Education As Inter Disciplinary Field Of Study||অধ্যয়নের আন্তবির্ষয়ক ক্ষেত্র হিসাবে শিক্ষা

Education As Inter Disciplinary Field Of Study||অধ্যয়নের আন্তবির্ষয়ক ক্ষেত্র হিসাবে শিক্ষা

Education As Inter - Disciplinary Field Of Study||অধ্যয়নের আন্তবির্ষয়ক ক্ষেত্র হিসাবে শিক্ষা

BENGALI VERSION||ENGLISH VERSION
Education As Inter Disciplinary Field Of Study Practicum
Education As Inter Disciplinary Field Of Study 


অধ্যয়নের আন্তবির্ষয়ক ক্ষেত্র হিসাবে শিক্ষা
BENGALI VERSION -

1. ভূমিকা -

শিহ্মার ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Education' এসেছে 'Educare' নামক লাতিন শব্দ থেকে।'শিক্ষা' বিষয়টি একটি স্বতন্ত্র বিষয় হলেও প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা বিজ্ঞান বলতে বোঝায় এমন একটি বিষয় যা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র থেকে বিভিন্ন তত্ত্ব ও তথ্য আহরণ করে সামগ্রিকভাবে মানব জীবনের সঙ্গে যুক্ত সমস্যাগুলিকে সমাধান অগ্রবর্তী হয়েছে।তাই শিক্ষাবিজ্ঞানের এই নিজস্ব অস্তিত্বের প্রকৃতিকে আজ আর অস্বীকার করার উপায় নেই।খন্ড খন্ড বিষয় জ্ঞান ও তাদের অর্থপূর্ণ উপলব্ধিতে শিক্ষাবিজ্ঞান আজ হয়ে উঠেছে যথাযথভাবে সমৃদ্ধ। শিক্ষার অনেকগুলি অর্থ আছে,অথবা বলা হয় নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শিক্ষা ব্যাখ্যা করা যায়।এই দৃষ্টিভঙ্গিকে শিক্ষা বিজ্ঞানের মধ্যে যেমন ঘটেছে বিভিন্ন বিষয়গুলির সমন্বয় বা সাঙ্গীকরন। তেমনি অন্য দিকে সমৃদ্ধি। স্বাভাবিকভাবেই সমন্বায়িত জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে হিসেবে শিক্ষাবিজ্ঞান।এই দৃষ্টিভঙ্গিটি সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা প্রয়োজন আছে।সেই প্রচেষ্ঠাই এখানে প্রতিফলিত হয়েছে।
2. আন্তবির্ষয়ক জ্ঞানচর্চার অর্থ -

