Place Of Science In School Curriculum

Place Of Science In School Curriculum

Place Of Science In School Curriculum

BENGALI VERSION||

Place Of Science In School Curriculum
Place Of Science In School Curriculum


Place Of Science In School Curriculum
BENGALI VERSION -

1. ভূমিকা -

বর্তমানে বিদ্যালয়ে পাঠক্রমে বিজ্ঞান একটি অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্ব পূর্ণ অংশ।এর মূল উদ্দেশ্য হল সকলের মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পর্যবেক্ষণ করা। বৈজ্ঞানিক শিক্ষা একটি উচ্চতর ধারণা এবং এর কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দান করা কঠিন। এটি শুধুমাত্র এই উদ্দেশ্যে গঠিত নয় যে বিজ্ঞান যা প্রযুক্তিগত ক্যারিয়ার প্রস্তুতের জন্য এটি গঠিত হবে।এর বৃহত্তর উদ্দেশ্য হল যে সাধারণ শিক্ষার জন্য বিজ্ঞানের একটি বিস্তৃত ও কার্যকরী অনুধাবনের বিকাশ ঘটানো।

2.বিজ্ঞানের অর্থ ও সংজ্ঞা - 

2.1.বিজ্ঞানের অর্থ-

ইংরেজি 'Science' কথাটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ 'Scientia' থেকে যার অর্থ জ্ঞান। বাংলা ভাষাতে বিজ্ঞান কথাটি অর্থ হল বিশেষ জ্ঞান। বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাস যতদূর অনুসন্ধান করা হয়েছে তাতে দেখা যায় খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ বছর পূর্বে ও বিজ্ঞান চর্চায় যথেষ্ট প্রমাণ আছে। এই বিষয়টি দুটি পরস্পর সম্পর্কিত দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা হয়েছে,বিজ্ঞান চর্চা পদ্ধতিতে এবং বিজ্ঞান চর্চা বিষয়ে এই দুটি দিক থেকে বিচার করে দেখা গেছে যে প্রাকৃতিক প্রকৃত বৈজ্ঞানিক সত্তা এবং পদ্ধতি ইতিহাস অতি ঘনিষ্ঠ ভাবে সম্পর্কিত। 

2.2.বিজ্ঞানের সংজ্ঞা - 

বিজ্ঞান বলতে আমরা বিশেষ কোনো বিষয়কে বুঝি না। বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে সংগ্রহীত নানান জ্ঞানের সমষ্টির এবং তার অতিরিক্ত কিছু ,সেই কারণে বিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনেক তার কোনটি খুব তা স্পষ্ট।

          বিজ্ঞানের একটি সহজ সংজ্ঞা হল - 

"পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের মাধ্যমে ভৌত ও প্রাকৃতিক জগতের গঠন ও আচরণকে নিয়ে সুশৃংখল চর্চার উদ্দেশ্যে বৌদ্ধিক ও ব্যবহারিক কার্যকলাপ তাই বিজ্ঞান।"

 James B Conant এর মতে -

"Science is an interconnected series of concepts and conceptual schemes that have developed as a result of experimentation and observation and are fruitful of further exper indentation and observation."

Einstein এর মতে -

"Science is the attempt to make the chaotic diversity of experience corresponds to a logically uniform System of thought."

G.Gore এর মতে -  

"Science is the interpretation of nature and man is the interpreter." 

Norman Campbell এর মতে - 

"Science is the study of those judgements concerning which universal agreement can be obtained."

অর্থাৎ বিজ্ঞান হল একটি সংঘবদ্ধ জ্ঞানভাণ্ডার যার একটি অনুসন্ধান পদ্ধতি ও অনুসন্ধানে একটি উপায় আছে এবং জীবনের প্রতি একটি দৃষ্টিভঙ্গি ও একটি চিন্তণের উপায় রাখে।

3. বিজ্ঞানের লহ্ম্য -

  • বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক ধারণা ও প্রক্রিয়া বিকাশের জন্য বিজ্ঞান ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করে। 
  • দৈনন্দিন জীবনে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান প্রয়োগ ও অনুধাবনের জন্য শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে বিজ্ঞান।
  • বিজ্ঞান ও সমাজের মধ্যে সম্পর্ক ও দায়িত্ব কর্তব্য কে প্রশংসা করার জন্য এটি সাহায্য করে।

4. বিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্যাবলি -

  • বিজ্ঞান শিক্ষা কার্যহ্মেত্রের জন্য শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করে।বহুহ্মেত্রে চাকরির সুযোগ যারা বিজ্ঞান অনুধাবন করতে ও বৈজ্ঞানিক দহ্মতার ব্যবহার করতে সহ্মম তাদের জন্য অপেক্ষা করে।
  • দৈনন্দিন জীবনে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান প্রত্যহ্মভাবে প্রযুক্ত হতে পারে।
  • একজন বিজ্ঞান সম্মতভাবে অবগত নাগরিক ও ব্যক্তি প্রাকৃতিক বিশ্বকে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করতে পারেন। 
  • জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক বিষয়ের উপর প্রস্তুত রিপোর্ট ও আলোচনা একজন বৈজ্ঞানিক ভাবে শিহরিত ব্যক্তি অনুধাবন করতে পারেন।
  • একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই বিজ্ঞানের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।
  • বিজ্ঞানসম্মতভাবে শিক্ষিত ব্যক্তির প্রযুক্তির প্রকৃতি ও গুরুত্ব এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্ক সম্বন্ধে ধারণা থাকতে হবে।
  • এটি সনাতন পরীক্ষার ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে যেটি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চাপ কমায়।
উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য উন্নয়নশীল রাষ্ট্র,যেমন ভারতবর্ষে বিজ্ঞানের যথেষ্ট জ্ঞান সমৃদ্ধ দহ্ম ভবিষ্যৎ নাগরিকের প্রস্তুতিকরণের উদ্যোগী হতে হবে।

5. বিজ্ঞানের গুরুত্ব -

  • যখন বিজ্ঞান সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করবে,একজন শিক্ষার্থী তার পর্যবেক্ষণের দহ্মতা বৃদ্ধি করবে ও অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কেও অবহিত হবে। ফলস্বরূপ তারা কারণ অনুসন্ধান,সঠিক ও স্বচ্ছ ধারণা অর্জন ও লক্ষ্য মূলক সিদ্ধান্তের রূপদান করতে সক্ষম হবে।বিজ্ঞান মানুষের মনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে।প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ হার্বাট স্পেনসার একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন যে "কোন জ্ঞান সর্বাপেক্ষা মূল্যবান ?" এবং যে উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন তা হল " বিজ্ঞান "। 
  • বিজ্ঞানের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গে উপযোগবাদী মানও বর্তমান।মানব সভ্যতার বৈজ্ঞানিক সংস্কৃতি উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীরা উদ্যোগী হয় ও একই সঙ্গে বস্তুবাদী সুবিধার জন্য বিজ্ঞানকে ব্যবহার করতে শেখো শেখায়। 
  • বিজ্ঞান বুদ্ধি বৃত্তিক চিন্তাভাবনার উদ্রেক করে। শিক্ষার্থীরা বৈজ্ঞানিক অভ্যাসকে বিকশিত করতে পারে যেগুলি তারা অবসর সময়ে অর্জন করতে পারে।
  • বিজ্ঞান যুক্তিকে অযুক্তি থেকে বিভাজিত করে। ধৈর্যের উপর শুধুমাত্র নির্ভরশীল না থেকে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের উপর নির্ভরযোগ্য সূত্র সম্পর্কে শিক্ষাদান করে।

6.  বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের ধারাবাহিক রূপান্তর এবং বিদ্যালয় শিহ্মার বিজ্ঞানের পূর্নব্যাখা প্রয়োজনীয়তা  -

