Phases Of Language Development

Phases Of Language Development

Phases Of Language Development
BENGALI VERSION||

Phases Of Language Development Practicum
Phases Of Language Development Practicum


Phases Of Language Development
BENGALI VERSION-

1. ভূমিকা -

ভাষা হল মানুষের সম্পদ।মানুষের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল - মানুষের মন আছে,চিন্তা চেতনার ক্ষমতা আছে জীবন বিস্তৃত আবেগের বৈভব আছে,আর এই সমস্ত গুলির প্রকাশের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হল ভাষা। অর্থাৎ ভাষাই  হল মানুষের  ভাব বিনিময়ের মাধ্যম। Edward Sapir এর মতে - Language is a purely human and non - instinctive method of communication ideas emotions and desires by means of valuntarity provided symbols.বস্তুত ভাষা হল মানুষের বিবর্তনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালক,যা তাকে  জীবজগতের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা এনে দিয়েছে। মানুষ তার সমস্ত স্বাতন্ত্র্যের পরিচয়কে বাস্তবায়িত করে যে শিক্ষার মাধ্যমে,সেই শিক্ষার প্রধান অবলম্বনটিও হল ভাষা।বিষয় এবং শিক্ষণ শিখনের বিষয় গুচ্ছ হিসেবে ভাষার বিভিন্ন ঠিক নিয়ে আমরা আলোচনা করব এই বিষয়টিতে।

2.ভাষার অর্থ ও সংজ্ঞা -

ভাষা হল এক ধরনের মাধ্যম যা একজন ব্যক্তি চিন্তা, ধারণা অনুভূতি ইত্যাদিকে অন্য আর একজন মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত করে।এই কতকগুলি চিহ্ন বা প্রতীকের সমষ্টি। যখন কতকগুলি চিহ্ন বা প্রতীক অর্থপূর্ণ কোনো বিষয়কে নির্দেশ করে তখন তাকে ভাষা বলা হয়।

Baron এর মতে, ভাষা হল - "A system of symbols,plus rules for combining than used to communicate information" অর্থাৎ ভাষা হল প্রতীকের সিস্টেম,যে গুলি একত্রিত বা যোগ করার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে এবং যা আমরা তথ্য আদান প্রদান করতে ব্যবহার করি।J.W.Santrock তাঁর বইতে " Educational Psychology' তে ভাষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন - " Language is a from of communication whether spoken, written of signed,that is based on a system of symbols." অর্থাৎ ভাষা হল যোগাযোগের প্রক্রিয়া যা নির্দিষ্ট কতকগুলি প্রতীকের সমষ্টির এবং যা বাচনিক, লিখিত ও অবাচনিক হতে পারে।

                আবার বিষয় হিসেবে ভাষা বলতে বোঝায় আঞ্চলিক কাঠামো অবলম্বন করে ভাষার চর্চা যা বিদ্যালয়ের নিম্ন স্তর থেকে শুরু করে।উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ভাষাতত্ত্ব বা মনোভাষাতত্ত্ব, যোগাযোগ প্রক্রিয়া ভাষার সামাজিক ভিত্তি, ভাষা আয়ত্তকরণ প্রক্রিয়া এই সমস্ত বিষয় ভাষা বিদ্যার বিষয়বস্তু।আর ইংরেজি বা বাংলা শেখা ভাষা বিষয়ক পাঠ্য। 

বিভিন্ন মনোবিদদের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে ভাষার কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা যায়।যেমন -

  1. ভাষা হল এক ধরনের মাধ্যম।
  2. এটি যোগাযোগের বা ভাবের আদান প্রদানের একটি রূপ। 
  3. এটি কতগুলি চিহ্ন বা প্রতীকের সমষ্টি। 
  4. এটি কোনো অর্থপূর্ণ বিষয়কে নির্দেশ করে।
  5. এটি বিকাশ পর্যায়ক্রমে ঘটে।
  6. এটি সামাজিক পরিবেশেই সম্পন্ন বা বিকশিত হয়।

