List Down Different Maladjusted Behaviours Of Adolescents Which You Could Identify From The Classroom And Out-Side Classroom

List Down Different Maladjusted Behaviours Of Adolescents Which You Could Identify From The Classroom And Out-Side Classroom

 

List Down Different Maladjusted Behaviours Of Adolescents Which You Could Identify From The Classroom And Out-Side Classroom

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

List Down Different Maladjusted Behaviours Of Adolescents Which You Could Identify From The Classroom And Out-Side Classroom Practicum
List Down Different Maladjusted Behaviours Of Adolescents Which You Could Identify From The Classroom And Out-Side Classroom

List Down Different Maladjusted Behaviours Of Adolescents Which You Could Identify From The Classroom And Out-Side Classroom

BENGALI VERSION -

(**ENGLISH VERSION FILE BELOW ARTICLE BY PDF FORMAT)

1.ভূমিকা-

মানুষের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল হল কৈশোর কাল । এই সময়ে ছেলেমেয়েদের দেহে ও মনে নানান পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা উদ্ভব হয়। সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হয়। সেই চাহিদাগুলি পূরণ না হলে বিভিন্ন ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ অপসংগতি মূলক আচরণ দেখা যায়। অসামঞ্জস্য মুলক আচরণ বলতে বোঝায় সেই ধরনের আচরণকে যা সমাজ স্বীকৃত নয়। আচরণ কুলি যেমন চুরি করা মিথ্যা কথা বলা ভীরুতা স্কুল পলায়ন ইত্যাদি। এই আচরন গুলি দূর করা সম্ভব না হলে শিশুর বিকাশ সঠিকভাবে হওয়া সম্ভব নয় এবং তা না করলে শিশুর বিকাশের দুর্বল ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। একজন শিক্ষকের উচিত শ্রেণিকক্ষে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণকারী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করা এবং তার আচরণ সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া। তবে এই সংশোধনমূলক ক্রিয়াটি করার আগে কৈশোর এবং কৈশোরের চাহিদা জানা উচিত।

2.উদ্দেশ্যাবলী- 

প্রতিটি প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য কিছু উদ্দেশ্য বর্তমান।এই উদ্দেশ্যগুলি হল-

  1. অপসংগতিমূলক আচরণ চিহ্নিতকরন - উক্ত প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো কৈশোর বয়সে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপসংগতিমূলক আচরন গুলি কে চিহ্নিত করন করা। 
  2. অপসংগতিমূলক আচারণ পর্যবেক্ষণ- কৈশোর বয়সে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিরূপ অপসংগতিমূলক আচরণ ঘটছে,তা পর্যবেক্ষণ করা এবং নির্বাচন করা।
  3. অপসংহতিমুলক আচরণের প্রতিরোধ ব্যবস্থা- শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপসংগতিমূলক আচরন গুলি  প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা।
  4. শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশ ঘটানো- শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপসংগতিমূলক আচরন গুলি চিহ্নিত করন করা এবং সেগুলিকে সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব সার্বিক বিকাশ ঘটানো।
  5. অভিবাবকদের সচেতনতা- শিক্ষার্থীদের এই ধরনের আচরণ হ্রাসে অভিভাবকদের সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
3.কৈশোর কাল- 
3.1.ভূমিকা-

মানব জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাল হল কৈশোর। শিশুর জীবনী বাল্য এবং যৌবনের মধ্যবর্তী দ্রুত পরিবর্তনশীল কালকে বলা হয় কৈশোর কাল বয়ঃসন্ধিকাল। এই সময় মানুষের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের বিচিত্র পরিবর্তনের কাল। শিশুর দেহে এবং মনে এই সময় এক অদ্ভুত আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তাই অনেক মনোবিজ্ঞানী এই সময়কে বয়সন্ধিকাল বা উৎকণ্ঠা-দ্বন্দ্বের কারণ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

                ব্যুৎপত্তি গত দিক থেকে কৈশোরে ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Adilescere' এসেছে যার অর্থ পরিবর্তনের পথে বিকাশ, কৈশোর এমন একটি সময়কাল যেখানে সমাজের উপযুক্ত জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশল আয়ত্ত করা যায়।

           মনোবিদ ডরোদি রোদার্স -এর মতে বয়ঃসন্ধিকাল এমন একটি সময় যখন সমাজ তাকে শিশু হিসেবে গণ্য করে না আবার পূর্ণবয়স্ক হিসাবে মর্যাদা, ভূমিকা বা ক্রিয়া ও তার ক্ষেত্রে আরোপ করা হয় না।

অনেক কৈশোরকে দৈহিক বিকাশের একটি স্তর হিসেবে বিবেচনা করেছেন অনেকে আবার বলেছেন কৈশোর হলো যৌন পরিণতির স্তর। 

কৈশোর সম্পর্কে উপরোক্ত ধারণগুলি থেকেই এই সিদ্ধান্ত করা যায় যে -

১. যে বাল্যকালে মানসিক ও দৈহিক স্থিতিশীল অবস্থার ওপর শিশুর মধ্যে দিয়ে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয় সেখান থেকেই এই স্তরের শুরু আর শেষ হয় পূর্ণ যৌবন প্রাপ্তির পর। 

২.এই স্তরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে দৈহিক, মানসিক, প্রক্ষোভিক, ও জ্ঞানমূলক পরিবর্তন হয় তা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

৩. এই স্তরে ছেলেমেয়েদের সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা বা বিতর্ক বিবাদ করে।

৪. জ্ঞান অর্জনের দিকে এই স্তর হল প্রকল্পভিত্তিক অবরোহী যুক্তির স্তর ।

3.2.কৈশর কালের চাহিদা-

কৈশোরের দৈহিক,মানসিক,প্রাহ্মোভিক, সামাজিক, এবং জ্ঞান মূলক পরিবর্তন অতি দ্রুত হয় যে, পরিবর্তন কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে নতুন নতুন চাহিদা দেখা দেয়। শৈশবে বাল্য চাহিদাগুলো মূলত জৈবিক অস্তিত্বকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়, কিন্তু কৈশোর শুধুমাত্র জৈবিক অস্তিত্বই নয়, মানসিক ও প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্যের সুষ্ঠু প্রকাশ ও তার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় নতুন নতুন চাহিদা। কৈশোরে যেসব চাহিদাগুলি দেখা যায় সেগুলি হল-

