Planning And Implementation Of Activities - ECO-CLUB

Planning And Implementation Of Activities - ECO-CLUB

Planning And Implementation Of Activities - ECO-CLUB

BENGALI VERSION||

Planning And Implementation Of Activities - ECO-CLUB
ECO-CLUB



Planning And Implementation Of Activities - ECO-CLUB
Bengali Version -

1. ভূমিকা - 

কোনো একটি স্থান বা সময়ে সেখানকার মানুষ ও তার চারপাশের অবস্থাকে পরিবেশ বলা হয়।এই পরিবেশের অবস্থা বলতে - জৈব ভূগোলে প্রাকৃতিক,রাসায়নিক ও জৈব উপাদানের মধ্যে জলবায়ু,মাটি,জল,আলো,উদ্ভিদ, পশু-পাখি,মানুষের অবস্থানকে বোঝায়।প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের একটি অতি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।শিল্পবিপ্লবের পর থেকে মানব জাতির কল্যাণ বা বিকাশ লাভ করে। এই বিকাশের দ্বারা পরিবেশ নানান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরিবেশ দূষিত হতে শুরু করে।ফলে দেখা যায় জল দূষণ, বায়ুদূষণ মৃত্তিকা দূষণ,বিশ্ব উষ্ণায়ন মতো একাধিক দূষণের দ্বারা সৃষ্টি হচ্ছে নানা বিধি রোগ, যা মানব প্রজাতিকে হ্মতিগ্ৰস্ত করেছে। মানব জাতির কল্যাণের জন্য দূষণমুক্ত পরিবেশ একান্ত প্রয়োজন।কিন্তু বাস্তব সত্য এই যে এই পৃথিবীর পরিবেশ প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে এবং পরিবেশের উপাদান গুলির গুণগত মানের অবনমন ঘটছে।এই দূষণ অবনমন দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্থা,কমিটি,আইন দ্বারা পরিবেশকে দূষণ রোধে ও সংস্কার করা হয়েছে এবং হচ্ছেও।এই সংরক্ষণ মূলক পদক্ষেপের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে ইকো ক্লাব বা ECO- CLUB।

2. ঐতিহাসিক পটভূমি - 

আমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে এবং সাথে সাথে পরিবেশের উপাদান গুলির গুণগত মানের অবনমন ঘটছে। 1972 সালে স্টকহোমে আয়োজিত পরিবেশ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এই বিষয়টি উপলব্ধি করে পরিবেশ সংরক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।এর ফলশ্রুতি হিসাবে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পরিবেশ সংক্রান্ত একটি নতুন অধ্যায়ের সংযোজন করা হয়।ইতি মধ্যে 1980 সালে পড়ে ওঠে ভারত সরকারের পরিবেশ দপ্তর।পরিবেশ শিক্ষা ও সরকারের পরিবেশ ও অরন্য মন্ত্রক একটি জাতীয় স্কিম চালু করে। এই স্কিম এর বাস্তব রূপায়ণের জন্য সরকার কতগুলি কর্মসূচি গ্রহণ করে।এই কর্মসূচি মধ্যে একটি হল 'National Green Crops (NGC)' এবং এর মাধ্যমে হল 'ECO-CLUB (National Green Crops Through Eco-Club)'.

                  পরিবেশ রক্ষার সকলেই দায়বদ্ধ এবং এই দায়বদ্ধতার অনুভূতি কম বয়স থেকে ভবিষ্যৎ নাগরিকদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে।1991 সালে MC Meheta এর Writ Petition এর পরিপ্রেক্ষিতে 2003 ও 2004 এ ভারতীর সুপ্রিমকোর্ট।UGC এবং NCERT কে শিক্ষার সকল স্তরে পরিবেশ বিদ্যা অধ্যায়ন বাধ্যতামূলক করার রায় দেয়।এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে NCERT পরিবেশ বিদ্যার পাঠক্রম রচনা করে এবং সুপ্রিমকোর্ট তা অনুমোদন করে।NCF 2005 এর পরবর্তী সময়ে NCERT এর অভিনব ভাবনার প্রস্তাব যেখানে বলা হয় পরিবেশ সংক্রান্ত সমাজবিজ্ঞান,জ্ঞান বিজ্ঞান, গণিত, ভাষা ও অন্যান্য বিষয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে যা সকলকে পরিবেশ বান্ধব করে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে কার্যকর করবে ।