3. ভাষা শিক্ষার উদ্দেশ্যাবলী - 

  1. ভাষা হল যোগাযোগের মাধ্যম। 
  2. ভাষার বিকাশ ও চর্চা এবং বৌদ্ধিক বিকাশ ঘনিষ্ঠ ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
  3. ভাষা হল চিন্তার বাহন।
  4. ভাষা হল নিজেকে প্রকাশ করার হাতিয়ার। 
  5. ভাষা মানুষের প্রহ্মোভজনিত উত্তেজনা থেকে মুক্তির উপায়।ভাষা সৃজনশীলতার পরিপোষক।
  6. ভাষা মানুষের সৌন্দর্য চেতনার পরিপোষক। 
  7. ভাষার স্বরূপ বা প্রকৃতি উপলব্ধি করতে পারবেন।
  8. ভাষা কার্যাবলি জানতে পারবেন।
  9. শিক্ষার ভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন।
  10. বিদ্যালয় পাঠক্রমে ভাষা শিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। 
  11. বিদ্যালয় ভাষার নীতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
  12. যোগাযোগের নীতি ও প্রকারভেদ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। 
  13. ভাষা বিকাশের স্তর সমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন। 
  14. ভাষা উপাদান সম্পর্কে জানতে পারি। 
  15. কার্যকরী ভাষাগত উপায় গুলি সম্পর্কে জানতে পারি।

4. ভাষার উপাদান -

যে কোনো ভাষা সাধারণত চার ধরনের উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয়।যেমন- 

১. ধ্বনি - 

এটি ভাষার প্রথম উপাদান।যে সমস্ত প্রতীক বা চিহ্ন নিয়ে ভাষা তৈরি হয়,তাকে ধ্বনি বলে।যেমন - "আ" ও "ম" ইত্যাদি এক একটি ধ্বনি।এই দুটি ধ্বনিকে একসঙ্গে  জুড়লে "আম"একটি শব্দ হয়।  

২. শব্দার্থ -

এটিও ভাষার প্রথম উপাদান।শব্দার্থের অর্থ হল শব্দ ও বাক্যের অর্থ উপলব্ধি করা।যেমন - "আম" শব্দটি থেকে একটি ফলের নাম বোঝানো হয় বাংলা ভাষাতে।

৩. বাক্যবিন্যাস -

বাক্যবিন্যাস বলতে বোঝায় কতগুলি অর্থপূর্ণ শব্দকে একত্রিত করে বাক্য তৈরি কর এবং ব্যাকরণ গত নীতিকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা।

৪. প্রয়োগ - 

এটি ভাষার চতুর্থ উপাদান।বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বা বিভিন্ন সময়ে শব্দের বা বাক্যের ব্যবহারের উপলব্ধিকে বলে ভাষার প্রায়োগিক দিক।যেমন - একজন শিক্ষকের বাড়িতে এবং শ্রেণিকক্ষে দুটি পৃথক স্থানে ভাষার প্রয়োগ একরকম হয় না ভিন্ন হয়।

5. ভাষা বিকাশের তত্ত্ব সমূহ -

ভাষার বিকাশ কীভাবে হয় বিভিন্ন মনোবিদ বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তা ব্যাখ্যা করেছেন। নিচে কিছু তত্ত্বের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল। - 

• আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি -

এই তত্ত্ব অনুসারে মানুষ ভাষা অর্জন করে সক্রিয় অনুবর্তনের মাধ্যমে।শিশুর ভাষা বিকাশের পিতা-মাতার হাসি,আদর ইত্যাদি শক্তিদায়ক উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। কোনো কোনো আচরণবাদী মনে করেন শিশু ভাষা আয়ত্ত করে অনুকরণের মাধ্যমে।এই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে মানুষের প্রথম দিকের ভাষার বিকাশের ব্যাখ্যা করা গেলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে এই তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

• জন্মগত/সহজাত দৃষ্টিভঙ্গি -

আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে গিয়ে কোনো কোনো মনোবিদ ও ভাষাতত্ত্ববিদ বলেন যে শিশুরা নিজ নিজেই  ভাষা শেখা এবং ভাষা মস্তিষ্কের কাঠামোর মধ্যেই অবস্থিত।ভাষাবিদ Noam Chomsky এই মতে বিশ্বাসী। তাঁর মতে প্রত্যেক শিশুর একটি Language Acquisition Device(LAD)থাকে। যার দ্বারা সে বাক্য বুঝতে পারে ও তৈরিও করতে পারে।তিনি আরও বলেন এই LAD হল সর্বজনীন ব্যাকরণ বা মানুষের সহজাত এবংযা  সমস্ত মানব জাতির জন্য প্রযোজ্য। 