  • ১. স্বাধীনতা ও সক্রিয়তার চাহিদা- কৈশোরে দেহে ও মনে পূর্ণতা অবসার তাদের মধ্যে যেকোন স্বাধীনভাবে করার একটা প্রবণতা দেখা যায়। এই সময় আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরতা তৈরি হয় বলে তারা স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে চায় এবং বয়স্কদের নিয়ন্ত্রণের থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চায়।
  • ২. আত্মপ্রকাশের চাহিদা- আত্মপ্রকাশের চাহিদা থেকেও কৈশোরের আত্মনির্ভরশীল হবার চাহিদা দেখা যায়। উপার্জন লব্ধ হয়ে স্বাধীন জীবন -যাপনে প্রবল ইচ্ছা এই সময় দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের বৃত্তির প্রতি তারা আকৃষ্ট হয়।
  • ৩. আত্মনির্ভরতার চাহিদা- আত্মপ্রকাশের চাহিদা থেকেই কৈশোরের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চাহিদা দেখা দেয়। উপার্জনাহ্মম স্বাধীন জীবন যাপনে প্রবল ইচ্ছা এই সময় দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি প্রতি তারা আকৃষ্ট হয়।পরিবার ও বিদ্যালয় কৈশোরের ছেলেমেয়েরা বৃত্তি নির্বাচনে সহায়তা করে তাদের এই চাহিদা পূরণ করতে পারে।
  • ৪. নিরাপত্তার চাহিদা- স্বাধীনতার চাহিদার পাশাপাশি এই সমস্ত আরো একটি চাহিদা দেখা দেয়, সেটি হল নিরাপত্তা চাহিদা।এই সময় কিশোর কিশোরীরা আর্থিক ও পারিবারিক দিক থেকে পিতা মাতার উপর নির্ভরশীল থাকে। বয়স্করা কখনো তাদের সঙ্গে বয়স্কদের মতন আচরন করে, আবার কখনো তাদের ছেলে-মেয়ে ভাবে। এই পরস্পরবিরোধী আচরণের জন্য তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভোগে। এইসময় বয়স্করা সামঞ্জস্যপূর্ণ আচারণ করলেই তাদের নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ হয়।
  • ৫. নীতিবোধের চাহিদা- কৈশোরের নীতিবোধের চাহিদা দেখা যায়। ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ তাদের মধ্যে প্রবলভাবে দেখা যায়। নিজের ও অপরের কাজকে নৈতিক মানদন্ডের পরিপ্রেহ্মিত বিচার করে। নিজে নীতি বিরোধী কাজ করলেও তার মধ্যে অপরাধবোধ সৃষ্টি হয়। তেমনি অধর্মের অনৈতিক কাজকেও মেনে নিতে পারে না।
  • ৬.নতুন জ্ঞানের চাহিদা- এই সময় মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণ হওয়ার বিশেষ আগ্ৰহের বিষয় স্তর প্রতি তাদের কৌতুহল বৃদ্ধি পায়। ফলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে জানাবার প্রবল ইচ্ছা তাদের ঝোঁক মধ্যে দেখা যায়। তারা নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করে বা পড়াশোনা করার তাগিদ দরকার অনুভব করে।বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস,দর্শন,বিশ্বপ্রকৃতির বিভিন্ন দিকের প্রতি তাদের ঝোঁক দেখা যায়। পিতা মাতা ও বিদ্যালয়ের উচিত এই সময় তাদের নানান বিষয়ে জ্ঞান লাভের সুযোগ করে দেওয়া, তারা যে বই পাঠ করছে বা পর্যবেক্ষণ করছে সেগুলো যেন তাদের উপযোগী হয় সেই দিকে লক্ষ রাখা।কৈশোরের জ্ঞানের চাহিদার সঠিকভাবে পুণ্য করা যাবে।
  • ৭. জীবন দর্শনের চাহিদা- পৈত্রিক বিকাশের ফলে কৈশোরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে জীবন দর্শনে চাহিদা দেখা যায়। তাদের আহম সভায় বিকাশ ঘটে। তাই জীবন ও জগৎ সম্পর্কে জানার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। এই প্রবণতা কে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে নতুন জীবন দর্শন গড়ে ওঠে। বিকালে এই জীবন দর্শনে পরিপ্রেক্ষিতে তারা জীবনের যেকোনো ঘটনা তাৎপর্য নির্ণয় করতে সক্ষম হয়। কৈশোরে যাতে উপযুক্ত জীবন দর্শন গড়ে ওঠে সেই জন্য পরিবার এবং বিদ্যালয় সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহানুভূতি একান্ত প্রয়োজনীয়। এই সময় তাদের দেশ-বিদেশ এর বিখ্যাত মণীষীদের জীবনী পাঠের সুযোগ করে দিতে হবে। তারা যাতে আধুনিক সমাজের উপযুক্ত প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা সঙ্গে পরিচিত হয় এবং উদার জীবন দর্শন গড়ে তুলতে পারে সেই বিষয়ে তাদের নানান ভাবে সাহায্য করতে হবে। যুক্ত জীবন দর্শনই গড়ে তুলতে পারলেই তারা স্বচরিত্রের অধিকারী হয়ে উঠবে। 
3.3কৈশোরে বৈশিষ্ট্য- 
কৈশোরের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলি হল-

