 22 নং ধারা - 

বিদ্যালয়ের পরিচালনা সমিতি নিম্নলিখিত কাজগুলি করেন 

  • বিদ্যালয়ের কাজ তদারিক করবে বা দেখভাল করবে।
  • বিদ্যালয় উন্নতিকল্পে পরিচালনার প্রস্তুতি করা এবং সুপারিশ করবে।
  • রাজ্য সরকার ( Appropriate Government ) বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত অনুদান ব্যয়ের ওপর তদারকি করবে।
  • অন্যান্য প্রস্তাবিত কাজগুলিকে তদারকি করবে।

২. সংবিধানের 23 নং ধারা - 

শিক্ষক নিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত সংস্থা যে সব নূন্যতম যোগ্যতা কথা বলেছে, কোনো ব্যক্তির সেই সমস্ত যোগ্যতা থাকলে তিনি শিক্ষক হিসাবে নিযুক্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

৩. সংবিধানের 24 নং ধারা -

সংবিধানের 23 নং ধারা অনুযায়ী নিয়োজিত একজন শিক্ষকের নিম্নলিখিত দায়িত্ব থাকবে। - 

  • নিয়মিত ও সময় মতো উপস্থিত।
  • সংবিধানের 29 নং ধারা অনুযায়ী পাঠক্রম পরিচালনা ও সমাপ্ত করা।
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঠক্রম শেষ করা।
  • প্রতিটি শিশুর শিখন ক্ষমতা মূল্যায়ন করা এবং প্রয়োজন মতো তাদের সাহায্য করা।
  • পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত সভা করা এবং শিশুদের নিয়মিত উপস্থিতি,তাদের শেখার ক্ষমতা,শেখার অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয়ে অভিভাবকদের অভিহিত করা।
  • প্রস্তাবিত অন্যান্য কাজগুলি সম্পন্ন করা।

উপরের উপধারা অনুযায়ী কোনো শিক্ষক যদি দায়িত্ব পালন না করেন সেক্ষেত্রে সার্ভিস নিয়ম অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা যেতে পারে,তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্বে শিক্ষকের নিকট থেকে তার বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ হবে। শিক্ষকের অভিযোগ থাকলে তা যথাযথভাবে শুনতে হবে।

৪. সংবিধানের 25 নং ধারা -

প্রতিটি বিদ্যালয়ের তফসিলে বর্ণিত ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত যেন বজায় থাকে।

৫. সংবিধানের 26 নং ধারা - 

রাজ্য সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা স্থাপিত বা নিয়ন্ত্রিত বা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আর্থিক সাহায্য দ্বারা পরিচালিত এমন কোনো বিদ্যালয়ে নিয়োগ দানের কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের অনুমোদিত শিক্ষক সংখ্যার 10% অধিক শূন্যপদ রাখবেন না।

৬. সংবিধানের 27 নং ধারা -

কোন শিক্ষককে 10 বছর অন্তত জনগণনার কাজ, বিপর্যয় মোকাবিলা দায়িত্ব,সংসদ, বিধানসভা অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব ছাড়া অন্যান্য শিক্ষা বহির্ভূত কাজে নিয়োগ করা যাবে না।

৭. সংবিধানের 28 নং ধারা - 

কোনো শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনি বা প্রাইভেট টিচিং কাজে নিযুক্ত করবেন না।

NCTE -র মতে, " Code Of Professional Ethics For Teacher " হল - " Like All Other Profession The Teaching Profession Should Also Have It's Code For Professional Ethics Which Is The Pre-Request Side To Ensure It Density And Integrally It Is Also Significant That The Right Of Children To Free And Compulsory Act,2009 Entails On Teachers Some One Rous Professional Responsibility To Be Internals By Them In The Performance Of Their Duties According,It Is They Considered Necessary That Is The Code Of Professional Ethics Be Erolved And Adorable By The Teaching Community.

