ASSIGNMENTS ON DEVELOPING WRITING SKILLS- SUMMARY, LETTER, PARAGRAPH, ESSAY, SPEECH

ASSIGNMENTS ON DEVELOPING WRITING SKILLS- SUMMARY, LETTER, PARAGRAPH, ESSAY, SPEECH

ASSIGNMENTS ON DEVELOPING WRITING SKILLS - SUMMARY,LETTER, PARAGRAPH,ESSAY,SPEECH||লিখন দক্ষতা বিকাশে - সার সংহ্মেপ,পত্র,প্রবন্ধ,অনুচ্ছেদ, বক্তৃতা

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

ASSIGNMENTS ON DEVELOPING WRITING SKILLS - SUMMARY,LETTER,PARAGRAPH,ESSAY,SPEECH practicum
ASSIGNMENTS ON DEVELOPING WRITING SKILLS - SUMMARY,LETTER,PARAGRAPH, ESSAY,SPEECH

(** ENGLISH VERSION BELOW THE ARTICLE BY PDF FILE)

BENGALI VERSION -

লিখন দক্ষতা বিকাশে - সার সংক্ষেপ পত্র ,প্রবন্ধ,অনুচ্ছেদ,বক্তৃতা



1. ভূমিকা -

দক্ষতা হল অভ্যাস ও ক্ষমতার দ্বারা অর্জিত একটি বিশেষ ধরনের জ্ঞান। একজন ব্যক্তি প্রতিদিন অভ্যাস ও ক্ষমতার দ্বারা যে জ্ঞান আয়ত্ত করে সেটি হল দক্ষতা। প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণের দ্বারা শিক্ষণের যে বিষয় শিক্ষার্থীরা বা শিক্ষকেরা যে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জন করে থাকে তাকেই ভাষা দক্ষতা বলে। ভাষা শিক্ষণ বা ভাষা ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনের চারটি ক্ষেত্র রয়েছে।

১.শোনা

২.বলা

৩.পড়া

৪.লেখা 

তাই ভাষা দক্ষতা অর্জনের চতুর্থ যোগান হয়ে লেখা।একজন ব্যক্তির মনের ভাব প্রকাশ করার এক  অপরিহার্য ভঙ্গিমা হল লিখন দক্ষতা। ভাষা দক্ষতার অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল লিখন দক্ষতা। লেখনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চিন্তাশক্তি কল্পনা শক্তি বোধশক্তি প্রভৃতি যথাযথভাবে বিকাশ পায় শিক্ষার্থীদের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি বিচার শক্তি বৃদ্ধি জন্য শিক্ষক মহাশয় উচিত লিখন দক্ষতার সাথে তাদের সক্রিয়ভাবে অবগত করানো। সেই সঙ্গে তাদের মনে একটি সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি করে দেওয়া।

2.লিখন দক্ষতা-

লিখন দক্ষতা হল একটি সৃজনমূলক দক্ষতা। মনের ভাব সুস্পষ্ট ও ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের জন্য লিখন দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিখন হল বর্ণের মুদ্রিত রূপ। মনের কল্পনা ভাবনা অনুভূতি প্রভৃতি কে তার মাধ্যমে বাস্তব রূপ দেয়া হয়। অন্যের রচনা আর সাপেক্ষে নিজস্ব মতামত সমালোচনা ব্যক্ত করা হয় এই লিখন দক্ষতার মধ্যে দিয়ে। শিক্ষার্থীর ব্যক্তি মনন ও চিন্তন যখন সঠিক ভাষায় প্রয়োগের মাধ্যমে লিখিত রূপে প্রতিফলিত হয় তখন সেই দক্ষতাকে বলে লিখন দক্ষতা।

লিখন দহ্মতা হল একটি স্থায়ী বিষয়। শ্রবণ দক্ষতা এবং কথন দক্ষতা জন্য প্রয়োজন বিদ্যালয় শিক্ষা কিন্তু পঠন ও লিখন দক্ষতার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ শিখন ও অনুশীলন। বিশদভাবে লিখন দক্ষতার জন্য অধিক অনুশীলন প্রয়োজন।