3.3.1.কৈশোরে দৈহিক বৈশিষ্ট্য-
  1. কৈশোরে ওজন ও উচ্চতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় তবে ওই সময় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বৃদ্ধির হার বেশি হয়।
  2. এই সময় ছেলেময়েদের মাংসপেশি,হাড়, গ্রন্থি, মস্তিষ্ক, পিণ্ড প্রভৃতি বৃদ্ধি পায়।
  3. কৈশোরের আরবে মেয়েদের চেহারার একটি লাবণ্যতা আসে কিন্তু সেই তুলনায় ছেলেদের চেহারার মধ্যে একটি শীর্ষতা এবং কাঠিন্যতা লহ্ম করা যায়।
  4. ওই সময় ছেলেমেয়েদের বাগ্ যন্ত্র দ্রুত প্রসার লাভ করে, ফলে ছেলেদের কণ্ঠস্বর ভাঙ্গা ভাঙ্গা ও কর্কশ হয় এবং মেয়েদের কণ্ঠস্বর কিছুটা তীক্ষ্ণ হয়।
  5. এই সময় পিটুইটারি গ্রন্থির থেকে নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে ছেলে মেয়েদের যৌনাঙ্গের বিকাশ হয় এবং দেহের নানান স্থানে যৌন রোষের আবির্ভাব ঘটে।
3.3.2.কৈশোরের মানসিক বৈশিষ্ট্য-
  1. তোমায় ছেলেমেয়েদের দৈহিক বিকাশের মতো মানসিক বিকাশ ততটা দ্রুত হয় না।
  2. স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ গ্রহণ ক্ষমতা, রুপোর দর বৃদ্ধি পাওয়ার ধারণার বিকাশ দ্রুত হয় এবং বৃদ্ধি সত্তার যথেষ্ট বিকাশ ঘটে।
  3. মনোযোগের চঞ্চলতা কমে যায়,বিমুর্ত চিন্তনের ক্ষমতা বিকশিত হতে শুরু করে।
  4. অনুভূতি ও আকাঙ্ক্ষা তাড়নার সাহস ও বিরক্ত দেখিয়ে সব কাজে এগিয়ে যেতে চায় এবং অভিভাবকদের বিরক্তিকর শাসনের প্রতি কিছুটা অবজ্ঞা প্রকাশ করে।
  5. ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন চিন্তাধারার মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারে। 
3.3.3.কৈশোরে প্রাক্ষোভিক বৈশিষ্ট্য-
  1. এই স্তরে প্রক্ষোভ মুলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ কখনো খুব তীব্র ভাবে হয়, আবার কখনো একবারও হয় না।
  2. হীনমন্যতা, লব্ধ বোধ, ভয়, আগ্রাসী মনোভাব ইত্যাদি অনেক সময় প্রকট সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়।
  3. বয়সে ছেলে মেয়েরা কখনো আনন্দে মাতোয়ারা আবার কখনো বিষন্ন বাধার ভারাক্রান্ত থাকে।
  4. এরা ভাবালু, আবেগপ্রবণ এবং কল্পনাবিলাসী হয়।
3.3.4.কৈশোরে সামাজিক বৈশিষ্ট্য-
  1. সামাজিক দিক থেকে এই বয়সের ছেলেমেয়েরা খুব বেশি রকমের অসামাজিক মনে হয়।
  2. দৈহিক বিকাশ কে লুকিয়ে রাখার জন্য তারা সামাজিক দলের সত্তা সম্পর্ক ছিন্ন করে আবার বাবা মার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
  3. এই বয়সে ছেলেমেয়েদের বহিঃ বিশ্ব সমাজের প্রতি প্রবল আকর্ষণ দেখা যায়। ওই সময় বাধ্যতামূলক কাজের প্রতি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এদের মধ্যে মানবতাবোধ ও প্রবল আকারে দেখা যায়। 
3.3.5.কৈশোরে জ্ঞানমূলক বৈশিষ্ট্য-
  1. এই স্তরে যুক্তিপূর্ণ বিমুর্ত চিন্তনের ক্ষমতা বিকাশ ঘটে।
  2. সততা,সত্যবাদিতা ইত্যাদি বিমুর্ত আদর্শকে ক্ষেত্র করে ধারণা গঠিত হয়।
3.4.কৈশোরের সমস্যা-
  1. যৌন চাহিদার দরুণ সমস্যা- কৈশোরের যৌন চাহিদা কি কেন্দ্র করে নানান রকম সমস্যা দেখা যায়। তারা স্বাভাবিক যৌন চাহিদা অনুযায়ী বিপরীত লিঙ্গের সংগীতের সঙ্গে মেলামেশা তাগিদ অনুভব করে।কিন্তু তার দরুন বয়স্কদের দ্বারা তিরস্কৃত হবার ভয় থাকে। কোন অঙ্গে পরিবর্তনের দরুন তাদের মনে নানান রকম প্রশ্ন সঞ্চয় হয়। কৌতূহলে দরুন তারা পরিবেশের সঙ্গে সংগতি বিধান করতে পারে না। সমস্ত যৌন জীবন যেন তাদের কাছে সমস্যার বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
  2. স্বাধীনতার চাহিদার দরুন সমস্যা- স্বাধীনতার চাহিদার কারণে এই সময় শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চায়। কিন্তু অভিভাবকের বাধায় তাদের এই চাহিদার অপূর্ণই থেকে যায় অনেক ক্ষেত্রে। তাদের মধ্যেই হীনমন্যতাবোধ জাগ্রত হয়।
  3. নিরাপত্তা চাহিদার দরুন সমস্যা- অভিভাবকদের আচরণে তারা অনেক সময় হ্মুন্ন হয়। নিজেদের দৈহিক মানসিক নিরাপত্তার অভাব অনুভব করে। নিরাপত্তার অভাবের দরুন তারা নানারকম অপসংগতি মূলক আচরণ করে থাকে,যেমন- বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া ,মিথ্যা কথা বলা।
  4. আত্মপ্রকাশের চাহিদার দরুন সমস্যা- গৃহ পরিবেশ যথার্থ না হওয়ায় কারনে অনেক সময় আত্মপ্রকাশের চাহিদা পরিতৃপ্ত হয় না। স্বাধীনতার অভাব হেতু অনেক সময়ই তারা বিভিন্ন হ্মেত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে না। ফলে তারা আড়ালে অনেক সময় অপ্রত্যাশিত কাজ করে ফেলে।
  5. জ্ঞানের চাহিদা দরুন সমস্যা- জ্ঞানের আকাঙ্ক্ষা এই সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যায়। তারা সমস্ত কিছু জানতে চায় কিন্তু এই চাহিদার পরিতৃপ্তির না ঘটলে তাদের মধ্যে মানসিক উদ্বিগ্নতা দেখা যায়। আবার অনেক সময় তারা জ্ঞানের চাহিদার দ্বারা প্রমাণিত হয়ে অশ্লীল বই পড়ে ফেলে তাদের মধ্যে নানান সমস্যা সঞ্চয় করে।
  6. দুঃসাহসিক চাহিদার দরুন সমস্যাা- এই সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানান দুঃসাহসিক অভিযান আকাঙ্ক্ষা থাকে। ফলে অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করেই তারা অনেক সময় তাৎক্ষণিক নানান কাজ করে ফেলে যার কুপ্রভাব তাদের সারাজীবন বহন করে চলতে হয়। এই সকল কাজে বাধা ঘটলেও তারা মানসিক কষ্ট পায়।
  কৈশোরের এই সকল কোনো না কোনো চাহিদা কে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়। দৈহিক,মানসিক,সামাজিক নানান চাহিদা শিক্ষার্থীকে আলোড়িত করে তোলে। এই সময় কালকে "ঝড় ঝঞ্ঝার কাল" বলা হয়।