3.6. শিহ্মার অধিকার আইনের দিক - 

3.6.1. শিহ্মার অধিকার আইনের ইতিবাচক দিক -

১. ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সে প্রতিটি শিশুরা বিনামূল্যে বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছে। শিক্ষা গ্রহণে দারিদ্রতা প্রভাবকে কমানো সম্ভব হয়েছে।

২. এই আইনের ফলে সমাজে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী, শিশু শ্রমিক, drop out, out of school children বা পুনরায় পাঠ গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে।

৩. বিদ্যালয়গুলিতে শারীরিক ও মানসিক শাস্তির নিষেধ করার ফলে শিশুদের মধ্যে ভয়,আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তা কমানো সম্ভব হয়েছে।

৪. প্রশিক্ষণ হীন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।

৫. অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ ফেল প্রথা তুলে দিয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। Drop-out -এর সংখ্যা কমেছে,ফলে সরকারী অর্থের অপব্যয় কমানো গিয়েছে।

3.6.2. শিহ্মার অধিকার আইনের নেতিবাচক দিক -

১. উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সংখ্যক NCTE নির্ধারিত যোগ্য শিক্ষকের নেই।

২. শিক্ষক-শিহ্মিকারা এখনো private tuition পড়ানো বন্ধ করে নি।

৩.শিহ্মার্থী - শিহ্মকের অনুপাত ( ৩০ : ১ ) মানা হয় না।

৪. গোপনে এখনো অনেক বিদ্যালয়ে Capitation fee নেওয়া বন্ধ করে নি।

৫. কেন্দ্র সরকার, সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে কি ধরনের শাস্তি গ্রহণ করা হবে সেই সম্পর্কের কোন বিধি উল্লেখ করা নেই। তবে আইনের বিবিধ অধ্যায়ে এখন কতগুলি শর্ত উল্লেখ করা আছে যাতে মনে হয় শাস্তিকে এড়ানোর সুযোগ করা আছে।

৬. আমাদের দেশে একটি বড় সংখ্যক জনগণ দরিদ্রতা সীমার নিচে বসবাস করে। বিদ্যালয় ভর্তি করার পর দরিদ্র পিতা-মাতা যখন দেখে যে তার সন্তান যদি কৃষি বা অন্যকোন কাজে সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে করে তবে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের দরিদ্রতা জ্বালা কিছুটা হলেও কমবে, তখন তারা পিছিয়ে যায়। শিশু শ্রম আইন ও এক্ষেত্রে অসহায়।

৭. এই আইনে শিক্ষার গুণগত মান সম্পর্কে বিশেষ কিছু উল্লেখ করা হয়নি। পাশ ফেল প্রথা তুলে দেয়া হয়েছে অথচ এর পরিবর্তে যা সুপারিশ করা আছে তা যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।

৮. শিক্ষকগণ বা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি তাঁদের দায়িত্ব পালনে সচেতন না হয় তবে সাধারণভাবে কোনরূপ শাস্তির ব্যবস্থা নেই। তবে যদি কোনো শিক্ষার্থী বা তার পিতামাতার কোন অভিযোগ জানায় তাহলে শাস্তির বিধান আছে। প্রশ্ন হল এই ধরনের অভিযোগ কজন ছাত্র-ছাত্রীর পিতা-মাতা জানাতে সাহস পেয়ে বিশেষ করে সেইসব পরিবারের শিক্ষার্থীরা যাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষার অন্ধকারে সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

৯. বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর শাস্তি প্রদান এখনো বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।

4. তথ্য সংগ্রহ - 

4.1. বিদ্যালয় নির্বাচন - 

উক্ত প্রকল্প ট করার জন্য আমি ..................................... বিদ্যালয়টিকে নির্বাচন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন করানো হয়। ওই বিদ্যালয় থেকে 25 জন ছাত্র এবং 25 জন ছাত্রী মোট 50 জন শিক্ষার্থীর উপর সমীক্ষাটি করা হয়েছে। সমীক্ষার করার আগে প্রধান শিক্ষক / প্রধান শিক্ষিকার নিকট অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

4.2 পদ্ধতি - 

প্রকল্পটি করার জন্য শিক্ষার্থীর কাছে মূলত একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল। সেটি হল Questionnaire Method। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর বেশ কিছু Open Questions দ্বারা শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

Sample - 1

শিক্ষার্থীর নাম -

বিদ্যালয়ের নাম -

শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ -

শিক্ষার্থীর ক্রমিক সংখ্যা -

শিক্ষার্থীর বয়স -

সমীক্ষায় তারিখ -

১. বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

২. শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ক্যাপিটেশন ফ্রী নেওয়া হয় ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