বৈজ্ঞানিক জ্ঞান তথা বিজ্ঞান চর্চার মধ্যে একটা ধারাবাহিক ঘটনা।এই ধারাবাহিক ঘটনা হল বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের রূপান্তর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই রূপান্তরের কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।ষোলো ও সতেরো শতকের বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সঙ্গে আঠারো উনিশ শতকের শিল্প বিপ্লবের ঘটনাকে তুলনা করলে দেখা যায় বিজ্ঞান ও অর্থনৈতিক জীবনের পরস্পর সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা অমূল্য পরিবর্তন ঘটেছে। ষোলো সতেরো শতকের বিজ্ঞান প্রধানত ব্যস্ত ছিল প্রকৃতি সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহের যন্ত্রপাতি নিয়ে,সংশ্লিষ্ট গানিতিক পদ্ধতি নিয়ে।শিল্প বিপ্লবের যুগে সেই যন্ত্রপাতির বিকাশের ফলশ্রুতিই প্রকৃতিকে বদলে দেবার জন্য তৈরি হয়েছিল।আবার আঠারো শতকের গোড়াতে বিজ্ঞান ছিল এক মুক্তি প্রদানকারী চিন্তাধারা, উনিশ শতকের শেষে দেখা যায় সেই বিজ্ঞান হল এক বাস্তব শক্তি মানুষের জীবন ধরন বদলে দিতে পারে।উনিশ শতক জুড়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অগ্রগতি থেকে ক্রমশ এক সুসংহত ছবি প্রকাশিত হচ্ছিল।বিজ্ঞানের জ্ঞানের এই ধারাবাহিক রূপান্তরের তরঙ্গ আছড়ে পড়ল বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে। বিদ্যালয় শিক্ষায় বিজ্ঞানের চর্চায় এল নতুন নতুন বিষয় ও দৃষ্টিভঙ্গি।জ্ঞান এর বিস্তার গভীরতা আর দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে দেখা দিল পূন ব্যবস্থার প্রসঙ্গ। বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন করে বাক্যের এই প্রয়োজন জাগিয়ে তুলল শিক্ষার্থী সমাজকে। আজকের শিক্ষার্থী সমাজের বিজ্ঞান চর্চার সার্বিক উদ্যোগ যখন মানুষের মঙ্গল কামনায় তাদের শক্তি ব্যয় করবে একমাত্র তখনই বিকাশের সত্যিকারের বিকাশ আর প্রয়োগ নিয়ে ভাবনা চিন্তায় সার্থক হয়ে উঠবে।

7. বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের স্থান -

শিক্ষার্থী এবং সমাজের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিজ্ঞানকে শিহ্মার উদ্দেশ্যের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।ব্যক্তি ও সমাজ যেহেতু একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন নয় বরং একে অন্যের পরিপূরক।তাই বিজ্ঞান আজ ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বর্তমান বিকাশ প্রযুক্তির এই যুগে ক্রম পরিবর্তনশীল বৈজ্ঞানিক জ্ঞান প্রতিটি মানুষের সঙ্গে সামগ্রিকভাবে সমাজের জন্য প্রয়োজন।বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যে সমস্ত নিত্যনতুন জ্ঞান সঞ্চিত হয়ে বিজ্ঞানের জ্ঞানভান্ডারকে প্রসারিত করেছে তা মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলিকে পরিতৃপ্ত করতে সহায়তা করে।বৈজ্ঞানিক জ্ঞানভান্ডার ব্যক্তি,সমাজ ও রাষ্ট্রকে ক্রমশ সমৃদ্ধ করে তোলার ক্ষেত্রে যেমন দায়বদ্ধ তেমনি ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কল্যাণের প্রসঙ্গটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।শিক্ষার একটি অন্যতম প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষকে শিক্ষার অন্যতম উপাদান ক্ষয় সামাজিক সম্পদে পরিণত করা।একমাত্র যথার্থ মানব সম্পদই সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণকে প্রকৃত অর্থে ব্যক্তি বায়িত করতে সক্ষম।তাই বিদ্যালয়ের পাঠক্রমের রূপরেখার বিজ্ঞানের তাৎপর্যকে তুলে ধরার জন্য নিম্নলিখিত দিকগুলি উল্লেখ করা হল। - 

(i) বৌদ্ধিক মূল্য -

একটি শিশুর জন্মের পর থেকে সময় অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গে তার বিভিন্ন দিকের বিকাশ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। শিশুর সংবেদন ও প্রত্যক্ষণের বিকাশ, ধারণার বিকাশ, ভাষার বিকাশ যুক্তিশক্তি ও স্মৃতিশক্তির বিকাশ,চিন্তন ও কল্পনা শক্তির বিকাশ,যুক্তির বিকাশ প্রভৃতি সামগ্রিকভাবে বৌদ্ধিক বিকাশ নামে পরিচিত। বিদ্যালয়ের পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত বিজ্ঞান শিক্ষা ব্যক্তির বৌদ্ধিক বা মানসিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন দিক বা বিভিন্ন বৌদ্ধিক জ্ঞানকে সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারিত করে।বিজ্ঞানের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি,বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের চিন্তা চেতনাকে এমনভাবে ক্রিয়াশীল করে তোলে যার ফলে তাদের সামগ্ৰিক বৌদ্ধিক ক্ষেত্রের বিকাশ ঘটে থাকে।