4.অপসংগতি মূলক আচরণ- 
4.1.ভূমিকা- 
ব্যক্তি যখন তার চাহিদা অনুযায়ী পরিবেশের সঙ্গে সংগতি বিধান করতে পারে তখন তার প্রাক্ষোভিক ভারসাম্য বজায় থাকে এবং তার মানসিক সংগঠনের বিকাশ হয়। এই ধরনের সংগতি বিধানের জন্য কখনো পরিবেশের পরিবর্তন করা প্রয়াস হয়ে পরে আবার কখনো বা নিজের চাহিদার সংশোধন করতে হয়। এইভাবে ব্যক্তি তার নিজের চাহিদা গুলিকে সমর্থক ভাবে পরিতৃপ্তি করতে পারে। কিন্তু যে ব্যক্তি জীবনের প্রাথমিক চাহিদা গুলিকে পরিতৃপ্ত করতে ব্যর্থ হয় তার মধ্যে প্রাক্ষোভিক অসাম্যাবস্থা দেখা যায়। কার মধ্যে মানসিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এই অবস্থাকে বলা হয় অপসংহতি।
   অপসংগতি ব্যক্তি জীবনের একটি জটিল সমস্যা। অপসংগতির কারণ হিসেবে কয়েকটি উৎসের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এই উৎস গুলি কে নিঃসন্দেহে জীবনের চাপ বা পরিবেশের চাপ যে কারণে অপসংগতি ঘটেছে। সেই কারণ গুলিকে মূলত ব্যক্তিগত, ও শিক্ষাসংক্রান্ত।
সুস্থ-স্বাভাবিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তির সবসময়ই অভিযোজন সক্ষম হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীর নানান কারণে সংগতি বিধানে ব্যর্থ হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই তাদের আচরণগত অপসংগতির লক্ষ্য করা যায় এবং তারা পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়। সংগতি বিপরীত অবস্থানে করা তাদের মধ্যে ওই সময় বিভিন্ন অসংগতি মূলক আচরণ সম্পাদনের প্রকাশ তৈরি হয়।
4.2.বিভিন্ন প্রকার অপসংগতিমূলক আচরণ-
  1. বিদ্যালয় পলায়ন
  2. মিথ্যা কথা বলা
  3. চুরি করা
  4. উৎকণ্ঠা বা দুশ্চিন্তা
  5. আতঙ্ক 
  6. ভীরুতা
  7. অন্যের ক্ষতি করা 
  8. মারামারি ও ঝগড়া
  9. অপসারণ
  10. সর্বদা চুপচাপ করে বসে থাকা
  11. হীনমন্যতা
  12. বদমেজাজি
  13. সহপাঠীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া ও খেলাধুলা না করা
  14. আক্রমণ ধর্মিতা
  15. নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা
4.3.অপসংগতিমূলক আচারণের শ্রেণীবিভাগ-
অপসংগতিমূলক আচরন কি মূলত চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা-
১. মৃদুভাবাপন্ন অপরাধ- শিশু অনেক সময় এমন কতগুলি আচরণ করে যেগুলি সমাজের চোখে বা আইনের চোখে অপরাধ হলো পরিবেশে সামান্য পরিবর্তন বা পিতা মাতা ও শিক্ষণের সহানুভূতি ব্যবহারের দ্বারা শিশুর এই সমস্ত আচরণকে দূর করা যায়। এই জাতীয় অপরাধগুলিকে মৃদুভাবাপন্ন অপরাধ বলা হয়।
২. শারীরিক তত্ত্বসুলভ অপরাধ- সামরিক গঠন, সামরিক পীড়া রক্তে শর্করার স্বল্পতা,হ্মীণ বুদ্ধিতা,উন্নত বুদ্ধিতা , অন্ডোক্রিপ গ্রন্থি অস্বাভাবিক ক্রিয়াশীলতা প্রভৃতি কারণে শিশুরা কিছু কিছু অপরাধমূলক কাজ করে। জাতীয় অপরাধ কে বলা হয় শারীরিক তত্ত্বসুলভ অপরাধ।
৩. মনোবিজ্ঞান মূলক অপরাধ-পরিবেশের চাপে শিশুদের মধ্যে মানসিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে সেই দ্বন্দ্বের সমাধান করতে শিশুরা যে সকল অপরাধ করে তাকে মনোবিজ্ঞান মূলক অপরাধ বলে।
৪. মনোবিকার মূলক অপরাধ- শিশু সামাজিক বিরোধী আচরণের পেছনে যখন কোন সামাজিক বিকাশ বর্তমান থাকে তখন শিশুর ওই আচরণকে মনোবিকার মূলক অপরাধ বলে।