৩. বিদ্যালয় নিয়মিত অভিভাবকদের সভা হয় ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

৪. শিক্ষার্থীদের মানসিক শাস্তি দেওয়া হয় ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

৫. বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৈহিক শাস্তি দেওয়া হয় ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

৬. বিদ্যালয় নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক/শিহ্মিকা সমস্ত পাঠক্রম সমাপ্ত করেন ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

৭. প্রাথমিক শিক্ষা শেষ হবার আগে কি বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

৮.শিক্ষার্থীরা কি বিদ্যালয় ভর্তি হতে চায় না ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

৯. বিদ্যালয় শিক্ষক বা শিক্ষিকা কি প্রাইভেট টিউশন দেন ? 

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

১০. শিক্ষক এবং শিক্ষিকা কী নির্দিষ্ট সময় বিদ্যালয় আসেন ? 

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

১১.বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ কি সর্বদা অপরিষ্কার থাকে ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

১২.বিদ্যালয় শৌচাগার আছে ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

১৩.বিদ্যালয়ের শৌচাগার ব্যবহার যোগ্য ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

১৪.ছাত্র-ছাত্রী বেদে বিদ্যালয় শৌচাগার রয়েছে ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

১৫.বিদ্যালয় বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে কি ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

১৬. বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ৩০ নিয়ম অনুসরণ করা হয় কি ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )।

Master table -

নং    বিষয়                   হ্যাঁ(শতাংশ)         না(শতাংশ)        

