School visit to find out communication problem/apprehension in students

School visit to find out communication problem/apprehension in students

 

SCHOOL VISIT TO FIND OUT COMMUNICATION PROBLEM/APPREHENSION IN STUDENTS || শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের সমস্যা/ আশঙ্কা জানতে স্কুল পরিদর্শন

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION

School visit to find out communication problem/Apprehension in students practicum
School Visit To Communication Problem


(**ENGLISH VERSION PDF FILE BELOW THE ARTICLE BY PDF FORMAT)

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগের সমস্যা/আশঙ্কা খুঁজে বের করতে স্কুল পরিদর্শন 

BENGALI VERSION -

1.ভূমিকা-

ভাষা হলো মানুষের  পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের মাধ্যম। যোগাযোগ বা ভাষা সমস্যার ক্ষেত্রে বিদ্যালয় ভ্রমণ বা school visit গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি একদিকে যেমন কৌতুহল জনক তেমনি প্রয়োজনীয় বটে। ভ্রমণের দ্বারা অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। শিক্ষা কার্যক্রমে যোগাযোগ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরস্পরের অভিজ্ঞতা গুলি বিনিময় করে এবং উভয়ের সমৃদ্ধ হয়। বিদ্যালয় ভ্রমণকালে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ভাষার ভূমিকা বিভিন্ন বিদ্যালয় পঠন-পাঠন  এর ভাষার ব্যবহার ও সমস্যা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয়। বিদ্যালয় পরিভ্রমণের ফলে যে সমূহ প্রাপ্তি ঘটে তা বৃদ্ধি করে আত্ম-বিশ্লেষণের ক্ষমতা ও সমৃদ্ধি করে জ্ঞান ভান্ডারকে।

2. উদ্দেশ্যাবলি -

যে কোন কার্য সম্পন্ন করতে হলে সেই কার্যের উদ্দেশ্য আগে থেকে নির্বাচন করতে হয়, বিদ্যালয় ভ্রমণে "যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষাগত সমস্যা/ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সচেতনতা"- এই বিষয়বস্তুটি  নির্বাচনের পেছনে রয়েছে বেশকিছু উদ্দেশ্য সেগুলি হল-

১. বিদ্যালয় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে প্রসারের মুখ্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা।

২. শ্রেণিকক্ষে যোগা যোগের ধারণা বিভিন্ন রূপে এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা 

৩. সময়কালে প্রতিবেশী বিদ্যালয়ের শিক্ষার সম্মিলিত তথ্য সংগ্রহ করা।

৪. প্রতিবেশী বিদ্যালয় শিক্ষাদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা।

৫. শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগের সমস্যাগুলি নির্বাচন করা এবং কোন উপায়ে তা সমাধান করা যায়, তার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৬. বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্তর পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর পর্যবেক্ষণ করা।

৭. বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা।

৮. যোগাযোগের স্থাপনের ধারণা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা।

৯. যোগাযোগ প্রক্রিয়ার উপাদান ও যোগাযোগের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পারা।

১০. আদর্শ ভাষা শিক্ষকের শিক্ষকের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত হওয়া।

১১. বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ভাষা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা।

১২. শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে , তার সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা।

3. যোগাযোগ -

3.1 ভূমিকা -

যোগাযোগ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো 'Communication' , যা ল্যাটিন শব্দ 'Communists'এসেছে যার অর্থ যোগাযোগ। যোগাযোগ হল পারস্পরিক অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি গুলি বিনিময়ের মাধ্যম। শিক্ষা কার্যক্রমে যোগাযোগ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা গুলি বিনিময় করে এবং উভয়কে সমৃদ্ধ হয়।

যখন কেউ কোনো ভালো বা প্রতীক ক্রিয়া সম্পন্ন করে তখন তার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো সেই ভাবনাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তবে যোগাযোগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। যোগ প্রক্রিয়া টি নির্ভর করে যে উদ্দেশ্য যোগাযোগ করা হয় তার বিভিন্ন প্রকার কাজের উপর। সমাজে বেঁচে থাকার তাগিদে প্রত্যেক মানুষকেই অপরের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে চলতে হয়, তখন সেই ভাষার বিনিময়ের বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে ওঠে ভাষা। এই অর্থে বলা চলে আমাদের লিখিত মৌখিক সংকেত, ইশারা এবং শারীরিক সমস্ত অভিব্যক্তি ই যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষার কাজ করে। যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তথ্য, সংবাদ, আদেশ, নির্দেশ, সিদ্ধান্ত একে অপরের কাছে সঞ্চালিত করা হয়। এই প্রক্রিয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলা।