4.4.অপসংহতিমূলক অপরাধ কারন- 
শিশুর অপরাধের কারণ গুলিকে ৫টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন-
  A.পরিবেশগত কারণ - শিশুর পরিবেশ সাধারণত ৩ প্রকার।যথা- ক. গৃহ পরিবেশ,খ. বিদ্যালয় পরিবেশ, গ. বৃহৎ সামাজিক পরিবেশ।
      ক. গৃহ পরিবেশ - নিম্নলিখিত কারণে গৃহপরিবেশ জনিত কারণে শিশুরা অপরাধ প্রবণ হয়ে ওঠে।
  1. অবহেলিত ও প্রত্যাহ্মান শিশু- শিশু যদি পিতা-মাতার মধ্যে ভালোবাসা,যত্ন ও মনোযোগ থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে সে তার এই অতি প্রয়োজনীয় চাহিদাটি পরিতৃপ্ত করার জন্য নানা প্রকার অপরাধমূলক আচরণ করে থাকে।
  2. অতিরিক্ত আদর ও মনোযোগ- শিশুকে অতিরিক্ত আদর ও মনোযোগ দিলে তার ব্যক্তিত্বের সুষ্ঠ বিকাশ ব্যাহত হয়। ফলে এইসব শিশুরা বেশিরভাগ সময় অপরাধ প্রবন হয়ে ওঠে।
  3. বৈষম্যমূলক আচরণ- পিতা-মাতার বৈষম্যমূলক আচরণ শিশুর মধ্যে তীব্র আত্ম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে এবং কাল ক্রমে সে অপরাধ প্রবণ হয়ে ওঠে।
  4. শৃঙ্খলার অভাব-পরিবারের শৃঙ্খলা হীনতা শিশুদের স্বেচ্ছাচারী করে তোলে। ফলে তাদের মধ্যে আচরণে অসঙ্গতি ও অসামাজিক হয়ে ওঠে।
  5. পীড়নমূলক শৃঙ্খলা- কঠোর ও কিরণ মূলক শৃঙ্খলা শিশুর আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা বোধকে ক্ষুন্ন করে। সে তখন অপরাধ ও অসামাজিক আচরণের মধ্যে দিয়ে তার অবদষিতা অহংসতার যুক্তি খোঁজে।
  6. ভিন্ন পরিবার- ভগ্ন পরিবার অর্থাৎ যেসব পরিবারে বাবা মা সব সময় ঝগড়া করে। কোনো বোঝাপড়া নেই বা দুশ্চরিত্র মদ্যপ পিতা স্বার্থপর উদাসীন মার জন্য যে পরিবারে শান্তি নেই অথবা মৃত্যু বা বিবাহ বিচ্ছেদ বা অন্য কোনো কারণে শিশু অল্প বয়সে তার মাকে কিংবা পিতাকে হারিয়েছে, সেই সব পরিবারের শিশুরা খুব সহজেই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
  7. পরিবারে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা-নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বোধের অভাব থেকে এবং উচ্চবিত্ত পরিবারের শিশুরা অতিরিক্ত প্রাচুর্য থেকে নানান রকম অপরাধ মূলক আচরণ করে থাকে। পরিবারের শৃঙ্খলা থাকলে অল্প বোধ বা প্রাচুর্য কোন তাই শিশুকে অপরাধী করে তুলতে পারে না।
   খ. বিদ্যালয় পরিবেশ- অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠার মূলে বিদ্যালয় নিম্নলিখিত ত্রুটিগুলি উল্লেখযোগ্য।
  1. অনুপযোগী পাঠক্রম- সুক্রম শিশুর বয়স ও চাহিদা এবং সামর্থ্য অনুযায়ী না হলে শিশুর মধ্যে অসন্তোষ ও অতৃপ্তি দেখা দেয়। ফলে সে তখন নানান ও সামাজিক আচরণের মধ্যে দিয়ে তার মানসিক তৃপ্তি তা খুঁজে বেড়ায়।
  2. অবৈজ্ঞানিক শিক্ষণ পদ্ধতি- বিদ্যালয় শিখন পদ্ধতি মনোবিজ্ঞান সম্মত অর্থাৎ শিশুর চাহিদা, কচি সামর্থ্য অনুযায়ী নাহলে শিশু সুস্পষ্টভাবে শিক্ষা লাভ করতে পারে না। ফলে তার মধ্যে দেখা দেয় ব্যর্থতা, নিজের সাপেক্ষ হীনমন্যতাবোধ এবং অপরাধের প্রবণতা।
  3. পীড়নমূলক শৃঙ্খলা- বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কঠোর ও পীড়নমূলক হলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং তার মৌলিক চাহিদা গুলি  অতৃপ্ত থাকে। ফলে তারা সামাজিক ও অবাঞ্ছিত আচরণের মধ্য দিয়ে তাদের প্রক্ষোভ ও চাহিদাগুলি তৃপ্ত করার চেষ্টা করে।
  4. অসামাজিক পরিবেশ- বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও অসামাজিক রূপে শিশুর মধ্যে সামাজিক বিচার-বুদ্ধি গড়ে উঠবে না ফলে তারা অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ে।
  5. সহজ পাঠ্য ক্রমিক কার্যাবলীর অভাব-বিদ্যালয় সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকলে শিশুর প্রাক্ষোভিক বিকাশ ঠিক মতো হয় না। ফলে শিশু তখন অসামাজিক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে তার নিরুদ্ধ প্রক্ষোভকে ব্যক্ত করতে হয়।
    গ. বৃহত্তর সামাজিক পরিবেশ- শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে বিদ্যালয় ছেড়ে বৃহত্তর ও সামাজিক পরিবেশে প্রবেশ করে। যদি সে কোন অপরাধ প্রবণ ব্যক্তি বা দলের দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে তার বিকাশমান প্রক্ষোভন থেকে নানান প্রকার বিবৃতি ও অবাঞ্চিত ধারণার জন্ম হয় এবং সেগুলিকে শিশুকে অপরাধমূলক কাজে স্থান পায়।

