DESIGNING GAMES AND EXERCISES FOR DEVELOPING LISTENING, SPEAKING, READING AND WRITING SKILLS

DESIGNING GAMES AND EXERCISES FOR DEVELOPING LISTENING, SPEAKING, READING AND WRITING SKILLS

DESIGNING GAMES AND EXERCISES FOR DEVELOPING LISTENING, SPEAKING,READING AND WRITING SKILLS||শ্রবন,কথন,পঠন এবং লিখন দহ্মতা বিকাশে ক্রীড়া ও অনুশীলনের ব্যবহার

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION


DESIGNING GAMES AND EXERCISES FOR DEVELOPING LISTENING,SPEAKING,READING AND WRITING SKILLS practicum
DESIGNING GAMES AND EXERCISES FOR DEVELOPING LISTENING,SPEAKING, READING AND WRITING SKILLS.

(**ENGLISH VERSION FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

BENGALI VERSION -

শ্রবন,কথন,পঠন এবং লিখন দহ্মতা বিকাশে ক্রীড়া ও অনুশীলনের ব্যবহার।

১.ভূমিকা-
ভাষা বিকাশ শিক্ষার্থী ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ভাষাগত দক্ষতা অর্জন বলতে বোঝায় শ্রবণ, কখন, দক্ষতা। অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা জানি একটি শিশু খেলার ছলে শ্রবণ কথন পঠন ইত্যাদি ভাষা বিকাশের দক্ষতা অর্জন করে থাকে।Maria Montessari বিখ্যাত Play way method শিক্ষার্থীর বিকাশের মাধ্যমে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।game based learning is the future of education সত্যের উপর ভিত্তি করে এই প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হল। খেলার মাধ্যমে শিক্ষা অত্যন্ত ফলদায়ক এবং সঠিক পরিকল্পনার যারা খুব সহজেই খেলার মাধ্যমে ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধিকরন সম্ভব।

২.১.ভাষাগত দক্ষতা-
কথা হল অভ্যাস ও ক্ষমতার দ্বারা অর্জিত বিশেষ এক ধরনের জ্ঞান, অভ্যাস ও ক্ষমতা অর্থাৎ নিয়মিত প্রশিক্ষণের দ্বারা শিক্ষণের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক দক্ষতা অর্জন করে তাকে বলা হয় ভাষাগত দক্ষতা।এই  ভাষাগত দক্ষতা মূলত চারটি ভাগ রয়েছে।
ক। শ্রবণ দক্ষতা
খ। কথন দক্ষতা
গ। পঠন দক্ষতা
ঘ। লিখন দক্ষতা
ক। শ্রবণ দহ্মতার প্রয়োজনীয়তা-
১. বক্তব্য বোধগম্য হওয়া।
২. প্রয়োজনীয়তাও অপ্রয়োজনীয়তা বিষয়বস্তুকে শনাক্তকরণ করা।
৩. শ্রবণের দ্বারা বিষয়কে আত্মস্থ করা।
খ। কথন দক্ষতা প্রয়োজনীয়তা-
১. সঠিক যোগাযোগ প্রক্রিয়া স্থাপন।
২.মনের ভাব প্রকাশ।
৩. পরিমার্জিত আত্মপ্রকাশ ও ভাষার রসবোধ প্রকাশ।
৪. উচ্চারণ ও নতুন শব্দের ব্যবহার করা।
গ। পঠন দক্ষতা প্রয়োজনীয়তা-
১. পঠন যোগ্য বিষয়ে পড়া।
২. পঠন শৈলীর উন্নতি সাধন।
৩. ভাষা জ্ঞানের বিস্তার সাধন।
৪. অর্থের উপলব্ধিতা।
৫. পাঠ্য বস্তুর বিশ্লেষণের দ্বারা মূল্যবোধের বিকাশ সাধন।
ঘ। লিখন দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা-
১. রচনা শক্তি, কল্পনা শক্তি, চিন্তা শক্তির বিকাশ সাধন।
২. লিখনের প্রক্রিয়াটি প্রয়োজনীয় উপাদান শনাক্ত করা।
৩. গল্প,প্রবন্ধ, কবিতা চর্চায় পারদর্শী হওয়া।
৪. সুন্দর হস্তাক্ষরের কুশলতা অর্জন করা।