3.2 যোগাযোগের প্রকারভেদ -

যোগাযোগ করার অভিজ্ঞতা গুলিকে চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ,সেগুলি হল- 

ক.আন্তর ব্যক্তিগত যোগাযোগ 

যখন কোন ব্যক্তি তার নিজের সঙ্গে যোগাযোগ করে তখন তাকে আন্তর ব্যক্তিগত যোগাযোগ বলে।

যেমন- চিন্তা করা ডায়েরি লেখা ইত্যাদি।

খ.অন্তর ব্যক্তিগত যোগাযোগ 

কোন দুটি ব্যক্তির মধ্যে যোগাযোগ সম্পন্ন হয় তখন তাকে বলে অন্তর ব্যক্তিগত যোগাযোগ।

যেমন টেলিফোন এ কথোপকথন, সাক্ষাৎকার 

গ. দলীয় যোগাযোগ-

দলীয় যোগাযোগ বলতে বোঝায় দলীয় সদস্যদের নিজেদের মধ্যে এবং দলের সকল সদস্যদের সঙ্গে একে অপরের যোগাযোগ। 

যেমন কমিটি সমিতি ইত্যাদি

ঘ. গণযোগাযোগ-

এই যোগাযোগটি গ্রহণ করা হয় বৃহৎ জনসংখ্যার ক্ষেত্রে। যেমন রাজ দলের নেতার সভা, বেতার ও পোস্টাল যোগাযোগ ইত্যাদি।

3.3 যোগাযোগের উপাদান সমূহ -

ক। প্রেরক(শিক্ষক)

খ। গ্রাহক (শিক্ষার্থী)

গ। বার্তা (শিহ্মনীয়  বিষয়)

ঘ। মাধ্যম (ভাবা)

ঙ। প্রতিক্রিয়া 

3.4 বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষে যোগাযোগ ব্যবস্থা -

শ্রেণিকক্ষে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীর মিথস্ক্রিয়া কে বোঝায়। শ্রেণিকক্ষে যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তথা শিক্ষা উপর। সেই জন্য আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সাধারণত শ্রেণিকক্ষে দুটি উপায়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।

১.বাচনিক যোগাযোগ-

বাচনিক যোগাযোগের মূল উপাদান হলো ভাষা। প্রতিটি মানুষের ভাষার দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে এবং প্রতিটি সমাজ তার নিজস্ব ভাষা তৈরি করেছে। ভাষার সাহায্যে আমরা তিনটি উপায়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে থাকি।

ক। মৌখিক উপায়

খ। লিখিত উপায়ে

গ। মৌলিক ও লিখিত দুটি উপায়ে

উদাহরণস্বরূপ-কথা বলা ছবি আঁকা ইত্যাদি

২. অ-বাচনিক যোগাযোগ- 

কোন ভাষার প্রয়োগ না করেও যখন প্রেরক ও গ্রাহকের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন হয় তখন তাকে অবাচনিক যোগাযোগ বলে। অবাচনিক যোগাযোগ মূলত শ্রবণ জনিত প্রতিবন্ধী বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হয়। দারুন তো শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক মহাশয় বাচনিক যোগাযোগের পাশাপাশি অবাচনিক উপায় ও যোগাযোগ স্থাপন করতে হয়। ৩ উপায়ে অবাচনিক যোগাযোগব্যবস্থা সাপোর্ট করতে হয়।

ক। মুখমণ্ডলীয় অভিব্যক্তি 

খ। চোখের ভাষা

গ। শারীরিক ভাষা

উদাহরণস্বরূপ- অঙ্গভঙ্গি বা অঙ্গ সঞ্চালন ইত্যাদি। 

3.5 বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যাসমূহ- 

শ্রেণিকক্ষে ভাষায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি। অথচ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের মনোভাব তথা জিজ্ঞাসা শিক্ষকের কাছে সম্পূর্ণভাবে করতে পারে না। এমনকি নিজেদের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে স্থাপন করতে পারেনা। যার প্রধান কারণই হলো ভাষাগত সমস্যা, বোধগম্য তার প্রভাব, মানসিক সমস্যা প্রভৃতি। সমস্যাগুলি যোগাযোগের সমস্যা হিসাবে বিবেচিত করা হয়।