B. সামাজিক কারণ-
  1. সামাজিক বিশৃঙ্খলা-সমাজে নীতিগত আদর্শ সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতি না থাকলে সমাজ গঠনে মৌলিক সূত্রাবলী দুর্বল হয়ে পড়ে যা আদর্শ হীনতার রূপ নিয়ে শিশুর মনে প্রতিকথিত হয়। তরুণ সমাজের শিশুরা খুব সহজেই অপরাধী হয়ে পড়ে।
  2. যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধোত্তর অবস্থা- যুদ্ধ, অন্ত বিপ্লব, দুর্ভিক্ষ, মহামারী,প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথনৈতিক  অবনতি, সুশিক্ষা, বহিঃ শত্রু আক্রমণ, প্রভৃতি কারণে সমাজ জীবনে বিপর্যস্ত হলে সমাজে নৈতিক চরিত্র নষ্ট হয় এবং সমাজে অপরাধপ্রবণতা মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
  3. স্থানচ্যুতি-দেশ বিভাগ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, দুর্ভিক্ষ মহামারী ইত্যাদি কোন কারণে স্থানাচ্যুতি ঘটলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয় এবং সে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ফলে এরা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়।
  4. অবস্থাহীন মূল্যবোধ- সমাজের পরিবর্তনের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে এবং জীবনের প্রচলিত মূল্যবোধের প্রতি মানুষের আস্থা হারায়। এই সময় প্রাপ্ত বয়স্কদের আচরণের সংগতি যে অভাব দেখা দেয় এর দ্বারা শিশুরা বিভ্রান্ত হয় এবং তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা সৃষ্টি হয়।
C . মনোবিজ্ঞানী কারণ-
  1. স্বল্প বুদ্ধি- বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে মনোবিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে শিশু অপরাধীদের বেশিরভাগই স্বল্প বুদ্ধি সম্পন্ন। তাদের মতে , যেসব শিশুর বুদ্ধি কম তাদের অনুপ্রাণিত করে ভুল পথে চালনা।
  2. ব্যক্তিত্বের সংগঠন- বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে যে, স্বাধীনচেতা, দায়িত্বহীন, সংসয়হীন, সন্দেহপ্রবণ, বহির্মুখী, সংগতি সাধনে অক্ষম এই রূপ ব্যক্তিত্ব যাদের সেইসব শিশুরা সাধারণত অপরাধপ্রবণ হয়ে থাকে।
  3. মানসিক রোগ-মানসিক অসুস্থতা অপরাধপ্রবণতা একটি অন্যতম কারণ। মানসিক রোগ আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত পিছিয়ে পড়া, প্রতিরোধ প্রবণ, সন্দেহপ্রবণ, আত্মকেন্দ্রিক, অসামাজিক এবং অনুশোচনা হীন। একা থাকতে ভালবাসি এবং নানান রকম অসামাজিক কাজ করে ফেলে।
  4. নিয়ন্ত্রনহীন প্রক্ষোভ- ভালোবাসার অভাব, শৃঙ্খলা, ইত্যাদি থেকে শিশুর মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ফলে তারা প্রহ্মোভ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এই আবেগের অস্থিরতার ফলে ও শিশুরা অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে।
D. বংশগত মূলক কারণ- কোন শিশু অপরাধ প্রবণ হয়ে জন্মায় না, উত্তরাধিকারী সূত্রে অনেক শিশুই অপরাধমূলক অনুকূল কতগুলি মানসিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। যেমন-
  1. বংশগত ব্যাধি-যক্ষা হাঁপানি মিরগি প্রভৃতি ব্যাধি গ্রস্ত পিতা-মাতা-সন্তানেরা সাধারণত জন্মগতভাবেই এইসব ব্যাধি নিয়ে জন্মায়। ফলে জন্মের পর থেকেই এই সব শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষুন্ন হয়। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা দেখা যায়।
  2. বুদ্ধি- হ্মীন বুদ্ধিসম্পন্ন পিতা-মাতা-সন্তান এরা সাধারণত হ্মীন বুদ্ধি নিয়েই জন্মায়। তাদের শিক্ষক ইচ্ছা শক্তি দুর্বল হওয়ায় এরা অনেকের দ্বারা সহজেই প্ররোচিত হয়। এরা ন্যায় অন্যায় বিচার করতে পারে না। ফলে সহজেই অপরাধ মূলক আচরণ করে থাকে।
  3. মনঃ প্রকৃতি- অব্যবস্থিত চিত্ত পিতা-মাতার সন্তানেরাও সাধারণত অব্যবস্থিত চিত্ত হয়। শিশুদের বিচার বুদ্ধি বিবেচনা খুবই কম হয়। এরা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
E. জৈবিক কারণ-
  1. মস্তিষ্কে অবঘাত- মস্তিষ্কের ত্রুটি বা আঘাতের ফলে শিশুরা একগুঁয়ে হয়ে ওঠে এবং খুব জেদি হয়। এরা আবেগপ্রবণ এবং অসামাজিক হয়।
  2. ত্রপিলেপটিক- পরিবেশের চাপে শিশুর ত্রপিলেপটিক হলে মে আক্রমনাত্মক আচরণ করে।
  3. মাদক আসক্তি- মাদক সেবনের ফলে শিশুদের মধ্যে বাস্তব বোধ থাকে না। ন্যায় অন্যায় বিচার করতে পারে না। নিজের নেশার দ্রব্য  জোগানের জন্য যেকোনো অপরাধমূলক করতে এরা ভয় পায় না।
5.অপসংগতিমূলক কার্য প্রক্রিয়ার নির্বাচন-
এই কাজটি জন্য কৈশোর বয়স স্তরের.......... জন শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে।........................................... বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে। কোন কাজটি বিদ্যালয় পরিসরে মধ্যে করা হয়েছে। প্রশ্ন ও সাক্ষাৎকার এর পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের উপর প্রশ্নগুচ্ছ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণের কারণ জানার জন্য মুক্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে।