• মিথস্ক্রিয়া দৃষ্টিভঙ্গি -

বর্তমানে আচরণবাদী ও সহজাত দৃষ্টিভঙ্গির বিতর্কের সমাধান সূত্র হিসেবে এই দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে।এই দৃষ্টিভঙ্গিতে বলা হয় ভাষা বিকাশের জন্য মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি এবং পরিবেশ দুটি উপাদানই প্রভাব ফেলে এবং এই দুটি উপাদানের মিথস্ক্রিয়ার ফলেই ভাষার বিকাশ হয়।

               এই দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী মনোবিদরা ভাষার বিকাশকে দুভাবে ব্যাখ্যা করেছেন,প্রথমটি হল তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও দ্বিতীয়টি হল সামাজিক মিথস্ক্রিয়া।

6. ভাষার বিকাশ -

সাধারণত ভাষার বিকাশের দুটি দিক রয়েছে।একটি হল উচ্চারিত ভাষা এবং অপরটি হল অনুচ্চারিত ভাষা দিক।

অনুচ্চারিত ভাষা (Para - Linguistic) - 

অনুচ্চারিত ভাষা ছাড়া অন্যান্য 'Non - Verbal'।সূত্র বা  পদ্ধতি।এই ধরনের ভাষা শুরু হয় শিশুর জন্ম থেকে, যেমন 'Cooing' ও 'Babbling' ইত্যাদি, এবং স্থায়ী হয় সেই বয়সে যতদিন পর্যন্ত না সে ভাষা ব্যবহার করতে পারে। অর্থাৎ ১২ মাস বয়স অবধি এই স্তরেকে আবার 'Pri - Linguistic' স্তর বলে।তবে এখানে একটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন শিশুর ভাষার বিকাশ স্তর ও সম্পন্ন হবার পরেও 'Para - Linguistic' ভাষা বর্তমান থাকে। বয়স্করা বড়ো হয়ে ও বিভিন্ন ধরনের 'Para - Linguistic' ভাষা প্রয়োগ করে থাকে। 

উচ্চারিত ভাষা ( Linguistic) -

'Para - Linguistic' পর আসে 'Linguistic' বা উচ্চারিত ভাষাগত বিকাশ।যেখানে সমস্ত রকমের ভাষার উপাদান গুলি(Phonetics,Sementics,3 Pragmatics ইত্যাদি) বিকাশ লাভ করে।

           শিক্ষক যখন শ্রেণিকক্ষে ভাষা ব্যবহার করেন। তাঁর দুটি দিক থাকে।একটি হল ভাষাযুক্ত অপরটি হল ভাষা বিহীন।গবেষণায় দেখা গেছে যে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ভাষা যুক্ত চাইতে ভাষা বিহীন ভাবে বেশি যোগাযোগ করেন।আমরা দেখব শিশুর জন্মের পর থেকে কীভাবে এই 'Para - Linguistic' ও 'Linguistic' দিকের ভাষার বিকাশ হয়।

7. ভাষা বিকাশের বিভিন্ন স্তরসমুহ -

একটি শিশুর জন্মের পর থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত ভাষা বিকাশের বিভিন্ন স্তর লক্ষ্য করা যায়।এই স্তর গুলি নিম্নে বর্ণনা করা হল। - 

ক. জন্মের পর এক বছরের স্তর - 

১. ধ্বনিগত -

  • মনোযোগ দিয়ে নানা শব্দ শোনা। 
  • কথা শুনে ধ্বনি গুলি নিয়ে নাড়াচাড়া করে। 
  • অর্থহীন শব্দ করতে করতে প্রকৃত শব্দের অনুরূপ আওয়াজ বের করে।

২. শব্দার্থগত -

  • মাতৃভাষার (সে ভাষার অধিকাংশ মানুষ কথা বলে)কথা  শুনতে ভালোবাসে। 
  • শব্দ গুলির পরস্পর লক্ষ করে।
  • প্রাক্ বাচনিক ইঙ্গিত করে। 