এই যোগাযোগ সমস্যা বাস্তবিক একটি জটিল সমস্যা। এই সমস্যার অপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সমাজে বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্নভাবে প্রান্তরে হয় এবং যার ফলে অর্থ -সামাজিক পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং সমাজের উপর হয় তাদের নেতিবাচক প্রভাব।

3.6 শিক্ষার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যার কারণসমূহ- 

১.অধিক শান্ত স্বভাব-  শিক্ষার্থীরা সর্বদা নিজেদের  মধ্যে গুটিয়ে রাখার মনোভাব দেখা যায়। ফলে তারা সকলের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্নভাবে রাখতে এবং তার সাথে অন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষকদের সুবিধামতো  যোগাযোগ স্থাপন করা হয়না।

২.লাজুক প্রকৃতির- এই ধরনের শিক্ষার্থীরা সাধারণত নিজের থেকে অন্য কারোর সাথে কথাবার্তা বলে না। ফলে সহজে অন্য কোন শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম বিচ্ছিন্ন হয়।

৩. স্বল্প বৌদ্ধিক দক্ষতা- যেসকল বিদ্যার্থীরা বুদ্ধি সম্পন্ন তারা বৌদিক্স তরে অসমতা দরুন অন্য সকল বিদ্যার্থীদের থেকে শিক্ষকের সঙ্গে সেইভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে না।

৪.স্বেচ্ছায় সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার প্রবণতা-শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল বিদ্যার্থীয় প্রকৃতি সমান হয় না। কেউ সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করে আবার কেউ নিজেকে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে ভালোবাসে। এক্ষেত্রে তারা অন্যের সাথে যোগাযোগ সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগে।

৫. অর্থ-সামাজিক বৈষম্য- নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা শিক্ষার্থীরা অনেক সময় বিত্তশালী পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যথাযথভাবে ভাব বিনিময় করতে পারেনা। কাদের মধ্যে যোগাযোগ প্রক্রিয়া আহত হয়।

৬. আত্মবিশ্বাসের অভাব- সময় শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের উত্তর জানা সত্ত্বেও শিক্ষকের প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিয়ে চুপচাপ হয়ে থাকে। এর একমাত্র কারণ হল নিজের উপর আত্মবিশ্বাস এর একান্ত অভাব। মা একটি অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে।

৭. জাতিগত কিংবা সাংস্কৃতিক বিভেদ- যে কোনো শিক্ষার্থীই জাতিগত কিংবা সাংস্কৃতিক গত দিক থেকে অন্যজন শিক্ষার্থীদের থেকে পৃথক। তাই তাদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ অন্যস্থ বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

৮.জাগতিরিক্ত-  আত্ম-সচেতনতা- তে সকল বিদ্যার্থী নিজেদের সম্পর্কে অত্যাধিক সচেতন তারা কোনো কিছু বলার আগেই নিজের সম্পর্কে অধিক ভাবে। ফলে কোন কারো সাথে শব্দের যোগাযোগ ঘটে না।  

৯.বাহ্যিক পরিবেশের সাথে পরিচয়ের অভাব- বাহ্যিক পরিবেশ অর্থাৎ শিক্ষার্থীর বিশেষ পরিবেশের বন্টনের পরিবেশের সাথে অভিযোজন ঠিকঠাক না হলে সে অন্যদের সাথে ঠিকঠাক ভাবে কথা বলতে পারেনা। ফলে তৈরি হয় যোগাযোগের সমস্যা।

১০. প্রস্তুতির অভাব-কোন বিশেষ বিষয়ে চর্চা বা প্রস্তুতির অভাব থাকলে শিক্ষার্থীকে হীনমন্যতায় শিক্ষা লাভ করতে হয়। ফলে ধীরে ধীরে সে ওই বিষয়ের এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারায় এবং যোগাযোগের সমস্যার সম্মুখীন হয়।

১১. পূর্বের ইতিহাস-কোন শিক্ষার্থী বিদ্যার্থী পূর্ব ইতিহাস তথা সুস্থ পারিবারিক অবস্থা তাকে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। এভাবে তার সুষ্ঠু যোগাযোগের রক্ষার কথা হয়ে ওঠে সমস্যা বহুল।