3.লিখন দক্ষতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য-

লিখন দক্ষতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে। যথা-

১. শিক্ষার্থীদের চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটানো।

২. লিখন দক্ষতার মাধ্যমে ব্যক্তি বা শিক্ষার্থীর সমগ্ৰ বিষয় সম্পর্কে একটি সামগ্ৰিক জ্ঞান লাভ করে। লেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থী স্বল্প শব্দের পরিপূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।

৩. লিখনের ফলে কোন ব্যক্তি বা শিক্ষার্থী লিখন দক্ষতার বিকাশ ঘটে।

৪. নির্ভুল ভাষা ব্যবহার পটু করে তোলে।

৫. লিখন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে সাহিত্য চর্চার উৎসাহী করে তোলে।

4.লিখন দক্ষতা বিকাশের উপায় -

লিখন দক্ষতা বিকাশে বেশ কিছু উপায় রয়েছে।যথা- 

১.লিখন দহ্মতা বিকাশের জন্য শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ থাকতে হবে।

২. উপযুক্ত তথ্য মজবুত থাকতে হবে।

৩. পদ বিন্যাস সম্পর্কিত যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

৪. লিখনশৈলী ও চিন্তাশীল মনোভাব থাকতে হবে।

৫. বাক্য গুলিকে ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

৬. সুন্দর ও রুচিশীল হস্তাহ্মরের প্রয়োজন আছে।

৭. ব্যাকরণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

5.লিখন দক্ষতার বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলো- 

মনের স্বতঃ স্ফূর্তভাব,অনুভূতি,কল্পনা,অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান বা অন্যের রচনা সম্পর্কে নিজস্ব অভিমত স্বাধীনভাবে ব্যক্ত করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো লিখন। লিখন দক্ষতার প্রকাশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায় যেমন উপন্যাস,প্রবন্ধ,নাটক,অনুচ্ছেদ,সারাংশ,পত্র,বক্তৃতা নানান ক্ষেত্রে লিখন দক্ষতার বিকাশ ঘটে। আমি এই সমীক্ষায় সার সংক্ষেপ,পত্র লিখন,অনুচ্ছেদ,প্রবন্ধ,বক্তৃতা ভাষা লিখন সম্পর্কে আলোচনা করেছি। 

১. সারসংক্ষেপ-

সার সংহ্মেপ হলো বক্তার বক্তব্যে সার অংশ। কোন বক্তব্যের বিস্তৃতিকে বা বাহুল্য কে পরিহার করে মূল বক্তব্যকে বলিষ্ঠভাবে সাবলীল ভাষায় সঠিক রূপ দিয়াকে সারসংক্ষেপ বলে।

২.পত্র লিখন- 

পত্র লিখন হল দুটি মানবাত্মার পরস্পর হৃদয়ের সংযোগ সাধনের মাধ্যমে।

৩. অনুচ্ছেদ- 

রচনা লেখা প্রাথমিক পর্যায় হলো অনুচ্ছেদ। মনের বিশেষভাবে প্রকাশের উদ্দেশ্য অনুচ্ছেদ রচনা করা হয়।

৪. প্রবন্ধ- 

কল্পনাও বুদ্ধি কে কেন্দ্র করে কোনো বিষয়বস্তুকে সাহিত্য রূপে প্রকাশ করাটাই প্রবন্ধ।

৫. বক্তৃতা বা ভাষন- 

মনের ভাব ও চিন্তাকে সম্পূর্ণ ও সুন্দরভাবে মানুষের মনের দরজায় পৌঁছে দেবার পথে হলো বক্তৃতা। এটি একটি বাগ শিল্প।

6.লিখন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা- 

১। স্বাধীন চিন্তা শক্তির বিকাশ সাধন।

২। কল্পনাশক্তিও চিন্তাশক্তির বিকাশ সাধন।

৩। লিখন প্রক্রিয়াটিকে বোঝাবার জন্য লিখন দক্ষতা অর্জনের দরকার।

৪। লিখনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান শনাক্ত করতে পারা।

৫। নির্ভুল বানান ও দক্ষতা অর্জন।

৬। গল্প কবিতা প্রবন্ধ ইত্যাদি সাহিত্যচর্চার উপযুক্ত হয়ে ওঠা।

৭। নিজের জ্ঞান বিজ্ঞানের ধারাকে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করা।