১.    ভর্তির জন্য                ০%                     ১০০%

         পরীক্ষা।             

২.    ক্যাপিটেশন ফ্রি           ৫%                     ৯৫%

৩.   অভিভাবক সভা।       ৭০%                    ৩০%

৪.    মানসিক শাস্তি              ০%                 ১০০%

৫.     দৈহিক শাস্তি                ০%                 ১০০%

৬.     নির্দিষ্ট সময়ে             ৯০%                   ১০%

      পাঠক্রম সমাপ্তি  

৭.    বহিষ্কার করন                ০%               ১০০%

৮.   বিদ্যালয়ে ভর্তির            ৬০%                ৪০%

          অনীহা 

৯.    প্রাইভেট টিউশন            ৬০%               ৪০%

১০. শিক্ষক-শিক্ষিকার           ৯৫%                 ৫%

           শৃঙ্খলা 

১১.   পরিষ্কারচ্ছন্নতা               ৯০%              ১০%

১২.   শৌচাগারের উপস্থিতি   ১০০%                ০%

১৩.   শৌচাগারের                     ৭০%              ৩০%

        ব্যবহারযোগ্যতা 

১৪.   পৃথক শৌচাগার             ১০০%               ০%        

১৫.  পানীয় জলের ব্যবস্থা      ১০০%                ০%         

১৬.শিহ্মক-শিহ্মার্থীর 

         অনুপাত                           ০%            ১০০%

RTE ACT

ব্যাখ্যা -
প্রদত্ত সমীক্ষা দ্ধারা এই Bar graph অঙ্কন করা হলো। যাতে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলো দ্বারা সহজেই বুঝতে পারি, শিক্ষার অধিকার আইন বিদ্যালয় কত শতাংশ কার্যকর হয়েছে। তা ব্যাখ্যা করা হলো -
সমীক্ষায় দ্বারা প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বুঝতে পারছি বিদ্যালয় ভর্তির বিষয়ে কোনো পরীক্ষা পদ্ধতি নেই,পুরো ভর্তির বিষয়টি উন্মুক্ত।ফলে শিহ্মার অধিকার আইনের সকলের জন্য সমান এবং সহজে বিদ্যা অর্জনের সুবিধা হয়েছে।
                         কিন্তু ৯৫% শিক্ষার্থীদের মতে তারা বিদ্যালয়ের ভর্তি হতে কোনো ক্যাপিটেশন ফ্রী দেয় নি ঠিকই কিন্তু ৫% শিক্ষার্থীদের ক্যাপিটেশন ফ্রী দিতে হয়েছে।
          বিদ্যালয়ে নিয়ম অনুসারে শিক্ষক ও শিক্ষিকারা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে 90% পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে সমাপ্ত করেন। শিক্ষার অধিকার আইন ফলে কোন শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক বা মানসিক শাস্তি প্রদান করা হয় না। যেটি এই আইনের অন্যতম লহ্ম্য। যা শিক্ষার্থীকে ভয় ও আতঙ্ক থেকে মুক্ত রাখে, পঠন মনোযোগী করে তোলে।  শিক্ষার্থীর আচরণ শিক্ষা বিষয়ক তথ্য শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে অভিভাবকদের সঙ্গে সভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিকাশ ও ক্রটি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
           সমীক্ষা দ্বারা একটা কথা স্পষ্ট যে, বহু শিক্ষার্থী প্রথমে বিদ্যালয় ভর্তি অনীহা দেখিয়েছে কিন্তু সেই বিষয় দূর করেছে শিক্ষক-শিহ্মিকারা,পঠন-পাঠন কে আকর্ষণীয় করে বিদ্যালয় আসার জন্য শিক্ষার্থীদের মন জয় করেছে।তবে বিদ্যালয় থেকে কোন শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয় নি।
          বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিহ্মিকারা প্রাইভেট টিউশন এখনো বন্ধ করেনি। কিছুসংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকারা টিউশনি করান না।
             বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে যা বিদ্যালয়ের পরিবেশ কে সুন্দর করে তোলে। বিদ্যালয় শৌচাগারের যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে এবং লিঙ্গ ভেদে পৃথক শৌচাগার রয়েছে। ৭০ শতাংশ শৌচাগার ব্যবহারযোগ্য শিক্ষার্থীদের মতে। বিদ্যালয় পানীয় জলের ব্যবস্থা উন্নত মানের ফলে পানীয় জলের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় না শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার অধিকার আইনে যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতের কথা বলা হয়েছে সেটি মানা হয় না ১:৩০ অনুপাতের চেয়ে বেশি সংখ্যক প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে দেখা যায়।

5. শিহ্মার অধিকার আইনের ফলাফল -

শিহ্মার অধিকার আইনের প্রয়োগের পর থেকে বেশ কিছু ত্রুটি দেখা গিয়েছিল। সেই ত্রুটির ফলস্বরূপ কিছু দিক প্রকাশ পেয়েছে। নিম্নে সেই ফলাফল গুলি বর্ণনা করা হলো। -

১. RTE তে বয়স গত সমস্যা -

এই আইনের বর্ণিত আছে একজন শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে 6 বছর হতে হবে। কিন্তু বর্তমান ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় জন শিক্ষার্থী পঠন পাঠন শুরু করে দুই বা তিন বছর বয়সে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে বাধ্যতামূলক প্রারম্ভিক শিক্ষার শিক্ষার্থী বয়স গত একটি সমস্যা দেখা যায়। একজন শিক্ষার্থী 6 বছর বয়সে ভর্তি হওয়া একটি শিশুর তিন বছর বয়সে ভর্তি হবার শিশুর থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। এই আইনটি বিচার যোগ্য নয় ফলে এই আইনটি কে পুনরায় বিবেচনার একান্ত দরকার।

২.RTE তে আর্থিক সমস্যা - 

এই আইনটি কার্যকরী করতে গিয়ে ভারত সরকারের ২০১০ হইতে বর্তমান সময় পর্যন্ত একটি বড় সংখ্যক আর্থিক ব্যয় হয়েছে। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উভয়েরই ব্যয়ের অনুপাত 55:45 এবং North Eastern রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে 90:10। এই আইনটির Projected fund প্রায় 15000 কোটি টাকা। অনেক রাজ্য যেমন বিহার উত্তর প্রদেশ পাঞ্জাব অর্থ প্রদানের অক্ষমতা প্রকাশ না করায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে একটি বিবাদের সূচনা হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা যায় এই আইন চালু হওয়ার প্রথম বছরে প্রায় 7000 কোটি টাকার ঘাটতি ছিল।