(ii) উপযোগিতা মূলক মূল্য - 

বিশ্বের যত অধিক মানুষের মঙ্গল সাধিত হয় ততই শুভ। এই মতবাদকে অনেকেই উপযোগিতা বাদ বলেছেন। বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে এই উপযোগিতা বাদ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।অধ্যাপক ব্যাগলির মতে, সেটিই হল আদর্শ শিক্ষা যা মানুষের সামাজিক কর্মক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারে।সেইজন্য বিজ্ঞান শিক্ষার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল সমাজকল্যাণ।সেদিক থেকে বিজ্ঞান শিক্ষার লক্ষ্য হল সমাজসেবা ও সমাজকল্যাণ এবং ব্যক্তি মানুষের মধ্যে সমাজের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যকে জাগ্রত করা। বিদ্যালয় পাঠক্রমের মাধ্যমে বিজ্ঞান শিখনের দ্বারা এই কার্যটি সম্পন্ন করা হয়।বিজ্ঞানের বিভিন্ন জ্ঞান,প্রকৌশল(প্রযুক্তি) দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগিয়ে মানবকল্যাণের নানান দিককে তুলে ধরা হয়।পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বিদ্যা,জীব বিদ্যা,জ্যোর্তি বিজ্ঞান,ভূতত্ত্ব প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিষয়গুলি আজ মানব কল্যাণে নিয়োজিত ও ন্যায় বদ্ধ সেদিকে থেকে বিজ্ঞান শিক্ষার উপযোগিতা মুলক মূল্য অনেকখানি।

(iii) বৃত্তিমূলক মূল্য -

একবিংশ শতাব্দীর বিকাশ ও প্রযুক্তির জ্ঞান মানুষের বৃত্তির দিকটিকে অনেকখানি স্পষ্ট ও অনুসরণযোগ্য করে তুলেছে।বিজ্ঞান শিক্ষায় চিরাচরিত বিভিন্ন দিক গুলি ছাড়াও নতুন নতুন অনেক পেশাগত ও বৃত্তিমূলক মূল্য বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলির ক্রম ভান্ডারকে অবলম্বন করে যেভাবে মানুষের নানান পেশাগত দিকের সন্ধান দিতে সক্ষম হয়েছে,তাতে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষাকে একটি আলাদা মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক বিষয়গুলির চর্চার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বৃত্তিমূলক দিকগুলি ছাড়াও বিজ্ঞানের ফলিত বা প্রয়োগ মূলক দিককে জীব গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কাজে লাগানোর মতো আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ্যা,চিকিৎসকসহ অন্যান্য বৃত্তিমূলক নানা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

(iv) সাংস্কৃতিক মূল্য‌ - 

সংস্কৃতি বলতে বোঝায় সংস্কারের বা মার্জনার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিষয়।এই অর্থে সংস্কৃতি হল ব্যক্তি মানুষের শিক্ষাদীক্ষা,বিচার বুদ্ধি,আচার-অনুষ্ঠান,রীতিনীতি প্রভৃতির সংস্কৃত বা মার্জিত রূপ।সামাজিক বিচারে জীবন যাত্রা প্রনালীর বা জীবনধারাকে বলা হয় সংস্কৃতি। সমাজ ও সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের  বিভিন্ন বিষয়ের এক মিশ্র ও জটিল রূপ হল সংস্কৃতি।এইসব বিষয়ের মধ্যে আছে সমাজের সমষ্টিগত জ্ঞান,নীতিবোধ,বিশ্বাস অর্জন,প্রথা প্রভৃতি এবং সমাজবদ্ধ মানুষ যে কোনো বিষয়ে অর্জিত অভ্যাস ও দহ্মতা সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষ যা কিছু করে তার সবই হল মানসিক বৃত্তি চর্চার ফলে,মা তার সংস্কৃতির পরিচায়ক।সেই বিজ্ঞান শিক্ষা হল এই সংস্কৃতির সংরক্ষণ, সঞ্চরন ও উৎকর্ষনের একটি উপায়। কুসংস্কার মুক্ত সমাজ সংগঠন করতে,নব নব উদ্ভাবনের দ্বারা মানব জীবনের অস্তিত্ব সুরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টায় বৈজ্ঞানিক ধ্যান ধারণার দ্বারা সমৃদ্ধ,মানব সংস্কৃতি। সুতরাং,বিদ্যালয় পাঠক্রমে বিজ্ঞানের স্থানটির সাংস্কৃতিক মূল্য অনেকখানি।