            এই নতুনত্ব চিন্তার প্রধান হাতিয়ার ছিল 'Learning To Know' থেকে 'Learning By Doing'  এ পরিবর্তন করা। এই উদ্দেশ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে 'ECO-CLUB' গঠনের কথা বলা হয়।যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাঠক্রম দ্বারা অর্জিত জ্ঞানকে প্রতিফলিত করার সুযোগ পাবে।

3. ECO-CLUB এর ধারণা -

পরিবেশ সচেতনতা ও সুরক্ষা জন্য বিদ্যালয় ও কলেজ স্তরের প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মধ্য পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা ও সংরক্ষন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যে সংগঠন সৃষ্টি করা হয় তাকে ECO-CLUB বলা হয়।2001 - 2002 শিক্ষাবর্ষ থেকে 'National Green Crops Through Eco- Club' চালু হয়।এই কর্মসূচি অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক জেলায় 100টি করে ECO-CLUB গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে সবকটি বৃদ্ধি পেয়েছে 150-250টি।ECO- CLUB এর মাধ্যমে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ের বিভিন্ন কার্যাবলি পরিচালনা করা হবে।এর জন্য শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ভারত সরকারের পরিবেশ ও অরণ্য দপ্তর থেকে অর্থনৈতিক অনুদান দেওয়া হয়।রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কিছু উপকরণ সরবরাহ করা হয়।শুরুতে ক্লাস পিছু প্রতি বছরের জন্য 1000 টাকা দেওয়া হত। তবে বর্তমানে এটি বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে 2500 টাকা।

4. ECO-CLUB এর সংগঠন -

পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয় ও কলেজ এ যে ECO-CLUB গঠিত হয়। এই গঠনের বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। যথা -

  • একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান (প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ ইত্যাদি) ইকো ক্লাবের প্রতিষ্ঠার আগ্রহী ভূমিকা পালন করেন। তার কাছ থেকে ইকো ক্লাব এর গঠন প্রস্তাব আসে।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান (প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ) পাশাপাশি কখনো কখনো আগ্রহী শিক্ষক বা শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ইকো ক্লাব গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করে।
  • কখনো কখনো অন্যান্য সংগঠনের উদ্যোগে বিদ্যালয়ে ইকো ক্লাবের গঠনের প্রস্তাব আনতে পারে।
  • প্রত্যেক ইকো ক্লাবের একটি নাম থাকে এবং প্রতিটি ইকো ক্লাবের কতকগুলি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে। 
  • ইকো ক্লাব পরিচালনার জন্য একজন সভাপতি, একজন কোষাধক্ষ্য ও একজন সম্পাদক থাকবে।
  • প্রত্যেক ইকো ক্লাবের 30 থেকে 60 জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে। 
  • পরিবেশ সংক্রান্ত ব্যাপারে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষক ও ইকো ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক যুগ্মভাবে নির্বাচন করেন।ইকো ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন 'Eco-Club Captain' করা হয়। তাঁর কাজ হল ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক (Green Teacher) নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা এবং সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন কাজের সমন্বয় করা।
  • বিদ্যালয়ে Eco club তথা National Crops Programme এর জন্য একজন শিক্ষককে Teacher -in- charge হিসেবে নিয়োগ করা হয় এবং তাকে Green Teacher হিসাবে অভিহিত করা হয়।প্রধান শিক্ষক তাকে নিয়োগ করেন। কর্মসূচি রূপায়ণ,হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, টাকা খরচ সংক্রান্ত রিপোর্ট, সম্পাদিত, কার্যাবলির রিপোর্ট প্রমান সহ জেলাস্তরে জমা দিতে হয়।
  • প্রত্যেক Eco - Clubকে 2500 টাকা বছরে দেওয়া হয় বিভিন্ন কার্যাবলি চালানোর জন্য। 'National Environment Awareness Campaign' বা অন্যান্য স্কিন থেকে অতিরিক্ত 15000 টাকা পর্যন্ত প্রত্যেক কর্মসূচির জন্য অনুদান দেওয়া হয়,এর জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মে ইকো ক্লাবকে রাজ্য নোভাল এজেন্সিকে আবেদন করতে হয়।
  • Resource Material ও Environment Kit দেওয়া হয় ইকো ক্লাবকে।এটি দেয় State Nobel Agency (SNA),Eco-Club এর ভারপ্রাপ্ত শিহ্মক - শিহ্মিকার জন্য(Green Teacher)  প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে এবং  তাঁদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হয়।