৩. RTE তে প্রশিক্ষণ শিক্ষকের অভাব -

শিক্ষক হলেন শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড। সরকারী বিদ্যালয় গুলিতে ভালো এবং যোগ্য শিক্ষকের একান্ত অভাব লক্ষ্য করা যায়। সরকারী বিদ্যালয়গুলিতে এক-চতুর্থাংশ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক এবং তিন-চতুর্থাংশ প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক থাকে। শিক্ষা ব্যবস্থার উপাদান অন্যতম উপাদান হলো শিক্ষক শিক্ষক প্রশিক্ষণ হয় তবে এই আইনটি অর্থহীন হয়ে পড়ে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বছরের বিভিন্ন সময় ছুটি নেন বা মনোভাবের অভাব লক্ষ করা যায়।  

৪. RTE তে পরিকাঠামোগত ত্রুটি - 

একটি সমীক্ষায় দেখা যায়,ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে ন্যূনতম সুযোগ সুবিধাগুলি শিক্ষার্থীরা পায় না,তার কারণ হল বিদ্যালয়গুলিতে পরিকাঠামোগত ত্রুটি। বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য বেঞ্চ নেই, লিঙ্গ ভেদে শৌচাগার ব্যবস্থা নেই, বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণকারী দেওয়ালের অভাব এবং মিড ডে মিল রান্না করার জন্য পৃথক রান্নাঘর পর্যন্ত নেই।National University of educational planning and administration ( NUEPA ) elementary education in India নামক সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রায় অর্ধেকের বেশি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলগুলিতে মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার নেই এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ : ৩০ নিয়ম মানা হয় না। বিদ্যালয়গুলিতে এই রূপ পরিকাঠামো ব্যবস্থাপনা শিক্ষার অধিকার আইন কে ব্যাঘাত ঘটায়।

৫. RTE তে শিশুশ্রমিকের অধিকার -

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রায় 12 মিলিয়ন শিশু অর্থ উপার্জনে জন্য বাড়িতে বা কল কারখানা তে কাজ করে। শিক্ষার অধিকার আইন মৌলিক অধিকার হওয়া সত্বেও এখনো পর্যন্ত সকল শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়নি। যদিও বেশকিছু রাজ্যে বিদ্যালয়গুলিতে শিশুদের নাম নথিভুক্ত থাকলো বাস্তবের সঙ্গে সেই নথি ভুক্ত নামের মিল নেই।

৬. RTE তে অভিভাবকদের আগ্ৰহ -

শিহ্মা ব্যবস্থায় বেহাল দশা জন্য এবং তথাকথিত সমাজে প্রদর্শনের প্রভাবে বর্তমান যুগে বেশিরভাগ অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলগুলির থেকে বেসরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার জন্য ভর্তি করে। সার্বজনীন অনলাইন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে 95 শতাংশ অভিভাবকরা সন্তানদের শিক্ষা জন্য বেসরকারি স্কুল গুলির উপর বেশি নির্ভরশীল। বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও দক্ষ পরিকাঠামো এবং উন্নত মানের পঠন-পাঠন জন্য।

৭. RTE তে জনবিস্ফোরনের প্রভাব -

ভারতবর্ষ হল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ। প্রতিবছর প্রায় ১৯ মিলিয়ন লোক বৃদ্ধি পায়। জনসংখ্যা বহুল দেশ প্রতিবছর শিশু জন্মায়। তাই প্রতিবছর এত শিশুর জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক, পাঠ্যপুস্তক ,মিড ডে মিলের জন্য খাবার জোগান করা সম্ভব নয়।তাই এই আইনটি এখানে বিঘ্নিত হয়।

৮. RTE তে অভিভাবকদের নিরহ্মরতা - 

জনবহুল ভারতবর্ষে যথেষ্ট সংখ্যক জনসংখ্যায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। অশিক্ষিত জনসংখ্যা অভিবাবকরা আছেন। আর্থিক দরিদ্রতার জন্য তারা মনে করেন শিক্ষার চাইতে অর্থোপর্জন বেশি জরুরি তাই তারাR তাদের সন্তান শিক্ষার পরিবর্তে কর্মমুখী করে তোলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। মানসিকতাসম্পন্ন অভিভাবকদের জন্য বহু শিশু আইন থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং হচ্ছে।

