Visit a school and find out the different measures/activities taken by school or Teachers for healthy mental health of the children by interviewing school teachers

Visit a school and find out the different measures/activities taken by school or Teachers for healthy mental health of the children by interviewing school teachers

 

VISIT A SCHOOL AND FIND OUT THE DIFFERENT MEASURES ACTIVITIES TAKEN BY SCHOOL OR TEACHERS FOR HEALTHY MENTAL HEALTH OF THE CHILDREN BY INTERVIEWING SCHOOL TEACHERS||একটি স্কুল পরিদর্শন করুন এবং স্কুলের শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে শিশুদের সুস্থ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য স্কুল বা শিক্ষকদের দ্বারা নেওয়া বিভিন্ন ব্যবস্থা/ক্রিয়াকলাপগুলি সন্ধান করুন

 BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION


Visit a school and find out the different measures/activities taken by school or Teachers for healthy mental health of the children by interviewing school teachers Practicum
Visit A School And Find Out The Different Measures/Activities Taken By School Or Teachers For Healthy Mental Health Of The Children By Interviewing School Teachers

(** ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

BENGALI VERSION -

একটি স্কুল পরিদর্শন করুন এবং স্কুলের শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে শিশুদের সুস্থ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য স্কুল বা শিক্ষকদের দ্বারা নেওয়া বিভিন্ন ব্যবস্থা/ক্রিয়াকলাপগুলি সন্ধান করুন 

1. ভূমিকা -

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।প্রতিটি মানুষ যেমন দৈহিক স্বাস্থ্য আছে,তেমনই মনের স্বাস্থ্যও আছে।শরীর ভালো না থাকলে মনের দিক থেকে অসুস্থ হয়ে পরে এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।শরীর ও মনের দিক থেকে সুস্থ অবস্থা ও পরিবেশের সাথে সুস্বাস্থ্য সংগতি বিধান করাকেই মানসিক স্বাস্থ্য বলে।মনোবিজ্ঞানীদের মতে মানুষের সকল উদ্দেশ্যামুখি।এই উদ্দেশ্যামুখি আচরণের মূলে রয়েছে কতগুলো চাহিদা,যা মানুষের বাস্তব জীবনের সকল সমস্যা ও সংকটের মেনে নিয়ে তার চাহিদাগুলোকে সংঘর্ষ ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন করতে পারে।তবে ইতিবাচক আবেগীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়। মানব তৃপ্তি লাভ হয় এবং সংগতি বিধান সম্ভব হয়।এই সার্থক সংগতি বিধানের মধ্যে দিয়েই মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা হয়।আর যদি কোনো কারণে মানুষ তার চাহিদাগুলো মেটাতে বা পরিতৃপ্তি করতে না পারে তবেই নেতিবাচক আবেগীয় অবস্থা দেখা যায়।এর ফলে প্রক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এই প্রহ্মোভেই মানসিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে।যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে মানুষের আচরণের মাধ্যমে।সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে মানুষের চাহিদা অর্জিত হলে পরিবেশের সাথে সংগতি বিধান সম্ভব হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা হয়।

2. মানসিক স্বাস্থ্যের উপাদান - 

মানসিক স্বাস্থ্য মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের।একদিক মানসিক হচ্ছে ব্যক্তির মনের ক্ষমতা,যার দ্বারা ব্যক্তি সমাজের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের উপাদান গুলি হল - 

              ১. সুস্থ রোগমুক্ত শরীর

              ২. ক্রিয়াশীল ও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি 

              ৩. আত্মনির্ভরশীলতা

              ৪. সচেতন ও মনোভাব 

              ৫. পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূর্ণ অংশগ্রহণ করা

              ৬. পারিবারিক সামাজিক ও জাতীয় কল্যাণের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা

3. মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ ও বৈশিষ্ট্য 

মানুষ যে কোনো সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।শরীরের সাথে মনের একটি অন্তর সম্পর্ক রয়েছে। শরীর ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না এবং মন ভাল না থাকলে শরীর ভালো থাকে না।পরিবেশের বিভিন্ন উদ্দীপকের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফলে আমাদের মনের কখনো কখনো উৎফুল্ল এবং কখনো কখনো দুঃখ ভাব ক্লান্ত হয়ে পড়ে।তাই সব সময় মানসিক দিক থেকে পুরোপুরি সুস্থ মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন বিষয়। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পন্ন বৈশিষ্ট্যগুলি হল -

  1. শারীরিক ও বৃদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ - শরীর ভালো না থাকলে মন ভালো থাকবে না।তাই মনকে ভালো রাখতে হলে অবশ্যই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।অন্যদিকে চারিপাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাবে চলার জন্য চিন্তা করার ক্ষমতা যুক্তি প্রয়োগ ও বিচার করার ক্ষমতা থাকা আবশ্যিক।
  2. আত্মবিশ্বাস - ব্যক্তির দৃঢ়চিত্ত ও আত্মবিশ্বাস হওয়ার মানসিক স্বাস্থ্যের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
  3. পরিস্থিতি মানিয়ে চলা - মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তিরা জীবনে কোথাও পিছুপা হয় না। তারা খুব দৃঢ় চিত্তের হয় মানসিক শক্তি কারণে তারা যে কোনো পরিবেশে মোকাবেলা করতে পারে। 
  4. পরিপূর্ণ আত্মতৃপ্তি - মানসিক স্বাস্থ্যের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো আত্মতৃপ্তি।ব্যক্তির পরিপূর্ণ আত্মতৃপ্তির হলো মানসিক স্বাস্থ্যের একটি লক্ষণ। নিজের চাহিদা সম্পর্কে সচেতন মানসিক স্বাস্থ্য অধিকারী ব্যক্তির চাহিদার মাত্রা সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকে অবাস্তব চাহিদা সৃষ্টি করে যে অসকি হতে চায়না আত্মমূল্যায়ন ক্ষমতার অধিকারী মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী সবসময় আত্মমূল্যায়ন করতে পারে অর্থাৎ তারা নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারে

4. মানসিক স্বাস্থ্যের উদ্দেশ্যাবলি -

  • কোন ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা রক্ষা করা।
  • শিশুকে সামাজিক পরিবেশের মধ্যে সুষম ব্যক্তিত্বের অধিকারী গড়ে তোলা। 
  • মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
  • বিপথগামী ব্যক্তিদের বাস্তব জীবনের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা।
  • ব্যক্তিগত ও পরিবেশ জীবন সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে সাহায্য করা।

5. মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বসমুহ -

১. সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য শরীরকে সুন্দর রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ,তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হল মনকে সুস্থ রাখা। ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সে দৈনন্দিন কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।

২. ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। ৩. পরিবার ও সমাজের সঙ্গে সংগতি বিধান করে চলতে পারে এবং স্বাভাবিক ও সুস্থ অভিযোজনের সক্ষম হয়। ৪. ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে আরও উৎপাদনশীল হয়ে ওঠে এবং নিজেরাও সমাজের উন্নয়নের আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।

6. মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় -

  1. নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া।
  2. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা।
  3. পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। 
  4. নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  5. শখের কাজ করা।
  6. নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা।
  7. কৃতজ্ঞ থাকা। 
  8. প্রিয়জনের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো।
  9. সক্রিয় থাকা।
  10. হ্মমা করা।

7. মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় বিদ্যালয়ের ভূমিকা - 

শিক্ষা প্রত্যক্ষ সংস্থা হিসেবে বিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।সমাজের প্রয়োজনেই একদিন যেমন বিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল,কাল ক্রমে সেটি আজ সংগঠিত সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। John Dewey বলেছেন "বিদ্যালয় হল একটি আদর্শ মার্জিত সুন্দর ও সুষম সমাজ"।যা ব্যক্তির সুষম বিকাশের লক্ষ্যে সমাজেরই প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলে।বিদ্যালয়ের জাতির অতীত ঐতিহ্য,কৃষ্ঠি বা অভিজ্ঞতাগুলিকে সংরক্ষণ করে এবং পরিকল্পিত পাঠ্যক্রমের মধ্যে দিয়ে এই সব অভিজ্ঞতা যথাযথ সঞ্চালন করে থাকে।সমাজজীবনের অগ্রগতি ধারাকে বজায় রাখে।এই সকল অভিজ্ঞতা দৈনন্দিন জীবনে সম্মুখীন হওয়ার নানান সমস্যার সমাধানে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।শিশুর সুসংহত ব্যক্তিত্ব বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তার মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার বিদ্যালয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।সেই গুলি হল -

      ১. মৌলিক চাহিদা - 

                  গৃহপরিবেশ হোক বা বিদ্যালয়ের পরিবেশই হোক যার মূল উদ্দেশ্যই হলো শিশুর অন্তর্নিহিত সত্ত্বার পরিপূর্ণ বিকাশে সাহায্য করা।আর এই বিকাশে সাহায্য করার অর্থ হলো মানুষের বিকাশকালীন উদ্ভূত ও বিভিন্ন ধরনের মৌলিক চাহিদার যথাযথ পূরণে সচেষ্ট হওয়া।এই চাহিদাগুলি জৈবিক (খাদ্য,বাসস্থান,প্রজনন), মানসিক (নিরাপত্তা,স্বাধীনতা,ভালোবাসা,আত্মস্বীকৃত, আত্মশ্রদ্ধা,আত্মপ্রকাশ,জীবনদর্শনের চাহিদা),সামাজিক (সামাজিক স্বীকৃতি,সামাজিক মর্যাদা,সামাজিক অন্তর্ভুক্ত) বিভিন্ন হতে পারে।তাই শিশুর এই চাহিদাগুলি বিদ্যালয় যথাযথভাবে পরিতৃপ্ত ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখা বিদ্যালয়ের প্রধান কাজ।

        ২. ভৌতিক পরিবেশ - 

                        শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ হলো একটি বিদ্যালয়ের আদর্শ ভৌতিক পরিবেশ গড়ে তোলা।লোকালয় কোলাহল থেকে দূরের শান্ত পরিবেশে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস যুক্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশের বিদ্যালয় স্থাপন করা উচিত।শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে আসবার পত্র,খেলার মাঠ সবকিছুই হবে শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশে সহায়ক।জাতি - ধর্ম - বর্ণ - লিঙ্গ - আর্থ-সামাজিক মর্যাদা ,প্রতিবন্ধী প্রভৃতি বিভিন্ন শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয় আসে।প্রত্যেক শিশুর সক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে।অর্থাৎ ব্যক্তির বৈষম্য নীতি অনুসরণ করে চলতে হবে।একজন আদর্শ শিক্ষক হিসাবে এই নীতি মেনে চলায় একান্ত প্রয়োজন।যাতে প্রত্যেক শিশু তার চাহিদা ও ক্ষমতা অনুযায়ী মনের খোরাক মেটাতে পারে। তবেই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।

           ৩. সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলী -

                        বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী যেমন;-  খেলাধুলা,গান-বাজনা,অভিনয়,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,সমাজসেবামূলক কাজ,বিতর্ক সভা,আলোচনা, শিক্ষামূলক ভ্রমণ ইত্যাদি শিশুদের বিভিন্ন ধরনের আগ্রহ বা চাহিদা পরিতৃপ্তি ঘটায়। সৃজনী শক্তির বিকাশ ঘটায়। শিশুদের বহুমুখী মানসিক চাহিদাকে পরিতৃপ্তি করার সুযোগ এনে দেয়।তাই সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীর যথাযথ ব্যবস্থা করার দিকে বিদ্যালয় কে নজর দিতে হবে।