১২. বাড়ির পরিবেশ- শিক্ষার্থী সুস্থ ও সরল ভাবে গড়ে ওঠার জন্য বাড়ির পরিবেশের স্বাস্থ্যকর হবার আবশ্যক। উপরোক্ত পরিবেশের অভাবে একজন শিক্ষার্থী অন্যান্য শিক্ষার্থী থেকে যোগাযোগ রক্ষা করার বাধা দান করে।

১৩. মানসিক দুর্বলতা-যেসব শিক্ষার্থী ভাষা বিকাশের দুর্বল তারা স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়।

৩.৭ যোগাযোগ সমস্যা দূরীকরণের উপায় সমূহ-

প্রতিটি সমস্যাই রয়েছে একটি সুষ্ঠু সমাধানের পথ স্বাভাবিকভাবে যোগাযোগ সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে সমাধানের উপায় সেই উপায়গুলি নিচে বর্ণনা করা হলো।-

ক। মাতৃভাষায় শিক্ষাদান- একটি শিশু জন্মের পর থেকে যে ভাষায় কথা বলে সেটি তার মাতৃভাষা। বাসায় শিক্ষালাভে একজন শিশুর কাছে অত্যন্ত সুবিধাজনক। অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যালয়গুলিতে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান করা হয় না ফলে শিশুর বোধগম্যতা ও আয়ত্তীকরণ জনিত সমস্যায় ভোগে। উদাহরণস্বরূপ দেখা দেয় কমিউনিকেশন প্রবলেম। কমিউনিকেশন প্রবলেম কে দূর করার জন্য শিক্ষককে ওই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

খ। উচ্চারণগত সমস্যা সমাধান- একটি শিশু পরিবেশগত কারণে নানান শব্দ ভুল উচ্চারণ করে থাকে ফলে তার মনের ভাব সুন্দর ভাবে এবং সুষ্ঠভাবে প্রকাশ করতে অসমর্থ হয়। তাই শিক্ষকের উচিত শিশু উচ্চারণগত সমস্যা কে দূর করা এবং যাতে সে সহজে অন্য সকলের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে সেই দিকে দৃষ্টি দেওয়া।

গ। ভাষা শিক্ষা মূলক কর্মসূচি- বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে এবং বাস্তবে রুপায়ন করতে হবে। যোগাযোগের অন্যতম এবং প্রধান মাধ্যম হল ভাষা তাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ভাষা মূলক শিক্ষাদান করতে হবে।শিক্ষার্থীদের ভাষা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে যথাস্থানে সেগুলিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারে, এদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে হবে।

ঘ। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দান- পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে অগ্রগতি দান করতে হবে, তারা নিজস্ব গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে সকলের সাথে মিলেমিশে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। শিক্ষার্থীদের সামনে বিভিন্ন ব্যক্তিত্ববান মনীষীদের জীবনের অগ্রগতির কাহিনী তুলে ধরতে হবে যাতে তারা সেগুলো শুনে অসাধ্য সাধনের প্রেরণা লাভ করে। এইদিকে ও শিক্ষককে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে হয়।

৪.বিদ্যালয় ভ্রমণ প্রকল্প-

একটি সুপরিকল্পিত কাজের কিছু অংশ অথবা কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যে নির্দিষ্ট সময় ব্যবধান সম্পন্ন করা কাজ লিখিত সংরক্ষণের গ্রুপে করা হয় তাকে প্রকল্প বলে। অর্থাৎ কোন সমস্যা মূলক কাজ তার স্বাভাবিক ভাবে নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করা কি প্রকল্প বলে।

কোন বিদ্যালয় গিয়ে যখন সেখান থেকে নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি তথ্য করা এবং সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে যে কাজটি সম্পন্ন করা হয় তাকে বলা হয় বিদ্যালয় ভ্রমণ প্রকল্প।

৫.বিদ্যালয় ভ্রমন প্রকল্পের উদ্দেশ্যাবলী-

বিদ্যালয় ভবনের দাঁড়া শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা গুলি কে চিহ্নিত করন এবং সেই চিহ্নিত সমস্যাগুলিকে সমাধানের উপায়ে নির্দিষ্ট করা। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যাবলি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি আকারের বিভিন্ন দিক উঠে আসে। তখন তাদের মধ্যে ভাষাগত সমস্যা জনিত কারণ দেখা যায় এবং সেই সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হয়। বিদ্যালয় ভ্রমণে বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে সেগুলিকে নিচে বর্ণনা করা হলো।-

১. বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত ভাষার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা।

২. বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাষা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা।

৩. বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিতর্ক সভা আলোচনা সভা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে বিষয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।