জ্ঞানের বিস্তৃতির কারনে উৎপত্তি হচ্ছে নানান প্রশ্ন, তাদেরকে ঘিরে নানান সমস্যা এবং এই সমস্যাগুলি সমাধান প্রসঙ্গে উৎপত্তি হয়েছে স্বতন্ত্র বিষয়ের, যা ফলে বিভিন্ন বিষয়ের অন্তর্গত সমস্যা সমাধান করার সহ্মমতা। Carole L.Palmer(2001)লিখেছেন - ' The Real world re - search problems that scientists address rarely arise within or dearly disciplinary categories,and neither do their solutions.'
             আন্তবির্ষয়ক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রেটিতে দুটি ধারণা লহ্ম করা যায়।আন্তবির্ষয়ক জ্ঞানচর্চার দিকটি মূলত দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সমন্বয় বা সাঙ্গীকরণে। আন্তবির্ষয়ক পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বয় হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা দুই বা ততোধিক বিষয়ের ভাবনা উপাত এবং তথ্য বা জ্ঞান পদ্ধতি,মাপনী, ধারণা এবং তত্ত্বাবলি সংশ্লোষিত সংযুক্ত অথবা সংমিশ্রিত হয়।
       আমরা যদি আন্তবির্ষয়ক জ্ঞানচর্চার ইংরেজি প্রতিশব্দ Inter disciplinary studies কথাটির গঠন  লক্ষ করি তবে দেখতে পাব Inter disciplinary শব্দটি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত - 'Inter' এবং 'disciplinary'. 'Inter' এর অর্থ হল মধ্যবর্তী অর্থাৎ দুই বা ততোধিক থেকে উদ্ভূত। Disciplinary কথাটির অর্থ হল জ্ঞানচর্চার কোনো বিশেষ ক্ষেত্র বা তার সঙ্গে সম্পর্কিত।সুতরাং Inter - Disciplinary এর সংজ্ঞায় বলা হয় দুই বা ততোধিক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রগুলির মাঝামাঝি। Inter কথাটি আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়কে নির্দেশ করে।সেটি হলো সমম্বয়ের ফলশ্রুতি।সমম্বয়ের ফলে একটি জ্ঞানমূলক অগ্রগতি বা জ্ঞানভাণ্ডারে সংযুক্তি ঘটিয়ে জ্ঞানের বিস্তার ঘটে। পরবর্তীকালে গবেষণামূলক এই অগ্রগতির ফলে নতুন নীতির গঠন,নতুন গবেষণামূলক প্রশ্নাবলির গঠন এবং নতুন শিল্প সৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই যা কোনো দেশের সামাজিক অগ্ৰগতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
           সুতরাং Inter এই প্রারম্ভিক অংশ বা উৎসর্গ টির সংক্ষেপে প্রধান তিনটি দিক হল - 
  • Discipline গুলির মধ্যে প্রতিদ্ধন্ধী স্থানে।
  • Discipline বা বিষয়ভিত্তিক অন্তর্দৃষ্টি গুলিতে গৃহীত কার্যকরী পদক্ষেপ যা সমন্বয় বলে পরিচিত।
  • সমম্বয়ের ফলশ্রুতি যা জ্ঞান মূলক অগ্রগতি গঠন করে,এটি একটি ব্যাপক উপলব্ধি বা বোধ হিসাবে অভিহিত হয়।
3. আন্তবির্ষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি - 

শিক্ষাকে মূলত দুটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করা যায়।- 
১. বিদ্যা হিসেবে শিক্ষা।
২. শিক্ষা একটি প্রক্রিয়া।

১. বিদ্যা হিসাবে শিক্ষা - 

বিদ্যার শ্রেণীবিভাগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল যে কিছু কিছু বিদ্যা মৌলিকরনযোগ্য নয়,কারণ এই সমস্ত বিদ্যার অন্তর্গত তত্ত্ব,তথ্য,নীতি ও পদ্ধতি কোনোটিই সর্বজনগ্রাহ্য সহমতের ভিত্তিতে গড়ে ওঠেনি।ফলে প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই অস্পষ্টতা ও বিতর্কের অবকাশ থেকে যায়। অনুরূপ শিক্ষাবিদ্যা, শিক্ষাতত্ত্ব অথবা শিক্ষা বিজ্ঞান সবই একটি মৌলকরন অযোগ্য চর্চার ক্ষেত্র।তার কারণ এই ক্ষেত্রটির সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন বিদ্যার অর্জিত জ্ঞানকে একত্রিত করে।
উদাহরণ - 
  1. পাঠক্রমের নির্মাণ ও পরিকল্পনাতে দর্শন, সমাজবিজ্ঞান,মনোবিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয় গুলির সাহায্য নিতে হয়।
  2. পাঠক্রমের কার্যকারিতা ও প্রয়োগের প্রধান উপায় শ্রেণীকক্ষের পঠন - পাঠন।পঠন পাঠনের প্রকরন সম্পর্কেও অনেক বিতর্ক,তত্ত্ব,মডেল ইত্যাদি আছে। 
  3. পাঠক্রমের ভালো মন্দ ও কার্যকরিতা বিচারের যে প্রক্রিয়া তার নাম মূল্যায়ন।মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার বেলাতেও বিতর্কের শেষ নেই।
         এই সমস্ত বিতর্ক,অস্পষ্টতা ও পদ্ধতিগত বৈচিত্রের উৎস বিদ্যা হিসেবে শিক্ষার আন্তর্বিদ্যা সুলভ প্রকৃতি এবং অমৌলকরন যোগ্যতা। সুতরাং শিক্ষা একটি আন্তর্বিদ্যা মূলক চর্চার ক্ষেত্র। 