৮। ব্যাকরণ ও বাগ্ধারা প্রবাদ প্রবচন কে স্বাধীন রচনায় প্রকাশ করতে পারা।

৯। ভবিষ্যৎ জীবনে উপযোগী নির্ভুল ভাষা ব্যবহারে স্বনির্ভর করে তোলা।

১০। সুন্দর রুচিশীল হস্তাক্ষরের কুশলতা অর্জন করা।

                        7.মূল বিষয়বস্তু

7.1. সারসংক্ষেপ লিখন দক্ষতার বিকাশ-

১.১ভূমিকা-

সার সংক্ষেপ হল কোনো বিষয়ের মূল ভাবের সংহ্মিপ্ত বিবরণ। সারসংক্ষেপ বা সংক্ষিপ্ত সার কে ইংরেজি ভাষায় বলা হয় 'Precis'। এই কথাটির ফরাসী শব্দ J.C Nesfield বলেছেন "The word precis is a French word signifying summary condendium abridgement abstract condensed statement epitome........"

সারাংশ লিখন মাধ্যমে শিক্ষার্থী লিখন দক্ষতা বিকাশ ত্বরান্বিত হয়।

7.1.2. সারাংশের প্রয়োজনীয়তা -

১. স্বাধীন রচনা শক্তির বিকাশ

২.সংক্ষিপ্তকরণ এর দক্ষতা

৩.যথাযথ শব্দের প্রয়োগ করতে শেখাবে

৪.বিভিন্ন শব্দের অর্থের সাথে পরিচিত হবে।

7.1.3. সারাংশের প্রক্রিয়া-

১। প্রথমেই পাঠ টি কে ভালোভাবে পড়াতে হবে।

২। শিরোনাম দেয়া বাধ্যতামূলক।

৩। পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে অঙ্কিত করে রাখা উচিত।

৪। বক্তব্য বিষয়টি সহজ,সরল,সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করতে হবে।

৫। প্রদত্ত বিষয়ে কোনো উক্তি বা সংলাপ থাকলে তা নিজের ভাষায় পরোক্ষ উক্তিতে প্রকাশ করতে হবে।

৬। সারাংশে সময়কাল হবে অতীতকাল

7.2.পত্র লিখন দক্ষতা বিকাশ - 

7.2.1. ভূমিকা - 

 পত্র লিখন হল দূরে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগের একটি প্রধান পন্থা। দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পত্র লিখে থাকি। পত্রকে সাধারণভাবে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়।যেমন-

ক। ব্যক্তিগত পত্র লিখন 

খ। সামাজিক পত্র লিখন

গ। ব্যবসা-বাণিজ্য পত্র লিখন

ঘ। অফিস সংক্রান্ত পত্র লিখন

ঙ। বিধি চিঠিপত্র ।

7.2.2. পত্র লিখনের উদ্দেশ্য - 

১।সুষ্ঠুভাবে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য।

২। দূরের মানুষের সঙ্গে পত্র লেখক এর মতামত বা খবরা খবর পাঠানোর জন্য 

৩।আপন স্বগত উক্তিকে সুব্যক্ত ও পরিস্ফুট করে তোলার ইচ্ছা...... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