5. ECO CLUB -এ উদ্দেশ্যাবলী - 

Eco Club এর বেশকিছু উদ্দেশ্য রয়েছে,সেইগুলি হল -

  • জীববৈচিত্র ও প্রজাতি বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, এবং তার বিলুপ্তির কারণ অনুসন্ধান করা, ও সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • আগামী প্রজন্মের কাছে পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা ও তার সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 
  • পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি উপযুক্ত মনোভাব গড়ে তোলা।
  • পরিবেশ দূষণের কারণ ও কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা। 
  • ইকো ক্লাবের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পরিবেশ হয়ে ওঠে সুন্দর ও নির্মল। 
  • পরিবেশ সংক্রান্ত পত্রিকা প্রকাশ,আলোচনা সভার আয়োজন,পোস্টারিং,প্রদর্শন, সেমিনার ও ওয়ার্কশপ,ক্যুইজ,রচনা লেখা,দেওয়াল লিখন ইত্যাদি ইকো ক্লাবের মাধ্যমে সংগঠিত হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য সচেতনা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করা। 
  • এলাকার সমস্যাগুলির ওপর প্রকল্প গঠন করা।
  • Long Term Sustainable Development বা দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীল উন্নয়ন পরিকল্পনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 
  • পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা ও তাদের মধ্যে প্রেষনা সৃষ্টি করা।
  • পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যাবলী বা কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।
  • পরিবেশের প্রতি শিক্ষার্থীদের তাদের সংবেদনশীল ও সহানুভূতিশীল করে গড়ে তোলা। 
  • এলাকার অনাবাদী জমিতে সামাজিক বনসৃজন, পুকুর সংস্কার,স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির ইত্যাদির আয়োজন করা।

6. ECO CLUB - এ গুরুত্ব - 

  • বিদ্যালয়ে ইকো ক্লাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরিবেশ বান্ধব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। 
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে আগ্রহ সঞ্চার করে। 
  • পরিবেশের বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে কার্যকরণ নির্ধারণের দক্ষতা গড়ে তোলে। 
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান মনস্কতা গড়ে তোলে।
  • শিক্ষার্থীদের কাছে পরিবেশকে জানা ও চেনার বিষয়টি উৎসাহিত করে তোলে। 
  • বইয়ের তথ্যভিত্তিক জ্ঞানকে শ্রেণীকক্ষের বাইরে যাচাই করার সুযোগ পায়।
  • নিজ দায়িত্ব অনুধাবন ও তা পালনে ব্রতী হয়।
  • স্বাধীনভাবে এবং দলগত ভাবে কাজ করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। 
  • সৃজনশীলতার বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে।
  • শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। 
  • অবসর সময় যাপনে উন্নত হয়।

7. ECO-CLUB এর ব্যবস্থাপনা - 

সামগ্রিকভাবেে Eco-Club গুলির ব্যবস্থাপনার কতগুলি স্তর লক্ষ করা যায়।যার সর্বোচ্চ স্তর হল ভারত সরকার পরিবেশ ও অরণ্যমন্ত্রক এবং সর্বনিম্ন স্তর হল ইকো-ক্লাব। ইকো ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় কাঠামোটির নিন্মরূপ -

    Ministry Of Environment And Forest

                              ↓

       National Steering Committee

                              ↓

         State Steering Committee

                             ↓

            State Resource Agency

                             ↓

     District Implementation Agency

                             ↓

             ECO - CLUB In School

• জাতীয় স্তর - 

Eco-Club সংগঠনতন্ত্রে চারটি প্রধান স্তর লক্ষ্য করা যায়।এই চারটি স্তরের কর্মসূচি যে বাস্তবায়িত হয় তার প্রথম স্তরটি হল কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ ও অরণ্য মন্ত্রক এবং জাতীয় স্তরে স্টিয়ারিং কমিটি কর্মসূচি সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশনা প্রদান করে এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলে।ইকো ক্লাব পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করে।2001-2002 সালের বিভিন্ন কার্যাবলি পরিচালনার জন্য প্রত্যেক জেলার 200টি স্কুলে শিহ্মাবর্ষের শুরুতে 1000 টাকা করে দেওয়া হত, তা 2005 সাল থেকে বেড়ে 2500 টাকার অনুদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

• রাজ্য স্তরে -

রাজ্যস্তরে Eco-Club এর কর্মসূচি রূপায়ণ করে State Steering Committee।এই স্তরে একটি Nodel Agency থাকে,যার মূল কাজ হল রাজ্যস্তরের কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয় সাধন করা ও Master Trainer দের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।প্রতিটি Eco-Clubকে তার পছন্দ মতো/ স্থানীয় ভাষার কিছু Resource Meterial  প্রদান করা হয়, আর তার উপকরণ প্রস্তুত করার দায়িত্ব থাকে State Resource Agency এর।