২. শিক্ষা একটি প্রক্রিয়া -

শিক্ষাহীন ব্যক্তি যে ধারাবাহিক সুপরিকল্পীত কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করে। তাকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে শেষ পর্যন্ত তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান লাভ করে শিক্ষিত মানুষে পরিণত হয়, তাই হল শিক্ষার প্রক্রিয়া। শিক্ষা নামক প্রক্রিয়ার এইটির সরলতম ব্যাখ্যা।এর আরও জটিল একাধিক ব্যাখ্যা থাকাই সম্ভব।কারণ শিক্ষার একটি অমৌলিকরনযোগ্য বিষয়।
         আমরা জানি,একটি শিশুই প্রথমে বাড়িতে এবং তারপর একটি নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যালয়ের শিক্ষকের অধীনে শিক্ষা লাভ করে।শিক্ষার জন্য তাকে প্রথমে পড়া,তারপর লেখার কৌশল,বিভিন্ন দক্ষতা ইত্যাদি অর্জন করে। প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়া মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে উপযুক্ত সময়ে শুরু হয় বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করার প্রক্রিয়া।অর্থাৎ সহজ ভাষায় প্রকৃত প্রথাগত বিদ্যালয় শিক্ষা বহু বিদ্যার একটি সমন্বয়। সুতরাং বহুবিদ্যা ও আন্তর্বিদ্যা কথাটির মধ্যে কার
সূক্ষ্ম তাত্ত্বিক পার্থক্য আগ্রহ করে শিক্ষা একটি আন্তর্বিদ্যা ভিত্তিক প্রক্রিয়া এই সিদ্ধান্ত করা অযৌক্তিক নয়।
     অর্থাৎ বিদ্যা হিসাবে শিক্ষা এবং প্রক্রিয়া হিসেবে শিক্ষা দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক যেমন নিবিড় তেমনি একে অপরের পরিপূরক।তাই শিক্ষাবিদ্যা আর শিক্ষা প্রক্রিয়া দুটোই আন্তর্বির্ষয়ক চর্চার বিষয়।

4. আন্তবির্ষয়ক জ্ঞানচর্চার উদ্দেশ্য -
  1. আন্তবির্ষয়ক জ্ঞানচর্চার অর্থ উপলব্ধি করতে পারবেন। 
  2. বহু বিষয়ক জ্ঞানচর্চার সঙ্গে আন্তবির্ষয়ক জ্ঞান চর্চার পার্থক্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
  3. বিষয়গুচ্ছের উৎপত্তি,বিকাশ এবং প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
  4. বিষয়গুচ্ছের বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করতে পারবেন।
  5. ঐতিহাসিক যুগে মানুষের শিক্ষা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন। 
  6. শিক্ষার অর্থ উপলব্ধি করতে পারবেন। 
  7. প্রথাহীন শিক্ষা ও প্রথাগত শিক্ষার সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন। 
  8. শিক্ষার অতীত ও ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত প্রকৃতি জানতে পারবেন।
  9. শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে দর্শণ,ইতিহাস,মনোবিজ্ঞান, অর্থশাস্ত্র,রাশিবিজ্ঞান,জীবনবিজ্ঞান,ভৌতবিজ্ঞান, প্রযুক্তি বিজ্ঞান,ভূগোল প্রভৃতি বিষয়ে সম্পর্ক উপলব্ধি করতে পারবেন। 
  10. বিভিন্ন বিদ্যালয় বিষয়গুলির মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক এবং আন্তঃ নির্ভরতা উপলব্ধি করতে পারবেন।
5. শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে আন্তবির্ষয়ক ক্ষেত্র সমুহের সম্পর্ক - 
শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে আন্তবির্ষয়ক হ্মেত্র গুলি হল -

১. দর্শনশাস্ত্রের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক -

শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিশুকে তার জন্মগত সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে আচরণ ধারার পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের সহায়তা করা।এই কাজে দর্শনশাস্ত্র শিক্ষা বিজ্ঞানকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়।আবার,উপযুক্ত শিক্ষা ব্যক্তির জীবন দর্শনকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। দর্শনের প্রভাব শিহ্মার আর অন্যান্য যেসব ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় সেগুলি হল শিক্ষণ পদ্ধতি,শিক্ষার লক্ষ্য,শৃঙ্খলা স্থাপন, পাঠক্রম প্রণয়ন , মূল্যায়ন ব্যবস্থা, শিক্ষকের ভূমিক ইত্যাদি।

২. মনোবিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক -

দর্শন দ্বারা নির্ধারিত শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীরা কতটা সম্ভব তা নির্ধারণ করে দেয় মনোবিজ্ঞানী। আধুনিক শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার মূল ভিত্তি রচনা করেছে মনোবিজ্ঞান।মনোবিজ্ঞান ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের নীতিকে বিবেচনা করে শিক্ষা ব্যবস্থার গঠনের সহায়তা করে।

৩. ইতিহাসের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক - 

ইতিহাস হল অতীতের অভিজ্ঞতার ভান্ডার। শিক্ষা বিজ্ঞানের সেই ভান্ডার থেকে জ্ঞানের সঞ্চয় ও সঞ্চালন করে।ইতিহাসের হাত ধরেই মানবসভ্যতার ধারা উপলব্ধি করা সম্ভব।শিক্ষাবিজ্ঞান ও ইতিহাস উভয়ের কাজ হল পুরানো অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন ও সংশোধিত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। 

৪. সমাজতত্ত্বের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক -

সমাজতত্ত্ব শিক্ষা বিজ্ঞানকে সমাজের চাহিদাকে বুঝতে সহায়তা করে এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করে।সেই সঙ্গে শিক্ষার পাঠক্রম,শিহ্মন পদ্ধতি ইত্যাদি নির্ধারণে সাহায্য করে। 

৫. রাশি বিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষা বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

শিক্ষাবিজ্ঞান মানুষ ও সমাজের নানা সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে নিয়োজিত।পরিসংখ্যান শিক্ষার নানা সমস্যা, মানুষের সমাজ জীবনে বেকার সমস্যা, খাদ্য সমস্যা,স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা,শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের পথে শিক্ষা বিজ্ঞানের সঙ্গে হাত ধরে চলে। রাশি বিজ্ঞান শিক্ষার অগ্রগতির পথের সাফল্য বা অসাফল্যে কে পরিমাপ করে উন্নতির পথে সহায়তা করে।
৬. প্রযুক্তি বিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষা বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

শিক্ষাবিজ্ঞানের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হল শিখন শিহ্মন প্রক্রিয়া সম্পাদন শিক্ষা বিজ্ঞানের এই শিখন শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে কার্যকরী করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিদ্যা শিখন সহায়ক পদ্ধতি ও কৌশল গুলিকে উন্নত রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রযুক্তি বিদ্যা শিখনের উপযুক্ত পরিবেশে গঠনে সহায়তা করে।এটি শিক্ষার দ্বারা সবার সম্মুখে কম শ্রম সাপেক্ষে আধুনিকতম রূপে উন্মোচনের চেষ্টা করে।

৭. তুলনামূলক শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক -

তুলনামূলক শিক্ষা বিভিন্ন দেশের বা সমাজের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা শিহ্মন কৌশল ও শিক্ষার অন্যান্য দিক সম্পর্কে তুলনামূলক ভাবে আলোচনা করে  শিক্ষা বিজ্ঞানের এই অংশের মূল উদ্দেশ্য হল পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের বা সমাজে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সামগ্ৰিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা। তুলনামূলক শিক্ষা বিভিন্ন দেশের শিক্ষার রীতিনীতি গ্রন্থ ইত্যাদি সংক্রান্ত জ্ঞান ও সরবরাহ করে।

৮. ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রের সঙ্গে শিক্ষা বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রের মূল আলোচ্য বিষয় হল সুপরিকল্পনার মাধ্যমে কম পরিশ্রমে অধিক কার্যকারী রূপে বিষয়ের উন্নতি সাধন করা।শিক্ষা বিজ্ঞানের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা শাস্ত্র যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষাদানে সহায়তা করে। 