(v) সামাজিক মূল্য -

মানুষের বিজ্ঞান চর্চা ও তার বিজ্ঞান শিক্ষা সমাজবিজ্ঞান কে প্রভাবিত করে।সমাজের প্রয়োজনেই বিজ্ঞান তার নব নব উদ্ভাবন কার্য সম্পন্ন করে সমাজকে করেছে বিবর্তিত।সমাজ পরিবর্তনের বিজ্ঞানের অবদান তাই অনস্বীকার্য।আবার বিজ্ঞান ও সমাজকে প্রভাবিত করেছে।সমাজের পরিবর্তনের বিজ্ঞানের অবদান তাই অনস্বীকার্য।আবার বিজ্ঞান ও সমাজকে প্রভাবিত করেছে।সমাজের অন্তর্গত ব্যক্তিজীবনের চিন্তা-চেতনা, বিভিন্ন ধ্যান ধারণা,জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিকে মার্জিত ও সমৃদ্ধ করে তুলেছে। বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে বিজ্ঞান চর্চার সঙ্গে তাই শিক্ষার্থীদের জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি যে ভাবে পরিবর্তিত হয়,তা তার সামাজিক চেতনার বিকাশে সহায়তা করে। বিজ্ঞান চেতনার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে যাতে তার সমাজ জীবনকে আরও সমৃদ্ধ ও সুরহ্মিত করে তুলতে পারে সেই উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ে পাঠক্রমে বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলা যায়।সুতরাং,বিজ্ঞান চর্চার ফলশ্রুতি হিসেবে মানব সমাজে সামাজিক মূল্য ভেবে দেখার বিষয়।

(vi) নৈতিক মূল্য -

সমাজবদ্ধ মানুষের জীবনে কতকগুলি আচরণ, কতকগুলি অভ্যাস নিন্দিত ও প্রশংসিত হয়।এদের বলা হয় 'নীতি'। সমাজ গৃহীত প্রথা আচার-অনুসরনে অভ্যাসের দ্বারা ব্যক্তির যে আচরণ গঠিত হয়,সেটিই তার নৈতিক আচরণ।বিজ্ঞান শিক্ষার অন্যতম লহ্ম্য হল মানুষের মধ্যে এই নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা বা নৈতিক চরিত্র গঠন। বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে নির্ধারিত বিজ্ঞান চর্চা ও বৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারনা, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এমন কতকগুলি মূল্যবোধের জন্ম দেয় যা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের নৈতিক চরিত্রকে উন্নততর করে তুলতে সহায়তা করতে পারে।বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সততা,ন্যায়-নীতি,ভালোবাসা জীবন ও জগৎ সম্পর্কে যথার্থ মূল্যবোধকে উপলব্ধি করা সম্ভব হয়।

(vii) সৌন্দর্যবোধের মূল্য -

মানব জীবনের সার্থকতা পূর্ণতা পায় বিশ্বপ্রকৃতিতে রূপ-রস-গন্ধ সন্তোষের দ্বারা।এই দিক প্রকৃতির মাঝে যা কিছু বর্তমান,তাকে সুন্দর হিসেবে উপলব্ধি করা,তার নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করা মানব ব্যক্তি সত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।এই বিশ্ব প্রকৃতির সাম্রাজ্যের সর্বত্র যে অপরূপ সৌন্দর্য ধারা ছড়িয়ে রয়েছে তাকে আবিষ্কার করা বা তাকে উপলব্ধি করার ব্যাপারে বিজ্ঞান প্রকৃত অর্থে সহায়তা করে।বিদ্যালয় পাঠক্রমে তাই বিজ্ঞান চর্চা,তা সে ভৌত বিজ্ঞান হোক আর জীবন বিজ্ঞান হোক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

8. বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের গুনাবলী - 

একটি আদর্শ বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের নিম্নলিখিত গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্যাবলির থাকা বাঞ্ছনীয়। - 