২.২. ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে খেলা ও অনুশীলন-
ভাষার দক্ষতা অর্জন সময় সাপেক্ষ ও অপেক্ষাকৃত কঠিন প্রক্রিয়া। খেলা অনুশীলনের দ্বারা এই প্রক্রিয়াটি সহজেই উপস্থাপন করা যেতে পারে। বিকাশে খেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। খেলার ছলে একটি শিশু ভাষাগত বিকাশ ঘটে। উপযুক্ত অনুশীলন শিক্ষার্থী ভাষাগত দক্ষতার বিকাশ ঘটায়।
৩.উদ্দেশ্যাবলী-
১.শ্রবণ,কথন,পঠন ও লিখন দক্ষতায় জ্ঞানলাভ করা।
২. ভাষা বিকাশে খেলা ও অনুশীলনের গুরুত্ব।
৩. শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ ঘটানো।
৪. শিক্ষার্থীরা যাতে নিজের ভাষাকে আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়, তার জন্য তাদের উপযোগী করে তোলা।
৫. সামাজিক সম্পর্কের স্থাপনের জন্য ভাষাকে সঠিকভাবে আয়ত্ত করা।
৪.খেলাধুলা ও ব্যায়ামের গুরুত্ব-
১.শিশুদের সামাজিক বিকাশে সাহায্য করে।
২. শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
৩. নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪. নানান সামাজিক গুণাবলী অর্জনে সাহায্য করে।
৫. মাংসপেশি সতেজ ও সবল হয়।
৬. পেশী চালনায় নৈপুণ্যতা অর্জিত হয়।
৭. দলগতভাবে শব্দ করার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
৮. অবসর সময়ে আনন্দ লাভ হয়।
৯.খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে নিয়ম শৃঙ্খলা বোধ গড়ে ওঠে।
১০. বিপরীত পক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয়।
১১. নৈতিকতার বিকাশ ঘটে এবং মনোযোগ গড়ে ওঠে।
                       মূল বিষয়বস্তু
৫. ভাষাদক্ষতা বিকাশে প্রয়োজনীয় কিছু খেলাধুলা এবং অনুশীলন-
 