             ৪. সুসম্পর্ক -

             বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিহ্মিকা,শিক্ষার্থী,অশিক্ষক কর্মচারী, অভিভাবক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক ব্যক্তিদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।এছাড়া যৌনশিক্ষা,নৈতিকশিক্ষা অবসর যাপনের শিহ্মা এগুলি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে।তাই বিদ্যালয় এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

              ৫. Tulsa project -

                          Tulsa project নামে আমেরিকা বহুল প্রচলিত শিক্ষা প্রকল্পটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের বিশেষভাবে সাহায্য করেছে।এই প্রকল্পের শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে ছেলেমেয়েরা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ পায়।এটি বিবেচনা কাজ করে। শিশুর অবদমিত ইচ্ছা,ক্রোধ,আবেগ,ঘৃনা বা মানসিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।তাই বিদ্যালয় কে বিবেচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

          ৬. শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে সার্বিক বিকাশ -

                   শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবেশের পরই বিদ্যালয় পরিবেশের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বিদ্যালয়ের কাজ এখন আর কেবল পুঁথিগত নয়,শিশুর সার্বিক বিকাশ সাধন করে বিদ্যালয়ের লক্ষ।আর এই সার্বিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন আদর্শ বিদ্যালয় পরিবেশ। শিক্ষকরাই বিদ্যালয় পরিবেশ রচনা করেন।তাদের ধ্যান-ধারণা ও ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করেই আদর্শ বিদ্যালয় পরিবেশ রচিত হয়। 

8. একজন শিক্ষকের বা শিক্ষিকার সুস্থ মানসিক স্বাস্থ্যের লহ্মণ -

আদর্শ বিদ্যালয় পরিবেশ রচনার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের নেতা হিসেবে শিক্ষকের বা শিক্ষিকার মানসিক সুস্থতা একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী না হয় তাহলে সামগ্রিকভাবে বিদ্যালয় শিখন প্রক্রিয়ায় বিঘ্নিত হবে।তাই শিক্ষক বা শিক্ষিকা কে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকার সুস্থ মানুষের স্বাস্থ্য কয়েকটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে-

  • শিক্ষকতা পেশার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব থাকা দরকার।শিহ্মন -শিখন প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিদ্যালয়,শিহ্মার্থীদের সকলের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন ও সহানুভূতি শীল হবেন। 
  • সহকর্মী ও অন্যান্য শিক্ষাকর্মী,অভিভাবক সকলের সঙ্গে মানবীয় সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
  • বিদ্যালয় গতানুগতিক পাঠক্রমের সঙ্গে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলী যেমন খেলাধুলা,গান-বাজনা,আবৃত্তি,নাটক,সামাজিক সেবা মূলক কাজ,বিতর্ক সভা,আলোচনা,প্রতিযোগিতা প্রভৃতির প্রতি আগ্রহ দেখাবেন।
  • নিয়মানুবর্তিতা,শৃঙ্খলাবোধ,দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকবেন। বিদ্যালয় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান।একথা সদা সর্বদা মনে রেখেই জাতির কৃষ্টি,সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের লালন পালন করার মতো মানসিকতা গড়ে তুলবেন।
  • সদা পরিবর্তনশীল সমাজ পরিবেশ ও সমসাময়িক জ্ঞান ভান্ডারের সঙ্গে পরিচিত হবার মানসিকতা অধিকারী হবেন।

9. বিদ্যালয় নির্বাচন - 

এই প্রকল্পটি করার জন্য আমি ............................................... বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করলাম।বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা পঠন-পাঠন করে। আমি এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিহ্মিকা, শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আমার প্রকল্পটি কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি।

বিদ্যালয় সম্পর্কে তথ্যাদি -

  • বিদ্যালয়ের নাম -
  • বিদ্যালয় ঠিকানা -
  • বিদ্যালয় ভ্রমণের তারিখ - 
  • বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা - 
  • বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার সংখ্যা -
  • বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সংখ্যা -
  • বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা -
  • বিদ্যালয়ে ভ্রমণকারী সদস্যগণের নাম -

11. পদ্ধতি - 

প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। যথা - interview method এবং questionnaire method। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মাধ্যমে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি এবং  তাদের কিছু open and closed Questionnaire প্রশ্ন দ্বারা তথ্য সংগ্রহ করা হলো।

নমুনা - ১

১. শিক্ষকের বা শিহ্মিকার নাম - 
২. শ্রেণিকক্ষে আপনার পঠন কোন বিষয় ?
উত্তর -
৩. শ্রেণিকক্ষে অথবা বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সময় মতো আসে ?