৪. বিদ্যালয় ব্যবহৃত ভাষা সংক্রান্ত কার্যাবলী নথি ভুক্তি করণ করা।

৫. বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত শিক্ষা প্রণালী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।

৬. বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত প্রথম ভাষা বা আদর্শ ভাষাকে চিহ্নিতকরণ করা।

৭. বিদ্যালয় দ্বিতীয় ভাষা অবস্থানকে চিহ্নিতকরণ করা।

৮. বিদ্যালয় এর প্রথম ভাষা বা দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষনের পার্থক্য আছে কিনা তার জানার চেষ্টা করা।

৯. দ্বিতীয় ভাষা শিখনের জন্য পর্যাপ্ত বই আছে কিনা তা সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা করা।

১০. গ্রামীণ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বন্ধুসুলভ ও সহযোগিতা পুণ্য ব্যবহার আছে কিনা সেই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা।

১১. কোন কালে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া আয়োজনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে তথ্যসূচি সংগ্রহ করা।

১২. সর্বশেষ বলা যেতে পারে, বিদ্যালয় ভ্রমণ একটি আত্ম-সাংস্কৃতিক পদ্ধতি। যার সাহায্যে অন্য বিদ্যালয় সম্পর্কে তথ্য জানা সম্ভব হয়।

৬. বিদ্যালয় নির্বাচন-

বিদ্যালয় ভ্রমণ প্রকল্প এর পূর্বেই বিদ্যালয় নির্বাচন প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই প্রকল্পের জন্য এমন বিদ্যালয় নির্বাচনের প্রয়োজন যেখানে শিক্ষায়নের পরিবেশ। শিহ্মনের পরিবেশ এবং শিক্ষার পরিবেশ যথেষ্ট সুদৃঢ়।

1.বিদ্যালয় সম্পর্কিত তথ্যাদি

১.বিদ্যালয়ের নাম-

২.বিদ্যালয় ঠিকানা-

৩.বিদ্যালয় ভ্রমণের তারিখ-

৪.বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা-

৫.বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সংখ্যা-

৬.বিদ্যালয়ের প্রথম ভাষা শিক্ষক ও শিক্ষিকারা সংখ্যা-

৭.বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা-

৮.বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সংখ্যা-

৯.বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা-

১০.বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সংখ্যা-

১১.বিদ্যালয়ের প্রথম ভাষার পুস্তকের  সংখ্যা-

১২.বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ভাষার পুস্তকের সংখ্যা-

 (*নিজের প্রকল্পের নির্বাচিত বিদ্যালয়ের তথ্য লিখবেন)

2.বিদ্যালয়ের ভ্রমণকারী সদস্যগণ ( B.ed student's 5-6 জনের গ্ৰুপের সদস্যদের নাম)

ক।

খ।

গ।

ঘ।

ঙ।

৭. বিদ্যালয় ভ্রমণের পদ্ধতি বা কৌশল(Method)- 

ক। তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি- একটি বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে যোগাযোগ সংক্রান্ত কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় কিনা বিষয় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মূলত প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি(Questionnaire Method) এবং সাক্ষাৎকার পদ্ধতি (Interview Method) অবলম্বন করা হয়েছে।

খ। সংগৃহীত তথ্যের উপস্থাপনা-বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ সংক্রান্ত সমস্যা গুলি অনুধাবন করার জন্য প্রাপ্ত তথ্য গুলি নিম্নে বর্ণনা করা হলো-

(বি: দ্র: * তথ্য সমুহ টি একটি table format এ করতে হবে,যা ১০০% হিসাবে survey report ভিত্তিতে পূরণ করতে হবে।)

তথ্যসমূহ               ভালো (%)/মাঝারি (%)/খারাপ (%)