৫.১.কুইজ প্রতিযোগিতা-
এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক অনুশীলন। যেখানে এককভাবে বা দলগতভাবে হতে পারে। মূলত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর মূলক খেলা।যেখানে নানান রকমের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন করা হয়। টি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য পয়েন্ট দেওয়া হয়। বোনাস পয়েন্ট দেওয়া হয়। এই পয়েন্ট এবং বোনাস পয়েন্ট যে দল সর্বোচ্চ পেয়ে থাকে তাঁকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। কুইজ প্রতিযোগিতা মূলত জ্ঞান ও দক্ষতার পরিমাপ বা বিনোদনের উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে।
উদ্দেশ্য-
১. ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
২.শোনা ও বলার ক্ষমতা গড়ে।
৩.পারস্পরিক সহযোগিতা ও মিথস্ক্রিয়া বাড়ে।
৫.২. আবৃত্তি- 
আবৃত্তি হল একটি অনুশীলনমূলক ক্রিয়া। সাধারণত শ্রোতার সম্মুখে কোন কবিতা বা বক্তব্য ইত্যাদি একটি ছন্দের আকারে পরিবেশন করা হয়। আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা আবৃত্তিতে একটি শিল্প।
উদ্দেশ্য-
১.শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পায়।
২.কথা বলার দক্ষতা বাড়ে।
৩.স্মৃতির ধারণা ক্ষমতা বাড়ে।
৪.শ্রোতাদের শ্রবণ দক্ষতা উন্নতি ঘটে।
৫.৩. বিতর্ক প্রতিযোগিতা-
এটি একটি অনুশীলনমূলক প্রতিযোগিতা। দুটি ব্যক্তি বা দুটি দল অংশগ্রহণ করে। একটি বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। একদল এমন প্রস্তাব উপস্থাপন করে যে বিপরীত পক্ষে বিতর্ক করে। প্রতিটি দল তাদের যুক্তি প্রস্তুত করার জন্য সময় পেয়ে থাকে।
উদ্দেশ্য-
১. বলার দক্ষতা বাড়ে।
২. শোনার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৩. উচ্চারণ করতে দক্ষতা বাড়ে।
৫.৪. ফিসফিস খেলা বা সশব্দ খেলা (Whisper Games)-
এটি একটি অনুশীলনমূলক ক্রিয়া।প্রথমে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দলে ভাগ করা হয় সারিবদ্ধ ভাবে।শাড়ির প্রথমে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীকে খুব নিচু স্বরে একটি শব্দ একটি বাক্য বলা হয়। প্রথম শিক্ষার্থী সেই শব্দ বা বাক্য দ্বিতীয় শিক্ষার্থীকে কানে কানে বলবে। এভাবে একে একে শাড়ির অন্তিম শিক্ষার্থী পর্যন্ত শব্দ বা বাক্যটি পৌঁছানোর পর, শিক্ষার্থী সেটি  সশব্দে বলবে।
উদ্দেশ্য-
১. শ্রবণ দহ্মতা উন্নতি ঘটে।
২.পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
৩. উচ্চারণের উন্নতি ঘটে। 
৪. শব্দ ভান্ডারের উন্নতি ঘটে।
 ৫.৫. পর্যবেক্ষণ দৌড়-
এই খেলাটি একটি থালা বা টেবিলের উপর কিছু বস্তু সামগ্রী রাখা হয়। শিক্ষার্থীদের ১ মিনিট সময় দেওয়া হয় যাতে ভালোভাবে জিনিসপত্রগুলি কে দেখার জন্য এবং শিক্ষিকা বা শিক্ষক জিনিসগুলির নাম বলতে থাকে। এরপর দৌড় শুরু হয়। ১ মিনিটের মধ্যে কোন শিক্ষার্থী কতগুলো জিনিসের নাম মনে রেখে খাতায় লিখতে পারছে তার উপর পয়েন্ট দেওয়া হয়। যে শিক্ষার্থী সবথেকে বেশি জিনিসপত্রের নাম লিখবে সেই বিজয়ী হয়।
উদ্দেশ্য
১. শ্রবণ দক্ষতার উন্নতি হয়।
২. লিখন দক্ষতার উন্নতি হয়।
৩. স্মৃতি বা স্মৃতি ধরনের উন্নতি হয় বা ক্ষমতা বাড়ে।
৫.৬. ড্রিল ও ম্যাচিং-
শরীর শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ড্রিল ও ম্যাচিং।ড্রিল ও ম্যাচিং- বলতে এক ধরনের হাটাকে বোঝানো হয়। এটি দলগতভাবে বা একক ভাবে হতে পারে। সাধারণত এটি সামরিক বাহিনীর দক্ষতা যুক্ত।
উদ্দেশ্য-
১.ড্রিল ও ম্যাচিং এর সময়ে নির্দেশনা শিক্ষকেরা দিয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা তা মনোযোগ সহকারে শোনে। এতে তাদের শ্রবণ দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
২. দলগতভাবে করা হলে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।

