Critical Analysis Of Different Committee And Commissions On Education|| শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটি এবং কমিশনের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ
BENGALI VERSION||
Critical Analysis Of Different Committee And Commission On Education
BENGALI VERSION -
শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটি এবং কমিশনের সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ
1.ভূমিকা -
ভারতবর্ষে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল মূলত চিরাচরিত ও প্রথাগত। শিক্ষা ছিল শুধুমাত্র উঁচু শ্রেণি জন্য। শিক্ষা ব্যবস্থা জাত ধর্ম বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার জন্য ছিল না। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়কালে থেকে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের একান্ত জরুরি ছিল। তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় ছিল কিছু মানুষের জন্য, চিরাচরিত বা প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা ছিল। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় দেশীয় শিক্ষা কে প্রাধান্য দেওয়া হতো। তাই এই শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধন করা একান্ত দরকার ছিল। মহাবিদ্রোহের পরবর্তী সময় কাল থেকে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধন করেন জন্য বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরবর্তী সময় কালে বিভিন্ন ধরনের কমিটি ও কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি ও কমিশন এর উদ্দেশ্য ছিল জাতি-ধর্ম-বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ভারতবর্ষে শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন কমিশন ও কমিটি বিষয়বস্তু ছিল -
- বিদ্যালয় শিক্ষার লক্ষ্য।
- পাঠক্রম ও শিক্ষা বাহন।
- শিক্ষক - শিক্ষিকা ও শিক্ষার মান।
- গবেষণা।
- শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য,আবাসন,নিয়মানুবর্তিতা।
- উচ্চ শিক্ষা প্রশাসন।
- গ্রামীণ শিক্ষা সম্বন্ধীয় মতম গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ যেখানে স্থান পেয়েছে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সুপারিশ।
- ধর্ম শিক্ষা,নারীশিক্ষা,পেশাগত শিক্ষা প্রবর্তন করা।
- উচ্চশিক্ষার জন্য পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
2. শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের উদ্দেশ্যাবলী -
ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথাগত ও চিরাচরিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য শিক্ষাব্যবস্থা কমিটি ও কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি ও কমিশন এর গঠনের পেছনে বিভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।এই উদ্দেশ্য গুলি হল -
- শিক্ষাব্যবস্থার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের দেশের রাজনৈতিক শাসনতান্ত্রিক সংক্রান্ত বিষয় নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে সহায়তা করা।
- শিক্ষার মান এমনভাবে উন্নতি করতে হবে যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থী জাতীয় সংস্কৃতির যোগ্য প্রতিনিধি হতে পারে এবং সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা যেন স্থায়ী অবদান রাখতে পারে।
- শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে শিহ্মার্থীর জাতীয় সংস্কৃতি উপলব্ধি করে তাকে সংরক্ষণ ও সম্প্রসারন দ্বারা ভারতীয় সংস্কৃতির মূল ভাবনা গ্ৰহন ও বর্জন করতে পারে।
- শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা করার শক্তি অর্জন ব্যবস্থা করতে হলে জীবনের জিজ্ঞাসার উত্তর অন্বেষণ এবং নানা দিকে তাদের গবেষণার ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করার ব্যবস্থা করতে সহায়তা করে।
- মানববিদ্যা চর্চার উদ্দেশ্যে সাধারণ শিক্ষা যান্ত্রিক শিক্ষা বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রভৃতি নানা ধরনের শিক্ষার মান উন্নয়নের ধারা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
- শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম উদ্দেশ্য হল চারিত্রিক উন্নতির জন্য শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বসাহিত্যে লিপিবদ্ধ থাকার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার সুযোগ পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে এবং যাতে তারা নৈতিক মূল্যবোধ ও মনুষ্যত্বের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়।
- শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা, স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষমতা, মানুষের সৌভ্রাতৃত্বের প্রভৃতি মানবিক গুণ বিকাশ সাধন করা।
- নতুন সমাজ গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাজ দর্শন সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি করা এবং সমাজের চাহিদা অনুসারে শিক্ষার্থীদের সুশৃংখল সমাজব্যবস্থা সৃষ্টি করা।
- শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো সকলের জন্য শিক্ষার সমান অধিকার প্রদান করা।
- পুঁথিগত পাঠের সঙ্গে সহপাঠ্যক্রমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন করা।
- শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো মাতৃভাষায় শিক্ষাদান করা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক উন্নতি সাধন করা।
- গ্রামীণ উন্নতির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কৃষিবিদ্যা শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
- প্রযুক্তিবিদ্যার আধুনিক বিশ্বের রূপ পাল্টে দিয়েছে জাতি বিকাশ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম উপায় হল কারিগরি শিক্ষা। উচ্চস্তরের কারিগরি শিল্প ব্যবস্থা শিক্ষাব্যবস্থায় করতে হবে।
- এই শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হল বযস্ক শিক্ষা প্রর্বতন করা।
- নারী শিক্ষা সম্প্রসারণ এই শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য।
- ভারতবাসীর উচ্চশিক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়। এই সুপারিশ মতে লর্ড ডালহৌসি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলে। 1857 খ্রিস্টাব্দে 24 শে জানুয়ারি প্রথম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে এই বছরে বোম্বে ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন।
- শিক্ষাব্যবস্থায় পৃথক শিক্ষা বিভাগ গঠন করা হয়।
- নতুন নতুন মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- স্ত্রী শিক্ষার উন্নতি সাধন করা হয়।
- বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সরকারি সাহায্য দান করা হয়।
- প্রাথমিক শিক্ষাকে জনগণের শিক্ষা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং জীবন ঘনিষ্ঠ বিষয় সমূহের শিক্ষার মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ বিস্মৃতি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
- স্কুলগুলিতে প্রাথমিক শিক্ষা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে সেখানে দেশীয় স্কুল রয়েছে যেখানে সেগুলিকে সহযোগিতা প্রদান এবং সেগুলির মানোন্নয়নের ব্যবস্থা করতে হবে।
- প্রাথমিক শিক্ষাকে জন শিহ্মার সামগ্রিক ব্যবস্থার এই অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে, যেখানে শিক্ষা যাতে নির্দিষ্ট কৃত স্থানীয় অর্থের উপরের প্রায় এক চেটিয়া দাবি রয়েছে এবং প্রাদেশিক রাজস্বের উপর ও তার বড় রকমের দাবি আছে।
- পৌর ও স্থানীয় সাহিত্য শাসিত সরকার উভয়কেই স্বতন্ত্র স্কুল ফান্ড রাখতে হবে।
- পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধান, সম্ভবপর স্থানের নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন, গ্রামীণ পরিবারের সুবিধা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের অবস্থানের সময় নির্ধারণ ব্যবস্থা করা এবং ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা।
- উচ্চমানের মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাঠক্রম কে দুটি অংশে ভাগ করার পরামর্শ দেন।যথা- 'Course A' ও 'Course B'
- বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক নিয়োগ এবং গবেষণা গ্রন্থাগার ছাত্রাবাস পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি বিস্তৃত করা হবে।
- সিনেটে সদস্যসংখ্যা সীমাবদ্ধ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের 50 জনের কম বা 100 জনের বেশি খোলা থাকবে না এবং আজীবন সদস্য থাকতে পারবেন না, তাদের কার্যকালের হবে পাঁচ বছর। 100 জন সদস্যের মধ্যে 80 জন এই সরকার মনোনীত করবেন।