১. পাঠদানের ভাষা 

বুঝতে অসুবিধা হয় 

না হওয়া।

২.শিহ্মকের শিখনের 

ভাষা মাধ্যম আকর্ষণীয়তা।

৩.সহপাঠীদের উত্তর দানের 

ভাষা মাধ্যমের বোধগম্যতা।

৪.ভাব বিনিময়ে ভাষা সমস্যা।

৫.বিতর্কের ভাষা মাধ্যমের পরিচিত।

৬.ভাষা সংক্রান্ত পঠন-পাঠনে 

সমস্যা না হওয়া।

৭.শ্রেণিকহ্মে শিহ্মক প্রদানের 

ভাষার বোধগম্যতা।

৮.মাতৃভাষার অর্জিত স্থানের 

বোধগম্যতা।

৯.দ্বিতীয় ভাষার অর্জিত জ্ঞানের

বোধগম্যতা।

১০.পাঠ্যপুস্তকের ভাষার বোধগম্যতা।

১১.গৃহভাষা অর্জনে অন্তরায়।

১২. আঞ্চলিক ভাষায় জন্য 

যোগাযোগ সমস্যা।

১৩.কিছু শিহ্মার্থীয় যোগাযোগের 

অভাব পৃথকীকরণ।

(বি: দ্র: * তথ্য সমুহ টি একটি table format এ করতে হবে,যা ১০০% হিসাবে survey report ভিত্তিতে পূরণ করতে হবে।)

৮. বিদ্যালয় ভ্রমণকারী দলের দ্বারা সমস্যার   নির্বাচন-

শিক্ষার্থীরা যখন কোন একটি বিদ্যালয় যাবে তখন তারা অবশ্যই সেই বিদ্যালয়ের ভালো দিক গুলি জানার চেষ্টা করবে এবং বিদ্যালয়ে ভ্রমণকালীন ভ্রমণ দলের সদস্যরা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলিকে চিহ্নিতকরণ করার চেষ্টা করবে। ভ্রমণে দুটি অর্থাৎ ভাষা সংক্রান্ত ও বোধ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যায়, নিচে সেই বিষয়গুলিকে আলোচিত করা হলো।

 ক।ভাষা সংক্রান্ত সমস্যা- 

বিদ্যালয় ভ্রমণ এর ধারণাটি তে ভাষার বিস্তৃতি সহায়ক, এই সকল সমস্যা চিহ্নিতকরণ করা হয় শুধুমাত্র ভাষার বিষয়ক সমস্যাগুলিকে তারা চিহ্নিত করবে। সেগুলি হল-

১. শ্রেণিকক্ষে পাঠ স্থানের ভাষা মাধ্যম।

২. শিক্ষকের শিহ্মনের ভাষা মাধ্যম।

৩.  শিক্ষার্থীদের উত্তর দেওয়ার মাধ্যম।

৪. শ্রেণী কক্ষে আয়োজিত মিথস্ক্রিয়া ভাষার মাধ্যম।

৫. শ্রেণিকক্ষে আয়োজিত বিষয়ক ভাষার মাধ্যম।

৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের অনুপস্থিতি ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের ভাব বিনিময়ের মাধ্যম।

৭. বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ভাষার ব্যবহারে উদাহরণস্বরূপ।

৮. ভিন্ন শ্রেণীতে পাঠরত শিহ্মার্থীদের ভাব-বিনিময়।

৯. নিজের শ্রেণীর সহপাঠীদের সাথে ভাষার ব্যবহার।

খ। বোধ সংক্রান্ত সমস্যা- 

অন্য বিদ্যালয় ভ্রমণের সময় ভাষা সংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিত করার সাথে সাথে বোধ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো কেউ শনাক্ত করতে হবে। বদ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিম্নলিখিত জানার চেষ্টা করবে।

১. পুস্তকের ভাষা পুরোপুরি বোধ আছে কিনা।

২. শিক্ষকের ব্যবহৃত ভাষা বোধ আছে কিনা।

৩. পাঠ্যপুস্তক এর ভাষার সাথে শিক্ষকের আঞ্চলিক ভাষার জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে বোধ আছে কিনা।

৪. বিদ্যালয়ের ভাষা এবং গৃহ ভাষা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের পথে কতটা অন্তরাল হয়েছে কিনা সে বিষয়ে বোধ নেওয়া।

৫. মাতৃভাষায় অর্জিত জ্ঞান কতটা বোধ আছে কিনা।

৬. দ্বিতীয় ভাষা অর্জিত জ্ঞানের বোধের স্থায়িত্ব তা আছে কিনা।

৭. বন্ধুদের মধ্যে শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা করে কিনা।

৮. শ্রেণিকক্ষে ভাষার জন্য পৃথক হয়ে আছে এমন শিক্ষার্থীকে সনাক্ত করা।

৯.শিক্ষকের সাথে সাক্ষাৎকার এর ফলে প্রাপ্ত তথ্য সমূহ-

বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বা শিক্ষিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকার এর ফলে প্রাপ্ত তথ্য সমূহ নিম্নরূপ হল- 