6.নমুনা প্রশ্নোত্তর পর্ব-
  • শিক্ষার্থীর নাম-
  • শিক্ষার্থীর বয়স-
  • শিক্ষার্থী শ্রেণি-
  • শিক্ষার্থীর কমিক সংখ্যা-
  • তোমার কি নিয়মিত স্কুলে আসতে ভালো লাগে? হ্যাঁ ( )/ না ( )
  • শিক্ষক শিক্ষিকারা তোমাদের পড়াশোনা ও পড়াশোনা বাইরে অন্যান্য কাজে কি উৎসাহ দেন? হ্যাঁ ( )/ না ( )
  • তোমাদের পাঠ্যক্রম কি তোমাদের কাছে কঠিন মনে হয়?
  • বিদ্যালয় কখনো তুমি কি একাকীত্ব বোধ করেছ? হ্যাঁ ( )/ না ( )
  • চাকরির কারণে তোমার কি প্রায়ই স্কুল বদল করতে হয়? হ্যাঁ ( )/ না ( )
  • বাবা এবং মা দুজনেই কি চাকরিজীবী ?
  • পিতা মাতা কি তোমাদের সাথে যথেষ্ট সময় কাটায়?
  • বাড়িতে অভিভাবকদের মধ্যে কি প্রায়শই দ্বন্ধ  লাগে ? হ্যাঁ ( ) / না ( )
  • তোমার বাড়িতে ভাইবোন অথবা ছেলেমেয়ে কাউকে কি কম বা বেশি গরুত্ব দেয়া হয়?
  • বিদ্যালয়ের বাৎসরিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে ভালো লাগে কি?
  • আশা অনুরূপ ফলাফল লাভ না করায়, তুমি কি হীনমন্যতায় ভোগে? হ্যাঁ ( )/ না ( )
  • মানসিক অশান্তি বা কষ্ট হলে কি করা উচিত?
  • সকল জাতি , সম্প্রদায়ের বন্ধুরা কি একসাথে খেলা করা উচিত? হ্যাঁ ( )/ না ( )
  • বাড়িতে বা বিদ্যালয় কেউ অতিরিক্ত শাসন করেন?
  • কারো উপর রাগ হলে তাকে মারধর করা উচিত? হ্যাঁ ( )/ না ( )
  • মিথ্যা কথা বলা কি উচিত? হ্যাঁ ( )/না ( )
  • প্রয়োজনে না অপ্রয়োজনে মিথ্যা কথা বলা কী উচিত?
  • বিদ্যালয় থেকে বিনা অনুমতিতে তুমি পালিয়েছে? হ্যাঁ ( )/ না ( )
  • বিদ্যালয় থেকে তোমার বন্ধুরা বিনা অনুমতিতে পালালে ,তখন কী তোমার পালাতে ইচ্ছা করে?
7.অপসংগতিমূলক আচরণের প্রতিকার - 
অপরাধ প্রবণতাকে দূর করতে হলে 5 ধরনের উপায়ে  অবলম্বন করতে হবে। এগুলির হল-
ক। প্রতিরোধমূলক পন্থা-  শিশুর মধ্যে যাতে প্রথম থেকেই অপরাধ প্রবণতা সৃষ্টি হতে না পারে, তার জন্য যে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয় তাকেই বলা হয় প্রতিরোধমূলক পন্থা। যেমন- 
  1. উন্নত গৃহপরিবেশ- শিশু যে গৃহ পরিবেশ মানুষ হবে, সেই পরিবেশটিকে সবদিকে থেকে স্বাস্থ্যসম্মত করে তুলতে হবে।পারিবারিক কোনো সমস্যাই যেন শিশুকে স্পর্শ না করে সেদিকে নজর রাখতে হবে ।
  2. পরিমিত শৃঙ্খলা- শিশুর প্রতি পিতামাতা এবং পরিবারের অন্য বয়স্কদের আচরণ হবে সুষম। অতিরিক্ত আদর ও অবহেলা দুই শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষুন্ন করে। সুতরাং পরিবারে পরিমিত শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
  3. মৌলিক চাহিদা পরিতৃপ্তি- পরিবারের মধ্যে যাতে শিশুর মৌলিক চাহিদা গুলো সঠিকভাবে তৃপ্ত হয় তার ব্যবস্থা করলে অনেকাংশেই অপরাধ প্রবণ তাকে দূর করা যাবে ।
  4. উন্নত বিদ্যালয় পরিবেশ- শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যকে অক্ষুন্ন রাখতে হলে বিদ্যালয় পরিবেশ উন্নত সমাজ ধর্মী করে তুলতে হবে।
  5. জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন- জীবনযাত্রার মান যদি উন্নত হয় এবং সামাজিক সংগঠন যদি সুসংহত হয় তাহলে শিশুর অপরাধ প্রবন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  6. পরিবর্তনশীল আদর্শ ও মানের স্বীকৃতি - যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমপরিবর্তনশীল আদর্শ ও মানকে স্বীকৃতি দিলে সেই সমাজের শিশুদের অপরাধ প্রবণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
  7. রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা- রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা যাতে শিশুর মনকে স্পর্শ করতে না পারে সেজন্য শিশুকে সবসময় সংগঠন মূলক কাজে যুক্ত রাখতে হবে।
  8. বয়স্কদের আদর্শ আচরণ- যে সমাজে প্রাপ্তবয়স্কদের সমাজের আদর্শ ও বিধিনিষেধের  প্রতি বিশ্বস্ত, সে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কম দেখা যায়।
খ। নিরাময় মূলক পন্থা- 
শিশু কোনো কারণে অপরাধ প্রবণ হয়ে পড়লে তার প্রকৃত কারণটি খুঁজে বার করে তার যথাযথ চিকিৎসা করার পদ্ধতিই হল নিরাময়মূলক পন্থা। যেমন- 
  1. পরিবেশের পরিবর্তন- প্রতিকূল পরিবেশের জন্য কোন শিশু অপরাধ প্রবণ হলে সেই পরিবেশের সংস্কার সাধন করতে হবে।
  2. গৃহ পরিবেশের উন্নয়ন-  ত্রুটিপূর্ণ গৃহ পরিবেশের জন্য শিশু অপরাধ প্রবণ হলে গৃহ পরিবেশের উন্নয়ন করতে হবে, অথবা শিশুকে আধ্যাত্বিক বিদ্যালয়ের রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
  3. অপসংগতি দূরীকরণ- যেসব ক্ষেত্রে সুষ্ট সংগতির অভাবে শিশু অপরাধ প্রবণ হয় যে সব ক্ষেত্রে শিশু যাতে সন্তোষজনক সংগঠিত স্থাপন করতে পারে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
  4. মানসিক চিকিৎসা- সাইকোথেরাপির সাহায্যে শিশুর মনের অবচেতনে স্তরে যে প্রহ্মোভ মূলক অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য অপরাধ প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। তার প্রকৃত স্বরূপ খুঁজে বার করে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
  5. সামাজিক অভিজ্ঞতা- সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান সামাজিক আদান-প্রদান যৌথ অভিজ্ঞতা সম্মিলিত কাজকর্ম ইত্যাদির মাধ্যমে শিশু তার মানসিক সুস্বাস্থ্য ফিরে পায়।
  6. খেলাধুলা ও অবসর বিনোদন- খেলাধুলা,অবসর বিনোদন সুষম খাদ্যে ইত্যাদি থেকে যেন শিশুর তার মানসিক তৃপ্তি খুঁজে পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। 
8.অপসংগতি মুলক আচরণের যুক্তিকতা- 
সম্পন্ন হবার পেছনে বেশকিছু যৌক্তিকতা লক্ষ্য করা যায়। সেইরকম এই প্রকল্পের গুলি হল
১. অপসংগতিমূলক আচরণে পর্যবেক্ষণ করা।
২. অপসংগতিমূলক আচরণ চিহ্নিতকরণ করা। ৩.অপসংগতিমূলক আচরণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিধান। ৪.শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ করা।
 