8. ECO-CLUB এর কার্যাবলি - 

ইকো ক্লাব পরিবেশের উন্নতি তথা সংরক্ষণের জন্য নানা ধরনের কার্যটি সম্পাদন করতে পারে।বিদ্যালয়ের পারিপাশ্বিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে।এই কার্যাবলি নির্বাচন করতে পারে।এখানে কতকগুলি সুনির্দিষ্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। - 

  • পরিবেশ সংক্রান্ত ব্যাপারে সেমিনার,বিতর্ক সভা, প্রবন্ধ,রচনা, শ্লোগান লেখা,ছবি আঁকা প্রভৃতি কার্যাবলি গ্রহণ করা।
  • পরিবেশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষার্থীদের ভ্রমণের ব্যবস্থা করা,বিশেষত দূষিত এলাকা, অভয়ারণ্য ও অরণ্যপ্রাণী সংরক্ষিত এলাকা ইত্যাদি।
  • পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য Human-Chain সংগঠিত বা গঠন করা।
  • পরিবেশ সংক্রান্ত ব্যাপারে আগ্রহী বা অনুরাগী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি প্লাটফর্ম বা ফোরাম করা।
  • বিভিন্ন পরিবেশ রহ্মা সংক্রান্ত দিবস পালন করা। 
  • বিদ্যালয় পরিবেশ দূষণের কারণ ও তার প্রতিকার এবং স্থিতিশীল উন্নয়নে আমাদের কি কি করণীয় সে সম্পর্কে বিভিন্ন চর্চা,মডেল,পোস্টার ইত্যাদি প্রদর্শন করা।
  • পরিবেশ সচেতনতার জন্য বিভিন্ন মিটিং বা সভার আয়োজন করা যেতে পারে।
  • পরিবেশ কল্যাণে জন্য পথ শোভার আয়োজন করা। 
  • মানব সচেতনতা জন্য পথে পরিবেশ কল্যাণমূলক নাটক আয়োজন করা। 
  • নিজেদের অর্জিত জ্ঞান সমাজের অন্যদের মধ্যে বিস্তার করা।
  • পরিবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। 
  • বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় Public Place,যথা পার্ক,বাগান,খেলার মাঠ,পুস্করনি ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করা।
  • পথঘাট পরিস্কার কর্মসূচি করা। 
  • পার্ক, বাগান,রাস্তা পাশে ফুলগাছ লাগানো।
  • পরিবেশকে সৌন্দর্যায়ন করা।
  • সামাজিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করা।

9. তথ্য সংগ্রহ -

• বিদ্যালয় নির্বাচন -

উক্ত প্রকল্পটি করার জন্য আমি.................................... বিদ্যালয়টিকে নির্বাচন করা হল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয় নিকট হইতে অনুমতি নিয়ে আমি আমার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ জনকে প্রকল্পের জন্য নির্বাচন করা হল।

• তথ্যসংগ্ৰহের পদ্ধতি -

উক্ত প্রকল্পটি করার জন্য আমি বিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জন ছাত্র এবং 25 জন ছাত্রীকে নির্বাচিত করলাম। সমীক্ষায় জন্য প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি মাধ্যমে আমি আমার প্রকল্পটি তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

• Master Table -



• Bar Diagram Base On Questionnaire


•  ব্যাখ্যা -

প্রদত্ত চিত্রটি মাধ্যমে বোঝা যায় যে ইকো ক্লাব সম্পর্কে খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীরা জানে এবং খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ইকো ক্লাবের সদস্য হতে উৎসাহী। বিদ্যালয়ে ইকো ক্লাবের কার্যাবলী সারা বছর হয় না।ইকো ক্লাবের উদ্যোগে বিদ্যালয়ে কোনো সেমিনার,বিতর্ক সভা,আলোচনা সভা, অঙ্কনের আয়োজন করা হয় না।ইকো ক্লাবের পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হয়।শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা ও পরিবেশ বান্ধব বোধ সৃষ্টি হয় এবং শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যায়নের কথা ভাবা হয়। বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী এলাকাতে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় না,বিদ্যালয় পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার ও স্থিতিশীল উন্নয়নের উপরে ধারণা,চার্ট বা মডেল তেমন তৈরি করা হয় না।পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সামান্য তথ্য সংগ্রহ করা হলে পুরোপুরিভাবে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেই।বিদ্যালয় পরিবেশ সংক্রান্ত ভ্রমণ ও বাৎসরিক পত্রিকার প্রকাশনা তেমন উৎসাহ দেখা যায় নি।