৯. RTE তে স্কুল ছুটি -

একটি সমীক্ষা দ্বারা জানা যায়, স্কুল ছুট প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিক লক্ষ্য করা যায়। পাঠ ত্যাগ ও অনুন্নয়ন শিক্ষার অধিকার আইন একটি বড় বাধা। বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা 40% এবং অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সংখ্যা 54 থেকে 50% তবে তপশিলি জাতি মধ্যে পাঠ করার প্রবনত সবচাইতে বেশি।

একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে 53.2 শতাংশ বিদ্যালয় এখনো হ্যান্ড পাম্প রয়েছে 26.9 শতাংশ স্কুলের tap water এর ব্যবস্থা আছে। 94.5 বিদ্যালয়ের ছেলেদের জন্য শৌচাগারের ব্যবস্থা আছে, যার মধ্যে 92.7 ব্যবহারযোগ্য। অর্ধেকেরও কম স্কুলগুলিতে শৌচাগারের পাশে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে। 2013-14 একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সরকার এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রাইমারি স্কুল গুলি প্রতি তিনটি স্কুলের মধ্যে একটি স্কুলের রান্না করার জন্য পৃথক ঘর আছে। 2007 সালে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রের উপস্থিতি ছিল 73.4 শতাংশ। এই পরিসংখ্যান কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে 70.9% এবং বর্তমানে প্রায় 19-49% স্কুলগুলিতে প্রাইভেট স্কুল।

6. শিহ্মার অধিকার আইনের মতামত -

১.পরিকাঠামোগত উন্নয়ন -

শিক্ষার অধিকার আইনের অন্যতম দিক হলো পরিকাঠামোগত উন্নয়ন।বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি স্কুল গুলি সর্বপ্রথমে স্কুল বিল্ডিং এবং উপযুক্ত পরিকাঠামোর গঠন করে স্কুল খোলা উচিত।

২.প্রয়োজনগত উন্নয়ন -

একটি সরকারি বিদ্যালয় সেখানে খোলা উচিত যেখানে তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শহরাঞ্চলে সরকারি ও বেসরকারি দুই রকম বিদ্যালয়ের উপস্থিত রয়েছে কিন্তু গ্রামাঞ্চলে প্রতি এক কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল নেই। গ্রামাঞ্চলে প্রতি এক কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যালয় খোলা উচিত।

৩. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য -

প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে যে সমস্ত শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয় তাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়া জরুরী। এই সকল শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো পরিকাঠামো বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত দিক নজরে রাখা, শিক্ষার্থীদের সকল সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা করা,মিড ডে মিল প্রস্তুতি প্রভৃতি করে থাকে।

৪. সক্রিয় অংশগ্রহণ -

সমাজ এবং দেশের যুব সম্প্রদায় কি পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির দায়িত্ব নিতে হবে। কে বোঝাতে হবে যে তারা এই সমাজের একটি অংশ এবং তাদের মৌলিক অধিকার গুলি গ্রহণের অধিকার আছে।

7. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যেতে পারে, যে কোন আইন শুধুমাত্র প্রণয়ন করাটাই পর্যাপ্ত নয়। আইনটি কার্যকরী এবং তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়ন করাও জরুরি তবে তা সাফল্য লাভ করবেন। এই আইনটির মাধ্যমে অবশ্য ইউনিভার্সাল এলিমেন্টারি এডুকেশন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থের যোগান জরুরী খুবই সম্প্রদায় ও আমাদের এগিয়ে অশিক্ষিতদের অশিক্ষিত অভিভাবকদের জাগ্রত করতে হবে। UNESCO তার লহ্ম্য করেছেন যে 2015 সালের মধ্যে সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই অন্যান্য দেশে গুলোর মতো ভারতবর্ষ কেউ এই লক্ষ্যে অর্জন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।বিভিন্ন বাধা থাকা সত্ত্বেও পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের ধারা আইনটি কার্যকর করা যেতে পারে। শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরী। কারণ শিক্ষক হল মানুষের মূলাধার তাই শিক্ষা যদি ভাল হয় তাহলে মানুষের ব্যক্তিত্ব ভালো হবে। শিহ্মার অধিকার আইন ভারতবর্ষ তথা সকল শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন।





Post a Comment (0)
Previous Post Next Post