- পুরানো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি 20 জন এবং নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাঞ্জাব ও এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়) 15 জন করে নির্বাচিত ফেলো নেওয়া চলবে।এই ভাবে এই আইন সাহায্যে সিনেট নির্বাচনে নির্বাচিত সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট অনুমোদন লিপিবদ্ধ হবে এবং কলেজগুলো যাতে নিয়মিত পরিদর্শন হয় এবং অনুমোদনের পূর্বে সরকারি অনুমতি নেওয়া হয় সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয় যথেষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধি আসনের ব্যবস্থা করে সিন্ডিকেটকে আইনানুগ অনুমোদন দেওয়া হবে।
- সিনেটে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আইনকে কার্যে পরিবর্তন করতে না পারলে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধনের জন্য এমনকি নতুন নিয়ম কানুন প্রণয়ন ব্যাপার ও সরকারি কর্তৃপক্ষকে আইন সঙ্গত ক্ষমতা অর্পণ করা হবে।১৮৫৭ সালের আইনি সরকারকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নি।
- প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক সীমা নির্ধারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
- প্রতিটি শিক্ষার দায়িত্ব অনুশোচিত কলেজগুলি গ্রহণ করবে এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার দায়িত্ব পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।
- বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার পরীক্ষাগার ছাত্রাবাস খেলার মাঠ গড়ে তোলা হবে এবং প্রবেশিকা পরীক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ইন্টারমিডিয়েটে পরীক্ষার বিগত তিন বছরের ডিগ্রি কোর্সে পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়।
- উচ্চশিক্ষাকে দুটি শাখায় বিভক্ত করে ম্যাট্রিকুলেট স্তরের পরীক্ষা ব্যবস্থার থেকে ইন্টারমিডিয়েট কলেজ তৈরি করা যেখানে কলা বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিদ্যা,প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষা,শিহ্মক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। এই ইন্টারমিডিয়েট কলেজ গুলো এককভাবে পরিচালিত হতে পারে অথবা নির্বাচিত উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
- মাধ্যমিক ও ইন্টারনেট শিক্ষার জন্য একটি পর্ষদ গঠন করতে হবে এবং মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে এই পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ করবে। সম্ভবত +2 অথবা জুনিয়ার কলেজের ধারণা স্যাডলার কমিশনের লক্ষ করা যায়।
- উচ্চ বিদ্যালয় এর সঙ্গে ইন্টারমিডিয়েট স্তর কে যুক্ত করা এবং শিক্ষা পর্ষদ গঠন করে উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষা এবং ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা।
- প্রাথমিক শিক্ষার পাঠদান হবে চার বছরের।
- প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি হবে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং সরকারকেই প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের দায়িত্ব বেশি করে নিতে হবে।
- নমনীয় পাঠ্যসূচি গ্রহণ করা,যাতে সাক্ষরতা,স্বাস্থ্য শিক্ষা,স্বাস্থ্যচর্চা ও চরিত্র গঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
- মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যসূচিকে বহুমুখী করতে হবে যাতে এইসব বিদ্যালয়ে অধিক সংখ্যায় শিক্ষার্থীরা নিজ প্রবণতা অনুযায়ী পড়াশোনা করার সুযোগ পায়।
- শিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষাকে আরও কঠোর করা প্রয়োজন।
- স্ত্রীশিক্ষা আবশ্যিক করার জন্য কমিটি গুরুত্ব আরোপ করেন।
- উপযুক্ত বেতনে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করা, শিক্ষক-শিখনের ব্যবস্থা করা এবং রিচার্জ কোর্সের ব্যবস্থা করে শিক্ষকদের যোগ্যতা বৃদ্ধি করা।
- অপচয় ও অনুন্নয়নকে হ্রাস করার জন্য পাস-ফেলের কড়াকড়ি হ্রাস পায়।
- শিক্ষা ব্যবস্থা হবে এমন যেখানে 3-6 বছরের শিশুর জন্য প্রাক-প্রাথমিক ব্যবস্থা,6-11 বছরের শিশুর জন্য সার্বজনীন বাধ্যতামূলক এবং অবৈতনিক শিক্ষা,11-14 বছর বয়সের শিশুদের জন্য ওয়ার্ধার স্কিম অনুযায়ী উচ্চ-প্রাথমিক শিশুদের জন্য ওয়ার্ধার স্কিম অনুযায়ী উচ্চ- প্রাথমিক শিক্ষা অথবা মধ্য স্কুল শিক্ষা এবং এটাই হবে বিদ্যালয় স্তরে চূড়ান্ত পর্যায়।