৫.৭. পঠনদক্ষতা মূলক অনুশীলন-
বিভিন্ন বিষয়ের উপর পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের পাঠ করতে দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের দ্রুতলয়,মধ্যলয়,মৃদুলয়  ধারণা থেকে তাদের পঠন দহ্মতার মূল্যায়ন করতে হবে।
উদ্দেশ্য-
১.পঠন দহ্মতা বিকাশ ঘটে।
২.উচ্চারনে স্পষ্টতা আসে।
৩.শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায়।
পদ্ধতি-
  1. শ্রেণিকক্ষে সমস্ত শিহ্মার্থীকে দুটি দলে বিভক্ত করুন।
  2. প্রথম দলের শিক্ষার্থী দলকে একটি করে কার্ড দিন, যেখানে নির্দিষ্ট একটি ছক আঁকা থাকবে।
  3. শিহ্মক দ্ধিতীয় শিহ্মার্থী দলের প্রত্যেক সদস্যকে তাদের নিজের সম্পর্কে কিছু কথা বলতে বলবেন,যেমন শিক্ষার্থীর নাম,শিক্ষার্থীর বয়স, বাসস্থানের নাম,প্রিয় বিষয়,অপ্রিয় বিষয়, জীবনের লক্ষ্য,শখ ইত্যাদি।
  4. প্রথম দলের শিক্ষার্থীদের কাছে যে কার্ডটি থাকবে সেখানে উপরোক্ত বিন্দুগুলি লিখতে থাকবে। দ্বিতীয় দলের শিক্ষার্থী কতগুলো শ্রবণ করে প্রথম দলের প্রত্যেক শিক্ষার্থী শূন্যস্থান পূরণ করবেন সেই সকল কাজগুলিকে।
  5. প্রথম দলের প্রত্যেক শিক্ষার্থী কাজটি পূর্ণ করবেন শ্রবণের দ্বারা ও দ্বিতীয় দল নিজেদের সম্পর্কে কথাগুলি রাখবেন কথনের দ্বারা।
  6. প্রথম দলের শিক্ষার্থীদের নিকট হতে কার্ড গুলির সংগ্ৰহ করুন।
  7. প্রত্যেকে সঠিক শূন্যস্থানে পূরণের জন্য শিহ্মার্থীকে পয়েন্ট প্রদান করবেন শিহ্মক।
  8. কার্ডগুলি সংগ্ৰহের পূর্বে কার্ডগুলির উল্টোদিকে শিহ্মার্থীর নাম, শ্রেণি,বয়স লিপিবদ্ধ করুন।
  9. সমগ্ৰ অনুশীলনীর প্রক্রিয়াটি দল পরিবর্তনের মাধ্যমে পুনরায় অভ্যাস করুন। অর্থাৎ প্রথম দলের শিক্ষার্থীর নিজেদের সম্পর্কে কথা বলবে ও দ্বিতীয় দল শ্রবণের মাধ্যমে কার্ডগুলিকে পূর্ণ করবেন।
  10. উক্ত অনুশীলনীর  মাধ্যমে উভয় দল কথন ও শ্রবণের অনুশীলন পূর্ণ করবেন।
৬. সীমাবদ্ধতা-
  1. যেহেতু বিদ্যালয়ে পড়াশুনোর পাশাপাশি খেলাধুলা ও ব্যায়ামের ব্যবস্থা করতে হয় সেহেতু অনেক সময় পড়াশুনায় তার প্রভাব পড়ে।
  2. এটি একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপারে হওয়ার প্রত্যেক বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে খেলাধুলা ও ব্যায়ামের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
  3. শিহ্মকদের প্রত্যেক শিশুর দহ্মতা ও সামর্থ্য এবং চাহিদা অনুযায়ী খেলা ও ব্যায়াম গুলির ব্যবস্থা করতে হয়।যা সময় সাপেক্ষ ও পরিশ্রমসাধ্য ব্যাপার।
  4. অনেক বিদ্যালয়ে খেলাধুলার ও ব্যায়ামের প্রয়োজনীয় উপকরনের অভাব লহ্ম করা যায় ।
  5. বিদ্যালয়ে শিহ্মার চাপের জন্য অনেক সময় শিহ্মার্থীর মধ্যে খেলাধুলার প্রাধান্যতা লহ্ম করা যায় না।
৭.উপসংহার
প্রতিনিয়ত অভ্যাস ও নিয়মিত প্রশিক্ষণ দ্বারা ভাষা শিখন বিষয়ে শিহ্মার্থী বা শিহ্মক যে স্পষ্টতা বা দহ্মতা অর্জন করে যাকে তাকে "ভাষা দহ্মতা" বা "Language Protieiecncy" বলে।এই ভাষাগত দহ্মতা অর্জনের জন্যে পঠন,শ্রবণ,লিখন,কথন প্রত্যেকটিতে দহ্মতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শিশুদের খেলা ও অনুশীলনের মাধ্যমে তা সহজেই করা যেতে পারে। যেহেতু শিশুরা খেলতে ভালোবাসে তাই খেলা ও অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য সহজেই পূরণ করতে পারি। যদিও প্রকল্পটির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে তবুও প্রকল্পটির গুরুত্ব ভাষা লিখনে অপরিসীম।

CLICK HERE -


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post