৪।স্বল্প পরিসরে আপন বক্তব্য স্থাপনের প্রয়োজন।

7.2.3. পত্র লিখনে পদ্ধতি -

১।চিঠির ভাষা যথাযথ সহজভাবে সংক্ষেপে লিখতে হবে।

২।চিঠির বিষয়ে একসঙ্গে অনেকগুলো বিষয় একটি চিঠিতে লেখা যাবে না।

৩।সরল বাক্য লিখতে হবে।

৪।বানান ভুলের দিকে নজর রাখতে হবে।

৫।বাক্য গঠনে কোনো জড়তা থাকবে না।

৬।যতি চিহ্নের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।

৭।ব্যক্তিগত পত্রে আবেগ-উচ্ছ্বাস থাকলে এ ক্ষেত্রে তা পরিত্যাজ্য।

7.3.অনুচ্ছেদ লিখন দক্ষতা বিকাশ-

7.3.1. ভূমিকা -

অনুচ্ছেদ হলো এমন কতগুলো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যুক্ত। বাক্যের সমষ্টি কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুকে নিয়ে আলোচনা করে। রচনায় লেখার প্রাথমিক পর্যায়ে হিসাবে যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। লিখন দক্ষতা বিকাশের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয় অনুচ্ছেদ লিখন অনুশীলন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

7.3.2. অনুচ্ছেদ লিখন দহ্মতায় উদ্দেশ্য -

১.স্বাধীন রচনা শক্তির বিকাশ

২.সুসংগঠিত চিন্তন

৩. বাক্য বিন্যাসের বিকাশ

৪. বাক্যের গঠনের বৈচিত্র 

৫.যথাযথ শব্দের প্রয়োগ করতে শিখবে 

7.3.3. অনুচ্ছেদ লিখন দক্ষতার পদ্ধতি -

১. যথাসম্ভব নিজের ভাষায় লিখতে হবে

২. বাক্যগুলো একটি মূল ভাব কে অবলম্বন করে লেখা হলেও তাদের মধ্যে অন্তর্গত অর্থ সংগতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।

৩. ভাষা হবে সহজ সরল এবং পুনরুত্থিত দোষ বর্জিত

৪. সম্পূর্ণভাবে হবে চলিত ভাষায়

৫. শেষ বাক্যটি যেন উপসংহার এর উপযোগী হয়

৬. বানান ভুল যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে

৭. হাতের লেখা স্পষ্ট ও ও বোঝার হবে

৮. লেখার মধ্যে খুব একটা কাটাকাটি না থাকা ভালো

৯. অনুচ্ছেদ হবে একটি প্যারা তেই 

7.4. প্রবন্ধ লিখন দক্ষতা বিকাশ -

7.4.1. ভূমিকা-

প্রবন্ধ বা Essay হলো এক ধরনের উন্নত মানের লিখন চিন্তা-ভাবনা ও যুক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। কল্পনা ও বুদ্ধি চিন্তাকে আশ্রয় করে লেখক কোন বিষয় আত্ম-সচেতন মূলক সাহিত্য সৃষ্টি করে, এই সাহিত্য রুপি নথি কেই প্রবন্ধ বলা হয়। প্রবন্ধ তত্ত্ব তথ্য, চিন্তা,যুক্তি,তর্ক ও শৃংখলার মাধ্যমে আপন সিদ্ধান্তকে প্রতিপন্ন করতে চান।

7.4.2. প্রবন্ধের শ্রেণীবিভাগ - 

প্রবন্ধ কে মূলত চার প্রকার ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- 

ক। বর্ণনামূলক প্রবন্ধ

খ। বিশ্লেষণমূলক প্রবন্ধ

গ। তাত্ত্বিক মূলক প্রবন্ধ

ঘ। প্রবর্তক মূলক প্রবন্ধ

7.4.3. প্রবন্ধের পদ্ধতি -

১. কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহজ,সরল ভাষায় ও নিজস্ব ভঙ্গিমায় প্রবন্ধ লিখতে হয়।

২. বর্ণনামূলক বা ভ্রমণ মূলক রচনা লেখার সময় ছাত্রকে বিভিন্ন স্থানের, বস্তু, ঘটনা, স্থিতি বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

৩. চিন্তা মূলক প্রবন্ধ রচনা সময় লেখক এর নিজস্ব চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটাতে হয়। তাই ছাত্রের কাছে আকর্ষণীয় ভ্রমণ মূলক এরূপ কোন বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে হবে।

৪. বৈজ্ঞানিক বিষয়কে কেন্দ্র করেও ছাত্ররা প্রবন্ধ লিখতে পারে, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বিকাশ ঘটে।

৫. নিম্ন শ্রেণীতে প্রবন্ধের ভাষা যাতে সরল হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