      বিদ্যালয়গুলিতে ইকো ক্লাব সম্পর্কে কোন ধারণা নেই এবং কী কী কর্মসূচি করণীয় সম্পর্কে তেমন তথ্য জানা নেই। তাই অবিলম্বে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের ইকো ক্লাব গঠন ও ইকো ক্লাবের বিভিন্ন কার্য সম্পাদন সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহ শিক্ষার্থীদের অবগত এবং উৎসাহ দান করার কথা ভাবা উচিত।

10. ECO-CLUB এর প্রভাব -

• ইতিবাচক প্রভাব -

  • বিদ্যালয়ে ইকো ক্লাবের উদ্যোগে পরিবেশ দিবস উদযাপিত হয়,এর ফলে ইকো ক্লাবের উদ্দেশ্যটি কার্যকরী হয়েছে। 
  • ইকো ক্লাবের উদ্যোগে বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব হয়েছে। 
  • ইকো ক্লাবের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের চারিপাশে নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।
  • বিদ্যালয়ের ইকো ক্লাবের কর্মসূচির ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরিবেশ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 
  • ইকো ক্লাবের পরিকল্পনায় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পরিবেশবান্ধব আচরণ গড়ে তোলে। 
  • ইকো ক্লাবের দ্বারা বিদ্যালয়ে প্লাস্টিক বর্জন  অভিযান কার্যকরী হচ্ছে। 
  • বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইকো ক্লাবের কর্মসূচি নির্ধারিত করা হয়। 
• নেতিবাচক প্রভাব -

  • পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইকো ক্লাবের পরিচালনা এখনও ভালো মতো কার্যকরী হয় নি,কারণ বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র ছাত্রীই এখনো ইকো ক্লাব কথাটির সঙ্গে পরিচিত নয়।তাদের কাছে এই শব্দটি একবারে নতুন। 
  • বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের ইকো ক্লাবের কার্যাবলীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়।
  • সারা বছর ধরে বিদ্যালয়ে ইকো ক্লাবের কার্যাবলী চলে না ফলে সরকারের পরিকল্পনা কার্যকর হচ্ছে না। 
  • অনেক সময় ইকো ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক- শিক্ষিকারা কার্যাবলী সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসেন না,এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চেতনা বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
  • যথা সময়ে ইকো ক্লাবের উদ্যোগে কোনোরূপ সেমিনারের আয়োজন করা হয় না।
  • ইকো ক্লাবের কার্যাবলী বিদ্যালয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ,এর ফলে বিদ্যালয়ের চারপাশে তার কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যায় না।ফলে ইকো ক্লাবের উদ্দেশ্য কার্যকর হচ্ছে না।
  • ইকো ক্লাবের বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের চারপাশে মাঝে মাঝে পরিবেশ সংক্রান্ত প্রচার অভিযান ও বিভিন্ন পোস্টারিং করা হয় না,এর ফলে পরিকল্পনাটি কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে না। 
  • অনেক সময় লহ্ম্য করা হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনীহা এবং পাঠক্রমের অতিরিক্ত চাপের জন্য শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে মনোযোগ হয় না।

11. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যেতে পারে ইকো ক্লাব একটি পরিবেশ কল্যাণমূলক সংস্থা। ইকো ক্লাবের মাধ্যমে বিদ্যালয় ও কলেজ স্তর থেকে পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশ সচেতনতা উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয় শিক্ষার্থীদের। মানুষ বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারা বিভিন্ন কার্যাবলী করে থাকে কিন্তু সেই কার্যের ক্ষতি হয় পরিবেশের উপর। একটি সুস্থ মানুষ বাস করার জন্য দরকার হয় দূষণমুক্ত পরিবেশ। পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা কথা ভাবা হয়, এর মধ্যে অন্যতম হলো ইকো ক্লাব। ইকো ক্লাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ চেতনা ও পরিবেশ বান্ধব মনোভাব গড়ে তোলা হয় বিভিন্ন কার্যাবলীর মাধ্যম।ইকো ক্লাব আরো বেশি প্রসারিত করতে হবে যাতে সকলের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা মনোভাব সৃষ্টি হয়। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post