- মহাবিদ্যালয় স্তর বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হবে। এই পাঠ্যসূচী এমনভাবে পরিকল্পনা করা হবে যে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষার শেষে যে কোনো শিল্প-কলকারখানা অথবা বাণিজ্যের নিজের পেশা বেছে নিতে পারে।এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারবে। সুপারিশে বলা হয়েছে উচ্চ-বিদ্যালয় শিক্ষা এবং ভর্তির সময় সীমা হবে 6 বছর।
- উচ্চ-বিদ্যালয় শিক্ষা হবে মূলত দুই ধরনের। a) একাডেমিক ও b) টেকনিক্যাল। ডিগ্রি শিক্ষা হবে ৩ বছরের জন্য কিছু নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। উভয় শিক্ষা পদ্ধতির উদ্দেশ্য হবে সর্বাঙ্গ সুন্দর শিক্ষার ব্যবস্থা করা যা সমাপ্ত করে পরবর্তীকালে নিজেদের জীবনে উন্নতি বিধান করতে পারে।উচ্চ-বিদ্যালয় শিক্ষাদানের মাধ্যমে হবে মাতৃভাষা।
- ২০ বছরের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক নিরক্ষরতা দূর করতে হবে।শিক্ষকদের প্রকৃত শিক্ষণের ব্যবস্থা করা,দৈহিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবস্থা থাকবে,সামাজিক এবং বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষাকেন্দ্র গুলোতে শিক্ষা বিভাগ সৃষ্টি করতে হবে।
- এই কমিটির সর্বপ্রথম সর্বাত্মক সুপারিশ শিহ্মার সর্বস্তরের শিহ্মার প্রাক্- প্রাথমিক, প্রাথমিক, উচ্চ-বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় একই সঙ্গের কারিগরি, বৃত্তিমূলক এবং পেশাগত শিহ্মায়,সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সমান সুযোগ কথা বলা হয়েছে।
- এই কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা পেশায়।বেতন ও পেশা সংক্রান্ত বিষয়ে অবগত হয়ে তারা মনে করেন এই শিহ্মা চাকুরি জনিত সমস্যা সমাধানে সহ্মম হয়। শিক্ষা সংক্রান্ত এই সুপারিশ স্বাধীন ভারতে শক্তিশালী ভিতের সূচনা করেছেন।
- বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্টারমিডিয়েট কলেজ মোট ১২ বছর শিক্ষা গ্রহণের পর ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অধিকার লাভ করবে।
- প্রত্যেক প্রদেশে অধিক সংখ্যক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ স্থাপন করতে হবে।
- বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের শেষে সমস্ত ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ভিড় না করে তার জন্য অধিক সংখ্যক বৃত্তি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান খুলতে হবে।
- 12 বছর বিদ্যালয় শিক্ষার লাভ করার পর ছাত্রেরা কলা ও বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য ইন্টারমিডিয়েট কিংবা তদনুরূপ কোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে।
- পাস কোর্সের গ্রাজুয়েটদের দুই বছর ও অনার্স কোর্সের গ্রাজুয়েটদের তিন বছরের পড়াশোনা করতে হবে।
- কলা ও বিজ্ঞান শাখাতে মাস্টার ডিগ্রীর নিয়ম-কানুনের মধ্যে সংগতি রাখতে হবে।
- অনার্সের ছাত্ররা এক বছর ও পার্শ কোর্সের ছাত্ররা দুই বছর পরে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করবে।
- পি.এইচ.ডি ডিগ্রির শিহ্মার কাল হবে দুই বছর।
- গ্রামীণ ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছেন।গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ে জনশিক্ষা,কৃষি গ্ৰামোন্নয়ন, সমাজ উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে।গ্রামীণ শিক্ষার নিম্ন স্তরে থাকবে বুনিয়াদি বিদ্যালয়,আর উচ্চস্তরে থাকবে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়।গ্রামীণ শিক্ষার কাঠামোর স্তর গুলি হল - (ক) আট বছর ব্যাপী নিম্ন ও উচ্চ বুনিয়াদি শিক্ষাস্তর। (খ) তিন বা চার বছর ব্যাপী মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর বা উত্তর বুনিয়াদি শিক্ষাস্তর। (গ) তিন বছরের কলেজ শিক্ষাস্তর।(ঘ)দু বছরের স্নাতকোত্তর শিহ্মাস্তর।
- প্রাথমিক বা নিম্ন বুনিয়াদি শিক্ষা চার অথবা পাঁচ বছর।
- মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে থাকবে দুটি শিক্ষাস্তর।(i) নিম্ন মাধ্যমিক ৩ বছরের জন্য,(ii)উচ্চ মাধ্যমিক ৪ বছরের জন্য।