9.শিক্ষাক্ষেত্রে উপযোগিতা-
উক্ত প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে গিয়ে আমরা এই প্রকল্পটি সম্পর্কে নানান জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি। যেমন-এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে গিয়ে আমরা কৈশোরের সম্বন্ধে ধারণা গ্রহণ করেছি আবার কৈশোরের চাহিদা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপসংগতিমূলক আচরণ লক্ষ করেছি এবং সেই সম্পর্কেও বর্ণনা করতে পারি। সেই সঙ্গে অপসংগতিমূলক আচরণ এর কারণ ও প্রতিরোধ করার সম্পর্কেও ধারণা লাভ করতে পারি এটি আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে অপসংগতিমূলক আচরণ লক্ষ্য করা যায় তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভবপর হয়েছে উক্ত প্রকল্পটির মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে উক্ত প্রকল্প টি উপযোগিতা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়।

10.সিদ্ধান্ত গ্রহণ-
১. বিদ্যালয়ে কিশোরের বয়স মোট........ জন অসামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে। এদের মধ্যে.......... জন ছেলে ও........... জন মেয়ে। এটি বলা যায় মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে এই ধরনের আচরণের প্রবণতা বেশি থাকে।
২. প্রায় ৮-১০ রকমের অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ খুঁজে পাওয়া গেছে। যেমন-বদমেজাজি,স্কুল পলায়ন,চুরি করা, মিথ্যা কথা বলা,ঝগরা করা,ভীরুতা,লাজুক,কাউর সাথে কোন কথা না বলা ইত্যাদি। এগুলি ছেলে-মেয়ে উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়।
৩. এই কাজটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে বলা যেতে পারে স্কুল পালানো ও অন্যের ক্ষতি করা এই দুই অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি দেখা যায়।
৪. অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণের কারণ থেকে একথা বলা যায়, এই ধরনের আচরণের অধিকাংশ কারণই হলো পরিবার বা পারিবারিক গত কারণ এবং অধিকাংশ চাহিদা পূরণের জন্য ঘটতে দেখা যায়।

11.সীমাবদ্ধতা-
১. এক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দিষ্ট আচরণের ওপর পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
২. জল ও গ্রাম অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের মধ্যে থেকে নমুনা নির্বাচন করা হয়েছে। মফসহল, শিল্পাঞ্চল বা পার্বত্য অঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের নেওয়া হয়নি।
৩. সমীক্ষাটি একটি বিদ্যালয় করা হয়েছে ।
৪. মাত্র ছেলে ও মেয়েরাই নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গের নির্বাচন করা হয়নি।
৫. প্রকল্পটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে করা হয়েছে, কিন্তু পর্যাপ্ত সময় অভাবে আরো তথ্য সংগ্রহ করা হয় নি।

12.নিজেস্ব মতামত- 
এই প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা অপসংগতিমূলক আচরণ সম্পর্কে একটি ধারণার অবগত হলাম। অপসংগতিমূলক আচরন গুলি কিকি সেই বিষয়ক একটি ধারণা লাভ করলাম, সংগতি মুলক আচরণের কি কি কারণ হতে পারে তার সম্পর্কে ধারণা লাভ করা এবং সেই কারণ কে ভিত্তি করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সংক্ষিপ্ত ধারণা লাভ করলাম। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সমস্ত অসঙ্গতি মূলক আচরণ লক্ষ্য করলাম সেগুলিকে সনাক্তকরণ এবং তার কারণ অনুসন্ধান করা ও প্রতিকার করার সম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করলাম।
13.উপসংহার- 
এই কাজটি সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ সমূহ কি কি হতে পারে তার একটি উক্ত তালিকা পাওয়া গিয়েছে। এই ধরনের আচরণের কারণ শিক্ষার্থীদের সাক্ষাতকারের মাধ্যমে পাওয়া গিয়েছে। তবে কাজটি সম্পূর্ণ করতে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবাই নিজের বক্তব্য বলতে চায় না বা নিজের মনোভাব লুকাতে চায় বলে তাদের নিকট থেকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণের কারণ খুঁজে বের করা বেশ কঠিন ও সমস্যাপূর্ণ বিষয়। যে সমস্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীরুতা রয়েছে তাদের থেকে উত্তর পেতে প্রচুর সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়েছে। কিছু কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বিরক্তি বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েও কাজটি সম্পন্ন করা হলো। 


সূচিপত্র
১. ভূমিকা
২. উদ্দেশ্যাবলী
৩. কৈশোর
    ৩.১. কৈশোরে ভূমিকা
    ৩.২. কৈশোরের চাহিদা
    ৩.৩. কৈশোরে চাহিদার বৈশিষ্ট্য
    ৩.৪. কৈশোরে সমস্যা
৪. অপসংগতিমূলক আচরণ
    ৪.১. অপসংগতিমূলক ভূমিকা
    ৪.২. অপসংগতিমূলক আচরণ তালিকা
    ৪.৩. অপসংগতিমূলক আচরণের শ্রেণীবিভাগ
    ৪.৪. অপসংগতিমূলক আচরণের কারণ
৫. অপসংগতিমূলক কার্য নির্বাচন
৬. নমুনা পত্র
৭. অপসংগতিমূলক আচরণের প্রতিকার
৮. অপসংগতিমুলক আচরণের যৌক্তিকতা
৯. শিক্ষাক্ষেত্রে উপযোগিতা
১০.সিন্ধান্ত গ্রহণ
১১. সীমাবদ্ধতা
১২. নিজস্ব মতামত
১৩. উপসংহার
১৪. গ্রন্থাবলী
১৫. Appendix

CLICK HERE - 





Post a Comment (0)
Previous Post Next Post