উত্তর -

৪. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা পড়া বুঝতে না পারলে কি প্রশ্ন করে ?

উত্তর - হ্যাঁ (  )/ না (  )

৫. শ্রেণিকক্ষে পঠনের সময় শিক্ষার্থীরা পঠন সবাই মনোযোগ দিয়ে শোনে ? 

উত্তর -  হ্যাঁ (  ) / না (  )

৬. শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীদের খারাপ আচরণ লক্ষ করেছেন ?

উত্তর -

৭. শ্রেণিকক্ষে কি আপনাকে শিক্ষার্থীদের বকাবকি করতে হয় ? 

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )  

৮. শ্রেণিকক্ষে  কি আপনাকে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দিতে হয় ? 

উত্তর - হ্যাঁ (  ) /  না (  ) 

৯. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা পড়া না পারলে কি মা বাবাকে জানানো হয় ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )

১০. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট কেমন হয় ?

উত্তর -

১১. বিদ্যালয় পঠন-পাঠন ছাড়া সহপাঠ কার্যাবলী হয় ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) /  না (  ) 

১২. বিদ্যালয়ের সহপাঠী কার্যাবলী তে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে ?

উত্তর - হ্যাঁ (  ) /  না (  )

১৩. বিদ্যালয় প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ? 

উত্তর - হ্যাঁ (  ) / না (  )

১৪. বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের পাশাপাশি খেলাধুলা করানো হয় ?

উত্তর -  হ্যাঁ (  ) / না (  ) 

১৫. শিক্ষার্থীরা পঠন-পাঠনের পাশাপাশি খেলাধুলা আগ্রহী আগ্রহী কি?

উত্তর -

১৬. শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানের জন্য শিক্ষকরা বা শিহ্মিকারা এগিয়ে আসে ?

উত্তর -  

১৭. বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?

উত্তর -  

১৮. বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোন ধরনের ক্লাসের ব্যবস্থা আছে কিনা ? 

উত্তর -

12.সামগ্রিক মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ -

গৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এবং শিক্ষকের সাক্ষাতকারের মাধ্যমে কিছু মূল্যায়ন পেলাম।যেমন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আচরণ,পঠন-পাঠনে মনোযোগিতা বিভিন্ন সমস্যা অভিভাবক দ্রুত সমাধান করা সম্পর্কিত তথ্য জানলাম।পর্যবেক্ষক গৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে, নির্বাচিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।যেমন - পঠন-পাঠনের সঙ্গে সঙ্গে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান,বার্ষিক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলী করা হয় এবং ভবিষ্যতে যাতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রক্ষা করতে পারে, তার জন্য বেশকিছু কর্মসূচি রয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।

13. উপসংহার - 

সুতরাং আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে, শিক্ষা জীবন বিকাশের ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার কাজই হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় গঠনমূলক পরিবেশ রচনা করা।যা সার্বিক বিকাশ পদ্ধতিতে ও স্বাস্থ্যকর করে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের মাধ্যমে শিশু তার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবেশের সঙ্গে সংগতি বিধানের প্রক্রিয়াটিকে কার্যকর করে থাকে এবং শিশুকে সুষম ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে সাহায্য করে। তবে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ভূমিকা অনেক, পিতা-মাতা ও শিক্ষকের কাজই উপযুক্ত অভিজ্ঞতা প্রদান ও চাহিদা পূরণের মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের বিকাশের পথ সুগম করা।

CLICK HERE -

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post