  • বিজ্ঞান শিক্ষার সামগ্ৰিক লক্ষ্য এবং অভীষ্ঠাবলির পরিপূরক হবে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকটি। 
  • পাঠ্যসূচির মূল রুপরেখা অনুসরণ করে পাঠ্যপুস্তকটি রচিত হবে।(T.B. নাম্বার পাওয়ার অন্যতম প্রাক শর্ত হল এটি)
  • কোনো বিষয়,সূত্র বা তত্ত্বকে ব্যাখ্যা করার জন্য শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবন অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পর্কিত উদাহরণ দেওয়া থাকবে। 
  • শিক্ষার্থীদের বুদ্ধ্যাঙ্ক তথা মানসিক বয়সের কথা মাথায় রেখে পুস্তকটি প্রণয়ন করা হবে।
  • শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক আগ্রহ এবং প্রবণতা বুদ্ধিতে বইটি সহায়ক হবে।
  • পাঠ্য পুস্তকটিতে বিষয়গুলি যৌক্তিক ক্রমে অথবা মনোবৈজ্ঞানিক ক্রমে বিন্যস্ত থাকবে। 
  • পাঠ্যপুস্তকটিতে মধ্যে কর্ম পত্র,কর্ম প্রকল্প প্রভৃতি দেওয়া থাকবে।এগুলি শিক্ষার্থীদের সক্রিয় শিখনে সহায়ক। 
  • পাঠ্যপুস্তকে ব্যবহৃত ভাষা সহজ ও সরল হওয়া বাঞ্চনীয়।
  • বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে প্রদত্ত চিত্রাবলি সঠিক,নিখুঁত, স্পষ্ঠ এবং যথাযথভাবে চিহ্নিত হবে। 
  • বইয়ের মুদ্রণ প্রমাদ যথাসম্ভব কম থাকবে।
  • বইয়ের মলাট,প্রচ্ছদ এবং বাঁধাই সুন্দর ও মজবুত হবে। 
  • পাঠ্য পুস্তকের মুদ্রিত হরফের আকার পঠন উপযোগী হবে। সাধারণত 12 Font Size হলে ভালো হয়।
  • রং,কার্টুন,ছবি প্রভৃতি শিক্ষার্থীদের মনকে আকর্ষণ করবে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত 'পরিবেশ ও বিজ্ঞান' নামক নতুন বইগুলি প্রকাশ করেছে।
  • পাঠ্য পুস্তকের কলেবর অযথা বড়ো হবে না।
  • জাতীয় পাঠক্রমের রূপরেখা,2005 এবং শিক্ষার অধিকার আইন,2009 নথি দুটির কথা মাথায় রেখে পাঠ্যপুস্তক লেখা বাঞ্ছনীয়। 
  • শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি বৈষম্যের কথা মাথায় রেখে পুস্তকটি রচিত হবে,অর্থাৎ অধিক বুদ্ধিসম্পন্ন, মাঝারি বুদ্ধিসম্পন্ন এবং কম বুদ্ধি সম্পন্ন সকল প্রকার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই পুস্তকটি কার্যকরী হবে।
  • পাঠ্যপুস্তকের দান ছাত্র-ছাত্রীদের নাগালের মধ্যে হওয়া বাঞ্চনীয়। 
  • বইয়ের শেষে একটি গ্রন্থ পঞ্জি থাকলে ভালো হয়। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ বোধে ঐ সমস্ত বইগুলো সংগ্রহ করে অতিরিক্ত তথ্য আহরণ করতে পারবে।

9. উপযুক্ত বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক নির্বাচনের মাপকাঠি -

বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত 'পরিবেশ ও বিজ্ঞান' নামে পুস্তকটি ( যা ভৌত বিজ্ঞান ,জীবন বিজ্ঞান এবং পরিবেশ বিষয়ের একটি সংহতরূপ) পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত সমস্ত সরকারি এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।সুতরাং পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে জীবন বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক নির্বাচনের দায়িত্বতার বর্তমানে শুধুমাত্র নবম থেকে দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক নির্বাচনের জন্য Loviaet Vogel একটি তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন স্কেল (Spot Check Evaluation Scale) তৈরি করেন।ভোগেলের স্কেলে মূলত দশটি প্রধান বিষয় বা ক্ষেত্রকে বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক নির্বাচনের জন্য বিবেচনা করা হয়ে থাকে।এই দশটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় হল - 