৯. নৃবিজ্ঞানের শাস্ত্রের সঙ্গে শিক্ষাবিজ্ঞানের সম্পর্ক -

নৃবিজ্ঞান ও শিক্ষাবিজ্ঞানের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হল মানুষ ও তার সংস্কৃতি। নৃবিজ্ঞান শিহ্মা বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বহুমুখী জ্ঞানের আহরন করে।এটি মানব বিকাশমূলক নানা দিক পর্যালোচনা করে।

১০. অর্থশাস্ত্রের সঙ্গে শিক্ষা বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

সঠিকভাবে শিক্ষা প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থনীতির জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।শিক্ষার সঙ্গে অর্থশাস্ত্র যুক্ত হয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাকে সঠিকভাবে পরিচালিত হতে সাহায্যে করেছে।অর্থশাস্ত্রের জ্ঞান শিক্ষা বিজ্ঞানের উন্নতির পথে আর্থিক সমস্যাকে সমাধানের পথ বলে দেয়।

১১. ভৌতবিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষা বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষা বিজ্ঞানের উদ্দেশ্যকে সফল করতে সহায়তা করে। ভৌতবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে মানুষ এই বিশ্বের জড় প্রকৃতি,জড় বস্তুর গঠন,শক্তি ও তার রূপান্তরের বিষয়গুলি শিক্ষার্থী অনুসন্ধান করতে পারে। সুতরাং সেদিক থেকে ভৌতবিজ্ঞান শিক্ষা বিজ্ঞানের উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করে। 

১২. ভূগোলের সঙ্গে শিক্ষা বিজ্ঞানের সম্পর্ক - 

ভূগোল ও শিক্ষা বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ক্ষেত্র হল মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ,ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক নির্ধারণ,মানুষ ও তার অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ইত্যাদি। 

১৩. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সঙ্গে শিক্ষা বিজ্ঞানের সম্পর্ক -

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞান‌ শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়ে রাষ্ট্র ও নিয়মকানুন,দায়িত্ব,কর্তব্য, মূল্যবোধ অধিকার ইত্যাদি জ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে বিষয়কে সমৃদ্ধ করেছে।

Education As Inter Disciplinary Field Of Study (education Science related to others subject)


৬. আন্তবির্ষয়ক জ্ঞানচর্চার গুরুত্ব -
  1. শিক্ষাবিজ্ঞানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় যুক্ত থাকার কারণে এই বিষয়ের বিষয়গত পরিধি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।মানুষের জানার বা জ্ঞানের ক্ষেত্রেও অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। 
  2. আন্তবির্ষয়ক ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষা বিজ্ঞানের অনেক বিষয় করেছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজন ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ও লালন পালন করতে পারে। 
  3. অনেকগুলি বিষয়ের সমাহার বলে শিহ্মাবিজ্ঞান থেকে অনেক নতুন বিষয়ের উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  4. আন্তবির্ষয়ক হ্মেত্র হিসেবে শিক্ষা বিজ্ঞানের অনেক বৌদ্ধিক, সামাজিক ও বাস্তব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
  5. শিক্ষা বিজ্ঞানের সঙ্গে অনেক গুলি বিষয় যুক্ত থাকার কারণে এই হ্মেত্রের নিয়ম অনেকটাই নমনীয়।এই শিক্ষা বিজ্ঞানের কোনো বিষয়গত পক্ষপাতিত্ব নেই।
৭. উপসংহার -
 
আলোচনাটি পরিশেষে বলা যায় যে,শিক্ষা বিজ্ঞান অত্যাবশ্যকীয় ভাবে একটি আন্তঃ বিষয় ক্ষেত্রসমূহ বিষয়।কারণ বর্তমানে শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয় গুলি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে এবং সেই প্রসঙ্গে আলোচনা ও গবেষণা ক্রমশ প্রসিদ্ধি লাভ করছে।তাই সেক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ে ক্ষেত্র সমূহ এলাকা থেকে প্রভূত জ্ঞান আহরণ করা বাঞ্ছনীয়।বিকাশের প্রক্রিয়া রূপে দেখতে গেলে বিষয় হ্মেত্র হিসেবে শিক্ষা বিজ্ঞান একটি বৃহ্মকাঠামো স্বরূপ স্তরীয় গাঠনিক বহু বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ধারনা ও উপধারনা সহযোগে বিস্তৃত।

CLICK HERE -

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post