- কমিশন বলেন, তৎকালীন দুই বছরের ইন্টার মিডিয়েট স্তরকে তুলে দিয়ে ওই স্তরের একবছর কে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের সঙ্গে যুক্ত করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পরিণত করতে হবে।আবার ইন্টার মিডিয়েট স্তরের বাকি এক বছর ডিগ্রি স্তরে যুক্ত করে তিন বছরের ডিগ্রী কোর্স চালু করতে হবে।
- যারা প্রাক্ বিশ্ববিদ্যালয় কোর্স বা উচ্চতর মাধ্যমিক কোর্স শেষ করবে তারাই পেশাগত শিক্ষার কলেজে ভর্তি হতে পারবে।আবার বৃত্তিমূলক শিক্ষার কলেজগুলিতে এক বছরের প্রাক্ বৃত্তিমূলক কোর্স চালু করতে হবে।
- যে সব অঞ্চলে সুযোগ রয়েছে সেই সব অঞ্চলে বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।এই বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের রুচি, প্রবণতা অনুযায়ী পড়ার সুযোগ পাবে।
- পৃথকভাবে বা বহুমুখী বিদ্যালয় গুলির সঙ্গে কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।কারিগরি বিদ্যালয় সঙ্গে কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।কারিগরি বিদ্যালয় শিল্পসমৃদ্ধ এলাকায় স্থাপন করা প্রয়োজন।এই বিদ্যালয়গুলিতে বিভিন্ন শিল্পের সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে।
- প্রত্যেক রাজ্যেই গ্রামাঞ্চলে কৃষি বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।এই বিদ্যালয়গুলিতে উদ্যান নির্মাণ, পশুপালন ও কুটির শিল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার।কিছু গ্রামীণ কলেজেও এই সমস্ত বিষয়ের শিক্ষার সুযোগের ব্যবস্থা করা দরকার।
- যে সব ব্যক্তি Transferable চাকরি করেন তাঁদের জন্য গ্রামাঞ্চলে আবাসিক বিদ্যালয় গড়ে তুলতে হবে।
- কিছু কিছু আংশিক দিকে বিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রয়োজন যেখানে ছেলেমেয়েরা সকাল আটটা থেকে সন্ধে পর্যন্ত কাটাবে।এই বিদ্যালয়গুলিতে দিনের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।যে সব অঞ্চলে বাবা-মা উভয়কে চাকুরির জন্য দিনের বাইরে থাকতে হয় তাঁদের ছেলেমেয়েদের জন্যে এই ধরনের ব্যবস্থা অবশ্যই প্রয়োজন।শিক্ষক - শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা, অবসর বিনোদন ও পাঠ্য অতিরিক্ত কার্যাবলী পরিচালনার জন্যও আংশিক দিবা বিদ্যালয় প্রয়োজন।
- শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার জন্য উপযুক্ত সংখ্যক বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
- মেয়েদের জন্য পৃথক বিদ্যালয় ও উপযুক্ত পাঠ্য বিষয় পড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।মেয়েদের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান,শিল্পকলা,সঙ্গীত ইত্যাদি বিষয় পড়ানো ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
- ছেলেমেয়েরা যাতে সমশিক্ষা লাভ করতে পারে ও সমসুযোগ পায় সেই কারণে সহশিক্ষার স্কুলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।এই স্কুলগুলিতে মেয়েদের জন্য উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা থাকবে ও তাদের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান পড়ানোর সুযোগ সুবিধা রাখতে হবে।
- 14 বছর পর্যন্ত সম্পূর্ণ সময়ের শিক্ষা গ্ৰহন করার আগে যাদের পড়া বন্ধ হয়ে যাবে তাদের আংশিক সময়ের শিক্ষার জন্য বিশেষ বিদ্যালয় ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বিকেলবেলায় এই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা থাকবে।এই শিক্ষা হবে অবৈতনিক ও স্থানীয় বিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত।
- কমিশন মনে করেন, বাস্তবের সঙ্গে সংগতি রেখে পাবলিক স্কুল স্থাপন করা দরকার।এই স্কুল গুলিকে জাতীয় ভাবধারার অনুপ্রাণিত করতে হবে।স্কুলগুলি হবে স্বাবলম্বী, সরকারি অনুদান এই স্কুলগুলি থেকে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে। এই বিদ্যালয়গুলির শিক্ষা পদ্ধতি ও ব্যবস্থা থাকবে।মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ থাকবে এবং তাদের সরকারি বৃত্তির ব্যবস্থা থাকবে।
- নারী শিক্ষার জন্য জনগণের সাহায্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করে তুলতে হবে।
- গ্রাম্য অঞ্চলে শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে হবে।
- শিক্ষিকা হওয়ার জন্য মেয়েদের উৎসাহিত করতে হবে ও চাকুরির অবস্থার উন্নতি ঘটতে হবে।
- সাংসারিক মহিলাদের জন্য গ্রামে আংশিক সময়ের জন্য শিক্ষকতা করা ব্যবস্থা করতে হবে।
- দরিদ্র ছাত্রীদের স্কুল থেকে বিনামূল্যে পোশাক ও বই দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