৩. ব্যাকরণগত -

  • সঠিক ভাষা ব্যবহারের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করে।

৪. প্রয়োগগত -

  • নানাভাবে অন্যের কথার প্রতিক্রিয়া করে। 
  • অন্যের কথা শোনার জন্য চুপ করে অপেক্ষা করে।

খ. ১ থেকে ২ বছরের স্তর -  

১. ধ্বনিগত -

  • কথা বলার সময় উচ্চারণগুলি সহজ সরল করার নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করে। 

২. শব্দার্থগত -

  • প্রথম শব্দ উচ্চারণ করে। 
  • কয়েকশো শব্দ ব্যবহারে দক্ষ হয়ে ওঠে।

৩. ব্যাকরণগত -

  • এক বা দুই শব্দ যুক্ত বাক্য ব্যবহার করে। 
  • শেষের দিকে তিন শব্দ যুক্ত বাক্য এবং কিছু বার এবং কিছু ব্যাকরণ সম্মত অনুসর্গ ব্যবহার করে।

৪. প্রয়োগগত -

  • কথোপকথনের নিয়ম মানতে শুরু করে।
  • প্রক্ষোভজনিত ভাষা বলতে পারে। 

গ. ৩ থেকে ৫ বছরের স্তর - 

১. ধ্বনিগত -

  • উচ্চারণ স্পষ্ট হয় এবং ক্রমাগত উন্নত হয়।

২. শব্দার্থগত - 

  • যে কথা এখনও শেখেনি তার পরিবর্তে নিজস্ব শব্দ বলে।
  • কিছু কিছু রূপকার্য শব্দ বলতে পারে। 

৩. ব্যাকরণগত -

  • ব্যাকরণ সম্মত বাক্য বলে। 
  • নিয়মিত প্রত্যয় যুক্ত শব্দ বলতে পারে। 
  • জটিল বাক্য বলতে শুরু করে।

৪. প্রয়োগগত - 

  • কথা মাধ্যমে বিশেষ উদ্দেশ্য মূলক অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে।
  • অন্যের প্রত্যাশা ও সামাজিক রীতি মেনে কথার রকমফের করতে পারে।

ঘ. ৬ থেকে ১০ বছরের স্তর - 

১. ধ্বনিগত -

  • যথাযথ ঝোঁক সহ কথা বলতে পারে এবং তার মাধ্যমে অর্থের তারতম্য ঘটতে পারে।

২. শব্দার্থগত - 

  • বিদ্যালয় প্রবেশের পর অন্তত দশ হাজার শব্দ ভান্ডার গড়ে ওঠে।
  • কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞার অর্থ বুঝতে পারে। 

৩. ব্যাকরণগত -

  • ভাববাচ্যে কথা বলতে পারে।
  • ব্যাকরণ সম্মত সূক্ষ্ম পরিবর্তন বাক্যের মধ্যে করতে পারে। 

৪. প্রয়োগগত -

  • সাংকেতিক কথাবার্তায় দক্ষ হয়ে ওঠে। 
  • কথোপকথনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া স্পষ্ট হয়।
  • বিমূর্ত বিষয়ের কথা কিছু বলতে পারে। 

ঙ. ১১ থেকে ১৪ বছরের স্তর - 

১. ধ্বনিগত -

  • ভাষা উচ্চারণ বিষয়ে পরিপূর্ণ পায়।

২. শব্দার্থগত -

  • বিমূর্ত শব্দ সহ চল্লিশ হাজারের বেশি শব্দ ভান্ডার।
  • কথার ও ব্যবহৃত শব্দের অনুচ্চারিত অর্থ বুঝতে পারে।

৩. ব্যাকরণগত - 

  • ইচ্ছামতো ভাষার ব্যাকরণ গত কাঠামো ব্যবহার করতে পারে। 

৪. প্রয়োগগত -

  • ভাষা ব্যবহারের সামাজিক দক্ষতা ক্রমাগত উন্নত হতে থাকে।

চ. ১৫ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক বয়সের স্তর - 

১. ধ্বনিগত -

  • ভাষার উচ্চারণে দখল করে।

২. শব্দার্থগত - 

  • শব্দভান্ডার চল্লিশ হাজারের বেশি হয়। 
  • কথার ও ব্যবহৃত শব্দের অনুচ্চারিত অর্থ বুঝতে পারে।