7.5.বক্তৃতা লিখন দক্ষতা বিকাশ- 

7.5.1. ভূমিকা -

বক্তিতা বা ভাষন হল বাকশিল্প। উপলক্ষ সমাজবদ্ধ মানুষকে সভা-সমিতিতে তার নানান বক্তব্য নিবেদন করতে হয়। বক্তিতা ভাষণ এর দ্বারা মানুষ তার চিন্তা ভাবনাকে প্রকাশ করে। বক্তিতা ভাষণ দেন একটি সু-সভ্য রীতি। বক্তৃতাদান তাই সমাজের একটি আনুষ্ঠানিক ব্যাপার। সেই জন্য বক্তিতা দ্বারা হৃদয়ের ভাব ও মনের চিন্তাকে সম্পূর্ণ ও সুন্দরভাবে মানুষের মনের দরজায় পৌঁছে দেওয়া।

7.5.2. বক্তৃতা দানের অংশসমূহ - 

ভালো বক্তব্য দিতে গেলে প্রথমে গুছিয়ে লিখতে হবে। বক্তৃতার চারটি অংশ থাকে। যথা- 

ক। সম্ভাবনা

খ। ভূমিকা

গ। মূল বক্তব্য

ঘ। উপসংহার

7.5.3. বক্তৃতা লিখন দক্ষতার পদ্ধতি - 

ক। বক্তৃতা বা ভাষনের কথা লিখতে গেলে কতগুলি অবলম্বন করতে হয়।

খ। বক্তৃতা হলে একটি শিল্প। কিভাবে সম্ভাবনা জানিয়ে শুরু করতে হয়।

গ। সূচনার অংশে মূল বক্তব্যের ভিত্তি স্থাপন ও সঠিক বাক্য বিন্যাস এর দিকে নজর দিতে হবে।

ঘ। মূল বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। বাক্যের বিষয় এর তাৎপর্য উপস্থাপন করতে হবে।

ঙ। উপসংহার ভাগে নিম্ন সমৃদ্ধ উপায় মূল বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করে বিদায় সম্ভাবনা জানিয়ে উপসংহারে আনতে হবে। যাতে শ্রোতা বর্গের মনের উপর স্থায়ী প্রভাব বিস্তার হয়।

8.উপসংহার- 

পরিশেষে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে লিখন দক্ষতা শুধুমাত্র আমাদের জ্ঞানের বিকাশ ঘটায় না। চিন্তা ভাবনা করা, কল্পনা শক্তিকে বৃদ্ধি করা, নির্ভুল শব্দ গঠন, প্রতি আত্মবিশ্বাস, সাহিত্যের সমৃদ্ধি, বিষয় সম্পর্কে সামগ্ৰিক ধারণা ও জ্ঞানের বৃদ্ধি ঘটে। নির্ভুলভাবে কোন একটি বিষয় উপস্থাপন করতে সাহায্য করে। ভাষার সাবলীনতা ও ভাষা গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। ব্যাকরণ বাগধারা সঠিক বানান ইত্যাদিকে শিখতে ও জানতে যেমন সাহায্য করে তেমনি সুন্দর রুচিশীল হস্তাক্ষর সৃষ্টিতে সাহায্য করে। দুটি মানুষের মনে বা অবস্থানের পার্থক্য কেউ অনেক নিকটে করে সারাংশ,অনুচ্ছেদ, প্রবন্ধ, বক্তৃতা ও পত্র লিখন ইত্যাদি। একদিকে যেমন বিষয় সম্পর্কে মানুষের মনের ভাব কে পূর্ণতা দান করে অপরদিকে শিখন যোগ্য করে তোলে। প্রয়োগ যোগ্যতার দিক থেকেও লিখন দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিখনের একটি অন্যতম দিক হলো সক্রিয়তা,নিজস্ব চিন্তাধারা এবং মনের ভাষা প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব। তাই লিখন দক্ষতা হল বাস্তবিক একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক।

CLICK HERE - 

ENGLISH VERSION PDF FILE



Post a Comment (0)
Previous Post Next Post