- প্রাথমিক স্তরের সহ-শিক্ষার প্রচলন করতে হবে।
- বেসরকারী উদ্যোগের সাহায্য নিয়ে স্কুল-গৃহ নির্মাণ করতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে।
- নারী শিক্ষা বিষয়ে যাবতীয় কুসংস্কার ও রক্ষণশীলতা দূর করতে হবে।
- বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য সম্মেলন,বেতার প্রচার,শিক্ষক সহায়ক উপকরণ সরবরাহ,ছাত্রী সংগ্রহ এই সব কাজের জন্য জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য গ্রহণ প্রয়োজন।
- যেসব অঞ্চল দুর্গম পার্বত্য বা অনগ্ৰসর অঞ্চল সেখানে অতিরিক্ত বেতন ও ভাতা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
- গ্রামাঞ্চলের শিক্ষিকাদের শিহ্মন কলেজে বা বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে।
- বিদ্যালয়ে মহিলা পরিদর্শক নিয়োগ করতে হবে যাতে শিক্ষার মান উন্নতি হয় এবং অপচয় ও অনুন্নয়ন হ্রাস পায়।
- নারী শিক্ষার যাবতীয় ব্যয় ভার কেন্দ্রীয় সরকারকে গ্রহণ করতে হবে।
- নারীশিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য একে অবৈতনিক করতে হবে ও বাধ্যতামূলক করার জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের সাহায্যে আইন গঠন করতে হবে।
- শিক্ষিকা যাতে বিদ্যালয়ের কাছাকাছি বিনা ভাড়ায় থাকতে পারেন তাঁর জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
- যেখানে 300 জনের মধ্যে জনসংখ্যা সেখানে 1 মাইলে মধ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও 1500 জনবসতি অঞ্চলে 3 মাইলের মধ্যে একটি মিডল স্কুল ও 5 মাইলের মধ্যে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
- বিদ্যালয়ের মান নির্ণয় স্থান।
- সমাজে অংশগ্রহণ করা।
- উপস্থিতির হার শিক্ষার ক্ষেত্রে স্তর বজায়।
- শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণমান উৎকর্ষের স্তর বজায় রাখার জন্য যে মাপকাঠি নির্ধারণ করতে হবে সেগুলি হল - শিক্ষার প্রস্তুতিকরণ,শিক্ষাদান পদ্ধতি, শিক্ষার উপকরণ ব্যবহার,শিক্ষার্থীদের কার্যকলাপ এবং অংশ গ্ৰহন,বিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সাফল্য, শ্রেণি পরিচালনা শিহ্মন প্রক্রিয়া,কলা,কর্মশিক্ষা,শারীর শিক্ষা, পরিবেশ শিক্ষা বিভিন্ন প্রকার কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জন করবে এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হবে।
- যশপাল কমিটির মনে করে,কঠোর সর্বাত্মক এবং নিবিড় শিক্ষক প্রস্তুতি কর্মসূচি,ফলস্বরুপ বিদ্যালয়ে গুনমান উৎকর্ষের শিখন প্রক্রিয়া ঘটবে এবং প্রশিক্ষণরত শিক্ষক বা সহ্মম হবে স্বশিক্ষণ এবং স্বাধীন চিন্তা ভাবনার বিকাশ ঘটবে।
- সুপারিশ করা হয়েছে কর্মসূচির বিষয় সূচীর মেয়াদ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর ১০ বছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ৩/৪ বছর কর্মসূচির বিষয় সূচী বিদ্যালয় শিক্ষার প্রয়োজনের দিক লক্ষ্যে রেখে পূন গঠন করতে হবে এবং ব্যবহার কেন্দ্রিক হবে। শিক্ষকদের জন্য শিক্ষার ধারাবাহিকতা থাকবে এবং তা হবে প্রাতিষ্ঠানিক।শিহ্মকদের শিক্ষার বিষয়টি সম্পাদিত হবে সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা মাধ্যমে।
- অবৈতনিক ও সর্বজনীন বাধ্যতামূলক শিক্ষা বিধান দেওয়া হয়।
- সংবিধান দ্বারা আইনত ভাবে 6-14 বছরের সমস্ত শিশুদের শিক্ষার অধিকার সংরক্ষন করা হয়েছে।
- বিদ্যালয় ব্যবস্থা প্রাক্-প্রাথমিক,প্রাথমিক মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তর আজও বিদ্যমান।
- শিক্ষার সমবন্টনের বিধান দেওয়া হয়।
- শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষমতা ও শিক্ষা সুনিশ্চিত করা হয়।
- পাঠ্যপুস্তকের যথাযথ রূপরেখা নির্মাণ করা হয়।
- পরীক্ষা ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু রূপায়ণ করা হয়।
- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা শক্তিশালী করা হয়।
- নারী শিক্ষা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
- বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে জোর দেওয়া হয়।
- পেশাগত শিক্ষা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
- বৃত্তি প্রদান ও স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
- শিক্ষার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।