৩. ব্যাকরণগত -

  • যতটা স্বাধীনতা এই বিষয়ে নেওয়া সম্ভব তার পূর্ণ সুযোগ নেয়। 

৪. প্রয়োগগত - 

  • বয়স্কদের জন্য লেখা প্রবন্ধ,উপন্যাস,গল্প ইত্যাদি বুঝতে পারে।

8. কার্যকারী ভাষাগত বিকাশের উপায় - 

  1. শিশুদের ভাষা বিকাশের প্রথম স্তরে তখন সে 'Cooing' এবং 'Babbling' করতে শুরু করে তখন মা-বাবা বা লালনপালনকারী সেই দিকে মনোযোগী হতে হবে ও সক্রিয় সাড়া দিতে পারেন।
  2. শিশু যখন দুই একটি শব্দ বলতে শেখে তখন অভিভাবকগণ যদি শব্দগুলিকে একটু বড়ো করে শব্দ করে পুনরাবৃত্তি করেন তাহলে শিশুর ভাষার বিকাশ দ্রুত হয়।
  3. পিতা-মাতা গন শিশুকে ছবির বই নিয়ে গল্প শোনালে দ্রুত শব্দার্থ শিখতে সুবিধা হয়।
  4. বিদ্যালয় যাওয়ার বয়সে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের ভাষার ব্যবহার প্রতি সতর্ক হওয়ার উচিত।কারণ এই সময়ে শিশু ভাষার অনুকরণ করে। 
  5. শিশু রেডিয়ো বা টিভি দেখলে দ্রুত শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি পায়।এক্ষেত্রে অভিভাবকগণ সঙ্গে থেকে শিশুর উপযোগী বিষয়বস্তুকে দেখাতে পারেন।
  6. শব্দ নিয়ে খেলা করতে শেখালে শিশুর ভাষার বিকাশ দ্রুত হয়।

9. ভাষা বিকাশের ক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকা ভূমিকা -

  1. শিশুরা যখন 'Cooing' এবং 'Babbling' করে তখন অভিভাবক সেদিকে মনোযোগ ও সাড়া দেবেন।
  2. শিশুরা যা বলতে পারছে সেই শব্দ বা বাক্যকে আরো বড় করে বললে ভাষার বিকাশ ভালো হয়।
  3. ছবির বই দিয়ে শিশুদেরকে গল্প শোনালে শব্দার্থ বুঝতে সুবিধা হয়।
  4. শিক্ষক-শিক্ষিকা বা অভিভাবকদের শব্দ উচ্চারণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।কারণ শিশুরা তা অনুকরণ করে শেখে। 
  5. রেডিয়ো ও টিভি দেখলে শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পায় ও শব্দার্থ বুঝতে সাহায্য করে।
  6. সামাজিক মেলামেশা বিশেষ করে ছোটো দলের সঙ্গে মেলামেশা ভাষা বিকাশে সাহায্য করে। 
  7. শব্দ দিয়ে খেলা যেমন শব্দছক ভাষার বিকাশে সাহায্য করে।

10. উপসংহার -

পরিশেষে বলা যায়,ভাষাই হল মানুষের ভাবের মাধ্যম। তাই তার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করার মাধ্যম হল ভাষাগত বিকাশ।ভাষাগত বিকাশের বিভিন্ন দিক এবং উপাদান রয়েছে।এই বিভিন্ন দিক ও উপাদান গুলি সঠিকভাবে শিশুর মধ্যে বিকাশ ঘটানো অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকার প্রধান কর্তব্য।অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকারা শিশুর প্রতি যত্নবান ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।শিশুর বিভিন্ন স্তরের ভাষাগত বৈশিষ্ট্য সমূহ পরিবর্তিত হয় তাহলে তার প্রয়োজন কৌশল অবলম্বন সমর্থ হবেন ও শিশুর ভাষাগত বিকাশ যথাযথ হবে।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post