  1. গ্রন্থাকারের যোগ্যতা 
  2. বিন্যাসকরন
  3. বিষয়বস্তু 
  4. বিষয়বস্তুর উপস্থাপন 
  5. অভ্রান্ততা 
  6. পঠন যোগ্যতা 
  7. অভিযোজন শীলতা 
  8. শিক্ষণ সহায়ক উপকরণ
  9. চিত্রালঙ্করন
  10. বাহ্যরূপ

10. শিক্ষকের ভূমিকা -

  • একজন সফল শিক্ষককে বিজ্ঞান শিক্ষার বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাপকতর জ্ঞান থাকা আবশ্যিক।
  • শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উৎস বিভিন্ন এই ধারণা একজন শিক্ষকের থাকা উচিত। তাই বিজ্ঞান শিখনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনুশীলনী সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেগুলি সঙ্ঘবদ্ধ করতে হবে।
  • সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে শিক্ষককে চর্চা করতে হবে।কারণ সেই বিকল্প পদ্ধতি গুলি বিজ্ঞানে দুর্বল এইরকম শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে শিক্ষক শিখন পরিকল্পনা সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ ও তার আত্মবিশ্বাসকে সুনিশ্চিত করবে।
  • শিক্ষকের ভূমিকা হতে হবে শিখনের সুযোগ প্রদানকারী রূপে যিনি শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান ও সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন কৌশল প্রদান করবেন।
  • একজন সক্রিয় বিজ্ঞান শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয় উভয় ক্ষেত্রে একজন নেতৃত্ব ভূমিকা পালন করতে হবে।শুধুমাত্র বিজ্ঞানে জ্ঞানের জন্যই নয়,শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্ব ও কার্যক্রম বিকাশের জন্য তাকে শিক্ষার্থীদের থেকে শ্রদ্ধা অর্জন করতে হবে।

11. শিক্ষার্থীর ভূমিকা -

  • শিক্ষার্থীরা তার চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আনন্দপূর্ণ অনুসন্ধানমূলক কার্যে নিয়োজিত করতে হবে। 
  • শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে শিশুর বিশ্বপ্রকৃতি(প্রাকৃতিক পরিবেশ,শিল্প-সৌন্দর্য এবং মানুষ) সম্বন্ধে তার কৌতুহলকে জাগিয়ে তোলা, অনুসন্ধিৎসু তার বৌদ্ধিক এবং মানসিক ক্রিয়ার গতি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পর্যবেক্ষণ, শ্রেণীবিন্যাস করণ, দৃষ্টান্ত করন ইত্যাদিতে উদ্বুদ্ধ করে তোলা। 
  • শিহ্মার্থীরা পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করে এবং নিজেদের স্বাস্থ্য ও যৌন জীবন সম্পর্কে সর্বোপরি জীবন শৈলী দৃষ্টিভঙ্গি গঠন সম্পর্কে সুস্থ ও সঠিক ধারণা লাভ করতে শেখ। 
  • উন্নত প্রযুক্তিগত ধারণগুলি হাতে কলমে কাজ করে শেখার মাধ্যমে তাদের নির্দিষ্ট রূপরেখা নির্মাণ করতে পারা উচিত।
  • বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের বিষয় তাত্ত্বিক জ্ঞান,নীতি,সূত্র সমূহকে সুসংবদ্ধ পরীক্ষণের সাহায্যে যাচাই করে তা গ্ৰহন করার অভ্যাস গড়ে তুলবে।

12. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যেতে পারে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাথে বিজ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিজ্ঞান ছাড়া কোনো মানুষের বা কোনো সমাজের বা কোনো দেশের উন্নয়ন ঘটে না।বিশ্ব প্রতিযোগিতার বাজারে উন্নত থেকে উন্নততর দিকে অগ্রসরের জন্য বিজ্ঞান একান্ত প্রয়োজনীয়। তাই কুসংস্কার মুক্ত সমাজ গড়তে নব নব উদ্ভাবনের দ্বারা মানব জীবনের অস্তিত্ব সুরক্ষিত রাখার জন্য বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম।মানবজাতির কল্যাণের জন্য বিজ্ঞানের অগ্রগতি প্রয়োজন। একটি ব্যক্তি বিজ্ঞান শিখনের জন্য দরকার বিদ্যালয় স্তরে বিজ্ঞানের পঠন পঠন। তাই এই কারণে বিজ্ঞানকে বিদ্যালয়ে পাঠক্রমে রাখা জরুরি।









Post a Comment (0)
Previous Post Next Post