১. অধিকাংশ শিক্ষকের ভাষার দক্ষতা বিষয়ে উপর প্রশিক্ষণ নেই। তাদের পক্ষে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করা একটি সমস্যা।

২. বিদ্যালয় কোন ভাষার গবেষণাগার নেই।

৩. ভাষা শিক্ষার জন্য কোন বিশেষ ক্লাস এর সুবিধা নেই।

৪. দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষণের অধিকাংশই শিক্ষক আগ্রহী নন।

৫. বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি।

৬. বিদ্যালয়টিতে সময় তালিকার শ্রুতি লিখন, দ্রুত পঠন।

৭.অধিকাংশ শিক্ষক তাদের কথাবার্তায় সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে থাকেন।

৮. মাতৃভাষা শিখনে অধিকাংশ শিক্ষক সচেষ্ট থাকেন।

৯. শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি কারণে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। 

১০. বিদ্যালয় ভ্রমণ প্রকল্পের ভ্রমনকারী দলের দ্বারা সংগৃহীত তথ্যসমূহ -

ক। ইতিবাচক দিক- 

১. প্রতিবেশী বিদ্যালয়টি গ্রামীণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুবই পরিশ্রমী ও উৎসাহী।

২. দ্বিতীয় ভাষার শিক্ষার ক্ষেত্রে ৩০-৩৪% শিক্ষার্থী অর্থাৎ ১/৩ % শিহ্মার্থীর আগ্রহী।

৩. বিদ্যালয়ে প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের বিতর্ক সভা ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা প্রবল রয়েছে।

৪. বিদ্যালয় পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে আরো বেশ কিছু ভাষা বিষয়ক আমদানির করার প্রচেষ্টা রয়েছে।

৫. সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তথা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যেও উৎসাহ লক্ষণীয়।

খ। নেতিবাচক দিক-

১. গ্রামীণ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাষা সংক্রান্ত পুস্তক পাওয়া যায় না।

২. দ্বিতীয় ভাষা শিখনের ইচ্ছা বা আগ্রহ দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীদের নেই বললেই চলে।

৩. সংখ্যা অধিক হওয়ায় মিথস্ক্রিয়া সময় নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

৪. পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তেমন উৎসাহ দেখা যায় না।

৫. বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষিকার ও অনেক সময় উন্নয়নে উৎসাহ ধরে রাখার প্রবণতাটা কমতে থাকে বা অক্ষম হন।

১১. বিদ্যালয় ভ্রমণ প্রকল্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণ- 

১. বিদ্যালয়ের প্রায় সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তারা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

২. কাজটি করার পরে সাক্ষাৎকারের সমূহ বিশ্লেষণ করে শিক্ষক কর্তৃক বিজিত দশটি পদক্ষেপ এর উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে।

৩. কিছু শিক্ষকের এই বিষয়ে ধনাত্মক মদ পাওয়া গিয়েছিল, যা সামগ্রিকভাবে প্রায় সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা দিক প্রকাশ পায়।

৪. কোন কোন শিক্ষক এর মতে, বিদ্যালয় শিক্ষক এবং ছাত্রদের তুলনায় কম বলে সব শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষভাবে যত্ন করা তা বেশ কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়।

৫. প্রশিক্ষণ ব্যতীত শিক্ষকদের এ বিষয়ে সচেতনতা অপেক্ষাকৃত কম। 

১২.বিদ্যালয়ে ভ্রমণ প্রকল্পের সীমাবদ্ধতা- 

১. কেবলমাত্র একটি বিদ্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে ।

২. প্রকল্পে সময়ের অভাব রয়েছে। 

৩. ভাষা এবং যোগাযোগ সমস্যাগুলি তালিকা দ্রুত তৈরি করা বিদ্যালয়ের সমস্ত বিষয়ের উপর গুরুত্ব দান করা সম্ভব হয়নি।

১৩.উপসংহার- 

সর্বশেষে বলতে পারি, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখার জন্য সুস্থ বিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই কাজে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে গিয়ে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা ও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক সাক্ষাৎ দিতে রাজি হননি এবং তারা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে একদমই ওয়াকিবহাল নন। অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা জন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার অনেক পদক্ষেপ গুলি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েও কাজটি যথাযথ সময়ে সুসম্পন্ন করা হয়েছে।

**Appendix- Teacher survey sheet

                        Student survey sheet

                        Extra data(if you have)

                        Refference.

CLICK HERE -

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post